ইনসাইড গ্রাউন্ড

খলনায়ক হলেন কেইন, শিরোপার আরো কাছে ফ্রান্স

প্রকাশ: ০৩:০৯ এএম, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

দুই ইউরোপিয় দলের লড়াই। যা হবার কথা ছিলো ম্যাচটিতে খুঁজে পাওয়া গেলো সেই সবগুলো রসদেরই। গতি আর কাউন্টার অ্যাটাকে পুরো ম্যাচে উত্তেজনা বাঁচিয়ে রেখে দর্শকদের সুন্দর একটি ম্যাচ উপহার দিলো ফ্রান্ ও ইংল্যান্ড। তবে আল বাইত স্টেডিয়ামে অবশ্য দুই দলের যুদ্ধে শেষ হাসি সঙ্গী হয়েছে ফ্রান্সের। 

ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গেলো ফরাসিরা। শিরোপা অক্ষুন্ন রাখার অভিযানে আরো একটি সফল ম্যাচ শেষ করলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। রেকর্ড গড়ার ম্যাচে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন হুগো লরিস। কেইনও ছিলেন সে পথে। তবে তার পেনাল্টি মিসের খেসারত দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে থেমে গেলো ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রা।

ম্যাচের পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুই দলই প্রতিপক্ষের অর্ধে একটি করে আক্রমণ চালায়। ৪ মিনিটে এমবাপ্পে বল নিয়ে ইংলিদের ডিফেন্স ভাঙার চেষ্টা করেন। তবে কাইল ওয়াকার ও হেন্ডারসন কড়া মার্কিংয়ে রেখেবিপদ ঘটতে দেননি। পরের মিনিটে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দিতে ব্যর্থ হন ফোডেন।

১১ মিনিটে দেম্বেলের ক্রস লো হেড করেন অলিভার জিরু। তবে ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড গ্লাভসে বন্দী করেন সহজেই। তবে ছয় মিনিট পরই উল্লাসে মেতে ওঠে ফরাসিরা। গ্রিজম্যানের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক শটে বল জালে জড়ান অরেলিঁয়া চুয়ামেনি। এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

১৯ মিনিটে শাকাকে ফাউলের কারণে সুবিধাজনক স্থানে ফ্রি-কিক পায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে কোন সুযোগ তৈরি হয়নি। লুক শ'র নেয়া শট সরাসরি চলে যায় লরিসের হাতে। ২২ মিনিটে বল নিয়ে পোষ্টের কাছাকাছি গিয়ে ভীতি ছড়ায় হ্যারি কেইন। তবে লরিস তা ক্লিয়ার করে দেন। এটিই ফ্রান্সের রক্ষণে ইংলিশদের প্রথম পরিকল্পিত আক্রমণ। 

বলের দখল নিয়ে আবারো আক্রমণে উঠে ইংল্যান্ড। ডি-বক্সের কাছাকাছি জায়গা থেকে ফাউল করা হয় কেইসকে। পেনাল্টির আবেদন জানায় ইংলিশরা। ভিএআর চেকের পর সে আবেদন নাকচ করে দেন রেফারি।

২৯ মিনিটে হ্যারি কেইনের দুর্দান্ত শট ডানে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন লরিস। কর্নার পেয়ে গোলের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েঠিল। তবে জটলা থেকে বল বিপদমুক্ত করেন রাবিয়োত।  গোলের আশায় মরিয়া হয়ে বেশ কয়েকবার শাকা-কেইনরা প্রতিপক্ষণের রক্ষণে হানা দিলেও সফল হতে পারেনি কেউই।

ম্যাচের ৩৩ মিনিটে বেলিংহ্যামের ভুল পাস থেকে বিপদ ঘটানোর মত জায়গায় বল পেয়ে যায় কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে সে ডুয়েলে জিতে ফরাসি ফরোয়ার্ডের কাছ থেকে কেড়ে নেন বেলিংহ্যাম। দুই মিনিট পর ফ্রান্সের আরো একটি বল সাইড লাইনে পাঠান শাকা।

৩৯ মিনিটে ডি-বক্সের খানিক আগে ফ্রি-কিক আদায় করে নেন এমবাপ্পে। গ্রিজম্যানের শট পাস থেকে পেনাল্টি বক্সে ভীতি তৈরি করেন ফরাসি ফুটবলাররা তবে শেষ শটে এমবাপ্পে বল গ্যালারীতে পাঠান।

দুই মিনিট পরই শাকার ক্রস থেকে ঠিকমতো মাথায় সংযোগ করতে পারেন নি হ্যারি কেইন। ৪৩ মিনিটে ওয়াকারকে ফাউল করে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন গ্রিজম্যান। যা বিশ্বকাপে তার প্রথম হলুদ কার্ড। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে আর তেমন কোন গোলের সুযোগ তৈরি হয়নি। অতিরিক্ত যোগ করা হয় ৪ মিনিট। শেষ দিকে কর্নারের বিনিময়ে ইংল্যান্ডের একটি প্রচেষ্টা নষ্ট করে দেন কুন্দে। তবে ফোডেনের নেয়া শটটি রিসিভ করতে ব্যর্থ হন হ্যারি ম্যাগুয়ার। গোলমুখ খুলতে না পারায় পিছিয়ে থেকেই রিবতিতে যেতে হয় থ্রী লায়ন্সদের।

বিরতির দুই মিনিট পরই ফ্রান্সের রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করেন ফিল ফোডেন সফল হতে পারেন নি। ৪৭ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন উসমান দেম্বেলে। সেসময় বেলিংহ্যামের নেয়া বুলেট গতির এক ভলি কর্নারে বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন লরিস। হতাশা বাড়ে ইংলিশদের।

তবে ৫২ মিনিটে কাঙ্খিত সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। শাকাকে বক্সের ভেতর ফাউল করে ইংলিশদের গোলের সুযোগ উপহার দেন ফ্রান্সের হয়ে গোল করা চুয়ামেনি। সেখান থেকে লরিসকে পরাস্ত করেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। সমতায় ফেরান দলকে। সেই মাথে ৫৩ গোল করে ওয়েইন রুনিকে টপকে ইংলিশদের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন তিনি।

মাঝে জমে উঠে খেলা। কয়েক মিনিটে মধ্যে ফরাসি ডিফেন্ডারদের ভাল পরীক্ষা নেন ইংলিশরা। হেন্ডররসনের শট গায়ে লেগে ফিরে আসে। ৫৫ মিনিটে রাবিয়োতের দূরপাল্লার শট প্রতিহত করেন পিকফোর্ড। লরিস বেশ কয়েকবার বাঁচিয়ে দেন ফ্রান্সকে। ৬০ থেকে ৬২ মিনিটের মধ্যে শাকা এবং কেনের দুটি শট নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি।

৭০ মিনিটে থিও হার্নান্দেজ শাকাকে ফাউল করায় ফ্রি-কিক পায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে কেনের নেয়া ক্রস থেকে ভাল হেড নিয়েছিলেন ম্যাগুয়ার। কিন্তু তা পোষ্টের বাইরের অংশ ছুয়ে বেরিয়ে যায়। গোলমুখে বাড়ানো আরো একটি ত্রু ক্ষিপ্র গতিতে এসে ক্লিয়ার করেন থিও। সেখান থেকে শাকার পায়ে বল লেগে বিপদ হতে পারতো ফ্রান্সের। ৭৫ মিনিটে লম্বা পাস থেকে পাওয়া বল হেড করে লক্ষ্যে রাখতে পারেনি অলিভার জিরু।

৭৭ মিনিটে ইংল্যান্ডকে আরো একবার বাঁচিয়ে দেন পিকফোর্ড। জিরুর নেয়া একটি শট প্রতিহত করেন। সেখান থেকে বাম প্রান্ত দিয়ে আবারো আক্রমণে উঠে ফরাসিরা। দারুণ এক হেডে এবার পিকফোর্ডকে পরাস্ত করেন জিরু। আবারো এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। মাউন্ট ফাউলের কারণে ৮২ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করতে ব্যর্থ হন হ্যারি কেইন। বারের উপর দিয়ে গ্যালারিতে পাঠান বল। সমতায়ও ফিরতে পারলো না তার দল। ৮৮ মিনিটে মাউন্ট হতাশ করেন দলকে। পরের মিনিটে গ্রিজম্যানকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ম্যাগুয়ার।

দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ইংল্যান্ডের আক্রমণ নসাৎ করে দেন লরিস। সেখান থেকে কর্নার পৈরেও ক্লিয়ার করে উপামেকানো। ফিরতি বল পেয় ডি-বক্সের দিকে লম্বা পাসে বাতাসে ভাসান শাকা। তবে লাফিয়ে উঠে তা মুঠোয় নেন লরিস। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের অন্তিম মুহুর্তে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক পায় ইংল্যান্ড। তবে শেষ সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি মার্কাস রাশফোর্ড। জালের পাশ দিয়ে গেলেও জালে ঢোকেনি তার শট।

শেষ বাঁশি বাজতেই হতাশায় মাঠেই ভেঙে পড়েন ইংলিশ ফুটবলাররা। আর শিরোপা জয়ের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো ফরাসিরা। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত চমক দেখিয়ে পর্তুগালকে বিদায় করে শেষ চারে জায়গা করে নেয়া মরক্কো।


কাতার বিশ্বকাপ   ফ্রান্স   ইংল্যান্ড   আল বাইত স্টেডিয়াম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের বোলিং তোপে ১২৪-এ গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

শঙ্কা ছিল টাইগার বোলারদের দাপটের দিনে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। তবে সেই শঙ্কা রীতিমত দুঃস্বপ্নে রূপ দিয়েছে রোডেশিয়ানদের লোয়ার-অর্ডার।

শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সফরকারীরা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রানে ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে।

এদিন বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ চার ওভারে ১৪ রান খরচায় শিকার করেছেন তিন উইকেট। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে শিকার করেছেন তিনটি উইকেট। শেখ মেহেদী নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে এই ম্যাচে খরুচে ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ছয়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বি। মাঝে চার বল ডট দিয়ে শেষ বলে আবারও চার মারেন এই ব্যাটার। প্রথম ওভারেই জিম্বাবুয়ে তোলে ৮ রান।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বলে আসেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তিনি এসে শুরুতেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। তার দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তৃতীয় ওভারে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই চার মেরে আগ্রাসী রূপ দেখানোর আভাস দেন তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান বেনেট। ওপেনার গাম্বির সাথে জুটি বেধে তোলেন ২৮ রান। তবে এই জুটিতে আঘাত করেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার লুজ বলে শর্ট ফাইনে তাসকিনের হাতে গাম্বি ক্যাচ দিলে ভাঙ এই জুটি। এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিল। ২ উইকেটে ৩৬ রান তোলা জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ড দাঁড়ায় ৪১/৭।

মূলত ষষ্ট ওভারে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনের। ৫ দশমিক ১ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। পরের বলেই উইকেরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৮ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিড স্টার তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলেই শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। দুইজনই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার লুক জঙ্গি। তার এই উইকেটে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৪১/৭।

এরপর বিপর্যয়ের মধ্যে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৬৫ বলে ৭৫ রান ওঠে এই জুটিতে। তাদের ব্যাটে ভর করে ১০০ ছাড়ায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১১৬ রানের সময় এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাদান্দে। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রথম টি-২০তে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে।

যেখানে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে টি-২০ সংস্করণে অভিষেক হয়েছে বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।

টি-২০তে এখন পর্যন্ত ২০বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। যেখানে ১৩ জয়ের বিপরীতে ৭ ম্যাচে হেরেছে টিম টাইগার্স।

দুই দলের মধ্যে দলীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। ২০২২ সালে হারারেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০৫ করেছিল তারা। অন্যদিকে ২০২০ সালে মিরপুরে ৩ উইকেটে ২০০ রান করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেইগ আরভিন, ব্রায়ান বেননেট, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদানদে, লুক জঙ্গি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুস্তাফিজের পোস্ট

প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলে এবারের আসরে চেন্নাইয়ের জার্সিতে স্বপ্নের মতো সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণেই মাঝপথে আইপিএলকে বিদায় জানাতে হয়েছে এ টাইগার পেসারকে।

বিদায় বেলায় মুস্তাফিজকে নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি জার্সি উপহার দেন ধোনি। যেখানে লেখা ছিল, ‘ফিজের প্রতি ভালোবাসা।’ সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাটার মাস্টার।

নিজের অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁহাতি এই পেসার লিখেছেন, ‘সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ মাহি (ধোনি) ভাই। আপনার মতো কিংবদন্তির সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নেয়াটা ছিল বিশেষ এক অনুভূতি। সবসময় আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, আমি সেগুলো মনে রাখব। আপনার সঙ্গে শিগগিরই আবারও খেলতে এবং দেখা করতে মুখিয়ে আছি।’

বিসিবির দেওয়া অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। এই আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে আগেই মন খারাপের কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি   ফ্লেমিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আরও এক শিরোপা জয়ের হাতছানি লেভারকুসেনের

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মৌসুমে বারবার খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফিরে আসার গল্প লিখেছে বায়ার লেভারকুসেন। বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতে চমকে দিয়েছে ফুটবল বিশ্বকে। যার জন্য কমেন্ট্রেটররা তো বারবারই বলছে ‘টিল দ্য লাস্ট হুইসাল নেভার রুল আউট লেভারকুসেন।’

লেভারকুসেনের এই সাফল্য এসেছে জাবি আলোনসোর হাত ধরে। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আরও একটি শিরোপা জয়ের হাতছানি দলটির সামনে। ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রোমার মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লেভারকুসেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দিবাগত রাতে স্তাদিও অলিম্পিকোতে রোমাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। জয়সূচক গোল ২টি করেছেন ফ্লোরিয়ান উইর্টজ ও রবার্ট এন্দরিখ।

এই ম্যাচে বল দখলে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে বেশ এগিয়ে ছিল লেভারকুসেন। ৪৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৯টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল তারা। বিপরীতে ঘরের মাঠে ৮টি শট নিয়ে ২টি প্রতিপক্ষের গোলমুখে রাখতে পেরেছিল রোমা।

রোমেলু লুকাকু, পাওলো দিবালার মতো তারকাদের স্তব্ধ করে ম্যাচের ২৮তম মিনিটেই লেভারকুসেনকে লিড এনে দেন ২০ বছর বয়সী জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার উইর্টজ। ডাচ রাইট-ব্যাক রিক কার্সদর্পের ভুলের খেসারত দিতে হয় দলকে। ব্যাক পাসে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের কাছে দিয়ে বসেন তিনি।

যেন ডি-বক্সে ঢুকে পড়া নিজের সতীর্থকে পাস দিচ্ছেন। বল পেয়ে যান অ্যালেক্স গ্রিমালদো। এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের বাধায় তিনি বল তুলে দেন অরক্ষিত থাকা উইর্টজকে। বাকি কাজকে অনায়াসে সেরে নেন এ জার্মান মিডফিল্ডার।

৩৪তম মিনিটে গ্রিমালদো আরও একটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। তবে পেনাল্টি এরিয়ার সামনে অরক্ষিত অবস্থায় বল পেয়েও জালে জড়াতে ব্যর্থ হন জেরেমি ফ্রিমপং।

এরপর বিরতি কাটিয়ে ম্যাচের ৭২ মিনিট পর্যন্ত কোনো দল গোলের তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৭৩তম মিনিটে রোমার সমর্থকদের দুঃখ দ্বিগুণ করে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন এন্দরিখ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ক্রসে জাল খুঁজে নেন তিনি। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না রোমার গোলরক্ষকের।

স্বাগতিকরা একটি গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচের যোগ করা সময়ে। তবে গোলপোস্ট ফাঁকা পেয়েও লুকাকু হেড নেন বারের ওপর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে রোমার দুর্গ থেকে জয় নিয়ে ফেরে লেভারকুসেন।

আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রোমাকে আতিথ্য দেবে লেভারকুসেন। সে ম্যাচে ড্র কিংবা হারের ব্যবধানটা ১-০ গোলের মধ্যে রাখতে পারলেই ইউরোপা লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করবে আলোনসোর শিষ্যরা।


বায়ার লেভারকুসেন   রোমা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এমএলএসের মাসসেরা ফুটবলার লিও মেসি

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কোন অর্জন নেই যা তার ঝুলিতে নেই। ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের অধরা সোনালী ট্রফিটাও জিতেছেন তিনি। আর এতে করে সর্বকালের সেরা হওয়ার অ্যাখ্যাও পেয়েছেন তিনি।

বর্তমানে ক্লাব ফুটবলে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন লিওনেল মেসি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে পাড়ি দিয়ে নানান স্বীকৃতিই পেয়েছেন তিনি। তবে এই প্রথমবারের মতো এমএলএসের মাসসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

হ্যামস্ট্রিং-এর চোট থেকে ফিরে গত এপ্রিল মাস জুড়ে দারুণ পারফর্ম করায় এই স্বীকৃতি পেয়েছেন মেসি। গত ৬ এপ্রিল দলে ফিরেই গোল উৎসবে মাতেন মায়ামির আর্জেন্টাইন তারকা।

গত এপ্রিলে ৪ ম্যাচ খেলেছেন মেসি। যেখানে ৬ গোল করেছেন তিনি। গোলের পাশাপাশি ৪টি অ্যাসিস্টও রয়েছে তার। স্বাভাবিকভাবেই লিগের মাসের সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন।

মেসি দলে ফেরার জয়ে ফিরেছে মায়ামি। টানা ৪ ম্যাচে অপরাজিত মায়ামি বর্তমানে লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে। ইস্টার্ন কনফারেন্সের টেবিলে শীর্ষে মায়ামির পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ২১।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন