টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল দুই দলই। সেই পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাই মুখোমুখি হয়ে পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে ষষ্ঠ বারের মত এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলে দাসুন শানাকার দল।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে নিজেদের ষষ্ঠ শিরোপার জন্য আগে ব্যাট করতে নেমে ভানুকা রাজাপাকসের অর্ধশতকে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান সংগ্রহ করে দাসুন শানাকার দল।
সেই লক্ষ্য তারা করতে নামলে আগুনে বোলিং পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৪৭ রানে পাকিস্তানকে রুখে দেয় লংকানরা। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচ তথা ফাইনালের মহড়া ম্যাচের মত আজকেও তুলে নেয় দাপুটে জয়।
দলে
বড় তারকার ছড়াছড়ি নেই। টি-টোয়েন্টিতে
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও যাচ্ছেতাই। এশিয়া কাপ শুরুর আগেও
এই শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে বাজি ধরতে
সাহস করতেন না কেউ। শ্রীলঙ্কার
শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা ছিল
বলতে গেলে শূন্যের কোটায়।
প্রথম
ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার
পর লঙ্কানদের সম্ভাবনা আরও উবে যায়।
কিন্তু পুরো বিশ্ব না
ভাবলেও দাসুন শানাকার দল বোধ হয়
ভেবেছিল। আত্মবিশ্বাস ছিল, তাদের পক্ষে
সম্ভব।
নাহলে
এভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়!
ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান-যে দলই সামনে
পড়েছে-স্রেফ উড়ে গেছে লঙ্কানদের
সাহসিকতার সামনে। পাকিস্তানকে তো সুপার ফোর
পর্বের শেষ ম্যাচেও হারিয়েছিল।
এবার
ফাইনালে আরও একবার পাকিস্তানবধের
গল্প লিখলো লঙ্কানরা। সবাইকে অবাক করে দিয়ে
‘আন্ডাররেটেড’ দল হয়েও জিতে
নিলো এশিয়া কাপের শিরোপা।
রান
তাড়ায় নেমে শেষ ৪
ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৬১। বাবর
আজমের দল কার্যত ম্যাচ
থেকে ছিটকে পড়েছে তখনই। তবে সেট ব্যাটার
মোহাম্মদ রিজওয়ান ছিলেন, এরপর আসিফ আলি,
ছিলেন খুশদিল শাহও।
তাই
অতিমানবীয় কিছুর আশায় ছিলেন পাকিস্তানি
সমর্থরা। তাদের সেই আশায় জল
ঢেলে দিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তিন ব্যাটারকেই এক
ওভারে তুলে নিলেন লঙ্কান
এই লেগস্পিনার। পাকিস্তানেরও তৃতীয় এশিয়া কাপ জয়ের স্বপ্ন
ভাঙলো তাতে।
দুবাইয়ে
আজ (রোববার) ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে
এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হলো শ্রীলঙ্কা। এ
নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের
এই আসরে শিরোপা জিতলো
লঙ্কানরা। তাদের চেয়ে বেশি এশিয়া
কাপ জিতেছে কেবল ভারত (৭
বার)।
১৭১
রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে
শুরুতেই বড় হোঁচট খায়
পাকিস্তান। টানা দুই বলে
তারা হারিয়ে বসে অধিনায়ক বাবর
আজম (৫) আর ফাখর
জামানকে (০)।
২২ রানে নেই ২
উইকেট। এমন কঠিন পরিস্থিতি
থেকে দলকে উদ্ধার করেন
মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ইফতিখার আহমেদ।
তৃতীয় উইকেটে ৫৮ বলে ৭১
রানের জুটি গড়েন তারা।
রানের
চাপ বাড়ছিল। তাই ইফতিখার শেষ
পর্যন্ত ঝুঁকি নেন। টানা দুই
বলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ছক্কা আর বাউন্ডারিও হাঁকান।
তবে এক ওভার পরই
আরেকটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বল আকাশে
তুলে দেন ইফতিখার। ৩১
বলে ৩২ করে ফেরেন
মধুশানের শিকার হয়ে। ওই ওভারে
আসে মোট ৬ রান।
পরের
ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা দেন
মাত্র ৪। ফলে শেষ
৫ ওভারে পাকিস্তানের দরকার পড়ে ৭০ রান।
সেই চাপে ছক্কা হাঁকাতে
যান মোহাম্মদ নওয়াজ (৬)। ডিপ
ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে হন ক্যাচ।
ছক্কা
মেরে ফিফটি পূরণ করেন রিজওয়ান।
কিন্তু এরপর বেশিক্ষণ টিকতে
পারেননি। আরেকটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে হাসারাঙ্গার বলে
বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন গুনাথিলাকাকে। ৪৯
বলে ৪ বাউন্ডারি আর
১ ছক্কায় রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৫৬
রান।
২২ বলে তখন পাকিস্তানের
দরকার ৬০ রান। ছক্কা-চার ছাড়া ম্যাচ
জেতার উপায় নেই। যে
আসিফ আলির ছক্কায় ভরসা
করে ছিলেন পাকিস্তানি সমর্থকরা, সেই আসিফ গোল্ডেন
ডাকে ফেরেন হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে।
পাকিস্তানেরও সব শেষ হয়ে
যায় ওই আউটের পরই।
রান
তাড়ায় বেশ দেখেশুনে শুরু
করেছিল পাকিস্তান। প্রথম ৩ ওভারে তোলে
২০ রান। কিন্তু তৃতীয়
ওভারে এসেই বড় বিপদে
পড়ে বাবর আজমের দল।
প্রমথ
মধুশান নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে তুলে নেন
বাবরকে। ফাইন লেগ বাউন্ডারি
দিয়ে বল পাঠাতে গিয়ে
শর্ট ফাইন লেগে মধুশঙ্কার
দুর্দান্ত ক্যাচ হন পাকিস্তান অধিনায়ক।
পরের
বলটি উইকেটে টেনে বোল্ড হন
ফাখর জামান। ২২ রানেই ২
উইকেট হারায় পাকিস্তান। শুরুর সেই ধাক্কায় পাওয়ার
প্লেতে বড় সংগ্রহ পায়নি
বাবরের দল। ২ উইকেটে
তোলে ৩৭ রান।
তবে
এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে
দলকে অনেকটা পথ এগিয়ে দেন
মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ইফতিখার আহমেদ।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর
হাসতে পারেননি তারা। ইনিংসের শেষ বলে ১৪৭
রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কার
বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল প্রমথ মধুশান,
৪ ওভারে ৩৪ রানে ৪
উইকেট শিকার করেন এই পেসার।
লেগস্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৪ ওভারে ২৭
রানে নেন ৩টি উইকেট।
এর আগে ৫৮ রানে
৫ উইকেট হারিয়ে কঠিন বিপদে পড়েছিল
শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে ভানুকা রাজাপাকসে
আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা।
এই জুটিই দলকে গড়ে দেয়
চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের ভিত। হাসারাঙ্গা ৩৬
করে ফিরলেও রাজাপাকসে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি।
দুই জীবন পেয়ে শেষ
পর্যন্ত খেলে গেছেন তিনি।
রাজাপাকসের ৪৫ বলে ৭১
রানের ইনিংসে ভর করেই ৬
উইকেটে ১৭০ রানের পুঁজি
পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
দুবাই
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের শিরোপা লড়াইয়ে টস জেতেন পাকিস্তান
অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথমে
শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান
তিনি।
ব্যাটিংয়ে
নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। প্রথম
ওভারটি করেন নাসিম শাহ।
ওভারের তৃতীয় বলেই কুশল মেন্ডিসের
স্টাম্প উড়িয়ে দেন পাকিস্তানের ডানহাতি
এই পেসার।
নাসিমের
গতিময় বলটি যেন বুঝতেই
পারেননি কুশল। ডিফেন্ড করার আগেই উড়ে
যায় তার অফস্টাম্প। গোল্ডেন
ডাকে ফেরেন লঙ্কান ওপেনার। দলীয় ২ রানে
প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
এরপর
পাথুম নিশাঙ্কা আর ধনঞ্জয়া ডি
সিলভা কিছুটা সময় দলকে স্বস্তি
দিয়েছিলেন। কিন্তু চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়েই
১৭ বলে তাদের ২১
রানের জুটি ভাঙেন হারিস
রউফ। মিডঅফে ক্যাচ তুলে দেন নিশাঙ্কা
(১১ বলে ৮)।
বাবর আজম দৌড়ের মধ্যেই
নেন দুর্দান্ত এক ক্যাচ।
নতুন
ব্যাটার দানুশকা গুনাথিলাকাকে (৪ বলে ১)
সেটই হতে দেননি হারিস
রউফ। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে প্রথম
বলে ১৫১ কিলোমিটার গতির
এক বলে লঙ্কান ব্যাটারের
স্টাম্প উড়িয়ে দেন ডানহাতি এই
পেসার।
পঞ্চম
বলে আরও একটি উইকেট
পড়তে পারতো। ভানুকা রাজাপাকসের প্যাডে বল লাগলে জোরাল
আবেদন হয়েছিল। কিন্তু আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি।
রিভিউ নেয় পাকিস্তান। বল
লেগস্টাম্প পেলেও আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান
রাজাপাকসে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে
শ্রীলঙ্কা তোলে ৩ উইকেটে
৪৩ রান।
সপ্তম
ওভারে চমক জাগিয়ে ইফতিখার
আহমেদের হাতে বল তুলে
দেন বাবর আজম। পার্টটাইমার
এই অফস্পিনার প্রথম ওভারেই উইকেট এনে দেন দলকে।
ধনঞ্জয়া ডি সিলভা তার
ফিরতি ক্যাচ হয়ে ফেরেন ২১
বলে ২৮ রান করে।
পরের
ওভারে উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন শাদাব
খানও। লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা (৩ বলে ২)
তাকে ক্রস খেলতে গিয়ে
লাইন মিস করে হন
বোল্ড। ৫৮ রানে ৫
উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে শ্রীলঙ্কা।
পাকিস্তানি
বোলারদের তোপে বেশ বিপদেই
পড়ে গিয়েছিল লঙ্কানরা। সেখান থেকে ভানুকা রাজাপাকসে
আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা।
অবশেষে
তাদের ৩৬ বলে ৫৮
রানের ঝোড়ো জুটিটি ভাঙেন
হারিস রউফ। ইনিংসের ১৫তম
ওভারে হারিসকে টানা দুটি বাউন্ডারি
হাঁকিয়েছিলেন হাসারাঙ্গা। সেই ঝাল মেটাতেই
যেন পরের বলেই তাকে
সাজঘরের পথ দেখান পাকিস্তানি
পেসার।
স্কয়ার
ড্রাইভ খেলতে গিয়ে হারিসের গতিময়
ডেলিভারিতে হালকা করে ব্যাট লাগে
হাসারাঙ্গার, বল চলে যায়
সরাসরি উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে। ২১ বলে ৫
চার আর ১ ছক্কায়
হাসারাঙ্গার ইনিংসটি ছিল ৩৬ রানের।
সেখান
থেকে চামিকা করুনারত্নেকে নিয়ে আরেকটি ঝোড়ো
জুটি গড়েন রাজাপাকসে। বাঁহাতি
এই ব্যাটার ফিরতে পারতেন ১৮তম ওভারে। ব্যক্তিগত
৪৭ রানে হারিস রউফের
স্লোয়ারে বড় শট খেলতে
গিয়ে বল আকাশে তুলে
দিয়েছিলেন রাজাপাকসে। কিন্তু লংঅফে সহজ সেই ক্যাচ
ফেলে দেন শাদাব।
জীবন
পেয়ে ৩৫ বলে ফিফটি
তুলে নেন রাজাপাকসে। এরপর
আরেকটি ক্যাচ তু্লে দিয়েছিলেন লঙ্কান ব্যাটার। এবারও শাদাব খানের ভুলে ছক্কা হয়ে
যায়। দুই ফিল্ডার একসঙ্গে
দৌড়ে গিয়েছিলেন। ক্যাচটা তালুতেই পড়েছিল আসিফ আলির, একই
সময়ে শাদাব সেখানে গিয়ে ধাক্কা খান।
বল পড়ে হয়ে যায়
ছক্কা।
পাকিস্তানিদের
সেই ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেই
রাজাপাকসেই শেষ পর্যন্ত টেনে
নিয়েছেন দলকে, ৬ চার আর
৩ ছক্কায় ৪৫ বলে ৭১
রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শ্রীলঙ্কাও পেয়েছে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং
পুঁজি।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল হারিস রউফ। ৪ ওভারে ২৯ রানে নিয়েছেন ৩টি উইকেট।
এশিয়া কাপ ফাইনাল ক্রিকেট টি-টোয়েন্টি পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা
মন্তব্য করুন
কোমল পানীয় স্বভাবতই মানুষের শরীরের জন্য হানিকারক। অনেক বিশ্ববিখ্যাত খেলোয়াড় সংবাদ সম্মেলনে এসে ডায়াস থেকে কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে রেখেছেন। বার্তা দিয়েছেন সাধারণ ভক্তদের স্বাস্থ্য সচেতনতার। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
শুক্রবার (৩ মে) থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। যার প্রথম ৩ টি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে আর বাকি ২ টি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন
আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে আসেন
জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। এসময় তার চোখ পড়ে ডায়াসে রাখা কোমল পানীয় এর
বোতলে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেটা সরিয়ে ফেলেন এবং পাশের একজন তা তার হাত থেকে নিয়ে
ক্যামেরা ফ্রেমের বাইরে নিয়ে যান। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে বেশিরভাগ নেটিজেনরাই
তাকে বাহাবা জানিয়েছেন।
সিকান্দার রেজা জিম্বাবুয়ে বিসিবি
মন্তব্য করুন
একের পর এক আক্রমণ আর ডর্টমুন্ড রক্ষণে লাগাতার চাপ তৈরি করে ম্যাচের
বেশির ভাগ সময় নিয়ন্ত্রণে ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের দলই। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের
প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে কাঙ্খিত গোলটাই পায়নি পিএসজি। শুধু গোলটাই পাওয়া হল না
পিএসজির।
বিপরীতে প্রথমার্ধে নিকলাস ফুলক্রুগের জাল খুঁজে পাওয়া আর ভাগ্যের
সহায়তা ও রক্ষণের দৃঢ়তায় সেই গোল ধরে রেখে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ডর্টমুন্ড।
সিগনাল ইদুনা পার্কের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটিও
লক্ষ্যে রাখতে পারেনি পিএসজি। এর দুটিই পোস্টের বাইরে মারেন উসমান দেম্বেলে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ
সমর্থকদের বলে বলীয়ান ডর্টমুন্ড পাঁচটি শট নিয়ে চারটিই লক্ষ্যে রাখে। এর মধ্যে ১৪ মিনিটে
মার্সেল স্যাবিটজারের শট আটকান জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। ৪৪তম মিনিটেও স্যাবিটজারের
আক্রমণ রুখে দেন পিএসজি গোলকিপার।
ডর্টমুন্ড তাদের জয়ের গোলটি পায় ৩৬তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধ থেকে
নিকো শ্লটারবেক লম্বা করে বল বাড়ালে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন ফুলক্রুগ। এরপর বাঁ পায়ের
শটে বল জালে পাঠান এই জার্মান ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর নতুন উদ্যমে শুরু করা পিএসজি গোল পেয়ে যেতে পারত ৫১ মিনিটেই।
তবে দুর্ভাগ্যবশত পরপর দুইবার বল লাগে পোস্টে। প্রথমে এমবাপ্পের শট লাগে দূরের পোস্টে,
ডর্টমুন্ড রক্ষণ বল বিপদমুক্ত করতে না পারার এক পর্যায়ে পেয়ে যান আশরাফ হাকিমি। তাঁর
শট লাগে আরেক পোস্টে।
৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করার সুযোগ ছিল ফুলক্রুগের সামনে। জোদান
সানচোর বাড়ানো বল নিয়ে পুরো জাল সামনে পেলেও বল ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। একই ভাবে
৮১ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন পিএসজির দেম্বেলেও।
শেষ দিকে পিএসজি গোলের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালালেও ডর্টমুন্ড
রক্ষণে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে সেটি রুখে দেয়। মাঠ ছাড়ে সেমিফাইনাল লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেই।
প্যারিসে দ্বিতীয় লেগ আগামী মঙ্গলবার।
ডর্টমুন্ড ১: ০ পিএসজি
পিএসজি ডর্টমুন্ড চ্যাম্পিয়নস লিগ
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার
জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী
দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।
ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ
কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। এখন
শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।
আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে
যাওয়া ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের মহাযজ্ঞে এবারের আসরে সেমিফাইনাল খেলবে কারা,
এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান
ও ভারতের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ খুবই কম। যদিও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার কথা
জানিয়েছেন দুই দলই।
এমনই এক বিশ্লেষণে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এবং তারকা
ক্রিকেটার মাইকেল ভন। সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের পছন্দের চার সেমিফাইনালিস্ট নিয়ে
অবশ্য চলছে নানা আলোচনা–সমালোচনাও। কারণ, এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানকে
সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট মনে করছেন না ভন। তার পছন্দের তালিকাকে খুব ভালোভাবে নিতে
পারেননি এ দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকেরা।
ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া,
দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে। নিউজিল্যান্ড,
ভারতের মতো শক্তিশালী দলকেও সেমি খেলার যোগ্য বলে বিবেচনা করেননি তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম জানিয়ে ভন
লিখেছেন, ‘টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমার চার সেমিফাইনালিস্ট হলো...ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া,
দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।’
ভনের এই পোস্ট সামনে আসতেই সমালোচনায় মাতেন ভারত ও পাকিস্তানের
সর্থকেরা। এক ভারতীয় সমর্থক মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘রোহিত শর্মার দল তোমাকে জবাব দেবে।
অপেক্ষায় থাক।’
আফজাল মেনন নামের আরেক ভারতীয় সমর্থক লিখেছেন, ‘কেন তোমার মনে
হচ্ছে আমরা সেমিতে যেতে পারব না? ভারতের দল কিন্তু দারুণ।’
রজত আগারওয়ালা নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবেই ভারতকে সেমিফাইনালে
দেখছি। তারা সম্ভবত ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার জায়গায় সেমিতে খেলবে।’
কামরান আলী নামে পাকিস্তান ক্রিকেটের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘তোমার মাথায়
সমস্যা আছে। গত বিশ্বকাপে যে দল ফাইনালে (সর্বশেষ ২০২২ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের
ফাইনালিস্ট ছিল পাকিস্তান) খেলেছে তাদেরকেই তালিকায় রাখনি।’
অনেকে এ সময় ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে ভনের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হওয়ার
কথাও মনে করিয়ে দেন। ভনের পুরোনো টুইট শেয়ার করে একজন লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ ভন। ওয়ানডে
বিশ্বকাপে তুমি ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের কথা বলেছিলে, যা ভুল
হয়েছিল। তার মানে এবার আমাদের ভালোই (ভারতের) সুযোগ আছে।’
ভনের আগে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম বলেছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতের
সাবেক ক্রিকেটারের মতে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানও
থাকবে।
আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে বিশ্বকাপ
শিরোপার লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। টুর্নামেন্টের
ফাইনাল হবে ২৯ জুন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালিস্ট ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সম্প্রতি তাদের হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। যেখানে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের ডানহাতি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। সেই সাথে নিউজিল্যান্ড সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সূর্যকুমারের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজমও।
বুধবার (১ মে) আইসিসির প্রকাশিত এই নতুন র্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে এক ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে এগিয়েছেন তিনি। ১০ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে তার রেটিং এখন ৭৬৩। শীর্ষে থাকা সূর্যকুমারের চেয়ে এখনও ৯৮ পয়েন্ট পিছিয়ে বাবর। সূর্যকুমারের রেটিং ৮৬১।
৮০২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংলিশ তারকা ফিল সল্ট। ৭৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে বাবরের ওপেনিং পার্টনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেরা পাঁচের শেষ নামটা প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের। তার রেটিং পয়েন্ট ৭৫৫।
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিন ধাপ এগিয়ে এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এখন ১৪ নম্বরে। লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে পাকিস্তান। সে ম্যাচে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স। ২৯ ধাপ এগিয়ে ৬০ নম্বরে উঠে এসেছেন। পাকিস্তান সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫৫ নম্বরে।
সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না গেলেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন লিটন দাস। ব্যাটারদের মধ্যে এখন তিনি ২৯ নম্বরে। দেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা অবস্থানে। ৩২ নম্বরে আছেন অধিনায়ক শান্ত। তবে একধাপ পিছিয়েছেন সাকিব। আছেন ৭০ নম্বরে। এক ধাপ পিছিয়ে আফিফ আছেন সাকিবের ঠিক ওপরে।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আছেন ৩২ নম্বরে। দেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আছেন ২৪ নম্বরে।
আইসিসি ক্রিকেট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে দলটি।
লিগের প্রথম পর্বে ১১টির পাশাপাশি সুপার লিগ পর্বে ৩টিসহ চলতি ডিপিএলে টানা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে আবাহনী। দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে তারা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের জন্য আবাহনীর প্রথম সারির ১০ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন। এতে শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য একাদশ সাজাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল আবাহনী।
এ অবস্থায় শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তিনজন খেলোয়াড়কে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনুরোধ করে আবাহনী। আফিফ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব এবং তানভির ইসলামকে শেখ জামালের বিপক্ষে খেলার অনুমতি দেয় ক্রিকেট বোর্ড।
অপরদিকে, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ফেরায় শক্তি বাড়ে শেখ জামালের। এমন ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। জিয়াউর রহমান সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। ৫৬ বলে ৪৯ রান করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা সাকিব।
জবাবে তিন হাফ-সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৩ রান করে ম্যাচ জয়ের স্বাদ নেয় আবাহনী। দলের পক্ষে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৩ রান করেন আফিফ হোসেন। এছাড়া বিজয় ৬৭ এবং সৈকত অপরাজিত ৫৩ রান করেন।
ডিপিএল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট আবাহনী
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও। ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।