এর আগে যতবার
বিশ্বকাপ ফুটবলের শেষ চারে উঠে এসেছে আলবিসেলেস্তারা, ততবারই ফাইনালে খেলার টিকিট কেটেছে। কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে হট ফেভারিট হয়েই
মাঠে নামছে লিওনেল
মেসির দল। আর এই ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ সবসময়ের লড়াকু দল হিসেবে খ্যাত
ক্রোয়েশিয়া।
কাতারের রাজধানী দোহার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায়
ম্যাচটি মাঠে গড়াবে। ম্যাচে মেসি, মার্টিনেজরা ফেভারিট হলেও তাদেরকে হারানোর হুঙ্কার ছেড়েছে ক্রোয়েশিয়াও। টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলার হাতছানি মদ্রিচদের সামনে। রাশিয়া বিশ্বকাপেও ফাইনাল ম্যাচ খেলেছিল লুকা মদ্রিচের দল।
আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া দু’দলই অনেকটা ভাগ্যকে সঙ্গী করে সেমিফাইনালে উঠে এসেছে। ক্রোয়েশিয়া কোয়ার্টার ফাইনালে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে সেরা চারে উঠে এসেছে। ঠিক তেমনি কোচ লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টিনাও টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে সেমির টিকিট কেটেছে।
ভাগ্যের পরশ নিয়ে সেমিতে আসা দু’দলই জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। যে কারণে আরেকটি হাড্ডাহাড্ডি ও উপভোগ্য ম্যাচ হবে বলে ধারণা করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। অনেকটা ইতিহাসের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে এবার এগিয়ে চলেছে আর্জেন্টিনা। দলটির সামনে ১৯৮৬ সালের পর অর্থাৎ ৩৬ বছর পর শিরোপা জয়ের হাতছানি। কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার পর বর্তমানের আরেক কিংবদন্তি লিওনেল মেসির পরশে সে পথেই হাঁটছে বিখ্যাত আকাশি-সাদা জার্সিধারীরা। ১৯৯০ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারের পরও শেষ পর্যন্ত ফাইনালে খেলেছিল আর্জেন্টিনা। এবার মরুর বুকেও গ্রুপ পর্বে সৌদি আরবের কাছে অপ্রত্যাশিত হারে মিশন শুরু হয় তাদের।
এক হারেই বিধ্বস্ত না বরং সেখান থেকে বলতে গেলে অনেকটা একক কৃতিত্বে দলকে সেমির মঞ্চে তুলে এনেছেন অধিনায়ক মেসি। রেকর্ড সর্বোচ্চ ছয়বারের ফিফা সেরা ও সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা প্রতি ম্যাচেই চোখ ধাঁধানো পারফরমেন্স প্রদর্শন করে চলেছেন। ফুটবল বোদ্ধাদের মতে, মেসি ম্যাজিক অব্যাহত থাকলে শুধু সেমিফাইনাল নয়, এবার তিন যুগ পর বিশ্বকাপই জিতে নেবে আর্জেন্টিনা। ইতিহাস ও পরিসংখ্যান বলছে, এই লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা আগে কখনো হারেনি। প্রতিপক্ষে যে দলই হোক না কেন কাতার বিশ্বকাপের আগে কখনো শেষ চারে হারেনি ম্যারাডোনার দেশ।
সব এক করলে
এর আগে পাঁচবার আর্জেন্টিনা শেষ চারের বাঁধা পেরিয়ে ফাইনালে খেলেছে। এর মধ্যে দুইবার
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেও ফাইনালে হারতে হয়েছে তিনবার। সবশেষ ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় মেসিদের।
আর্জেন্টিনা এর আগে সব আসরেই সেমিফাইনালে কমপক্ষে দুটি করে গোল করেছে। সবমিলিয়ে এই স্টেজে তাদের গোল সংখ্যা ১৪টি। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচটি যে ভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে সামনে এসেছে সেটা ভালোমতোই উপলব্ধি করছে আর্জেন্টাইনরা। ক্রোয়েশিয়ার জমাট রক্ষণভাগকে কোনোভাবেই ফাঁকি দিতে পারেনি ব্রাজিলের তুখোড় আক্রমণভাগ।
এই মঞ্চে জিততে পারলে ক্রোয়েশিয়া অনন্য এক রেকর্ডও গড়বে। এর আগে পরপর দুই বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব দেখিয়েছে ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি। এই দলগুলোর চেয়েও বড় সাফল্য আছে ব্রাজিলের। সেলেসাওরা ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২ টানা এই তিন বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল। এর মধ্যে ’৯৮ বাদে দুইবারই চ্যাম্পিয়ন হয় সাম্বা ছন্দের দেশটি। আরেকটি পরিসংখ্যান থেকে কোচ ডালিচের দল আত্মবিশ্বাসী হতেই পারে। তারা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে দশটি ম্যাচ খেলেছে। অবাক করা বিষয়, প্রতিটি ম্যাচেই গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছে ক্রোয়েটরা।
এর আগে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে জয় পেলেও ২০১৮ বিশ্বকাপে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়। সেবার মদ্রিচরা মেসির দলকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে। সেই দলের বেশিরভাগ ফুটবলার এবারও ক্রোয়েট দলে আছে। যে কারণে আরেকবার মেসিদের বিরুদ্ধে জয়ের আশা করছে দলটি। এই মিশনে ক্রোয়েশিয়া চোটমুক্ত সেরা দলই পাচ্ছে।
অসুস্থতা কাটিয়ে বোর্না সোসা ও মিসলাভ ওরসিচ
দলে ফিরছেন। তুলনায় আর্জেন্টিনা কিছুটা হলেও বেকায়দায় আছে। কোয়ার্টার ফাইনালে হলুদ কার্ড পাওয়ায় টানা দুই কার্ডে দুই ফুল ব্যাক গঞ্জালো মনটিয়েল ও মার্কোস অ্যাকুনা
খেলতে পারছেন না মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। রাইট
ব্যাক পজিশনে মনটিয়েলের জায়গায় নাহুয়েল মোলিনা ও অ্যাকুনার পজিশনে
নিকোলাস টাগলিয়াফিকোর খেলার সম্ভাবনা বেশি। তবে স্বস্তির জায়গাও আছে কোচ স্কালোনির। গোড়ালির ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন আলেজান্দ্রো গোমেজ। রডরিগো ডি পল ও
অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া সেমিফাইনালের
আগে পরিপূর্ণ ফিটনেস ফিরে পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বিশ্বকাপের মতো সবমিলিয়ে পরিসংখ্যানেও সমানে সমান আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া। দু’দল এখন পর্যন্ত পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলেছে পাঁচটি ম্যাচ। যেখানে দুটি করে জয় দু’দলেরই। আরেকটি ম্যাচ ড্র হয়। এবার আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসির সামনে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার হাতছানি। ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠলেও জার্মানির কাছে হারতে হয়েছিল। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে সম্ভাব্য সব ট্রফি জিতেছেন খুদে জাদুকর।
কেবল বিশ্বকাপই জেতা হয়নি। এবার সেই অপূর্ণতা ঘোচাতে আর মাত্র দুই জয় প্রয়োজন আর্জেন্টিনার। তবে কাজটা যে সহজ হবে না সেটা বলাইবাহুল্য। সেমির প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়াই রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে রেখেছে। ২০০২ সালে ব্রাজিলের পর প্রথম দল হিসেবে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলার সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করতে চায়না মদ্রিচ বাহিনী। এটা করতে হলে প্রতিপক্ষের তারকা মেসিকে অকেজো করার বিকল্প নেই।
কিন্তু ক্রোয়েটরা শুধু মেসিকে নিয়ে ভাবছেন না বলে জানিয়েছেন
দলটির ফরোয়ার্ড ব্রুনো পেটকোভিচ। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে চার মিনিট আগে সমতাসূচক গোল করা এই ফুটবলার বলেন,
মেসিকে থামানোর বিষয়ে এখনো আমরা নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা করিনি। সাধারণত আমরা নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়কে থামানোর পরিকল্পনা করি না। আমরা পুরো দল নিয়ে পরিকল্পনা
সাজাই। আর্জেন্টিনা দলে মেসি একা খেলে না, তাদের অনেক অসাধারণ খেলোয়াড় আছে। পুরো আর্জেন্টিনা দলকেই থামাতে হবে আমাদের।
নকআউট পর্বের দুটি ম্যাচেই পিছিয়ে পড়েছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অসাধারণ জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। এমনটা দেখা যায় স্প্যানিশ পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদের ক্ষেত্রে। আর এটাই ক্রোয়েশিয়ার মূল শক্তি বলে জানিয়েছেন দলটির অধিনায়ক মদ্রিচ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনি বলতেই পারেন যে আমাদেরও রিয়ালের মতো একই ডিএনএ আছে। কারণ আমরা সবসময় শেষ পর্যন্ত চলতে থাকি এবং কখনো হাল ছাড়ি না।
কাতার বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনা সেমিফাইনাল ক্রোয়েশিয়া
মন্তব্য করুন
ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কোন অর্জন নেই যা তার ঝুলিতে নেই। ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের অধরা সোনালী ট্রফিটাও জিতেছেন তিনি। আর এতে করে সর্বকালের সেরা হওয়ার অ্যাখ্যাও পেয়েছেন তিনি।
বর্তমানে ক্লাব ফুটবলে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন লিওনেল মেসি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে পাড়ি দিয়ে নানান স্বীকৃতিই পেয়েছেন তিনি। তবে এই প্রথমবারের মতো এমএলএসের মাসসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
হ্যামস্ট্রিং-এর চোট থেকে ফিরে গত এপ্রিল মাস জুড়ে দারুণ পারফর্ম করায় এই স্বীকৃতি পেয়েছেন মেসি। গত ৬ এপ্রিল দলে ফিরেই গোল উৎসবে মাতেন মায়ামির আর্জেন্টাইন তারকা।
গত এপ্রিলে ৪ ম্যাচ খেলেছেন মেসি। যেখানে ৬ গোল করেছেন তিনি। গোলের পাশাপাশি ৪টি অ্যাসিস্টও রয়েছে তার। স্বাভাবিকভাবেই লিগের মাসের সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন।
মেসি দলে ফেরার জয়ে ফিরেছে মায়ামি। টানা ৪ ম্যাচে অপরাজিত মায়ামি বর্তমানে লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে। ইস্টার্ন কনফারেন্সের টেবিলে শীর্ষে মায়ামির পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ২১।
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা ইন্টার মায়ামি
মন্তব্য করুন
দীর্ঘ ৫৮ মাস পর চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শতক হাঁকিয়েছেন সাকিব। ম্যাচটিতে ৭৩ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন তিনি। যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪০-এর কিছুটা কম।
এবার ডিপিএলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে খেলছেন সাকিব আল হাসান। আসরের শুরুর দিকে সাকিব না খেললেও, শেষ দিকে দলের নিয়মিত ক্রিকেটারে পরিণত হয়েছেন তিনি।
শুক্রবার বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে শেখ জামাল। ম্যাচটিতে নেমেই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শতক হাঁকিয়েছেন সাকিব। অথচ শুরুটা করেছিলেন ধীরে। ২৯ বলে ২১ রান তোলার পর হাত খুলে খেলা শুরু করেন সাকিব। মাসুম খানকে লং অফের ওপর দিয়ে মারেন ছক্কা। সেখান থেকে পঞ্চাশে পৌঁছান ৪৩তম বলে। পরের পঞ্চাশ তুলতে খেলেছেন মাত্র ৩০ বল।
২০০৬ সালের এপ্রিলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের। এরপর এটাই সাকিবের প্রথম শতক। তবে সেঞ্চুরি করে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিব। ৭৯ বলে ১০৭ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন দেশসেরা এ অলরাউন্ডার।
প্রসঙ্গত, ঈদের ছুটি কাটিয়ে গত ২৮ এপ্রিল দেশে ফিরেছেন সাকিব। এরপর ৩০ এপ্রিল ডিপিএলে ৪৯ রানের এক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। আর আজ খেললেন শত রানের এক ঝোড়ো ইনিংস।
সাকিব আল হাসান ডিপিএল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
মন্তব্য করুন
একদিন পূর্বেও তিনি ছিলেন খেলার মাঠে। এমনকি বাঁহাতি স্পিনে শিকার করেন কয়েকটি উইকেটও। তবে পরদিনই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে মাত্র ২০ বছর বয়সেই চলে গেলেন ওরচেস্টারশায়ারের তরুণ ক্রিকেটার জশ বেকার।
ইংলিশ কাউন্টি দল ওরচেস্টারশায়ারের বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে বেকারের মৃত্যুরটি নিশ্চিত করেছে। ওরচেস্টারশায়ারেই তার জন্ম, বেড়েই উঠেছেন এই ক্লাবে খেলেই৷ শেষ ম্যাচটিও খেললেন প্রিয় ক্লাবের জার্সিতেই।
পরিবারের গোপনীয়তা রক্ষা করার অনুরোধের প্রেক্ষিতে বেকারের মৃত্যুর কারণ জানায়নি ওরচেস্টারশায়ার।
এই মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ওরচেস্টারশায়ার হয়ে গত মাসেও দুটি ম্যাক্স খেলেন বেকার। গত বুধবারও মাঠে ছিলেন তিনি, সমারসেট দ্বিতীয় একাদশের বিপক্ষে তার ৩ উইকেট নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টও করেছিল ক্লাবটি।
তিন বছর আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত বেকার স্বীকৃত ক্রিকেটে নিয়েছেন ৭০ উইকেট। ব্যাট হাতেও ছিলেন বেশ ভালো।
ব্যাটার বেকারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মুহূর্তটি এসেছিল ২০২২ সালে ডারহামের বিপক্ষে, যখন মাত্র ৮৮ বলে ১৬১ রান করেন ১৮ বছর বয়সী বেকার। বিপক্ষে দলে থাকা ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস মুগ্ধ হয়েছিলেন তার প্রতিভায়।
ম্যাচের পর হোয়াটসঅ্যাপে বেকারকে একটি বার্তা পাঠান স্টোকস। জানান শুভকামনা। “তোমার মাঝে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমি মনে করি তুমি অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”
স্টোকসের সেই ভবিষ্যৎবাণী সত্য হওয়ার আগেই থেমে গেল বেকারের জীবন প্রদীপ। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়েও বেকারের অকাল প্রয়াণে ইংলিশ ক্রিকেটে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মন্তব্য করুন
বিশ্বজুড়ে ধুম পড়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।
ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। তেমনই পরিস্থিতিতে রয়েছে বাংলাদেশও। ফলে স্কোয়াডে কে আছেন আর কে বাদ পড়লেন, সেটা নিয়ে ধোয়াশা রয়েই গেছে। সেই দলে কিছু পরিবর্তনের আভাস দিলেন এবার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৷
আগামীকাল থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের যে দল, বিশ্রাম ও ছুটির কারণে সেখানে নেই মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে এই দুজনের থাকা নিশ্চিতই। ফলে বেশ কয়েকটি পজিশনে এই সিরিজের দল থেকে পরিবর্তন থাকবে স্পষ্টতই।
সরাসরি কারো নাম না বললেও ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেছেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজের পারফরম্যান্স বিশ্বকাপ দলে প্রভাব রাখতেও পারে। “শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে সিরিজটা খেলেছি, আর এই সিরিজে যে দলটা আছে। বিশ্বকাপে বেশির ভাগ খেলোয়াড় এখান থেকে যাবে। যদি সবাই সুস্থ থাকে। হ্যাঁ, দুই-একজন এদিক–ওদিক হতে পারে। তবে বেশির ভাগই এখান থেকে যাবে।”
১ মে পর্যন্ত আইসিসির কাছে দেওয়া স্কোয়াডে নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া দলগুলো পরিবর্তন আনতে পারবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। টি-টোয়েন্টিতে এখনো কয়েকটি পজিশন নিয়ে ভুগছে বাংলাদেশ। যেমন এই ফরম্যাটের ওপেনিং জুটি। কন্ডিশন বিবেচনায় অতিরিক্ত স্পিনার বা বাড়তি পেসার নেওয়ার বিষয়ও রয়েছে।
এসব জায়গায় প্রস্তুত হয়েই বিশ্বকাপে যেতে চান শান্ত। “নির্দিষ্ট করে তিন-চারটা পয়েন্টে মনোযোগ থাকবে, এভাবে বলা মুশকিল। আমি চাইব প্রতিটি জায়গায় যেন ফোকাস থাকে। প্রতিটা জায়গায় যেন আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত হয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারি।“
নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আর তাই আজকের খেলায় সেরা একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা। তবে দলের নিয়মিত দুই নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আর মুস্তাফিজুর রহমান নেই। দু’জনই চট্টগ্রাম পর্বে খেলবেন না। তাদের ছাড়াই প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে শান্তর দল।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের পূর্বে টাইগারদের জিম্বাবুয়ে পরীক্ষা: হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল!
এমন পরিস্থিতিতে কেমন হতে পারে বাংলাদেশ একাদশ, এই প্রশ্ন নিয়ে রীতিমতো চলছে আলোচনা। এই সিরিজ নিয়ে ভক্ত ও সমর্থকদের যত উৎসাহ কমই থাকুক না কেন, একাদশ নিয়ে আগ্রহ আছে সবার। কারণ একটাই— সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেহেতু মুস্তাফিজ নেই, তাই তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে দিয়ে পেস বোলিং ডিপার্টমেন্ট সাজাতে পারে বাংলাদেশ। এর বাইরে স্পিনার হিসেবে দলে থাকার সম্ভাবনা আছে রিশাদ ও শেখ মাহেদির।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন যারা
এই ৫ বোলারের সঙ্গে ব্যাটার হিসেবে থাকতে পারেন লিটন দাস, বাঁহাতি তানজিদ হাসান তামিম, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী অনিক।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, শেখ মাহেদি, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন