ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন যারা

প্রকাশ: ০৪:১৫ পিএম, ২০ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বিশ্বকাপ আসলেই চলতে থাকে নানা জল্পনা-কল্পনা। কে হবেন টুর্নামেন্ট সেরা ফুটবলার, কে জিতবেন এবারের আসরের গোল্ডেন বুট! পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই চলতে থাকে এসব অনুমান। তবে ফুটবল যত আধুনিক হয়েছে, ততই বেড়েছে প্রতিযোগিতা। কঠিন হয়েছে গোল করা। প্রতি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বল জালে জড়ানো ফুটবলারের হাতে উঠে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার 'গোল্ডেন বুট'। এবারো সম্ভাব্য গোল্ডেন বুট জয়ী নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

১৯৩০ উরুগুয়ে বিশ্বকাপ থেকে শুরু। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ পর্যন্ত ২১টি আসর বসেছে ফুটবলের এই বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতার। এবার কাতারে অনুষ্ঠিত হবে ২২তম বিশ্বকাপ। প্রতিটি আসর শুরুর আগে নানা রেকর্ডের হাতছানি থাকে। এবারের বিশ্বকাপে অনন্য এক রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে ইংলিশ ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইন ও জার্মানির থমাস মুলার। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার 'গোল্ডেন বুট' একাধিকবার জেতার কীর্তি নেই কারোরই। তবে কেইন বা মুলার মাঠে নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে ভেঙে দিতে পারেন সে রেকর্ড। চলুন দেখে নেই, এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে এক আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন করা?

বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা:

১৯৩০: প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন গুইলার্মো স্তাবিলে। সে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠার পেছনে বড় অবদান ছিলো তার। উরুগুয়ের কাছে হেরে রানার্সআপ হলেও, টুর্নামেন্টে ৮ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন তিনি।

১৯৩৪: পরের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন চেকোস্লোভাকিয়ার অলদ্রিচ নেদলি। ইতালিতে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল নেদলির চেকোস্লোভাকিয়া। তবে স্বাগতিকদের কাছে হেরে শিরোপা জেতা না হলেও, ৫ গোল করে হন সর্বোচ্চ গোলদাতা।

১৯৩৮: ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হওয়া তৃতীয় ফুটবল বিশ্বকাপে মোহনীয় ফুটবল উপহার দিয়েছিলেন ব্রাজিলের লিওনিদাস ডি সিলভা। সেবার সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ে ব্রাজিল। তবে ৭টি গোল করে গোলদাতার তালিকায় সবার উপরে ছিলেন লিওনিদাস।

১৯৫০: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে এক যুগ পর অনুষ্ঠিত হয় ফুটবল বিশ্বকাপের চতুর্থ আসর। বিশ্বকাপের আয়োজন করে ব্রাজিল। বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে উরুগুয়ের কাছে ফাইনালে হেরে সেবার শিরোপা জেতা হয়নি ব্রাজিলের। যা মারাকানার কান্না নামে স্থান পেয়েছে দলটির ফুটবল ইতিহাসে। তবে সেবার ৯ গোল করে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন ব্রাজিলের আদেমির দে মেনেজেস।

১৯৫৪: বিশ্বকাপের পঞ্চম আসর ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে গোলবন্যার বিশ্বকাপ হিসেবে। সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সে বিশ্বকাপের ২৬ ম্যাচে গোল হয় ১৪০টি। সে আসরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো হাঙ্গেরি। তবে ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির কাছে হেরে বিশ্বকাপ জেতা হয়নি তাদের। যা ফুটবল ইতিহাসে "মিরাকল অব বার্ন" নামে পরিচিত। শিরোপা না জিতলেও সান্দর ককসিচ ১১ গোল করে হন সর্বোচ্চ গোলদাতা।

১৯৫৮: সুইডেনে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ে ফ্রান্স। তবে অনন্য এক কীর্তি গড়েন ফরাসি স্ট্রাইকার জুস্ত ফন্টেইন। ৬ ম্যাচ খেলে করেন ১৩ গোল। আগের আসরে ককসিচের করা রেকর্ড ভেঙে দিয়ে নিজের নাম লেখেন এই জাদুকর। যা এখনও জ্বলজ্বল করছে এক আসরে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড হয়ে।

১৯৬২: এই বিশ্বকাপেই প্রথমবার একাধিক সর্বোচ্চ গোলদাতার দেখা মেলে। চিলিতে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন হাঙ্গেরির ফ্লোরিয়ান আলবের্ত, ব্রাজিলের গারিঞ্চা, সোভিয়েত ইউনিয়নের ভালেন্তিন ইভানভ, যুগোস্লোভিয়ার দ্রাজান জেরকোভিচ, চিলির লিওনেল সানচেস, এবং ব্রাজিলের ভাভা। প্রত্যেকই গোল করেন ৪টি করে।

১৯৬৬: পরের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। তবে সেবার ফুটবল শৈলী দিয়ে মুগ্ধতা ছড়ার পর্তুগালের ইউসেবিও। ৯টি গোল করে সে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন পর্তুগীজ ফুটবলের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার নায়ক।

১৯৭০: এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন জার্মান ফুটবল কিংবদন্তি জার্ড মুলার। ১০টি গোল করে স্থান করে নেন সর্বোচ্চ গোলদাতাদের কুলীন তালিকায়। ১০ বা এর অধিক গোলদাতার তালিকায় নাম উঠান তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে।

১৯৭৪: পরের বছর সবচেয়ে বেশি গোল করার কৃতিত্ব দেখান পোল্যান্ডের জেগ্রোস লাটো। ৭টি গোল করে জিতে নেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার।

১৯৭৮: বিশ্বকাপের প্রথম আসরের রানার্সআপ আর্জেন্টিনার ৪৮ বছরের অপেক্ষার অবসান হয় এই বিশ্বকাপে। নেদারল্যান্ডসকে কাঁদিয়ে সেবার নিজেদের প্রথম শিরোপার দেখা পায় লাতিন দলটি। সে পথে ৬ গোল করে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন এল ম্যাটাডোর খ্যাত মারিও কেম্পেস। হন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

১৯৮২: প্রথম দল হিসেবে ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ দুটি বিশ্বকাপ জিতেছিল ইতালি। এরপর দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে তৃতীয় শিরোপার দেখা পায় আজ্জুরিরা। সে টুর্নামেন্টে ৬টি গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন ইতালিয়ান কিংবদন্তি পাওলো রসি।

১৯৮৬: ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন গ্যারি লিনেকার। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে লিনেকার ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে। ৬টি গোল করে সেবার গোল্ডেন বুট নিজের পকেটে পুড়েছিলেন এই ইংলিশ গ্রেট।

১৯৯০: ৬ গোল করে নব্বই দশকের প্রথম বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার জেতেন ইতালির সালভাতোর স্কিল্লাচি।

১৯৯৪: এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন যৌথভাবে রাশিয়ার ওলেগ সালেনকো এবং বুলগেরিয়ার খ্রিস্তো স্ত্রইচকফ। দুজনেই করেন ৬টি করে গোল।

১৯৯৮: সেবার দেশম-জিদানের হাত ধরে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ জেতে ফ্রান্স। তবে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার দাভোর সুকের। গোল করেন ৬টি।

২০০২: একবিংশ শতাব্দীর প্রথম বিশ্বকাপ। সেবার নিজেদের পঞ্চম শিরোপা ঘরে তোলে ব্রাজিল। টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে সেলেসাওরা। এই বিশ্বকাপে ৮ গোল করে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লেখান রোনালদো-দ্যা ফেনোমেনন।

২০০৬: বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলে জার্মানি। সে পথে জার্মানদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছিল স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসা। ৫ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাও ছিলেন তিনি।

২০১০: স্পেন শিরোপা জিতলেও, এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার যায় জার্মানদের ঘরে। বিশ্বকাপ অভিষেকের মঞ্চে দারুণ খেলে ৫ গোল করে গোল্ডেন বুট জেতেন থমাস মুলার। সেই সাথে জেতেন টুর্নামেন্টের উদীয়মান তারকার পুরষ্কারও।

২০১৪: হামেস রদ্রিগেসের আগমন অনেকটাই ধুমকেতুর মতো। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বকে। ৬টি গোল করে হয়েছিলেন সে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

২০১৮: রাশিয়া বিশ্বকাপে ভালই এগোচ্ছিলো ইংল্যান্ড। তবে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিদায় নেয় সেমিফাইনাল থেকে। আর দলকে শেষ চারে তুলতে সেবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হ্যারি কেইন। করেন ৬ গোল। যা তার হাতে তুলে দেয় সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার।


কাতার বিশ্বকাপ   সর্বোচ্চ গোলদাতা   গোল্ডেন বুট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে শুভকামনা জানালেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করছেন। আর তিনি যখন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তখন তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে উড়াল দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তিনি এ শুভকামনা জানান। সেখানে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে এক প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

ম্যাচ শেষে ডোনাল্ড লু সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আজ ক্রিকেট খেলেছি। বাংলাদেশের জনগণ ক্রিকেট পাগল। যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট সিরিজের আয়োজন করতে পেরে সন্তুষ্ট। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করছে বলে আমরা খুব খুশি।

তিনি বলেন, আজকের প্রীতি ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। তিনি একজন বিশ্বমানের আম্পায়ার। তিনি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন, এটি আমাদের জন্য আনন্দের। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের জন্য আমাদের শুভ কামনা রইল।

বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে পৌঁছালে ডোনাল্ড লু ও পিটার হাসকে জার্সি ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তাদের শুভেচ্ছা জানান বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। এ সময় নারী ক্রিকেট দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ১৪ মে তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন।


ডোনাল্ড লু   বাংলাদেশ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে ফিফার নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ০৭:৩৪ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বে নারী ফুটবল ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। এটি মূলত মেয়েদের ক্লাব বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক। যা নিয়ে বড় সুখবরই দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

ফিফা জানিয়েছে, আগামী ২০২৬ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে মাঠে গড়াবে মেয়েদের প্রথম ক্লাব বিশ্বকাপের আসর। চার বছর পর পর মাঠে গড়াবে এই আসর। যেখানে অংশ নেবে ১৬টি ক্লাব।

বুধবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে কংগ্রেসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। গত বছরের ডিসেম্বরেই ফিফা ঘোষণা দিয়েছিল এটি। অবশেষে আজকের সাধারণ সভায় তা চূড়ান্ত হলো।

নারীদের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। আর যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন গোথাম এফসি, লাতিন অঞ্চলের মেয়েদের কোপা লিবারতাদোরেসের সেরা ব্রাজিলের করিন্থিয়াস।

জানা গেছে, মহাদেশীয় অঞ্চলের চ্যাম্পিয়নরা ছাড়াও র‍্যাংকিংয়ের বিচারে অংশ নেবে বাকি ক্লাবগুলো।


বার্সালোনা   ক্লাব ফুটবল   ফিফা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসিদের লিগে পাড়ি জমাচ্ছেন অলিভিয়ে জিরু

প্রকাশ: ০৭:০৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর্জেন্টাইন ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসি মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) যোগ দেওয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছে লিগটি। আর মেসি যাওয়ার পর থেকে এই লিগে পাড়ি জমিয়েছেন বিশ্বের সব নামিদামী খেলোয়াড়রা। যার মধ্যে রয়েছেন জর্দি আলবা, সার্জিও বুসকেটস ও লুইস সুয়ারেজদের মতো তারকা ফুটবলার।

এবার একই লিগে খেলতে যাচ্ছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা অলিভিয়ে জিরু। আগেই জানা গিয়েছিল, চলতি মৌসুম শেষে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানের ডেরা ছাড়বেন জিরু। তবে তার পরবর্তী ঠিকানা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। অবশেষে সেটিও জানা গেল।

এমএলএসের ক্লাব লজ অ্যাঞ্জেলস এফসিতে পাড়ি দিবেন জিরু। এ বিষয়টি মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিশ্চিত করেছে ক্লাবটি।

সেই পোস্টে জিরুর একটি অ্যানিমেটেড ছবি দিয়ে তারা লিখেছে, ‘লস অ্যাঞ্জেলসে একজন নতুন তারকা এসেছে।’

এছাড়া ইনস্টাগ্রামে জিরুকে ট্যাগ করে তারা লিখেছে, ‘২০২৫ সাল পর্যন্ত এলএএফসিতে খেলবেন ফরাসি স্ট্রাইকার। তবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।’

গত মৌসুমে দলের তারকা খেলোয়াড় মেক্সিকোর কার্লোস ভেয়া দল ছাড়ার পর থেকে আক্রমণভাগের জন্য একজন বিশ্বমানের ‘নাম্বার নাইন’ খুঁজছিল এলএএফসি। ইন্টার মায়ামি যেমন লিওনেল মেসিকে ভিড়িয়ে তাকে ঘিরেই দল সাজিয়েছে; জিরুকে নিয়েও তেমন ভাবনা এলএএফসি’র।  

গত সোমবার মিলান ছাড়ার ঘোষণা দেন জিরু। ইতালিয়ান ক্লাবটির হয়ে তিন মৌসুমে ৪৮ গোল করেছেন ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা। ইউরোপিয়ান ফুটবলে সফল একটি ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানছেন তিনি।


অলিভিয়ে জিরু   ফ্রান্স   ফুটবল   মেজর লিগ সকার   এমএলএস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মারুফাকে দলে নিতে চান হারমানপ্রিত

প্রকাশ: ০৬:৫৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর। যার পরিচিতিটা বাংলাদেশের সমর্থকদের কাছে কিছুটা নেতিবাচকই। গেল বছর বাংলাদেশ সফরে এসে তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। আম্পায়ারদের দিকে আঙুল তোলা ছাড়াও স্বাগতিক বাংলাদেশকে নিয়েও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে ছাড়েননি। যার জেরে আইসিসি থেকে নিষেধাজ্ঞাও ভোগ করতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার উইমেন্স টিমের এই কাপ্তানকে।

সেই হারমানপ্রীতেরই মনে ধরেছে বাংলাদেশি এক নারী পেসারকে। যদি সুযোগ থাকতো একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে নিজের দলে নেওয়ার, তাহলে পেসার মারুফা আক্তারকে নিতে চাইতেন হারমানপ্রীত। সম্প্রতি আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দল থেকে আমি নিতে চাই মারুফা আক্তারকে। আমার কাছে সে অনেক প্রতিভাবান একজন ক্রিকেটার। আমার মনে হয় সে আমাদের দলে থাকলে আমাদের অনেক সাফল্য এনে দিতে পারবে।’

পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই মাঠে গড়াবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার আয়োজক বাংলাদেশ। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কদিন আগেই ভারতীয় টিম বাংলাদেশে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলে গেছে। যেখানে সবকটিতেই জিতেছে হারমানপ্রীত-স্মৃতি মান্দানারা। বিশ্বকাপেও বাংলাদেশকে হারাতে চান তারা। যদিও কন্ডিশন ও দর্শক বিবেচনায় বাংলাদেশকে সমীহই করছেন হারমানপ্রীত।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ হোম টিম, তারা এই কন্ডিশন আমাদের চেয়ে ভালো জানে। দর্শক সমর্থনও তাদের পক্ষে থাকবে। তাদের বিপক্ষে খেলা সবসময়ই রোমাঞ্চকর। আশা করছি তাদের বিপক্ষে আমরা ভালোই খেলব।’

আসন্ন নারী বিশ্বকাপে চার সেমিফাইনালিস্ট কারা হবে, সে প্রেডিকশনও করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। নিজেদের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলকে এগিয়ে রাখছেন কৌর।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট   হারমানপ্রিত কৌর   মারুফা আক্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রাথমিক লক্ষ্য গ্রুপ পর্ব পার করা’

প্রকাশ: ০৫:৩০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ১৯তম দল হিসেবে সদ্যই স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ। যেখানে টাইগারদের নেতৃত্বে রয়েছেন যথারীতি নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া সহ-অধিনায়ক হিসেবে রয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। যদিও সিরিজটি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য আদর্শ নয় বলে সাকিব আল হাসান ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মন্তব্য করেছিলেন। তারপরেও এই সিরিজের পারফরম্যান্স বিবেচনা করেই দল বাছাই করেছে বিসিবি।

এরই মধ্যে সবমিলিয়ে বিশ্বকাপের জন্য টাইগারদের প্রস্তুতি বেশ ভালো বলে জানিয়েছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আজ (বুধবার) মিরপুর শের–ই বাংলায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাথুরু বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি মনে হয় খুব ভালো। চট্টগ্রামে আমাদের ভালো ক্যাম্প হয়েছে। সবমিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টেয়েন্টি সিরিজ খেলেছি। এই ম্যাচগুলোতে বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে সুযোগ দিয়েছি আমরা। যেখানে আমরা কিছু জায়গা এক্সপোজ করছি। কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়েও চিন্তার জায়গা আছে, তবে এর বাইরে আমাদের প্রস্তুতি বেশ ভালো।’

টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও, বাংলাদেশের ভালো করার সুযোগ দেখছেন এই প্রধান কোচ, ‘প্রতিটা টুর্নামেন্টে আমাদের আগের চেয়ে ভালো করার সুযোগ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। আমরা র‌্যাঙ্কিংয়ে কোথায় আছি, সেটাতেও দেখা যায়। এখানে অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু আমাদের যে প্রস্তুতি, সেটার হিসাবে বলতে পারি আগের চেয়ে ভালো করার সুযোগ আছে।’

বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রাথমিক লক্ষ্য গ্রুপপর্ব পার করা। তবে বিষয়টি কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার ওপরও নির্ভর করছে বলে উল্লেখ করেন হাথুরুসিংহে, ‘আইসিসি ইভেন্টের বাইরে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। দেশেরও প্রত্যাশা আছে যেন আমরা বড় কিছু করতে পারি। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য গ্রুপ পর্ব পার করা। তবে আমাদের ওই দেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে খেলা আমাদের সবার জন্যই নতুন অভিজ্ঞতা। তাদের টাইমজোন, আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। হয়তো দু-একটি সমন্বয়ও চেষ্টা করব। তার মানে মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়া...।’

বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সে কারণে আজই (১৫ মে) তাদের দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে। আগামী ২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে নাজমুল হোসেন শান্তর দল নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৭ জুন শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে।


বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন