ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভালোয় ভালোয় বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের শেষ চান হাথুরুসিংহে

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail ভালোয় ভালোয় বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের শেষ চান হাথুরুসিংহে।

দেশটা তাঁর নিজের। তাই হঠাৎই কারও সঙ্গে দেখা করতে রুম থেকে বেরিয়ে নিচে নেমে আসছেন,আবার কাউকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বন্ধু, কেউবা আত্মীয়। কলম্বোয় বাংলাদেশ দলের হোটেলে গেলে ঘুরেফিরেই দেখা হয়ে যাচ্ছে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে। বাংলাদেশ থেকে আসা সাংবাদিকেরাও চাইলেই কোচকে হাতের কাছে পাচ্ছেন। সহজে গল্পটল্পও করা যাচ্ছে। 

গতকাল যেমন হোটেলের পাশের ক্রিসকেট শপিং মলে দেখা হতেই সংক্ষিপ্ত একটা আড্ডা জমে যায় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংবাদিকের আড্ডার বিষয় কী হতে পারে, সেটা নিশ্চয়ই না বললেও চলবে। সেই আড্ডা থেকে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের আজকের ম্যাচ নিয়ে হাথুরুসিংহের যে মনোভাব বোঝা গেল, তাতে একটা বিষয় পরিষ্কার—তিনি এখন এই ম্যাচ ভালোয় ভালোয় শেষ হলেই বাঁচেন। বাংলাদেশ যদি ম্যাচটা জিতে দেশে ফিরতে পারে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই তিনি খুশি হবেন।

তবে হারলেও খুব অখুশি হবেন না, যদি এই ম্যাচে নতুন কেউ চোট না পায়। মোটকথা ভারত ম্যাচে কোচের একটাই চাওয়া, ম্যাচটা ক্রিকেটাররা শেষ করুক চোটমুক্ত থেকে। কালকের (আজ) ম্যাচ নিয়ে কী ভাবছেন প্রশ্নেও তাই তাঁর উত্তর, ‘দলের আর কোনো ক্রিকেটার যেন চোটে না পড়ে, এটাই একমাত্র কামনা।’ যেন ভারত নয়, ঘাপটি মেরে থাকা চোটের শঙ্কাই এই ম্যাচে বড় প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের!

অধিনায়ক সাকিব আল হাসান যদিও বলেছেন, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও চাওয়া–পাওয়ার আছে, আর সেটা হলো জয়; কোচের প্রত্যাশার সীমায় তা খুব বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে বলে মনে হয়নি। তিনি বরং এই ম্যাচ ছাপিয়ে ভবিষ্যতের বৃহত্তর ছবিটাই দেখতে চাচ্ছেন। বিশ্বকাপ সামনে বলেই সেই চাওয়ার পেছনেও কাজ করছে মূলত চোট–আতঙ্ক, ‘আমাদের এখন বৃহত্তর ছবিটা দেখতে হবে। পাকিস্তান এবং এখানে অনেকগুলো চোটের ঘটনা ঘটেছে। এটা দলের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে, আমরা এরই মধ্যে সেটা দেখেছি।’

শুরুটা অবশ্য এশিয়া কাপেরও আগে থেকে। কোমরের চিকিৎসা করাতে তামিম ইকবাল আগেই সরে যান টুর্নামেন্ট থেকে। এশিয়া কাপের ঠিক আগে হাঁটুর চোটে পড়ে ইবাদত হোসেনও। ইংল্যান্ড থেকে অস্ত্রোপচার করিয়ে ফেরা পেসার খেলতে পারবেন না বিশ্বকাপেও।

জ্বরের কারণে লিটন দাস দলের সঙ্গে শুরুতে এশিয়া কাপে আসতে পারেননি। পরে যোগ দিলেও লাহোরে আফগানিস্তান ম্যাচের পর আসে আরেক ধাক্কা। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট দেশে পাঠিয়ে দেয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেনকে। সর্বশেষ মুশফিকুর রহিমও কলম্বো থেকে ফিরে যান দেশে, তবে সেটা চোটে পড়ে নয়; পারিবারিক কারণে।

বিশ্বকাপ সামনে রেখে এশিয়া কাপে কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের। ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দেখার সঙ্গে প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশন বুঝে ব্যাটিং অর্ডার আর সঠিক বোলিং লাইনআপ সম্পর্কে ধারণা পাওয়াও ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু শুরু থেকে বইতে শুরু করা চোটের ঝড় কিছুই মনমতো হতে দেয়নি। পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় যে ‘প্ল্যান বি’ বাস্তবায়ন করাও কঠিন হয়ে যাচ্ছিল।

তবে এতে একটা লাভও হয়েছে দলের। বিশ্বকাপের আগেই অনেকের দুর্বলতা জানা হয়ে গেছে। যাঁদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভারত বিশ্বকাপের ছক কষা হচ্ছিল, তাঁদের সামর্থ্য সম্পর্কেও একটা ধারণা হয়ে গেছে টিম ম্যানেজমেন্টের। আবার পরিস্থিতির কারণে মেহেদী হাসান মিরাজের ওপরে উঠে আসা ওপেনিং নিয়েও ভিন্ন চিন্তার খোরাক জোগাচ্ছে।

শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পর সাকিব যেটাকে বলেছিলেন ‘রিয়েলিটি চেক’, এশিয়া কাপ থেকে কোচ হাথুরুসিংহের উপলব্ধিও বলতে পারেন একই রকম। ক্রিকেটের আড্ডার শেষাংশে তাঁর কথায় খেদ, ‘আমাদের দলে তো ওই গভীরতাই নেই। কেউ চোটে পড়লে কে কার বিকল্প হবে! ব্যাকআপ হিসেবে হয়তো আমার অনেক খেলোয়াড়ই আছে। কিন্তু নিয়মিত খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাদের অনেক পার্থক্য।’

শেষ বাক্যটা বলার সময় পার্থক্যের সীমা বোঝাতে একটা হাত ওপরে রেখে আরেকটা হাত অনেক নিচে নামিয়ে ধরলেন কোচ। সর্বোচ্চ সীমা বোঝাতে ওপরের হাতটা যে জায়গায় রাখলেন; সামর্থ্যে, আত্মবিশ্বাসে এবং ভালো করার ক্ষুধায় অতটা উঁচু গ্রাফ বাংলাদেশ দলের খুব কম ক্রিকেটারেরই আছে।

আজ ভারত–ম্যাচে বাংলাদেশ জিতে গেলেও যে হাথুরুসিংহের দুই হাতের ব্যবধান খুব কমে আসবে, তা নয়। সেটা নিয়ে না ভেবে তাই তাঁর একটাই আশা—হারুক, জিতুক; দলটা অন্তত নিরাপদে খেলা শেষ করে আসুক। কোচের ওই হাত দুটোই যেন করজোড়ে প্রার্থনা করছে—আর নয় চোটের আঘাত।


বাংলাদেশ   ভারত   ম্যাচ   হাথুরুসিংহে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের বোলিং তোপে ১২৪-এ গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

শঙ্কা ছিল টাইগার বোলারদের দাপটের দিনে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। তবে সেই শঙ্কা রীতিমত দুঃস্বপ্নে রূপ দিয়েছে রোডেশিয়ানদের লোয়ার-অর্ডার।

শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সফরকারীরা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রানে ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে।

এদিন বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ চার ওভারে ১৪ রান খরচায় শিকার করেছেন তিন উইকেট। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে শিকার করেছেন তিনটি উইকেট। শেখ মেহেদী নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে এই ম্যাচে খরুচে ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ছয়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বি। মাঝে চার বল ডট দিয়ে শেষ বলে আবারও চার মারেন এই ব্যাটার। প্রথম ওভারেই জিম্বাবুয়ে তোলে ৮ রান।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বলে আসেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তিনি এসে শুরুতেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। তার দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তৃতীয় ওভারে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই চার মেরে আগ্রাসী রূপ দেখানোর আভাস দেন তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান বেনেট। ওপেনার গাম্বির সাথে জুটি বেধে তোলেন ২৮ রান। তবে এই জুটিতে আঘাত করেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার লুজ বলে শর্ট ফাইনে তাসকিনের হাতে গাম্বি ক্যাচ দিলে ভাঙ এই জুটি। এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিল। ২ উইকেটে ৩৬ রান তোলা জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ড দাঁড়ায় ৪১/৭।

মূলত ষষ্ট ওভারে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনের। ৫ দশমিক ১ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। পরের বলেই উইকেরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৮ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিড স্টার তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলেই শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। দুইজনই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার লুক জঙ্গি। তার এই উইকেটে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৪১/৭।

এরপর বিপর্যয়ের মধ্যে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৬৫ বলে ৭৫ রান ওঠে এই জুটিতে। তাদের ব্যাটে ভর করে ১০০ ছাড়ায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১১৬ রানের সময় এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাদান্দে। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রথম টি-২০তে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে।

যেখানে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে টি-২০ সংস্করণে অভিষেক হয়েছে বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।

টি-২০তে এখন পর্যন্ত ২০বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। যেখানে ১৩ জয়ের বিপরীতে ৭ ম্যাচে হেরেছে টিম টাইগার্স।

দুই দলের মধ্যে দলীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। ২০২২ সালে হারারেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০৫ করেছিল তারা। অন্যদিকে ২০২০ সালে মিরপুরে ৩ উইকেটে ২০০ রান করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেইগ আরভিন, ব্রায়ান বেননেট, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদানদে, লুক জঙ্গি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুস্তাফিজের পোস্ট

প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলে এবারের আসরে চেন্নাইয়ের জার্সিতে স্বপ্নের মতো সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণেই মাঝপথে আইপিএলকে বিদায় জানাতে হয়েছে এ টাইগার পেসারকে।

বিদায় বেলায় মুস্তাফিজকে নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি জার্সি উপহার দেন ধোনি। যেখানে লেখা ছিল, ‘ফিজের প্রতি ভালোবাসা।’ সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাটার মাস্টার।

নিজের অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁহাতি এই পেসার লিখেছেন, ‘সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ মাহি (ধোনি) ভাই। আপনার মতো কিংবদন্তির সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নেয়াটা ছিল বিশেষ এক অনুভূতি। সবসময় আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, আমি সেগুলো মনে রাখব। আপনার সঙ্গে শিগগিরই আবারও খেলতে এবং দেখা করতে মুখিয়ে আছি।’

বিসিবির দেওয়া অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। এই আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে আগেই মন খারাপের কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি   ফ্লেমিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আরও এক শিরোপা জয়ের হাতছানি লেভারকুসেনের

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মৌসুমে বারবার খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফিরে আসার গল্প লিখেছে বায়ার লেভারকুসেন। বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতে চমকে দিয়েছে ফুটবল বিশ্বকে। যার জন্য কমেন্ট্রেটররা তো বারবারই বলছে ‘টিল দ্য লাস্ট হুইসাল নেভার রুল আউট লেভারকুসেন।’

লেভারকুসেনের এই সাফল্য এসেছে জাবি আলোনসোর হাত ধরে। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আরও একটি শিরোপা জয়ের হাতছানি দলটির সামনে। ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রোমার মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লেভারকুসেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দিবাগত রাতে স্তাদিও অলিম্পিকোতে রোমাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। জয়সূচক গোল ২টি করেছেন ফ্লোরিয়ান উইর্টজ ও রবার্ট এন্দরিখ।

এই ম্যাচে বল দখলে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে বেশ এগিয়ে ছিল লেভারকুসেন। ৪৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৯টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল তারা। বিপরীতে ঘরের মাঠে ৮টি শট নিয়ে ২টি প্রতিপক্ষের গোলমুখে রাখতে পেরেছিল রোমা।

রোমেলু লুকাকু, পাওলো দিবালার মতো তারকাদের স্তব্ধ করে ম্যাচের ২৮তম মিনিটেই লেভারকুসেনকে লিড এনে দেন ২০ বছর বয়সী জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার উইর্টজ। ডাচ রাইট-ব্যাক রিক কার্সদর্পের ভুলের খেসারত দিতে হয় দলকে। ব্যাক পাসে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের কাছে দিয়ে বসেন তিনি।

যেন ডি-বক্সে ঢুকে পড়া নিজের সতীর্থকে পাস দিচ্ছেন। বল পেয়ে যান অ্যালেক্স গ্রিমালদো। এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের বাধায় তিনি বল তুলে দেন অরক্ষিত থাকা উইর্টজকে। বাকি কাজকে অনায়াসে সেরে নেন এ জার্মান মিডফিল্ডার।

৩৪তম মিনিটে গ্রিমালদো আরও একটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। তবে পেনাল্টি এরিয়ার সামনে অরক্ষিত অবস্থায় বল পেয়েও জালে জড়াতে ব্যর্থ হন জেরেমি ফ্রিমপং।

এরপর বিরতি কাটিয়ে ম্যাচের ৭২ মিনিট পর্যন্ত কোনো দল গোলের তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৭৩তম মিনিটে রোমার সমর্থকদের দুঃখ দ্বিগুণ করে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন এন্দরিখ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ক্রসে জাল খুঁজে নেন তিনি। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না রোমার গোলরক্ষকের।

স্বাগতিকরা একটি গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচের যোগ করা সময়ে। তবে গোলপোস্ট ফাঁকা পেয়েও লুকাকু হেড নেন বারের ওপর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে রোমার দুর্গ থেকে জয় নিয়ে ফেরে লেভারকুসেন।

আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রোমাকে আতিথ্য দেবে লেভারকুসেন। সে ম্যাচে ড্র কিংবা হারের ব্যবধানটা ১-০ গোলের মধ্যে রাখতে পারলেই ইউরোপা লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করবে আলোনসোর শিষ্যরা।


বায়ার লেভারকুসেন   রোমা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এমএলএসের মাসসেরা ফুটবলার লিও মেসি

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কোন অর্জন নেই যা তার ঝুলিতে নেই। ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের অধরা সোনালী ট্রফিটাও জিতেছেন তিনি। আর এতে করে সর্বকালের সেরা হওয়ার অ্যাখ্যাও পেয়েছেন তিনি।

বর্তমানে ক্লাব ফুটবলে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন লিওনেল মেসি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে পাড়ি দিয়ে নানান স্বীকৃতিই পেয়েছেন তিনি। তবে এই প্রথমবারের মতো এমএলএসের মাসসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

হ্যামস্ট্রিং-এর চোট থেকে ফিরে গত এপ্রিল মাস জুড়ে দারুণ পারফর্ম করায় এই স্বীকৃতি পেয়েছেন মেসি। গত ৬ এপ্রিল দলে ফিরেই গোল উৎসবে মাতেন মায়ামির আর্জেন্টাইন তারকা।

গত এপ্রিলে ৪ ম্যাচ খেলেছেন মেসি। যেখানে ৬ গোল করেছেন তিনি। গোলের পাশাপাশি ৪টি অ্যাসিস্টও রয়েছে তার। স্বাভাবিকভাবেই লিগের মাসের সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন।

মেসি দলে ফেরার জয়ে ফিরেছে মায়ামি। টানা ৪ ম্যাচে অপরাজিত মায়ামি বর্তমানে লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে। ইস্টার্ন কনফারেন্সের টেবিলে শীর্ষে মায়ামির পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ২১।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন