প্রতিবছর
টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি
ক্রিকেটের জন্য নির্দিষ্ট কিছু
ক্রিকেটারের সাথে চুক্তি করে
থাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যা বিসিবির কেন্দ্রীয়
চুক্তি হিসেবে পরিচিত। সারা বছরের পারফরম্যান্সের
উপর ভিত্তি করে জাতীয় দল,
কিংবা জাতীয় দলের পাইপলাইনে থাকা
কেউ বা তরুণ উদীয়মান
ক্রিকেটাররা জায়গা পান সে চুক্তিতে।
কেন্দ্রীয় এই চুক্তিতে থাকা
খেলোয়াড়েরা, সুযোগ-সুবিধা কিংবা অর্থের হিসেবেও বাকিদের থেকে ঢের এগিয়ে
থাকেন। ২০২৩ সালের জন্য
ক্রিকেটারের সাথে কেন্দ্রীয় চুক্তি
সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
বিগত
সময়ে মার্চ-এপ্রিল কিংবা বছরের মাঝামাঝি এসে এই চুক্তির
ঘোষাণা দিতো ক্রিকেট বোর্ড,
এবার তা বছরের শুরুতে
হওয়ায় সেটিকে ইতিবাচক হিসেবে গণ্য করাই যায়।
শনিবার এক বিবৃতিতে, তিন
সংস্করণ মিলিয়ে মোট ২১ জন
ক্রিকেটারের সাথে কেন্দ্রীয় চুক্তির
কথা জানায় বিসিবি। এই বছরে কেন্দ্রীয়
চুক্তির চমক তরুণ পেসার
হাসান মাহমুদ এবং ব্যাটসম্যান জাকির
হাসান। প্রথমবার এই চুক্তির আওতাভুক্ত
হয়েছেন এই দুই ক্রিকেটার।
এই চুক্তির মেয়াদ- চলতি বছরের ১
জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর
পর্যন্ত। গত বছরও সমান
সংখ্যক খেলোয়াড়কে কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় রেখেছিল বিসিবি।
৭টি
আলাদা ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের সাথে এই চুক্তি
করেছে বিসিবি। নতুন চুক্তির আওতায়
লিটন দাস, সাকিব আল
হাসান, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান
মিরাজ এই চার ক্রিকেটারকে
রাখা হয়েছে তিন সংস্করণের জন্য।
গতবছরের এই তালিকায় থাকা
শরীফুল ইসলাম ও মুশফিকুর রহিম
বাদ পড়েছেন এবার।
টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেয়া
দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম
রয়েছেন ওয়ানডে এবং টেষ্টের চুক্তিতে।
আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ আছেন শুধুমাত্র ওয়ানডের
জন্য। গতবছরের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন
মাহমুদুল হাসান, নাঈম শেখ, সাদমান
ইসলাম ও ইয়াসির আলী।
চলতি বছরে চুক্তিতে ফিরেছেন
খালেদ আহমেদ ও মোসাদ্দেক হোসেন।
হাসান
এবং মোসাদ্দেক দুজনকেই রাখা হয়েছে টি-টোয়েন্টিতে। আর জাকির ও
খালেদ রয়েছেন টেস্টের জন্য। এই দুজন ছাড়াও
টেস্টের জন্য আছেন মুমিনুল
হক, তাইজুল ইসলাম ও ইবাদত হোসেন।
এছাড়া টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি
ক্যাটাগরিতে রয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও নুরুল হাসান।
আর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে
আফিফ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানকে রাখা হয়েছে। আর
শুধূমাত্র টি-টোয়েন্টির জন্য
চুক্তি করা হয়েছে নাসুম
আহমেদ ও শেখ মেহেদীর
সাথে।
এবারের
চুক্তিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির
জন্য রয়েছেন ১৩জন করে ক্রিকেটার।
আর ওয়ানডের জন্য ১০ জন
ক্রিকেটারকে কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় রেখেছে বিসিবি। এখানেই আলোচনার একটি জায়গা রয়েছে।
চলতি বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে
অংশ নেবে বাংলাদেশ। এই
ফরম্যাটেই পায়ের নিচের মাটি সবচেয়ে শক্ত
টাইগার ক্রিকেটারদের। ২০১৫ সাল থেকে
ওয়ানডেতে সমীহ জাগানিয়া প্রতিপক্ষ
হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। সেখানে মাত্র ১০ জন ক্রিকেটারের
সাথে কেন্দ্রীয় চুক্তি রাখায় খানিকটা সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে
বিসিবিকে। তবে চুক্তি ঘোষণা
করলেও ক্রিকেটারদের বেতনের বিষয়টি খোলাসা করেনি বিসিবি।
আবার
চলতি বছর আইসিসির এফটিপি
এবং দ্বিপাক্ষিক সিরিজ মিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার করবে
বাংলাদেশ দল। সেসব বাস্তবতা
বিবেচনায় নিয়েই বোর্ড আরো সুদূর প্রসারি
পরিকল্পনা নিতে পারতো কি
না- এই প্রশ্ন গণমাধ্যম
থেকে শুরু করে ক্রিকেট
সংশ্লিষ্ট সকলের। তবে স্যালারি কিংবা
ম্যাচ ফি যাই হোক
না কেন, গৎবাঁধা নিয়মের
বাইরে গিয়ে সেটিকেই পারফরম্যান্সের
বিচারে পরিমাপ করলে মাঠের খেলায়
তার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারতো বলে
মত ক্রিকেট
বিশ্লেষক ও বোদ্ধাদের। বাকি
ভাবনাটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্যই তোলা রইলো।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বিসিবি কেন্দ্রীয় চুক্তি ২১ ক্রিকেটার
মন্তব্য করুন
আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হবে কোপা আমেরিকার লড়াই। যেখানে ফেবারিট হিসেবেই অংশ নেবে ব্রাজিল ফুটবল দল। তবে এর আগে বড় ধাক্কায় খেয়েছে সেলেসাওরা।
কোপা আমেরিকা শুরু হওয়ার মাস খানেক আগে চোট পেয়েছেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক এদারসন। আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের আগে এদারসনের ইনজুরি কিছুটা হলেও ব্রাজিল শিবিরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
জানা গেছে, চোখের ইনজুরিতে পড়েছেন এদারসন। গেল সপ্তাহে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় ৩০ বছর বয়সী এই গোলরক্ষককে। এ কারণে প্রিমিয়ার লিগে শেষ ম্যাচে তাকে পাবে না ম্যানচেস্টার সিটি।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ম্যানচেস্টার সিটি জানিয়েছে, স্ক্যানের পর এদারসনের ডান চোখের সকেটে ছোট একটি ফাটল ধরা পড়েছে। মৌসুমের বাকি অংশে তাকে আর পাওয়া যাবে না।
তবে ব্রাজিলের জন্য চিন্তার কারণটা একটু বেশিই। কারণ, আগামী ২০ জুন শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা। আর এমন এক টুর্নামেন্টের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে হারাতে চাইবে না তারা।
যদিও কোপা আমেরিকার দলে আরো দুইজন গোলরক্ষক আছেন। তাদের একজন লিভারপুলের অ্যালিসন বেকার। সাধারণত এদারসন কোন ম্যাচে না খেললে অ্যালিসনই থাকেন ব্রাজিল কোচের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক।
মন্তব্য করুন
আয়োজক হওয়ার দৌড় থেকে নিজেদের নাম আগেই প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এতে নিশ্চিত হয়ে যায় ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইটা হবে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে। যে লড়াইয়ে লাতিনদের কাছে পাত্তাই পায়নি ইউরোপিয়ানরা।
একটু পরিস্কার করে বললে, বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে জয়টা হয়েছে ব্রাজিলের। অর্থাৎ ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক সেলেসাওরা।
শুক্রবার সিঙ্গাপুরের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার বার্ষিক কংগ্রেস। সেখানেই ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্ধারিত হয় বিশ্বকাপের আয়োজক। ব্রাজিলের সঙ্গে আয়োজক হওয়ার দৌড়ে ছিল বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি (বিএনজি)।
তবে সবাইকে পেছনে ফেলে ফিফার সদস্যভুক্ত দেশ ও অঞ্চলগুলোর ভোটে বেশ বড় ব্যবধানে জয় পায় ব্রাজিল। তারা পেয়েছে ১১৯টি ভোট। আর ইউরোপের তিন দেশের ঝুলিতে পড়ে ৭৮ ভোট। ফলে লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশে হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজকের মর্যাদা পেয়েছে ব্রাজিল।
এ নিয়ে সভাপতি জিয়ান্তি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ব্রাজিলকে অভিনন্দন। ব্রাজিলে আমাদের সেরা বিশ্বকাপ হবে। সেইসঙ্গে বিএনজি-কেও ধন্যবাদ। তারাও বিডে দুর্দান্ত ছিল।’
মন্তব্য করুন
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এর জন্য ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। ডাচদের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন চোটে আক্রান্ত বার্সা তারকা ফ্রাংকি ডি ইয়ং।
এবারের ইউরোয় প্রতিটি দলের ২৬ জনের স্কোয়াড রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে ডাচরা ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। আগামী ৭ জুনের মধ্যে অবশ্য খেলোয়াড় কমিয়ে চূড়ান্ত দল দিতে হবে তাদের।
আগামী ১৬ জুন হামবুর্গে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ইউরো অভিযান শুরু করবে নেদারল্যান্ডস। এবারের আসরে ‘ডি’ গ্রুপে তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়া।
এর আগে অবশ্য কানাডা ও আইসল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে নেদারল্যান্ডসের। ম্যাচ দুটি যথাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে ৬ ও ১০ জুন।
নেদারল্যান্ডসের প্রাথমিক স্কোয়াড-
গোলরক্ষক: জাস্টিন বিজলো, মার্ক ফ্লেকেন, বার্ট ভারব্রুগেন, নিক ওলিজ।
ডিফেন্ডার: নাথান আকে, ডেলি ব্লিন্ড, ভার্জিল ফন ডাইক, ডেনজেল ডামফ্রিস, জেরেমি ফ্রিমপং, লুৎশারেল গের্ট্রুইদা, ম্যাথিজ ডি লিট, ইয়ান মাতসেন, মিকি ফন ডি ভেন, স্টেফান ডি ভ্রিজ।
মিডফিল্ডার: রায়ান গ্রাভেনবার্চ, ফ্রেঙ্কি ডি জং, টিউন কোপমেইনার্স, তিজানি রেইজেন্ডার্স, মার্টেন ডি রুন, জের্ডি স্কাউটেন, জাভি সিমন্স, কুইন্টেন টিম্বার, জোয়ি ভিরম্যান, জর্জিনিও উইজনালডাম।
ফরোয়ার্ড: স্টিভেন বার্গউইজেন, ব্রায়ান ব্রোবি, মেমফিস ডিপে, কোডি গাকপো, ডনিয়েল মালেন, ওয়াউট ওয়েগহোর্স্ট।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় গত আট মাসে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল এফএ। এ নিয়ে গত মার্চে ফিফায় চিঠি দিয়েছিল ফিলিস্তিন এফএ।
ফিলিস্তিন ফুটবলের সেই দাবিকে সমর্থন দিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। এ নিয়ে এএফসির কংগ্রেসে আলোচনাও হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
শুক্রবার থাইল্যান্ডে ফিফার ৭৪ তম বার্ষিক সভার কংগ্রেসে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরপরেই আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যাবে যে, বিশ্ব ফুটবলে ইসরায়েল নিষিদ্ধ হচ্ছে কি না।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে এএফসির সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা বলেন, ‘এএফসি এবং ফিফা তাদের সদস্য রাষ্ট্রের মতোই শক্তিশালী। যখন একজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন বাকিদের উপরও তার প্রভাব পড়ে। তাই এএফসি, ফিলিস্তিন এফএ-এর সাথে ঐক্যমত পোষন করছে। ফিফার নিয়ম ও আইনের মধ্যে থেকে ফিলিস্তিনের ফুটবল যেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তার স্থায়ী সমাধান চায়।’
এ নিয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ফিলিস্তিনে আজ যা চলছে তাতে আমরা সবাই ভুগছি। আমরা দূর থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করতে পারি। আমরা প্রার্থনা করি বিশ্বের সকল নির্যাতিত শিশুর জন্য। যদিও এ বিষয়ে ফুটবল খুব অল্প কিছুই করতে পারে। তবে ফুটবল সবাইকে একত্রিত করতে পারে।’
মন্তব্য করুন
২০২৭ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা হারিয়ে দিয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া ইউরোপের তিন দেশ বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে।
আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম চূড়ান্ত হতেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল তারা। ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার আশা, ‘সর্বকালের সেরা নারী বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি।’
শুক্রবার (১৭ মে) ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ১১৯টি ভোট পায় ব্রাজিল। অন্যদিকে, যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানির ভাগে পড়ে ৭৮টি ভোট। অবশ্য চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে ব্রাজিলের দিকেই পাল্লা ভারী ছিল। ফিফা টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নে লাতিন দেশটি আয়োজক হওয়ার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল।
এর নেপথ্য কারণ, টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজনের সম্ভাব্যতা, বাণিজ্যিক বিষয়াদি, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সুযোগসুবিধা ও আবাসনের মতো বিষয়। এ ছাড়া ২০১৪ পুরুষ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ১০টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ব্রাজিল।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্দো রদ্রিগেস এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, আমরা জানতাম, দক্ষিণ আমেরিকার নারী ও ফুটবলের বিজয় আমরা উদযাপন করতে পারব। দম্ভ করে বলছি না, নিশ্চিত থাকতে পারে, নারীদের জন্য সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আমরা উপহার দেব।
২০২৭ নারী বিশ্বকাপ ফুটবল ব্রাজিল
মন্তব্য করুন
আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হবে কোপা আমেরিকার লড়াই। যেখানে ফেবারিট হিসেবেই অংশ নেবে ব্রাজিল ফুটবল দল। তবে এর আগে বড় ধাক্কায় খেয়েছে সেলেসাওরা। কোপা আমেরিকা শুরু হওয়ার মাস খানেক আগে চোট পেয়েছেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক এদারসন। আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের আগে এদারসনের ইনজুরি কিছুটা হলেও ব্রাজিল শিবিরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
আয়োজক হওয়ার দৌড় থেকে নিজেদের নাম আগেই প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এতে নিশ্চিত হয়ে যায় ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইটা হবে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে। যে লড়াইয়ে লাতিনদের কাছে পাত্তাই পায়নি ইউরোপিয়ানরা। একটু পরিস্কার করে বললে, বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে জয়টা হয়েছে ব্রাজিলের। অর্থাৎ ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক সেলেসাওরা।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এর জন্য ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। ডাচদের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন চোটে আক্রান্ত বার্সা তারকা ফ্রাংকি ডি ইয়ং। এবারের ইউরোয় প্রতিটি দলের ২৬ জনের স্কোয়াড রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে ডাচরা ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। আগামী ৭ জুনের মধ্যে অবশ্য খেলোয়াড় কমিয়ে চূড়ান্ত দল দিতে হবে তাদের।
২০২৭ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা হারিয়ে দিয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া ইউরোপের তিন দেশ বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে।