ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবারই শেষ বিশ্বকাপ যাদের? (তৃতীয় পর্ব)

প্রকাশ: ১২:১৫ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

অপেক্ষা আর অল্প সময়ের। ঘড়ির কাঁটার সাথে তাই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উদ্দীপনা। মাঠে গড়াবে আকাঙ্খিত ফুটবল বিশ্বকাপ। প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর যে অপেক্ষায় থাকে বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবল প্রেমী, তা এবার অবসানের পথে। ফুটবলারদের মাঠের লড়াই দেখতে মুখিয়ে রয়েছে পুরো বিশ্ব। একই সাথে এই বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে অনেক তারকা ফুটবলারের শেষ বিশ্বকাপ। ফলে বিশ্বমঞ্চে শেষবার তাদের পারফরম্যান্সের ঝলকের আশাও থাকবে ফুটবল প্রেমীদের। তারকাদের শেষ বিশ্বকাপ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের তৃতীয় ও শেষ পর্ব আজ।

এডিসন কাভানি

উরুগুয়ের আক্রমণভাগের অন্যতম কান্ডারি এডিসন কাভানি। সতীর্থ লুইস সুয়ারেজের সাথে মিলে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের অনেক ম্যাচের জয়ের নায়ক কাভানি। ২০০৮ সালে অভিষেকের পর থেকে নিয়মিত খেলছেন জাতীয় দলে। স্কাই ব্লুদের হয়ে ১৩৩ ম্যাচ খেলে করেছেন ৫৮ গোল। যা তাকে দলটির ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার আসন এনে দিয়েছে। 

কাভানিরও বিশ্বকাপ অভিষেক ২০১০ এ। ফলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলবেন এই ফরোয়ার্ড। ৩৫ এর কোটায় বয়স। ২০২৬ বিশ্বকাপ খেললে বয়স হবে ৩৯। যা একজন স্ট্রাইকারের জন্য খানিকটা অসম্ভবেরই। আর তেমনটা না হলে, পরবর্তী বিশ্বকাপ উরুগুয়ের জার্সিতে তাকে না দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।

লুকা মদরিচ

জাতীয় দল ও ক্লাবের মাঝ মাঠের কান্ডারি লুকা মদরিচ। তার অনবদ্য নৈপূর্ণ ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়াকে। তবে ফ্রান্সের কাছে হেরে শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হয় দলটির। তবে রাশিয়া বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট সেরা ফুটবলার হন মদরিচ। জেতেন গোল্ডেন বল। মিডফিল্ডারদের তালিকায় বিশ্বসেরা তিনি। প্রতিপক্ষকে বোকা বানিয়ে গোলের সুযোগ তৈরিতে তার জুড়ি মেলা ভার। গতবারের রানার্সআপদের এবারের বিশ্বকাপ মিশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ লুকা মদরিচ।

২০০৬ এর মার্চে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে অভিষেক। সে বছরই বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেন তিনি। ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলের দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রতিনিধি বলা হয় তাকে। খেলেছেন তিনটি বিশ্বকাপ। চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে কাতার যাবেন মদরিচ। ৩৭ বছর বয়স হলেও মাঝমাঠ কিংবা আক্রমণভাগ দুই জায়গাতেই তার সরব উপস্থিতির দেখা পাওয়া যায়। প্রয়োজনে রক্ষণেও নেমে আসেন এই মিডফিল্ডার। তবে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এটিই হয়তো তার শেষ বিশ্বকাপ। এই আসর শেষে জাতীয় দলের সাথে দীর্ঘসময়ের সম্পর্কের ইতি টানতে পারেন মদরিচ।

ম্যানুয়েল নয়্যার

খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি পরিচিত পেয়েছেন তার আগ্রাসী মনোভাব ও গতিময়তার কারণে। গোলবারের অতন্দ্র প্রহরী তিনি। ২০১০ সাল থেকে জার্মানদের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী জার্মান দলের অধিনায়ক তিনি। বিশ্বকাপ শিরোপার সাথে গোল্ডেন গ্লাভসও পকেটে পুড়েছেন নয়্যার। তিনটি বিশ্বকাপ খেলায় তার অভিজ্ঞতার ঝুঁলিও বেশ ভারী।

এ বিশ্বকাপেও জার্মানদের প্রতিনিধিত্ব করবেন নয়্যার। বয়স হয়ে গেছে ৩৬। সেই আগের ক্ষুরাধার মস্তিষ্ক ও আগ্রাসন খানিকটা কমলেও এখনো তার উপরই ভরসা রাখছে জার্মানি। ফলে শেষবারের মত বিশ্বকাপের মঞ্চে জার্মানদের গোলবারের নিচে দেখা যাবে তাকে। আগামী বিশ্বকাপে তার দলে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণই বলা চলে।

থমাস মুলার

সতীর্থ নয়্যারের মত এটিও শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে জার্মান ফরোয়ার্ড থমাস মুলারের। গোল করা এবং করানোয় সমান পারদর্শী তিনি। জার্মানদের ইতিহাসের অন্যতম সু-সজ্জিত ফুটবলার মুলার। খেলতে পারেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, সেকেন্ড স্ট্রাইকার কিংবা সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে। মুলারের জাতীয় দল ও বিশ্বকাপ অভিষেক ২০১০ সালে। সে আসরেই গোল্ডেন বুটের সাথে জেতেন টুর্নামেন্টের উদীয়মান তারকার পুরষ্কার।

এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর থেকে জার্মানদের মূল একাদশের অন্যতম সদস্য তিনি। জার্মানির ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ে অনন্য ভূমিকা ছিলো তার। অনবদ্য নৈপূণ্যে সে আসরের সিলভার বল ও সিলভার বুট দুটোই জিতে নেন মুলার। বয়স এখন ৩৩। তবে মাঠের খেলায় এখনো ক্ষুরাধার মুলার। তবুও আরেকটি বিশ্বকাপে তাকে দেখা যাবে কি না, সেটা জানিয়ে দেবে সময়।

সের্হিও বুসকেতস

স্পেনের অন্যতম প্রতিভাবান ফুটবলার সের্হিও বুসকেতস। বিশ্বের সেরা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারদের একজন তিনি। ম্যাচে প্লেমেকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন অনায়াসে। প্রখর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে পজিশন করে নেয়ায় পারদর্শী বুসকেতস। সেই সাথে রক্ষণ চেরা পাসে এলোমেলা করে দিতে পারেন প্রতিপক্ষকে।

স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে তার অভিষেক ২০০৯ সালে। পরের বছর হয় বিশ্বকাপ অভিষেক। ২০১০ সালের স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য তিনি। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলেছেন ১৩৯টি ম্যাচ। দীর্ঘদিন ধরে স্প্যানিশদের অধিনায়কের আর্মব্যান্ডও তার হাতে। এবারো স্পেনের বিশ্বকাপ দলের দ্বায়িত্ব ৩৪ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারের হাতে। খেলবেন নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপ। তুলনামূলক তরুণ একটি দল নিয়েই কাতার যাবে স্পেন। এ আসর দিয়ে হয়তো ইতি পড়বে বুসকেতসের বিশ্বকাপ অধ্যায়ের।


কাতার বিশ্বকাপ   কাভানি   নয়্যার   মুলার   বুসকেতস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নেইমার-ক্যাসেমিরোকে ছাড়াই কোপা আমেরিকার জন্য ব্রাজিল দল ঘোষণা

প্রকাশ: ১২:৫২ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে লাতিন ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের শীর্ষ টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।

কোপা আমেরিকাকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতিস্বরূপ দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল ফুটবল দল। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। আর এই দুই প্রীতি ম্যাচ এবং কোপা আমেরিকাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে সেলেসাওরা। যেখানে স্কোয়াডে রাখা হয়নি পুনর্বাসনে থাকা নেইমার জুনিয়রকে। একই সঙ্গে বাদ পড়েছেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরো। তবে চমক দিয়ে সুযোগ পেয়েছেন তরুণ স্ট্রাইকার ফেলিপে এন্দরিক। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন সেলেসাওদের কোচ দরিভাল জুনিয়র।

আগামী  ৯ জুন মেক্সিকো ও ১৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। প্রীতি ম্যাচ ও গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে প্রায় এক মাস আগেই দল ঘোষণা করেছে সেলেসাওরা।

দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়ার পর দরিভালের অধীনে গত ২৪ মার্চ ইংল্যান্ড ও ২৭ মার্চ স্পেনের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল ব্রাজিল। দুই প্রীতি ম্যাচের স্কোয়াড থেকেই মূলত ২৩ জনকে বেছে নিয়েছেন ৬২ বছর বয়সী এ কোচ। অবশ্য ঐ দুই প্রীতি ছিলেন না ২৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডার গিলহের্মে অ্যারানা ও ২৪ বছর বয়সী এভানিলসন।
 
আগামী ২৫ জুন কোপার যাত্রা শুরু হবে ব্রাজিলের। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা। ‘ডি’ গ্রুপে তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে ও কলম্বিয়া।

ব্রাজিলের স্কোয়াড:
গোলরক্ষক:
অ্যালিসন, বেনতো, এডার্সন।
রক্ষণভাগ: বেরালদো, এদের মিলিতাও, ম্যাগালায়েস, মারকুইনস, দানিলো, ইয়ান কুতো, অ্যারেনা, ওয়েনদেল।
মিডফিল্ডার: আন্দ্রেস পেরেইরা, গিমারেস, ডগলাস লুইজ, জোয়াও গোমস, লুকাস পাকেতা।
ফরোয়ার্ড: এন্দরিক, এভানিলসন, গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি, রাফিনিয়া, রদ্রিগো, সাভিনিও ও ভিনিসিউস জুনিয়র।


কোপা আমেরিকা   ব্রাজিল   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অবশেষে পিএসজি ছাড়ছেন এমবাপ্পে, জানালেন নিজেই

প্রকাশ: ১১:৪৪ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরাসী তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পের দলবদলের খবর এখন প্রায়ই শিরোনামে থাকছে। আগামী জুনেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে তার। এরপরেই ফ্রি খেলোয়াড় হিসেবে ক্লাব ছাড়তে চান ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। পিএসজিকে এরই মধ্যে নিজের সিদ্ধান্ত জানালেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন না।

তবে এবার সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নিজেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। শুক্রবার (১০ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে নিজের পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দেন ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।

নতুন মৌসুমে কোন ক্লাবে যোগ দিচ্ছেন ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড? ভিডিওবার্তায় এমবাপ্পে বলেন, আমি সবসময়ই আপনাদের বলে এসেছি, যখন সময় আসবে, আমি নিজ থেকেই বলব। পিএসজিতে এটাই আমার শেষ মৌসুম হতে যাচ্ছে। চুক্তি নবায়ন করতে আমি আগ্রহী নই এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ক্লাবটির সাথে এই যাত্রা শেষ হয়ে যাবে আমার।

পিএসজির হয়ে খেলতে পারাটা বেশ আবেগের বলে মনে করেন কিলিয়ান। জানান, আমি কখনও ভাবিনি পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা এতটা কঠিন কাজ হবে আমার জন্য। এখানে মিশে আছে অনেক আবেগ। বিশ্বের বড় ক্লাবগুলোর একটিতে খেলতে পারা আমার জন্য বেশ সম্মানের। তবে সাত বছর পর নতুন একটা চ্যালেঞ্জ নেয়া বেশ প্রয়োজন বলে মনে করি আমি।

ঘরোয়া লিগে পিএসজি’র জার্সিতে আলো ছড়ালেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি এমবাপ্পে। চলতি মৌসুমে তাদের যাত্রা শেষ হয় সেমিফাইনালের মঞ্চে। ফরাসি জায়ান্টদের হয়ে কাটানো সময় একই সাথে চাপ ও উপভোগের ছিল বলে মনে করেন এই ফরওয়ার্ড।

তিনি বলেন, পিএসজিতে বেশ কিছু তারকাদের সাথে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। মেসি-নেইমারদের সাথে স্মরণীয় মূহুর্ত রয়েছে আমার। এখানে কাটানো প্রতিটি সময় উপভোগের সাথে চাপের এক দারুণ সংমিশ্রণ ছিল। এমন অভিজ্ঞতার স্বাদ দেয়ার জন্য ক্লাবের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।

২০১৭ সালে মোনাকো থেকে ধারে খেলতে পিএসজিতে আসেন এমবাপ্পে। পরের বছরই এই ফরোয়ার্ডকে কিনে নেয় প্যারিসের দলটি। পিএসজির জার্সিতে ছয়টি লিগ শিরোপা, তিনটি ফরাসি কাপসহ আরও বেশ কিছু ট্রফি জিতেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।


কিলিয়ান এমবাপ্পে   ফ্রান্স   পিএসজি   রিয়াল মাদ্রিদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পরিচ্ছন্ন অভিযানে তামিম ইকবাল

প্রকাশ: ০৯:৩২ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফল ওপেনার ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। একটা লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন নানা কারণেই। তবে কবে আবারও ফিরছেন জাতীয় দলে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে এরই মধ্যে তামিম আবারও নতুন করে খবরের শিরোনামে। কিন্তু এবার ক্রিকেট সংক্রান্ত কোন বিষয়ে নয়।

এবার সিলেট নগরীর সড়কে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছেন তামিম ইকবাল। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তামিমকে নিয়ে রাজপথে নামেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। পরে নগরভবনের সামনে থেকে নাগরী চত্বর হয়ে সার্কিট হাউসের সম্মুখ-সুরমাতীর পর্যন্ত পচ্ছিন্নতা অভিযানে অংশ নেন তিনি। এ সময় বেশ হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে একটি সড়ক পরিষ্কার করেন দেশসেরা এ ওপেনার।

এ সময় তামিম বলেন, এমনিতে সারাদেশে সিলেটবাসীর আলাদা একটা সুনাম আছে। আধ্যাত্মিক এই নগরী আগের চেয়ে বর্তমানে আরো বেশি পরিচ্ছন্ন। বিশেষ করে ফুটপাত এবং রাজপথে হকার্সদের হাঁকাহাঁকি ঝুট-ঝামেলা বন্ধ করতে অল্প সময়েই সক্ষম হয়েছেন সিলেটবাসীর প্রিয় মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

সাবেক টাইগার অধিনায়ক আরো বলেন, এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী। আগামী সাড়ে ৪ বছরে সিলেট মহানগরী সারাদেশের জন্য একটি আদর্শ নগরী হিসাবে উদাহরণ হয়ে থাকবে। বর্তমান মেয়রের সেই আন্তরিকতা এবং যোগ্যতা আছে বলেই আমি মনে করি।

সিসিক সূত্র জানায়, পরিচ্ছন্নতা কাজে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে তামিম ইকবাল মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে ঐ কাজে অংশ নেন।

সিলেট সফরে আসায় এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করায় তামিম ইকবালকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটের রাজপথে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমে তামিম প্রমাণ করলেন তিনি শুধু খেলার মানুষই নয়, একজন দায়িত্ব সচেতন এবং সম্মানিত নাগরিক। তাকে দেখে সবাই আমাদের নগরীকে আরো বেশী পরিচ্ছন্ন রাখতে আন্তরিক হবেন উৎসাহী এবং উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস।’


তামিম ইকবাল   সিলেট সিটি কর্পোরেশন   আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত টিম টাইগার্স?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বজুড়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে অন্যরকম আবহ। চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে খেলা। বাকি নেই এক মাসও। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।

আসন্ন এই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতিস্বরূপ একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডসহ বিভিন্ন অংশগ্রহণকারী দলগুলো। তবে এদিক থেকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটটা একটু ভিন্ন। কারণ বাংলাদেশ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ তো খেলছে ঠিকই, তবে যাদের সাথে খেলছে তারা এবার বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতি হিসেবে জিম্বাবুয়ের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে এখন পর্যন্ত ৪টি ম্যাচ ইতোমধ্যেই মাঠে গড়িয়েছে। আর সবগুলোতেই জিতেছে বাংলাদেশ। তবে তারপরেও যেন স্বস্তি নেই টাইগার শিবিরে।

কারণ এই সিরিজের ম্যাচগুলোতে টাইগার ব্যাটারদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছে এটি বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নয়, বরং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জেতাটাই মূল লক্ষ্য। ফলে যে দলটা উগান্ডার কাছে  হেরে এসেছে সেই জিম্বাবুয়েও যেন শান্ত-লিটন-হৃদয়দের কাছে শক্তিশালী মাইটি অস্ট্রেলিয়া।

চলতি বছরে লংকানদের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক খেলায় মাঠে নেমেছিল টাইগাররা। যেখানে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে ঘরের মাঠে সিরিজ খুইয়েছিল তারা। তাই বিশ্বকাপের আগে দলের মূল ব্যাটারদের ফর্মে ফেরানো জরুরী মনে করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজে সে কথা ভুলে গেছেন কোচ এবং অধিনায়ক।

সাধারণত দেশের মধ্যে খেলা হলে চট্টগ্রামের উইকেটে রানখরা থাকে না। যার ফলে চার-ছক্কার বিশ্বকাপের জন্য ব্যাটিং প্রস্তুতিটা সেখানে ভালোভাবেই সেরে নিতো পারতো টাইগাররা। কিন্তু সেখানে টানা দুই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট কারার সুযোগ পেয়েও ফিল্ডিং নিয়েছিলেন শান্ত।

আগে ব্যাট করে যেখানে বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টের পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তোলার অভ্যাস গড়ে নিতেই পারতো বাংলাদেশ। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। প্রথম ম্যাচে ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়া প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৫ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ম্যাচে শুধু তাওহীদ হৃদয় (১৪৮.০০) এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১৬২.৫০) টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করেছেন। অন্যদিকে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করলেও ৯২ স্ট্রাইক রেটে ২৫ বলে ২৩ রান করে আউট হন লিটন। ৯৪ দশমিক ৭৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে ১৯ বলে ১৮ রান করেন তামিম। ১৫ বলে ১৬ করেন শান্ত।

তবে চতুর্থ ম্যাচে তামিমের ব্যাট হেসেছে ভালোই। এদিন অফফর্মের কারণে লিটনকে ড্রপ করে সৌম্যকে নেওয়া হয়েছিল। আর সৌম্য সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়েছেন ভালোই। এদিন দ্রুতই শতকের ঘরে পৌঁছায় বাংলাদেশ। তবে শতকের পরই যেন আবারও সেই উইকেটের মিছিল। একের পর এক আসা যাওয়া। ৪২ রানের মধ্যে ১০টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত লিটন-শান্ত-তামিমরা? এমন প্রশ্নই এখন ঘুরছে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টদের মনে।

চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটে আগে ব্যাট করলে চাপ মুক্তভাবে ব্যাট করে রানে ফেরার সুযোগ ছিল লিটনের সামনেও। সুযোগ ছিল মূল ম্যাচে নিজেদের পাওয়ার হিটিংয়ের দক্ষতা পরখ করে দেখে নেওয়ার। বিশ্বকাপের আগে কয়েকটা ম্যাচে ২০০ প্লাস স্কোর গড়তে পারলে ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাসটাও বাড়তো।

কিন্তু সবকিছুর বিপরীত দিকে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট। বোলিংয়ে তাসকিন-শরিফুলরা সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং প্রমাণ করে টাইগারদের ব্যাটিং দুর্বলতা অনেক গভীরে।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়

প্রকাশ: ০৯:৪৫ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাট হাতে শুভসূচনার পর অল্পেই গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ বল হাতেও করেছিল দুর্দান্ত শুরু। তবে হাল না ছাড়া জিম্বাবুয়ে লড়েছে শেষ পর্যন্ত। যদিও টাইগারদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি তারা। আর তাই টানা চার জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে নির্ধারিত ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের জয় ৫ রানে।

রান তাড়া করতে নেমে খাতা খোলার আগেই তাসকিনের বলে আউট হন বেনেট। তিনে নামা সিকান্দার রাজাকেও বোল্ড করেন এ পেসার। রাজা করেন ১৭ রান। আরেক ওপেনার তাদিওয়ানশে মারুমানিকে আউট করেন সাকিব। তিনি করেন ১৪ রান।

রিশাদের বলে মাদান্দে ১২ রানে আউট হলেও হাল ছাড়েনি জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন জনাথন ক্যাম্পবেল ও রায়ান বার্ল। দুজনের ৩৫ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে আসে তারা। তবে বার্ল ১৯ রানে আউট হলে আবার ধাক্কা খায় সফরকারীরা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করে সাকিবের বলে আউট হন ক্যাম্পবেল। শেষ ওভারে জম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। সাকিবের করা ওভারের তৃতীয় বলে ছয় হাঁকান মুজারাবানি। 

তিন বলে ৭ প্রয়োজন, এমন পরিস্থিতিতে পরপর দুই বলে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতান সাকিব। তিনি চারটি, মুস্তাফিজুর তিনটি, তাসকিন দুটি এবং রিশাদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা বাংলাদেশ এ ম্যাচে ৩ পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে। দলকে ব্যাট হাতে ভালো শুরু এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার।

শুরু থেকে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন সৌম্য। তবে অন্যপ্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন তামিম। দুজনের জুটিতে ১১তম ওভারে দলীয় শতক পূরণ করে বাংলাদেশ। তবে এরপরই ছন্দপতন।

লুক জঙ্গের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ৫২ রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম। এরপরের গল্পটা জিম্বাবুয়ের বোলারদের। যেখানে আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন টাইগার ব্যাটাররা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন সৌম্য।

তিনে নামা হৃদয় ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন। দলের আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার জঙ্গে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া বেনেট এবং গারাভা দুটি ও রাজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

জিম্বাবুয়ে   শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন