নয়
বছর পর ঘরের মাঠে
হোয়াইটওয়াশের শঙ্কা। লজ্জা এড়ানোর চ্যালেঞ্জে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সিরিজের
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে
আফগানিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশও প্রায় ‘ফাইনাল ফ্রন্টিয়ার’ হয়ে গিয়েছিল প্রতিপক্ষ দলগুলোর কাছে। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের কাছে হারার পর টানা ৭টি
ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে এসে এই জয়ের ধারায়
ছেদ টেনেছে সেই ইংল্যান্ডই।
অন্যদিকে
ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে আফগানিস্তান। রশিদ খানের দল এখন মনস্থির
করেছে টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ করার দিকে। অন্যদিকে সাকিব আল হাসানদের টার্গেট
থাকবে সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে এই ক্লিন সুইপ
থেকে নিজেদের রক্ষা করা। অথচ সিরিজ শুরুর আগে তামিমরা আফগানদের ধবলধোলাই করতে পারবেন কি না, সেই
প্রশ্নই বেশি হয়েছে। বাংলাদেশ যদি শেষ পর্যন্ত ধবলধোলাই হয়েই যায়, তবে ফিরে আসবে ৯ বছরের পুরোনো
স্মৃতি।
আফগানিস্তানের
কাছে প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে এবং
দ্বিতীয়টি ১৪২ রানের বড় ব্যবধানে হেরে
সিরিজ হারের লজ্জা পায় বাংলাদেশ। ৩য় ম্যাচে সেই লজ্জার হাত থেকে রেহাই পাবে বাংলাদেশ? নাকি ঘরের মাঠে অনেক বছর পর ধবল ধোলাইয়ের দিকে এগচ্ছে বাংলাদেশ?
চট্টলায়
সোমবার (১০ জুলাই) নেমেছিল
ঝুমবৃষ্টি৷ এতে ক্ষতিটা যা হওয়ার তা
হয়ে গেছে বাংলাদেশ দলেরই৷ পণ্ড হয়ে গেছে সিরিজের আগের দিনের গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন৷ শুধু সিরিজ হারই নয়, দলের মানসিকতাও একেবারে তলানিতে৷ সবশেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় সব ক্ষতে
প্রলেপ না দিলেও হারানো
আত্মবিশ্বাস কিছুটা যে ফেরাবে তা
নিশ্চিত৷ তাইতো একটুকু প্রশান্তির খোঁজে গোটা দল৷
টাইগাররা
অনুশীলন না করতে পারলেও
আফগানিস্তান মাঠে আসার আগেই থেমে যায় বৃষ্টি৷ ফুরফুরে মেজাজে তাই ঘণ্টা দুয়েক চলেছে গুরবাজ-জার্দানদের প্রস্তুতি৷ দু-একটা স্লটে
এ ম্যাচে তারা বাজিয়ে দেখতে পারে সাইডবেঞ্চের শক্তি। এ ম্যাচ জিতলে
শ্রীলঙ্কাকে টপকে র্যাংকিং ৮
নম্বরে উঠে যাবে আফগানরা৷ সেই সঙ্গে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের পাল্লায় আনবে সমতা৷
গেল
ম্যাচের মতো শেষ ম্যাচেও বাংদেশের ওপেনিংয়ে দেখা যাবে নাঈম শেখ এবং লিটন দাসকে। শেষ ম্যাচে ১৩ রান করে
ফিরে যাওয়া নাঈমের উপর এ ম্যাচেও আস্থা
রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট। নাম্বার থ্রিতে নাজমুল হোসেন শান্ত, চারে সাকিব আল হাসান। পাঁচে
এবং ছয়ে যথারীতি তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম।
নাম্বার
সেভেন নিয়ে এখনো সবার আস্থার জায়গা পুরোপুরি ফিট হয়নি। বর্তমানে এই পজিশনে ব্যাট
করা আফিফ হোসেনও পাচ্ছেন না রান। গেল
ম্যাচে ফিরেছিলেন গোল্ডেন ডাক করে। তবে শেষ ম্যাচেও তাকে দেখা যাবে এই পজিশনে। আটে
মেহেদী হাসান মিরাজ। এবাদতের হোসেনের ইনজুরিতে দলে ফিরতে যাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। এবাদত, হাসান, মুস্তাফিজ কেউই শেষ ম্যাচে লাইন লেন্থ অনুযায়ী বল করতে পারেনি।
ফলে আফগান দুই ওপেনার ২৫৮ রানের জুটিই ঘরে ফেলে। সেই ক্ষেত্রে গুঞ্জন রয়েছে হাসান মাহমুদের জায়গা খেলবেন শরীফুল ইসলাম।
সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপ ও অক্টোবরের বিশ্বকাপে রশিদ-মুজিবের বিপক্ষে আবারও দেখা হবে লিটন-সাকিবদের। দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সাময়িক ‘ক্ষতি’ যেন বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ‘লাভে’ পরিণত হয়—বাংলাদেশ দলের ভাবনাটা এখন এমনই।
বাংলাদেশ সম্ভাব্য একাদশ
লিটন
দাস (অধিনায়ক),নাইম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর
রহিম, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ
হোসেন,
মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন
আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তান
সম্ভাব্য একাদশ
হাশমতউল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, আজমাতউল্লাহ ওমরজাই, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকি, মোহাম্মদ সেলিম।
মন্তব্য করুন
আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হবে কোপা আমেরিকার লড়াই। যেখানে ফেবারিট হিসেবেই অংশ নেবে ব্রাজিল ফুটবল দল। তবে এর আগে বড় ধাক্কায় খেয়েছে সেলেসাওরা।
কোপা আমেরিকা শুরু হওয়ার মাস খানেক আগে চোট পেয়েছেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক এদারসন। আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের আগে এদারসনের ইনজুরি কিছুটা হলেও ব্রাজিল শিবিরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
জানা গেছে, চোখের ইনজুরিতে পড়েছেন এদারসন। গেল সপ্তাহে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় ৩০ বছর বয়সী এই গোলরক্ষককে। এ কারণে প্রিমিয়ার লিগে শেষ ম্যাচে তাকে পাবে না ম্যানচেস্টার সিটি।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ম্যানচেস্টার সিটি জানিয়েছে, স্ক্যানের পর এদারসনের ডান চোখের সকেটে ছোট একটি ফাটল ধরা পড়েছে। মৌসুমের বাকি অংশে তাকে আর পাওয়া যাবে না।
তবে ব্রাজিলের জন্য চিন্তার কারণটা একটু বেশিই। কারণ, আগামী ২০ জুন শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা। আর এমন এক টুর্নামেন্টের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে হারাতে চাইবে না তারা।
যদিও কোপা আমেরিকার দলে আরো দুইজন গোলরক্ষক আছেন। তাদের একজন লিভারপুলের অ্যালিসন বেকার। সাধারণত এদারসন কোন ম্যাচে না খেললে অ্যালিসনই থাকেন ব্রাজিল কোচের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক।
মন্তব্য করুন
আয়োজক হওয়ার দৌড় থেকে নিজেদের নাম আগেই প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এতে নিশ্চিত হয়ে যায় ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইটা হবে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে। যে লড়াইয়ে লাতিনদের কাছে পাত্তাই পায়নি ইউরোপিয়ানরা।
একটু পরিস্কার করে বললে, বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে জয়টা হয়েছে ব্রাজিলের। অর্থাৎ ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক সেলেসাওরা।
শুক্রবার সিঙ্গাপুরের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার বার্ষিক কংগ্রেস। সেখানেই ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্ধারিত হয় বিশ্বকাপের আয়োজক। ব্রাজিলের সঙ্গে আয়োজক হওয়ার দৌড়ে ছিল বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি (বিএনজি)।
তবে সবাইকে পেছনে ফেলে ফিফার সদস্যভুক্ত দেশ ও অঞ্চলগুলোর ভোটে বেশ বড় ব্যবধানে জয় পায় ব্রাজিল। তারা পেয়েছে ১১৯টি ভোট। আর ইউরোপের তিন দেশের ঝুলিতে পড়ে ৭৮ ভোট। ফলে লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশে হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজকের মর্যাদা পেয়েছে ব্রাজিল।
এ নিয়ে সভাপতি জিয়ান্তি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ব্রাজিলকে অভিনন্দন। ব্রাজিলে আমাদের সেরা বিশ্বকাপ হবে। সেইসঙ্গে বিএনজি-কেও ধন্যবাদ। তারাও বিডে দুর্দান্ত ছিল।’
মন্তব্য করুন
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এর জন্য ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। ডাচদের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন চোটে আক্রান্ত বার্সা তারকা ফ্রাংকি ডি ইয়ং।
এবারের ইউরোয় প্রতিটি দলের ২৬ জনের স্কোয়াড রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে ডাচরা ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। আগামী ৭ জুনের মধ্যে অবশ্য খেলোয়াড় কমিয়ে চূড়ান্ত দল দিতে হবে তাদের।
আগামী ১৬ জুন হামবুর্গে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ইউরো অভিযান শুরু করবে নেদারল্যান্ডস। এবারের আসরে ‘ডি’ গ্রুপে তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়া।
এর আগে অবশ্য কানাডা ও আইসল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে নেদারল্যান্ডসের। ম্যাচ দুটি যথাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে ৬ ও ১০ জুন।
নেদারল্যান্ডসের প্রাথমিক স্কোয়াড-
গোলরক্ষক: জাস্টিন বিজলো, মার্ক ফ্লেকেন, বার্ট ভারব্রুগেন, নিক ওলিজ।
ডিফেন্ডার: নাথান আকে, ডেলি ব্লিন্ড, ভার্জিল ফন ডাইক, ডেনজেল ডামফ্রিস, জেরেমি ফ্রিমপং, লুৎশারেল গের্ট্রুইদা, ম্যাথিজ ডি লিট, ইয়ান মাতসেন, মিকি ফন ডি ভেন, স্টেফান ডি ভ্রিজ।
মিডফিল্ডার: রায়ান গ্রাভেনবার্চ, ফ্রেঙ্কি ডি জং, টিউন কোপমেইনার্স, তিজানি রেইজেন্ডার্স, মার্টেন ডি রুন, জের্ডি স্কাউটেন, জাভি সিমন্স, কুইন্টেন টিম্বার, জোয়ি ভিরম্যান, জর্জিনিও উইজনালডাম।
ফরোয়ার্ড: স্টিভেন বার্গউইজেন, ব্রায়ান ব্রোবি, মেমফিস ডিপে, কোডি গাকপো, ডনিয়েল মালেন, ওয়াউট ওয়েগহোর্স্ট।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় গত আট মাসে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল এফএ। এ নিয়ে গত মার্চে ফিফায় চিঠি দিয়েছিল ফিলিস্তিন এফএ।
ফিলিস্তিন ফুটবলের সেই দাবিকে সমর্থন দিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। এ নিয়ে এএফসির কংগ্রেসে আলোচনাও হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
শুক্রবার থাইল্যান্ডে ফিফার ৭৪ তম বার্ষিক সভার কংগ্রেসে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরপরেই আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যাবে যে, বিশ্ব ফুটবলে ইসরায়েল নিষিদ্ধ হচ্ছে কি না।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে এএফসির সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা বলেন, ‘এএফসি এবং ফিফা তাদের সদস্য রাষ্ট্রের মতোই শক্তিশালী। যখন একজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন বাকিদের উপরও তার প্রভাব পড়ে। তাই এএফসি, ফিলিস্তিন এফএ-এর সাথে ঐক্যমত পোষন করছে। ফিফার নিয়ম ও আইনের মধ্যে থেকে ফিলিস্তিনের ফুটবল যেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তার স্থায়ী সমাধান চায়।’
এ নিয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ফিলিস্তিনে আজ যা চলছে তাতে আমরা সবাই ভুগছি। আমরা দূর থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করতে পারি। আমরা প্রার্থনা করি বিশ্বের সকল নির্যাতিত শিশুর জন্য। যদিও এ বিষয়ে ফুটবল খুব অল্প কিছুই করতে পারে। তবে ফুটবল সবাইকে একত্রিত করতে পারে।’
মন্তব্য করুন
২০২৭ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা হারিয়ে দিয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া ইউরোপের তিন দেশ বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে।
আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম চূড়ান্ত হতেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল তারা। ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার আশা, ‘সর্বকালের সেরা নারী বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি।’
শুক্রবার (১৭ মে) ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ১১৯টি ভোট পায় ব্রাজিল। অন্যদিকে, যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানির ভাগে পড়ে ৭৮টি ভোট। অবশ্য চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে ব্রাজিলের দিকেই পাল্লা ভারী ছিল। ফিফা টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নে লাতিন দেশটি আয়োজক হওয়ার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল।
এর নেপথ্য কারণ, টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজনের সম্ভাব্যতা, বাণিজ্যিক বিষয়াদি, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সুযোগসুবিধা ও আবাসনের মতো বিষয়। এ ছাড়া ২০১৪ পুরুষ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ১০টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ব্রাজিল।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্দো রদ্রিগেস এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, আমরা জানতাম, দক্ষিণ আমেরিকার নারী ও ফুটবলের বিজয় আমরা উদযাপন করতে পারব। দম্ভ করে বলছি না, নিশ্চিত থাকতে পারে, নারীদের জন্য সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আমরা উপহার দেব।
২০২৭ নারী বিশ্বকাপ ফুটবল ব্রাজিল
মন্তব্য করুন
আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হবে কোপা আমেরিকার লড়াই। যেখানে ফেবারিট হিসেবেই অংশ নেবে ব্রাজিল ফুটবল দল। তবে এর আগে বড় ধাক্কায় খেয়েছে সেলেসাওরা। কোপা আমেরিকা শুরু হওয়ার মাস খানেক আগে চোট পেয়েছেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক এদারসন। আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের আগে এদারসনের ইনজুরি কিছুটা হলেও ব্রাজিল শিবিরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
আয়োজক হওয়ার দৌড় থেকে নিজেদের নাম আগেই প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এতে নিশ্চিত হয়ে যায় ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইটা হবে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে। যে লড়াইয়ে লাতিনদের কাছে পাত্তাই পায়নি ইউরোপিয়ানরা। একটু পরিস্কার করে বললে, বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে জয়টা হয়েছে ব্রাজিলের। অর্থাৎ ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক সেলেসাওরা।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এর জন্য ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। ডাচদের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন চোটে আক্রান্ত বার্সা তারকা ফ্রাংকি ডি ইয়ং। এবারের ইউরোয় প্রতিটি দলের ২৬ জনের স্কোয়াড রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে ডাচরা ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। আগামী ৭ জুনের মধ্যে অবশ্য খেলোয়াড় কমিয়ে চূড়ান্ত দল দিতে হবে তাদের।
২০২৭ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা হারিয়ে দিয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া ইউরোপের তিন দেশ বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে।