নাটকীয়তা
বোধহয় একেই বলে! প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে
দুই গোল খেয়ে বার্সেলোনার পিছিয়ে পড়া। সেখান থেকে ৮২ মিনিটে রবার্ট লেভানডফস্কির গোলে
সমতায় ফেরা। এরপর ৮৯ মিনিটে আবার গোল খেয়ে পিছিয়ে যাওয়া।
ম্যাচে
বার্সা যখন হারের অপেক্ষায় তখন ফের নাটক। যোগ করা সময়ের ২ মিনিটের মাথায় আবার লেভা-চমকে
সমতায় বার্সা শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলে ম্যাচ শেষ হলেও এখন খাদের কিনারায় আছে বার্সা। পরের
দুই ম্যাচের যেকোনো একটি জিতলেই বার্সাকে পেছনে ফেলে নকআউটে যাবে ইন্টার।
ইন্টারের
বিপক্ষে বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়নস লিগ ভাগ্য ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কেঁপে কেঁপে
উঠেছে। কাগজে-কলমে হিসাবটা যে শেষ হয়ে যায়নি সে জন্য তারা চাইলে লেভানডফস্কিকে ধন্যবাদ
দিতেই পারে। তবে তাতেও আরেকবার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় ঠেকানো কঠিনই হবে বার্সার জন্য।
পরের
ম্যাচে প্লজেনের বিপক্ষে জয় পেলেই নকআউট নিশ্চিত হবে ইন্টারের। বার্সার পক্ষে পরের
দুই ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্টের বেশি পাওয়ার সুযোগ নেই। ইন্টার এক ম্যাচ জিতলেই হবে ১০।
তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থেকে নকআউটে যাবে ইন্টার। তবে বার্সার কপাল খুলতে পারে যদি
ইন্টার দুই ম্যাচেই পয়েন্ট হারায়। অবশ্য এখানে শর্ত হচ্ছে বার্সাকে আগে নিজেদের দুটি
ম্যাচে জয় পেতে হবে। সবমিলিয়ে এই গ্রুপ থেকে বার্সার নকআউটে যাওয়া এখন সুতোয় ঝুলছে।
ন্যু
ক্যাম্পে এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে বার্সা। বার্সার বাঁচা-মরার
ম্যাচটিতে ছেড়ে কথা বলছিল না ইন্টারও। স্বাগতিকদের আক্রমণের জবাবে পাল্টা আক্রমণে তারাও
চেষ্টা করে গোল আদায়ের। দুই গোলরক্ষক দেয়াল তুলে না দাঁড়লে এবং কাছাকাছি গিয়ে সুযোগ
হাতছাড়া না হলেও ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিটেই হয়ে যেতে পারত ৪-৫ গোল।
বার্সাকে
ঠেকাতে দুই উইংক ব্যাককে নিচে নামিয়ে দুর্ভেদ্য দেয়াল তৈরি করে ইন্টার। তবে শুধু গোল
বাঁচানোতেই ব্যস্ত থাকেনি ইতালিয়ান ক্লাবটি। যখনই সুযোগ পেয়েছে আক্রমণে গিয়ে বার্সাকে
চাপে ফেলতে চেয়েছে। এদিন বার্সার মাঠে ম্যাচের ১০ মিনিটেই অবশ্য অল্পের জন্য ব্যর্থ
হয় রাফিনহার প্রচেষ্টা। পরের কিছু সময়ও চাপ অব্যাহত রাখে বার্সা।
১৬
মিনিটে অবশ্য অল্পের জন্য বেঁচে যায় বার্সা। এরপর ধীরে ধীরে পূর্ণ ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত
দেয় কাতালান জায়ান্টরা। বার্সার একের পর এক আক্রমণে এক পর্যায়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ইন্টার।
৩৬ মিনিটে রাফিনহার আরেকটি দারুণ প্রচেষ্টা অল্পের জন্য জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে ব্যর্থ
হয়।
তবে
৪০ মিনিটে ভুল হয়নি উসমান দেম্বেলের। সার্জিও রবার্তোর ক্রসে পা ছুঁয়ে দলকে এগিয়ে দেন
ফরাসি তারকা। গোল খেয়ে জেগে উঠার চেষ্টা করে ইন্টার। তবে বার্সার প্রেসিংয়ের সঙ্গে
লড়াইয়ে পারছিল না। ভাগ্য ভালো হলে প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়াতে পারত স্প্যানিশ ক্লাবটি।
বিরতির
পর ৫০ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরায় ইন্টার। কাছাকাছি জায়গা থেকে আলেসান্দ্রো বাস্তোনির
অ্যাসিস্টে দারুণ এক ভলিতে ন্যু ক্যাম্পকে স্তব্ধ করে দেন নিকোলা বারেল্লা।
লিড
হারিয়ে মরিয়া হয়ে উঠে বার্সা। ইন্টারও গোল পেয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে আক্রমণে যায়। ৫২ মিনিটে
লেভানডফস্কির শট পোস্টের ওপর দিয়ে যায়। একটু পর ইন্টারের দুর্দান্ত এক আক্রমণ অবিশ্বাস্য
দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক আন্দ্রে টের স্টেগান। এরপর টানা কয়েকটি আক্রমণে
বার্সকে চাপে রাখে ইন্টার।
অবশেষে
৬৩ মিনিটে তেমনই এক আক্রমণ থেকে ইতালিয়ান ক্লাবটিকে লিড এনে দেন লাউতারো মার্টিনেজ।
বুক দিয়ে বল রিসিভ করে আর্জেন্টাইন তারকার নেওয়া শটটি দুই পোস্টে প্রতিহত হয়ে ফিরতে
ফিরতে জালে জড়ায়। প্রথমার্ধের বার্সেলোনাকে এ সময় চেনাই যাচ্ছিল না।
পিছিয়ে
পড়ে চেষ্টা করে একবার ঠিকই লক্ষ্যভেদ করেছিল বার্সা। তবে সেই গোল বাতিল হয় অফসাইডের
ফাঁদে। এরপর লেভার দারুণ এক শট আরও দারুণ দক্ষতায় ঠেকান ইন্টার গোলরক্ষক। এরপরও ম্যাচে
ফিরতে লড়াই চালিয়ে যায় বার্সা। অবশেষে এ মৌসুমে যার ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরতা দেখিয়েছিল
সেই লেভার গোলে ম্যাচে ফিরে আসে ক্লাবটি।
তবে
নাটকের তখনও অনেকটা বাকি। ৮৯ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় ইন্টার। ইতালিয়ান ক্লাবটিকে এগিয়ে
দেন রবিন গোসেনস। এরপর যোগ করা সময়ে ফের লেভার চমক। দুর্দান্ত এক হেডে কাতালান ক্লাবটিকে
আবার সমতায় ফেরান এই পোলিশ স্ট্রাইকার। দলের হার এড়ালেও বিদায় ঠেকানোটা লেভাদের জন্য
এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খেলাধুলা ফুটবল বার্সেলোন চ্যাম্পিয়নস লীগ ইন্টার মিলান শেষ ষোলো
মন্তব্য করুন
উগান্ডা, ক্রিকেট দুনিয়ায় তেমন একটা পরিচিতি ছিলনা এই এই নামটার। শক্তিশালী দলগুলোর ভিড়ে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে পারেনি এই দেশ। তবে হঠাৎ করেই এবার নতুন উদ্যমে জ্বলে উঠেছে আফ্রিকার এই দেশটি। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাইপর্বে শক্তিশালী জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের মূলপর্বে আগে থেকেই এক ধাপ এগিয়ে ছিলো তারা। আর শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট নিজেদের দখলে নিয়েছে উগান্ডা। এর মধ্য দিয়েই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছ দেশটির।
ফুটবল, রাগবি সেভেনস এবং নেটবলে আগে থেকেই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে উগান্ডা। তবে এবার ব্যাট-বল হাতে ক্রিকেটের মাঠেও সাফল্যের নজির সৃষ্টি করতে চলেছে তারা।
তবে ক্রিকেট মাঠে চার-ছক্কার লড়াইয়ে অংশ নেয়ার বেশিদিন হয়নি দেশটির। মূলত ১৯ শতকের শেষের দিকে মিশনারিদের হাত ধরেই ক্রিকেটের সূচনা হয় তাদের। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উগান্ডাকে নবজাতক বললেও ভুল হবেনা। কারণ বছর পাঁচেক আগেই টি-টোয়েন্টিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু হয়েছে তাদের। একশরও কম ম্যাচ খেলা দলটি এবার জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপে। সেই সাথে ঝড় তুলতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবিয়ান দ্বিপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের এবারের আসরে।
তবে বিশ্বকাপের টিকিট অর্জন আফ্রিকান দেশটির জন্য মোটেও সহজ ছিলোনা। তার জন্য বেশ কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে দেশটিকে। আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাই পর্বে মোকাবিলা করতে হয়েছে কেনিয়া, নাইজেরিয়া ও জিম্বাবুয়ের মতো শক্তিশালী দলকে।
বাছাই পর্বের প্রথম ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পাওয়ায় বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা দৃঢ় হলেও নামিবিয়ার বিপক্ষে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারের পর সম্ভাবনার আকাশ কিছুটা কালো মেঘে ঢেকে যায়। তবে এরপরই নিজেদের আত্মবিশ্বাসে নতুন উদ্যমে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। শেষ ম্যাচে তানজানিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শঙ্কার মেঘ কাটিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট পায় উগান্ডা।
নিজেদের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি এবারের আসরে উগান্ডা দলের আরও একটি চমক হচ্ছে স্কোয়াডে থাকা ৪৩ বছর বয়সী অফ স্পিনার ফ্রাঙ্কো সুবুগা। কারণ এই ক্রিকেটার বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে প্রবীণতম সদস্য।
ইতোমধ্যেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের প্রধান্য দিয়ে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে দলটি। যেখানে ৩০ বছরের অধিক বয়সী ক্রিকেটার রয়েছেন ৭ জন। উগান্ডার হয়ে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে খেলবেন ২১ বছর বয়সী জুমা মিয়াগি।
আর দলের এই স্কোয়াড নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট প্রধান কোচ অভয় শর্মা। বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিগত ১২ মাসে ক্রিকেটে উগান্ডা দল ভালো পারফরম্যান্স করেছে। যদিও কিছু জায়গা রয়েছে, বিশেষ করে ফিল্ডিং। সেখানে আমাদের উন্নতি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে আমরা মাঠে কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছি। সেই সুযোগগুলো হাতছাড়া করার পরও আমরা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছি। ভাবুন, আমরা যদি এই ভুলগুলো শুধরে নিতে পারি তাহলে আমরা কতটা ভালো পারফর্ম করতে পারি। মানসিক দৃঢ়তার সঙ্গে আমরা যেকোনো দিনে বিশ্বের সেরা দলগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি।’
বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে ২ জুন। তবে উগান্ডা আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো মাঠে নামবে ৪ জুন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচ খেলবে ৬ জুন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে ৯ জুন । আর ১৫ জুন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হবে গ্রুপ পর্বে উগান্ডার শেষ ম্যাচ ।
এক নজরে উগান্ডার বিশ্বকাপ স্কোয়াড-
ব্রায়ান মাসাবা (অধিনায়ক), রিয়াজত আলি শাহ, কেনেথ ওয়াইসওয়া, দিনেশ নাকরানি, ফ্রাঙ্কো সুবুগা, রোনাক প্যাটেল, রজার মুসাকা, কোমমাস কিয়েউতা, বিলাল হাসুন, ফ্রেড আচেলাম, রবিনসন ওবুয়া, সাইমন সেসাজি, হেনরি সেনিওন্ডো, আলপেশ রামজানি এবং জুমা মিয়াজি। রিজার্ভ প্লেয়ার্স- রোনাল্ড লুটায়া এবং ইনোসেন্ট এমওয়েবাজ।
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করছেন। আর তিনি যখন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তখন তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে উড়াল দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তিনি এ শুভকামনা জানান। সেখানে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে এক প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
ম্যাচ শেষে ডোনাল্ড লু সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আজ ক্রিকেট খেলেছি। বাংলাদেশের জনগণ ক্রিকেট পাগল। যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট সিরিজের আয়োজন করতে পেরে সন্তুষ্ট। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করছে বলে আমরা খুব খুশি।
তিনি বলেন, আজকের প্রীতি ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। তিনি একজন বিশ্বমানের আম্পায়ার। তিনি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন, এটি আমাদের জন্য আনন্দের। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের জন্য আমাদের শুভ কামনা রইল।
বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে পৌঁছালে ডোনাল্ড লু ও পিটার হাসকে জার্সি ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তাদের শুভেচ্ছা জানান বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। এ সময় নারী ক্রিকেট দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ১৪ মে তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারী ফুটবল ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। এটি মূলত মেয়েদের ক্লাব বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক। যা নিয়ে বড় সুখবরই দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ফিফা জানিয়েছে, আগামী ২০২৬ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে মাঠে গড়াবে মেয়েদের প্রথম ক্লাব বিশ্বকাপের আসর। চার বছর পর পর মাঠে গড়াবে এই আসর। যেখানে অংশ নেবে ১৬টি ক্লাব।
বুধবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে কংগ্রেসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। গত বছরের ডিসেম্বরেই ফিফা ঘোষণা দিয়েছিল এটি। অবশেষে আজকের সাধারণ সভায় তা চূড়ান্ত হলো।
নারীদের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। আর যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন গোথাম এফসি, লাতিন অঞ্চলের মেয়েদের কোপা লিবারতাদোরেসের সেরা ব্রাজিলের করিন্থিয়াস।
জানা গেছে, মহাদেশীয় অঞ্চলের চ্যাম্পিয়নরা ছাড়াও র্যাংকিংয়ের বিচারে অংশ নেবে বাকি ক্লাবগুলো।
মন্তব্য করুন
আর্জেন্টাইন ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসি মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) যোগ দেওয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছে লিগটি। আর মেসি যাওয়ার পর থেকে এই লিগে পাড়ি জমিয়েছেন বিশ্বের সব নামিদামী খেলোয়াড়রা। যার মধ্যে রয়েছেন জর্দি আলবা, সার্জিও বুসকেটস ও লুইস সুয়ারেজদের মতো তারকা ফুটবলার।
এবার একই লিগে খেলতে যাচ্ছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা অলিভিয়ে জিরু। আগেই জানা গিয়েছিল, চলতি মৌসুম শেষে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানের ডেরা ছাড়বেন জিরু। তবে তার পরবর্তী ঠিকানা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। অবশেষে সেটিও জানা গেল।
এমএলএসের ক্লাব লজ অ্যাঞ্জেলস এফসিতে পাড়ি দিবেন জিরু। এ বিষয়টি মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিশ্চিত করেছে ক্লাবটি।
সেই পোস্টে জিরুর একটি অ্যানিমেটেড ছবি দিয়ে তারা লিখেছে, ‘লস অ্যাঞ্জেলসে একজন নতুন তারকা এসেছে।’
এছাড়া ইনস্টাগ্রামে জিরুকে ট্যাগ করে তারা লিখেছে, ‘২০২৫ সাল পর্যন্ত এলএএফসিতে খেলবেন ফরাসি স্ট্রাইকার। তবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।’
গত মৌসুমে দলের তারকা খেলোয়াড় মেক্সিকোর কার্লোস ভেয়া দল ছাড়ার পর থেকে আক্রমণভাগের জন্য একজন বিশ্বমানের ‘নাম্বার নাইন’ খুঁজছিল এলএএফসি। ইন্টার মায়ামি যেমন লিওনেল মেসিকে ভিড়িয়ে তাকে ঘিরেই দল সাজিয়েছে; জিরুকে নিয়েও তেমন ভাবনা এলএএফসি’র।
গত সোমবার মিলান ছাড়ার ঘোষণা দেন জিরু। ইতালিয়ান ক্লাবটির হয়ে তিন মৌসুমে ৪৮ গোল করেছেন ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা। ইউরোপিয়ান ফুটবলে সফল একটি ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানছেন তিনি।
অলিভিয়ে জিরু ফ্রান্স ফুটবল মেজর লিগ সকার এমএলএস
মন্তব্য করুন
ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর। যার পরিচিতিটা বাংলাদেশের সমর্থকদের কাছে কিছুটা নেতিবাচকই। গেল বছর বাংলাদেশ সফরে এসে তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। আম্পায়ারদের দিকে আঙুল তোলা ছাড়াও স্বাগতিক বাংলাদেশকে নিয়েও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে ছাড়েননি। যার জেরে আইসিসি থেকে নিষেধাজ্ঞাও ভোগ করতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার উইমেন্স টিমের এই কাপ্তানকে।
সেই হারমানপ্রীতেরই মনে ধরেছে বাংলাদেশি এক নারী পেসারকে। যদি সুযোগ থাকতো একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে নিজের দলে নেওয়ার, তাহলে পেসার মারুফা আক্তারকে নিতে চাইতেন হারমানপ্রীত। সম্প্রতি আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দল থেকে আমি নিতে চাই মারুফা আক্তারকে। আমার কাছে সে অনেক প্রতিভাবান একজন ক্রিকেটার। আমার মনে হয় সে আমাদের দলে থাকলে আমাদের অনেক সাফল্য এনে দিতে পারবে।’
পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই মাঠে গড়াবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার আয়োজক বাংলাদেশ। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কদিন আগেই ভারতীয় টিম বাংলাদেশে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলে গেছে। যেখানে সবকটিতেই জিতেছে হারমানপ্রীত-স্মৃতি মান্দানারা। বিশ্বকাপেও বাংলাদেশকে হারাতে চান তারা। যদিও কন্ডিশন ও দর্শক বিবেচনায় বাংলাদেশকে সমীহই করছেন হারমানপ্রীত।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ হোম টিম, তারা এই কন্ডিশন আমাদের চেয়ে ভালো জানে। দর্শক সমর্থনও তাদের পক্ষে থাকবে। তাদের বিপক্ষে খেলা সবসময়ই রোমাঞ্চকর। আশা করছি তাদের বিপক্ষে আমরা ভালোই খেলব।’
আসন্ন নারী বিশ্বকাপে চার সেমিফাইনালিস্ট কারা হবে, সে প্রেডিকশনও করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। নিজেদের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলকে এগিয়ে রাখছেন কৌর।
বাংলাদেশ ভারত নারী ক্রিকেট হারমানপ্রিত কৌর মারুফা আক্তার
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারী ফুটবল ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। এটি মূলত মেয়েদের ক্লাব বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক। যা নিয়ে বড় সুখবরই দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ফিফা জানিয়েছে, আগামী ২০২৬ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে মাঠে গড়াবে মেয়েদের প্রথম ক্লাব বিশ্বকাপের আসর। চার বছর পর পর মাঠে গড়াবে এই আসর। যেখানে অংশ নেবে ১৬টি ক্লাব।
ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর। যার পরিচিতিটা বাংলাদেশের সমর্থকদের কাছে কিছুটা নেতিবাচকই। গেল বছর বাংলাদেশ সফরে এসে তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। আম্পায়ারদের দিকে আঙুল তোলা ছাড়াও স্বাগতিক বাংলাদেশকে নিয়েও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে ছাড়েননি। যার জেরে আইসিসি থেকে নিষেধাজ্ঞাও ভোগ করতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার উইমেন্স টিমের এই কাপ্তানকে।