ইনসাইড গ্রাউন্ড

কিছু প্রশ্নের উত্তর না পাওয়াই থেকে গেলো আফগান সিরিজে

প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ১২ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

এই এক সপ্তাহ আগে ঘরের মাঠে আফগানদের ডেকে এনে অনেকটা ধবল ধোলাইয়ের পরিকল্পনা ছিলো বাংলাদেশের। সেই পরিকল্পনা বাস্তাবায়ন হলে বাংলাদেশ উঠে আসতো ্যাংকিং এর নম্বর এর। আবার এশিয়া কাপের আগে এটা অনেকটা প্রস্তুতিমূলক সিরিজ ছিলো হাথুরুসিংহের শিষ্যদের। কিন্ত সব পরিকল্পনায় পানি ঢেলে দিলো রশিদ-মুজিব। গতকাল সাগরিকায় শেষ ম্যাচে যদি টাইগাররা না জিতে ফিরত তবে ১২ বছর পর দেশের মাটিতে লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হতো বাংলাদেশের। তবে এক দিক দিয়ে সান্ত্বনা নেয়া যায় যে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে অনেক প্রশ্ন করা যায়। কিছু প্রশ্নের ব্যাখ্যা বের করার চেষ্টা করা হল।

বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মাত্র ১৬৯ রানই করতে পেরেছিলেন। সেটা এতই কম হয়ে গিয়েছিল যে, ডিএলএস পদ্ধতির অঙ্ক মেলাতে বোলারদের আসলে তেমন কিছু করার ছিল না। ঐদিন (৫ জুলাই) ব্যাটারদের পুরোপুরি দোষ না ধরলেও চলে। চট্টগ্রাম জহুরুল্লাহ স্টেডিয়ামে সেদিন মেঘের খেলা ছিল। আর একটু পর পর ছিল বৃষ্টির হানা। আসলে ব্যাটারদের মাইন্ডসেট টাই নষ্ট করে দিচ্ছিলো বারবার। প্রথম ওয়ানডেতে তামিম-লিটনের ভালো শুরুর দিলেও তামিমের ভুলে বেশী দূর আঘাতে পারেনি ওপেনিং জুটি। এরপর বৃষ্টির ফাঁকে ফাঁকে নিয়মিত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ঐ ম্যাচে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় ছিলো ৭ম স্থানে আফিফ। আর ডিএলএস এর মার প্যাচে বোলারদের নিজেদের একপেরিমেন্ট করার সুযোগ আসেনি।

২য় ওয়ানডে নিয়ে কোনো অযুহাত নেই। ইবাদত-হাসান-মুস্তফিজ। বাজে লাইন এন্ড লেন্থ, তামিমের অবসর ঘটনা আমাদের সকলের জানা। প্রথম ম্যাচে সবাই ব্যার্থ হলেও দোষ পড়ে গিয়ে তামিমের ঘাড়ে। তাই ২য় ওয়ানডেতে থেকে তিনি সড়ে গিয়ে বুঝিয়ে দিলেন কতটা পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তামিমের পরিবর্তে সেখানে ব্যার্থ নাঈম শেখ ওপেন করলেন প্রায় ২ বছর পর। বাজে বোলিংয়ের সুবিধা নিয়ে আফগান ওপেনার গুরবাজ-জাদরানের ২৫৮ রানের রেকর্ড জুটি। ব্যাটিংয়ে নেমে তো কথাই নেই। অধিনায়ক,শান্ত, আফিফ সবাই ব্যার্থ। মুশফিক মিরাজ সাকিব কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও যথার্থ ছিলো না তা।

 তবে ৩য় ওয়ানডেতে আগ্রাসী শরিফুল আর তাসকিনের আগুণ ঝরা বোলিং এ এবার আফগান ব্যাটিং ধস। মাত্র ১২৭ রানের টার্গেটে ২ উইকেটে প্রাপ্তি লিটনের অর্ধশত।

এই সিরিজের বাংলাদেশের প্রস্তুতির মূল উদ্দেশ্য ছিলো ৭ম পজিশন, বিকল্প ওপেনার আর পেস বোলারদের সক্ষমতা। এই বিচারে আলোচনায় নিতে চাই কিছু খেলোয়ার যেমন নাঈম শেখ, আফিফ, ইবাদত, মুস্তাফিজ।

