ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঘটন?

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২২ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

লুসাইল স্টেডিয়ামে শেষ বাঁশি বাজার পর নিস্তব্ধ গোটা আর্জেন্টিনা, নিস্তব্ধ গোঠা বিশ্বের আর্জেন্টিনা প্রেমিকরা। অন্যদিকে উৎসবে মেতেছে সৌদি আরব। তবে বাস্তবতা আরও মারাত্মক কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠে গেছে, লুসাইলে সৌদি আরবের কাছে আজ আর্জেন্টিনার ২-১ গোলের হার বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা অঘটন কি না?

আর্জেন্টিনার এমন শুরু কেউ ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় আর্জেন্টিনা হেরে গেল র‌্যাঙ্কিংয়ে ৫১তম সৌদি আরবের কাছে! আর্জেন্টিনা যেখানে বিশ্বকাপ মানেই ফেবারিট, আর স্কালোনির এই আর্জেন্টিনা অপরাজিত ছিল টানা ৩৬ ম্যাচ, অথচ এই দলটাই কি না, পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে আসা সৌদির কাছে হারল! তাও এমন একটি দল যাঁরা আগের চারবার বিশ্বকাপ খেলে মাত্র একবার দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে, সেটাও ২৮ বছর আগে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে অঘটন তো কম নেই। আসুন জেনে নিই, আগের অঘটনগুলো। আর্জেন্টিনার এই হার অবশ্যই সেসব অঘটনের কাতারে পড়বে। তবে সেরা কি না, সেটি তর্কসাপেক্ষ হলেও এতটুকু বলা যায়, এই গ্রহের কেউ সম্ভবত কল্পনাও করেননি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ শুরু হবে সৌদি আরবের কাছে হার দিয়ে!

১৯৫০, যুক্তরাষ্ট্র ১-০ ইংল্যান্ড

বেলো হরিজেন্তোয় দুঃস্বপ্ন দেখেছিল ইংল্যান্ড। বলা হয়, এটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অঘটন। গ্রুপপর্বে যুক্তরাষ্ট্রের এই দ্বিতীয় ম্যাচের আগে হট ফেবারিট ছিল ইংল্যান্ড। আর যুক্তরাষ্ট্রের দলটি ছিল ‘পার্ট টাইমার’দের নিয়ে গড়া। ১৫ মিনিটের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গোলপোস্টে ৬টি শট নিয়ে নিজেদের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু নাটকের তখনো বাকি ছিল। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে হাইতিয়ান বংশোদ্ভূত জো গায়েতিয়েনস যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গোলটি করেন। শেষ পর্যন্ত এই গোলেই জন্ম হয় বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অঘটনের। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে ইংল্যান্ডের এই হার এত আশ্চর্যের ছিল যে, তারা সংবাদ ছেপেছিল ইংল্যান্ড আসলে ১০-১ গোলে জিতেছে কিন্তু টেলিগ্রাফের ভুলে সেটিকে ০-১ মনে হচ্ছে। সেদিন খেলায় ইংল্যান্ডের পক্ষে বাজির দর ছিল ৫০০: ১।

১৯৬৬: উত্তর কোরিয়া ১-০ ইতালি

এশিয়া মহাদেশ থেকে প্রথম কোনো দল হিসেবে ১৯৬৬ সালের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অংশ নেয় উত্তর কোরিয়া। বিশ্বকাপে নাম লেখানোর পরই যেন নিজেদের প্রমাণ করার মিশনে নামে উত্তর কোরিয়ানরা। ওই বিশ্বকাপে টপ ফেবারিট হিসেবে শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ইংল্যান্ড এসেছিল ইতালি। চিলিকে প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে হারানোর পর উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ড্র হলেই পরের রাউন্ডে উত্তীর্ণ হবে আজ্জুরিরা।

এমন সমীকরণ সামনে রেখেই উত্তর কোরিয়ার মুখোমুখি হয় ইতালি। ইউরোপ মাতানো ইতালির মহাতারকাদের সামনে উত্তর কোরিয়া শুধু অংশগ্রহণ বৈ আর কিছু ছিল না। অনেকেই মনে করেছিল, উত্তর কোরিয়া হয়তো উড়ে যাবে এই ম্যাচে; কিন্তু এমন ম্যাচেই কিনা বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অঘটনটির জন্ম দেয় কোরিয়ানরা।

প্রথমার্ধেই (৪২ মিনিটে) প্যাক ডু ইকের একমাত্র গোলে ইতালি পিছিয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত আর খেলায় ফিরতে পারেনি তারা। প্যাকের সেই একটি গোলই ইতালিকে প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে দিয়েছিল। প্রথমবার বিশ্বকাপে নাম লিখেই ওই জয়ের কারণে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পেয়ে যায় উত্তর কোরিয়া। সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে ৩-০ গোলে হারলেও চিলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল উত্তর কোরিয়া। কোয়ার্টারে অবশ্য ইউসেবিওর হ্যাটট্রিকের সামনে টিকতে পারেনি কোরিয়া উপদ্বীপের এই দেশটি। হেরে গিয়েছিল ৫-৩ গোলে।

১৯৯০:  আর্জেন্টিনা ০-১ ক্যামেরুন

১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনের কাছে শক্তিশালী আর্জেন্টিনার হারে চমকে গিয়েছিলেন নীল-সাদা ব্রিগেডের সমর্থকেরা। আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসাবে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছিল ক্যামেরুন। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচেই ডিয়েগো ম্যারাডোনার দলকে চমকে দিয়েছিল ক্যামেরুন। ম্যারাডোনাকে আটকানোই লক্ষ্য ছিল আফ্রিকার দলটির। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে ট্যাকলের পর ট্যাকল করে ক্যামেরুনের দুজন লাল কার্ডও দেখেন। ৬৭ মিনিটে ওমাম বিয়িক ক্যামেরুনের হয়ে যখন গোল করলেন তখন ১০ জন নিয়ে খেলছিল রজার মিলার দেশ। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ২ মিনিট আগে ক্যামেরুনের আরও এক খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখেন। কিন্তু সেদিন অঘটন এড়াতে পারেনি আর্জেন্টিনা।

২০০২: সেনেগাল ১-০ ফ্রান্স

১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে উদ্বোধনী ম্যাচে সেনেগালের মুখোমুখি হয়েছিল ফরাসি ব্রিগেড। কিন্তু সেই ম্যাচে ফ্রান্সকে হারিয়ে চমক দেয় সেনেগাল। সে বছরই প্রথমবার বিশ্বকাপের আসরে নেমেছিল সেনেগাল। প্রথমবারেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারানোকে অঘটন ছাড়া আর কী বলা যায়।

১৯৮২: উত্তর আয়ারল্যান্ড ১-০ স্পেন

স্পেন সেই বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ। হোসে আন্তনিও কামাচো, কার্লোস সান্তিলানাদের নিয়ে বেশ শক্তিশালী দল ছিল স্পেনের।  আর উত্তর আয়ারল্যান্ড সেই বিশ্বকাপের আগে একবারই বিশ্বকাপ খেলেছিল (১৯৫৮)। যদিও সেই বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল দলটি। কিন্তু ’৮২ বিশ্বকাপে শক্তিতে তাঁরা স্পেনের ধারেকাছেও ছিল না। অথচ সেই উত্তর আয়ারল্যান্ডই কি না স্পেনকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল সবাইকে। ৪৭ মিনিটে জেরি আর্মস্ট্রংয়ের ‘আইকনিক’ গোলে কপাল পুড়েছিল স্পেনের। ম্যাল দোনাঘি লাল কার্ড দেখায় ম্যাচের শেষ আধঘণ্টা ১০ জন নিয়ে খেলেছিল উত্তর আয়ারল্যান্ড। এই জয়ে পরের রাউন্ডে উঠেছিল উত্তর আয়ারল্যান্ড।

২০০২: দক্ষিণ কোরিয়া ২-১ ইতালি

১৯৮৬ থেকে ১৯৯৮—বিশ্বকাপের এই চার আসরেই গ্রুপপর্বে জয়হীন থেকে বাদ পড়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু ২০০২ বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশটি নিজেদের গ্রুপে শীর্ষস্থান নিয়ে উঠে যায় দ্বিতীয় রাউন্ডে এবং সেখানে মুখোমুখি হয় ইতালির

স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচে ইতালি ছিল নিরঙ্কুশ ফেবারিট। ১৮ মিনিটি ক্রিস্টিয়ান ভিয়েরির গোলে ম্যাচের একদম শেষ দিকে চলে গিয়েছিল ইতালি। কিন্তু ৮৮ মিনিটে সেওল কি হাইয়নের গোলে সমতায় ফিরতে হয় ‘আজ্জুরি’দের। আর অতিরিক্ত সময়ের ১১৭ মিনিটে আন জাং-হুয়ানের ‘গোল্ডেন গোল’-এ স্মরণীয় জয় তুলে নেয় দক্ষিণ কোরিয়া।

কাতার বিশ্বকাপ   আর্জেন্টিনা   সৌদি আবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইউনাইটেডকে হারিয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার আর্সেনালের

প্রকাশ: ০২:৫৬ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ইপিএলে জমে উঠেছে শিরোপার লড়াই। রোববার (১২ মে) নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান পুনরায় দখল করেছে গানাররা। এর আগে ফুলহামকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করে ম্যান সিটি।

আর্সেনালের এই জয়ে ৩৭ ম্যাচ খেলে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে তারা। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলা সিটির পয়েন্ট ৮৫।

রোববার (১২ মে) ওল্ড ট্রাফোর্ডে আর্সেনালকে আতিথেয়তা দেয় ম্যান ইউনাইটেড। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে ভালো সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী আর্সেনালকে আটকাতে পারেননি তারা বেশিক্ষন। ম্যাচের ২০ মিনিটেই দারুণ ছন্দে থাকা ট্রোসার্ডের গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। কাই হার্ভাটজের বাড়ানো বলকে দারুনভাবে কাজে লাগান বেলজিয়ান এই উইংগার।

বিরতির আগে ইউনাইটেডের খেলায় মরিয়া ভাব ফুটে ওঠে। ৪৩তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে ডি-বক্সে ঢুকে আলেসান্দ্রো গার্নাচো বাইলাইন থেকে কাটব্যাক করেন। কিন্তু বল তার কোনো সতীর্থের কাছে পৌঁছানোর আগেই রুখে দেন গোলরক্ষক ডেভিদ রায়া।

দ্বিতীয়ার্ধেও চলতে থাকে আক্রমন-পাল্টা আক্রমন। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ইউনাইটেড এবং ৭৯ মিনিটে আর্সেনাল দারুন সুযোগ সৃষ্টি করলেও কেউ জালে বল জড়াতে পারেননি। ফলে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল।

আগামী সপ্তাহে শেষ রাউন্ডে ঘরের মাঠে এভারটনের মুখোমুখি হবে আর্সেনাল। আর শিরোপার আরেক দাবিদার সিটি বাকি দুই ম্যাচ খেলবে টটেনহাম হটস্পার ও ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে। 


ইপিএল   শিরোপা   আর্সেনাল   ম্যান সিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের সাথে খেলবে বাংলাদেশ!

প্রকাশ: ০১:৫০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পরই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হবে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টে বাংলাদেশ ও ভারত খেলবে দুই ভিন্ন গ্রুপে। তবে টি-২০ ফরম্যাটের সবচেয়ে বড় এই মহাযজ্ঞের আগে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। নিউইয়র্কে আইসিসির আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

জানা গেছে, বিশ্বকাপের দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে যুক্তরাষ্ট্র যাবে বাংলাদেশ দল। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের প্রস্তুতিমূলক সিরিজ খেলবে রিয়াদ-শান্তরা। হিউস্টনের প্রেইরি ভিউতে ২১, ২৩ ও ২৫ মে ম্যাচ তিনটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ম্যাচের পর প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিপক্ষ ভারতের সাথেও খেলতে হতে পারে বাংলাদেশকে। আইসিসি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি ঘোষণা না করলেও জানা গেছে, বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে ভারতকে। সবকিছু ঠিক থাকলে নিউইয়র্কে ১ জুন বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে প্রস্তুতি ম্যাচটি।


বাংলাদেশ   ভারত   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সর্বোচ্চ ডাক মারার লজ্জার রেকর্ড গড়লেন সুনীল নারাইন

প্রকাশ: ০১:৪২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিকেটে নিজের ক্যারিয়ার বোলাের হিসেবে গড়ে তুললেও বর্তমানে সুনীল নারাইন পুরোদমে একজন অলরাউন্ডার। শুধু তাই নয়, ব্যাটিংয়েও তিনি ওপেনার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বর্তমানে খুব একটা না খেললেও নিয়মিত খেলেন বিভিন্ন লিগগুলোতে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের আইপিএলেও অন্যতম সেরা ক্রিকেটার এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়।

ভারতীয় ক্রিকেটের ঘরোয়া এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ধারাবাহিকভাবে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ব্যাট বা বল হাতে সাহায্য করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ অলরাউন্ডার। তবে এই সুনীল নারাইনই শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে একটি লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন।

শনিবার ইডেনে এবারের আইপিএলে প্রথমবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন নারাইন। এই নিয়ে টি-২০ ফরম্যাটে ৪৪ বার শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। আর কোনো ক্রিকেটার ২০ ওভারের ক্রিকেটে এতবার শূন্য রানে আউট হননি।

আইপিএলে কমলা টুপির পাশাপাশি বেগুনি টুপির দৌড়েও আছেন নারাইন। ১২টি ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৪৬১ রান। আবার বল হাতেও নিয়েছেন ১৫টি উইকেট। শনিবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ২১ রানে ১ উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ওপেন করতে নেমে প্রথম বলেই আউট হয়েছেন। জাসপ্রিত বুমরাহর বলের লাইন বুঝতে ভুল করে লজ্জার রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন তিনি।

নারাইনের সঙ্গে এত দিন এই লজ্জার রেকর্ড ভাগ করছিলেন ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস। তিনি টি-২০ ফরম্যাটে ৪৩ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে তাকে টপকে গেলেন কেকেআরের অলরাউন্ডার।

টি-২০ ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হওয়ার তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার রশিদ খান। তিনি ৪২ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

৩২ বার শূন্য রানে আউট হয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং। পঞ্চম স্থানে যুগ্মভাবে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং ইংল্যান্ডের জেসন রয়। তারা ৩১ বার করে শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

আইপিএলে সবচেয়ে বেশি বার শূন্য রানে আউট হওয়ার লজ্জার রেকর্ড এক সঙ্গে তিন ক্রিকেটারের রয়েছে। দীনেশ কার্তিক, রোহিত শর্মা এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৭ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। তালিকায় তাদের পর যুগ্ম ভাবে রয়েছেন নারাইন এবং পীযূষ চাওলা। তারা আইপিএলে ১৬ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।


সুনীল নারাইন   আইপিএল   গোল্ডেন ডাক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশের সময় অনুসারে টি-২০ বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচী

প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। যেখানে চার গ্রুপে ভাগ হয়ে অংশ নিবে মোট ২০ দল। টুর্নামেন্টটি যৌথভাবে আয়োজন করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুক্তরাষ্ট্র।

বৈশ্বিক এই আসরে বিগত বছরগুলোতে ১০ দল অংশগ্রহণ করলেও এবারই প্রথম অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে ২০ টি দেশ। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রতি গ্রুপের প্রতিটি দল একে অপরের মোকাবিলা করবে। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সুপার এইট। সেখান থেকে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ টুর্নামেন্টে মাঠে গড়াবে মোট ৫৫টি ম্যাচ।

এবারের বিশ্বকাপ খেলা হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৬ টি ও যুক্তরাষ্ট্রের ৩ টি ভেন্যুতে। প্রতি গ্রুপে ৫ দল করে মোট চারটি গ্রুপ করা হয়েছে। গ্রুপ পর্ব শেষে সুপার এইট, সেমিফাইনাল ও ফাইনালের মধ্য দিয়ে ২৯ জুন পর্দা নামবে বৈশ্বিক এই আসরের।

টি-২০ বিশ্বকাপের চারটি গ্রুপ:

গ্রুপ : ভারত, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র
গ্রুপ বি: ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড, ওমান
গ্রুপ সি: ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, উগান্ডা
গ্রুপ ডি: দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস, নেপাল 

বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি (বাংলাদেশ সময় অনুসারে):

জুন যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাপুয়া নিউগিনি (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

জুন নামিবিয়া-ওমান (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
জুন শ্রীলংকা-দক্ষিণ আফ্রিকা (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

জুন আফগানিস্তান-উগান্ডা (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
জুন ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ড (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)
জুন নেদারল্যান্ডস-নেপাল (রাত ৯টা ৩০ মিনিট)

জুন ভারত-আয়ারল্যান্ড (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

জুন পাপুয়া নিউগিনি-উগান্ডা (ভোর ৫টা ৩০ মিনিট)
জুন অস্ট্রেলিয়া-ওমান (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
জুন যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান (রাত ৯টা ৩০ মিনিট)

জুন নামিবিয়া-স্কটল্যান্ড (রাত ১টা)
জুন কানাডা-আয়ারল্যান্ড (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

জুন নিউজিল্যান্ড-আফগানিস্তান (ভোর ৫টা ৩০ মিনিট)
জুন শ্রীলংকা-বাংলাদেশ (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
জুন নেদারল্যান্ডস-দক্ষিণ আফ্রিকা (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)
জুন অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড (রাত ১১টা)

জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-উগান্ডা (সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট)
জুন ভারত-পাকিস্তান (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)
জুন ওমান-স্কটল্যান্ড (রাত ১১টা)

১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকা-বাংলাদেশ (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

১১ জুন পাকিস্তান-কানাডা (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

১২ জুন শ্রীলংকা-নেপাল (ভোর ৫টা ৩০ মিনিট)
১২ জুন অস্ট্রেলিয়া-নামিবিয়া (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
১২ জুন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

১৩ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-নিউজিল্যান্ড (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
১৩ জুন বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

১৪ জুন ইংল্যান্ড-ওমান (রাত ১টা)
১৪ জুন আফগানিস্তান-পাপুয়া নিউগিনি (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
১৪ জুন যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ড (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

১৫ জুন দক্ষিণ আফ্রিকা-নেপাল (ভোর ৫টা ৩০ মিনিট)
১৫ জুন নিউজিল্যান্ড-উগান্ডা (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
১৫ জুন ভারত-কানাডা (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)
১৫ জুন নামিবিয়া-ইংল্যান্ড (রাত ১১টা)

১৬ জুন অস্ট্রেলিয়া-স্কটল্যান্ড (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
১৬ জুন পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

১৭ জুন বাংলাদেশ-নেপাল (ভোর ৫টা ৩০ মিনিট)
১৭ জুন শ্রীলংকা-নেদারল্যান্ডস (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
১৭ জুন নিউজিল্যান্ড-পাপুয়া নিউগিনি (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

১৮ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-আফগানিস্তান (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)

সুপার এইট

গ্রুপ : এ১, বি২, সি১, ডি২
গ্রুপ : এ২, বি১, সি২, ডি১

১৯ জুন এ২-ডি১ (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

২০ জুন বি১-সি২ (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
২০ জুন সি১-এ১ (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

২১ জুন বি২-ডি২ (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
২১ জুন বি১-ডি১ (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

২২ জুন এ২-সি২ (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
২২ জুন এ১-ডি২ (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

২৩ জুন সি১-বি২ (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
২৩ জুন এ২-বি১ (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

২৪ জুন সি২-ডি১ (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)
২৪ জুন বি২-এ১ (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

২৫ জুন সি১-ডি২ (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)

সেমিফাইনাল

২৭ জুন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন-গ্রুপ রানার্সআপ (সকাল ৬টা ৩০ মিনিট)

২৭ জুন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন-গ্রুপ রানার্সআপ (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)

ফাইনাল

২৯ জুন সেমিফাইনাল বিজয়ী-সেমিফাইনাল বিজয়ী (রাত ৮টা ৩০ মিনিট)


টি-২০ বিশ্বকাপ   পূর্ণাঙ্গ সূচী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অপ্রতিরোধ্য লেভারকুসেনের হাফ সেঞ্চুরি

প্রকাশ: ১০:৪৭ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জার্মান লীগ বুন্দেসলীগায় নিজেদের ৩৩ তম ম্যাচে বোচামকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বায়ার লেভারকুসনে। রোববার (১২ মে) বোচামের মাঠ রুহরস্টেডিয়নে অনুষ্ঠিত খেলাটিতে একক আধিপত্য দেখিয়েছে জাভি আলোনসোর শিষ্যরা। এ ম্যাচ জয়ের মধ্য দিয়ে টানা ৫০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়লো লেভারকুসেন।

এদিন ম্যাচে শুরু থেকেই নিজেদের আধিপত্য দেখায় দলটি। পুরো ম্যাচে ৬৮ শতাংশ বল দখল ছিলো তাদের। গোল অভিমুখে শট নেই ২৯ টা। তবে বহুল প্রতিক্ষিত গোলটি আসে ম্যাচের ৪১ তম মিনিটে। গোলটি আসে প্যাট্রিক শিকের পা থেকে। এরপর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করে বনিফেইস।

দ্বিতিয়ার্ধের ৭৬ মিনিটে হফম্যানের কর্ণারে বাড়ানো বলে হেড থেকে বল জালে জড়ান আমিন আদলি। এরপর ৮৬ মিনিটে ব্যবধান - করেন স্ট্যানিসিচ। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে বোচামের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন গ্রিমালদো। এতে ৫ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ‘দ্য কোম্পানি ইলেভেন’।

এদিকে ইতোমধ্যেই বুন্দেসলিগা শিরোপা নিশ্চিত করা লেভারকুসেনের সামনে এখন অপেক্ষা করছে ইউরোপা লিগ ডিএফবি পোকাল জেতার সুযোগ।


বায়ার লেভারকুসেন   হাফ সেঞ্চুরি   অপরাজিত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন