ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষ বলে জয়, সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১২:২৯ পিএম, ৩০ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail

রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় গ্যাবার গ্যালারিতে উৎকণ্ঠায় দুই দলের সমর্থকরাই। ম্যাচটা দুলছিল যে দুই দিকেই। শেষ ওভারের ৬ বলে ১৬ রান আটকাতে ঠিক তখনই অধিনায়ক বল তুলে দিলেন মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে!

ব্যাট হাঁতে সামনে থাকা ব্রাড ইভান্স এবং রায়ান বার্ল প্রথম বলে দিলেন ১ রান। দ্বিতীয় বলে ব্রাড ছক্কা হাঁকাতে গেলে বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে ক্যাচ নেন আফিফ । ৪ বলে প্রয়োজন পড়ে ১৫ রান।

তৃতীয় বলটি উইকেটরক্ষকের পেছন দিয়ে বাউন্ডারি মেরে দেন ব্রাড ইভান্স। চতুর্থ বলে দিলেন ছক্কা। ২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন পড়ে ৫ রান। পঞ্চম বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে মিস করেন ইভান্স। বল ধরে স্ট্যাম্প ভেঙে দিতে মোটেও বিলম্ব করেননি নুরুল হাসান সোহান। ১ বলে প্রয়োজন ৫ রান।

শেষ বলে জিম্বাবুয়ের ব্যাটার ব্লেসিং মুজারাবানি। শেষ বলেও উইকেট পেলেন মোসাদ্দেক। এবারও স্ট্যাম্পিং। আউট ধরে নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়রাও মাঠ ছেড়ে উঠে যায়। কিন্তু রিপ্লাইতে দেখা যায়, বল স্ট্যাম্পে আসার আগেই বল ধরে ফেললেন নুরুল হাসান সোহান।

থার্ড আম্পায়ার রিভিউ করে দিলেন নটআউট এবং ঘোষণা করলেন নো বল। ফলে এক রান যোগ হওয়ার পাশাপাশি দু’দলকে আবারও মাঠে নামিয়ে আনা হয় এবং ফ্রি-হিট দিয়ে শেষ বলটি করতে বলা হয়। শেষ বলে মুজারাবানি কোনো রান করতে পারেননি।

ব্রিসবেনের দ্য গ্যাবায় স্নায়ুক্ষয়ী এই ম্যাচে বাংলাদেশের করা ১৫০ রানের জবাব দিতে নেমে ১৪৭ রানে থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ফলে ৩ রানে জিতে গেলো বাংলাদেশ।

হোবার্টের পর ব্রিসবেনে লেখা হলো আরেকটি জয়ের গল্প! ৩ রানের জয়ে বেঁচে থাকল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলার স্বপ্নটাও!

চলতি বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ খেলে দুটি জয় নিয়ে সেমির পথে এগিয়ে গেল দল। অবশ্য সামনে কঠিন দুই প্রতিপক্ষ ভারত-পাকিস্তান!

হোবার্টের ম্যাচের কথাটাই যেন মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন তাসকিন আহমেদ। যেখানে শুরুতেই নেদারল্যান্ডসের দুই উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের পথটা তৈরি করে দিয়েছিলেন। এবারও শুরুতেই তার জোড়া আঘাত। এরপর মুস্তাফিজুর রহমানও খোলস ভেঙে যখন বেরিয়ে তখন টাইগারদের আটকায় কে? ষষ্ঠ ওভারে দ্য ফিজ জোড়া উইকেট নিয়ে ম্যাচটা হয়ে যায় বাংলাদেশেরই।

তাসকিন আহমেদ প্রথম ওভারেই তুলে নেন উইকেট। বিস্ময়কর হলেও সত্য চলতি বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারে উইকেট শিকার করলেন তাসকিন। এই পেসার রোববার ফেরান জিম্বাবুয়ের ওয়েসলি মাধেভেরে। তৃতীয় ওভারে এসে ইনফর্ম এই পেসার ফেরান ক্রেইগ আরভিনকে। তার ওভারের চার নম্বরে বলে আরভিন ওয়াইড লাইনের কাছ দিয়ে যাওয়া বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট চালান, ব্যস বল ব্যাট ছুঁইয়ে জমা পড়ে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে।

তারপর মুস্তাফিজ ম্যাজিক। নেদারল্যান্ডস ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে উইকেট পাননি মুস্তাফিজ। তবে বল হাতে মন্দ ছিলেন না। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেকে ফের ফিরে পেলেন কাটার মাস্টার। এক ওভারেই তুলেন ২ উইকেট। মিল্টন শুম্বাকে দিয়ে শুরু। এবার সিকান্দার রাজাকে পথ দেখিয়ে স্বস্তি এনে দেন গ্যালারিতে।

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ দারুণ সফল। ৬ ওভার শেষে ৩৬ রান দিয়ে দল তুলে নেয় জিম্বাবুয়ের ৪ উইকেট। এরপর সে চাপটা জিম্বাবুয়ের ওপর শেষ পর্যন্ত ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। তার পরই শেষ ওভারের নাটক। তবে দিনশেষে হাসিমুখটা বাংলাদেশেরই। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধীর গতির হলেও শেষটাতে কিছুটা লড়েছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ১০ ওভারে ৬৩, শেষ ১০ ওভারে ৮৭। তার পথ ধরেই ঠিক দেড়শ বাংলাদেশের। অবশ্য খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা নাজমুল হোসেন শান্ত না লড়লে বিপাকেই পড়ে যেতো বাংলাদেশ। লড়েছেন সাকিব আল হাসানও। তাদের ব্যাটেই ভাল একটা ভিত পেয়েছে দল। তবে অন্যরা আরেকটু সঙ্গ দিতে পারলে স্কোরটা আরও বড় হতে পারতো। 

কিন্তু জিম্বাবুয়ে সেই সুযোগ দেয়নি। তাদের বোলিং ছিল বেশ আটসাটো। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ ছাড়ায় স্বস্তি পেয়েছেন গ্যাবায় হাজির বাংলাদেশের দর্শকরা। কিন্তু সেসব আর কাজে লাগাতে পারেননি টাইগার ব্যাটসম্যানরা।

তার আগে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। কোন রান না করেই সাজঘরের পথ ধরে বিশ্বকাপের ঠিক আগে দলে আসা সৌম্য সরকার। এমন বিদায়ে অনাকাঙ্ক্ষিত একটা রেকর্ডের পথেও আছেন সৌম্য। এনিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১১ বার শূন্যতে আউট হলেন বাংলাদেশের এই ব্যাটার। তার চেয়ে বেশি ১২ বার আউট হয়ে দুঃস্বপ্নের রেকর্ডটা দখলে কেভিন ও'ব্রায়েনের।

ফর্ম ধরে রাখার ইঙ্গি দিয়েই শুরুটা হয়েছিল লিটন দাসের। চার মেরে বুঝিয়ে দেন কিছু করতে চান তিনি। কিন্তু তেমন কিছুই করা হলো না এদিন। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ তুলে দেন। শেষ হয় তার শান্তর সঙ্গে ২৩ বলের ২২ রানের জুটি। ১২ বলে ১৪ তুলে আউট লিটন।

পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ৩২ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। হারায় দুই উইকেট। এখানেই বড় পুঁজির সম্ভাবনাটা ধাক্কা খায়। তারপর পথ দেখালেন শান্ত-সাকিব। দুই বাঁহাতি জিম্বাবুয়ের বোলারদের বেশ শাসন করলেন। গ্যাবার উইকেটে বেশ লড়লেন দু'জন। তবে শন উইলিয়ামস ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা এই জুটির সর্বনাশ করে দেন। উইলিয়ামসকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ভুল করে বসেন সাকিব। বাংলাদেশ অধিনায়কের টাইমিংটা ঠিকঠাক হয়নি। বল উঁচুতে উঠে জমা হয় ব্লেসিং মুজারাবানির হাতে। ৪৪ বলে ৫৪ রানের এই জুটিই ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা।

সাকিব ২০ বলে এক চারে ২৩ রান তুলে ধরেন সাজঘরের পথ সাকিব। তবে নাজমুল হোসেন শান্ত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম অর্ধশতক পেলেন বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে। অনেক সমালোচনা সয়ে তাকে দলে রাখা নির্বাচকরা নিশ্চয়ই কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন শান্তর ৪৫ বলের ফিফটিতে।

তিন ম্যাচ খেলে ফেললেও এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটিই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ফিফটি। আর টি-টোয়েন্টিতে ১১ ম্যাচ পর বাংলাদেশের কোনো ওপেনার তুললেন হাফসেঞ্চুরি। সবশেষ গত ৩১ জুলাইয়ে জিম্বাবুয়েকে পেয়েই ৫৬ রান করেন লিটন।

নিজের সেরা ইনিংস খেলার ম্যাচে শান্ত এক ১ ছক্কা ও ৭ চারে ৫৫ বলে তুলেন ৭১ রান। আফিফ থামেন ১৯ বলে ২৯ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজের যায়গায় খেলতে নামা ইয়াসির আলি রাব্বী ১ বলে ১। গ্যাবার টি-টোয়েন্টি আদর্শ উইকেটে পুঁজিটা অবশ্য কম ছিল না সেটি তো দুপুর গড়াতেই প্রমাণ হয়ে গেল!

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ২৫ বছর ধরে খেললেও মজার ব্যাপার হলো বিশ্বকাপে এবারই প্রথম দেখা। আরও একটা প্রথম সঙ্গী হলো বাংলাদেশের। ব্রিসবেনের গ্যাবায় প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই হাসিমুখ। এবার অ্যাডিলেড মিশন। যেখানে অপেক্ষায় ভারত-পাকিস্তান। জায়ান্ট বধ করতেই পারলেই খুলে যাবে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালের দরজা!


বিশ্বকাপ   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   সুপার টুয়েলভ   বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলের প্লে-অফ: কে কার প্রতিদ্বন্দ্বী?

প্রকাশ: ০৭:০৩ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে নিশ্চিত হয়েছে আইপিএলের এবারের আসরের শেষ চার। যেখানে ইতোমধ্যেই কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান র‌য়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নিশ্চিত হয়েছিল। আর গত শনিবার পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে সেরা চারের লড়াইয়ে শেষ দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।

১৩ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করে কলকাতা। আর ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে ব্যাঙ্গালুরু। এই দুই দলের পজিশন বদলের আর কোনো সুযোগ নেই।

তবে ১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট দুইয়ে থাকা রাজস্থান রয়্যালস ও ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা হায়দরাবাদের পজিশন বদল হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

রাউন্ড রবিন লিগ শেষে যারা দুইয়ে থাকবে, প্রথম কোয়ালিফায়ারে কলকাতা তাদের মুখোমুখি হবে। সেখান থেকে জয়ী দল চলে যাবে সরাসরি ফাইনালে।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু খেলবে এলিমিনেটর, তাদের প্রতিপক্ষ হবে লিগপর্ব শেষে তিনে থাকা দল। এরপর প্রথম কোয়ালিফায়ার হারা দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে এলিমিনেটর জয়ী দলের সঙ্গে। এখানে যারা জয় পাবে, তারা ফাইনালে মিলিত হবে প্রথম কোয়ালিফায়ার জয়ী দলের সঙ্গে।

লিগপর্ব শেষে ২১ মে থেকে মাঠে গড়াবে প্লে-অফের ম্যাচ। সেদিনই অনুষ্ঠিত হবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। আর ২২ মে এলিমিনেটর এবং ২৪ মে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। আগামী ১৬ মে চেন্নাইয়ে এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।


চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু   ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড

প্রকাশ: ০৫:৪০ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল ভক্তদের কাছে প্রিমিয়ার লিগ যেন দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। আর তাইতো বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ঘরোয়া ক্রীড়া আসর ভাবা হয় এই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে।

প্রিমিয়ার লিগের এত বেশি জনপ্রিয়তার অবশ্য ভিন্ন একটি কারণও রয়েছে। সেটি হচ্ছে গোলের বন্যা। প্রতিপক্ষের জালে গোল দেওয়াটা যেমন আরেক প্রতিপক্ষের জন্য চ্যালেঞ্জের, ঠিক তেমনই দর্শকদের জন্য রোমাঞ্চকর।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (এপিএল) শেষ রাউন্ডের দশটি ম্যাচই একই সময়ে শুরু হয়। মৌসুমের শেষ ম্যাচ ডে-তে দশ ম্যাচে সবমিলিয়ে গোল হয়েছে ৩৭টি। আর তাতেই হয়েছে গোলের নতুন রেকর্ড।

১৯৯২ সালে প্রিমিয়ার লিগের যাত্রার পর থেকে এবারের মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি গোল হয়েছে। সবমিলিয়ে সদ্য সমাপ্ত ইপিএল মৌসুমে ৩৮০ ম্যাচে ১২৪৬টি গোল হয়েছে। ম্যাচ প্রতি তিনটিরও বেশি গোল করেছে দলগুলো।

এর আগে সবচেয়ে গোল ছিল ১২২২টি। এবার সবচেয়ে বেশি ৯৬ গোল করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। টানা চতুর্থ লিগ শিরোপা জিতে অনন্য কীর্তি গড়েছে পেপ গার্দিওলার দল। রানার্স আপ আর্সেনাল গোল করেছে ৯১টি।

গোল করার তালিকায় তিনে লিভারপুল। তাদের গোল সংখ্যা ৮৬টি। ৮৫ গোল নিয়ে পরের অবস্থানে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। এদিকে সবচেয়ে বেশি ১০৪ গোল হজম করেছেন শেফিল্ড ইউনাইটেড।


প্রিমিয়ার লিগ   ফুটবল   ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ   ক্রীড়াঙ্গন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোপার আগে বড় ধাক্কা খেল ব্রাজিল

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের কোপা আমেরিকার লড়াই। যেখানে ফেবারিট হিসেবেই অংশ নিবে ব্রাজিল। তবে এর আগে বড় ধাক্কা খেয়েছে সেলেসাওরা। চক্ষুকোটরে আঘাত পেয়েছেন ব্রাজিলের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক এডারসন। এতে ঘোষিত স্কোয়াড থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই আসন্ন কোপা আমেরিকা মিস করবেন ম্যানচেস্টার সিটির এই গোলরক্ষক।

এডারসনের পরিবর্তে গোলরক্ষক হিসেবে রাফায়েলকে স্কোয়াডে যুক্ত করেছেন ব্রাজিল কোচ ডরিভাল জুনিয়র। তবে এখনও ব্রাজিল জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেননি সাওপাওলোর এই গোলরক্ষক। অথচ কোপা আমেরিকার মতো আসরে তাকেই এদারসনের বদলি হিসেবে তাকেই বেছে নিয়েছেন কোচ ডরিভাল।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েন এডারসন। গোল সেভ করতে গিয়ে হটস্পার ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ান রোমেরার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তার। এতে চোখের কোটরে আঘাত পান এই ব্রাজিলিয়ান।

এ কারণে রোববার প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলতে পারেননি এদারসন। মিস করবেন আগামী সপ্তাহে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে এফএ কাপের ফাইনাল ম্যাচটিও।

এডারসনের অনুপস্থিতিতে কোপা আমেরিকার পুরো আসর জুড়ে গোলরক্ষক এলিসনের উপরেই ভরসা রাখবে ব্রাজিল। তার উপর ভর করেই দশমবারের মতো কোপা আমেরিকার শিরোপা জিততে চাইবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

এবারের কোপা আমেরিকায় ব্রাজিল খেলবে ডি-গ্রুপে। এই গ্রুপে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হল- কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে ও কোস্টারিকা।

আগামী ২৫ জুন নিজেদের কোপা আমেরিকা মিশন শুরু করবে ব্রাজিল। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী কোস্টা রিকা। সোফি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হবে ভোর ৭টায়।


ব্রাজিল   এডারসন   ডরিভাল জুনিয়র   সেলেসাও  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ

প্রকাশ: ০২:৩৭ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে দল ঘোষণার পর অন্যান্য দলের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। কারণ দেশটির মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি বলেই মনে করছেন টাইগাররা।

তবে সিরিজের ম্যাচগুলো মাঠে গড়ানোর আগেই দেখা দিয়েছিল শঙ্কা। বড় বাধা ছিল আবহাওয়া। তবে সেই বাধা এখন আর নেই। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্ধারিত সময়েই সিরিজটি মাঠে গড়াবে। সেই লক্ষ্যে রোববার (১৯ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টা) অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।

বাংলাদেশ দল হিউস্টনে পৌঁছার পর এক দিন বিশ্রাম করে এবং এক দিনে ফিটনেস নিয়ে কাজ করে। শনিবার থেকে টাইগাররা স্কিলের অনুশীলন শুরু করেছেন।  হিউস্টনের প্রেইরিভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে শান্তরা শুরুতে ওয়ার্ম আপ ও ফুটবল খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। বাকি দুটি ম্যাচ হবে ২৩ ও ২৫ মে। প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায়। সিরিজ শেষে ২৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেই আইসিসি কর্তৃক নির্ধারিত ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

১ জুন ভারতের বিপক্ষে টি-২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের লড়াই শুরুর আগে নিজেদের প্রস্তুতির জন্য সবমিলিয়ে ৫টি ম্যাচ পাচ্ছে টাইগাররা। গ্রুপ পর্বে লাল সবুজদের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে শ্রীলংকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। প্রথম দুটি ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রে বাকি দুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজে।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টানা দ্বিতীয়বারের মত গোল্ডেন বুট জিতলেন হালান্ড

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা চতুর্থবারের মত প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর এবারের মৌসুমে সিটির এই শিরোপা জয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন আর্লিং হালান্ড। আর সেই ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ ২৭ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছেন হালান্ড।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেলসির কোল পালমারকে পেছনে এই পুরস্কার জিতে নেন তিনি। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে গোল্ডেন বুট জিতেছেন এই ফুটবলার।

সদ্য সমাপ্ত প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে ২২ গোল করেছেন ব্লুজদের তরুণ তুর্কি পালমার। সেই হিসেবে তার থেকে ৫ গোল বেশি করেছেন হালান্ড।

গতকাল মৌসুমের শেষ ম্যাচে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি।

অপরদিকে এভারটনের বিপক্ষে জয় পেলেও তা কোনো কাজে আসেনি আর্সেনালের। তাদের থেকে ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।


আর্লিং হালান্ড   ম্যানচেস্টার সিটি   ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন