উপসাগরীয় দেশ
কাতার । যখন ২০২২-এর বিশ্বকাপে স্বাগতিক দেশ হিসাবে কাতারকে নির্বাচিত করা হয়, তখন
অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রকৃত চ্যালেঞ্জগুলো দেশটি
মোকাবেলা করতে পারবে কিনা। যেমন যে দেশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়,
সেখানে খেলোয়াড় এবং দর্শকরা গরম কীভাবে সামাল দেবেন।
একটা সমাধান
ছিল টুর্নামেন্ট শীতকালে সরিয়ে নেয়া। কিন্তু মরু অঞ্চলের ধনী দেশটি এখনও এই নজিরবিহীন
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাকে একটা কিংবদন্তী করে তোলার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। যেটা হল: প্রযুক্তির
এমন অগ্রগতি যার মাধ্যমে এমনকি সবচেয়ে উষ্ণ আবহাওয়ার দেশগুলোর জন্য সারা বছর যে কোন
সময়ে বড় ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সম্ভব হবে। কাতারের স্থানীয় ফুটবলার হাজার
সালেহ বলছেন, ওই এলাকার তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা খেলার জন্য বিশাল একটা চ্যালেঞ্জ।
কাতারে তাপমাত্রা
ও আর্দ্রতা খুব বেশি হতে পারে। সমুদ্র থেকে গরম হাওয়া ছোট এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির ওপর
দিয়ে প্রবাহিত হয়।
প্রথম চ্যালেঞ্জ
হল গরম বাতাস বের করে দেয়া। আল জানউব স্টেডিয়ামের ছাদ এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে
বাতাস এর চারপাশ ঘিরে এবং ছাদের খোলা অংশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ছাদের রঙও হালকা
রাখা হয়েছে যাতে সূর্যের আলো তাতে প্রতিফলিত হয় এবং ছাদ শীতল রাখে।
পিচ এবং স্ট্যান্ডগুলো
ঠাণ্ডা রাখার জন্য আরও কিছু উদ্ভাবনী সমাধান নেয়া হয়েছে। যেদিন ম্যাচ হবে, ভেতরের স্ট্যান্ডগুলো
৪০ হাজার মানুষে ভর্তি থাকবে। আর প্রতিটি মানুষের শরীর থেকে তাপ আর আর্দ্রতা তৈরি হবে।
একদিকে কাতারের আবহাওয়ার উত্তাপ আর অন্যদিকে ভেন্যুর ভেতর মানুষের শরীর থেকে সৃষ্ট
তাপ যুক্ত হওয়ায় সেখানে কার্যকর একটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োজন।
স্ট্যান্ডে
ফুটবল দর্শকদের প্রত্যেকের আসনের নিচে ভেন্টিলেটার বসিয়ে সেখান দিয়ে হাওয়া চালিয়ে আসন
শীতল রাখা হচ্ছে। শাওয়ারের ঝারিমুখ দিয়ে যেমন পানির ধারা বের হয়, তেমনভাবে সূক্ষ্ম
ঝারি দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস ছাড়া হবে, যা দর্শকদের চারপাশ থেকে ঘিরে রাখবে।
বাতাসের এই
প্রবাহ হবে খুবই মৃদু। বিমানে আসনের ওপর থেকে বাতাস ছাড়ার যে ভেন্ট থাকে, সেখান থেকে
যেভাবে জোরে বাতাস ছাড়া হয় সেভাবে এটা কাজ করবে না।
অন্যদিকে ফুটবলারদের
জন্য রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা। একজন ফুটবল খেলোয়াড় একটা ম্যাচের সময় ১০ কিলোমিটারের বেশি
দৌড়ান, ফলে তাদের শরীর থেকে তিন লিটার পর্যন্ত ঘাম নির্গত হয়। কাজেই তাদের শরীর ঠাণ্ডা
করার এবং শরীরে পানির প্রয়োজন হয়।
কাতারের আবহাওয়া
আর্দ্র, ফলে সেখানে ঘাম সহজে শুকায় না। সে কারণে শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যেতে
পারে এবং অতি গরমে মানুষ অবসন্ন হয়ে পড়তে পারে।
ফলে, কাতার
বিশ্বকাপের সময় পিচের ওপর একটা শীতল আস্তরণ তৈরিতে সাহায্য করতে বড় বড় ঝারিমুখ দিয়ে
স্টেডিয়ামে ঠাণ্ডা বাতাস সঞ্চালন করা হচ্ছে।
এই প্রযুক্তি
তৈরিতে সহায়তা করেছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ ড. সাউদ আবদুল গানি। তিনি বলছেন, ভেন্টগুলো
যে কোণা থেকে বসানো হয়েছে এবং তার ফলে ঠাণ্ডা বাতাস যেভাবে এবং যেখানে গিয়ে জমা হচ্ছে,
তাতে খেলোয়াড়রা বুঝতেই পারবেন না যে একটা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে স্টেডিয়ামের
ভেতর ১৮ থেকে ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার একটা ঠাণ্ডা হাওয়ার বুদ্বুদ তৈরি হবে। আর সেটা কখনই
মাটি বা আসনের স্ট্যান্ড থেকে দু'মিটারের বেশি ওপরে উঠবে না। কখনই মনে হবে না মরুভূমির
আকাশে ঠাণ্ডা হাওয়ার ঝটকা ছাড়া হচ্ছে।
ঠাণ্ডা বাতাস
যখন আবার গরম হয়ে উঠবে, তখন এক্সট্রাক্টার ফ্যান ওই গরম বাতাস টেনে নিয়ে যাবে মধ্যবর্তী
একটা এলাকায়। সেখানে ওই বাতাসকে ফিল্টার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আবার শীতল করা হবে এবং
স্টেডিয়ামে পুনঃসঞ্চালন করা হবে। এর মধ্যে দিয়ে বাতাসের সঞ্চালন চক্র সম্পূর্ণ হবে।
স্টেডিয়ামের
প্রতিটি কোণে বসানো হিট এক্সচেঞ্জারগুলোর মধ্যে শীতল পানি-ভর্তি যে পাইপগুলো থাকবে,
গরম হাওয়া ওই পাইপগুলোর পাশে বসানো ফানেলের মাধ্যমে ঠাণ্ডা করা হবে। ঠাণ্ডা পানি বাতাসের
তাপ শুষে নেবার পর ৪০ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মজুত ট্যাঙ্কের ভেতর ওই পানি
পাম্পের মাধ্যমে চলে যাবে। তিন কিলোমিটার দূরে বসানো একটি ট্যাঙ্কে ওই পানি আবার শীতল
করা হবে, যাতে পরের দিনের ম্যাচের জন্য ঠাণ্ডা পানি প্রস্তুত থাকে।
পুরো শীতাতপ
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটি চালানো হবে কাতারের রাজধানী দোহার কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ৮০
কিলোমিটার দূরে সম্প্রতি তৈরি একটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত জ্বালানি ব্যবহার
করে।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার স্টেডিয়াম
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। তবে ইদানিং যেন দুঃসময়ের ঘোর থেকে কিছুতেই বের হতে পারছেন না তিনি। ঘরের মাঠে শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়ে সিরিজে মোটাদাগে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। অধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য মাঝে অবশ্য দল থেকে বাদও পড়েছিলেন। অনেকেরেই ধারণা ছিল, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়বেন লিটন। তবে সবাইকে অবাক করে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন লিটন দাস। সেটিও আবার ১৫ সদস্যের দলে।
চলতি বছর টি-২০ ফরম্যাটে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি লিটন। ৬ ম্যাচ খেলে করেছেন ৭৯ রান, গড় ১৩! আর লিটনের অফফর্মের পরও তিনি বিশ্বকাপের দলে কীভাবে ঠাই পেলেন এ নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। যদিও দল ঘোষণার সময় লিটনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
তিনি বলেন, ‘লিটনকে তৃতীয় (মূলত চতুর্থ) ম্যাচে বাদ দেওয়ার কারণ সেটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। সেজন্য ঐ বিশেষ ম্যাচের জন্য আমাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। লিটন কেবল ওপেনারই নয়, তার বিষয়টা তুললে উইকেটকিপিং সামর্থ্যের কথাও চলে আসে। আমাদের দুটো উইকেটকিপার নিয়ে যেতেই হবে। ওপেনিংয়ে হয়তো তার পরিবর্তে রিপ্লেস করতে পারছি।’
লিটনকে ফর্মে ফেরাতে কাজ চলছে বলেও জানান লিপু। তবে তার বিকল্প হিসেবে আলোচনায় এসেছিল এনামুল হক বিজয়ের নামও, ‘এক্ষেত্রে আবার আমরা এনামুল হক বিজয়কে নিয়েও আলোচনা করেছিলাম। তবে ফর্মহীন থাকার পরও আমাদের লিটনের ওপর আস্থা রাখতে হয়েছে। কারণ তাকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং দুটো ম্যাচ যে তিনি খেলেননি সে সময়ও তার আস্থার জায়গা কিভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোচিং স্টাফরা। কতটুকু উন্নতি হয়েছে সেটা তো বলা যায় না। তবে বল বাছাই ও শট খেলার দিক থেকে তাকে আরও দৃঢ় করার জন্য কোচরা কাজ করছেন।’
এদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরু থেকেই লিটন দলে থাকলেও, উইকেটকিপিংয়ে তার বিকল্প খুঁজতে চেয়েছিল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সে কারণে পুরো সিরিজে উইকেটের পেছনে দায়িত্ব সামলেছেন জাকের আলী অনিক।
তবে এই ভূমিকায় জাকেরের পারফরম্যান্স হয়তো আশা জাগাতে পারেনি বিসিবিকে। বেশ কয়েকটি ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে তার হাত থেকে, এমনকি বল ক্যারি করতেও জাকেরকে নড়বড়ে দেখা গেছে। মনে হচ্ছিল বল ঠিক গ্লাভসে থাকছে না। আর এ কারণেই লিটনের হাতেই কিপিংয়ের দায়িত্ব ছাড়তে হচ্ছে জাকেরকে!
বাংলাদেশ টি-২০ ক্রিকেট বিসিবি প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু লিটন দাস
মন্তব্য করুন
সেই ২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের আগমুহুর্তে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, ‘এবার নয় বরং আগামী ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের ভাবনা।’ বিসিবি সভাপতির সেই ভাবনার বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। আর কিছুদিন পরই মাঠে গড়াবে খেলা। যেখানে যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যেই টাইগাররা সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণও করেছে।
তবে যখন দলের প্রতি আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বসে আসে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে পুরো দেশ, তখন প্রধান নির্বাচকের কথায় ভিন্ন সুর। তিনি বলছেন, বাংলাদেশ টি-২০তে সেই পর্যায়ে এখনও যায়নি যে সেমিফাইনাল নিশ্চিতভাবে খেলতে পারবে। আর দলের প্রধান নির্বাচক যখন এমন কথা বলছেন তখন এটা ধরে নেওয়াই যায় যে দল কতদূর যেতে পারবে।
যদিও প্রধান নির্বাচক আরও বলেছেন যে, ‘আমরা আশা করি প্রথম রাউন্ড পার হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেন খেলতে পারি। তখন আবার প্রচেষ্টা থাকবে পরের ধাপে যাওয়ার।’
তবে প্রধান নির্বাচকের এই ধরনের কথার সুরে ক্রীড়াঙ্গনে বর্তমানে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ‘আমার একটা অনুরোধ, প্রত্যাশা খুব বেশি রাখার দরকার নেই।’ অর্থাৎ বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আশার বেলুন চুপসে দিতে চেয়েছিলেন টাইগার দলপতিও।
আর প্রধান নির্বাচক ও অধিনায়কের এমন কথার পর টাইগারদের পারফরম্যান্সসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেকেই মনে করেন যে, আবারও বিশ্বকাপে ব্যর্থতার আভাস পূর্বেই দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
বাংলাদেশ টি-২০ ক্রিকেট বিসিবি প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু
মন্তব্য করুন
আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই দলে বেশ কিছু চমক থাকলেও স্কোয়াডে সুযোগ হয়নি পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। তার পরিবর্তে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
মঙ্গলবার দুপুরে সোয়া ১টার দিকে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কুড়ি ওভারের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছেন তাসকিন আহমেদকে।
সাম্প্রতিক সময়ে অফফর্মে থাকা লিটন দাসের ওপর আস্থা রেখেছে বিসিবি। তবে বিপিএল মাতিয়ে সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে পারফর্ম করা সাইফউদ্দিনকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি। আর এই বিষয়টিই সম্ভবত আলোচনার জায়গা দখল করতে চলেছে।
এ নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘দুটো রাস্তা ছিল আমাদের সামনে–প্রথমত দলে থাকা ফিট ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে নির্বাচন, দ্বিতীয়ত বাকিদেরও পরখ করে দেখা। আমরা চোট থেকে ফেরা সাইফউদ্দিনের পারফরম্যান্স দেখতে চেয়েছিলাম, তার ওপর অবশ্যই আমাদের আস্থা ছিল। তবে এই (জিম্বাবুয়ে) সিরিজে আমাদের আস্থার জায়গায় কিছুটা এগিয়ে তানজিম সাকিব। সে কারণে সাইফউদ্দিনকে রাখা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাকিবকে আমরা শ্রীলংকা সিরিজেও দেখেছি। তার একাগ্রতা ও আগ্রাসন খুব ভালো। তার সঙ্গে সাইফউদ্দিনের প্রতিযোগিতা চলছিল। সে জায়গায় সাকিব উৎরে গেছে। হাসান মাহমুদকেও আমরা ক্যারি করতে হচ্ছে, তবে আশা করি তাকে খেলানো লাগবে না।’
শুধু ১৫ সদস্যের দলেই নয়, ট্রাভেলিং রিজার্ভেও নাম নেই সাইফউদ্দিনের। গত ৩০ এপ্রিলই আইসিসির কাছে বিশ্বকাপের দল পাঠিয়েছিল বিসিবি। সেই দলে কেবল একটি পরিবর্তন হয়েছে বলে জানান বিসিবির প্রধান নির্বাচক লিপু। আর তা হচ্ছে সাইফউদ্দিনের বাদ পড়াটা। এর বাইরে বাকি ১৪ জনের জায়গা ঠিক রাখা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। রিজার্ভ: হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
বাংলাদেশ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে শুরু হতে যাচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে আগামী ২ জুন থেকে মাঠে গড়াবে খেলা। যার জন্য ইতোমধ্যেই জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে আয়োজক দেশগুলোতে। শুধু তাই নয়, ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দলগুলোও।
প্রতি দুই বছর পর পর বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হলেও এবারের আসরের চ্যালেঞ্জটা একটু ভিন্ন প্রতিটা দলের জন্যই। কারণ এবার বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে কিছু ভিন্নরূপে।
প্রতিবার ১০টি দলের সমন্বয়ে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হলেও এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ২০ দল। শুধু তাই নয়, এবার খেলার সমীকরণটাও বদলেছে। কারণ এবার রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রতি গ্রুপের প্রতিটি দল একে অপরের মোকাবেলা করবে। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সুপার এইট। সেখান থেকে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ টুর্নামেন্টে মাঠে গড়াবে মোট ৫৫টি ম্যাচ।
ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল ১৮টি দল। বাকি ছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের স্কোয়াড ঘোষণা করা। তবে আজ (মঙ্গলবার) বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দুপুর সোয়া ১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু দল ঘোষণার পরপরই শুরু হয়েছে কঠোর সমালোচনা। কারণ টানা অফ ফর্মে থাকা লিটন দাসকেও নেওয়া হয়েছে দলে। এছাড়া বিপিএলে আলো ছড়ানো এবং সদ্য জিম্বাবুয়ে সিরিজের মধ্য দিয়ে লম্বা সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাইফউদ্দিন আহমেদ বাদ পড়েছেন বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে দলের অতি গুরুত্বপূর্ণ অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজকেও রাখা হয়নি স্কোয়াডে।
আর মূলত এসকল কারণেই শুরু হয়েছে কঠোর সমালোচনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের এই দল বিশ্বকাপে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। শুধু তাই নয়, সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ের সাথে দলের যে পারফরম্যান্স সেটির পর বাংলাদেশ বিশ্বকাপে কোনভাবে প্রথম রাউন্ড পার করতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
কারণ, বিশ্বকাপের যে দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ তার মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন মুখ রয়েছে যারা এর পূর্বে কোন বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেনি। এছাড়াও টপ অর্ডার ব্যাটারদের সম্প্রতি যে পারফরম্যান্স তা নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের মনে সন্দেহপ্রবণতা যেন আরও তীব্র হয়েছে।
সম্প্রতি জিম্বাবুয়ের সাথে ঘরের মাঠে টাইগারদের পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে দেখা যায়, টপ অর্ডারে একমাত্র তানজিদ তামিম ছাড়া কেউই সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। পুরো সিরিজে দুই একজন ব্যাটার ছাড়া কারো স্ট্রাইক রেট ১৩০ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। আর চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্টে এমন স্ট্রাইক রেট নিয়ে বাংলাদেশ কতদূর এগোতে পারবে সেটি একটি বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া তাসকিনের ইনজুরিও বড় একটা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে টাইগারদের বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে। তাসকিন দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে উড়াল দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে বিশ্বকাপ শুরুর পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ সেখানে খেলতে পারবেন না তাসকিন। এছাড়া মূল পর্বে টাইগারদের প্রথম যে ম্যাচ সেটিতেও তাসকিন থাকবেন কি না সে বিষয়েও সংশয় রয়েছে। আর তাসকিনের এই ইনজুরি টাইগারদের কতটা ভোগাবে সেটি এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে এই স্কোয়াড নিয়ে কেমন করবে টাইগাররা সেটিই এখন দেখার বিষয়।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড
লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। রিজার্ভ: হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা টুর্নামেন্টে টাইগারদের নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর চোটে পড়া তাসকিন আহমেদকে নিয়েই বিশ্বকাপের বিমানে চড়বে টিম টাইগার্স। তবে বিপিএলে আলো ছড়িয়ে সদ্য জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে রাখা হয়নি স্কোয়াডে।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
চমক হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছেন তানভীর ইসলাম, জাকের আলী অনিক ও রিশাদ হোসেন। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অফফর্মে থাকলেও লিটন দাসের ওপর আস্থা রেখেছে বোর্ড।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড
লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।
রিজার্ভ: হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
বাংলাদেশ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। তবে ইদানিং যেন দুঃসময়ের ঘোর থেকে কিছুতেই বের হতে পারছেন না তিনি। ঘরের মাঠে শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়ে সিরিজে মোটাদাগে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। অধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য মাঝে অবশ্য দল থেকে বাদও পড়েছিলেন। অনেকেরেই ধারণা ছিল, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়বেন লিটন। তবে সবাইকে অবাক করে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন লিটন দাস। সেটিও আবার ১৫ সদস্যের দলে।
আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা টুর্নামেন্টে টাইগারদের নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর চোটে পড়া তাসকিন আহমেদকে নিয়েই বিশ্বকাপের বিমানে চড়বে টিম টাইগার্স। তবে বিপিএলে আলো ছড়িয়ে সদ্য জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে রাখা হয়নি স্কোয়াডে।