ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশ দলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অবদান

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail বাংলাদেশ দলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অবদান

“কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি, এ যেন হঠাৎ বৃষ্টি!” কি ভাবছেন, এটা কোন সিনেমার শুটিং? এটা কোন নাটক-সিনেমা নয়। বলছিলাম ইদানিং দেশের আবহাওয়ার কথা। সমুদ্রের নিম্নচাপ হওয়ার কারণে দেশের সর্বত্র চলছে মেঘ আর বৃষ্টির খেলা। কিন্তু এটা কিসের বৃষ্টি? মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং তার ভক্ত-অনুরাগীদের কান্না হয়ে ঝরছে এই বৃষ্টি। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একাদশে জায়গা হয়নি এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের। রিয়াদ ও তার ভক্তদের দুঃখ ভারাক্রান্ত মনের সাথে সহমত পোষণ করলো দেশের আবহাওয়াও। আবহাওয়ার সাথে নাটক জমে উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে।  এবার গল্পের নায়ক-খলনায়ক দুজনই টি-টোয়েন্টি সাবেক অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। নেতৃত্ব হারিয়েছেন অনেকটা আগেই এবার জায়গাও হল না বিশ্বকাপে। 

কিছুটা পিছনে ফিরে যাওয়া যাক। সময়টা ২৫ শে জুলাই ২০০৭। তখন চলছিল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে  সিরিজের শেষ ম্যাচ। আগের দুই ওয়ানডে ম্যাচে খুব বাজে ভাবে হারায় শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে দলে আনা হয়েছিল বেশ কয়েকটি পরিবর্তন। ঠিক তখনই অভিষেক হয় নতুন এক খেলোয়ারের।  সাত নম্বরে নেমে ৫৪ বলে করেন ৩৬। ওই ম্যাচে তামিম ইকবালের ৫৪ রানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল এটি। শ্রীলংকার পেস্তা এবং সানাথ জয়সুরিয়ার জাদুকরী স্পিনে বাংলাদেশ যেখানে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছিল ঠিক তখন দলের এই বিপর্যযয়ে ব্যাটিংয়ে হাল ধরে একটু একটু করে দলের রান  বাড়ালেন এই ক্রিকেটার। সেই ম্যাচে অনেকটা রান আসে তার ব্যাট থেকেই। কিন্তু এরপরেও নির্বাচকদের চোখ পড়লো না এই পারফরম্যান্সের দিকে। এর পরের সফরটা ছিল নিউজিল্যান্ডে। সেখানেও দলের বাইরে রাখা হলো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। 

এরপরেও টু-শব্দটি পর্যন্ত করেননি তিনি। সেবছর অবশ্য আরও চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে করেছিলেন মাত্র ২৮ রান। এই পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কারতে পারবে না কারো, এটাই স্বাভাবিক। যার ফলস্বরূপ ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলে জায়গা পায়নি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। 

এরপর তাকে দলে ফেরানো হয় ২০০৮ সালের আয়ারল্যান্ডের সাথে হোম সিরিজে। সিরিজের শেষ ম্যাচে ভালো শুরু করার পর যখন বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডার আবারো দুমড়েমুচড়ে ভেঙে যাচ্ছে ঠিক তখন নিজের কাস্টিক প্রথমবারের মতো করে দেখান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মাত্র ৪৪ বলে ৪৯ রানের ইনিংসের সৌজন্যে বাংলাদেশ পার করে ফেলেছিল ২৯০ এর কোটা। তখনো হয়তো তিনি জানতেন না শুধুমাত্র প্রথমবারের মতো নয়, এই কাজটি বাংলাদেশ দলের জন্য তাকে করতে হবে প্রতিনিয়ত। এরপর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্যাটিং লাইনআপ যতবারই খড়কুটোর মতো ভেঙে পড়েছে ঠিক ততোবারই ডাক পড়েছে একজন মাহমুদুল্লাহর! 

মাহমুদুল্লাহ তখন নিজেকে চেনানো শুরু করেছেন। সে বছরই পাকিস্তান সফরের দ্বিতীয় ওয়ানডে। তামিম ইকবালের ৬০ রানের পর দলের ৪ ব্যাটসম্যানের সর্বমোট রান ৩১। পাকিস্তানি বোলিংয়ের তোপের মুখে উইকেটে যখন সবাই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত তখন ৬ নম্বরে নামে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ একপাশে ঠায় হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সব দেখেশুনে আস্তে আস্তে ব্যাটা চালাচ্ছেন, সিঙ্গেল নিচ্ছেন, অনেক সাবধানতা অবলম্বন এর সাথে সাথে রান বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন এই ব্যাটসম্যান। সেই ইনিংসে করেন ৭৪ বলে  করেন ৫৮ রান। যদিও পারফরম্যান্সের বিচারে এই ইনিংস কারো তৃষ্ণা মেটাবে না, মিটবে কেবল দলের প্রয়োজন। এরপর আর কোন ম্যাচে চল্লিশ পার করতে পারেনি যদিও দলের প্রয়োজনে ছোটখাটো ইনিংস খেলেছেন, ধীরে ধীরে রান করেছেন কখনো বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন আবার চলে গেছেন পর্দার  আড়ালে। তার শুরুটা হয়েছিল এভাবেই। 

সারাবছর তাকে ব্যাটেবলে খুব একটা খুঁজে পাওয়া না গেলেও দলের বিপদের সময় ধ্যান ভেঙ্গে সবার আগে এগিয়ে গেছেন মাহমুদুল্লাহ।  কখনো পেরেছেন কখনো পারেননি।  যখন পেরেছেন আমরা তাকে মাথায় তুলে নেচেছি, যখন পারেননি মাথা থেকে নামিয়ে ক্ষান্ত হয়নি, ছুঁড়ে ফেলেও দিয়েছি। শুধুই দলের প্রয়োজনে কিংবা ব্যাটিং বিপর্যয় নয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ডাক পড়লে যেকোন বিপদেই তুমি হাসিমুখে এগিয়ে আসেন। করেন না কোন প্রকার অভিযোগ। 

২০১৫ সালে টপ অর্ডারে ৪ নম্বর পজিশনের জন্য ব্যাটসম্যান সেট করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এই চার নম্বর পজিশন এর জন্য লোয়ার অর্ডার খেলতে নামা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নামিয়ে দেয়া হলো। ২০১৪ তে পুরো দলের খারাপ পারফরম্যান্সের পর সবচেয়ে বেশি জড় গিয়েছিল মাহমুদউল্লাহ, তামিম এর উপর  দিয়ে। অথচ সেই রিয়াদকে চারে খেলানো নিয়ে কত কথা শুনতে হয়েছে ।তখন সাকিব আর অধারাবাহিক তামিমের দলে একমাত্র ডিপেন্ডেবল ছিলেন  মুশফিক। কিন্তু মুশফিকের একার পক্ষে তো ম্যাচ জেতানো সম্ভব না। ঠিক তখনই মুশফিকে  অপরপ্রান্ত থেকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসলেন সেই রিয়াদ। 

বাংলাদেশ ক্রিকেটে  সেই ১৯৯৯  সাল থেকে যত বাঘা বাঘা খেলোয়াড় এসেছেন তাদের কারও পক্ষেই যেটা সম্ভব হয়নি সেটাই করে দেখালেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি টা প্রথম যার হাত ধরে এসেছিল তিনি আর কেউ নন, মিস্টার সাইলেন্ট কিলার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শুধু তাই নয় রোহিত শর্মা, মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়া্‌ ক্রিস গেইল, ব্রায়ান লারা যা করতে পারেননি তাও করে দেখিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বিশ্বকাপে পরপর দুই ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি করে রিয়াদ তাই প্রমাণ করেছেন। এরপর থেকে তিনি “কোটার প্লেয়ার” নন, তখন তিনি কারো “ভায়রাভাই নন”, ক্রিকেট সাপোর্টারদের কাছে রিয়াদ তখন কেবল এক রূপকথা। 

এরপর থেকে তাকে খুব একটা পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। ততদিনে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশ ক্রিকেটে পঞ্চপান্ডবের একজন। অভিষেকের ৯ বছর পর বাংলাদেশ দলের শততম টেস্ট ম্যাচ। একটা দেশের শততম টেস্ট ম্যাচ খেলা সব ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু সেই টেস্ট ম্যাচে ও নেওয়া হলো না সেই মাহমুদুল্লাহকে। এরপরেও একটি কথাও বলেননি তিনি, ছিলেন শুধুই নিশ্চুপ। 

সাদা পোশাকে হতাশাগ্রস্ত পারফরমেন্সের কারণে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে বলেছিল বাংলাদেশ দলের কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। তাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার পর জানিয়েছিলেন ভালো কিছু করতে পারলেই দলে ফেরানো হবে। অনেকটা চাপা কষ্ট নিয়েই হয়তো টিকে ছিলেন এই সাইলেন্ট কিলার। সেরাট তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল তার মনে। ক্ষোভ টাও খুব একটা কম ছিল না। ২০২১ সালে সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলার সুযোগ পায় এই অলরাউন্ডার। দলে ফিরেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারা রাতে সেঞ্চুরি হাকিয়ে আচমকা টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। 

মাহমুদুল্লাহর এমন অবসর কান্ড বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানতো না। টেস্ট ক্রিকেট থেকে বাদ পড়া আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা সেই অভিমান থেকেই  এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মোটামুটি নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। টেস্ট ক্রিকেটকে অভিমান করে বিদায় বলে  দেওয়ার পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ছাড়তে হলো টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বও। ২০২২ সালে এসে এশিয়া কাপে ও চরমভাবে ব্যর্থ হয় এই ব্যাটসম্যান।  হতাশার ঝুলি নিয়ে দেশে ফেরার পরপরই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের জায়গা থেকে অবস্থান হারালেন এই ব্যাটসম্যান। 

দলে জায়গা না হওয়ায় গুঞ্জন উঠেছে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার।  যদিও টি-টোয়েন্টিতে অবসর নেওয়ার ব্যাপারে এখনও কাউকে কোনো কিছু জানাননি তিনি। তাহলে কি এটা ধরে নেওয়া যায় টেস্টের মত রাগ অভিমান খুব জমিয়ে রেখে আবারও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জাতীয় দলে ফিরে ভালো কোন ইনিংস খেলার পরেই অবসরের ঘোষণা দিবেন এই সাইলেন্ট কিলার?

বাংলাদেশ দল   মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোপার আগে আর্জেন্টাইন শিবিরে ইনজুরির হানা

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা আমেরিকা। এবার অবশ্য এই লড়াইয়ে দক্ষিণ আমেরিকা ছাড়াও উত্তর আমেরিকার ৬ দেশ অংশগ্রহণ করবে। এরই মধ্যে এই আসরের জন্য দল ঘোষণা করেছে ব্রাজিল ও মেক্সিকো। তবে এখনও দল ঘোষণা করেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আর এই দল ঘোষণার আগেই আকাশী-সাদা শিবিরে হানা দিয়েছে ইনজুরি।

এবারের কোপা আমেরিকা শুরু হবে ২১ জুন। স্বভাবতই এবারের আসরের হট ফেভারিট বলা যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে। অবশ্য তারা এখনও দল ঘোষণা করেনি। কিন্তু এর আগেই দলের দুই খেলোয়ারের ইনজুরি বেশ চিন্তাই ফেলেছে আলবিসেলেস্তেদের। দলের মূল তারকা লিওনেল মেসিও আছেন সেই তালিকায়। 

আজ রবিবার (১২ মে) যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) মন্টিয়েলের বিপক্ষে মাঠে নামে মেসির ইন্টার মায়ামি। এই ম্যাচের প্রথমার্ধের ৪২ তম মিনিটেই ইনজুরিতে পড়েন মেসি। যদিও সেই ইনজুরি নিয়েই পুরো ম্যাচ খেলা চালিয়ে গেছেন মেসি। তবে, মার্কিন এক গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, মেসি সুস্থ নেই এবং তার বিশ্রাম প্রয়োজন।  

ইউএসএ টুডে তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইন্টার মায়ামির পরের দুই ম্যাচেই হয়ত বিশ্রামে থাকবেন মেসি। টানা ম্যাচের সূচি এবং কোপা আমেরিকার কথা বিবেচনায় এনে মেসিকে নাও দেখা যেতে পারে এই দুই ম্যাচে। 

এর আগে চলতি সপ্তাহেই ইনজুরিতে পড়েছেন আর্জেন্টাইন রক্ষণভাগের অন্যতম ভরসা মার্কাস আকুনিয়া। স্প্যানিশ লা লিগায় সেভিয়ার হয়ে খেলা এই ডিফেন্ডার ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ৬০ মিনিটে ইনজুরিতে পড়েন তিনি। ম্যাচে তিনি এক প্রকার বাধ্য হয়েই বদলি হয়েছেন। 

এদিকে ইনজুরিতে আছেন বিশ্বকাপে উদীয়মান তারকার খেতাব পাওয়া চেলসি বয় এনজো ফার্নান্দেজও। অনেকদিন ধরেই তিনি স্পোর্টস হার্নিয়াতে ভুগছেন তিনি। কোপা আমেরিকার আগে সেই সমস্যা সারিয়ে তুলতে ইংলিশ ক্লাব চেলসি এবং আর্জেন্টিনা টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে সার্জারি করতে পাঠায়। 

গত ২৬ এপ্রিল হয়েছে তার এই সার্জারি। কোপা আমেরিকায় তাই এনজোকে পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে আছে সংশয়। উল্লেখ্য, আগামী ২১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকার আসর শুরু হবে, যেখানে আলবিসেলেস্তেরা উদ্বোধনী ম্যাচেই খেলবে কানাডার বিপক্ষে।


কোপা আমেরিকা   আর্জেন্টিনা   ইনজুরি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের পূর্বে ইনজুরিতে তাসকিন

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টে এবার অংশ নিচ্ছে ২০টি দল। যার মধ্যে ১৭টি দল ইতোমধ্যেই নিজেদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। তবে যে তিনটি দেশ এখনও স্কোয়াড প্রকাশ করেনি তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ।

তবে এরই মধ্যে বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের পেস ডিপার্টমেন্টের অন্যতম ভরসার নাম তাসকিন আহমেদ। তবে আসর শুরুর আগেই ইনজুরিতে পড়েছেন এ পেসার।

সাইড স্ট্রেইন ইনজুরির কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-২০তে খেলতে পারেননি তাসকিন। চতুর্থ টি-২০তে ফিল্ডিং করার সময় ডাইভ দিয়ে চার বাঁচাতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন তিনি।

সেই ম্যাচটি  ৫ রানে জিতে সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় টাইগাররা। তবে তাসকিনের ইনজুরি কতটা গুরুতর এখনো তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সদ্য সমাপ্ত সিরিজে ৪ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজে দুর্দান্ত ফর্ম দেখিয়েছেন তাসকিন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক ড. দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ টি-২০তে রান বাঁচাতে গিয়ে ডাইভ দিয়ে ইনজুরিতে পড়েন তাসকিন। এখনো ব্যথা আছে তার। এজন্য পঞ্চম ম্যাচে খেলতে পারেনি সে। তাসকিন পর্যবেক্ষণে আছে। আমরা তার দেখাশোনা করছি।’

পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকেই ইনজুরি তাসকিনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এমনকি ইনজুরিকে দূরে রাখতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিশ্রামও নিয়েছেন তিনি।

গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালীন কাঁধে চোট পাওয়ার কারণে শ্রীলংকা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল তাসকিনকে। ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে বিপিএল দিয়ে মাঠে ফেরেন তিনি।


তাসকিন আহমেদ   বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এমবাপের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে: কার্লো আনচেলত্তি

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় শেষ হওয়ার পথে ইউরোপীয় লীগগুলোর এই মৌসুমের খেলা। এরই মধ্যে চলছে খেলোয়ারদের দল বদলের গুঞ্জন। দল বদলের বাজারে এখন ‘হট টপিক’ বলা যায় কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি ছাড়া। গুঞ্জন আছে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিবেন তিনি। কিন্তু রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তির কাছে কাছে এর চেয়েও আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

এরই মধ্যে এবারের স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেছে গেলাক্টিকোদের। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালেও উঠেছে ডন কার্লোর শিষ্যরা। চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতে তাদের হাতছানি দিচ্ছে ট্রেবল জয়ের সুযোগ। স্বভাবতই তার এখন মূল ভাবনা হওয়ার কথা ওয়েম্বলিতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে হতে যাওয়া সেই ফাইনাল। কিলিয়ান এমবাপের প্রসঙ্গ তুলতেই আনচেলত্তিও সেই ব্যস্ততাই যেন স্মরণ করিয়ে দিলেন!

দু’দিন আগেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন এমবাপে। আজ রবিবার (১২ মে) পিএসজির হয়ে তুলুজের বিপক্ষে নিজের শেষ ম্যাচ খেলবেন ফুটবলের এই তরুণ তুর্কি। এই মৌসুম শেষেই নতুন গন্তব্যে উড়াল দিবেন এমবাপে। তাঁর পরবর্তী গন্তব্য যে হতে যাচ্চে রিয়াল মাদ্রিদ এ বিষয়টিও কারও অজানা নয়। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ ম্যানেজার কার্লো আনচেলত্তির যেন বিষয়টি নিয়ে কোন ভাবনাই নেই। এই মুহূর্তে তার ভাবার মতো আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে বলেও জানিয়ে দিলেন।

গতকাল শনিবার (১১ মে) রাতে গ্রানাদার বিপক্ষে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে মাঠে নামে রিয়াল। এই ম্যাচে ৪-০ গোলের বড় জয়ও পায় দলটি। ম্যাচ পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এমবাপের রিয়ালে আসার প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে রিয়াল কোচ আনচেলত্তি বলেন, ‘এই প্রসঙ্গে এখন ভাবছি না। এই মুহূর্তে আমাদের আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছুতে মনোযোগ দেওয়ার আছে। আরও অনেক কিছু ভাবার ও করার আছে।’

এদিকে লা লিগার শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেলেও, এখনও আনুষ্ঠানিক উদযাপন করেনি রিয়াল। আসন্ন চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে এখন পুরো মনোযোগ দিচ্ছেন বলে জানান রিয়াল বস। তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমরা খেললাম, জিতলাম। কালকে সমর্থকদের সঙ্গে উদযাপন করার জন্য তর সইছে না আমাদের। এরপরও আরও ম্যাচ আছে। আমাদের ভাবনা খুবই পরিষ্কার যে, ১ জুন পর্যন্ত (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল) কী কী নিয়ে ভাবতে হবে।’

জুনে এমবাপের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে পিএসজির। এর মধ্যে দিয়ে গত কয়েক মৌসুম ধরে এমবাপের রিয়ালে যোগদান নিয়ে কম নাটক হয়নি। শেষ মুহূর্তে নিজের সিদ্ধান্ত বদলেছেন এমবাপে বারবার। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এখনই এমবাপের নিয়োগ দিয়ে কথা বলবে না রিয়াল। আজ তারা ৩৬তম লিগ শিরোপা উদযাপনের বিশেষ আয়োজন করেছে। এরপরও লিগে আরও তিন ম্যাচ বাকি। পরবর্তীতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল শেষেই ফরাসি ফরোয়ার্ডের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।


দল বদল   এমবাপে   কার্লো আনচেলত্তি   রিয়াল   পিএসজি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অবশেষে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করতে যাচ্ছে বিসিবি!

প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টে এবার অংশ নিচ্ছে ২০টি দল। যার মধ্যে ১৭টি দল ইতোমধ্যেই নিজেদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। তবে যে তিনটি দেশ এখনও স্কোয়াড প্রকাশ করেনি তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ।

অবশ্য নিয়ম মেনে আগেই আইসিসির কাছে স্কোয়াড জমা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে স্কোয়াডে পরিবর্তনের সুযোগ থাকায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করেনি দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। জানা গেছে, আজই হতে পারে বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা।

জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু শনিবার (১১ মে) দেশের একটি গণমাধ্যমকে এই বিষয়ে জানিয়েছেন, রোববারই (১২ মে) বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করতে যাচ্ছে বিসিবি। তবে তিনি খুব ছোট একটা ‘যদি’ রেখেছেন।

লিপু বলেন, ‘সবকিছু চূড়ান্ত, এখন ক্রিকেট অপরারেশন্সের সবুজ সংকেত পেলেই আমরা দল দেব। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি। কাল (আজ) ম্যাচ শেষে বিকেলের দিকে হয়তো ঘোষণা করব, যদি আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়।’

এদিকে বিসিবির সহকারী নির্বাচক হান্নান সরকারও দল ঘোষণা নিয়ে একই কথা জানিয়েছেন। দল ঘোষণা নিয়ে তার বক্তব্য, ‘আমরা প্রস্তুত আছি দল ঘোষণা করার জন্য। বাকিটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। যেহেতু কাল (আজ) ম্যাচ আছে, বোর্ড যখন বলবে তখন দল দেব। সেটা কাল হোক আর পরশু হোক।’


নাজমুল হোসেন শান্ত   বাংলাদেশ ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   গাজী আশরাফ হোসেন লিপু   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সৌদি প্রো লিগের চ্যাম্পিয়ন আল হিলাল

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্লাব ফুটবলে বর্তমানে বেশ আলোচিত সৌদি প্রো লীগ। বিশেষ করে ২০২৩ সালে রোনালদোর আল নাসেরে যোগদানের পরেই আলোচনায় আসে এ লীগটি। বর্তমানে ইউরোপীয় ক্লাবগুলো থেকে তাবড় তাবড় খেলোয়াড় পাড়ি জমাচ্ছেন মরুর দেশের এই লীগে। আর এই লীগে রোনালদোর আল-নাসেরকে পিছনে ফেলে ২০২৩-২৪ মৌসুমে শিরোপা জিতে নিয়েছে আল-হিলাল।

পুরো আসরজুড়ে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে আল-হিলাল। ৩১ ম্যাচ খেলে ৮৯ পয়েন্ট তাদের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আল নাসর তাদের থেকে পিছিয়ে ১২ পয়েন্টে।  

শনিবার (১১ মে) সৌদি প্রো লিগের খেলায় পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা আল হাজামকে - গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আল হিলাল। এতে ৩ ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপার দেখা পায় দলটি। এটি আল-হিলালের ১৯ তম লীগ শিরোপা। এছাড়াও সব মিলিয়ে ক্লাবটির কেবিনেটের ৬৮ তম শিরোপা এটি।

এই ম্যাচ জুড়েই ছিলো আল-হিলালের আধিপত্য। পুরো ম্যাচে প্রায় ৭২ শতাংশ বল দখলে ছিল দলটির। ম্যাচে হিলালের হয়ে জোড়া গোল করেন সার্বিয়ান স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ।  আরেক সার্বিয়ান তারকা সার্জ মিলানকোভিচ-সাভিচ একটি গোল করেন। বাকি গোলটি আহমেদ আল-জুয়াইদের আত্মঘাতী।

আগামী ৩১ মে কিংস কাপের ফাইনালে আল-নাসেরের মুখোমুখি হবে আল-হিলাল। সেদিন রোনালদোকে আরেকবার হতাশ করার অপেক্ষায় রয়েছে দলটি।


আল-হিলাল   আল-নাসের   সৌদি প্রো লীগ   রোনালদো  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন