দরজায়
কড়া নাড়ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। কাতারে অনুষ্ঠিতব্য এ আসরের পর্দা
উঠতে অপেক্ষা মাত্র ৩ দিনের। শুধু
কাগজে-কলমে নয়, আক্ষরিক
অর্থেই শক্তিশালী এক দল নিয়ে
বিশ্বকাপে এসেছে আর্জেন্টিনা। গত ৩ বছরে
দলটির পারফরম্যান্স ঈর্ষা জাগানিয়া। টানা ৩৬ ম্যাচ
অপরাজিত। আরো দুটি ম্যাচ
পার করতে পারলে ইতালির
সমান সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডে ভাগ বসাবে দলটি।
মাঠের খেলায় সে পথেই এগোচ্ছে
আকাশি নীলরা।
গত
বছর কোপা আমেরিকা জয়ের
পর যেন আমূল বদলে
গেছে আর্জেন্টিনা। এরপর মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের
শিরোপা জিতেছে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে
হারিয়ে। গত বিশ্বকাপে ভরাডুবির
পর কাতার বিশ্বকাপকে পাখির নিশানায় পরিণত করেছে লাতিন আমেরিকার দলটি। তার উপর ক্যারিয়ারে
শেষ বিশ্বকাপ খেলবেন আর্জেন্টিনার ক্ষুদে জাদুকর লিওনেল মেসি। ক্যারিয়ারে যার একমাত্র অপূর্ণতা
বিশ্বকাপ শিরোপা। ফলে ৩৬ বছরের
শিরোপা খরা কাটাতে এবার
আটঘাট বেঁধেই নেমেছে আলবিসিলেস্তারা। ফুটবলাররাও আত্নবিশ্বাসী ভাল কিছু করার।
দেখে নেয়া যাক, বিশ্বকাপ
মিশনে কেমন হলো আর্জেন্টিনা
দল।
গোলরক্ষণ
২০২১
কোপা আমেরিকার ঠিক আগে আর্জেন্টিনা
দলে অভিষেক হয় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের।
এরপর থেকেই আর্জেন্টিনা দলের গোলবারের দ্বায়িত্ব
সামলাচ্ছেন তিনি। সে বছর ২৮
বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা
জিততে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিশ্বকাপে গোলবারের নিচে অনুমিতভাবেই থাকবেন
মার্তিনেজ। সেট-পিস আর
ব্যাকলাইনে রিফ্লেক্স মার্তিনেজ সবচেয়ে শক্তিমত্তার জায়গা। সেই সাথে প্রয়োজনের
সময় জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে
বল ক্লিয়ার করতে পারদর্শী তিনি।
মার্তিনেজের ব্যাকআপ হিসেবে রয়েছেন আরো দুই গোলরক্ষক।
রিভার প্লেটের ফ্রাঙ্কো আরমানি ও ভিয়ারিয়ালের গোলবার
সামলানো জেরোনিমো রুলি।
রক্ষণভাগ
আর্জেন্টিনার
দুর্বলতার জায়গা ধরা হয় ডিফেন্সকে।
অতীতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে
ডিফেন্সের ভুলে ভুগতে হয়েছে
দলটিকে। তবে এবার আর্জেন্টিনা
দলের ডিফেন্স হয়ে উঠেছে এক
ভরসার নাম। আর্জেন্টিনা দলের
মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগ সব
সময়ই তারকা বহুল। তারপরও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাগুলোয় তাদের সাফল্য না আসার পেছনে
বড় দায় ছিলো রক্ষণভাগের।
তবে সাম্প্রতিক সময়ের আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ স্বপ্ন দেখাচ্ছে তাদের। যেন এক বদলে
যাওয়া রক্ষণভাগ দেখছে ফুটবল বিশ্ব। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ১৭ ম্যাচে মাত্র
৮ গোল হজম করেছে
দলটি। আর্জেন্টাইন রক্ষণের বল দখলে রাখার
হার গড়ে ৫৯.২১
শতাংশ। এরিয়াল ডুয়েল কিংবা ডিফেন্সিভ ডুয়েলে বেশ ভাল অবস্থানে
রয়েছে তারা। সবচেয়ে বড় বিষয় শেষ
কয়েক বছরে ডিফেন্স থেকেই
নিজেদের আক্রমণের সূত্রপাত ঘটায় দলটি। ম্যান
মার্কিংয়ের থেকে শুরু করে
আগ্রাসী প্রেসে প্রতিপক্ষের আক্রমণ আটকে দিয়ে আশার
সঞ্চার করেছে দলে।
কাতার
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলে রয়েছে ৯জন
ডিফেন্ডার। সেন্টার ব্যাক হিসেবে অভিজ্ঞ নিকোলাস ওতামেন্দির সঙ্গে থাকবেন তরুণ ক্রিস্তিয়ান রোমেরো।
আছেন লিসান্দ্রো মার্তিনেজও। ফুল ব্যাক হিসেবে
নিকোলাস তাগ্লিয়াফিকো ও নাহুয়েল মলিনা
দুজনেই পরিক্ষীত। আর লেফট ব্যাক
হিসেবে দীর্ঘদিন দলকে সার্ভিস দিয়ে
আসছেন মার্কোস অ্যাকুনা। তবে খানিকটা ইনজুরি
জটিলতা রয়েছে অ্যাকুনার। যা কিছুটা দুশ্চিন্তায়
ফেলতে পারে কোচ লিওনেল
স্কালোনিকে।
মাঝমাঠ
আলবিসিলেস্তেদের
সবচেয়ে শক্তিমত্তার জায়গা মাঝমাঠ। সেখানে সামর্থ্যের সাথে রয়েছে বৈচিত্রতাও।
মাঝমাঠ থেকেই মূলত আক্রমণ গড়ে
তোলে স্কালোনির এই দল। বলের
দখল রেখে জায়গা বের
করে নিয়ে আসতে সমান
দক্ষ আর্জেন্টিনার মাঝমাঠ। তবে বিশ্বকাপের ঠিক
আগে লো সেলসোর ইনজুরিতে
তাকে না পাওয়ায় কপালের
ভাজ বেড়েছে আর্জেন্টাইন কোচের। রদ্রিগো ডি পল-লিয়ান্দ্রো
পারেদেস-লো সেলসো ত্রয়ী সাম্প্রতিক
বছরগুলোতে আর্জেন্টিনার সাফল্যের অন্যতম কারিগর। গতি ও রক্ষণ
চেরা পাসে গোলের সুযোগ
সৃষ্টি করতে পারেন তারা।
তবে লো সেলসোর অনুপস্থিতিতে
একাদশে দেখা যেতে পারে
এঞ্জো ফার্নান্দেসকে। মিডফিল্ডের গভীরতার সুবিধা নিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে
আক্রমণের চাপ সৃষ্টি করে
আর্জেন্টিনা। মাঝ মাঠের আধিপত্য
ধরে রেখে বল দখলের
লড়াইয়েও সফল দলটি। বিশ্বকাপের
বাকি দলগুলোর তুলনায় ৮৪.৮ শতাংশ
বেশি বলের দখল রাখতে
পেরেছে স্কালোনির দল।
আক্রমণভাগ
আর্জেন্টিনার
আক্রমণ ভাগ একগাদা তারকায়
ঠাসা। যেখানে লিওনেল মেসির সঙ্গে রয়েছেন আনহেল ডি মারিয়া, লাউতারো
মার্তিনেজ, পাওলো দিবালার মতো ফুটবলাররা। দলটির
আক্রমণ ভাগের নেতৃত্ব থাকবে মেসির হাতেই। তবে স্কালোনির নতুন
পরিকল্পনায় মেসি ছাড়া বাকিরাও
গোল করতে বেশ সফলতা
দেখিয়েছেন। মেসি কেন্দ্রিক ছক
থেকে বেরিয়ে আসায় মাঠেও আগের
থেকে বেশি স্বাধীনভাবে খেলতে
পারেন এলএমটেন। মাঠে এখন গোল
করার পাশাপাশি প্লে মেকারের ভূমিকাতেই
বেশি দেখা যায় হালের
জনপ্রিয় এই তারকাকে। আর
গতি ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে
দলের অপরিহার্য অংশ উইঙ্গার ডি
মারিয়া। সবার সামনে থেকে
পজিশন বুঝে গোল করায়
পারদর্শীতা দেখিয়েছেন লউতারো মার্টিনেজও। ফলে অভিজ্ঞতা ও
তারুণ্য নির্ভর এক শক্তিশালী আক্রমণ
ভাগ নিয়েই বিশ্বকাপে খেলবে আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপ
দলে থাকা ফরোয়ার্ডদের মধ্যে
চোট সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে পাওলো দিবালার। চোট থেকে সেরে
উঠলেও, জাতীয় দলের হয়ে প্রস্তুতি
ম্যাচ খেলেন নি রোমার এই
স্ট্রাইকার।
ফর্মেশন
সাধারণত ৪-৩-৩ ফর্মেশনে খেলে থাকে আর্জেন্টিনা। তবে গৎবাঁধা ছক থেকে বের হয়ে অনেক ক্ষেত্রেই উদ্ভাবনী ফর্মশনের ব্যবহার করে থাকেন লিওনেল স্কালোনি। বিশ্বকাপেও তিনি এমন কিছু করে দেখাতে পারেন। লউতারো মার্টিনেজকে সামনে রেখে ৪-৪-১ ফর্মেশনেও খেলতে পারে দলটি। ফলস নাইনের ভূমিকায় থাকা মার্টিনেজও জায়গা খুঁজে গোল বের করে নিয়ে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে ফলস উইঙ্গার হিসেবে প্রতিপক্ষের রক্ষণে আক্রমণ বাড়িয়ে সুযোগ তৈরি করবেন মেসি-ডি মারিয়া-পাপু গোমেজরা।
কাতার বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনা ফর্মেশন মেসি
মন্তব্য করুন
হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকদিন। এরপরই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের
সংক্ষিপ্ত সংস্করণের লড়াই। যেখানে চার-ছক্কার জোর যার বেশি, মাঠের লড়াইয়ে দাপটটাও তাদেরই
বেশি। আর এজন্যই অংশগ্রহণকারী প্রায় প্রতিটি দলই নিজেদের সেরা সৈন্যদের নিয়েই সাজিয়েছে
দল।
আগামী ২ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে আয়োজক দেশ দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইডিন্জও। আর এই
দুই দেশের ৯ ভেন্যুতে চলবে বৈশ্বিক ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্ট।
অন্যান্যবার কুড়ি ওভারের এই বিশ্বযজ্ঞে ১০টি দল অংশগ্রহণ করলেও
এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ২০ দল। যেখানে সেরা আট দল বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিল আগেই। এর
সঙ্গে অটোমেটিক চয়েজে বিশ্বকাপের টিকিট পায় সেরা র্যাংকিংয়ে অবস্থান করা দুদল এবং
আয়োজকরা। বাকি ৮ দলকে বিশ্বকাপের টিকিট পেতে আঞ্চলিক পর্যায়ে লড়াই করতে হয়েছে। সেই
ধারাবাহিকতায় আফ্রিকা, ইউরোপা, এশিয়া থেকে দুটি করে দল সুযোগ পেয়েছে। সেইসঙ্গে আমেরিকা
এবং ইস্ট-এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে একটি করে দল বিশ্বকাপে খেলবে।
আর দল বেশি হওয়ায় এবারের সমীকরণটাও কিছুটা ভিন্ন। নতুন আদলের এবারের
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ভাগ করা হবে চার গ্রুপে। যার মধ্যে প্রতিটি গ্রুপে
থাকবে ৫টি করে দল।
রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রতি গ্রুপের প্রতিটি দল একে অপরের মোকাবিলা
করবে। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সুপার এইট। সেখান থেকে
সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ টুর্নামেন্টে মাঠে গড়াবে মোট ৫৫টি ম্যাচ। বৈশ্বিক এই আসরকে
সামনে রেখে ইতোমধ্যেই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ১৯টি দল। ব্যাতিক্রম শুধুমাত্র পাকিস্তান।
তবে জানা গেছে, তারাও শীঘ্রই দল ঘোষণা করবে।
তবে এবার প্রতিটি টি-২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ২০টি দলের মধ্যে
সবচেয়ে বেশি নজরে থাকছে ক্যারিবীয়রা। কারণ ঘরের মাঠে এবার তাদের শক্তির পরীক্ষা। শুধু
তাই নয়, ক্যারিবীয়দের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যেন আরও নজর কেড়েছে ক্রিকেট বোদ্ধাদের।
আর তাইতো বিশ্লেষকদের মতে, এবারের সেমিফাইনাল খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সাবেক কিংবদন্তী মাইকেল ভন, ব্রায়েন লারা, মোহাম্মদ হাফিজদের মতে-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার বিশ্বকাপে ভালো ফলাফল করতে পারে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, প্রথমত
নিজেদের ঘরের মাঠ ও দ্বিতীয়ত তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। সবমিলিয়ে যেন দুইবারের
চ্যাম্পিয়নরা এবার মুখিয়ে রয়েছে মাঠের লড়াইয়ের জন্য।
তবে ক্যারিবীয়দের এবার টি-২০ বিশ্বকাপে ভালো করার বেশ কয়েকটি কারণ
রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে-
১. আইপিএলের অভিজ্ঞতা
ভারতে চলছে তাদের ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলের ১৭তম আসর। যেখানে
অংশ নিয়েছেন টি-২০ বিশ্বকাপ দলে থাকা বেশিরভাগ ক্যারিবীয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম-
আন্দ্রে রাসেল, সিমরন হেটমায়ার, নিকোলাস পুরান। আইপিএলে এবার যে রানবন্যা নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে
চলছে তুমুল সমালোচনা সেই রানবন্যার অন্যতম কারিগর হলেন এই ক্যারিবীয়রা। ১৬০ এর উপরে
স্ট্রাইক রেটসহ চার-ছক্কার যে মারকুটে ব্যাটিং স্টাইল, তা পুরোটাই প্রায় ক্যারিবীয়দের
দখলে।
২. বিধ্বংসী ব্যাটিং
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বরাবরই টি-২০তে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের জন্য সেরাদের
কাতারে শীর্ষে ছিল। ক্রিস গেইল থেকে শুরু করে কাইরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেল থেকে ডয়েন
ব্রাভো- প্রতিটা খেলোয়াড়ই যেন এক একসময় নিজেদের দানবীয় রূপে ধরা দিয়েছেন বিভিন্ন সময়।
আর এবার তো নিজেদের ঘরের মাটিতেই খেলা। যার জন্য ক্যারিবীয়দের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের
দ্বারা যেকোন সেরা বোলারও নড়বড়ে অবস্থায় থাকেন।
ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং লাইন-আপে রয়েছেন অভিজ্ঞ শাই হোপ, নিকোলাস
পুরান, ব্রেন্ডন কিং, সিমরন হেটমায়ার ও জনসন চার্লসের মতো বিধ্বংসী ব্যাটাররা।
৩. ট্রিকি বোলিং
ক্যারিবীয় বোলারদের একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে তারা এক একজন ভিন্ন রকমের
এন্টারটেইনিং পার্সোনালিটি মেইনটেইন করে চলে। শুধু তাই নয়, নিজেদের পার্সোনালিটির পাশাপাশি
বল হাতেও নানারকম কারিশমা দেখাতে পারেন তারা। ধরুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোন বোলার ওভারের
প্রথম তিনটি বল ১৪০-১৪৫ কি.মি. গতিতে করল। আর পর পর তিনটি বল এমন গতির দেখে ব্যাটাররা
সাধারণত ধরেই নিবে পরের বলটিও এমন গতিতেই হবে। কিন্তু চতুর্থ বলটি হুট করে বোলার ৯০-৯৫
অথবা ১০০-১১০ কি.মি. গতিতে করলেন। এমন ট্রিকসের ফাঁদে পড়ে যেকোন নামীদামী ব্যাটারই
নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিতে পারেন। আর এই ট্রিকি বোলিংও ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটি বড় হাতিয়ার।
৪. অলরাউন্ডারদের দাপট
এবারের বিশ্বকাপে উইন্ডিজ অলরাউন্ডারদের পাল্লা বেশ ভারি। অধিনায়ক
রভম্যান পাওয়েলের সঙ্গে ব্যাট-বল হাতে ছড়ি ঘোরাতে পারেন জেসন হোল্ডার, আন্দ্রে রাসেলরা।
একাদশে সুযোগ পাওয়ার বিবেচনা কিছুটা পিছিয়ে থাকবেন শেরফান রাদারফোর্ড। তবে বোলিংয়ে
দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি কার্যকরী ব্যাটিং করতে পারেন রোমারিও শেফার্ড।
৫. ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস
ক্যারিবীয়দের বোলিং ইউনিটে সবচেয়ে বড় চমক হচ্ছে শামার জোসেফ। অস্ট্রেলিয়ার
গ্যাবায় বল হাতে ঝড় তুলে নিজের অভিষেকের মাসেই প্লেয়ার অব দ্য মান্থ পুরস্কার জিতেছিলেন
তিনি। বল হাতে সুইং আর গতির যে কম্বিনেশন তিনি তৈরি করেন তাতে যেকোন বিশ্বমানের ব্যাটারও
নড়বড়ে অবস্থায় চলে যাবে।
সেই সাথে এবার শামার জোসেফের সঙ্গে বল হাতে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের
মনে কাঁপন ধরাতে প্রস্তুত আলজেরি জোসেফও। এছাড়া ঘূর্ণি দেখানোর অপেক্ষায় রয়েছেন রস্টন
চেজ, গুদাকেশ মোতি ও আকিল হোসেনরা।
উল্লেখ্য, আগামী ২ জুন থেকে শুরু হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। আসরের উদ্বোধনী
ম্যাচে কানাডাকে চ্যালেঞ্জ জানাবে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া দিনের অন্য ম্যাচে
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা পাপুয়া নিউ গিনির মুখোমুখি হবে আরেক স্বাগতিক ওয়েস্ট
ইন্ডিজ। সেই হিসেবে আর ১৩ দিন পর নামতে হবে তাদের। তারই ধারাবাহিকতায় ১৫ সদস্যের দল
ঘোষণা করেছে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকরা।
আসন্ন বিশ্বকাপ দলে আছেন আলোচিত পেসার শামার জোসেফ। অভিজ্ঞদের মধ্যে
আছেন সিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার এবং আন্দ্রে রাসেলও বিশ্বকাপ দলে আছেন। তবে নেই
আইপিএলে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা সুনিল নারিন ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট মাতিয়ে বেড়ানো
কাইল মেয়ার্স। বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আছে
আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি এবং উগান্ডা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ স্কোয়াড:
রভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), আলজেরি জোসেফ, জনসন চার্লস, রস্টন চেজ,
সিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, শাই হোপ, আকিল হোসেন, শামার জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, গুদাকেশ
মোতি, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, শেরফান রাদারফোর্ড, রোমারিও শেফার্ড।
বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইডিন্জ
মন্তব্য করুন
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। রোববার মৌসুমের শেষ দিনে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে জিতলেই প্রথম দল হিসেবে টানা চতুর্থবার প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে ম্যানসিটি। এই যাত্রায় দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছেন ফোডেন।
২০২৩-২৪ আসরে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ফোডেনের নাম শনিবার (১৮ মে) ঘোষণা করেছে প্রিমিয়ার লিগ। সেরা হওয়ার পথে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ম্যানচেস্টার সিটি সতীর্থ আর্লিং হাল্যান্ড, নিউক্যাসলের আলেক্সান্দার ইসাক, আর্সেনালের মার্টিন ওডেগার্ড ও ডেকলান রাইস, চেলসির কোল পালমার, লিভারপুলের ভার্জিল ফন ডাইক ও অ্যাস্টন ভিলার ওলি ওয়াটকিন্সকে।
চলতি মৌসুমে পেপ গার্দিওলার আস্থাতেই ছিলেন ফোডেন। আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন। ৩৪ ম্যাচে সিটির জার্সিতে নেমে ২৫ গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন। নিজে গোল করেছেন ১৭টি, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৮টি। মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্সে চলতি মাসে দ্বিতীয়বার সেরার স্বীকৃতি পেলেন ফোডেন। মাসের শুরুতে ইংল্যান্ডের ফুটবল লেখক সমিতির বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরার স্বীকৃতি পেয়ে গর্বিত ফোডেন। তিনি বলেন, এই পুরস্কার আমার কাছে এমন এক অর্জন, যা নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। প্রিমিয়ার লিগ বিশ্বের সেরা লিগ হিসেবে সমাদৃত। অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড়ের সঙ্গে মনোনীত হতে পেরে আমি আনন্দিত। সব মিলিয়ে এই মৌসুমে আমি যেভাবে খেলেছি, তাতে খুব খুশি এবং এটা ভেবে খুব আনন্দিত যে মৌসুমজুড়ে গোল করা ও গোলে সহায়তায় অবদান রাখতে পেরেছি। আমি সিটির সব স্টাফ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ, তাদের ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। যারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরার পুরস্কার এনিয়ে টানা পঞ্চমবার জিতলো সিটির খেলোয়াড়রা। ফোডেনের আগে একবার করে রুবেন দিয়াস ও আর্লিং হাল্যান্ড এবং ডি ব্রুইনে জিতেছেন দুইবার।
ফিল ফোডেন ম্যানচেস্টার সিটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
মন্তব্য করুন
প্রিমিয়ার লিগ শেষ মুহূর্তে এসে জমে উঠলেও শিরোপার সমীকরণ এখনও মেলাতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনাল। একে অপরকে রীতিমতো টেক্কা দিয়েই চলেছে এই দুই ক্লাব। যদিও গানারদের চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়েই আছে সিটিজেনরা।
তবে আজ রাতেই এই লড়াইয়ের মীমাংসা হয়ে যাবে। শিরোপার লড়াইয়ে রাতে আলাদা আলাদা ম্যাচে মাঠে নামবে আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি। আজ (রোববার) রাত ৯টায় ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। আর অন্য ম্যাচে এভারটনকে চ্যালেঞ্জ জানাবে আর্সেনাল।
লিগে এখন ৩৭ ম্যাচে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে ম্যানসিটি। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট আর্সেনালের। ৭৯ পয়েন্টের অধিকারী লিভারপুল শিরোপার দৌড় থেকে ছিটকে গেছে আগেই।
প্রায় দুই দশক পর লিগ শিরোপার স্বাদ নিতে এভারটনের বিপক্ষে আর্সেনালের জিততেই হবে, পাশাপাশি ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে হারতে হবে ম্যানচেস্টার সিটিকে। সে তুলনায় ম্যানসিটির সমীকরণটা সহজ, ৩৮তম ম্যাচে জিতলেই আর কিছুর হিসাব মেলাতে হবে না গার্দিওলার শিষ্যদের।
এদিকে চ্যাম্পিয়ন যেই হোক, কত টাকা পাবে তারা? রানার্সআপদের জন্যই বা বরাদ্দ কত? মার্কার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চ্যাম্পিয়নরা পাবে ৫৭ মিলিয়ন ইউরো, টাকার হিসাবে যা প্রায় ৭২৩ কোটি।
অপরদিকে আর্সেনাল যদি হোঁচট খায়, তবে তারা পাবে ৫২ মিলিয়ন ইউরো। লিভারপুল এরই মধ্যে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করে ফেলেছে। তারা পাবে ৫০ মিলিয়ন ইউরো। চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলা পাবে ৪৭ মিলিয়ন ইউরো।
ম্যানচেস্টার সিটি আর্সেনাল প্রিমিয়ার লিগ
মন্তব্য করুন
গত ম্যাচে চোটের কারণে দলের সাথে ছিলেন না লিও মেসি। যার জন্য হেরেছিল তার দল। তবে পরের ম্যাচে যেমনি তিনি দলে ফিরলেন তেমনই জিতল ফ্লোরিডার ক্লাবটি। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ১৪ তম ম্যাচডে তে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে মেসির দল।
রোববার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় (বাংলাদেশ সময়) নিজেদের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ডিসি ইউনাইটেডকে আতিথ্য দেয় মায়ামি। ইস্টার্ন কনফারেন্স স্লটের এই ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে মেসি-সুয়ারেজরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই দলগতভাবে ইন্টার মায়ামি দাপট দেখালেও জালে বল পাঠাতে পারছিলেন না কেউই। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা হয়তো গোলশূন্য ড্রয়েই শেষ হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের শেষে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে গোল করে চমক দেখান কাম্পানা। মাঝমাঠ থেকে বুসকেতসের বাড়ানো বলকে দুর্দান্ত ভলিতে জালে জড়ান ইকুয়েডরিয়ান এ ফরোয়ার্ড।
উল্লেখ্য, লিগে ১৫ ম্যাচে ৯ জয় ৪ ড্র ও ২ হারে মায়ামির পয়েন্ট ৩১। এক ম্যাচ কম খেলা সিনসিনাটির পয়েন্ট ৩০। মায়ামির পরবর্তী ম্যাচ আগামী রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায়। সেই ম্যাচে ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে মাঠে নামবে মেসিরা।
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা ইন্টার মায়ামি
মন্তব্য করুন
ম্যাচের মাঝে যেকোনো সময় একজন ক্রিকেটারকে বদলে ফেলতে পারবে দু’টি দল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত আসর থেকে শুরু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নামে এই নিয়ম। এই নিয়ম আসার পর আইপিএলে বদলেছে অনেক কিছুই। যেমন- এখন আর প্রথম একাদশ বেছে নিলেই হয় না। বেছে নিতে হয় একজন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও। তাই এখন ১১ জন নয়, বরং ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। যেদিন থেকে আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম এসেছে, সেদিন থেকে অলরাউন্ডারের প্রয়োজন কমে যাবে কি না সবার মনে এই একটাই প্রশ্ন ছিলো।
তবে এখন প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় দলে এই নিয়মের কোন প্রভাব পড়ছে কি না, সেই নিয়ম কি বিপদে ফেলছে ভারতীয় দলকেই, নাকি হচ্ছে সুবিধা? আইপিএলের এই নিয়মটা পছন্দ না ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার। সম্প্রতি রোহিত ক্লাব ফ্রেইরে পডকাস্টে বলেছিলেন তার ভাবনার কথা। এবার রোহিতের সঙ্গেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ইস্যুতে নিজের সুর মিলিয়েছেন ভিরাট কোহলি।
কোহলি বলেন, চার-ছক্কা হলেই ম্যাচ জমে না। ব্যাটসম্যান ও বোলারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গা থাকলেই ক্রিকেট হয়ে ওঠে আনন্দদায়ক। জিও সিনেমায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ভিরাট। রোহিতের কথায় সমর্থন জানিয়ে কোহলি বলেন, আমি রোহিতের সঙ্গে একমত। খেলার একটা দিক হচ্ছে বিনোদন, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে কোনো সমতা থাকছে না। এ অবস্থায় বোলারদের খারাপ লাগারই কথা। আমি আগে কখনো এমন পরিস্থিতি দেখিনি, যেখানে একজন বোলারকে প্রতিটি বলে চার বা ছয় হজমের কথা ভাবতে হচ্ছে। সব দলে তো আর বুমরাহ কিংবা রশিদ খান নেই।
কোহলি আরও বলেন, একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিয়মটা আমি ভালো বলতে পারি। কিন্তু ম্যাচ তো জমজমাট হতে হবে। ক্রিকেটে চার-ছক্কা হলেই যে ম্যাচ জমে ব্যাপারটা এমন না। ১৬০ রান ডিফেন্ড করতে পারলেও কিন্তু ম্যাচ জমে, সেখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আবহ দর্শকরা উপভোগ করতে পারে।
উল্লেখ্য, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মে আছে, কোনো খেলোয়াড় আউট হয়ে গেলে তার পরিবর্তে নামা কেউ ব্যাট করতে পারবেন। তবে ১১ জনের বেশি ব্যাট করতে পারবেন না। আবার বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও যদি কোনো প্লেয়ারের কোটা শেষ হয়ে যায়, তাহলে বদলি হিসেবে নামা একজন পূর্ণ ৪ ওভার বল করতে পারবেন। মূলত, এই সিস্টেমে ক্রিকেটে অলরাউন্ডারদের ভূমিকা কমছে। সুবিধামত সময়ে অতিরিক্ত একজন পূর্ণ ব্যাটার কিংবা বোলার ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন অধিনায়করা।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আইপিএল রোহিত শর্মা ভিরাট কোহলি
মন্তব্য করুন
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। রোববার মৌসুমের শেষ দিনে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে জিতলেই প্রথম দল হিসেবে টানা চতুর্থবার প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে ম্যানসিটি। এই যাত্রায় দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছেন ফোডেন।
ম্যাচের মাঝে যেকোনো সময় একজন ক্রিকেটারকে বদলে ফেলতে পারবে দু’টি দল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত আসর থেকে শুরু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নামে এই নিয়ম। এই নিয়ম আসার পর আইপিএলে বদলেছে অনেক কিছুই। যেমন- এখন আর প্রথম একাদশ বেছে নিলেই হয় না। বেছে নিতে হয় একজন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও। তাই এখন ১১ জন নয়, বরং ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। যেদিন থেকে আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম এসেছে, সেদিন থেকে অলরাউন্ডারের প্রয়োজন কমে যাবে কি না সবার মনে এই একটাই প্রশ্ন ছিলো।