বাংলাদেশ
প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টানা চার জয়ে উড়ন্ত এক সূচনা করেছে
সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে দলটি দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে শিরোপার দিকে। তবে এর মধ্যেই মন খারাপের মত খবর পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের
সমর্থকরা। দলটির এক পরিচালক নাকি প্রস্তাব পেয়েছেন ম্যাচ পাতানোর এমন গুঞ্জনে সরগরম ক্রিকেটাঙ্গন।
তবে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগটি ইতিমধ্যে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে জানানো হয়েছে বলেও খবর রয়েছে।
গতকাল নিজেদের চার নম্বর ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটরসকে হারানোর পরে দলটির মুখপাত্র হয়ে গণমাধ্যমের সামনে আসেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সেখানে তিনি কথা বলেছেন ফিক্সিং ইস্যুতে।
সিলেট অধিনায়ক ফিক্সিং ইস্যুতে বলেন, ‘এখানে যারা খেলছে, এমন একজন প্লেয়ার বলতে পারবে না যে এ
সম্বন্ধে জানে না। এখানে সাবধানতার কিছু নাই। যে জানে না
বলবে, সেই মিথ্যা কথা বলছে। তাই না? তো এখানে সাবধানতার
কিছু নাই।’
বাংলাদেশ
জাতীয় দলের সাবেক এ সফল অধিনায়ক
মাশরাফির বিশ্বাস, তার দলের সবাই জানেন এ ধরনের প্রস্তাব
পেলে কী করতে হবে।
সিলেট পরিচালক
ফিক্সিংয়ের বিষয়ে আকসুকে বলার পরে তারা কোন সাবধানতা অবলম্বন করছে কিনা এমন প্রশ্নে
বিপিএলে সর্বোচ্চ চার শিরোপা জয়ী অধিনায়ক বলেন,
‘পরিচালককে বলেছে কি না, সে
পরিষ্কারভাবে বলতে পারবো না। আর আপনি একটা
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেছেন। আকসুকে যদি বলে না থাকে, তাহলে
অন্য বিষয়। আর বললে খুব
ভালো। তো স্বাভাবিক বিষয়,
যদি তাদের কাছে কিছু এসে থাকে, আকসুকে বলবে। তবে আমার মনে হয় দলের সবাই
জানে করণীয় কী।’
বাংলাদেশের
সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এ টুর্নামেন্টে এর
আগেও ফিক্সিংয়ের বিষয় উঠেছে এবং সেটি প্রমানিতও হয়েছিলো। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত হয়ে শাস্তিও পেয়েছিলেন। যে শাস্তি আশরাফুলকে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় করে দিয়েছে।
মন্তব্য করুন
ফরাসী তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পের দলবদলের খবর এখন প্রায়ই শিরোনামে থাকছে। আগামী জুনেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে তার। এরপরেই ফ্রি খেলোয়াড় হিসেবে ক্লাব ছাড়তে চান ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। পিএসজিকে এরই মধ্যে নিজের সিদ্ধান্ত জানালেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন না।
তবে এবার সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নিজেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। শুক্রবার (১০ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে নিজের পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দেন ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
নতুন মৌসুমে কোন ক্লাবে যোগ দিচ্ছেন ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড? ভিডিওবার্তায় এমবাপ্পে বলেন, আমি সবসময়ই আপনাদের বলে এসেছি, যখন সময় আসবে, আমি নিজ থেকেই বলব। পিএসজিতে এটাই আমার শেষ মৌসুম হতে যাচ্ছে। চুক্তি নবায়ন করতে আমি আগ্রহী নই এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ক্লাবটির সাথে এই যাত্রা শেষ হয়ে যাবে আমার।
পিএসজির হয়ে খেলতে পারাটা বেশ আবেগের বলে মনে করেন কিলিয়ান। জানান, আমি কখনও ভাবিনি পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা এতটা কঠিন কাজ হবে আমার জন্য। এখানে মিশে আছে অনেক আবেগ। বিশ্বের বড় ক্লাবগুলোর একটিতে খেলতে পারা আমার জন্য বেশ সম্মানের। তবে সাত বছর পর নতুন একটা চ্যালেঞ্জ নেয়া বেশ প্রয়োজন বলে মনে করি আমি।
ঘরোয়া লিগে পিএসজি’র জার্সিতে আলো ছড়ালেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি এমবাপ্পে। চলতি মৌসুমে তাদের যাত্রা শেষ হয় সেমিফাইনালের মঞ্চে। ফরাসি জায়ান্টদের হয়ে কাটানো সময় একই সাথে চাপ ও উপভোগের ছিল বলে মনে করেন এই ফরওয়ার্ড।
তিনি বলেন, পিএসজিতে বেশ কিছু তারকাদের সাথে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। মেসি-নেইমারদের সাথে স্মরণীয় মূহুর্ত রয়েছে আমার। এখানে কাটানো প্রতিটি সময় উপভোগের সাথে চাপের এক দারুণ সংমিশ্রণ ছিল। এমন অভিজ্ঞতার স্বাদ দেয়ার জন্য ক্লাবের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।
২০১৭ সালে মোনাকো থেকে ধারে খেলতে পিএসজিতে আসেন এমবাপ্পে। পরের বছরই এই ফরোয়ার্ডকে কিনে নেয় প্যারিসের দলটি। পিএসজির জার্সিতে ছয়টি লিগ শিরোপা, তিনটি ফরাসি কাপসহ আরও বেশ কিছু ট্রফি জিতেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
কিলিয়ান এমবাপ্পে ফ্রান্স পিএসজি রিয়াল মাদ্রিদ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফল ওপেনার ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। একটা লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন নানা কারণেই। তবে কবে আবারও ফিরছেন জাতীয় দলে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে এরই মধ্যে তামিম আবারও নতুন করে খবরের শিরোনামে। কিন্তু এবার ক্রিকেট সংক্রান্ত কোন বিষয়ে নয়।
এবার সিলেট নগরীর সড়কে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছেন তামিম ইকবাল। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তামিমকে নিয়ে রাজপথে নামেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। পরে নগরভবনের সামনে থেকে নাগরী চত্বর হয়ে সার্কিট হাউসের সম্মুখ-সুরমাতীর পর্যন্ত পচ্ছিন্নতা অভিযানে অংশ নেন তিনি। এ সময় বেশ হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে একটি সড়ক পরিষ্কার করেন দেশসেরা এ ওপেনার।
এ সময় তামিম বলেন, এমনিতে সারাদেশে সিলেটবাসীর আলাদা একটা সুনাম আছে। আধ্যাত্মিক এই নগরী আগের চেয়ে বর্তমানে আরো বেশি পরিচ্ছন্ন। বিশেষ করে ফুটপাত এবং রাজপথে হকার্সদের হাঁকাহাঁকি ঝুট-ঝামেলা বন্ধ করতে অল্প সময়েই সক্ষম হয়েছেন সিলেটবাসীর প্রিয় মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
সাবেক টাইগার অধিনায়ক আরো বলেন, এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী। আগামী সাড়ে ৪ বছরে সিলেট মহানগরী সারাদেশের জন্য একটি আদর্শ নগরী হিসাবে উদাহরণ হয়ে থাকবে। বর্তমান মেয়রের সেই আন্তরিকতা এবং যোগ্যতা আছে বলেই আমি মনে করি।
সিসিক সূত্র জানায়, পরিচ্ছন্নতা কাজে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে তামিম ইকবাল মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে ঐ কাজে অংশ নেন।
সিলেট সফরে আসায় এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করায় তামিম ইকবালকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটের রাজপথে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমে তামিম প্রমাণ করলেন তিনি শুধু খেলার মানুষই নয়, একজন দায়িত্ব সচেতন এবং সম্মানিত নাগরিক। তাকে দেখে সবাই আমাদের নগরীকে আরো বেশী পরিচ্ছন্ন রাখতে আন্তরিক হবেন উৎসাহী এবং উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস।’
তামিম ইকবাল সিলেট সিটি কর্পোরেশন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
বিশ্বজুড়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে অন্যরকম আবহ। চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে খেলা। বাকি নেই এক মাসও। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।
আসন্ন এই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতিস্বরূপ একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডসহ বিভিন্ন অংশগ্রহণকারী দলগুলো। তবে এদিক থেকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটটা একটু ভিন্ন। কারণ বাংলাদেশ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ তো খেলছে ঠিকই, তবে যাদের সাথে খেলছে তারা এবার বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতি হিসেবে জিম্বাবুয়ের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে এখন পর্যন্ত ৪টি ম্যাচ ইতোমধ্যেই মাঠে গড়িয়েছে। আর সবগুলোতেই জিতেছে বাংলাদেশ। তবে তারপরেও যেন স্বস্তি নেই টাইগার শিবিরে।
কারণ এই সিরিজের ম্যাচগুলোতে টাইগার ব্যাটারদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছে এটি বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নয়, বরং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জেতাটাই মূল লক্ষ্য। ফলে যে দলটা উগান্ডার কাছে হেরে এসেছে সেই জিম্বাবুয়েও যেন শান্ত-লিটন-হৃদয়দের কাছে শক্তিশালী মাইটি অস্ট্রেলিয়া।
চলতি বছরে লংকানদের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক খেলায় মাঠে নেমেছিল টাইগাররা। যেখানে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে ঘরের মাঠে সিরিজ খুইয়েছিল তারা। তাই বিশ্বকাপের আগে দলের মূল ব্যাটারদের ফর্মে ফেরানো জরুরী মনে করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজে সে কথা ভুলে গেছেন কোচ এবং অধিনায়ক।
সাধারণত দেশের মধ্যে খেলা হলে চট্টগ্রামের উইকেটে রানখরা থাকে না। যার ফলে চার-ছক্কার বিশ্বকাপের জন্য ব্যাটিং প্রস্তুতিটা সেখানে ভালোভাবেই সেরে নিতো পারতো টাইগাররা। কিন্তু সেখানে টানা দুই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট কারার সুযোগ পেয়েও ফিল্ডিং নিয়েছিলেন শান্ত।
আগে ব্যাট করে যেখানে বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টের পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তোলার অভ্যাস গড়ে নিতেই পারতো বাংলাদেশ। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। প্রথম ম্যাচে ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়া প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৫ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচে শুধু তাওহীদ হৃদয় (১৪৮.০০) এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১৬২.৫০) টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করেছেন। অন্যদিকে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করলেও ৯২ স্ট্রাইক রেটে ২৫ বলে ২৩ রান করে আউট হন লিটন। ৯৪ দশমিক ৭৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে ১৯ বলে ১৮ রান করেন তামিম। ১৫ বলে ১৬ করেন শান্ত।
তবে চতুর্থ ম্যাচে তামিমের ব্যাট হেসেছে ভালোই। এদিন অফফর্মের কারণে লিটনকে ড্রপ করে সৌম্যকে নেওয়া হয়েছিল। আর সৌম্য সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়েছেন ভালোই। এদিন দ্রুতই শতকের ঘরে পৌঁছায় বাংলাদেশ। তবে শতকের পরই যেন আবারও সেই উইকেটের মিছিল। একের পর এক আসা যাওয়া। ৪২ রানের মধ্যে ১০টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত লিটন-শান্ত-তামিমরা? এমন প্রশ্নই এখন ঘুরছে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টদের মনে।
চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটে আগে ব্যাট করলে চাপ মুক্তভাবে ব্যাট করে রানে ফেরার সুযোগ ছিল লিটনের সামনেও। সুযোগ ছিল মূল ম্যাচে নিজেদের পাওয়ার হিটিংয়ের দক্ষতা পরখ করে দেখে নেওয়ার। বিশ্বকাপের আগে কয়েকটা ম্যাচে ২০০ প্লাস স্কোর গড়তে পারলে ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাসটাও বাড়তো।
কিন্তু সবকিছুর বিপরীত দিকে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট। বোলিংয়ে তাসকিন-শরিফুলরা সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং প্রমাণ করে টাইগারদের ব্যাটিং দুর্বলতা অনেক গভীরে।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সৌম্যের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায় বিনা উইকেটে শতকের ঘরেও পৌঁছেছিল টাইগাররা। আর তাই ভক্ত-সমর্থকরা ভেবেছিল বড় স্কোর করতে যাচ্ছে টিম টাইগার্স। কিন্তু অতি শীঘ্রই সেই ভাবনা ধুলোই মিশিয়ে দিয়েছে তারা। ৪২ রানের মধ্যে ১০ উইকেট খুঁইয়ে অবশেষে ১৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে নাজমুল শান্তর দল।
শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় মিরপুর শের-ই-বাংলায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। যেখানে অফফর্মে থাকা লিটন দাসকে বাদ দিয়ে দলে ফেরা সৌম্যের সাথে ওপেনিংয়ে নেমে এদিন ভালো শুরু করেন তানজিদ তামিম। সাত চার এবং ১ ছক্কার সহায়তায় ৩৪ বলেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলে নেন এই তরুণ ওপেনার। অন্যদিকে একটা লম্বা সময় পর দলে ফিরে ভালো করেন সৌম্যও। তাদের জুটিতে দলীয় শতকে পৌঁছায় টাইগাররা।
তবে শতকের ঘরে পৌঁছানোর পরই শুরু হয় পতন। একের পর এক উকেট যেন নিজ হাতে বিলিয়ে দিয়েছেন টাইগার ব্যাটাররা। আর এতে করে ১৪৩ রানের স্বল্প পুঁজিতে অল আউট হয় বাংলাদেশ।
এদিন বিপর্যয়ের শুরুটা হয় তানজিদ তামিমকে দিয়েই। ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর তিনি লুক জঙওয়ের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন। যদিও নিজের কাজটা ঠিকই করে গিয়েছিলেন তিনি। ৫২ রানে ফেরেন এই ওপেনার। একই বোলারকে উইকেট দিয়েছেন সৌম্যও কিছুটা ধীরগতির ইনিংসে ৩৪ বলে ৪১ করে হয়েছেন এলবিডব্লু।
চলতি সিরিজে দারুণ ছন্দে থাকা হৃদয়ও এদিন ব্যর্থ। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে বেনেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মিডল অর্ডারের এই ভরসা। ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে এসে ব্যর্থ সাকিবও। ব্যাটে-প্যাডে বিশাল গ্যাপ দিয়ে বল ঢুকতে সমস্যাই হয়নি। বেনেটের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ১ রান করেই।
একই ওভারের শেষ বলে ফিরেছেন অধিনায়ক শান্ত। দম ফেলার আগেই ফিরেছেন সাকিব আল হাসান (১), অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (২) ও জাকের আলি (৬)। আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে মিরপুরের গ্যালারিতে তখন ভুয়া ভুয়া স্লোগান।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সৌম্যের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায় বিনা উইকেটে শতকের ঘরেও পৌঁছেছিল টাইগাররা। আর তাই ভক্ত-সমর্থকরা ভেবেছিল বড় স্কোর করতে যাচ্ছে টিম টাইগার্স। কিন্তু অতি শীঘ্রই সেই ভাবনা ধুলোই মিশিয়ে দিয়েছে তারা। ৪২ রানের মধ্যে ১০ উইকেট খুঁইয়ে অবশেষে ১৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে নাজমুল শান্তর দল।