তিন ম্যাচ সিরিজে তামিমের বিশ্রামে সেই জায়গায় ওপেন করেন নাঈম শেখ। ডিপিএলে পারর্ফম করা এই ওপেনার সবসময়ের মত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যার্থ। বাজে ফুটওইয়ার্ক আর কনফিডেন্স এর অভাব দর্শক কেন, আফগান বোলারদের চোখে পড়ছিল। বিশ্বমানের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে তার ব্যাটিং একবারে প্রশ্নবিদ্ধ।
৩য় অয়ান্ডেতে তার আউটের ধরন একেবারে দৃষ্টিকটু। অফ স্টাম্পের বাইরে ব্যাক অব দ্য হ্যান্ডের স্লোয়ার বল, সেটিও বেরিয়ে যাচ্ছিল। তাতে শরীর থেকে দূরে আলগা শট খেললেন নাঈম, সেটিও পা না নড়িয়েই। এমন শটের মাশুলও দিতে হলো। স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন বাঁহাতি এ ওপেনার। ৮ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট নাঈম। দ্বিতীয় ম্যাচে ফারুকির বলে বোল্ড হলেন নাঈম। তাকে আপাতত এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপ দলে না দেখাটাই স্বভাবিক।

এরপর আশা যাক আফিফ। ৬ষ্ট পজিশ্ন নিয়ে অনেকটা ধুকছে বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লার স্লো স্ট্রাইক রেট। রাব্বিকেও আগে এই পজিশনে খেলানো হলেও কাজে লাগাতে পারেনি তিনি। আবার আফিফকেও ফিরিয়ে এনে ব্যার্থ। আফগান সিরিজে দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও দুই অংকের ঘর পেড়োতে পারেনি। ১৯ ম্যাচ ধরে এই পজিশনে যার ৪০ ঘরের উপরে রান নেই তাকে নিয়ে কিভাবে বিশ্বকাপের মঞ্চে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া যায়।

শেষে আসা যাক মুস্তাফিজের দিকে, দিনে দিনে যেনো তিনি একেবারে পিছিয়ে পরছেন। যেখানে শরিফুল-হাসান তারা নিজেদেরকে নতুন ভাবে নিজেদের সাজাচ্ছেন সেখানে দুই ম্যাচে মাত্র তার দুই উইকেট ওভারে ৬ এর উপর রান দিয়ে। এখনি কি সময় তাকে সরিয়ে শরিফুলের মত আগ্রাসী পেসারকে খেলিয়ে পাকাপোক্ত করা?

মোট কথায়, যেসব ব্যাপারে পরীক্ষা চালানোর চেষ্টা চালিয়েছিলো বাংলাদেশ তা একাবেরেই ব্যার্থ। কোনো মনে হোয়াইট ওয়াশ থেকে বেচে ফেরা। তবে শরিফুল দেখাছে নতুন আশার আলো। তা যত্ন নিলে এশিয়া কাপে তিনি হতে পারেন বাংলাদেশের ট্রাম্প কার্ড।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপ: রেকর্ডের মহানায়করা

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাকি আর মাত্র দুই সপ্তাহ। তারপরেই দামামা বাজবে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরের। বিশ্ব ক্রিকেটের মেগা এই ইভেন্টকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই বেশ জমজমাট পুরো ক্রীড়াঙ্গন। আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ একদিকে যেমন শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, অন্যদিকে ঠিক তেমনই নিজেদের ব্যাগ গোছানোতে ব্যস্ত অংশগ্রহণকারী দলের ক্রিকেটাররা।

১৭ বছর পূর্বে সেই ২০০৭ সালে বিশ্বমঞ্চে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণের লড়াই প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয়। সেবার মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইন্ডিয়া। এরপর মাঠে গড়িয়েছে আরও সাত আসর। সময়ের সঙ্গে জমজমাট হয়েছে লড়াই, বেড়েছে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা।

বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টে সেই শুরুর আসর থেকে বিভিন্ন দলের সব নামী দামী খেলোয়াড় নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছেন। গড়েছেন একাধিক কীর্তি। তবে সময় যত গড়িয়েছে, খেলার ধরন ও খেলোয়াড় সবই বদলেছে এই টুর্নামেন্টে। 

টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ই এবার আর নেই মাঠের লড়াইয়ে। তবে ব্যতিক্রমী রয়েছেন দুইজন। আর এর মধ্য দিয়েও বিরল এক কীর্তি গড়েছেন এই দুই কিংবদন্তী।

সেই কিংবদন্তীরা হলেন, ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও বাংলাদেশের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। যদিও এই দুইজনের মধ্যে ম্যাচ খেলার বিচারে এগিয়ে রোহিত। বিশ্বকাপে সর্বাধিক ৩৯ ম্যাচে মাঠে নেমেছেনে হিটম্যান। ৩৬ ম্যাচ খেলা সাকিবের অবস্থান দ্বিতীয়তে। এরপর আছেন ৩৫ ম্যাচ খেলা দিলশান। ব্রাভো, আফ্রিদি, মালিক ও ওয়ার্নার খেলেছেন ৩৪টি করে ম্যাচ।

শুধু তাই নয়, বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে একেক ক্রিকেটারের রয়েছে এক একরকম কীর্তি। কেউ বা ব্যাটে, কেউ বা বলে; আবার কেউ বা ‍উভয় ভাবেই এই টুর্নামেন্টে গড়েছেন নানা রেকর্ড। যার মধ্যে ভিরাট কোহলি থেকে শুরু করে ক্রিস গেইল, ব্রেট লি থেকে শুরু করে লাসিথ মালিঙ্গা- সকলেরই রয়েছে ব্যক্তিগত নানা রেকর্ড।

চলুন জেনে নেওয়া যাক টি-২০ বিশ্বকাপে কে কোন রেকর্ডের মালিক-

চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্টে বর্তমানে সর্বোচ্চ রানের মালিক ভিরাট কোহলি। তার নামের পাশে রয়েছে এক হাজার ১৪১ রান। হাজার রান পেরোনো অপর ব্যাটার মাহেলা জয়াবর্ধনে আছেন তার পরের অবস্থানে। বিশ্বকাপে এই লঙ্কান কিংবদন্তির রান এক হাজার ১৬। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ক্রিস গেইলের রান ৯৬৫। রোহিত শর্মা ৯৬৩ রান নিয়ে আছেন এর পরই। পঞ্চম অবস্থানে থাকে আরেক লঙ্কান দিলশানের রান ৮৯৭।

এছাড়া সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকাতে সবাইকে ছাপিয়ে শীর্ষে আছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার ঝুলিতে রয়েছে ৪৭ উইকেট। এরপরই রয়েছে ৩৯ উইকেট পাওয়া পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি ও ৩৮ উইকেট শিকারি লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। বর্তমানে খেলছেন এমন কেউই নেই সাকিবের ধারেকাছে।

ব্যাট হাতে ঝড় তুলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের তালিকায় সবার উপরে ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম। ২০১২ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৮ বলে ১২৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এরপরই আছেন ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইল। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার ১১৭ রানের ইনিংসটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তিনে রয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ২০১৪ বিশ্বকাপে অ্যালেক্স হেলসের অপরাজিত ১১৬ রানের ইনিংসটি। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা গেইলের ৪৭ বলে সেঞ্চুরিটি এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে এখনও দ্রুততম।

ছোট সংস্করণের বিশ্বকাপে সর্বাধিক ৬৩ ছক্কার মালিকও ইউনিভার্স বস গেইল। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রোহিত শর্মার সঙ্গে তার ব্যবধানটা অনেক বেশি। রোহিত এই সংস্করণের বৈশ্বিক আসরে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৩৫টি। বিশ্বকাপের প্রথম আসরে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ৬ ছক্কা হাঁকানো যুবরাজও আছেন এই তালিকায়। তিনে থাকা বাটলার ও যুবরাজ ৩৩টি করে ছক্কা মেরেছেন।

বিশ্বকাপে সেরা বোলিং ফিগারটা লঙ্কানদের দখলে। অজান্থা মেন্ডিসের ৮ রানে ৬ উইকেট এখনও আছে ‘অপরাজিত’। মাত্র ৩ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তারই স্বদেশি রঙ্গনা হেরাথ। এরপরই রয়েছে ২০০৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওভারে ৬ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করা পাকিস্তানি পেসার উমর গুল।

টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ডিসমিসালসের মালিক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। গ্লাভস হাতে ২১ ক্যাচের পাশাপাশি ১১ বার স্টাম্পিং করেছেন এই ভারতীয়। এবারের আসরে খেলবেন এমন উইকেটরক্ষকের মধ্যে সেরা পাঁচে রয়েছেন একমাত্র কুইন্টন ডি কক। এই প্রোটিয়া উইকেটরক্ষকের ডিসমিসাল রয়েছে ২২টি। আর ফিল্ডার হিসেবে সর্বাধিক ২৩ ক্যাচ নেয়ার রেকর্ডটা আছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দখলে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। আট আসরের মধ্যে ক্যারিবীয় ও ইংলিশরা দুইবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভারত।

উল্লেখ্য, আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। যেখানে এবার অংশ নিচ্ছে ২০ দল। চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলগুলো রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে একে অপরের মোকাবিলা করবে। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সুপার এইট। সেখান থেকে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ টুর্নামেন্টে মাঠে গড়াবে মোট ৫৫টি ম্যাচ।

প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সুপার এইট পর্বে উন্নীত হবে। এই পর্বে উন্নীত দলগুলিকে নিয়ে আবারও গ্রুপ হবে। প্রতি গ্রুপে ৪টি দল নিয়ে তৈরি দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে এবং প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল নকআউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, যেখানে দুটি সেমি-ফাইনাল এবং একটি ফাইনাল থাকবে।


টি-২০ বিশ্বকাপ   রেকর্ড   মহানায়ক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অবশেষে বিক্রি হয়ে গেল মেসির সেই ন্যাপকিন

প্রকাশ: ০৮:৩১ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির সাথে বার্সার ঐতিহাসিক চুক্তির কথা জানে না এমন কোন ফুটবল ভক্ত বোধহয় খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। ২০০০ সালে বার্সার সাথে ন্যাপকিন পেপারে চুক্তি স্বাক্ষর করেন মেসি। এরপর ১৩ বছর বয়সে তিনি পাড়ি জমান বার্সেলোনা শহরে। এর পরের গল্পটি সবারই জানা। বার্সার হয়ে ৭৭৮ ম্যাচে ৬৭২ টি গোল তিনি করেছেন।

গত ৯ মে বিট্রিশ অকশন হাউস বোনাহামসের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে গেল মেসি-বার্সা এই ঐতিহাসিক চুক্তিপত্রটি।

উল্লেখ্য, মেসি-বার্সার এই চুক্তিটির দাম উঠেছে লাখ ৬৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশ মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১ কোটি ২৯ লাখ ৯৩ হাজার ২০১ টাকা।


মেসি   বার্সা   ন্যাপকিন পেপার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোপা আমেরিকার আগে ব্রাজিল দলে বড় ধাক্কা

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হবে কোপা আমেরিকার লড়াই। যেখানে ফেবারিট হিসেবেই অংশ নেবে ব্রাজিল ফুটবল দল। তবে এর আগে বড় ধাক্কায় খেয়েছে সেলেসাওরা।

কোপা আমেরিকা শুরু হওয়ার মাস খানেক আগে চোট পেয়েছেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক এদারসন। আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের আগে এদারসনের ইনজুরি কিছুটা হলেও ব্রাজিল শিবিরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

জানা গেছে, চোখের ইনজুরিতে পড়েছেন এদারসন। গেল সপ্তাহে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় ৩০ বছর বয়সী এই গোলরক্ষককে। এ কারণে প্রিমিয়ার লিগে শেষ ম্যাচে তাকে পাবে না ম্যানচেস্টার সিটি।  

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ম্যানচেস্টার সিটি জানিয়েছে, স্ক্যানের পর এদারসনের ডান চোখের সকেটে ছোট একটি ফাটল ধরা পড়েছে। মৌসুমের বাকি অংশে তাকে আর পাওয়া যাবে না।

তবে ব্রাজিলের জন্য চিন্তার কারণটা একটু বেশিই। কারণ, আগামী ২০ জুন শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা। আর এমন এক টুর্নামেন্টের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে হারাতে চাইবে না তারা। 

যদিও কোপা আমেরিকার দলে আরো দুইজন গোলরক্ষক আছেন। তাদের একজন লিভারপুলের অ্যালিসন বেকার। সাধারণত এদারসন কোন ম্যাচে না খেললে অ্যালিসনই থাকেন ব্রাজিল কোচের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক।


কোপা আমেরিকা   ব্রাজিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

২০২৭ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আয়োজক হওয়ার দৌড় থেকে নিজেদের নাম আগেই প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এতে নিশ্চিত হয়ে যায় ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইটা হবে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে। যে লড়াইয়ে লাতিনদের কাছে পাত্তাই পায়নি ইউরোপিয়ানরা। 

একটু পরিস্কার করে বললে, বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে জয়টা হয়েছে ব্রাজিলের। অর্থাৎ ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক সেলেসাওরা।

শুক্রবার সিঙ্গাপুরের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার বার্ষিক কংগ্রেস। সেখানেই ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্ধারিত হয় বিশ্বকাপের আয়োজক। ব্রাজিলের সঙ্গে আয়োজক হওয়ার দৌড়ে ছিল বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি (বিএনজি)।

তবে সবাইকে পেছনে ফেলে ফিফার সদস্যভুক্ত দেশ ও অঞ্চলগুলোর ভোটে বেশ বড় ব্যবধানে জয় পায় ব্রাজিল। তারা পেয়েছে ১১৯টি ভোট। আর ইউরোপের তিন দেশের ঝুলিতে পড়ে ৭৮ ভোট। ফলে লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশে হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজকের মর্যাদা পেয়েছে ব্রাজিল। 

এ নিয়ে সভাপতি জিয়ান্তি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ব্রাজিলকে অভিনন্দন। ব্রাজিলে আমাদের সেরা বিশ্বকাপ হবে। সেইসঙ্গে বিএনজি-কেও ধন্যবাদ। তারাও বিডে দুর্দান্ত ছিল।’


ফুটবল   বিশ্বকাপ   ব্রাজিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইউরো দল ঘোষণা নেদারল্যান্ডসের

প্রকাশ: ০৮:২৪ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এর জন্য ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। ডাচদের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন চোটে আক্রান্ত বার্সা তারকা ফ্রাংকি ডি ইয়ং।

এবারের ইউরোয় প্রতিটি দলের ২৬ জনের স্কোয়াড রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে ডাচরা ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। আগামী ৭ জুনের মধ্যে অবশ্য খেলোয়াড় কমিয়ে চূড়ান্ত দল দিতে হবে তাদের।

আগামী ১৬ জুন হামবুর্গে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ইউরো অভিযান শুরু করবে নেদার‌ল্যান্ডস। এবারের আসরে ‘ডি’ গ্রুপে তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়া।

এর আগে অবশ্য কানাডা ও আইসল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে নেদারল্যান্ডসের। ম্যাচ দুটি যথাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে ৬ ও ১০ জুন।

নেদারল্যান্ডসের প্রাথমিক স্কোয়াড-

গোলরক্ষক: জাস্টিন বিজলো, মার্ক ফ্লেকেন, বার্ট ভারব্রুগেন, নিক ওলিজ।

ডিফেন্ডার: নাথান আকে, ডেলি ব্লিন্ড, ভার্জিল ফন ডাইক, ডেনজেল ডামফ্রিস, জেরেমি ফ্রিমপং, লুৎশারেল গের্ট্রুইদা, ম্যাথিজ ডি লিট, ইয়ান মাতসেন, মিকি ফন ডি ভেন, স্টেফান ডি ভ্রিজ।

মিডফিল্ডার: রায়ান গ্রাভেনবার্চ, ফ্রেঙ্কি ডি জং, টিউন কোপমেইনার্স, তিজানি রেইজেন্ডার্স, মার্টেন ডি রুন, জের্ডি স্কাউটেন, জাভি সিমন্স, কুইন্টেন টিম্বার, জোয়ি ভিরম্যান, জর্জিনিও উইজনালডাম।

ফরোয়ার্ড: স্টিভেন বার্গউইজেন, ব্রায়ান ব্রোবি, মেমফিস ডিপে, কোডি গাকপো, ডনিয়েল মালেন, ওয়াউট ওয়েগহোর্স্ট।


ইউরো দল   নেদারল্যান্ডস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন