ইনসাইড গ্রাউন্ড

আফগানদের বিপক্ষে টানা ৩টি বিশ্বকাপে জয় বাংলাদেশের

প্রকাশ: ০৪:৫৪ পিএম, ০৭ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

এবারের বিশ্বকাপ আসরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। এর মূল কারণ বোলাররা। বাংলাদেশের দূর্দান্ত বোলিং পারফর্মেন্সের তোপে টিকতেই পারেনি আফগান শিবিরের সব সৈন্য সামন্ত। ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। বিপরীতে বাংলাদেশকে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ ও ইনফর্ম ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় টাইগাররা। ৩৪.৪ ওভারে আফগানদের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য ভেদ করে সাকিব বাহিনী।


ছবির ক্যাপশনঃ আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচে এভাবেই ধরা পড়ে এক উড়ন্ত বাংলাদেশ।

শনিবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ভারতের ধর্মশালায় বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ম্যাচটিতে টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান সাকিব আল হাসান।

ম্যাচের শুরুতে আফগানদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে বেগ পেতে হয় টাইগারদের। তবে দলীয় ৪৭ রানে ব্রেকথ্রু এনে দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। নিজের কোটার দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসেই নজিবুল্লাহ জাদরানের উইকেট তুলে নেন তিনি। সে সময়ে তানজিদ তামিমের হতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২২ রান করেন ওপেনার জাদরান।


এরপর রহমত শাহকে নিয়ে রানের চাকা ঘুরাচ্ছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তাদের ৩৬ রানের জুটিও ভাঙেন সাকিব। উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্রিজের ভেতরই লিটন দাসকে ক্যাচ দেন রহমত। ২৫ বলে ১৮ রান করেন আফগান ব্যাটার।

 

দলীয় ১১২ রানে হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেন আফগান অধিনায়ক। ৩৮ বলে ১৮ রান করেন সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়েন রীতিমতো বিপজ্জনক হয়ে উঠা রহমানউল্লাহ গুরবাজ।

 
দলীয় ২৯তম ওভারে নিজের ষষ্ঠ ওভার করতে আসেন সাকিব। ওই ওভারে সরাসরি নাজিবউল্লাহ জাদরানের স্টাম্প ভেঙে দেন তিনি। ৫ রানে বিদায় নেন আফগান ব্যাটার। তাসকিনের ব্যক্তিগত পঞ্চম ওভারে সরাসরি বোল্ড হন মোহাম্মদ নবি। ১২ বলে ৬ রান করেন আফগান অলরাউন্ডার। রশিদ খান ফেরেন ৯ রান করে।

 

তবে কার্যকরী ইনিংস খেলেন আজমতউল্লাহ। ২০ বলে ২২ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে ইনসাইড এজ হয়ে মাঠ ছাড়েন। তখন আফগানদের দলীয় রান ১৫৬। স্কোর বোর্ডে রানসংখ্যা স্থির থাকতেই মুজিবকে ফেরান মিরাজ। তিনি নেন রশিদের উইকেটও। নাভিন উল হক ও ফজলহক ফারুকি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। বাংলাদেশের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছাড়া উইকেট পেয়েছেন বাকিদের সবাই।

 

মাত্র ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম (১৩ বলে ৫ রান)। এরপরে দলীয় ২৭ রানে আরেক ওপেনার লিটন দাসকে ফেরান আফগান বোলার ফজলহক ফারুকি। ফারুকির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে লিটন খেলতে গিয়েছিলেন ক্লাসিক শট। কিন্তু ইনসাইড-এজ হয়ে বল গিয়ে আঘাতে হানে লেগস্টাম্পে। তাতে ১৮ বলে ১৩ রান করেই থামে লিটনের ইনিংস। এরপরে দলের হাল ধরেন শান্ত ও মিরাজ। 


এর মধ্যে কয়েকবার জীবন পাওয়া মিরাজ তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ৫৭ রানে আউট হন তিনি। এই রান করতে মিরাজ খেলেছেন ৭২ বল। ৫৭ রানের ইনিংসে ৫টি চার ৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার। ২৮.১ ওভারে নভিনকে মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন রহমত শাহ। তাতেই তৃতীয় উইকেটের পতন হয়।
 

 

এরপরে শান্তকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের বন্দরে এগিয়ে যান অধিনায়ক সাকিব। তবে জয় থেকে মাত্র ১১ রান বাকি থাকতে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। ১৯ বলে ১৪ রান করা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ওমরজাইয়ের বলে মিডউইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা ফজলহক ফারুকির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। শেষ দিকে মুশফিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন শান্ত। ৮৩ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ রান করে অপারজিত থাকেন শান্ত। আর ৩ বলে অপরাজিত ২ রান আসে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে।

 


বাংলাদেশ   আফগানিস্তান   ক্রিকেট ম্যাচ   বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩   বাংলাদেশ ক্রিকেট দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ব্যর্থতার পরও দলে লিটন, পারফরম্যান্সে এগিয়ে থেকেও কেন বাদ মিরাজ?

প্রকাশ: ০৯:০৩ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সারাবিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনে যেন সাজ সাজ রব। এশিয়া থেকে ইউরোপ, ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ সবখানেই যেন জমে উঠেছে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আমেজ। আগামী জুন মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যেই অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল বেশ শক্ত-পোক্তভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

শুধু তাই নয়, দল গোছানোতেও নিজেদের সেরাটাই দিচ্ছে প্রতিটি দেশ। তবে এই টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে যেখানে একসময়ের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা নিজেদের দল ঘোষণা করেছিল সেই শুরুর দিকে, সেখানে দ্বিতীয় রাউন্ড খেলা নিয়ে সংশয় থাকা দল বাংলাদেশ করেছে গড়িমসি। যদিও পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান এখনও দল ঘোষণা করেনি।

বড় কোনো টুর্নামেন্টের আগে দল ঘোষণা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নাটকের ঘটনা পুরোনো। যার ব্যক্তিক্রম হলোনা এবারের টি-২০ বিশ্বকাপেও। বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াড আইসিসির কাছে জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ১ মে। নিউজিল্যান্ড সবার আগে দল ঘোষণা করলে শুরু হয় বাকিদের দল ঘোষণার অপেক্ষা। একে একে সবাই দল ঘোষণা করলেও বাকি ছিল শুধু বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করে বিসিবি। জিম্বাবুয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে ইনজুরিতে পড়া তাসকিন আহমেদের দলে থাকা নিয়ে শঙ্কা ছাড়া তেমন কোনো উত্তাপ ছিল না এবারের দল ঘোষণা নিয়ে।

তবে বিসিবি গড়িমসি করে শেষ পর্যন্ত দল ঘোষণা করলেও, সমালোচনার বৃত্ত থেকে বেরোতে পারেনি এখানেও। কারণ হিসেবে অবশ্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকও রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হল, অফ ফর্মে থাকার পরও লিটনকে দলে ভেড়ানো এবং স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজকে বাদ দেওয়া। 

বিসিবি দল ঘোষণার আগ পর্যন্ত মেহেদী মিরাজকে নিয়ে নানা গুঞ্জন ডালপালা মেলেছিল। যার কারণ ছিলেন লিটন দাস। সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যাটে রান নেই। তাই টি-২০ বিশ্বকাপে বিকল্প ওপেনার হিসেবে মিরাজকে বিবেচনা করা হচ্ছিল। তবে সেটি গুঞ্জন পর্যন্তই রয়ে গেছে। কারণ, যার জন্য তাকে বিবেচনায় রাখা হয়েছিল শেষ পর্যন্ত সেই লিটনের ওপরই আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

কিন্তু দল ঘোষণার পর থেকে অফফর্মে থাকা লিটনকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। কারণ, চলতি বছরে ৬টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন লিটন। যেখানে মাত্র ১৩ গড়ে ৭৯ রান করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপের আগে লিটনের এমন ফর্ম নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।

আর মিরাজ গত জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলেছেন। ব্যাটিংয়ে সাতে নামেন বলে এমনিতেও সুযোগ খুব একটা পান না। বিস্ময়করভাবে ১৬ জুলাইয়ের ম্যাচে বলও করেননি তিনি। এরপর বাংলাদেশ তিনটি টি-২০ সিরিজ খেললেও, কোনো সিরিজেই ছিলেন না তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেননি। শ্রীলংকার বিপক্ষে ছিলেন না। এমনকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে দুই দফায় ঘোষিত ২০ জন ক্রিকেটারের স্কোয়াডেও জায়গা হয়নি তার।

কিন্তু মিরাজ এবার বিপিএলে ছিলেন দারুণ ছন্দে। ব্যাটে বলে ছড়িয়েছেন দ্যুতি। ছিলেন বিজয়ী দলের সদস্যও। এমনকি সম্প্রতি পারফরম্যান্স বিবেচনায় লিটনের তুলনায় বেশ এগিয়ে রয়েছেন মিরাজ। বিপিএলে ২১৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করার রেকর্ডও রয়েছে তার। তবে এত সবকিছুর পরও বাদ পড়তে হয়েছে মিরাজকে। আর টানা অফ ফর্মে থেকেও ভরসা রাখা হয়েছে লিটন দাসের উপর।

এমন পরিস্থিতিতে ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে বিসিবি। ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। অনেকে বলছেন, মিরাজ রাজনীতির স্বীকার হচ্ছেন। আবার অনেকে জানাচ্ছেন বৈষম্যের কথা। আর লিটনকে এত কিছুর পরও সুযোগ দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। 

তবে এ বিষয়টি নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘লিটন কেবল ওপেনারই নয়, তার বিষয়টা তুললে উইকেটকিপিং সামর্থ্যের কথাও চলে আসে। আমাদের দুটো উইকেটকিপার নিয়ে যেতেই হবে। ওপেনিংয়ে হয়তো তার পরিবর্তে রিপ্লেস করতে পারছি।’

আর মিরাজ নয়, লিটনের বিকল্প হিসেবে এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমরা এনামুল হক বিজয়কে নিয়েও আলোচনা করেছিলাম। তবে ফর্মহীন থাকার পরও আমাদের লিটনের ওপর আস্থা রাখতে হয়েছে। কারণ তাকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং দুটো ম্যাচ যে তিনি খেলেননি সে সময়ও তার আস্থার জায়গা কিভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোচিং স্টাফরা।’

তবে বিসিবির প্রধান নির্বাচকের এমন বক্তব্যের পরও সমালোচনা করে চলেছেন ভক্ত সমর্থকরা। তাদের দাবি মিরাজকে নিয়েই বিশ্বকাপে উড়াল দেক বাংলাদেশ। 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পর প্রায় দীর্ঘ চার বছর টি-২০তে দেখা যায়নি মেহেদী মিরাজকে। তবে ৪ বছর পর সেই মিরাজ ঠিকই ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তবে এবার মিরাজের ঠাই হয়নি আসন্ন বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে। 

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। রিজার্ভ: হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।



ক্রিকেট   লিটন দাস   মিরাজ   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অফফর্মের পরও বিশ্বকাপ দলে লিটন, কারণে যা বললেন লিপু

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। তবে ইদানিং যেন দুঃসময়ের ঘোর থেকে কিছুতেই বের হতে পারছেন না তিনি। ঘরের মাঠে শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়ে সিরিজে মোটাদাগে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। অধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য মাঝে অবশ্য দল থেকে বাদও পড়েছিলেন। অনেকেরেই ধারণা ছিল, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়বেন লিটন। তবে সবাইকে অবাক করে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন লিটন দাস। সেটিও আবার ১৫ সদস্যের দলে।

চলতি বছর টি-২০ ফরম্যাটে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি লিটন। ৬ ম্যাচ খেলে করেছেন ৭৯ রান, গড় ১৩! আর লিটনের অফফর্মের পরও তিনি বিশ্বকাপের দলে কীভাবে ঠাই পেলেন এ নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। যদিও দল ঘোষণার সময় লিটনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

তিনি বলেন, ‘লিটনকে তৃতীয় (মূলত চতুর্থ) ম্যাচে বাদ দেওয়ার কারণ সেটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। সেজন্য ঐ বিশেষ ম্যাচের জন্য আমাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। লিটন কেবল ওপেনারই নয়, তার বিষয়টা তুললে উইকেটকিপিং সামর্থ্যের কথাও চলে আসে। আমাদের দুটো উইকেটকিপার নিয়ে যেতেই হবে। ওপেনিংয়ে হয়তো তার পরিবর্তে রিপ্লেস করতে পারছি।’

লিটনকে ফর্মে ফেরাতে কাজ চলছে বলেও জানান লিপু। তবে তার বিকল্প হিসেবে আলোচনায় এসেছিল এনামুল হক বিজয়ের নামও, ‘এক্ষেত্রে আবার আমরা এনামুল হক বিজয়কে নিয়েও আলোচনা করেছিলাম। তবে ফর্মহীন থাকার পরও আমাদের লিটনের ওপর আস্থা রাখতে হয়েছে। কারণ তাকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং দুটো ম্যাচ যে তিনি খেলেননি সে সময়ও তার আস্থার জায়গা কিভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোচিং স্টাফরা। কতটুকু উন্নতি হয়েছে সেটা তো বলা যায় না। তবে বল বাছাই ও শট খেলার দিক থেকে তাকে আরও দৃঢ় করার জন্য কোচরা কাজ করছেন।’

এদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরু থেকেই লিটন দলে থাকলেও, উইকেটকিপিংয়ে তার বিকল্প খুঁজতে চেয়েছিল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সে কারণে পুরো সিরিজে উইকেটের পেছনে দায়িত্ব সামলেছেন জাকের আলী অনিক।

তবে এই ভূমিকায় জাকেরের পারফরম্যান্স হয়তো আশা জাগাতে পারেনি বিসিবিকে। বেশ কয়েকটি ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে তার হাত থেকে, এমনকি বল ক্যারি করতেও জাকেরকে নড়বড়ে দেখা গেছে। মনে হচ্ছিল বল ঠিক গ্লাভসে থাকছে না। আর এ কারণেই লিটনের হাতেই কিপিংয়ের দায়িত্ব ছাড়তে হচ্ছে জাকেরকে!


বাংলাদেশ   টি-২০ ক্রিকেট   বিসিবি   প্রধান নির্বাচক   গাজী আশরাফ হোসেন লিপু   লিটন দাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘বাংলাদেশ সেই পর্যায়ে এখনও যায়নি যে সেমিফাইনালে খেলবে’

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সেই ২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের আগমুহুর্তে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, ‘এবার নয় বরং আগামী ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের ভাবনা।’ বিসিবি সভাপতির সেই ভাবনার বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। আর কিছুদিন পরই মাঠে গড়াবে খেলা। যেখানে যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যেই টাইগাররা সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণও করেছে।

তবে যখন দলের প্রতি আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বসে আসে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে পুরো দেশ, তখন প্রধান নির্বাচকের কথায় ভিন্ন সুর। তিনি বলছেন, বাংলাদেশ টি-২০তে সেই পর্যায়ে এখনও যায়নি যে সেমিফাইনাল নিশ্চিতভাবে খেলতে পারবে। আর দলের প্রধান নির্বাচক যখন এমন কথা বলছেন তখন এটা ধরে নেওয়াই যায় যে দল কতদূর যেতে পারবে।

যদিও প্রধান নির্বাচক আরও বলেছেন যে, ‘আমরা আশা করি প্রথম রাউন্ড পার হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেন খেলতে পারি। তখন আবার প্রচেষ্টা থাকবে পরের ধাপে যাওয়ার।’

তবে প্রধান নির্বাচকের এই ধরনের কথার সুরে ক্রীড়াঙ্গনে বর্তমানে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ‘আমার একটা অনুরোধ, প্রত্যাশা খুব বেশি রাখার দরকার নেই।’ অর্থাৎ বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আশার বেলুন চুপসে দিতে চেয়েছিলেন টাইগার দলপতিও।

আর প্রধান নির্বাচক ও অধিনায়কের এমন কথার পর টাইগারদের পারফরম্যান্সসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেকেই মনে করেন যে, আবারও বিশ্বকাপে ব্যর্থতার আভাস পূর্বেই দিয়ে যাচ্ছেন তারা।


বাংলাদেশ   টি-২০ ক্রিকেট   বিসিবি   প্রধান নির্বাচক   গাজী আশরাফ হোসেন লিপু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই সাইফউদ্দিন, জানালেন প্রধান নির্বাচক

প্রকাশ: ০৪:৪৩ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই দলে বেশ কিছু চমক থাকলেও স্কোয়াডে সুযোগ হয়নি পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। তার পরিবর্তে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব।

মঙ্গলবার দুপুরে সোয়া ১টার দিকে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কুড়ি ওভারের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছেন তাসকিন আহমেদকে।

সাম্প্রতিক সময়ে অফফর্মে থাকা লিটন দাসের ওপর আস্থা রেখেছে বিসিবি। তবে বিপিএল মাতিয়ে সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে পারফর্ম করা সাইফউদ্দিনকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি। আর এই বিষয়টিই সম্ভবত আলোচনার জায়গা দখল করতে চলেছে।

এ নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘দুটো রাস্তা ছিল আমাদের সামনে–প্রথমত দলে থাকা ফিট ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে নির্বাচন, দ্বিতীয়ত বাকিদেরও পরখ করে দেখা। আমরা চোট থেকে ফেরা সাইফউদ্দিনের পারফরম্যান্স দেখতে চেয়েছিলাম, তার ওপর অবশ্যই আমাদের আস্থা ছিল। তবে এই (জিম্বাবুয়ে) সিরিজে আমাদের আস্থার জায়গায় কিছুটা এগিয়ে তানজিম সাকিব। সে কারণে সাইফউদ্দিনকে রাখা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাকিবকে আমরা শ্রীলংকা সিরিজেও দেখেছি। তার একাগ্রতা ও আগ্রাসন খুব ভালো। তার সঙ্গে সাইফউদ্দিনের প্রতিযোগিতা চলছিল। সে জায়গায় সাকিব উৎরে গেছে। হাসান মাহমুদকেও আমরা ক্যারি করতে হচ্ছে, তবে আশা করি তাকে খেলানো লাগবে না।’

শুধু ১৫ সদস্যের দলেই নয়, ট্রাভেলিং রিজার্ভেও নাম নেই সাইফউদ্দিনের। গত ৩০ এপ্রিলই আইসিসির কাছে বিশ্বকাপের দল পাঠিয়েছিল বিসিবি। সেই দলে কেবল একটি পরিবর্তন হয়েছে বলে জানান বিসিবির প্রধান নির্বাচক লিপু। আর তা হচ্ছে সাইফউদ্দিনের বাদ পড়াটা। এর বাইরে বাকি ১৪ জনের জায়গা ঠিক রাখা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। রিজার্ভ: হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।


বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল: সম্প্রতি পারফরম্যান্সে কতটা এগিয়ে?

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে শুরু হতে যাচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে আগামী ২ জুন থেকে মাঠে গড়াবে খেলা। যার জন্য ইতোমধ্যেই জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে আয়োজক দেশগুলোতে। শুধু তাই নয়, ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দলগুলোও।

প্রতি দুই বছর পর পর বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হলেও এবারের আসরের চ্যালেঞ্জটা একটু ভিন্ন প্রতিটা দলের জন্যই। কারণ এবার বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে কিছু ভিন্নরূপে।

প্রতিবার ১০টি দলের সমন্বয়ে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হলেও এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ২০ দল। শুধু তাই নয়, এবার খেলার সমীকরণটাও বদলেছে। কারণ এবার রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রতি গ্রুপের প্রতিটি দল একে অপরের মোকাবেলা করবে। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সুপার এইট। সেখান থেকে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ টুর্নামেন্টে মাঠে গড়াবে মোট ৫৫টি ম্যাচ।

ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল ১৮টি দল। বাকি ছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের স্কোয়াড ঘোষণা করা। তবে আজ (মঙ্গলবার) বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দুপুর সোয়া ১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু দল ঘোষণার পরপরই শুরু হয়েছে কঠোর সমালোচনা। কারণ টানা অফ ফর্মে থাকা লিটন দাসকেও নেওয়া হয়েছে দলে। এছাড়া বিপিএলে আলো ছড়ানো এবং সদ্য জিম্বাবুয়ে সিরিজের মধ্য দিয়ে লম্বা সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাইফউদ্দিন আহমেদ বাদ পড়েছেন বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে দলের অতি গুরুত্বপূর্ণ অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজকেও রাখা হয়নি স্কোয়াডে।

আর মূলত এসকল কারণেই শুরু হয়েছে কঠোর সমালোচনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের এই দল বিশ্বকাপে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। শুধু তাই নয়, সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ের সাথে দলের যে পারফরম্যান্স সেটির পর বাংলাদেশ বিশ্বকাপে কোনভাবে প্রথম রাউন্ড পার করতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

কারণ, বিশ্বকাপের যে দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ তার মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন মুখ রয়েছে যারা এর পূর্বে কোন বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেনি। এছাড়াও টপ অর্ডার ব্যাটারদের সম্প্রতি যে পারফরম্যান্স তা নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের মনে সন্দেহপ্রবণতা যেন আরও তীব্র হয়েছে।

সম্প্রতি জিম্বাবুয়ের সাথে ঘরের মাঠে টাইগারদের পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে দেখা যায়, টপ অর্ডারে একমাত্র তানজিদ তামিম ছাড়া কেউই সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। পুরো সিরিজে দুই একজন ব্যাটার ছাড়া কারো স্ট্রাইক রেট ১৩০ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। আর চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্টে এমন স্ট্রাইক রেট নিয়ে বাংলাদেশ কতদূর এগোতে পারবে সেটি একটি বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া তাসকিনের ইনজুরিও বড় একটা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে টাইগারদের বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে। তাসকিন দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে উড়াল দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে বিশ্বকাপ শুরুর পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ সেখানে খেলতে পারবেন না তাসকিন। এছাড়া মূল পর্বে টাইগারদের প্রথম যে ম্যাচ সেটিতেও তাসকিন থাকবেন কি না সে বিষয়েও সংশয় রয়েছে। আর তাসকিনের এই ইনজুরি টাইগারদের কতটা ভোগাবে সেটি এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে এই স্কোয়াড নিয়ে কেমন করবে টাইগাররা সেটিই এখন দেখার বিষয়।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড
লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। রিজার্ভ: হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন