ইনসাইড গ্রাউন্ড

কেমন হলো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপ?

প্রকাশ: ০৯:০৪ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail কেমন হলো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপ?

ক্রিকেট শুরুতে টেস্ট এবং ওয়ানডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও কালের বিবর্তনে এই দুই ফরমেটের খেলা জনপ্রিয়তা হারিয়েছে অনেকটাই। কারণ দুই ফরমেট এর সাথে যুক্ত হয়েছে  কুড়ি ওভারের ছোট্ট এই ফরমেট। টি-টুয়েন্টি ফরমেট যুক্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে যায়। এক ফরম্যাট থেকে অন্য ফরম্যটে যেতে হলে পাল্টাতে হয় খেলার ধরন প্রকৃতি সেইসাথে খেলোয়াড়দের মন-মানসিকতা ও। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিটি ক্রিকেট খেলা দেশেই গঠন করা হচ্ছে তিন ফরমেটের জন্য আলাদা আলাদা  দল। ওয়ানডে ফরমেটে বাংলাদেশের অনেকটা সুনাম থাকলেও টি-টোয়েন্টি যুগে প্রবেশ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ছোট এই আসরের জন্য যোগ্য ব্যাটসম্যান তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। উইকেটে এসেই বল-টু-বল বড় শট খেলার মত সামর্থ্য দেশের খেলোয়াড়দের এখনো হয়ে উঠেনি। যার ফলস্বরূপ টি-টুয়েন্টি এই ফরম্যাটে ভুগতে হয় বাংলাদেশ  দলকে। 

শুধু ব্যাটিং ব্যর্থতায় নয় কুড়ি ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশকে ভুগতে হয়  বোলিং সমস্যাতেও। যদিও এখন পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকজন বোলার এসেছেন যারা বাংলাদেশ দলকে অনেক সময় ধরে ভরসা দিতে পেরেছেন। তাদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, রাজ্জা্‌ রফিক অন্যতম।  বোলিংয়ের কথা বললে মাশরাফির কথা না বলে থাকা যায় না। ইনজুরির পর ইনজুরি কাটিয়েও জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন বীরের বেশে। সেইসাথে জাতীয় দলের পথপ্রদর্শক এর কাজ করেছেন সুনামের সাথে অনেকটা  সময়। 

আগেই বলা হয়েছে আমরা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ঠিক গুছিয়ে উঠতে পারিনি। যার অনেকটাই নমুনা দেখা গিয়েছে এবারের এশিয়া কাপ আসরে।  বারবার হয়তো আমরা বলে থাকি বাংলাদেশের ব্যাটিং অক্ষমতার কারণে এই ফরম্যাটে খুব একটা ভালো করা হয়ে উঠে না টিম টাইগারের। কিন্তু এবারের এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে বোলারদের ব্যর্থতায়। শ্রীলংকার বিপক্ষে পাহাড় সমান রান করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের নায়ক ইবাদত হোসেন শেষ পর্যন্ত রূপান্তরিত হয়েছিল খলনায়কে। যাইহোক ব্যর্থতার পালা শেষ করে দেশে ফিরে খুব একটা সময় হাতে নেই কারণ কয়েকটা দিন পরেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ায়।  তারই ধারাবাহিকতায় একে একে দল ঘোষণা করেছে বহির্বিশ্বের ক্রিকেট খেলা অনেক দেশ।  বাংলাদেশ ও তার ব্যতিক্রম নয়। ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়ে গেছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একাদশ।  যেখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সেইসাথে বোলার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে একাদশের বাইরে রাখা হয়েছে। একাদশে জায়গা করে নিয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেক হবে এমন তিন নতুন মুখ। 

এবারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর  অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে।  আর আমরা সবাই জানি অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি আর বড় মাঠের কারণে একাদশের ৩ পেস বোলার কে খেলানো  অনেকটা অনুমিতই। বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের দায়িত্ব পালন করবে তাসকিন, মুস্তাফিজ ও সাইফুদ্দিন। বাউন্সি পিস হওয়ার কারণে তাসকিন এবং মুস্তাফিজ খেলবেন এটা মোটামুটি নিশ্চিত বলা যায়। যদিও বর্তমানে মিরপুরের বাইরে মুস্তাফিজ কতটা কার্যকর সেটা বিবেচনার বিষয় কারণ তার ইকোনমি খুবই বেশি।  এবারের এশিয়া কাপ নিজেকে খুব একটা মেলে ধরতে পারেনি এই কাটার মাস্টার। 

সে দিক থেকে বিবেচনা করলে তাসকিন অনেকটা  অটো চয়েজ হিসেবেই খেলবেন দলে। ইনজুরি কাটিয়ে তাসকিনের বোলিং গতি এবং লাইন লেন্থ বিবেচনায় বাকিদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। তাহলে এখন প্রশ্ন আসে তৃতীয় প্রেসার কে হবেন? হাসান-মাহমুদ পুরোপুরি ফিট নন তাছাড়া তিনি কতটা কার্যকর হবেন সেটা প্রমাণিত নয়। এবাদত হোসেন কে আমরা এশিয়া কাপে বোলিং করতে দেখেছি, তার বলে যথেষ্ট গতি থাকলেও লাইন ঠিক রাখতে হিমশিম খান তিনি। অতিরিক্ত অনেক রান বেশি দেন তিনি। এটাও অনেকটা চিন্তার বিষয়। 

শেষ পর্যন্ত হয়তো সাইফুদ্দিন হতে পারেন আশার আলো। কারণ তিনি সমানে ব্যাট এবং বল উভয় করতে পারেন।  যা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনেক কার্যকর একটা দলের জন্য। ব্যাট হাতে অনেক বড় শর্ট খেলার সক্ষমতা তার আছে। তবে তিনি যে নামডাক নিয়ে দলে এসেছিলেন তার খুবই সামান্য পরিমাণ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন এ পর্যন্ত। এখন দেখার বিষয় কন্ডিশনের সাথে মিল রেখে ম্যানেজমেন্ট কাকে খেলায়। 

পেস বোলিং নিয়ে বাংলাদেশের অনেক সমস্যা থাকলেও বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা হচ্ছে স্পিন। আর এই ইস্পিন নিয়ে বরাবরের মতই টিম ম্যানেজমেন্ট অনেকটাই আশাবাদী। যদিও অস্ট্রেলিয়ার পিচ কন্ডিশন স্পিনারদের কতটা অনুকূলে থাকবে তা বলা  মুশকিল। স্পিনে সাকিবের সাথে নাসুম, মেহেদি মিরাজ দলকে ভরসা দিতে পারে বলে আশাবাদী। আর মেহেদি মিরাজ যদি দলের জন্য ওপেনিং করেন সেটা দলের জন্য বোনাস স্বরূপ। 

আর মাত্র একমাস পরেই শুরু হবে ক্রিকেটের এই মহা যুদ্ধ। বিশ্বকাপের এই মঞ্চে বাংলাদেশ ভালো করবে এই কামনা। আর এই অগ্রযাত্রায় বোলাররা সামনে থেকে দলকে পথ দেখাবে এমন টাই আশা কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর।

বিশ্বকাপ   টি-টুয়েন্টি   বোলিং লাইন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফুটবলে নিষিদ্ধ হচ্ছে ইসরায়েল!

প্রকাশ: ০৬:৫৬ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় গত আট মাসে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল এফএ। এ নিয়ে গত মার্চে ফিফায় চিঠি দিয়েছিল ফিলিস্তিন এফএ।

ফিলিস্তিন ফুটবলের সেই দাবিকে সমর্থন দিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। এ নিয়ে এএফসির কংগ্রেসে আলোচনাও হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।

শুক্রবার থাইল্যান্ডে ফিফার ৭৪ তম বার্ষিক সভার কংগ্রেসে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরপরেই আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যাবে যে, বিশ্ব ফুটবলে ইসরায়েল নিষিদ্ধ হচ্ছে কি না।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে এএফসির সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা বলেন, ‘এএফসি এবং ফিফা তাদের সদস্য রাষ্ট্রের মতোই শক্তিশালী। যখন একজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন বাকিদের উপরও তার প্রভাব পড়ে। তাই এএফসি, ফিলিস্তিন এফএ-এর সাথে ঐক্যমত পোষন করছে। ফিফার নিয়ম ও আইনের মধ্যে থেকে ফিলিস্তিনের ফুটবল যেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তার স্থায়ী সমাধান চায়।’

এ নিয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ফিলিস্তিনে আজ যা চলছে তাতে আমরা সবাই ভুগছি। আমরা দূর থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করতে পারি। আমরা প্রার্থনা করি বিশ্বের সকল নির্যাতিত শিশুর জন্য। যদিও এ বিষয়ে ফুটবল খুব অল্প কিছুই করতে পারে। তবে ফুটবল সবাইকে একত্রিত করতে পারে।’


ফুটবল   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

২০২৭ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক ব্রাজিল

প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

২০২৭ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা হারিয়ে দিয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া ইউরোপের তিন দেশ বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে।

আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম চূড়ান্ত হতেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল তারা। ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার আশা, ‘সর্বকালের সেরা নারী বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি।

শুক্রবার (১৭ মে) ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ১১৯টি ভোট পায় ব্রাজিল। অন্যদিকে, যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানির ভাগে পড়ে ৭৮টি ভোট। অবশ্য চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে ব্রাজিলের দিকেই পাল্লা ভারী ছিল। ফিফা টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নে লাতিন দেশটি আয়োজক হওয়ার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল।

এর নেপথ্য কারণ, টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজনের সম্ভাব্যতা, বাণিজ্যিক বিষয়াদি, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সুযোগসুবিধা আবাসনের মতো বিষয়। ছাড়া ২০১৪ পুরুষ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ১০টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ব্রাজিল।

ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্দো রদ্রিগেস এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, আমরা জানতাম, দক্ষিণ আমেরিকার নারী ফুটবলের বিজয় আমরা উদযাপন করতে পারব। দম্ভ করে বলছি না, নিশ্চিত থাকতে পারে, নারীদের জন্য সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আমরা উপহার দেব।


২০২৭   নারী   বিশ্বকাপ   ফুটবল   ব্রাজিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে শান্ত-তাসকিনরা

প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

লম্বা-ভ্রমণের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া বিভাগ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গণমাধ্যমে পাঠানো খুদে বার্তায় বলা হয়, হিউস্টেনের জর্জ বুশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।

প্রতিবারই বড় স্বপ্ন আর প্রত্যাশা নিয়ে ইন্টারন্যাশনার ক্রিকেট কাউন্সিল-আইসিসির বৈশ্বিক আসর খেলতে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পেছনে থাকে ১৭ কোটি মানুষের আশা-ভালোবাসা আর প্রার্থনা। এবারও সেই একই ভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গেল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

গত বুধবার (১৫ মে) মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বিশ্বকাপের জন্য শেষবারের মতো অনুশীলন করে চন্ডিকা হাতুরুসিংহের শিষ্যরা। এরপর অংশ নেয় অফিসিয়াল ফটোশ্যূটে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে পুরো দলের ছবি তোলার পর শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা।

বিশ্বকাপ শুরু আগে সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। হিউস্টনে ২১, ২৩ ২৫ মে হবে ম্যাচগুলো।

পরে আগামী জুন নিউইয়র্কে বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে গ্রুপপর্বের প্রথম দুই ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে ডালাস নিউইয়র্কে। জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন। এরপর ১০ জুন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।

এরপর গ্রুপপর্বের বাকি দুই ম্যাচ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবেন শান্তরা। সেখানে সেন্ট ভিনসেন্টে ১৩ জুন টাইগারদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। আর ১৭ জুন একই ভেন্যুতে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ লড়বে নেপালের বিপক্ষে।


বিশ্বকাপ   যুক্তরাষ্ট্র   শান্ত   তাসকিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিন নম্বরে নাজমুল না সাকিব?

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত বছরের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ ম্যাচে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিতে হয়েছিল নাজমুলকে, সেই সূত্রে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেও তিনিই এলেন। পুরো আসরে বাংলাদেশ দলের ৯ ম্যাচের ৭টিতেই হেরে যাওয়ার পেছনে টপ অর্ডারে ব্যাপক মাত্রার অদলবদলের প্রশ্নে নাজমুলের জবাবে ছিল দায় স্বীকারের প্রকাশ, ‘অনেক বেশি হয়ে গেছে। না করলেই ভালো।’

ওয়ানডে বিশ্বকাপের ছয় মাস পর সেটি টি-টোয়েন্টির সংস্করণের বাংলাদেশ দল যখন আরেকটি বিশ্বকাপের সামনে দাঁড়িয়ে, তখন আবারও আলোচনায় ব্যাটিং অর্ডারের অদলবদল প্রসঙ্গ। এবারও কি ব্যাটিংয়ের ওপরের দিকে, বিশেষ করে ৩ নম্বর পজিশনে ওলট-পালট চলবে? এটা স্পষ্ট যে ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই ব্যবস্থা কাজে দেয়নি, নাজমুলও এর প্রবল সমর্থক ছিলেন না। তবু প্রশ্নটা উঠছে ৩ নম্বর পজিশনে গত দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা ও কন্ডিশন এবং সাম্প্রতিক সময়ে সৃষ্ট পার্থক্যের কারণে। অর্থাৎ সাবেক অধিনায়ক সাকিব আর বর্তমান অধিনায়ক নাজমুলের ৩ নম্বরে ব্যাটিং-খতিয়ানই তুলছে প্রশ্নটা।

নাজমুল তার ৩৬ টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে ১৮টি ম্যাচই খেলেছেন ৩ নম্বরে। এর বেশির ভাগই গত এক বছরের মধ্যে। কিন্তু মার্চে শ্রীলঙ্কা ও চলতি মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে খুব একটা ছন্দে দেখা যায়নি তাকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৩৬ রানের পরও সিরিজের চার ইনিংসে রান মোটে ৮১। কম রানের পাশাপাশি নাজমুলের ব্যাটিংয়ে অস্বস্তির আরেক দিক—স্ট্রাইক রেটের দুর্দশা। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮১ রান করতে খেলেছেন ৭৮ বল, স্ট্রাইক রেট ১০৩.৮৪। শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজে নয়, নাজমুলের টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইক রেটই দৃষ্টিকটু রকমের কম (১১১.১৬)। এবারের বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া ২০ অধিনায়কের মধ্যে যা ১৯তম।

নাজমুলের আগে অধিনায়ক থাকার সময় সাকিবও তিনে ব্যাট করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাটে সবচেয়ে বেশি রানও এ পজিশনেই—৪২ ইনিংসে ১০৮৫। ক্যারিয়ারের ১২ ফিফটির ৭টিও করেছেন তিনে নেমে। সাকিব তিনে খেলে হাজারের বেশি রান করেছেন ২৯.৩২ গড় আর ১২৩.১৫ স্ট্রাইক রেটে। অবশ্য শুধু স্ট্রাইক রেট বিবেচনা করলে সাকিবের সেরা পজিশন ৪ নম্বর। এখন পর্যন্ত ৪৫ ইনিংসে চারে ব্যাট করে ১২৭.১৬ স্ট্রাইকে ৮৮০ রান তাঁর (৬ নম্বরে নেমে ৬ ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ১৩০)। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ম্যাচ ছাড়া বাকিগুলোতে ৪ নম্বর পজিশনেই ব্যাট করেছেন ৩৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।

তবে মোটের ওপর রানসংখ্যা, গড় ও স্ট্রাইক রেট বিবেচনায় সাকিব তিনেই বেশি সফল। এবারের বিশ্বকাপের দুই ভেন্যু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর পারফরম্যান্স তো ক্যারিয়ার–গড়ের চেয়েও বেশি। ক্যারিবীয় অঞ্চলে খেলা ৭ ইনিংসে সাকিবের গড় ৩৫.৫০ (মোট ২১৩ রান), স্ট্রাইক রেট ১৩৭.৪১। আর যুক্তরাষ্ট্রে খেলা দুই টি-টোয়েন্টিতে ৪২ গড় ও ১৪০ স্ট্রাইক রেটে রান ৮৪।

নির্দিষ্ট কন্ডিশন ও ৩ নম্বরের অভিজ্ঞতা ও সাফল্যে সাকিবই যে এগিয়ে, সেটি এসব পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। তবে এসব বিবেচনায় নিয়ে সাকিবকে তিনে ফেরানো মানে আবারও ব্যাটিং অর্ডারে অদলবদল। সেটার সম্ভাবনা কেমন, বিশেষ করে গত বছর ভারত বিশ্বকাপে তেতো অভিজ্ঞতার পর—এমন প্রশ্নই উঠেছিল দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ দলের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে।

মজার বিষয় হচ্ছে, কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তো বটেই, অধিনায়ক নাজমুলও এই বিশ্বকাপে আরেকটি ওলট-পালটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। হাথুরুর জবাব ছিল সোজাসাপটা, ‘হ্যাঁ, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তিত হবে। এটা ক্রিকেটে স্বাভাবিক ব্যপার। এটা আসলে আপনি কোথায় ব্যাট করছেন এবং কতটা সেরা ব্যাটিং করছেন, তার ওপর নির্ভর করে।’

আর অধিনায়ক নাজমুল, যিনি নিজেই ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওলট-পালট বেশি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার জায়গায় তিনে সাকিবের খেলার সম্ভাবনায় দিয়েছেন কূটনৈতিক জবাব, ‘এটা নির্ভর করবে কন্ডিশন এবং প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তার ওপর।’

যার অর্থ, আগামী ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে অদলবদলের সম্ভাবনা ভালোভাবেই থাকছে।


টি-টোয়েন্টি   বিশ্বকাপ   নাজমুল হাসান শান্ত   সাকিব আল হাসান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অবসান ঘটতে চলেছে দেশের ক্রিকেটের পঞ্চপাণ্ডব যুগের?

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর মাত্র ১৫ দিন। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হবে ব্যাটে-বলের সেই লড়াই। যেখানে চার-ছক্কার জোর যার বেশি, দাপটটাও তাদেরই বেশি। আর তাই এবার আসন্ন এই টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রতিটি দলই তাদের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়েই দল সাজিয়েছে।

ইতোমধ্যেই প্রায় প্রতিটি দল তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে ১৯তম দল হিসেবে গত মঙ্গলবার দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ। যেখানে অভিজ্ঞদের সাথে তারুণ্যের মিশেলে সাজানো হয়েছে এবারের স্কোয়াড। বাংলাদেশও রয়েছে সেই তালিকায়। 

তবে এবারের টাইগারদের বিশ্বকাপ দলের কিছু প্লেয়ারের জন্য হতে চলেছে নিজেদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। যেমন, দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও সাইলেন্ট কিলার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনই হয়তো বাংলাদেশের জার্সিতে নিজেদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে চলেছেন এটা প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

যার জন্য ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে প্রায় সবখানেই চলছে এ নিয়ে আলোচনা। অনেকে বলছেন, পঞ্চপাণ্ডব যুগের অবসান ঘটতে চলেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। শুধু তাই নয় আন্তর্জাতিক কোন ট্রফি না জেতায় অনেকে আবেগী পোস্ট ও করেছেন। 

শুধু তাই নয়, অধিনায়ক শান্তও বলেছেন যে, ধারণা করা হচ্ছে এটাই তাদের শেষ বিশ্বকাপ। শান্তর ভাষ্য, ‘আমি নিশ্চিত নই, এটা সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর শেষ বিশ্বকাপ কি না; কিন্তু এটি ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন তারা। এজন্য আমরা তরুণ খেলোয়াড়রা তাদের ভালো কিছু উপহার দিতে চাই। এটা অবশ্যই তরুণ খেলোয়াড়দের গুরুদায়িত্ব।’

তবে আসন্ন এই বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে দেশের ক্রিকেটের এই দুই মহাতারকা কিছু রেকর্ড ও গড়ছেন। যেমন, সাকিব আল হাসান। বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাচ্ছেন বাংলাদেশের এই তারকা। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ফরম্যাটের সব বিশ্বকাপেই ছিলেন সাকিব। এমনকি ২০১০ এবং ২০২২ আসরে পালন করেছেন অধিনায়কের দায়িত্বও। 

অন্যদিকে বাংলাদেশের আরেক তারকা খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটা আসর বিরতি দিয়ে আবারও ফিরেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে। তবে ২০২২ সালের আসরে অংশগ্রহণ না করায় সাকিবের সঙ্গে রেকর্ডবুকে জায়গা করে নিতে পারেননি তিনি। তাই এবার ক্রীড়াঙ্গন জুড়ে প্রশ্ন উঠেছে তবে কি বিশ্বকাপের এই স্কোয়াড দেখে কিঞ্চিৎ আক্ষেপ করছেন মাহমুদউল্লাহ?

এদিকে সাকিব ছাড়া এমন রেকর্ডে নিজের নাম লিখিয়েছেন কেবল রোহিত শর্মা। কারণ ৯ বিশ্বকাপের ৯ টিতেই ছিলেন বাংলাদেশ এবং ভারতের শুধু এই দুই তারকাই। 

অন্যদিকে তাদের চেয়ে মাত্র একটা বিশ্বকাপ কম খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন রিয়াদ। আর ২০২১ সালে খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে।

নাজমুল হোসেন শান্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে দায়িত্ব পেলেও, বৈশ্বিক পর্যায়ে এটাই তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। আর তাসকিন আহমেদ চলতি বছরের বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক হয়েছিলেন। সেটাও অবশ্য কয়েক ম্যাচ যাওয়ার পর। 

তাই বলা যায় এই বিশ্বকাপে তারুণ্য নির্ভর দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। এমনকি এই তারুণ্যের মিছিলে আছেন এমন ৬ মুখ যারা কখনোই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাননি। তারা হলেন-  ওপেনিং ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম, ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়, উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিক, দুই স্পিনার তানভীর ইসলাম ও রিশাদ হোসেন এবং পেসার তানজিম হাসান সাকিব। 

এই তরুণ ক্রিকেটারের মধ্যে তানজিদ তামিম গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন সবকটি ম্যাচ। তানজিম সাকিব সুযোগ পেয়েছিলেন দুই ম্যাচে। তাওহীদ হৃদয় বিগত দুই বছরে বাংলাদেশ দলের নিয়মিত পারফর্মার। ২০২৩ বিশ্বকাপেও ছিলেন তিনি। তবে বাকি তিনজনের এটাই দেশের জার্সিতে প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। 

দ্বিতীয়বারের মতো ২০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী হাসান। লিটন দাস ও শরীফুল ইসলাম খেলতে যাচ্ছেন নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ। আর সৌম্য সরকার এবং মুস্তাফিজের জন্য এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ। 

এদিকে অধিনায়ক হিসেবে শান্তর এটাই প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। আর সহ-অধিনায়ক হিসেবে তাসকিনের প্রথম টুর্নামেন্ট এটি। তবে খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৪ সাল থেকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিয়মিত মুখ তিনি।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন