ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেটের লড়াইয়ে মাঠে নামছে স্পেন ও মরক্কো

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

একদিকে ৭ নম্বর ফিফা র‌্যাঙ্কিংধারী, একবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন (২০১০) এবং ‘লা রোজা’ খ্যাত স্পেন। অন্যদিকে ২২ নম্বর ফিফা র‌্যাঙ্কিংধারী, একবারের ফিফা আরব কাপ চ্যাম্পিয়ন (২০১২) এবং ‘দ্য এটলাস লায়ন্স’ খ্যাত মরক্কো। চলমান কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ইউরোপ বনাম আফ্রিকার মধ্যে লড়াইয়ে জিতবে কে? সেটার নিষ্পত্তি হবে আজ মঙ্গলবার আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় আর্জেন্টিনার রেফারি ফার্নান্দো রাপাল্লিনির বাঁশি বাজলেই শুরু হবে ম্যাচটি।

ই-গ্রুপের রানার্র্সআপ হিসেবে স্পেন উঠে এসেছে এবারের দ্বাবিংশতম আসরের নকআউট স্টেজে। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই তারা কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করে শুভসূচনা করে। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা জার্মানির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে হোঁচট খায়। তৃতীয় ম্যাচে অবস্থা হয় আরও খারাপ। এবার জাপানের কাছে ১-২ গোলে হেরে অঘটনের শিকার হয়। ৩ ম্যাচে ১ জয়, ১ ড্র ও ১ হারে তাদের অর্জিত হয় ৪ পয়েন্ট।

সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট হয়ে যায় জার্মানিরও। কিন্তু গোলপার্থ্যকে এগিয়ে থাকায় (স্পেন +৬, জার্মানি +১) কপাল খুলে যায় স্পেনেরই। জার্মানিকে পয়েন্ট টেবিলের তিনে নামিয়ে তারা চলে যায় দুইয়ে। সেই সঙ্গে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে পৌঁছে যায় কাক্সিক্ষত দ্বিতীয় রাউন্ডে। পক্ষান্তরে এফ-গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে রাউন্ড অব সিক্সটিনে নাম লেখায় মরক্কো। নিজেদের প্রথম গ্রুপ ম্যাচে তারা গোলশূন্য ড্র করে গত আসরের রানার্সআপধারী ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে। দ্বিতীয় ম্যাচে গত আসরের তৃতীয় স্থান অধিকারী বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় অঘটন ঘটায়। তৃতীয় ম্যাচে কানাডাকে হারায় ২-১ গোলে। ৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ ড্রতে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নাম লেখায় শেষ ১৬ তে। এবার আসা যাক দুদলের মুখোমুখি লড়াইয়ের প্রসঙ্গে।

এ পর্যন্ত উভয় দল তিনবার (১৯৬১-২০১৮) মুখোমুখি হয়েছে। দুবার জিতেছে স্পেন। মরক্কো জয়হীন। অপর ম্যাচটি ড্র হয়। বিশ্বকাপের মূলপর্বে দুদল এর আগে একবারই পরস্পরকে মোকাবিলা করেছে। ২০১৮ আসরে গ্রুপ পর্বের সেই ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল করে মরক্কোর বিরুদ্ধে কোনোমতে হার এগিয়েছিল স্পেন (২-২)। আজ যে দলই জিতবে, তারাই বিশ্বকাপের হেড টু হেডের পরিসংখ্যানে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে স্পেনের চেয়ে ১৫ ধাপ পিছিয়ে থাকলেও মরক্কো কিন্তু আজ স্পেনকে হারানোর মতোই দল, এমনটাই মনে করছেন অনেক ফুটবলবোদ্ধা। যেখানে স্পেন গ্রুপ পর্বে এক ম্যাচ হেরে দ্বিতীয় পর্বে এসেছে, সেখানে গ্রুপ পর্বে কোন ম্যাচেই হারেনি মরক্কো। তাছাড়া আজকের ম্যাচে তারা আন্ডারডগ হিসেবেই নামবে বিধায় তাদের ওপর বাড়তি চাপ থাকবে না। বরং এই চাপটা বেশি থাকবে স্পেনের ওপরেই।

আজ স্পেন জিতলে তারা ষষ্ঠবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। এর আগে তারা শেষ আটে খেলেছে ১৯৩৪, ১৯৮৬, ১৯৯৪, ২০০২ ও ২০১০ সালে (১৯৫০ আসরে চতুর্থ হলেও সেবার খেলা হয়েছিল লিগ পদ্ধতিতে)। তার মানে আজ জিতলে স্প্যানিশরা শেষ আটের খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে পাক্কা এক যুগ পর!

আজ মরক্কো জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলে তারা নিশ্চিতভাবেই ইতিহাস পড়বে। কেননা এর আগে কখনই তারা শেষ আটে উঠতে পারেনি। এবার তারা দ্বিতীয়বারের মতো শেষ ১৬ তে ওঠে ৩৬ বছর পর (১৯৮৬ সালের পর)। যদি তারা কোয়ার্টারে ওঠে, তাহলে ক্যামেরুন এবং সেনেগালের পর তৃতীয় আফ্রিকান দল হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পারবে তারা।

স্পেন ২০১৮ বিশ্বকাপে শেষ ১৬ তে বাদ পড়েছিল। কিন্তু কোচ লুইস এনরিকে পেছনের ইতিহাস নিয়ে ভাবতে নারাজ। তিনি আজকের ম্যাচে জয়ের কথাই ভাবছেন। মরক্কো কোচ ওয়ালিদ রেগ্রাগুই-ও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।

মরক্কোর এক নম্বর গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনু বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে জয়ের ঠিক আগে অসুস্থ বোধ করেছিলেন এবং শেষ সেকেন্ডে মাঠ ছেড়েছিলেন। তবে কানাডার বিরুদ্ধে পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন। আজ তাকেই গোলপোস্টের নিচে দেখা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ডিফেন্ডার আচরাফ হাকিমির গোড়ালির চোট কাটিয়ে আজ খেলার সম্ভাবনা আছে। ফরোয়ার্ড হাকিম জিয়েচ, মিডফিল্ডার সোফিয়ান আমরাবাত এবং ফরোয়ার্ড সোফিয়ান বুফাল... এই ত্রয়ীকে বিগত ম্যাচগুলোতে বিশ্রামে রাখা হয়েছিল। আজ তাদের একাদশে নামিয়ে তাদের ওপর ভরসা করবেন কোচ রেগ্রাগুই।

স্পেনের সর্বশেষ ট্রেনিং সেশনে দানি ওলমো, ডেভিড রায়া এবং সিজার আজপিলিকুয়েটাকে দেখা যায়নি। আজপিলিকুয়েটা জাপানের বিপক্ষে হাফ টাইমে নেমেছিলেন। তার অবশ্য কিঞ্চিৎ চোট-সমস্যা আছে। তবে ফেরাস টোরেস এবং জর্ডি এলবা প্রথম একাদশে ফিরে আসার কথা। এনরিকের আজকের মূল ভরসা আলভারো মোরাতা। তিনি স্পেনের হয়ে তার শেষ চারটি খেলাতেই গোল করেছেন, এবং চলমান আসরে ৬টি শটের চেষ্টা থেকে ৩টি গোল করেছেন।

স্পেনের জন্য প্লাস পয়েন্ট হলো তারা কখনো মরক্কোর বিরুদ্ধে কোনো অফিসিয়লি ম্যাচ হারেনি। আফ্রিকান দলের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম দুটি জয় ১৯৬১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এসেছিল। স্পেন এই প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে একটি আফ্রিকান দলের মুখোমুখি হতে চলেছে। যদিও তারা গ্রুপ পর্বে এই মহাদেশের দলের বিরুদ্ধে তাদের পাঁচটি খেলায় অপরাজিত।


কাতার বিশ্বকাপ   কোয়ার্টার ফাইনাল   মরক্কো   স্পেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাঞ্জাবের বিপক্ষে কলকাতার সর্বোচ্চ সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে রান পাহাড় গড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুক্রবার রাতে ইডেন গার্ডেনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন ঝড়ে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে কেকেআর। যা আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জিততে পাঞ্জাবকে করতে হবে ২৬২ রান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সুনীল নারিন এবং ফিল সল্ট। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৭৬ রান তোলে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। নারিন ২৩ বলে এবং ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন সল্ট। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১৩৮ রান। ৩২ বলে ৭১ রান করে সাজঘরে ফেরেন নারিন। ১৩তম ওভারে স্যাম কারানের বলে বোল্ড আউট হন আরেক ওপেনার সল্ট। ৩৬ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই ইংলিশ ওপেনার।

নারিন-সল্ট ফিরলেও ঝড় অব্যাহত রাখেন ভেঙ্কটেশ আয়ার, আন্দ্রে রাসেল ও শ্রেয়াস আয়ার। ভেঙ্কটেশ ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হন। রাসেল ১২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রানে ফিরেন। আর অধিনায়ক আয়ারের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। মাত্র ১০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।

বল হাতে পাঞ্জাবের আর্শদীপ সিং ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। স্যাম কারান ৪ ওভারে ৬০ রান দিয়ে নেন ১টি। রাহুল চাহার ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে পান ১টি উইকেট। আর হার্শাল প্যাটেল ৩ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।


আইপিএল   কলকাতা নাইট রাইডার্স   পাঞ্জাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে স্পেন ফুটবল

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার  কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।

দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।

নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’

স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’

গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই  অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।

আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।


স্পেন ফুটবল   ফিফা   আরএফইএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার নারী এশিয়া কাপে প্রথমবার আম্পায়ারিং করবেন সাথিরা

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি

এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জেসিকে বিষয়টি ইতোমধ্যেই মৌখিকভাবে অবগত করেছে।

এ বিষয়ে জেসি বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাইতে এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবো। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’

জেসির ঝুলিতে এর আগেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।

চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের নারী এশিয়া কাপ। গত এশিয়া কাপ বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও দেশি কোনো আম্পায়ার ছিল না।

বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। জেসি এখন নিজেকে প্রস্তুতি করছেন বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্ব পালনের জন্য।

তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছি নিয়মিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি। আমি প্রস্তুত বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের জন্য।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘লিওনেল মেসিই সর্বকালের সেরা ফুটবলার’

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।

বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।

সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'

জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।

তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অস্ট্রেলিয়ার সফল অধিনায়কের সংগ্রহে হাজার ব্যাট, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail রিকি পন্টিং

শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।

ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।

রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’

২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।

সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’


রিকি পন্টিং   অস্ট্রেলিয়া   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন