মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ২২৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ১৯ রান তুলে দিন শেষ করেছে ভারত। শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল এবং শুভমান গিল বেশ সতর্ক হয়ে খেলতে থাকেন। বোলিংয়ের শুরু করেন তাসকিন আহমেদ। আর অন্য প্রান্ত থেকে নিজেই বল হাতে তুলে নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পেস এবং স্পিন- দুই প্রান্ত থেকে আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ।

তবে সে পরিকল্পনা খুব একটা কাজে আসেনি। ৮ ওভার বল করে সেখান থেকে তেমন কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। দলীয় ১৯ রানে সাকিবের বলে লোকেশ রাহুল এলবিডব্লিউ হলেও, রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। সে ওভার শেষেই আলোক স্বল্পতার জন্য দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করেন দুই অনফিল্ড আম্পায়ার। বাংলাদেশের থেকে ২০৮ রানে পিছিয়ে থেকে খেলা শেষ করে সফরকারিরা। অধিনায়ক রাহুল ৩ এবং শুভমান গিল ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে মিরপুরে শের-ই- বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এ ম্যাচে দুই দলের একাদশেই আসে পরিবর্তন। ইয়াসির আলীর পরিবর্তে দলে ঢুকেছেন মুমিনুল হক। ইনজুরি কাটিয়ে মিরপুর টেস্ট দিয়ে মাঠে ফিরছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। চোটের কারণে বাদ পড়েছেন ইবাদত হোসেন। ভারতীয় দলের একাদশেও এসেছে পরিবর্তন। এক যুগ পর ভারতের টেস্ট দলে জায়গা পেয়েছেন বাঁ-হাতি পেসার জয়দেব উনাদকাট। প্রথম টেস্টে ভারতের জয়ের নায়ক কুলদীপ যাদবের পরিবর্তে দলে ঢোকেন তিনি। যা খানিকটা চমকের খোরাক জুগিয়েছে।

দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসানের ব্যাটে ভাল সূচনা পায় স্বাগতিকরা। যদিও ম্যাচের শুরুতেই জীবন পান জাকির। দ্বিতীয় ওভারে ফাইন লেগ অঞ্চলে ক্যাচ দিলেও তা তালুবন্দী করতে পারেনি মোহাম্মাদ সিরাজ। তবে দলীয় ৩৯ রানে বাংলাদেশের প্রতিরোধে ফাঁটল ধরান ১১৮ টেষ্ট পর দলে ফেরা জয়দেব উনাদকাট। তার একটি বাউন্সি ডেলিভারিতে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ দেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা জাকির। ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। 

এর তিন বল পর তাকে অনুসরণ করেন নাজমুল হাসান শান্ত। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অফ স্টাম্পের বাইরের একটি বল ব্যাটের পরিবর্তে পা দিয়ে ঠেকান তিনি। ভারতের এলবিডব্লিউের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেনি শান্ত। ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দিয়ে দলকে বিপাকে ফেলেন আরো একবার। স্কোরবোর্ডে কোন রান যোগ না করেই ২টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে সে চাপ সামলে নেয়ার চেষ্টা করেন মুমিনুল হক ও সাকিব আল হাসান। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে অবিচ্ছিন্ন ৪৩ রানের জুটি গড়েন তারা। মুমিনুল ২৩ ও সাকিব ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন।প্রথম সেশনের ২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়ায় ২ উইকেটে ৮২ রান।

তবে মধ্যাহৃ বিরতির পর মাঠে ফিরে প্রথম বলেই নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। উমেশ যাদবের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর মুমিনুল হকের সাথে দলকে কক্ষপথে ফেরানোর চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম। ধীর গতির শুরুর পর অশ্বিনের এক ওভারে টানা তিনটি বাউন্ডারি মেরে চাপ কমান মুশি। পরের ওভারে জয়দেব উনাদকাটের উপর চড়াও হন মুমিনুল। দ্রুত গতিতে রান তোলার চেষ্টা করতে থাকে বাংলাদেশ। তবে আবারো বাঁধ সাধেন উনাদকাট। একটি লেংথ বলে মুশফিকের উইকেট তুলে নেন এই পেসার। আউট হওয়ার আগে মুমিনুলের সাথে ৪৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। ২৬ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে।

মুশফিকের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন লিটন কুমার দাস। খেলতে থাকেন ওয়ানডে মেজাজে। মোহাম্মাদ সিরাজের ওভার থেকে ১ চার ও ১ ছয়ে ১২ রান তুলে নেন লিটন। তবে পা হড়কান তার খানিকবাদেই। অশ্বিনের বল লেগ সাইডে স্টিয়ার ডাউন করে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন লোকেশ রাহুলকে। ১৭২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন এই টেস্ট দিয়ে দলে ফেরা মুমিনুল হক। ৬৫ রানে অপরাজিত থেকে যান চা-বিরতিতে। দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ দাড়ায় ৫ উইকেটে ১৮৪ রান। এই সেশনে ২৯ ওভার থেকে ১০২ রান তুললেও গুরুত্বপূর্ণ তিন ক্রিকেটারের উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ।

তবে শেষ সেশনে অসহায় আত্নসমর্পণ করে বাংলাদেশ। চা বিরতির পর মাঠে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। তৃতীয় সেশনে ১৭ ওভার ব্যাটিং করে ৪৩ রান যোগ করতেই শেষ ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অলআউট হয় ২২৭ রানে। ফলে প্রথম দিনের শেষ সেশনেই প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত।

ম্যাচের ৬৭তম ওভারে উমেশ যাদবের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে শট খেলার চেষ্টা করেছিলেন মিরাজ। তবে ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ের পর মাঠে আসেন নুরুল হাসান সোহান। এক ওভার পরই উমেশের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন তিনি। 

মুমিনুল আরেক প্রান্ত আঁকড়ে থাকলেও তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেন নি কেউ। সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। ১৬ বল খেলে তাসকিন খানিক আশার সঞ্চার করলেও পয়েন্ট ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। তবে ম্যাচের ৭৪তম ওভারে সব আশার প্রদীপ নিভে যায় মুমিনুল হক আউট হলে। অশ্বিনের বেশ বাইরের একটি বল খেলতে গিয়ে, পরে তা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে ততক্ষণে বলটি টার্ন করে তার গ্লভাসে ছুঁয়ে যায়। বলটি লুফে নিতে কোন ভুল করেন নি ঋষভ পন্ত। প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ বাড়িয়ে নেয়ার আশায় জল ঢেলে দেন এই ভারতীয় স্পিনার। ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

তার পরের ডেলিভারিতে তুলে নেন খালেদ আহমেদের উইকেট। ২২৭ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ভারতের হয়ে ৪টি করে উইকেট নেন উমেশ যাদব এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বাকি দুটি উইকেট শিকার করেন জয়দেব উনাদকাট।

আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হবে কোপা আমেরিকার লড়াই। যেখানে ফেবারিট হিসেবেই অংশ নেবে ব্রাজিল ফুটবল দল। তবে এর আগে বড় ধাক্কায় খেয়েছে সেলেসাওরা।

কোপা আমেরিকা শুরু হওয়ার মাস খানেক আগে চোট পেয়েছেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক এদারসন। আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের আগে এদারসনের ইনজুরি কিছুটা হলেও ব্রাজিল শিবিরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

জানা গেছে, চোখের ইনজুরিতে পড়েছেন এদারসন। গেল সপ্তাহে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় ৩০ বছর বয়সী এই গোলরক্ষককে। এ কারণে প্রিমিয়ার লিগে শেষ ম্যাচে তাকে পাবে না ম্যানচেস্টার সিটি।  

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ম্যানচেস্টার সিটি জানিয়েছে, স্ক্যানের পর এদারসনের ডান চোখের সকেটে ছোট একটি ফাটল ধরা পড়েছে। মৌসুমের বাকি অংশে তাকে আর পাওয়া যাবে না।

তবে ব্রাজিলের জন্য চিন্তার কারণটা একটু বেশিই। কারণ, আগামী ২০ জুন শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা। আর এমন এক টুর্নামেন্টের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে হারাতে চাইবে না তারা। 

যদিও কোপা আমেরিকার দলে আরো দুইজন গোলরক্ষক আছেন। তাদের একজন লিভারপুলের অ্যালিসন বেকার। সাধারণত এদারসন কোন ম্যাচে না খেললে অ্যালিসনই থাকেন ব্রাজিল কোচের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক।

আয়োজক হওয়ার দৌড় থেকে নিজেদের নাম আগেই প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এতে নিশ্চিত হয়ে যায় ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইটা হবে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে। যে লড়াইয়ে লাতিনদের কাছে পাত্তাই পায়নি ইউরোপিয়ানরা। 

একটু পরিস্কার করে বললে, বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে জয়টা হয়েছে ব্রাজিলের। অর্থাৎ ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক সেলেসাওরা।

শুক্রবার সিঙ্গাপুরের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার বার্ষিক কংগ্রেস। সেখানেই ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্ধারিত হয় বিশ্বকাপের আয়োজক। ব্রাজিলের সঙ্গে আয়োজক হওয়ার দৌড়ে ছিল বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি (বিএনজি)।

তবে সবাইকে পেছনে ফেলে ফিফার সদস্যভুক্ত দেশ ও অঞ্চলগুলোর ভোটে বেশ বড় ব্যবধানে জয় পায় ব্রাজিল। তারা পেয়েছে ১১৯টি ভোট। আর ইউরোপের তিন দেশের ঝুলিতে পড়ে ৭৮ ভোট। ফলে লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশে হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজকের মর্যাদা পেয়েছে ব্রাজিল। 

এ নিয়ে সভাপতি জিয়ান্তি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ব্রাজিলকে অভিনন্দন। ব্রাজিলে আমাদের সেরা বিশ্বকাপ হবে। সেইসঙ্গে বিএনজি-কেও ধন্যবাদ। তারাও বিডে দুর্দান্ত ছিল।’

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এর জন্য ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। ডাচদের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন চোটে আক্রান্ত বার্সা তারকা ফ্রাংকি ডি ইয়ং।

এবারের ইউরোয় প্রতিটি দলের ২৬ জনের স্কোয়াড রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে ডাচরা ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। আগামী ৭ জুনের মধ্যে অবশ্য খেলোয়াড় কমিয়ে চূড়ান্ত দল দিতে হবে তাদের।

আগামী ১৬ জুন হামবুর্গে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ইউরো অভিযান শুরু করবে নেদার‌ল্যান্ডস। এবারের আসরে ‘ডি’ গ্রুপে তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়া।

এর আগে অবশ্য কানাডা ও আইসল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে নেদারল্যান্ডসের। ম্যাচ দুটি যথাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে ৬ ও ১০ জুন।

নেদারল্যান্ডসের প্রাথমিক স্কোয়াড-

গোলরক্ষক: জাস্টিন বিজলো, মার্ক ফ্লেকেন, বার্ট ভারব্রুগেন, নিক ওলিজ।

ডিফেন্ডার: নাথান আকে, ডেলি ব্লিন্ড, ভার্জিল ফন ডাইক, ডেনজেল ডামফ্রিস, জেরেমি ফ্রিমপং, লুৎশারেল গের্ট্রুইদা, ম্যাথিজ ডি লিট, ইয়ান মাতসেন, মিকি ফন ডি ভেন, স্টেফান ডি ভ্রিজ।

মিডফিল্ডার: রায়ান গ্রাভেনবার্চ, ফ্রেঙ্কি ডি জং, টিউন কোপমেইনার্স, তিজানি রেইজেন্ডার্স, মার্টেন ডি রুন, জের্ডি স্কাউটেন, জাভি সিমন্স, কুইন্টেন টিম্বার, জোয়ি ভিরম্যান, জর্জিনিও উইজনালডাম।

ফরোয়ার্ড: স্টিভেন বার্গউইজেন, ব্রায়ান ব্রোবি, মেমফিস ডিপে, কোডি গাকপো, ডনিয়েল মালেন, ওয়াউট ওয়েগহোর্স্ট।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় গত আট মাসে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল এফএ। এ নিয়ে গত মার্চে ফিফায় চিঠি দিয়েছিল ফিলিস্তিন এফএ।

ফিলিস্তিন ফুটবলের সেই দাবিকে সমর্থন দিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। এ নিয়ে এএফসির কংগ্রেসে আলোচনাও হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।

শুক্রবার থাইল্যান্ডে ফিফার ৭৪ তম বার্ষিক সভার কংগ্রেসে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরপরেই আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যাবে যে, বিশ্ব ফুটবলে ইসরায়েল নিষিদ্ধ হচ্ছে কি না।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে এএফসির সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা বলেন, ‘এএফসি এবং ফিফা তাদের সদস্য রাষ্ট্রের মতোই শক্তিশালী। যখন একজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন বাকিদের উপরও তার প্রভাব পড়ে। তাই এএফসি, ফিলিস্তিন এফএ-এর সাথে ঐক্যমত পোষন করছে। ফিফার নিয়ম ও আইনের মধ্যে থেকে ফিলিস্তিনের ফুটবল যেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তার স্থায়ী সমাধান চায়।’

এ নিয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ফিলিস্তিনে আজ যা চলছে তাতে আমরা সবাই ভুগছি। আমরা দূর থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করতে পারি। আমরা প্রার্থনা করি বিশ্বের সকল নির্যাতিত শিশুর জন্য। যদিও এ বিষয়ে ফুটবল খুব অল্প কিছুই করতে পারে। তবে ফুটবল সবাইকে একত্রিত করতে পারে।’

২০২৭ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা হারিয়ে দিয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া ইউরোপের তিন দেশ বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে।

আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম চূড়ান্ত হতেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল তারা। ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার আশা, ‘সর্বকালের সেরা নারী বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি।’

শুক্রবার (১৭ মে) ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ১১৯টি ভোট পায় ব্রাজিল। অন্যদিকে, যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানির ভাগে পড়ে ৭৮টি ভোট। অবশ্য চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে ব্রাজিলের দিকেই পাল্লা ভারী ছিল। ফিফা টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নে লাতিন দেশটি আয়োজক হওয়ার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল।

এর নেপথ্য কারণ, টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজনের সম্ভাব্যতা, বাণিজ্যিক বিষয়াদি, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সুযোগসুবিধা ও আবাসনের মতো বিষয়। এ ছাড়া ২০১৪ পুরুষ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ১০টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ব্রাজিল।

ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্দো রদ্রিগেস এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, আমরা জানতাম, দক্ষিণ আমেরিকার নারী ও ফুটবলের বিজয় আমরা উদযাপন করতে পারব। দম্ভ করে বলছি না, নিশ্চিত থাকতে পারে, নারীদের জন্য সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আমরা উপহার দেব।