ইনসাইড গ্রাউন্ড

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে হারের বৃত্ত থেকে বের হলো অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশ: ১০:২০ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

হারের বৃত্তে দুই দলই সমান ছিল। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা দুই দলই দুটি ম্যাচে টানা হেরেছে। আজকের ম্যাচে অবশ্য এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। তারা লঙ্কানদের হারিয়েছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। তবে হারের বৃত্তে ঝুলেই রইলো শ্রীলঙ্কা।

প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর তৃতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল তারা। অথচ চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের খেসারত দিতে হয় তাদের। অন্যদিকে দুই ম্যাচ পরই অবশেষে জয়ের ধারায় ফিরলো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২০৯ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ২১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আবারো শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অজিরা। ২৪ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসেছে দুই ব্যাটিং স্তম্ভ ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভেন স্মিথকে।

এক ওভারে জোড়া শিকার করেছেন দিলশান মাদুশঙ্কা। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ওয়ার্নার (৬ বলে ১১) আর শেষ বলে স্মিথকে (৫ বলে ০) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন লঙ্কান এই পেসার।

২৪ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে অজিরা। সেখান থেকে অজিদের উদ্ধার করেন অভিজ্ঞ মারনাস লাবুশেন ও মিচ মার্শ। চাপ কমাতে মারমুখী হয়ে উঠেন মিচেল মার্শ। ৩৯ বলেই ফিফটি তুলে নেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তবে তার মারকুটে ইনিংসটি থেমেছে রানআউটে কাটা পড়ে। দুই নিতে গিয়ে রানআউট হন মার্শ। ৫১ বলে তার ৫২ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি বাউন্ডারির মার।

 

 

 

তৃতীয় উইকেট জুটিই মূলত জয়ের ভিত গড়ে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে। মারনাস লাবুশেনকে সঙ্গে নিয়ে ৭৭ রানের অনবদ্য এক জুটি গড়েন জশ ইংলিশ। বেশ দেখে শুনেই শ্রীলঙ্কান স্পিনারদের মোকাবেলা করছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান।

তবে ব্যাটিং দেখে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল লাবুশেন হাফসেঞ্চুরি তুলে নিবেন কিন্তু তার আগেই ৪০ রানে তাকে আউট করেন সেই মাদুশাঙ্কা। ৬০ বলের ইনিংসে তিনি দুটি চার মারেন। লাবুশেন আউট হলেও অন্য প্রান্তে ঠিকই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইংলিশ। তবে তাকে শেষ দিকে ফেরান ওয়েলালাগে। ৫৯ বলে ৫৮ রান করা ইংলিশের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছয়ের মার।

 

৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমে শ্রীলঙ্কান বোলারদের বেধরক মারতে থাকেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তার ব্যাটিং ২১ বলে ৩১ রানের টর্নেডো ইনিংস অজিদের ১৬ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। স্টইনিস ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। লঙ্কানদের হয়ে মাদুশাঙ্কা ৩টি ও ওয়েলালাগে ১টি করে উইকেট পান।

এর আগে লখনৌতে গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে টসভাগ্য সহায় হয়েছে শ্রীলঙ্কার। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দাসুন শানাকার চোটে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া কুশল মেন্ডিস।

ওপেনিং জুটিতে দারুণ সূচনা পায় লঙ্কানরা। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের পাত্তা না দিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৫ রান তুলে ফেলেন পাথুম নিশাঙ্কা আর কুশল পেরেরা। অবশেষে ২২তম ওভারে এসে উইকেটের দেখা পায় অস্ট্রেলিয়া। জুটি ভাঙেন অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

 

কামিন্সকে হুক করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ডেভিড ওয়ার্নারের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হন নিশাঙ্কা। ৬৭ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি হাঁকান লঙ্কান ওপেনার।

এরপর আরেক সেট ব্যাটার কুশল পেরেরাকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন কামিন্স। ৮২ বলে ১২ বাউন্ডারিতে পেরেরার ব্যাট থেকে আসে ৭৮ রান।

উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে ব্যক্তিগত ৯ রানেই সাজঘরে ফেরান তিনি। পরের ওভারে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (৮) ফেলেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে। ৯ রানের মধ্যে ৩টি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা।

৩২.১ ওভারে ৪ উইকেটে শ্রীলঙ্কা ১৭৮ রান তোলার পর বৃষ্টির জন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। খেলা শুরু হতে না হতেই আরও দুটি উইকেট হারিয়ে বসেছে লঙ্কানরা।

মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (৭), এরপর রানআউটের কবলে পড়েছেন দুনিথ ওয়াল্লালাগে (২)।

 

চামিকা করুনারত্নে (২) আর মাহিশ থিকশানাকে (০) এলবিডব্লিউ করেন জাম্পা। লাহিরু কুমারা (৪) হন স্টার্কের বলে বোল্ড। পাঁচ নম্বর ব্যাটার চারিথ আসালাঙ্কা কেবল সতীর্থদের আসা যাওয়া দেখছিলেন।

তিনিই লড়াই করে লঙ্কানদের দুইশ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। শেষ ব্যাটার হিসেবে তিনিই আউট হয়েছেন, ৩৯ বলে ২৫ করে। শেষ উইকেটটি নেন ম্যাক্সওয়েল।

 

অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল বোলার অ্যাডাম জাম্পা। ৪৭ রানে তিনি নিয়েছেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার মিচেল স্টার্ক আর প্যাট কামিন্সের।

 


অস্ট্রেলিয়া   শ্রীলঙ্কা   বৃত্ত   হার   বিশ্বকাপ ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চূড়ান্ত হল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া সূচি

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০২৫ এর আসর বসতে যাচ্ছে এবার পাকিস্তানে। আর এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করেছে আয়োজক দেশ। খসড়া সূচি চূড়ান্ত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জমা দিয়েছে আইসিসির কাছে। টুর্নামেন্টের জন্য তিনটি ভেন্যুও বেছে নিয়েছে তারা। সেই তিন ভেন্যু হলো- লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডি।

এর আগে ২০১৭ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এরপর এই টুর্নামেন্টটিই বাতিল করে দিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি দেখতে আইসিসির একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করেছে। ৮ দলের এই টুর্নামেন্টটি ১৪ দিন ব্যাপী হতে পারে। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি জানিয়েছেন, খসড়া সূচি তৈরি করে আইসিসির কাছে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সূচি ঠিক করে আইসিসিতে পাঠিয়েছি। আইসিসি থেকে নিরাপত্তা দল এসেছিল। তারা আমাদের প্রস্তুতি দেখেছে এবং স্টেডিয়ামের উন্নতি নিয়ে কথা বলেছে। আমরা সর্বদা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি, ভালো একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারবো।’


চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি   ক্রিকেট   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল: কোহলি

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় ক্রিকেটের মহাতারকা বিরাট কোহলি। আইপিএলের এবারের আসরে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। যার জন্য অরেঞ্জ ক্যাপটা এখনও নিজের দখলে রেখেছেন তিনি। কিন্তু এবার সেই কোহলিকেই ব্যাটিংয়ের জন্য শুনতে হচ্ছে সমালোচনা। কারণটা মূলত কোহলির স্ট্রাইক রেট।

এবারের আসরে এখনও পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। প্রায় ৭১ গড়ে করেছেন ৫০০ রান। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৪৭ স্ট্রাইকরেটে। আসরে ৪ ফিফটির পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিও করেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই ওপেনার।

নিজের ব্যাটিং নিয়ে কোহলি বলেন, ‘যেসব লোক স্ট্রাইক রেট এবং আমার স্পিন ভালো খেলতে না পারা নিয়ে কথা বলে, তারা এসব (পরিসংখ্যান) নিয়েই কথা বলে। আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল এবং এ কারণেই আপনি এটা ১৫ বছর ধরে করে যাবেন।’

‘আপনি দিনের পর দিন এটা করে যাচ্ছেন, আপনি দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। আমি জানি না, এমন পরিস্থিতিতে আপনারা কখনো পড়েছেন কি না। কিন্তু বক্সে বসে ম্যাচ নিয়ে কথা বলছেন।’-যোগ করেন কোহলি।


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জাতীয় দলে কবে ফিরবেন তামিম, জানালেন পাপন

প্রকাশ: ০৭:১০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় দলে তামিম ইকবালের ফেরা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষই হচ্ছে না। গত বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি এই টাইগার ওপেনারের। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২২ গজ মাতিয়েছেন তামিম ইকবাল।

তারপর বেশ চড়াই উৎরাই, আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসরে যাওয়া, প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে পুনরায় ফিরে আসা। তারপর বিশ্বকাপের রেস থেকে ছিটকে যাওয়া সবকিছুই হয়েছে এই সময়ে।

সম্প্রতি তামিম জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলে ফিরতে হলে ‘অনেক কিছু’ ঠিক হতে হবে। এবার তামিমের ফেরা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল ইসলাম পাপন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে জাতীয় দলে খেলবে তামিম।

গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, কথা ছিল তামিম প্রথমে বসবে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস ও বোর্ড পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজের সঙ্গে। এরপর আমার সঙ্গে বসবে। তাদের সঙ্গে তামিমের বসা হয়েছে। আমার সঙ্গে এখন বসবে।

বিসিবি সভাপতি বলেন, তামিমের কাছ থেকে শোনার আগে কিছু মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে আমি যেটা শুনেছি– সে বলেছে, আগামী বছর থেকে জাতীয় দলে খেলবে।

প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাইয়ে সিরিজ চলাকালে আকস্মিক অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তারই নির্দেশে পরদিনই অবসর ভেঙে দলে ফেরার কথা জানান তামিম। আড়াই মাস পর সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে প্রত্যাবর্তনও করেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই ওপেনার। এরপর আবার নানা নাটকীয়তা! পরে বোর্ড কর্তাদের বিরুদ্ধে ‘নোংরামি’র অভিযোগ তুলে ভারত বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তামিম।


তামিম ইকবাল   নাজমুল হাসান পাপন   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইতিহাস গড়ে রোনালদোকে টপকালেন মেসি

প্রকাশ: ০৫:৫৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বিশ্ব ফুটবলের দুই মহাতারকা। টানা দুই দশক ধরে মাতাচ্ছেন মাঠ, গড়ছেন একের পর এক রেকর্ড। শুধু তাই নয়, এই দুই মহাতারকার মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে প্রতিনিয়তই। কে কার থেকে সেরা, এমন প্রশ্নে বরাবরই বিতর্কে জড়ান ফুটবল প্রেমীরাও।

রোববার নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমএলএসের ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। ওই ম্যাচে জোড়া গোল করে পেনাল্টিহীন গোলের হিসেবে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। সেইসাথে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ৫ ম্যাচে একাধিক গোলে অবদান রাখলেন তিনি।

সাড়ে ৬৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে দর্শকরা থিতু হয়ে বসার আগেই গোল দিয়ে বসে স্বাগতিক নিউ ইংল্যান্ড। দর্শকরাও উত্তাল। ধারাভাষ্যকারের চিৎকার, স্বপ্নের মতো শুরু নিউ ইংল্যান্ডের। তবে প্রতিপক্ষ দলে যখন একজন লিওনেল মেসি থাকেন, দুঃস্বপ্নরা তো ভর করে সর্বক্ষণ! ঠিক তাই হয়েছে। এরপর থেকে ম্যাচটি ছিল শুধুই মেসি ঝলকের। জোড়া গোল করলেন এবং জোড়া গোল করান দুই সতীর্থকে দিয়ে। এর মাধ্যমে ইতিহাস গড়া এক কীর্তি গড়লেন ম্যাজিশিয়ান মেসি।

দুই গোল করে চলতি মৌসুমের গোল স্কোরারদের তালিকায় নিজেকে সবার ওপরে তুলে নেন মেসি। লিগে ৭ ম্যাচ খেলে তার গোল এখন ৯টি। এছাড়া ৭ ম্যাচে সবমিলিয়ে ১৬ গোলে অবদান রেখেছেন এলএম টেন। গোল-অ্যাসিস্টে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে এটি নতুন এক রেকর্ড।

রোনালদো ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক তিনিই। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও গোলের হিসাবে সবার ওপরে আছে তার নাম। তবে একটি পরিসংখ্যানে তিনি মেসির পেছনে। রোববার মেসি ক্যারিয়ারে পেনাল্টি ছাড়া নিজের ৭২২ এবং ৭২৩তম গোল করেছেন। বিপরীতে রোনালদোর পেনাল্টি ছাড়া গোলের সংখ্যা ৭২১টি।

ক্লাব এবং লিগের হিসেবে এই তালিকায় মেসি এগিয়ে আছেন আগে থেকেই। সব ক্লাব মিলিয়ে মেসি পেনাল্টি ছাড়া গোল দিয়েছেন ৬৪১টি আর রোনালদো করেছেন ৬১৩ গোল। লিগ হিসেবে মেসির পেনাল্টিহীন ৪৪৫ গোলের বিপরীতে রোনালদোর গোল ৪৩০টি।

জাতীয় দলের হয়ে বেশ অনেকটা এগিয়ে রোনালদো। পর্তুগালের জার্সিতে ২০৩ ম্যাচে ১২৭টি গোল করেছেন সিআর-সেভেন। এর মধ্যে পেনাল্টি ছাড়া ১০৮ গোল করেছেন রোনালদো। বিপরীতে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৭৮ ম্যাচে মেসির গোল ১০৬টি। মেসির পেনাল্টিহীন গোল ৮২টি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি   ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো   আল নাসর   পর্তুগাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রেকর্ডবুকে নতুন পৃষ্ঠা যোগ করলেন ধোনী

প্রকাশ: ০৫:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার অনন্য গুণের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় মহেন্দ্র সিং ধোনী। জাতীয় দল হোক কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি লীগ সব জায়গায় দেখিয়েছেনে মুন্সিয়ানা। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, বারবার তিনি তা মাঠে প্রমাণ করেছেন। তার নেতৃত্ব গুণেই চেন্নাই আইপিএল শিরোপা জিতেছে ৫ বার।  দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ থাকার কারণেই সবার কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ধোনি। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, তার চেয়ে মনে হয় আর কেউ ভালো বোঝেন না। চেন্নাইকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএলের শিরোপা জিতিয়েছেন মোট ৫ বার। আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও ধোনির দল চেন্নাই। রেকর্ডের বহু পাতা জুড়ে তার নাম রয়েছে স্বর্ণালী অক্ষরে। আর এই পাতায় নতুন এক পৃষ্ঠা যোগ হয়েছে। 

গতকাল নিজেদের ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ৭৮ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে উঠে এসেছে দলটি। আর এই জয়ে নিজের মুকুটে নতুন পালক যোগ করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক দলের হয়ে ১৫০ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড করেছেন ধোনি।

চলতি আসরে শেষ দিকে প্রতিপক্ষ দলের বোলাদের ত্রাস হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামেন ধোনি। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে রাখেন ফিনিশারের ভূমিকা। এই মৌসুমে ৯ ম্যাচে ৭ ইনিংস ব্যাট করে ২৫৯.৪৬ স্ট্রাইরেটে ৯৬ রান করেছেন ধোনি।

২০০৮ সাল থেকে আইপিএলের ইতিহাসে মোট ২৫৯ ম্যাচ খেলেছেন ধোনি। ২৪ হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে ১৩৭.১৩ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করে রান করেছেন ৫ হাজার ১৭৮।

চেন্নাইয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর এই দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। লখনৌ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে আগের ম্যাচে যেখানে ৩.৩ ওভার বল করে খরচ করেছিলেন ৫১ রান, সেখানে গতকাল ২.৫ ওভার বল করে মোস্তাফিজ দিয়েছেন মোটে ১৯ রান। শিকার করেছেন ২ উইকেট।

আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   ধোনী   রেকর্ড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন