যাদুকরি এই অ্যাশেজ সিরিজের পরতে পরতে থাকে রোমাঞ্চ। নৌকা কখনো ইংলিশদের তীরে আবার কখনো অজিদের তীরে। চলতি এডবাস্টন টেস্টে প্রতিদিন এই একই দশা। তবে চতুর্থ দিনে বলা চলে এজবাস্টন টেস্ট অনেকটাই অজিদের দখলে।
কী হবে এজবাস্টন টেস্টে? ১৮ বছর আগে এই এজবাস্টনেই ২ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ব্রডও জানালেন সেই স্মৃতি ভর করছে তাদের মধ্যে।
২৮১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে গতকাল চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ১০৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জয় থেকে আর ১৭৪ রান দূরে তারা। হাতে আছে পুরো তিনটি সেশন। তবে ইংল্যান্ডের দরকার ৭ উইকেট।
চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনেই অলআউট হওয়া ইংলিশদের হয়তো আরও বড় টার্গেট দেয়ার
আশা ছিলো। আগের দিন ২৮ রানে দুই
উইকেট হারানো ইংল্যান্ড চতুর্থ দিবসেও বহুল আলোচিত ‘বাজবল’ ক্রিকেট খেলার চেষ্টা চালায়। আর সেটি করতে
গিয়েই নিজেদের সর্বনাশ করেছেন ব্যাটারদের অনেকেই।
জো
রুটের কথা ধরা যাক, দিনের প্রথম বলেই স্কুপ খেলেছেন তিনি। কিন্তু অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই আউট হয়ে ফিরেছেন ৫৫ বলে ৪৬
রান করে। নাথান লায়নের বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে বল মিস করে
স্টাম্পিং হয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর রুট আর ব্রুকের এই
৪৬ রানই। এছাড়া অধিনায়ক বেন স্টোকস আউট হয়েছেন ৬৬ বলে ৪৩
রান।
শেষ
দিকের ব্যাটাররা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেই শেষ ৪ উইকেটে ৬৩
রান যোগ করেন। রবিনসনের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে ২৭ এবং অ্যান্ডারসন
ও ব্রড ১০ রান করে
কিছুটা বাড়িয়ে নেন দলীয় পুঁজি।
এর
আগে ২৮২ রানের লক্ষ্যে ইংলিশদের জবাব দিতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া ২ রানে হেরেছিল।
২০০৫ সালের সেই ম্যাচটিও ছিল এই এজবাস্টনেই। তেমনই
আরেকটি লক্ষ্যের জবাবে চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে খেলতে নামে অস্ট্রেলিয়া।
ভালোই শুরু করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান উসমান খাজা। দলীয় ৬১ রানে তাদের প্রথম জুটিতে রবিনসন আঘাত হানেন। ৩৬ রান করা ওয়ার্নারকে সাজঘরে ফেরান তিনি। র্যাংকিং-এর শীর্ষ দুই ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন (১৩) ও স্টিভেন স্মিথকে (৬) শিকার করে ম্যাচই জমিয়ে দেন ডানহাতি এই পেসার। তাই শেষ দিনে জয়ের স্বপ্ন দেখছে ইংলিশরা।
অন্যদিকে
অস্ট্রেলিয়ার আস্থার জায়গাটা উসমান খাজায়। আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এবার অপরাজিত আছেন ৩৪ রানে। তার
সঙ্গী স্কট বোল্যান্ড পঞ্চম ও শেষ দিন
শুরু করবেন ১৩ রানে।
অ্যাশেজ ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট এজবাস্টন
মন্তব্য করুন
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-২০তে আজ জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে টাইগাররা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
রোববার টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। বল হাতে শুরুটা আশাব্যঞ্জক ছিল তার দলের। প্রথম ১৫ রানের মাঝেই ৩ উইকেট শিকার করে সফরকারীরা।
আগের ম্যাচে শতোর্ধ্ব রানের জুটি উপহার দিলেও আজ দুই অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তামিম ২ ও সৌম্য ৭ রান করেন। তাওহীদ হৃদয়ও ১ রানে আউট হলে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।
শুরুতেই তিন উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের ৬৯ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। তবে ৩৬ রানে শান্ত ফেরার পর আবার ধাক্কা খায় টাইগাররা।
সাজঘরে ফেরার আগে ২১ রান করেন সাকিব। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে রেখে অনবদ্য হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩৬ বলে মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। ৫৪ রানে তিনি আউট হন।
শেষদিকে জাকের আলির অপরাজিত ২৩ রানের ক্যামিওতে বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি নিশ্চিত হয়। জিম্বাবুয়ের হয়ে মুজারাবানি ও বেনেট দুটি এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও লুক জঙ্গে একটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসর। যেখানে শুরু থেকেই প্রতিনিয়ত প্রতিটি দলের সাথে প্রতিপক্ষ দলের চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যা এখনও চলমান রয়েছে।
তবে আইপিএলের এবারের আসর প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। ইতোমধ্যেই মাঠে গড়িয়েছে ৬০টি ম্যাচ। আর এই ৬০তম ম্যাচে শনিবার ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এর মধ্য দিয়ে প্রথম দল হিসেবে শ্রেয়াস আইয়াররা আইপিএলের প্লে–অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে।
এদিন বৃষ্টির কারণে ম্যাচ নেমে আসে ১৬ ওভারে, আগে ব্যাট করতে নেমে নাইটরা ৭ উইকেটে ১৫৭ রান তোলে। জবাবে ৮ উইকেটে ১৩৯ তুলতে সক্ষম হয় হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বাই। ফলে ১৮ রানের জয়ে কলকাতা টেবিলের শীর্ষস্থান পাকাপোক্ত করল।
ওয়াংখেড়েতে হারের বদলা এদিন নিতে পারলেন না রোহিত শর্মারা। বৃষ্টি থেমে ম্যাচ শুরু হতেই নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টারও বেশি শেষ হয়ে যায়। ফলে ম্যাচের গণ্ডি কমিয়ে আনে কর্তৃপক্ষ। বৃষ্টি ভেজা রাতে টস জিতে বোলিং নিতে দু’বার ভাবেননি হার্দিক, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি আর কাজে আসেনি।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা ১০ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনীল নারিনকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। তবে এরপর ক্রিজে আসা ভেঙ্কটেশ আইয়ার, নীতিশ রানারা রানের গতি সচল রাখেন কলকাতার। ভেঙ্কটেশ ২১ বলে ৪২ এবং রানা ২৩ বলে ৩৩ রান করেন। এ ছাড়া ঝোড়ো ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন আন্দ্রে রাসেল (১৪ বলে ২৪), রিঙ্কু সিং (১২ বলে ২০) ও রামানদ্বিপ সিং (৮ বলে ১৭)। আর তাতেই নাইটরা লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায়।
যদিও সেই রান কঠিন করে তোলেন লক্ষ্য তাড়ায় নামা মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার রোহিত ও ইষাণ কিষান। দুজন মিলে প্রথম পাঁচ ওভারেই উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান তুলে ফেলেন। তবে এরপরই মুম্বাইয়ের হোঁচট খাওয়া শুরু। কলকাতার স্পিনারদের সামনে তারা খেই হারাতে থাকে। নারিনের বলে ২০ বলে ৪০ রান করা ঈষান বিদায় নেওয়ার পর, বরুণ চক্রবর্তী ফেরান রোহিতকে (২৪ বলে ১৯)।
এরপর আক্রমণ শুরু পেসারদের। যদিও তারা ছিলেন খরুচে, দলটির চার পেসার মিলে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ৯ ওভারে দেন ৯৫ রান। কলকাতার হয়ে লাগামটা ধরে রাখেন মূলত দুই স্পিনার। নারিন–বরুণ মিলে ৭ ওভারে মাত্র ৩৮ রান খরচ করেন, তুলে নেন ৩ উইকেট। মুম্বাইয়ের ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা সূর্যকুমার যাদব (১৪ বলে ১১) ব্যর্থ হয়েছেন এদিন, ফলে দলও মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাদের হয়ে হারের ব্যবধান কমান তিলক বার্মা (১৭ বলে ৩২) ও নামান ধির (৬ বলে ১৭)। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে তারা ১৩৯ তোলে। কলকাতার হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা বরুণ।
এই জয়ে কলকাতা ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এখনও সবার ওপরেই। ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে রাজস্থান রয়্যালস দ্বিতীয়। তাদেরও প্লে–অফে খেলা একপ্রকার নিশ্চিত। হিসেব বাকি কেবল কাগজে-কলমে। এ ছাড়া মুম্বাই ও পাঞ্জাব কিংস সবার আগে আইপিএল থেকে বিদায় নিশ্চিত করে ফেলেছে। তাদের সঙ্গী হবে আরও ৪ দল।
এদিকে, পয়েন্ট টেবিলে বর্তমানে তিন নম্বরে অবস্থান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ১২ ম্যাচে ৭ জয়ে তাদের পয়েন্ট ১৪। রাজস্থানের পর প্লে–অফে যাওয়ার দৌড়ে তারাই এগিয়ে। এরপর বাকি থাকে আর এক দল। যেখানে ১২ ম্যাচ খেলে সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনৌ সুপার জায়ান্টস লড়ছে। তাদের মধ্যে কোনো দল বাকি থাকা দুই ম্যাচই জিতলে প্লে–অফে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা থাকবে, এক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখবে নেট রানরেট।
এ ছাড়া ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পাওয়া রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও গুজরাট টাইটান্সের প্লে–অফ খেলা কঠিন হলেও, কাগজে-কলমে তাদেরও আশা আছে। এক্ষেত্রে নিজেদের বড় ব্যবধানে জয় ছাড়াও অন্যদের ম্যাচের দিকেই তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে বেশি।
কলকাতা আইপিএল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ওয়াংখেড়ে ইডেন গার্ডেন্স
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম চার ম্যাচে ইতোমধ্যেই জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। সিরিজের শেষ টি-২০তে আজ সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে নেমেছে টাইগাররা।
তবে ব্যাট হাতে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে দল। ১৫ বা এর কম রানে ৩ উইকেট পড়ার পর চতুর্থ উইকেটে এসে দলের হাল ধরেছিলেন শান্ত ও রিয়াদ। তবে ১২ তম ওভারে মাসাকাদজার বলে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর এতে করে ভাঙল ৬৩ রানের জুটি। ২৮ বলে ৩৬ রান করে ফিরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
চতুর্থ উইকেটে এটিই এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। আগের সর্বোচ্চ ছিলল তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহর ৬২ রান, ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
এদিন শুরুতে ব্যাট করতে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। আগের ম্যাচে শতোর্ধ্ব রানের জুটি উপহার দিলেও আজ দুই অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন তারা। তামিম ২ ও সৌম্য ৭ রান করেন। শুধু তাই নয় এদিন তৌহিদ হৃদয়ও টিকতে পারেননি ক্রিজে। ৬ বলে ১ রান করে ফিরে গেছেন তিনিও।
বর্তমানে মাহমুদুল্লাহ ও সাকিব দলের ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১০৫ রান।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম চার ম্যাচে ইতোমধ্যেই জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। সিরিজের শেষ টি-২০তে আজ সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে নেমেছে টাইগাররা। তবে ব্যাট হাতে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে দল। এ অবস্থায় হাল ধরেছেন শান্ত ও রিয়াদ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ ওভারে তিন উইকেটে ৫৫ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
রোববার (১২ মে) সকাল ১০টায় ম্যাচটি শুরু হবে। এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ফলে আগে ব্যাট করবে বাংলাদেশ। আজ টাইগারদের একাদশে এসেছে তিনটি পরিবর্তন।
সবশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন তানভীর ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদ। তাদের জায়গায় খেলবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মাহেদী ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। আগের ম্যাচে শতোর্ধ্ব রানের জুটি উপহার দিলেও আজ দুই অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন তারা। তামিম ২ ও সৌম্য ৭ রান করেন।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মাহেদী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মুস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লীগ সকারে
(এমএলএস) এ টানা জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজদের দল ইন্টার
মায়ামি। মন্ট্রিল এর বিপক্ষে প্রথমার্থে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত দুর্দান্তভাবে
জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি। তবে এ ম্যাচে কোন গোল বা এসিস্ট পাননি আর্জেনটাইন মহাতারকা
লিওনেল মেসি।
সাপুত স্টোডিয়ামে আজ রোববার
(১২ মে) ভোরে মুখোমুখি হয়েছিল মায়ামি ও মন্ট্রিল। ম্যাচে শুরু থেকেই দাপট দেখায় মন্ট্রিল।
ম্যাচের ২২ মিনিটেই ডুকে’র করা গোলে এগিয়ে যায় মন্ট্রিল। এর ঠিক ১০ মিনিট পর ব্যবধান
দ্বিগুন করে জুলসন অ্যান্থনি।
এদিন মায়ামি শুরু থেকেই শুরু
থেকে বল দখলে পিছিয়ে থাকা দলটি ম্যাচের প্রথম গোলটি পায় ৪৪ মিনিটে। দলের হয়ে গোলটি
করেন মাতিয়াত রোজাস। এর পর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত
সময়ে লুইস সুয়ারেজের পা থেকে আসে সমতা সূচক গোলটি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের পুরো সময়টা জুড়েই ছিলো স্বাগতিকদের দাপট। ম্যাচের ৫৯
মিনিটে
মাতিয়াসের
বাড়ানো
বলে
ক্রেমাশ্চি
গোল
করে
মায়ামিকে
লিড
এনে
দেন।
মেসিও
স্কোরবোর্ডে
নাম
তোলার
চেষ্টায়
ছিলেন,
তার
নেওয়া
শট
ফিরিয়ে
হতাশা
উপহার
দেন
প্রতিপক্ষ
গোলকিপার।
শেষ
পর্যন্ত
আর
কোনো
গোল
না
হওয়ায়
মায়ামি
৩-২
গোলে
জয়
নিয়ে
মাঠ
ছাড়ে।
এ জয়ে এমএলএসে ইস্টার্ন কনফারেন্সের টেবিলে শীর্ষস্থান আরও শক্ত করল মায়ামি। ১৩ ম্যাচে মেসিদের পয়েন্ট ২৭। দুইয়ে থাকা এফসি সিনসিনাটি এক ম্যাচ কম খেলে ২৪ পয়েন্ট পেয়েছে। পরবর্তী ম্যাচে বুধবার ওরল্যান্ডে সিটির বিপক্ষে মাঠে নামবে মায়ামি।
ফুটবল এমএলএস মেসি মায়ামি সুয়ারেজ
মন্তব্য করুন