১৯৮৩ সালের ৫ই অক্টবর, নড়াইল জেলার আলাদাৎপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করল কৌশিক নামের একটি ছেলে। গোলাম মোর্তজা এবং মাতা হামিদা মোর্তজার ঘর আলো করে আসা এই সন্তানটি আমদের মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুধুমাত্র সেদিন বাবা মায়ের ঘর আলো করেই তিনি পৃথিবীতে আসেননি, সেদিন তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যত আলো করেও পৃথিবীতে এসেছিলেন। আজ ৫ই অক্টবর, আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও ডানহাতি ফাস্ট বোলার মাশরাফি বিন মর্তুজার (কৌশিক) জন্মদিন।
ছোটবেলা থেকেই খেলাধূলার প্রতি আগ্রহী ছিলেন মাশরাফি। তাদের বাড়ির পাশেই ছিল স্কুল মাঠ। বড়রা সে মাঠে ক্রিকেট খেলতেন। স্কুলের মাঠে বড়দের ক্রিকেট খেলা দেখে দেখে মাশরাফির ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়। উইকেট কিপারের পাশে মাশরাফি দাঁড়িয়ে থাকতো। কিন্তু আহত হবে ভেবে বড়রা তাকে সরিয়ে দিত। উইকেট কিপারের পাশে দাঁড়িয়ে যেতে চায়। বড়রা সেখান থেকে তাকে সরিয়ে দিলে তার মন খারাপ হয়। কিন্তু যার ক্রিকেট নিয়ে এত আগ্রহ তাকে তো কেউ আটকে রাখতে পারেনা। মাশরাফিকেও পারেনি।
নব্বইয়ের দশকে নড়াইলের ক্রিকেটার-সংগঠক শরীফ মোহাম্মদ হোসেন উঠতি তরুণদের যত্ন নিতেন। তিনি মাত্র ১১ বছর বয়সের মাশরাফিকে তার ক্লাব নড়াইল ক্রিকেট ক্লাবে খেলার সুযোগ করে দেন। এ সময় থেকেই মাশরাফির গতি দৃষ্টিগ্রাহ্য হতে শুরু করে। ১৯৯১-এর দিকে মাগুরায় বিকেএসপির প্রতিভা অন্বেষণ ক্যাম্পের বিকেএসপি কোচ বাপ্পির সান্নিধ্যে এসে বোলিংয়ের অনেক মৌলিক বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হন। পরের বছর জাতীয় কোচ ওসমান খান নড়াইলে এক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প চালাচ্ছিলেন। ওই সময় মাশরাফির আমন্ত্রণ আসে খুলনায় খেলার জন্য। খুলনায় তার গতি ও সুইং হইচই ফেলে দেয়। সেই সূত্রে খুলনা বিভাগীয় অনূর্ধ্ব-১৭ দলে সুযোগ এবং ঢাকায় আসা।
পরবর্তীতে সুযোগ পান জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। সেসময় তার বোলিং কোচ অ্যান্ডি রবার্টসের পরিচর্যায় পাল্টে যান মাশরাফি। অনুর্ধ ১৯ দলে থাকতে মাশরাফি দারুন পারফরম্যান্সের কারণে জিম্বাবুয়ে দলের বিরুদ্ধে ‘এ’ দলের খেলায় তিনি সুযোগ পান। এ নিয়ে সমালোচনা হয়। কারণ মাশরাফি ঢাকার কোনো সিনিয়র ডিভিশন লীগেও খেলেননি। তবে সমালোচকদের মোক্ষম জবার বলিংয়ের মাধ্যমে দিয়েছিলেন মাশরাফি। সেই সিরিজে মাশরাফি এক ম্যাচে চার উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে তার নাম হয়ে যায় ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। এরপর আর ইনজুরি ছাড়া আর কেউ মাশরাফি বিন মর্তুজাকে আটকাতে পারেনি।
বারবার ইনজুরির থাবা তার সেরা সময়গুলো কেড়ে নিয়েছে, কমিয়ে দিয়েছে তার বলের গতিও। তবু তিনি ফিরে এসেছেন বারবার। ইনজুরি তাকে টেস্ট খেলার জন্য 'আনফিট' করে দিলেও নিয়তি তাকে আবারও অধিনায়ক করে একটা দলকে বদলে দেয়ার দায়িত্ব দিয়ে দেয়। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ দলটি যখন হারের বৃত্তে চলে গিয়েছিল আবারও, ক্লোজ ম্যাচ, এমনকি নিশ্চিত অনেক জেতা ম্যাচও হারছিল দল, ভারতের দ্বিতীয় সারির দলকেও হারাতে পারছিল না, তখন আবারও তাকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় অধিনায়কত্বের। তার দারুণ নেতৃত্বে বদলে যায় দলটি। ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। বিদেশেও কমবেশি সাফল্য পায়।
গতি কমে গেলেও কৌশলী বোলিংয়ে নিজেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন দলকে। অনেকে 'অধিনায়ক কোটায়' খেলার অভিযোগ তুললেও পরিসংখ্যান বলছে, তার অধিনায়কত্বের সময়ে মোস্তাফিজ ছাড়া আর তার চেয়ে আর বেশি উইকেট কেউ নিতে পারেননি। এমনকি অধিনায়ক হিসেবে ১০০ উইকেট নেয়ার বিরল কৃতিত্বও দেখান তিনি। এর আগে বিশ্বে মাত্র চারজন বোলার এই অর্জন করতে পেরেছিলেন। শুধু তাই নয়, এখনও ওয়ানডেতে দলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী (২৭০) তিনিই। স্পিননির্ভর একটা দলের জন্য যা বিস্ময়কর বটে!
২০১৯ বিশ্বকাপের আগেও তার অধিনায়কত্বের সময়কালে বাংলাদেশের সেরা পেসার তিনিই ছিলেন, পরিসংখ্যান অন্তত তাই বলে। শুধু বোলিং নয়, ব্যাটেও তিনি অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন দলকে। তার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে খেলা ছোট ছোট ক্যামিও ইনিংস অনেকবারই উদ্ধার করেছে টাইগারদের। শুধু পরিচর্যার অভাবে আর ইনজুরির ভয়াল থাবায় বাংলাদেশ একজন সত্যিকারের অলরাউন্ডার থেকে বঞ্চিত হয়েছে এটা বলাই যায়। অনেক ক্রিকেটপ্রেমীর মত এটা নিয়ে এখনও আফসোস করেন হাবিবুল বাশার ও সাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেটারও। যাই হোক, বিশ্বকাপে আট ম্যাচে এক উইকেট পাওয়া তাকে নিয়ে সমালোচকদের হাতে নতুন করে অস্ত্র তুলে দেয়। শুরু হয় সমালোচনা। অনেকে অবসরের দাবিও তুলে ফেলে কিন্তু তিনি বরাবরই চুপ ছিলেন।
পড়ালেখায়ও ভালো ছিলেন মাশরাফি। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় নড়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। নড়াইল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০১ সালে এসএসসি পাশ করেন। এইচএসসি পাশ করেন নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ২০০৩ সালে। এরপর দর্শন শাস্ত্রে অনার্স কোর্সে ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু ক্রিকেটের ব্যস্ততার কারণে তার একাডেমিক পড়াশুনা শেষ করা হয়নি।
দেশের কৃতি এই ক্রিকেটারকে সবাই বাইক প্রিয় এবং হাসিখুশি ও উদারচেতা মানুষ হিসেবেই জানে। নিজের শহরে তিনি প্রচণ্ড রকমের জনপ্রিয়। এখানে তাকে ‘প্রিন্স অব হার্টস’ বলা হয়। আজ আমাদের ‘প্রিন্স অব হার্টস' এর জন্মদিন। তার জন্মদিনে রইল আমাদের সবার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
মাশরাফি বিন মর্তুজা শুভ জন্মদিন
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সৌম্যের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায় বিনা উইকেটে শতকের ঘরেও পৌঁছেছিল টাইগাররা। আর তাই ভক্ত-সমর্থকরা ভেবেছিল বড় স্কোর করতে যাচ্ছে টিম টাইগার্স। কিন্তু অতি শীঘ্রই সেই ভাবনা ধুলোই মিশিয়ে দিয়েছে তারা। ৪২ রানের মধ্যে ১০ উইকেট খুঁইয়ে অবশেষে ১৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে নাজমুল শান্তর দল।
শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় মিরপুর শের-ই-বাংলায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। যেখানে অফফর্মে থাকা লিটন দাসকে বাদ দিয়ে দলে ফেরা সৌম্যের সাথে ওপেনিংয়ে নেমে এদিন ভালো শুরু করেন তানজিদ তামিম। সাত চার এবং ১ ছক্কার সহায়তায় ৩৪ বলেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলে নেন এই তরুণ ওপেনার। অন্যদিকে একটা লম্বা সময় পর দলে ফিরে ভালো করেন সৌম্যও। তাদের জুটিতে দলীয় শতকে পৌঁছায় টাইগাররা।
তবে শতকের ঘরে পৌঁছানোর পরই শুরু হয় পতন। একের পর এক উকেট যেন নিজ হাতে বিলিয়ে দিয়েছেন টাইগার ব্যাটাররা। আর এতে করে ১৪৩ রানের স্বল্প পুঁজিতে অল আউট হয় বাংলাদেশ।
এদিন বিপর্যয়ের শুরুটা হয় তানজিদ তামিমকে দিয়েই। ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর তিনি লুক জঙওয়ের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন। যদিও নিজের কাজটা ঠিকই করে গিয়েছিলেন তিনি। ৫২ রানে ফেরেন এই ওপেনার। একই বোলারকে উইকেট দিয়েছেন সৌম্যও কিছুটা ধীরগতির ইনিংসে ৩৪ বলে ৪১ করে হয়েছেন এলবিডব্লু।
চলতি সিরিজে দারুণ ছন্দে থাকা হৃদয়ও এদিন ব্যর্থ। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে বেনেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মিডল অর্ডারের এই ভরসা। ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে এসে ব্যর্থ সাকিবও। ব্যাটে-প্যাডে বিশাল গ্যাপ দিয়ে বল ঢুকতে সমস্যাই হয়নি। বেনেটের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ১ রান করেই।
একই ওভারের শেষ বলে ফিরেছেন অধিনায়ক শান্ত। দম ফেলার আগেই ফিরেছেন সাকিব আল হাসান (১), অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (২) ও জাকের আলি (৬)। আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে মিরপুরের গ্যালারিতে তখন ভুয়া ভুয়া স্লোগান।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। এদিন অফফর্মে থাকা লিটন দাসকে বাদ দিয়ে দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। আর সৌম্যের সাথে এদিন ওপেনিংয়ে নেমে এদিন ভালো শুরু করেন তানজিদ তামিম।
শুক্রবার (১০ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তানজিদ তামিম শুরু থেকেই আছেন উড়ন্ত ছন্দে। সাত চার এবং ১ ছক্কার সহায়তায় ৩৪ বলেই তুলেন নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি।
এদিন দ্বিতীয় ওভারেই ব্লেসিং মুজারাবানির ওভার দিয়ে শুরু। সেই ওভারে পেয়েছেন একটি চারের দেখা। পরের দুই ওভারে ছিল আরও দুইটি করে চারের দেখা। মুজারাবানির পরের ওভারেও জুনিয়র তামিম দেখালেন নিজের ব্যাটিং কারিশমা। জোড়া চার ছিল সেই ওভারেও। এমনকি পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারেও ছিল দুই চার। যদিও সেবার একটা চার আছে লেগবাই থেকে।
পাওয়ারপ্লেতে তামিমের এমন তাণ্ডব দেখেই কিনা ঝড় শুরু করেছেন সৌম্য সরকারও। সপ্তম আর অষ্টম ওভারে বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম দুই ছক্কাও এসেছে সৌম্যর ব্যাট থেকে। আর ইনিংসের নবম ওভারে এসে ফিফটির দেখা পান তানজিদ তামিম।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১ ওভারে বিনা উইকেটে ১০০ রান।
তানজিদ তামিম সৌম্য সরকার বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই তিন ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে এবং সবকটিতেই জিতে দুই ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। যার জন্য বাকি দুই ম্যাচ অনেকটাই নিয়ম রক্ষার।
তবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে টাইগার স্কোয়াডে, তাই একেবারে গুরুত্বহীনও নয় এই ম্যাচগুলো। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার (১০ মে) চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মিরপুর শের-ই-বাংলায় রোডেশিয়ানদের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। যেখানে টস হেরে আগে ব্যাটিং করবে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল।
এই ম্যাচের একাদশে টাইগাররা তিনটি পরিবর্তন এনেছে। স্কোয়াডে নতুন করে যুক্ত হওয়া সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার এই ম্যাচের একাদশে ফিরেছেন।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্লাইভ মাদান্দে, রায়ান বার্ল, লুক জঙ্গুই, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ফারাজ আকরাম, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাবা।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর অবসর ভেঙে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন মোহাম্মদ আমির। ঘরের মাঠে প্রত্যাবর্তনটা মন্দ হয়নি তার। তবে মাঠের বাইরের ইস্যুতে সমস্যায় পড়েছিলেন তারকা এই পেসার।
টি-২০ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। দলে আছেন আমিরও। তবে ভিসা জটিলতায় দলের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের বিমানে চড়া হয়নি তার। তাতে সিরিজটি খেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে সে সমস্যার সমাধান হয়েছে।
দল চলে যাওয়ার দুই দিন পর আয়ারল্যান্ডের ভিসা পেয়েছেন আমির। পাকিস্তান দলের অন্যদের সঙ্গে গত মাসেই আয়ারল্যান্ডের ভিসা পেতে আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফসহ দলের সবার ভিসা হলেও আমির পাননি।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার (৭ মে) আমিরকে দেশে রেখে আয়ারল্যান্ডে রওনা দেয় পাকিস্তান দল। ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) আয়ারল্যান্ডের ভিসা পেয়েছেন আমির। তার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
পরে আইরিশ দূতাবাসে ভিসার জন্য আবারও কাগজপত্র জমা দেন আমির। আসন্ন সিরিজের আগে ভিসা নিয়ে ঝামেলায় পড়েছিলেন ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ ইউসুফও। তবে শেষ পর্যন্ত ভিসা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় দলের সঙ্গেই আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশে উড়াল দিতে পেরেছেন তিনি।
মোহাম্মদ আমির পাকিস্তান নিউজিল্যান্ড আয়ারল্যান্ড
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সৌম্যের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায় বিনা উইকেটে শতকের ঘরেও পৌঁছেছিল টাইগাররা। আর তাই ভক্ত-সমর্থকরা ভেবেছিল বড় স্কোর করতে যাচ্ছে টিম টাইগার্স। কিন্তু অতি শীঘ্রই সেই ভাবনা ধুলোই মিশিয়ে দিয়েছে তারা। ৪২ রানের মধ্যে ১০ উইকেট খুঁইয়ে অবশেষে ১৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে নাজমুল শান্তর দল।