ইনসাইড গ্রাউন্ড

টেস্টে দলের ভাগ্য পরিবর্তন কি অধিনায়কের হাতে?

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ১৫ জুন, ২০২৩


Thumbnail

জীবনের আরেক অর্থ যদি ক্রিকেট হয়, তাহলে কেমন হয়? আসলেই কোথাও গিয়ে যেন জীবন আর ক্রিকেট মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। জীবনের প্রতি মুহূর্তেই চলার পথে মানুষ পরীক্ষার সম্মুখীন হয়, আর মানুষই পারে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে। ক্রিকেট যদি জীবন হয় সেই খেলার রঙ্গমঞ্চেও খেলোয়াড়দের বসতে হয় পরীক্ষায়, আর সেই ক্রিকেট নামক খেলাটির মধ্যে দিয়ে সেই পরীক্ষার নামটি হয় টেস্ট ক্রিকেট।

টেস্ট
ক্রিকেট' হল ক্রিকেটের প্রাচীন এক সংস্করণ, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই দলের মাঝে দীর্ঘ সময় জুড়ে ক্রিকেট খেলা হয়। এমনকি ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপুর্ণ ফরম্যাট ধরা হয় টেস্ট ক্রিকেটকে।  দীর্ঘ সময়ব্যাপী খেলোয়াড়দের শারীরিক মানসিক পরীক্ষা নেওয়া হয় বলেই ক্রিকেটের এই সংস্করণের নাম টেস্ট ক্রিকেট।

ক্রিকেট অথবা যেকোনো খেলায় একজন অধিনায়কের কাজ কি থাকে? অধিনায়কের কাজ কি কেবল কোচের টিম ম্যানেজমেন্টের দেয়া মুখস্ত বুলি নিয়ে দল পরিচালনা করে যায়অধিনায়কেরা কেবল নামের সাথে এই মার্যাদাপূর্ন  ট্যাগ লাগিয়ে ঘুরে বেরোলেই তো আর তাদের কাজ শেষ হয়ে যায়।মাঠে সব ধরনের সিদ্ধান্ত তার একাই নিতে হয়। আগের থেকে ঠিক করে আসা কৌশল মাঠে এসে কাজে নাও লাগতে পারে।

কোচের পরামর্শের সাথেও দলের সকল বিষয়ে নখদর্পনে রাখতে হয় একজন ক্যাপ্টেনের।একজন টেস্ট অধিনায়কের আসলে কি কি কাজ তার সম্পন্ন করতে হয় তা দেখে নেয়া যাকঃ

অধিনায়কের আগে মাঠে নামার আগে তার মূল একাদশ নির্ধারন করতে হয়, টসে জিতে বোলিং না ফিল্ডিং এই ব্যাপারটাও আগের থেকে ঠিক করে নিতে হয় কোচের সাথে পরামর্শ করে, তবে বলাই বাহূল্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেবলে তার নিজস্ব।

কোথায় ফিল্ডার সেট করতে হবে, বোলিং লাইনআপ, ব্যাটিং লাইনআপ সকল কিছুই তার মাথায় রাখতে হয়। টেস্ট ক্রিকেট একধরনের রোমাঞ্চকর অধ্যায়, কেননা প্রতি মূহুর্তে রঙ বদলাতে থাকে সেই অবস্থান এর সাথে খাপখাইয়ে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নেয়াই থাকে অধিনায়কের দায়িত্ব। এছাড়া মাঠে রিভিউ হতে বাহিরে মিডিয়ায় জবাব দেয়ার দায়িত্ব তার থাকে।দলের সব কিছুর মূল হোতা এই টেস্ট ক্যাপ্টেন।


কিভাবে একজন অধিনায়ককে মূল্যায়ন করা হয়? কেবল ব্যাক্তিগত পার্ফরমেন্স নয় গোটা দলের সফলতা কিংবা ব্যার্থতা সব কিছুর ভিত্তি করে একজন অধিনায়ককে মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
সাউদ আফ্রিকার সর্বকালের সেরা ক্যাপ্টেন বলা হয় গ্রেইম স্মিথ। টেস্টে সর্বকালের সর্বোচ্চ অধিনায়কত্ব করা এই প্রোটিয়া তার ক্যারিয়ারে অধিনায়কত্ব করেছেন ১০৯টি টেস্ট ম্যাচ যার সর্বকালের রের্কড ৫৩টি ম্যাচ জয়ে এবং ২৯টি ম্যাচে হার। শতকরা ক্যারিয়ারে অংশগ্রহণ করা ম্যাচ হিসাব করলে তার পরেই আছেন পাকিস্তানের আব্দুল হাফেজ কাদের এবং ইন্ডিয়ার মন্সুর আলি খান। শতকরা

৮০ শতাংশ ম্যাচে অধিনায়কত্ব না করলেও একবিংশ শতকে সর্বোচ্চ অধিনায়কত্ব দুজন অধিনায়ক ধরা হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন সামি এবং পাকিস্তানের মিসবাউল হক।

অন্যদিকে টেস্টে সফল অধিনায়ক হিসাব করলে স্টিভ ওয়াহ সর্বকালের সেরা অধিনায়ক। তার পরেই আছেন ডন ব্রাডম্যান এবং রিকি পন্টিং। যদিও তাদের পরে ভিরাট কোহলিকে ধরা হয়ে থাকে। অর্থ্যাৎ সর্বাকালের সেরা অধিনায়ক মূলত অস্ট্রেলিয়া দল থেকেই দেখা যায় বর্তমানে অজিরাই ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়ন ধরে রেখেছে।
টেস্টে ব্যার্থ অধিনায়ক হিসেব প্রথম স্থানে আবার রয়েছেন জিম্বাবুয়ের অ্যালিস্টার ক্যাপম্বেল এবং তার পরেই আছে ক্যারিবিয়ান ক্যাপ্টেন জেসন হোল্ডার। এছাড়া ব্রায়ান লারার,গোয়ারের মোট কিংবদন্তীরাও আছেন এই তালিকা।


আবার দেশের বাইরে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ। তার পরে আছেন রিকি পন্টিং, মিসবাউল হকের মত নাম। আবার দেশের মাটিতে স্টিভ ওয়াহকে পিছে ফেলে সর্বকালের সেরা অধিনায়ক ভিরাট কোহলি।

অধিনায়কের ব্যাক্তিগত পার্ফরমেন্সের হিসাবে ব্যাটিংয়ে সেরাদের মধ্য নাম রয়েছে ইংলিশ অধিনায়ক ইলিংওরথের,জিম্বাবুয়ের হিট স্ট্রিক,নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেটরি। আবার বোলার হিসেবে নাম নেয়া যায় অজি অধিনায়কব বিনউডেরও।

পরিসখ্যানের বাইরেও কিছু টেস্ট অধিনায়ক আছেন যারা পুরো দুলকে সেরাদের তালিকায় নিয়ে গেছেন, যেমন সৌরভ গাঙ্গুলি, ক্যাম্পবেল, ভিরাট কোহলি।টেস্টে দলকে তলানি থেকে সফলতা এনে দিতে তারা ছিলেন সেরাদের সেরা। আবার শচীন, ব্রায়ান লারার মত কিংবদন্তিও হোচট খেয়েছেন অধিনায়কত্ব নিয়ে।

আইসিসির দেয়া সকল পরিসখ্যান দেখেলে বোঝা যায় ব্যাক্তিগত পারর্ফমেন্স  নয়, অধিনায়কের গুনিই একটি টেস্ট দলকে এনে দেয় সফলতা।

হ্যাঁ, মানসিক কাঠিন্য, চরিত্র এসব কিছুরই এক চরমতম মঞ্চ একজন অধিনায়কের কাছে টেস্ট ক্রিকেটটাই। যেখানে সত্যিই ক্রিকেট যেন জীবনের গল্পও বলে যায়, তাই না?    

 


ক্যাপ্টেন   টেস্ট   ক্রিকেট   স্টিভ ওয়াহ   ভিরাট কোহলি   রিকি পন্টিং   অধিনায়ক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে শুভকামনা জানালেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করছেন। আর তিনি যখন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তখন তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে উড়াল দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তিনি এ শুভকামনা জানান। সেখানে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে এক প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

ম্যাচ শেষে ডোনাল্ড লু সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আজ ক্রিকেট খেলেছি। বাংলাদেশের জনগণ ক্রিকেট পাগল। যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট সিরিজের আয়োজন করতে পেরে সন্তুষ্ট। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করছে বলে আমরা খুব খুশি।

তিনি বলেন, আজকের প্রীতি ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। তিনি একজন বিশ্বমানের আম্পায়ার। তিনি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন, এটি আমাদের জন্য আনন্দের। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের জন্য আমাদের শুভ কামনা রইল।

বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে পৌঁছালে ডোনাল্ড লু ও পিটার হাসকে জার্সি ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তাদের শুভেচ্ছা জানান বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। এ সময় নারী ক্রিকেট দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ১৪ মে তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন।


ডোনাল্ড লু   বাংলাদেশ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে ফিফার নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ০৭:৩৪ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বে নারী ফুটবল ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। এটি মূলত মেয়েদের ক্লাব বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক। যা নিয়ে বড় সুখবরই দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

ফিফা জানিয়েছে, আগামী ২০২৬ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে মাঠে গড়াবে মেয়েদের প্রথম ক্লাব বিশ্বকাপের আসর। চার বছর পর পর মাঠে গড়াবে এই আসর। যেখানে অংশ নেবে ১৬টি ক্লাব।

বুধবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে কংগ্রেসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। গত বছরের ডিসেম্বরেই ফিফা ঘোষণা দিয়েছিল এটি। অবশেষে আজকের সাধারণ সভায় তা চূড়ান্ত হলো।

নারীদের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। আর যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন গোথাম এফসি, লাতিন অঞ্চলের মেয়েদের কোপা লিবারতাদোরেসের সেরা ব্রাজিলের করিন্থিয়াস।

জানা গেছে, মহাদেশীয় অঞ্চলের চ্যাম্পিয়নরা ছাড়াও র‍্যাংকিংয়ের বিচারে অংশ নেবে বাকি ক্লাবগুলো।


বার্সালোনা   ক্লাব ফুটবল   ফিফা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসিদের লিগে পাড়ি জমাচ্ছেন অলিভিয়ে জিরু

প্রকাশ: ০৭:০৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর্জেন্টাইন ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসি মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) যোগ দেওয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছে লিগটি। আর মেসি যাওয়ার পর থেকে এই লিগে পাড়ি জমিয়েছেন বিশ্বের সব নামিদামী খেলোয়াড়রা। যার মধ্যে রয়েছেন জর্দি আলবা, সার্জিও বুসকেটস ও লুইস সুয়ারেজদের মতো তারকা ফুটবলার।

এবার একই লিগে খেলতে যাচ্ছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা অলিভিয়ে জিরু। আগেই জানা গিয়েছিল, চলতি মৌসুম শেষে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানের ডেরা ছাড়বেন জিরু। তবে তার পরবর্তী ঠিকানা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। অবশেষে সেটিও জানা গেল।

এমএলএসের ক্লাব লজ অ্যাঞ্জেলস এফসিতে পাড়ি দিবেন জিরু। এ বিষয়টি মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিশ্চিত করেছে ক্লাবটি।

সেই পোস্টে জিরুর একটি অ্যানিমেটেড ছবি দিয়ে তারা লিখেছে, ‘লস অ্যাঞ্জেলসে একজন নতুন তারকা এসেছে।’

এছাড়া ইনস্টাগ্রামে জিরুকে ট্যাগ করে তারা লিখেছে, ‘২০২৫ সাল পর্যন্ত এলএএফসিতে খেলবেন ফরাসি স্ট্রাইকার। তবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।’

গত মৌসুমে দলের তারকা খেলোয়াড় মেক্সিকোর কার্লোস ভেয়া দল ছাড়ার পর থেকে আক্রমণভাগের জন্য একজন বিশ্বমানের ‘নাম্বার নাইন’ খুঁজছিল এলএএফসি। ইন্টার মায়ামি যেমন লিওনেল মেসিকে ভিড়িয়ে তাকে ঘিরেই দল সাজিয়েছে; জিরুকে নিয়েও তেমন ভাবনা এলএএফসি’র।  

গত সোমবার মিলান ছাড়ার ঘোষণা দেন জিরু। ইতালিয়ান ক্লাবটির হয়ে তিন মৌসুমে ৪৮ গোল করেছেন ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা। ইউরোপিয়ান ফুটবলে সফল একটি ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানছেন তিনি।


অলিভিয়ে জিরু   ফ্রান্স   ফুটবল   মেজর লিগ সকার   এমএলএস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মারুফাকে দলে নিতে চান হারমানপ্রিত

প্রকাশ: ০৬:৫৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর। যার পরিচিতিটা বাংলাদেশের সমর্থকদের কাছে কিছুটা নেতিবাচকই। গেল বছর বাংলাদেশ সফরে এসে তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। আম্পায়ারদের দিকে আঙুল তোলা ছাড়াও স্বাগতিক বাংলাদেশকে নিয়েও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে ছাড়েননি। যার জেরে আইসিসি থেকে নিষেধাজ্ঞাও ভোগ করতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার উইমেন্স টিমের এই কাপ্তানকে।

সেই হারমানপ্রীতেরই মনে ধরেছে বাংলাদেশি এক নারী পেসারকে। যদি সুযোগ থাকতো একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে নিজের দলে নেওয়ার, তাহলে পেসার মারুফা আক্তারকে নিতে চাইতেন হারমানপ্রীত। সম্প্রতি আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দল থেকে আমি নিতে চাই মারুফা আক্তারকে। আমার কাছে সে অনেক প্রতিভাবান একজন ক্রিকেটার। আমার মনে হয় সে আমাদের দলে থাকলে আমাদের অনেক সাফল্য এনে দিতে পারবে।’

পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই মাঠে গড়াবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার আয়োজক বাংলাদেশ। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কদিন আগেই ভারতীয় টিম বাংলাদেশে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলে গেছে। যেখানে সবকটিতেই জিতেছে হারমানপ্রীত-স্মৃতি মান্দানারা। বিশ্বকাপেও বাংলাদেশকে হারাতে চান তারা। যদিও কন্ডিশন ও দর্শক বিবেচনায় বাংলাদেশকে সমীহই করছেন হারমানপ্রীত।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ হোম টিম, তারা এই কন্ডিশন আমাদের চেয়ে ভালো জানে। দর্শক সমর্থনও তাদের পক্ষে থাকবে। তাদের বিপক্ষে খেলা সবসময়ই রোমাঞ্চকর। আশা করছি তাদের বিপক্ষে আমরা ভালোই খেলব।’

আসন্ন নারী বিশ্বকাপে চার সেমিফাইনালিস্ট কারা হবে, সে প্রেডিকশনও করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। নিজেদের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলকে এগিয়ে রাখছেন কৌর।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট   হারমানপ্রিত কৌর   মারুফা আক্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রাথমিক লক্ষ্য গ্রুপ পর্ব পার করা’

প্রকাশ: ০৫:৩০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ১৯তম দল হিসেবে সদ্যই স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ। যেখানে টাইগারদের নেতৃত্বে রয়েছেন যথারীতি নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া সহ-অধিনায়ক হিসেবে রয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। যদিও সিরিজটি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য আদর্শ নয় বলে সাকিব আল হাসান ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মন্তব্য করেছিলেন। তারপরেও এই সিরিজের পারফরম্যান্স বিবেচনা করেই দল বাছাই করেছে বিসিবি।

এরই মধ্যে সবমিলিয়ে বিশ্বকাপের জন্য টাইগারদের প্রস্তুতি বেশ ভালো বলে জানিয়েছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আজ (বুধবার) মিরপুর শের–ই বাংলায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাথুরু বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি মনে হয় খুব ভালো। চট্টগ্রামে আমাদের ভালো ক্যাম্প হয়েছে। সবমিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টেয়েন্টি সিরিজ খেলেছি। এই ম্যাচগুলোতে বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে সুযোগ দিয়েছি আমরা। যেখানে আমরা কিছু জায়গা এক্সপোজ করছি। কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়েও চিন্তার জায়গা আছে, তবে এর বাইরে আমাদের প্রস্তুতি বেশ ভালো।’

টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও, বাংলাদেশের ভালো করার সুযোগ দেখছেন এই প্রধান কোচ, ‘প্রতিটা টুর্নামেন্টে আমাদের আগের চেয়ে ভালো করার সুযোগ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। আমরা র‌্যাঙ্কিংয়ে কোথায় আছি, সেটাতেও দেখা যায়। এখানে অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু আমাদের যে প্রস্তুতি, সেটার হিসাবে বলতে পারি আগের চেয়ে ভালো করার সুযোগ আছে।’

বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রাথমিক লক্ষ্য গ্রুপপর্ব পার করা। তবে বিষয়টি কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার ওপরও নির্ভর করছে বলে উল্লেখ করেন হাথুরুসিংহে, ‘আইসিসি ইভেন্টের বাইরে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। দেশেরও প্রত্যাশা আছে যেন আমরা বড় কিছু করতে পারি। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য গ্রুপ পর্ব পার করা। তবে আমাদের ওই দেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে খেলা আমাদের সবার জন্যই নতুন অভিজ্ঞতা। তাদের টাইমজোন, আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। হয়তো দু-একটি সমন্বয়ও চেষ্টা করব। তার মানে মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়া...।’

বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সে কারণে আজই (১৫ মে) তাদের দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে। আগামী ২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে নাজমুল হোসেন শান্তর দল নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৭ জুন শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে।


বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন