বিশ্বকাপের আগে এমন একটা সিরিজের ম্যাচের মূল্যায়ন
কিভাবে করবেন? কি ভাবছেন এই দল নিয়ে বিশ্বকাপের মত আসর জিতবেন? আনফিট প্লেয়ার নিয়ে, অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের অপরিপক্ক শট খেলা এসব দিয়ে কতদিন টানবে দেশের ক্রিকেট? শুধু কি বৃষ্টির দোষ? মাঠে কি তাহলে কোচ এবং ক্যাপ্টেনের মনমালিন্যই দেখা গেলো?
চট্টলার সাগরিকায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিং ব্যার্থ দিনে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান। বাজে ব্যাটিং এর ফলে হার অনেকটা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। একই দিকে ইঙ্গিত করেছে মিডেল অর্ডারে সাফল্য পাওয়া তাওহীদ হৃদয়। নাকি কাপ্টেনের গোড়ামির দায় দিতে হলো দলকে?
ব্যাক্তিগতভাবে বাংলদেশ দলের সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়ডের নাম যদি বলতে হয় আমি নির্দ্বিধায় বলে দিবো তামিম ইকবাল খান। তাকে নিয়ে সমালোচনা করা কষ্টকর হলেও সত্যি বিকল্প নেই। তাকে নিয়ে বলার আগে গতকাল ম্যাচের সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং করা আনাড়ি(এখন এই শব্দ ব্যাবহার করা ভুল বলা চলে) ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে লিখতে হয় ।
শেষ ৬ ইনিংসে রেকর্ড ৩০০ রান, এই নিয়ে ৩য় সিরিজ যার মধ্যে ৩ টিই ৫০। হ্যা শুরু করতে চাচ্ছিলাম হৃদয়কে দিয়ে। হৃদয় যে স্কিলফুল, সেটি
বোঝা গেল আবার। এ উইকেটে রানের
ধারা ধরে রাখা সহজ না। সাকিবকেও ডট খেলতে হয়েছে।
সেখানে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছে কঠিন একটা পজিশনে। শেষ কয়েক ওভার থাকলে হয়তো স্কোরটা আরেকটু বড় হতো। পরিস্থিতি
অনুযায়ী তার যে কৌশল, সেটি
ভালো লেগেছে। এ ম্যাচে নিশ্চিতভাবেই
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স ওর ব্যাটিং-ই।
অনুর্ধ্ব
১৯ থেকে উঠে আসা এই ব্যাটার যে
এমন উইকেটে শান্ত পরিপক্কতার প্রমাণ দিলেন, উল্টো দিকে আমদের তামিম-মুশফিকের অভিজ্ঞতা কতটুকু কাজে দিলো?
জেদ করে কোনো লাভ হলো না তামিম ইকবালের।
শতভাগ ফিট না হয়েও মাঠে
নেমে নিজের সঙ্গে বিপদে ফেলেন দলকেও। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ২১ বল খেলে
১৩ রান করেন অধিনায়ক। এরপর চতুর্থ বারের মতো আফগান পেসার ফজল হক ফারুকির বলে
উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
গতকাল সাগরিকায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শুরুর আগেই 'টক অব দ্য
কান্ট্রি', একাদশে থাকছেন তো তামিম ইকবাল?
কারণ শতভাগ ফিট না হয়েই ম্যাচ
খেলার যে আবদার তিনি
করেছিলেন একদিন আগে, তা নিয়ে দেশজুড়েই
বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামের তামিম সেটাকে খুব একটা পাত্তা দিলেন না। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লাল সবুজের জার্সি গায়ে ঠিকই নামলেন টস করতে।
ব্যাট
করতে নেমে মোটামুটি শুরু পেয়েছিল, সুযোগ ছিল সেটি কাজে লাগানোর। তবে আউটটা হলো বেশ আলগাভাবে। উইকেটটা অনেক রানের না, অসম বাউন্স ছিল, বল ব্যাটে আসছিল
না সেভাবে। সেসব বুঝে ওপরে একটু ধরে খেলার দরকার ছিল। তামিমের পক্ষে ইনিংসটি আরেকটু ভালোভাবে গড়ার সুযোগ ছিল, যেটি শেষ পর্যন্ত পারেনি।
অবশ্য
অধিনায়ক তামিম মনে করছেন শুরুটা ভালোই ছিল। আবহাওয়া বা অন্য কোনো
কিছুকে হারের জন্য দায় দিতে নারাজ টাইগার এই অধিনায়ক।
ম্যাচ
শেষে তামিম বলেন, ‘আবহাওয়া ও উইকেট বা
অন্যান্য কিছুকে আমার মনে হয় না দায়
দেওয়ার কিছু আছে। এসব খেলারই অংশ। আমাদের শুরুটা ভালো ছিল। প্রথম ১০ ওভারে ১
উইকেটে ৫০ রানের মতো
ছিল। এরপর দুই দফায় পর পর উইকেট
হারিয়েছি।’
অন্যদিকে সহ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস, লিটন শুরু থেকে খুব একটা স্বস্তিতে ছিল মনে হয়নি। সেও আলগাভাবে আউট হয়েছে। সম্প্রতি টপ অর্ডারে বড় স্কোর এসেছে, ফলে এ ম্যাচেও সেটি প্রত্যাশিত ছিল। ওর আউটের বলটা হয়ত অতটা ওঠেনি, যতটা প্রত্যাশা করেছিল। সে কারণে হয়তো ঠিকঠাক হয়নি শটটা।
বলটা
শুধু শর্ট লেংথ দেখেই টেনে খেলতে গেল। কিন্তু বল কতটুকু উঠল,
টার্ন কতটুকু করল, রশিদের বলে অনেক কিছু হয়—কিছুই খেয়াল
করেনি। উইকেট পড়ে যাওয়ার পর জুটি গড়ার
চেষ্টা করতে হতো, আরেকটু সতর্ক থাকতে পারত। এমন একজন খেলোয়াড় থেকে এই আনকোরা শট
কারো কাম্য নয়।
মেহেদী মিরাজ ব্যাটিংয়ে চেষ্টা করেছে, বোলিংয়ে তো আসেইনি। মিরাজ
এমনিতে ২৩ বলে ৫
রান করার মতো ব্যাটসম্যান না। উইকেটটা যে সহজ ছিল
না, তার ব্যাটিংয়েই বোঝা যায়। তবে তার চেষ্টার কারণে আসলে ৩ দেওয়া যায়।
এখানে তামিমের অনভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট। প্রথম দিকে ৪-৫ ওভার
পর যখন উইকেট তুলতে পারেনি বাংলাদেশ তখন স্পিনে আগে ভাগেই চলে যাওয়া উচিৎ ছিলো। সেটিও করলেন না তিনি।
যাই হোক আশা করি সব বহুল শুধরে
আবার নিজেদের রূপ মাঠে ফিরিয়ে আনবে টাইগাররা।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ মাঠে গড়াবে আগামী শনিবার (৮ জুলাই)।
প্রথম ওয়ানডেতে হারলেও হৃদয়ের বিশ্বাস সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ জিতে ঠিকই আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন তারা। একইসঙ্গে প্রথম ওয়ানডেতে নিজেরা যে সেরাটা দিতে
পারেননি সেটাও নিশ্চিত করে জানালেন হৃদয়।
মিডল অর্ডার এই ব্যাটার বলেন, অবশ্যই আমরা এখান থেকে খুব ভালোভাবে ফিরে আসব। আমি মনে করি যে ছোট ভুল করেছি, সেগুলো যত কমানো যায় তাহলে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জেতা সম্ভব। আজকে আমাদের সেরাটা দিতে পারিনি। এখান থেকে ২-৩ জন অবদান রাখলেই ফিরে আসব।
বাংলাদেশ আফগানিস্তান প্রথম ওডিয়াই
মন্তব্য করুন
আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হবে কোপা আমেরিকার লড়াই। যেখানে ফেবারিট হিসেবেই অংশ নেবে ব্রাজিল ফুটবল দল। তবে এর আগে বড় ধাক্কায় খেয়েছে সেলেসাওরা।
কোপা আমেরিকা শুরু হওয়ার মাস খানেক আগে চোট পেয়েছেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক এদারসন। আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের আগে এদারসনের ইনজুরি কিছুটা হলেও ব্রাজিল শিবিরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
জানা গেছে, চোখের ইনজুরিতে পড়েছেন এদারসন। গেল সপ্তাহে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় ৩০ বছর বয়সী এই গোলরক্ষককে। এ কারণে প্রিমিয়ার লিগে শেষ ম্যাচে তাকে পাবে না ম্যানচেস্টার সিটি।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ম্যানচেস্টার সিটি জানিয়েছে, স্ক্যানের পর এদারসনের ডান চোখের সকেটে ছোট একটি ফাটল ধরা পড়েছে। মৌসুমের বাকি অংশে তাকে আর পাওয়া যাবে না।
তবে ব্রাজিলের জন্য চিন্তার কারণটা একটু বেশিই। কারণ, আগামী ২০ জুন শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা। আর এমন এক টুর্নামেন্টের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে হারাতে চাইবে না তারা।
যদিও কোপা আমেরিকার দলে আরো দুইজন গোলরক্ষক আছেন। তাদের একজন লিভারপুলের অ্যালিসন বেকার। সাধারণত এদারসন কোন ম্যাচে না খেললে অ্যালিসনই থাকেন ব্রাজিল কোচের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক।
মন্তব্য করুন
আয়োজক হওয়ার দৌড় থেকে নিজেদের নাম আগেই প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এতে নিশ্চিত হয়ে যায় ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইটা হবে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে। যে লড়াইয়ে লাতিনদের কাছে পাত্তাই পায়নি ইউরোপিয়ানরা।
একটু পরিস্কার করে বললে, বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে জয়টা হয়েছে ব্রাজিলের। অর্থাৎ ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক সেলেসাওরা।
শুক্রবার সিঙ্গাপুরের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার বার্ষিক কংগ্রেস। সেখানেই ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্ধারিত হয় বিশ্বকাপের আয়োজক। ব্রাজিলের সঙ্গে আয়োজক হওয়ার দৌড়ে ছিল বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি (বিএনজি)।
তবে সবাইকে পেছনে ফেলে ফিফার সদস্যভুক্ত দেশ ও অঞ্চলগুলোর ভোটে বেশ বড় ব্যবধানে জয় পায় ব্রাজিল। তারা পেয়েছে ১১৯টি ভোট। আর ইউরোপের তিন দেশের ঝুলিতে পড়ে ৭৮ ভোট। ফলে লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশে হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজকের মর্যাদা পেয়েছে ব্রাজিল।
এ নিয়ে সভাপতি জিয়ান্তি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ব্রাজিলকে অভিনন্দন। ব্রাজিলে আমাদের সেরা বিশ্বকাপ হবে। সেইসঙ্গে বিএনজি-কেও ধন্যবাদ। তারাও বিডে দুর্দান্ত ছিল।’
মন্তব্য করুন
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এর জন্য ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। ডাচদের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন চোটে আক্রান্ত বার্সা তারকা ফ্রাংকি ডি ইয়ং।
এবারের ইউরোয় প্রতিটি দলের ২৬ জনের স্কোয়াড রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে ডাচরা ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। আগামী ৭ জুনের মধ্যে অবশ্য খেলোয়াড় কমিয়ে চূড়ান্ত দল দিতে হবে তাদের।
আগামী ১৬ জুন হামবুর্গে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ইউরো অভিযান শুরু করবে নেদারল্যান্ডস। এবারের আসরে ‘ডি’ গ্রুপে তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়া।
এর আগে অবশ্য কানাডা ও আইসল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে নেদারল্যান্ডসের। ম্যাচ দুটি যথাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে ৬ ও ১০ জুন।
নেদারল্যান্ডসের প্রাথমিক স্কোয়াড-
গোলরক্ষক: জাস্টিন বিজলো, মার্ক ফ্লেকেন, বার্ট ভারব্রুগেন, নিক ওলিজ।
ডিফেন্ডার: নাথান আকে, ডেলি ব্লিন্ড, ভার্জিল ফন ডাইক, ডেনজেল ডামফ্রিস, জেরেমি ফ্রিমপং, লুৎশারেল গের্ট্রুইদা, ম্যাথিজ ডি লিট, ইয়ান মাতসেন, মিকি ফন ডি ভেন, স্টেফান ডি ভ্রিজ।
মিডফিল্ডার: রায়ান গ্রাভেনবার্চ, ফ্রেঙ্কি ডি জং, টিউন কোপমেইনার্স, তিজানি রেইজেন্ডার্স, মার্টেন ডি রুন, জের্ডি স্কাউটেন, জাভি সিমন্স, কুইন্টেন টিম্বার, জোয়ি ভিরম্যান, জর্জিনিও উইজনালডাম।
ফরোয়ার্ড: স্টিভেন বার্গউইজেন, ব্রায়ান ব্রোবি, মেমফিস ডিপে, কোডি গাকপো, ডনিয়েল মালেন, ওয়াউট ওয়েগহোর্স্ট।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় গত আট মাসে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল এফএ। এ নিয়ে গত মার্চে ফিফায় চিঠি দিয়েছিল ফিলিস্তিন এফএ।
ফিলিস্তিন ফুটবলের সেই দাবিকে সমর্থন দিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। এ নিয়ে এএফসির কংগ্রেসে আলোচনাও হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
শুক্রবার থাইল্যান্ডে ফিফার ৭৪ তম বার্ষিক সভার কংগ্রেসে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরপরেই আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যাবে যে, বিশ্ব ফুটবলে ইসরায়েল নিষিদ্ধ হচ্ছে কি না।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে এএফসির সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা বলেন, ‘এএফসি এবং ফিফা তাদের সদস্য রাষ্ট্রের মতোই শক্তিশালী। যখন একজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন বাকিদের উপরও তার প্রভাব পড়ে। তাই এএফসি, ফিলিস্তিন এফএ-এর সাথে ঐক্যমত পোষন করছে। ফিফার নিয়ম ও আইনের মধ্যে থেকে ফিলিস্তিনের ফুটবল যেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তার স্থায়ী সমাধান চায়।’
এ নিয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ফিলিস্তিনে আজ যা চলছে তাতে আমরা সবাই ভুগছি। আমরা দূর থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করতে পারি। আমরা প্রার্থনা করি বিশ্বের সকল নির্যাতিত শিশুর জন্য। যদিও এ বিষয়ে ফুটবল খুব অল্প কিছুই করতে পারে। তবে ফুটবল সবাইকে একত্রিত করতে পারে।’
মন্তব্য করুন
২০২৭ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা হারিয়ে দিয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া ইউরোপের তিন দেশ বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে।
আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম চূড়ান্ত হতেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল তারা। ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার আশা, ‘সর্বকালের সেরা নারী বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি।’
শুক্রবার (১৭ মে) ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ১১৯টি ভোট পায় ব্রাজিল। অন্যদিকে, যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানির ভাগে পড়ে ৭৮টি ভোট। অবশ্য চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে ব্রাজিলের দিকেই পাল্লা ভারী ছিল। ফিফা টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নে লাতিন দেশটি আয়োজক হওয়ার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল।
এর নেপথ্য কারণ, টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজনের সম্ভাব্যতা, বাণিজ্যিক বিষয়াদি, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সুযোগসুবিধা ও আবাসনের মতো বিষয়। এ ছাড়া ২০১৪ পুরুষ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ১০টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ব্রাজিল।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্দো রদ্রিগেস এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, আমরা জানতাম, দক্ষিণ আমেরিকার নারী ও ফুটবলের বিজয় আমরা উদযাপন করতে পারব। দম্ভ করে বলছি না, নিশ্চিত থাকতে পারে, নারীদের জন্য সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আমরা উপহার দেব।
২০২৭ নারী বিশ্বকাপ ফুটবল ব্রাজিল
মন্তব্য করুন
আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হবে কোপা আমেরিকার লড়াই। যেখানে ফেবারিট হিসেবেই অংশ নেবে ব্রাজিল ফুটবল দল। তবে এর আগে বড় ধাক্কায় খেয়েছে সেলেসাওরা। কোপা আমেরিকা শুরু হওয়ার মাস খানেক আগে চোট পেয়েছেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক এদারসন। আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের আগে এদারসনের ইনজুরি কিছুটা হলেও ব্রাজিল শিবিরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
আয়োজক হওয়ার দৌড় থেকে নিজেদের নাম আগেই প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এতে নিশ্চিত হয়ে যায় ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইটা হবে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে। যে লড়াইয়ে লাতিনদের কাছে পাত্তাই পায়নি ইউরোপিয়ানরা। একটু পরিস্কার করে বললে, বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে জয়টা হয়েছে ব্রাজিলের। অর্থাৎ ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক সেলেসাওরা।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এর জন্য ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। ডাচদের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন চোটে আক্রান্ত বার্সা তারকা ফ্রাংকি ডি ইয়ং। এবারের ইউরোয় প্রতিটি দলের ২৬ জনের স্কোয়াড রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে ডাচরা ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। আগামী ৭ জুনের মধ্যে অবশ্য খেলোয়াড় কমিয়ে চূড়ান্ত দল দিতে হবে তাদের।
২০২৭ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা হারিয়ে দিয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া ইউরোপের তিন দেশ বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে।