চরম
নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত
আফগানদের বিপক্ষে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে
মাঠ ছাড়েন পাকিস্থান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফগানদের
সংগ্রহ ছিল ১২৩ রান।
কুড়ি ওভারের এই ছোট্ট ফরম্যাটে
১২৯ রান তারা করা
খুব একটা কষ্ট সাধ্য
হওয়ার কথা না হলেও
জয়ের জন্য এই ১৩০
রান তুলতে পাকিস্থানকে হারাতে হয়েছে ৯ উইকেট। ইনিংসের
১৯ ওভারে পঞ্চম বলে পাক ব্যাটসম্যান
আসিফ আলিকে আউট করে উচ্ছ্বাসে
ফেটে পড়েন আফগান পেসার
ফরিদ আহমে।
আসিফ আলির সঙ্গে দুর্ব্যবহারকারী বোলারের নামও হয়তো অনেকে জানেন না। কিন্তু সেই ফরিদ আহমেদ আসিফকে আউট করার পর আক্রমণাত্মক স্লেজিং করে উদযাপনে মাতেন। এগিয়ে এসে কিছু একটা বলতে থাকে ঠিক তখনই আসিফ আলি মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। ঘটনার আদ্যপ্রান্ত না জেনেই প্রাক্তন আফগান অধিনায়ক গুলবেদিন নাইবের চাওয়া আসিফ আলিকে যেন নিষিদ্ধ করা হয় এশিয়া কাপ থেকে।
গুলবেদিন নাইব নেই আফগানদের এশিয়া কাপ মিশনে। দলের বাইরে থেকেই গত রাতের তুলকালাম কান্ডে তিনি চটেছেন। আসিফকে এই এশিয়া কাপে তিনি আর দেখতে চান না।
গুলবেদিন
নাইব তার অফিসিয়াল টুইটার
অ্যাকাউন্টে আইসিসি ও এসিসিকে ট্যাগ
দিয়ে লিখেছেন, ‘এটি আসিফ আলির
চরম পর্যায়ের বোকামি এবং টুর্নামেন্টের বাকি
অংশ থেকে তাকে নিষিদ্ধ
করা উচিত, যে কোনো বোলারের
উদযাপন করার অধিকার আছে
কিন্তু এমন শারীরিক আচরণ
মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।’
মন্তব্য করুন
আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে দল ঘোষণার পর অন্যান্য দলের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। কারণ দেশটির মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। আর সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ টেক্সাসের হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাঠে নামছে টাইগাররা।
সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে- ২৩ ও ২৫ মে। একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের সব ম্যাচ। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শেষে ২৮ মে বিশ্বকাপের অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে আবারও মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ একই ভেন্যুতে চারবার মুখোমুখি হবে দু’দল।
প্রথম ম্যাচটি দু’দলের কাছে ঐতিহাসিক হতে যাচ্ছে। কারণ প্রথমবারের মত টি-২০ ফরম্যাটে দেখা হবে দু’দলের। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথম টি-২০ খেলার পর এরই মধ্যে এই ফরম্যাটে ২০টি দলের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র হবে বাংলাদেশের ২১তম প্রতিপক্ষ।
মূলত অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়দের নিয়ে দল সাজিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের আধিপত্যই বেশি। এর মধ্যে একজনের নাম স্পটলাইটে রয়েছে। তিনি নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার কোরি অ্যান্ডারসন।
২০১৪ সালে ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন অ্যান্ডারসন। ২০১৫ সালে তাের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙ্গে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। নিউজিল্যান্ডের জার্সি গায়ে বাংলাদেশের বিপক্ষেও খেলেছিলেন এ অলরাউন্ডার। পরবর্তীতে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অ্যান্ডারসনের অভিষেক হয়। সাত বছর আগে মাউন্ট মঙ্গানুইতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪১ বলে ২টি চার ও ১০টি ছক্কায় অপরাজিত ৯৪ রান করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০তে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড তার। পাশাপাশি ৭৫ বা তার বেশি রানের ইনিংসে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট।
এছাড়া ডান-হাতি পেসার আলি খানের চেয়ে অন্যরা খুব বেশি পরিচিত নয়। আইপিএল, পিএসএল এবং বিশ্বজুড়ে আরো কয়েকটি টি-২০ লিগ খেলেছেন তিনি। বিপিএলে খুলনা টাইটান্সের হয়ে খেলেছিলেন আলি খান। তার মতো আরো কিছু খেলোয়াড় আছেন, যারা বিশ্বের বেশ কিছু জনপ্রিয় টি-২০ লিগে খেলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে বাংলাদেশ। সব ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা। পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-২০ সিরিজে হওয়া কিছু ভুল সমাধানের চেষ্টাও করবে দল। যদিও ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, তানভির ইসলাম, মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। রিজার্ভ: আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ।
যুক্তরাষ্ট্র দল: মোনাঙ্ক প্যাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোন্স, অ্যান্ড্রিস গাউস, কোরি অ্যান্ডারসন, আলি খান, হারমিত সিং, জেসি সিং, মিলিন্দ কুমার, নিসার্গ প্যাটেল, নীতিশ কুমার, নশতুশ কেনজিগে, সৌরভ নেথ্রালভাকার, শ্যাডলি ভ্যান শালকউইক, স্টিভেন টেলর, শায়ান জাহাঙ্গীর। রিজার্ভ: গজানন্দ সিং, জুয়ানয় ড্রাইসডেল, ইয়াসির মোহাম্মদ।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
লিভারপুলের ডাগআউট থেকে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমেই সরে দাঁড়িয়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। এরই মধ্যে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ডাচ কোচ আর্নে স্লট। জানা গেছে, তার সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেছে অল রেডরা।
এদিকে ক্লপ যুগেই বিশ্ব দরবারে নিজেকে চিনিয়েছেন মিশরীয় তারকা মোহামেদ সালাহ। অথচ সেই ক্লপের শেষ সময়ে তার টানাপোড়েন! গত মাসের শেষ দিকে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে বদলি হিসেবে মাঠে নামার আগমুহূর্তে সাইডলাইনে ক্লপের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান সালাহ। সেই তর্কের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল।
সেই ম্যাচ শেষে সালাহ বলেছিলেন, ‘আজ আমি কথা বললে আগুন লেগে যাবে।’ তবে লিভারপুলের বিদায়ী কোচ ক্লপ জানিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে সব কিছু ঠিক আছে।
মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিনে ক্লপকে সম্মাননা দেওয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সালাহ। এবার ক্লপকে শুভ কামনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন মিশরীয় এই ফুটবলার।
ক্লপের সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে লিভারপুল তারকা লিখেছেন, ‘গত সাত বছর ধরে ঐসব ট্রফি ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করা ছিল দারুণ ব্যাপার। ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে শুভ কামনা জানাচ্ছি এবং আশা করি, আবার দেখা হবে আমাদের।’
গেল মৌসুম শুরুর আগে সৌদি আরবের ক্লাব থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন সালাহ। বেতনের অর্থও ছিল চড়া কিন্তু সালাহ থেকে যান লিভারপুলে। আসছে মৌসুমেও লিভারপুলে থাকার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
সালাহ বলেন, ‘আমরা জানি যে, ট্রফি জয় করাকেই গোণায় ধরা হয় এবং পরের মৌসুমে তা সম্ভব করে তুলতে সম্ভাব্য সবকিছুই আমরা করব। আমাদের সমর্থকদের এটা প্রাপ্য এবং আমরা তীব্র লড়াই করে যাব।’
ইয়ুর্গেন ক্লপ মোহাম্মদ সালাহ লিভারপুল
মন্তব্য করুন
সব যুগেরই অবসান আছে, সব ভালোরই শেষ আছে। তা হোক রাজনীতিতে বা ক্রিয়াঙ্গনে। ঠিক তেমনি অবসান হয়েছে লিভারপুলে ক্লপ অধ্যায়ের। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মৌসুম পর লিভারপুল ছেড়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। রোববার (১৯ মে) ওলসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজের অ্যানফিল্ড অধ্যায় শেষ করে ক্লপ।
২০১৫ সালের অক্টোবরে মৌসুমের
মাঝামাঝি সময়ে লিভারপুলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। সেসময় লিভারপুলের অবস্থা
কি নাজুক ছিল তা সবারই জানা। লিগ শিরোপা জেতাতো দূরের কথা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও জায়গা
করে নেয়া ছিল একসময়ের ঐতিহ্যবাহী দলটির স্বপ্ন। এর পর ক্লপের ৯ বছরে ইউরোপের সম্ভাব্য
সব ট্রফিই জেতে লিভারপুল।
এর আগে ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত
হওয়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ‘বিগ সিক্স’ এর খেতাব পাওয়া দলটির ট্রফি কেবিনেটে এক প্রকার
ধুলোর আস্তরণ পড়েগেছিল। কেননা, ৩০ বছর ধরে তারা জিততে পারেনি ইপিএল শিরোপা, ১০ বছর
আগে জিতেছিল সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এমনকি ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবল লিগ এফএ কাপের
শিরোপাও জিততে পারেনি ৯ বছর ধরে।
কিন্তু যে শহরে ‘বিটলস’ এর
জন্ম সে শহরে ‘হেভি মেটাল’এ কখনো মরচে ধরবে! তারা ফিরে আসবে বারবার ফিনিক্স পাখি হয়ে।
আর ক্লপের মতোই কেউ তাদেরকে ফেরাবে। যেমনটি ফিরেছে লিভারপুল ক্লপের জামানায়।
২০১৫ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর ক্লপ তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন ‘I am the normal one, not the special one.’ কতটা সাধাসিধে ভাবে তিনি এ কথাটা বলেছিলেন তা ঐ সংবাদ সম্মেলনটি যারা দেখেছে তারাই জানেন। অথচ কালের বিবর্তনে সেই ‘নরমাল ওয়ান’ পরিণত হয়েছে লিভারপুলের স্পেশাল ওয়ানে। তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন রয় ইভায়নস, বিল শ্যাঙ্কলি, টম ওয়াটসনদের তালিকায়।
আরও পড়ুন: ছন্দপতন থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, ইপিএলের শ্রেষ্ঠত্বে সিটিজেনরাই
ইপিএলে পেপ গার্দিওয়ালা ২০১৫
সালে সিটিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা হতো ইয়ুর্গেন
ক্লপকে। কারণ তার ফুটবলীয় দর্শন ছিল অনন্য। আধুনিক ফুটবলে বল দখলের লড়াই মাঠের লড়াইকে
খুব প্রভাবিত করে। আর এই বল দখলের লড়াইয়ের সবচেয়ে কঠিন ট্যাকটিস হলো ‘গেগেন প্রেসিং’।
আর ইয়ুর্গেন ক্লপের সাফল্যের মূল মন্ত্রটি ছিল এই ‘গেগেন প্রেসিং’। স্বয়ং পেপ গার্দিওয়ালার
গ্যাম প্লান, ট্যাকটিসকে ক্লপ তার ফুটবলীয় দর্শনের মধ্যে দিয়ে নাকানি-চুবানি দিয়েছেন
বহুবার। গত নয় বছরে সিটি-লিভারপুল লড়াইয়ে তা স্পষ্টই দেখা গেছে।
ক্লপ একবার সংবাদ সম্মেলনে
বলেছিলেন, ‘মেশিনের মতো দল তৈরিতে আমরা ধাপে ধাপে এগিয়েছি। আমি সবসময় সেরাদের বিপক্ষে
খেলার মতো এমন একজন কোচ হতে চেয়েছি। সবসময় নিজের সেরা একটা দল করতে চেয়েছি, তখন নিজের
সেরাটা দিতে সবসময় প্রস্তুত ছিলাম। আমি এমন এক দল চেয়েছি যাদের সঙ্গে খেলতে সবাই ভয়
পাবে।’
নিজের খেলোয়ারী জীবনে ক্লপ
ছিলেন ম্লান। মাইঞ্জের হয়ে খেলার সময়ই ক্লাবের বয়স ভিত্তিক দলের কোচ হিসেবে নিজের কোচিং
ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। এরপর ২০০১ সালে অবসরের পর দলটির মূল দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত
হন তিনি। এরপর ২০০৬-০৭ মৌসুমে তাকে অব্যাহতি দেয়া হলে পরবর্তী কয়েকদিন সিনেমার রিল
টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। তারপর ২০০৮ সালে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের
কোচ হিসেবে নিয়োগ পান পান তিনি। দলটির হয়ে কোন লিগ শিরোপা না জিততে পারলেও তিনি দলকে
২০১২-১৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুলতে সক্ষম হন। কিন্তু বিধি বাম। সেইবার
আরেক জার্মান প্রতিদ্বন্দ্বী বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হতে হয়েছিল তাকে।
এরপর ২০১৫ সালের অক্টোবরে লিভারপুলে যোগ দেন। এবং লিভারপুলের হয়ে ইউরোপের সম্ভাব্য
সকল ট্রফি জেতেন।
একনজরে লিভারপুলে ক্লপের অর্জন:
২০১৯-২০ |
প্রিমিয়ার
লিগ চ্যাম্পিয়ন, |
২০১৯-২০ |
ইউয়েফা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন |
২০১৯-২০ |
ফিফা
ক্লাব বিশ্বকাপ |
২০২১-২২ |
এফএ
কাপ চ্যাম্পিয়ন |
২০২১-২২,
২০২৩-২৪ |
ইএফএল
চ্যাম্পিয়ন |
সবশেষ একটি কথায় বলা যায়, ক্লপ
তুলনাহীন। কয়েকটি ট্রফি আর অর্জন দিয়ে তার ফুটবলের দর্শন আর ফুটবলের প্রতি ভালোবাসাকে
ছোট করাটা বোকামি। লিভারপুলের পর হয়তো তিনি অন্য কোন ক্লাবে যোগ দেবেন কিংবা নিজের
ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ত হয়ে যাবেন। কিন্তু আধুনিক ফুটবলে তার গ্যাম প্ল্যান, ট্যাক্টিস
ফুটবল ভক্তদের কাছে রয়ে যাবে আজীবন। কারণ লিভারপুলকে তিনি জিততে শিখিয়েছেন, ফিনিক্স
পাখির মতো ফিরিয়েছেন। অ্যানফিল্ডের প্রতিটি ঘাস, ড্রেসিংরুম, স্টোডিয়ামের গ্যালারি
সবকিছুই তাকে স্মরণ করবে লিভারপুলকে দেয়া স্মৃতির জন্য।
ইয়ুর্গেন ক্লপ লিভারপুল ইংলিশ লিগ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই রানের দেখা পেতেন এই ওপেনার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে রান খরায় ভুগছেন তিনি।
চলতি বছরটাতে এখন পর্যন্ত বলার মতো কোনো ইনিংস উপহার দিতে পারেননি। সামর্থ্য বিবেচনায় স্রেফ নিজের ছায়া হয়ে আছেন তিনি। তবে বিশ্বকাপের আগেই চেনা ছন্দে ফিরতে চান এই টাইগার ওপেনার। মঙ্গলবার বিসিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি’-তে লিটনের একটি সাক্ষাৎকার শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে তিনি বলেন, নিজের প্রতিভা ও সামর্থ্য অনুযায়ী বিশ্বকাপে এখনও ভাল কিছু করতে পারেননি।
বলেই মনে করেন লিটন কুমার দাস। আগের চেয়ে তাই এবারের বিশ্বকাপে একটু হলেও উন্নতি করতে চান তিনি। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারলে বাংলাদেশ দলও বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবে বলে বিশ্বাস তার।
এই টাইগার ওপেনার বলেন, ‘আমার (পারফরম্যান্সের) কথা বললে, ‘নট আপ টু দা মার্ক।’ আমি যে লেভেলের খেলোয়াড় বা যে পারফর্ম করা উচিত আমার, সেটা করতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিনিসটা যদি এভাবে বলি যে, আগের দুটি বিশ্বকাপে যদি ১০০ রান না করি, এবারের বিশ্বকাপে যদি ১০১ করতে পারি, তাহলে আরো ভালো করেছি। যা করিনি, চেষ্টা করব তার থেকে ভালো কিছু করার।’
লিটনের যা সাম্প্রতিক ফর্ম, তাকে অবশ্য সেঞ্চুরির চিন্তা বহুদূর, আগে ছন্দে ফেরা জরুরি। সবশেষ ১০টি টি-২০তে তার ফিফটি নেই। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিন সংস্করণ মিলিয়ে টানা ২১ ইনিংসে পঞ্চাশের মুখ দেখেননি তিনি।
লিটন বলেন, ‘খারাপ সময়ে অতি বেশি চিন্তার কিছু থাকে না। কারণ, আপনি ব্যাডপ্যাচে যখন থাকেন, যত বেশি চিন্তা করবেন, যত কিছু নিয়ে ভাববেন, তত আপনার জন্য খারাপই হয়ে আসবে। আপনার কাছে একটা বিকল্পই থাকে, কতটুকু কঠোর পরিশ্রম করছেন অনুশীলনে, অনুশীলনকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে নিচ্ছেন, সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
লিটন দাস টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সন্ন্যাস নিয়েছেন অনেক আগেই। ভক্তরা তাঁর খেলা দেখতে অপেক্ষা করেন কবে শুরু হবে আইপিএল। গত শনিবার আইপিএল থেকে চেন্নাইয়ের বিদায়ের পর এখন ধোনী ভক্তদের মনে একটাই প্রশ্ন, ধোনীকে আর দেখা যাবে তো?
শনিবার (১৮ মে) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২৭ রানে ম্যান হারের পর অনেকেই ভেবেই নিয়েছেন, এটাই হয়তো আইপিএলে ৪২ বছর বয়সী ধোনীর শেষ ম্যাচ।
কিন্তু ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আইপিএলে এটি ধোনির শেষ ম্যাচ না–ও হতে পারে!
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে হারের বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের ৩৫ রান দরকার থাকলেও কোয়ালিফায়ার উঠার জন্য দরকার ছিল ১৭ রান। ধোনি প্রথম বলে বিশাল ছক্কা মেরে বল হারিয়ে ফেলেছিলেন। এর পরের বলেই বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ধোনী।
বেঙ্গালুরুর উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান দিনেশ কার্তিক ম্যাচ শেষে চেন্নাইয়ের বিদায়ের কারণ হিসেবে ধোনির ছক্কাকে টেনে নিয়ে এসে বলেন, ‘সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটি ঘটেছে, সেটি হচ্ছে ধোনির ছক্কা মাঠের বাইরে চলে যাওয়া। ফলে আমরা নতুন একটা বল পেয়েছি, যেটা বোলিংয়ের জন্য আগেরটার চেয়ে ভালো (শুকনা)।’
যাহোক, হারের পর ধোনীর কাঁদো কাঁদো মুখ দেখে অনেকেই হয়তো ভারতীয় এই কিংবদন্তির এবার বিদায় নিবেন। তবে আইপিএল থেকে ধোনির বিদায়টা সম্ভবত এখনই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সূত্র বলেছে, ‘ধোনি চেন্নাইয়ের কাউকে বলেনি, তার এটাই শেষ। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সে কয়েক মাস অপেক্ষা করবে বলে জানিয়েছে ম্যানেজমেন্টকে।’
চেন্নাই আশা করছে, তাদের ঘরের মাঠে চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আইপিএলে নিজের শেষ ম্যাচটা খেলবেন ধোনি। বয়স হয়ে গেলেও ফিটনেস এখনো বেশ ভালোই ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের।
আগামী বছর আইপিএলের নিলামে দলগুলোকে পাঁচজন করে খেলোয়াড় ধরে রাখার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শিবম দুবে, মাথিশা পাথিরানা ও রবীন্দ্র জাদেজাকে চেন্নাইয়ের ধরে রাখা মোটামুটি নিশ্চিত। পাঁচজনের মধ্যে শেষ খেলোয়াড়টি ধোনির হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ধোনী আইপিএল চেন্নাই সুপার কিংস
মন্তব্য করুন