ইনসাইড গ্রাউন্ড

২০২৬ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার ডাগ আউটে স্কালোনি

প্রকাশ: ০৩:২৮ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

কাতার বিশ্বকাপে ৩৬ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হয়েছে আর্জেন্টিনার। মাঠে মেসি-দি মারিয়াদের সাফল্য উল্লাসে ভাসিয়ে উৎসবের উপলক্ষ্য এনে দেন পুরো দেশকে। প্যারিসে গতকাল রাতে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ফিফা দ্যা বেস্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। ৮টি ক্যাটাগরিতে দেয়া পুরষ্কারের ৪টিই গেছে আর্জেন্টিনায়। মাঠে ফুটবলারদের এই সাফল্যের পেছনের কারিগর ছিলেন অখ্যাত এক কোচ। আর্জেন্টিনার দ্বায়িত্ব পাওয়ার আগে যার ছিলো না কোন জাতীয় দলের হয়ে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা।

সেই অখ্যাত লিওনেল স্কালোনি আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে হয়ে উঠেছেন বিখ্যাত। সিজার লুইস মেনোত্তি ও কার্লোস বিলার্দোর পর তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে সোনালী ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। বিশ্বকাপ শেষের দুই মাসেরও বেশি সময় পর স্কালোনির সাথে নতুন চুক্তি সম্পন্ন করেছে আর্জেন্টিনা। ফিফা দ্যা বেস্ট অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আগে তার সাথে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।

গত ৩১ ডিসেম্বর চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় স্কালোনির। তবে তার সাথে যে চুক্তির মেয়াদ বাড়ছে সেটা আগেই জানা গিয়েছিলো। তবে সে চুক্তি কবে স্বাক্ষর হবে সেটাই ছিলো আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। প্যারিসে ফিফার অনুষ্ঠানে ফিফার বর্ষসেরা কোচের পুরষ্কার উঠেছে তার হাতেই। তবে এর আগে আরও বড় সুসংবাদ পেয়েছেন ৪৪ বছর বয়সী এই কোচ। অনুষ্ঠান শুরুর আগে তার সাথে বৈঠকে বসেন এফএ সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া। সেখানেই দুই পক্ষের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এক বিবৃতিতে খবরটি নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।

আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে রাইটব্যাক হিসেবে খেলতেন স্কালোনি। ক্লাব ক্যারিয়ারে খেলেছেন নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ, লাৎসিও ও মায়োর্কায় হয়ে। ২০১৫ সালে পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানান তিনি। এরপর সেভিয়ায় হোর্হে সাম্পাওলির কোচিং স্টাফে যোগ দেন। সাম্পাওলি আর্জেন্টিনার দায়িত্ব পেলে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১৮ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর 

সাম্পাওলিকে ছাঁটাই করে দ্বায়িত্ব দেয়া হয় স্কালোনিকে। তার অধীনেই ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে নেয় আলবিসিলেস্তেরা। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই ফিনালিসিমায়ও জয় পায় আর্জেন্টিনা। তার অধীনে এখন পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচে ৩৭ জয়, ১৫ ড্র ও ৫ ম্যাচে হেরেছেন স্কালোনি।


আর্জেন্টিনা   লিওনেল স্কালোনি   কোচ   চুক্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসির বার্সাচুক্তির সেই ন্যাপকিন পেপারের মূল্য ১১ কোটি

প্রকাশ: ০৪:২০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যে ন্যাপকিন পেপারের মাধ্যমে বার্সার সাথে চুক্তি করেছিলেন আজকের ফুটবল বিশ্বের মহাতারকা লিও মেসি, সেই ন্যাপকিন পেপার অবশেষে নিলামে বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) ব্রিটিশ নিলাম হাউস বোনহামস-এর নিলামে পেপারটির বিক্রি হয়েছে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

জানা গেছে, বার্সেলোনায় ১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেল- এই লেখাটি ছিল সেই ন্যাপকিন পেপারে।

শুক্রবারের সেই নিলামে ন্যাপকিন পেপারের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩ লাখ ডলার। তবে ধারণা চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে এই নেপকিন পেপারটি। এটি নিলামে যে দামে বিক্রি হয়েছে, সেখান থেকে একটি অংশ অনলাইন নিলামের প্রশাসনিক ফি হিসেবে দিতে হবে—এটি ‘ক্রেতার প্রিমিয়াম’।

ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপার। বার্সার সঙ্গে মেসির প্রথম চুক্তিপত্র হিসেবে এই ন্যাপকিন পেপারকে বিবেচনা করা হয়। ১৩ বছর বয়সী মেসি এই ন্যাপকিন পেপারে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রায়ালের জন্য পরিবারের সঙ্গে বার্সেলোনায় যান মেসি। সঙ্গে ছিলেন দুই আর্জেন্টাইন প্রতিনিধি ফাবিয়ান সোলদিনি ও মার্তিন মনতেরো এবং গাজ্জোলি। ট্রায়ালে সবাইকে চমকে দেন মেসি। তাই চুক্তির আশা নিয়ে রোসারিওতে ফেরে তার পরিবার।

সেই সময়ের বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান গাসপার্ত অবশ্য হরমোনজনিত সমস্যায় ভোগা ১৩ বছর বয়সী একটি ছেলের সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেছিলেন। তাকে রাজি করানোর জন্য বার্সেলোনার তখনকার টেকনিক্যাল সেক্রেটারি কার্লো রেক্সাসকে চাপ দেন গাজ্জোলি ও মিনগেলা। শেষ পর্যন্ত চুক্তির কথা লেখা হয়েছিল ওই ন্যাপকিন পেপারে।


লিও মেসি   বার্সালোনা   চুক্তি   ন্যাপকিন পেপার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শান্ত-লিটনকে নিয়ে হাথুরুর ভাবনা কি?

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ১৯তম দল হিসেবে ইতোমধ্যেই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপের পূর্বে সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হিউস্টনে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে টাইগাররা। আর এজন্যই গতকাল শুক্রবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

তবে যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দেওয়ার আগে বিসিবির বিশেষ আয়োজন ‘দ্য রেড অ্যান্ড গ্রিন স্টোরির’ দ্বিতীয় অংশে বিশ্বকাপ দলে থাকা বাংলাদেশ দলের ১৫ ক্রিকেটারকে নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন টাইগারদের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

অধিনায়ক নাজমুলকে নিয়ে হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘শান্ত আমাদের নেতা। খুব ভালো নেতা, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে জানে। ড্রেসিংরুমে সে ছেলেদের সঙ্গে মেশে, মাঠে সে খুবই প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ।আমার মনে হয় প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে তার হাতে এবার বড় দায়িত্ব। আমি নিশ্চিত সে এই চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য প্রস্তুত।’

সাম্প্রতিক সময়ে অফফর্মে থাকা লিটনকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘লিটন আমাদের অন্যতম সেরা ব্যাটার। এই বিশ্বকাপে তার ব্যাটিং থেকে আমি বড় কিছু প্রত্যাশা করি। সে খুবই প্রতিভাবান অ্যাথলেট। অন্যতম সেরা ফিল্ডারও। যেকোনো পজিশনে ফিল্ডিং করতে পারে, স্লিপে, আউটফিল্ডে যেকোনো জায়গায়। খুবই শান্ত থাকে, খেলাটা খুব ভালো বুঝে। দলকে ট্যাকটিক্যালিও সহযোগিতা করে।’

স্কোয়াডে থাকা সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয় ও তানজিদ হাসান তামিমদের নিয়েও বেশ আশাবাদী হাথুরুসিংহে।


নাজমুল হোসেন শান্ত   বাংলাদেশ ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   হাথুরুসিংহে   লিটন দাস বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্লাব ও আন্তর্জাতিকের ব্যস্ত সূচিতে ফিট থাকাটাই চ্যালেঞ্জ মেসির

প্রকাশ: ০২:২২ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কোন অর্জন নেই যা তার ঝুলিতে নেই। ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের অধরা সোনালী ট্রফিটাও জিতেছেন তিনি। আর এতে করে সর্বকালের সেরা হওয়ার অ্যাখ্যাও পেয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এই ফুটবল জাদুকর।

আসছে ২৪ জুন, ৩৭ বছরে পা দেবেন তিনি। আর লিও’র এবারের জন্মদিনের সময় সময় চলবে কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসর। আর এবারের কোপার আসরে আলবিসেলেস্তেরা চাইবে গতবারের মতো শিরোপা নিজেদের ঘরেই রাখতে। সেজন্য ইতোমধ্যেই কোচ লিওনেল স্কালোনি ছক কষছেন, করছেন পরিকল্পনা। আর শিরোপা ধরে রাখার মিশনে কোচ লিওনেল স্কালোনির পরিকল্পনার বড় অংশ হচ্ছেন লিও মেসি।

তবে চলতি মৌসুমে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট বেশ ভোগাচ্ছে লিও মেসিকে। যার জন্য বেশ কয়েকবার পড়েছিলেন ইনজুরিতে। যে কারণে খেলতে পারেননি মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ইন্টার মায়ামির সর্বশেষ ম্যাচেও। আর মেসি না খেলায় সে ম্যাচে পয়েন্ট হারায় ফ্লোরিডার দলটি।

কিন্তু শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে) দলের অনুশীলনে যোগ দেন মেসি। পরে ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্ডো মার্টিনো জানান শনিবার (বাংলাদেশ সময় রোববার ভোর সাড়ে ৫টা) ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলবেন দলের অধিনায়ক। ফলে এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে আবারও মাঠে ফেরায় স্বস্তি ফিরেছে ইন্টার মায়ামি ও আর্জেন্টাইন শিবিরে।

গত শনিবার (১১ মে) মন্ট্রিয়েলের ফুটবলার জর্জ ক্যাম্পবেলের বাজে ট্রাকেলের শিকার হন মেসি। তাৎক্ষণিক চিকিৎসার পর পুরো ম্যাচ খেললেও অস্বস্তিতে ভুগতে দেখা যায় তাকে। তাই সতর্কতার কারণে গত বুধবার (১৫ মে) অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে খেলা হয়নি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের। ফলে ম্যাচটি গোলহীন ড্রতে শেষ করে মায়ামি। চলতি মৌসুমে লিগে এখন পর্যন্ত ৫টি ম্যাচে খেলতে পারেনি মেসি। ১০ গোল করে আছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে।

মেসির সামনে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবলের ব্যস্ত সূচি রয়েছে। শনিবার ডিসি ইউনাইটেডের মুখোমুখি হওয়ার কোপার আগে ইন্টার মায়ামির আরও তিনটি ম্যাচ রয়েছে। ২৫ মে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস, ২৯ মে আটলান্টা ইউনাইটেড আর ১ জুন সেন্ট লুইস সিটি বিপক্ষে লড়বে ইন্টার মায়ামি।

১৪ ম্যাচে ২৮ ম্যাচ নিয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ডেভিড বেকহামের মালিকানাধীন ক্লাবটি। এই শীর্ষস্থান ধরে রাখতে আর্জেন্টাইন তারকার সুস্থ থাকাটা বড্ড প্রয়োজন। ক্লাবের পর জাতীয় দলের জার্সিতেও ব্যস্ত সূচির রয়েছে মেসির।

২০ জুন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবে কোপা আমেরিকা। লাতিন মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরের আগে ৯ জুন শিকাগোয় ইকুয়েডর এবং ১৪ জুন মেরিল্যান্ডের ল্যান্ডওভারে গুয়াতেমালার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। এই দুই ম্যাচে খেলতে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন মেসি।

শতবর্ষী কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। গত আসরে ব্রাজিলকে হারিয়ে দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ট্রফি নিয়ে শিরোপা উৎসব করে আলবিসেলেস্তারা। এরপর কাতারে যেতে বিশ্বকাপ ট্রফি। ফলে কোপা এবং বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হয়ে মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টে খেলবে আর্জেন্টিনা।

গ্রুপ পর্বে ২০ জুন আটলান্টায় কানাডান বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কোপার শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু করবে আর্জেন্টিনা (বাংলাদেশ সময় ২১ জুন ৬টা)। এরপর ২৫ জুন নিউ জার্সিতে কোপার সাবেক চ্যাম্পিয়ন চিলির মুখোমুখি হবে মেসিরা (বাংলাদেশ সময় ২৬ জুন সকাল ৭টা)। আর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ২৯ জুন পেরুর বিপক্ষে খেলবে আর্জেন্টিনা বাংলাদেশ সময় ৩০ জুন ভোর ৬টা)।

এমন ব্যস্ত সূচিতে ৩৬ বছর বয়সী মেসির ইনজুরিতে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। আর চলতি মৌসুমে এমনিতেই তার চোটের পড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কোপার শিরোপা ধরে রাখতে ব্যস্ত সূচিতে নিজের ফিট রাখার বড় চ্যালেঞ্জ আর্জেন্টাইন অধিনায়কের সামনে।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি   কোপা আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

২০০৯ এর চ্যাম্পিয়নরা কি পারবে আবারও শিরোপা ঘরে তুলতে?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর মাত্র দুই সপ্তাহ। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হবে ব্যাটে-বলের সেই লড়াই। যেখানে চার-ছক্কার জোর যার বেশি, দাপটটাও তাদেরই বেশি। আর তাই এবার আসন্ন এই টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রতিটি দলই তাদের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়েই দল সাজিয়েছে।

অন্যান্যবার ১০টি দল নিয়ে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হলেও এবার তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আর এতে করে বদলেছে খেলার সমীকরণও। যার জন্য সব দিক বিবেচনা করেই দল গুছিয়েছে প্রতিটি দল। ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে ২০ দলের মধ্যে ১৯টি দল তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। একমাত্র ব্যতিক্রম পাকিস্তান। আসরের সপ্তাহ দুয়েক বাকি থাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করতে পারেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)

তবে পাকিস্তানি কিছু সংবাদ মাধ্যম বলছে, আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করতে আরও চার-পাঁচ দিন সময় নেবে পিসিবি। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছে, ইনজুরি ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে সেরে ওঠা কিছু খেলোয়াড়ের অনিশ্চয়তা।

জানা গেছে, চোট থেকে সেরে উঠতে পুনর্বাসনে থাকা পেসার হারিস রউফ ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন। সেই সাথে ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ধরতে পারেন পেসার হাসান আলী, অলরাউন্ডার সালমান আলী আগা ও ইরফান খান।

তবে বাকি সব দলের স্কোয়াড ঘোষণার পরও পাকিস্তান দল ঘোষণা না করায় নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছে পিসিবি। এ নিয়ে শুরু চলছে ব্যাপক সমালোচনা। যদিও ২৭ মে পর্যন্ত সময় আছে ক্রিকেট বোর্ডের হাতে।

পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দল নিয়ে ইতোমধ্যেই নানা গুঞ্জন চলছে ক্রীড়াঙ্গনে। কে বা কারা থাকছেন দলে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা থাকলেও বিভিন্ন সূত্র বলছে, ওপেনিংয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম জুটিই নিশ্চিতভাবে থাকছেন। তবে যেহেতু বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে চার-ছক্কার দাপট বেশি, সেহেতু প্রতিপক্ষ ও পিচ বিবেচনায় এখানে পরিবর্তন আসতে পারে।

এ বিষয়ে কথা বলেছেন দেশটির তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। তিনি বলেন, কোনো ম্যাচ যদি হাই স্কোরিং হয়, তা হলে ঝুঁকি নিয়ে অতিমাত্রায় আক্রমণাত্মক সাইম আইয়ুবকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে দেওয়া উচিত। আর যদি ম্যাচ খুব বেশি রানের না হয়, তা হলে বাবর আজম–মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি ঠিক রয়েছে।

নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে শোয়েব মালিককে প্রশ্ন করা হয়েছিল পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি নিয়ে। তখন তিনি বলেন, ‘দেখুন, সাইম আইয়ুব উচ্চ ঝুঁকি নিয়ে খেলা একজন খেলোয়াড়। যে কোনো ব্যাটসম্যান, যারা বেশি ঝুঁকি নিয়ে খেলে, তাদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করার সুযোগ কম।’

শোয়েব মালিক এরপর আইয়ুবকে নিয়ে বলেন, ‘ওর মধ্যে অমিত প্রতিভা আছে। আপনাকে দেখতে হবে যে হাই স্কোরিং ম্যাচ হয় কিনা, যদি সেটিই হয়, সাইম আইয়ুবকে দিয়ে ওপেন করাতে হবে। আর যদি হাই স্কোরিং ম্যাচ না হয়, তখন এটা কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করবে। ম্যাচ যদি হয় ১৬০–১৭০ রানের, তাহলে আমার মনে হয় বাবর ও রিজওয়ানেরই ওপেন করা উচিত।’

তবে শুধু ওপেনিং জুটি নয়, মিডল অর্ডার, ফিনিশার থেকে শুরু করে বোলিং সবখানেই এবার বেশ ভালোভাবে নজর দিচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। গেল আসরে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে গিয়েও ফেরত আসার যে আক্ষেপ, সেটি এবার কাটিয়ে উঠতে চায় তারা।

পাকিস্তানের গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, মিডল অর্ডার সামলাতে দলে জায়গা পেয়েছেন আজম খান, ইমাদ ওয়াসিম ও ইফতিখার আহমেদের মতো প্রতিভাবানরা। এছাড়া প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ভড়কে দিতে শাহিন আফ্রিদির ইউনিটে রয়েছেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা মোহাম্মদ আমির, নাসিম শাহ, আব্বাস আফ্রিদি ও পুনর্বাসনে থাকা হারিস রউফ। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের বোলিং ইউনিট যে এবার যেকোন দলের ব্যাটারদের নড়বড়ে করে দিতে পারে তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা এটা দেখার যে, ২০০৯ এর চ্যাম্পিয়নরা আবারও শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলতে পারে কি না।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান দলের পারফরম্যান্স অনুযায়ী খুব একটা ভরসা করতে পারছে না ভক্ত সমর্থকরা। কারণ সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের সাথে সিরিজে প্রতিপক্ষের ‘এ’ ক্যাটাগরির দলের সাথে জিততেও যে বাবর-রিজওয়ানদের ঘাম ঝরেছে। তবে এক্ষেত্রে কিছু পজিটিভ দিকও রয়েছে এটা নিঃসন্দেহেই বলা যায়। কারণ দীর্ঘদিন ধরে রান খরায় থাকা ব্যাটাররা এ সিরিজের মধ্য দিয়ে আবারও নিজেদের খাতায় রান তুলতে পেরেছেন। যদিও স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে কেউই সেভাবে চমক দেখাতে পারেননি। তবে তারপরেও ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশা আসন্ন বিশ্বকাপে নিজেদের সেরাটা দিয়েই লড়াই করবে পাকিস্তান।

উল্লেখ্য, আগামী ২ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়ালেও ৯ জুন নিউইয়র্কের নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে পাকিস্তান। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত। গ্রুপের বাকি দলগুলো হচ্ছে- আয়ারল্যান্ড, কানাডা ও স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।

পাকিস্তানের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ একাদশ:
বাবর আজম (অধিনায়ক), ফখর জামান, মোহাম্মদ রিজওয়ান, উসমান খান, আজম খান, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, সাইম আইয়ুব, ইফতিখার আহমেদ, আবরার আহমেদ, শাহিন আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমির, নাসিম শাহ, আব্বাস আফ্রিদি ও হারিস রউফ। রিজার্ভ : সালমান আলী আগা, হাসান আলী ও ইরফান খান।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের পূর্বে নেপাল দলে বড় সুখবর

প্রকাশ: ০১:৩৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর দুই সপ্তাহ পর আগামী ১ জুন থেকে শুরু হবে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। তবে এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকে বড় সুখবর পেয়েছে নেপাল ক্রিকেট।

শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট পাকিস্তান। তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেপালের তারকা স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানেকে ধর্ষণ মামলাকে থেকে নিষ্পাপ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে দেশটির আদালত। এবার তাকে টি-২০ বিশ্বকাপে নেপালের হয়ে খেলার অনুমতিও দিল আইসিসি।

বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাড়পত্র মেলায় বিশ্বকাপে খেলতে এখন আর কোনো বাধা রাইলো না লামিচানের।

এর আগে গত জানুয়ারির শুরুতে লামিচানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় কাঠমান্ডু জেলা আদালত। পরে ১০ জানুয়ারি তাকে ঐ মামলায় আট বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে লামিচানেকে তিন লাখ নেপালি রুপি জরিমানা এবং ভুক্তভোগী কিশোরীকে আরও দুই লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেন আদালত।

এদিকে বিশ্বকাপের জন্য গত ১ মে দল ঘোষণা করে নেপাল। আইসিসি থেকে লামিচানের গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ায় বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তার অন্তর্ভূক্তি নিয়ে আর কোনো বাধা রইলো না। তবে ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে তিনি কার জায়গায় অন্তর্ভূক্ত হবেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।

নেপালের বিশ্বকাপ দল-

রোহিত পৌদেল (অধিনায়ক), আসিফ শেখ, অনিল কুমার শাহ, কুশল বুর্থেল, কুশল মাল্লা, দীপেন্দ্র সিং আইরি, ললিত রাজবংশী, কারান কেসি, গুলশান ঝা, সোমপাল কামি, প্রতীশ জিসি, সন্দ্বীপ জোরা, অবিনাশ বোহরা, সাগর ধাকাল, কমল সিং আইরি। 


নেপাল ক্রিকেট   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল   আইসিসি   সন্দ্বীপ লামিচানে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন