এখন অন্তত কোন তর্ক ছাড়াই বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা আসরের তকমা পেতেই পারে কাতার বিশ্বকাপ। সেটা খুব একটা অত্যুক্তি হবে না। কারণ এই বিশ্বকাপে র্যাঙ্কিং বা কাগজ-কলমের হিসাব বদলে দিয়ে একের পর এক চমক দেখা গিয়েছে ২২তম আসরে। বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের সাহস আর মাঠে নিজেদের সেরাটা নিঙরে দিয়ে ম্যাচ বের করে আনার গল্পও আছে এই বিশ্বকাপে। এবার সেই ভান্ডারে যুক্ত হলো নতুন একটি পালক। মরুর বুকে ফুলের পরিস্ফুটিত হওয়ার গল্প। দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে ইউরোপের প্রতাপশালী পর্তুগালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে মরক্কো।
যে ম্যাচ দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম উঠালো মরক্কো, সেই একই ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল হারালো তার অমিত প্রতিভাধর এক ফুটবালারের বিশ্বকাপ অধ্যায়ের সমাপ্তি। এটিই হয়তো বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচ হয়ে থাকবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নামের পাশে। ১-০ গোলে মরক্কোর কাছে হেরে বিশ্বকাপ শিরোপার স্বপ্ন পূরণ হলো না রোনালদোর।
কাতার বিশ্বকাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নামে মরক্কো ও পর্তুগাল। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলার চেষ্টা করে দুই দল। ৫ মিনিটে ভাল একটি সুযোগ পেয়েছিলেন পর্তুগালের জোয়াও ফেলিক্স। তবে তার নেয়া শট ঠেকিয়ে দেন মরক্কো গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। সেখান থেকে কর্নার পেলেও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ইউরোপের দলটি।
পরের মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলো মরক্কোও। তবে ইউসুফ এন নেসিরির নেয়া হেড বারের উপর দিয়ে চলে যায়। ১৩ মিনিটে পর্তুগীজদের এগিয়ে দেয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি রাফায়েল। পাঁচ মিনিট পর জিয়েশের চেষ্টাও ব্যর্থ হয়।
২৬ মিনিটে জিয়েশের নেয়া ফ্রি-কিক থেকে এন নেসিরি হেড করলেও আবারো বারের উপর দিয়ে চলে গেলে হতাশা বাড়ে মরক্কোর। ৩১ মিনিটে ফেলিক্সের আরেকটি শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। তবে ৪২ মিনিটে দারুণ এক হেডে বল জারে জড়ান এন নেসিরি। দুই মিনিট পর সমতায় ফিরতে পারতো পর্তুগালও। তবে ডান প্রান্ত থেকে নেয়া ব্রুনো ফার্নান্দেজের শট বারে লেগে ফিরে আসে। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মরক্কো।
বিরতির দুই মিনিট পর কর্নার পেয়েছিলো পর্তুগাল। ব্রুনোর নেয়া সে কর্নার থেকে বিপদ ঘটাতে পারেনি দলটি। গোলের আশায় মরিয়া পর্তুগাল ৫১ মিনিটে একাদশে পরিবর্তন আনেন। রাফায়েল গুইরেরো আর রুবেন নেভেসকে উঠিয়ে নেন ফার্নান্দো সান্তোস। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন জোয়াও কনসালো ও ক্রিশ্চিয়ান রোনালদো। একই মিনিটে জিয়েশের একটি ভাল ফ্রি-কিক প্রতিহত করেন কস্তা। ৫৭ মিনিটে রোমান সাইসের পরিবর্তে তুলে নিয়ে আশরাফ দারিকে মাঠে নামায় মরক্কো। ৫৮ মিনিটে ম্যাচে প্রথম সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা কনসালো রামোস।
৬৪ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরাতে ব্যর্থ হন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। এবারো বারের উপর দিয়ে চলে যায় তার শট। পরের পাঁচ মিনিটের মধ্যে দলে দুটি করে পরিবর্তন আনে দুই দলই। ৭০ মিনিটে ডি-বক্সে রোনালদোর উদ্দেশ্যে ক্রস থেকে বল দেন ব্রুনো। তবে রোনালদো পাওয়ার আগেই বল লুফে নেন বোনো।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে চলতে থাকে খেলা। ৮২ মিনিটে একাদশে আরো দুই বদলি ফুটবলার নামায় মরক্কো। ৮৩ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে নেয়া জোয়াও ফিলিক্সের দুর্দান্ত এক শট লাফিয়ে গ্লাভসবন্দী করেন ইয়াসিন বোনো। এরপর দুই দলই বারবার বলের দখল নিয়ে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে দুই দলের ফুটবলাররা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেইম্যাচের চিত্রে বদল আসে। জোয়াও ফেলিক্সকে বুটে পাড়া দিয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন শেদিরা। ফলে লাল কার্ড দেখে তাকে মাঠের বাইরে চলে যেতে হওয়ায় ১০ জনের দলে পরিণত হয় মরক্কো। বড় ধাক্কা খায় আফ্রিকার প্রতিনিধিরা।
ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে গোল করে সমতায় ফেরাতে পারেন নি রোনালদো এবং ব্রুনো। মরক্কোর কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা আদায় করতে পারেনি পর্তুগাল। শেষ দিকে পেপের হেড পোস্ট ঘেষে চলে গেলে হতাশা বাড়ে ইউরোপের দলটির। ম্যাচের পুরোটা সময় রক্ষণ সামলে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে মরক্কো। আফ্রিকার একমাত্র দল হিসেবে বিশ্বকাপ ফুটবলের সেমিফাইনালে খেলবেন জিয়েশ-হাকিমিরা।
শেষ বাঁজি বাজতে স্টেডিয়াম দুটি ভিন্ন অবস্থার চিত্র ফুটে উঠে। হতাশায় নিমজ্জ্বিত হয়ে ভেঙে পড়েন জোয়াও ফেলিক্সরা। রাজ্যের হতাশা আর আক্ষেপ সঙ্গী করে সম্ভবত শেষবার বিশ্বকাপের মাঠ থেকে বের হন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পরের বিশ্বকাপে তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ইতি পড়লো এক বর্ণিল ফুটবলারের বর্ণময় বিশ্বকাপ যাত্রার।
অন্যদিকে ইতিহাস বদলে দেয়া ম্যাচ জয়ে ভাঁধনছাড়া আনন্দে মেতে উঠে মরক্কানরা। যোগ্য দল হিসেবেই তারা পেয়েছে শেষ চারের টিকিট। আর এ জয় তো শুধু দলের নয়। এ জয় যে বাঁক এনে দিতে পারে আফ্রিকার অঞ্চলের ফুটবলকে। ইউরোপ-লাতিনদের সাথে এখন থেকে যে উচ্চারিত হবে আফ্রিকার প্রতিনিধিদের নাম।
কাতার বিশ্বকাপ মরক্কো পর্তুগাল আল থুমামা স্টেডিয়াম
মন্তব্য করুন
দেশের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজের মধ্য দিয়ে চলতি বছরে আন্তর্জাতিক খেলায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে সেখানে ফলাফলের দিক বিবেচনা করলে খুব একটা স্বস্তিতে নেই টাইগাররা। কারণ, টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এবং টেস্টের মধ্যে শুধুমাত্র ওয়ানডে সিরিজ শিরোপা ঘরে তুলতে পেরেছিল নাজমুল শান্তরা।
এরই মধ্যে কাছাকাছি চলে এসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। শুরু হয়েছে প্রস্তুতি, চলছে দল গোছানোর কাজ। আর সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে টাইগারদের জিম্বাবুয়ে পরীক্ষা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন যারা
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এই সিরিজের মধ্য দিয়ে ১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরেছেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সেই সাথে টোয়েন্টিতে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন তানজিদ হাসান তামিমও। বিশ্বকাপের পূর্বে প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের এই সিরিজে কেমন হবে প্রথম পরীক্ষার একাদশ সেই নিয়ে এখন চলছে আলোচনা।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন
এর অবশ্য কিছু কারণও রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচে নেই সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। আর এই মহাগুরুত্বপূর্ণ দুই প্লেয়ারের অভাব কি ভোগাবে টাইগারদের এমন প্রশ্নও ঘুরছে অনেকের মনে।
তবে সাকিব-মুস্তাফিজ না থাকলেও স্কোয়াডে ফিরেছেন আফিফ, তানভীরসহ অনেকেই। যার জন্য তাদের নিয়েই সাজানো হবে প্রথম ম্যাচের একাদশ৷ সেক্ষেত্রে ওপেনিং পজিশনে লিটন কুমার দাসের সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যেতে পারে তরুণ তানজিদ তামিমকে। টেস্ট ও ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে রান খরায় ভুগলেও লিটনের টি-টোয়েন্টি পারফর্ম অবশ্যই স্বস্তি দেবে এমনটাই ধারণা সংশ্লিষ্টদের। আর তরুণ তামিমকে ভাবা হচ্ছে বিশ্বকাপের ব্যাক আপ ওপেনার হিসেবে।
তিন নম্বর পজিশনে অবধারিত নাম নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কত্বের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাট হাতেও দারুণ অবদান রাখতে হবে শান্তকে। এছাড়া চার নম্বরে থাকছেন বর্তমানে দলের অন্যতম ভরসার নাম হৃদয়। কারণ হৃদয় সম্প্রতি দারুণ ছন্দে রয়েছেন। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও বড় ভূমিকা রাখতে হবে তাকে৷
পাঁচ নম্বরে দেখা যেতে পারে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। দলের একমাত্র সিনিয়র ক্রিকেটার হিসাবে স্কোয়াডে আছে তার নাম। তার ব্যাটিংয়ের সাথে অভিজ্ঞতার দিক দিয়েও রিয়াদকে নিতে হবে বড় দায়িত্ব।
এর বাইরে একাদশে থাকতে পারে জাকের আলী অনিকের নামও। কারণ নিজের অভিষেক সিরিজে শ্রীলংকার বিপক্ষে মারকুটে ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে পারফর্ম করে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছিলেন এই তরুণ। শুধু তাই নয়, নিজেকে প্রমাণ করে এখন বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও আলোচনায় আছেন তিনি। তাই এই সিরিজে নিজের সামর্থ্যের পুরোটা প্রকাশ করতে হবে তাকে।
আরও পড়ুন: কারা হচ্ছেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট?
এছাড়াও চোটের কারণে লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সর্বশেষ ২০২২ এর অক্টোবরে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। তবে গেল বিপিএলে কয়েক ম্যাচ সুযোগ পেয়ে দারুণ ভেলকি দেখিয়েছিলেন তিনি। আর সেই ধারাবাহিকতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবারও লাল সবুজের জার্সিতে ফিরতে যাচ্ছেন সাইফউদ্দিন৷
এছাড়া অলরাউন্ডার হিসেবে থাকবেন শেখ মেহেদি হাসান এবং একমাত্র লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন। মূলত স্পিন বিভাগে তাদের দুজনকে নিতে হবে পুরো দায়িত্ব। আর পেস ইউনিটের দায়িত্বে থাকতে পারেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
বিশ্বকাপের পূর্বে প্রস্তুতি হিসেবে এই সিরিজের পারফরম্যান্স একদিকে যেমন টাইগারদের যোগাবে ভরসা, তেমনই বাড়বে আত্মবিশ্বাস। আর তাই এখন দেখার পালা, পাঁচ ম্যাচের এই পরীক্ষায় কতটুকু সফল হতে পারেন তারা।
মন্তব্য করুন
কোমল পানীয় স্বভাবতই মানুষের শরীরের জন্য হানিকারক। অনেক বিশ্ববিখ্যাত খেলোয়াড় সংবাদ সম্মেলনে এসে ডায়াস থেকে কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে রেখেছেন। বার্তা দিয়েছেন সাধারণ ভক্তদের স্বাস্থ্য সচেতনতার। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
শুক্রবার (৩ মে) থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। যার প্রথম ৩ টি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে আর বাকি ২ টি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন
আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে আসেন
জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। এসময় তার চোখ পড়ে ডায়াসে রাখা কোমল পানীয় এর
বোতলে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেটা সরিয়ে ফেলেন এবং পাশের একজন তা তার হাত থেকে নিয়ে
ক্যামেরা ফ্রেমের বাইরে নিয়ে যান। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে বেশিরভাগ নেটিজেনরাই
তাকে বাহাবা জানিয়েছেন।
সিকান্দার রেজা জিম্বাবুয়ে বিসিবি
মন্তব্য করুন
একের পর এক আক্রমণ আর ডর্টমুন্ড রক্ষণে লাগাতার চাপ তৈরি করে ম্যাচের
বেশির ভাগ সময় নিয়ন্ত্রণে ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের দলই। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের
প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে কাঙ্খিত গোলটাই পায়নি পিএসজি। শুধু গোলটাই পাওয়া হল না
পিএসজির।
বিপরীতে প্রথমার্ধে নিকলাস ফুলক্রুগের জাল খুঁজে পাওয়া আর ভাগ্যের
সহায়তা ও রক্ষণের দৃঢ়তায় সেই গোল ধরে রেখে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ডর্টমুন্ড।
সিগনাল ইদুনা পার্কের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটিও
লক্ষ্যে রাখতে পারেনি পিএসজি। এর দুটিই পোস্টের বাইরে মারেন উসমান দেম্বেলে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ
সমর্থকদের বলে বলীয়ান ডর্টমুন্ড পাঁচটি শট নিয়ে চারটিই লক্ষ্যে রাখে। এর মধ্যে ১৪ মিনিটে
মার্সেল স্যাবিটজারের শট আটকান জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। ৪৪তম মিনিটেও স্যাবিটজারের
আক্রমণ রুখে দেন পিএসজি গোলকিপার।
ডর্টমুন্ড তাদের জয়ের গোলটি পায় ৩৬তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধ থেকে
নিকো শ্লটারবেক লম্বা করে বল বাড়ালে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন ফুলক্রুগ। এরপর বাঁ পায়ের
শটে বল জালে পাঠান এই জার্মান ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর নতুন উদ্যমে শুরু করা পিএসজি গোল পেয়ে যেতে পারত ৫১ মিনিটেই।
তবে দুর্ভাগ্যবশত পরপর দুইবার বল লাগে পোস্টে। প্রথমে এমবাপ্পের শট লাগে দূরের পোস্টে,
ডর্টমুন্ড রক্ষণ বল বিপদমুক্ত করতে না পারার এক পর্যায়ে পেয়ে যান আশরাফ হাকিমি। তাঁর
শট লাগে আরেক পোস্টে।
৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করার সুযোগ ছিল ফুলক্রুগের সামনে। জোদান
সানচোর বাড়ানো বল নিয়ে পুরো জাল সামনে পেলেও বল ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। একই ভাবে
৮১ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন পিএসজির দেম্বেলেও।
শেষ দিকে পিএসজি গোলের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালালেও ডর্টমুন্ড
রক্ষণে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে সেটি রুখে দেয়। মাঠ ছাড়ে সেমিফাইনাল লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেই।
প্যারিসে দ্বিতীয় লেগ আগামী মঙ্গলবার।
ডর্টমুন্ড ১: ০ পিএসজি
পিএসজি ডর্টমুন্ড চ্যাম্পিয়নস লিগ
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার
জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী
দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।
ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ
কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। এখন
শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।
আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে
যাওয়া ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের মহাযজ্ঞে এবারের আসরে সেমিফাইনাল খেলবে কারা,
এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান
ও ভারতের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ খুবই কম। যদিও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার কথা
জানিয়েছেন দুই দলই।
এমনই এক বিশ্লেষণে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এবং তারকা
ক্রিকেটার মাইকেল ভন। সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের পছন্দের চার সেমিফাইনালিস্ট নিয়ে
অবশ্য চলছে নানা আলোচনা–সমালোচনাও। কারণ, এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানকে
সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট মনে করছেন না ভন। তার পছন্দের তালিকাকে খুব ভালোভাবে নিতে
পারেননি এ দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকেরা।
ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া,
দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে। নিউজিল্যান্ড,
ভারতের মতো শক্তিশালী দলকেও সেমি খেলার যোগ্য বলে বিবেচনা করেননি তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম জানিয়ে ভন
লিখেছেন, ‘টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমার চার সেমিফাইনালিস্ট হলো...ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া,
দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।’
ভনের এই পোস্ট সামনে আসতেই সমালোচনায় মাতেন ভারত ও পাকিস্তানের
সর্থকেরা। এক ভারতীয় সমর্থক মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘রোহিত শর্মার দল তোমাকে জবাব দেবে।
অপেক্ষায় থাক।’
আফজাল মেনন নামের আরেক ভারতীয় সমর্থক লিখেছেন, ‘কেন তোমার মনে
হচ্ছে আমরা সেমিতে যেতে পারব না? ভারতের দল কিন্তু দারুণ।’
রজত আগারওয়ালা নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবেই ভারতকে সেমিফাইনালে
দেখছি। তারা সম্ভবত ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার জায়গায় সেমিতে খেলবে।’
কামরান আলী নামে পাকিস্তান ক্রিকেটের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘তোমার মাথায়
সমস্যা আছে। গত বিশ্বকাপে যে দল ফাইনালে (সর্বশেষ ২০২২ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের
ফাইনালিস্ট ছিল পাকিস্তান) খেলেছে তাদেরকেই তালিকায় রাখনি।’
অনেকে এ সময় ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে ভনের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হওয়ার
কথাও মনে করিয়ে দেন। ভনের পুরোনো টুইট শেয়ার করে একজন লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ ভন। ওয়ানডে
বিশ্বকাপে তুমি ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের কথা বলেছিলে, যা ভুল
হয়েছিল। তার মানে এবার আমাদের ভালোই (ভারতের) সুযোগ আছে।’
ভনের আগে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম বলেছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতের
সাবেক ক্রিকেটারের মতে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানও
থাকবে।
আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে বিশ্বকাপ
শিরোপার লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। টুর্নামেন্টের
ফাইনাল হবে ২৯ জুন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালিস্ট ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সম্প্রতি তাদের হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। যেখানে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের ডানহাতি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। সেই সাথে নিউজিল্যান্ড সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সূর্যকুমারের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজমও।
বুধবার (১ মে) আইসিসির প্রকাশিত এই নতুন র্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে এক ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে এগিয়েছেন তিনি। ১০ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে তার রেটিং এখন ৭৬৩। শীর্ষে থাকা সূর্যকুমারের চেয়ে এখনও ৯৮ পয়েন্ট পিছিয়ে বাবর। সূর্যকুমারের রেটিং ৮৬১।
৮০২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংলিশ তারকা ফিল সল্ট। ৭৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে বাবরের ওপেনিং পার্টনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেরা পাঁচের শেষ নামটা প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের। তার রেটিং পয়েন্ট ৭৫৫।
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিন ধাপ এগিয়ে এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এখন ১৪ নম্বরে। লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে পাকিস্তান। সে ম্যাচে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স। ২৯ ধাপ এগিয়ে ৬০ নম্বরে উঠে এসেছেন। পাকিস্তান সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫৫ নম্বরে।
সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না গেলেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন লিটন দাস। ব্যাটারদের মধ্যে এখন তিনি ২৯ নম্বরে। দেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা অবস্থানে। ৩২ নম্বরে আছেন অধিনায়ক শান্ত। তবে একধাপ পিছিয়েছেন সাকিব। আছেন ৭০ নম্বরে। এক ধাপ পিছিয়ে আফিফ আছেন সাকিবের ঠিক ওপরে।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আছেন ৩২ নম্বরে। দেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আছেন ২৪ নম্বরে।
আইসিসি ক্রিকেট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও। ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।