ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোহলি ঝড়েই উড়ে গেল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:৫৬ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

আজ (১৯ অক্টোবর) ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের শুরুটা যেভাবে হয়েছিল তাতে হেলদি একটি স্কোরই কাম্য ছিল। কিন্তু, মিডল অর্ডারদের স্লো ব্যাটিং আর উইকেট বিলানোর মহড়তে তা আর হয়নি। বাংলাদেশকে থামতে হয়েছে ২৫৬ রানে। ভারত ২৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনও নাটক ছাড়া তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলেই ৪১.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৬১ রানে করে। ভিরাট ম্যাচ জেতানো ৯৭ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন।

 

বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণ ছিল দিশেহারা। সঠিক লাইনে বল করতে না পারায় লড়াইটা জমাতেই পারেনি টাইগাররা। বরং, বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ দেখলো মহারাষ্ট্রের দর্শকরা।

ভারতের শুরুটাও ছিল দূর্দান্ত। রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের জুটি ৮৮ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। রোহিত ৪০ বলে ৪৮ করে আউট হন। গিল ৫৫ বলে করেন ৫৩। শ্রেয়াস আয়ার ২৫ বলে ১৯ রানে আউট হন। কোহলি ও লোকেশ রাহুল দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।

বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদি হাসান মিরাজ ২টি ও হাসান মাহমুদ একটি উইকেট দখল করেন।

অসাধারণ ইনিংস খেলায় ম্যাচসেরা হন ভিরাট কোহলি।


এর আগে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ১০ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিমের সংগ্রহ ছিল ৬৩ রান। ৯৩ রানে তানজিদ তামিম আউট হয়ে গেলে ৪৪  রান স্কোর বোর্ডে যোগ করতে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

৯৩ রানে তানজিদ তামিম প্রথম আন্তর্জাতিক ফিফটি পাবার পর আউট হলে ২৭ রান তুলতে ৩ উইকেট হারাতে হয় বাংলাদেশকে। এসময় রান রেটের গড়ও কিছুটা নেমে গেছে।

১৪.৪ ওভারে ৫১ রান করে তামিম আউট হবার পর শান্ত জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন দলীয় ১১০ রানের মাথায় ৮ রান করে। ২৪.১ ওভারে সিরাজের বলে মেহেদি হাসান মিরাজ লোকেশ রাহুলের দূর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন ব্যক্তিগত ৩ রানে। দলীয় রান তখন ছিল ১২৯।

এরপর লিটন তার স্বভাবজাত খেলাটিই খেলেছেন। ৫০ রান পার হবার পর তিনি কোনও একটি দূর্বল শট খেলেই আউট হয়ে তার দায়িত্ব শেষ করেন। এবারও তাই করলেন। ৮২ বলে ৬৬ রান করে ২৭.৪ ওভারে দলীয় ১৩৭ রানে তিনি আউট হয়ে আসেন লং অফে ক্যাচ দিয়ে। শারিরীক ভাষাই বলে দিচ্ছে তাওহীদ হৃদয় আস্থা নিয়ে খেলছেন না। তার শট সিলেকশনেও সেই প্রভাব স্পষ্ট। ১৭৯ রানের মাথায় ৩৭.৩ ওভারে তিনিও হাল্কা শট খেলে আউট হয়ে ফেরেন ৩৫ বলে ১৬ রান করে।

এরপর পয়েন্টে মুশফিকের দূর্দান্ত একটি ম্যাচ নিয়ে তাকে ফেরান রবীন্দ্র জাদেজা। মুশফিক ৩৮ রান করে আউট হয়ে যান। দলীয় ২৩৩ রানের মাথায় নাসুম সিরাজের বাউন্স বলে লোকেশকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৪ রান করে।

সাতে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শেষ পর্যন্ত দলকে সম্মানজনক স্কোর করতে বড় অবদান রাখেন। তিনি ৪৯.২ ওভারে বুমরাহ চমৎকার এক ইয়র্কার বলে বোল্ড আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৪৬ রান করেন। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। শেষে এসে বোলার শরীফুল ৩ বলে ৭ রান যোগ করেন।

বাংলাদেশের রান তোলার গড় ছিল ৫.১২।

ভারতের পক্ষে জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও রববীন্দ্র জাদেজা ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। 


বাংলাদেশ   ভারত   জয়   কোহলি   বিশ্বকাপ ক্রিকেট   ঝড়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়াতে আজ দ্বিতীয় টি-২০তে নামছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০২:৫৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে নাজমুল শান্তর দল।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। বোলিংসহ তিন বিভাগেই দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। মূলত প্রথম ম্যাচে একক আধিপত্য দেখিয়ে ম্যাচ জিতেছে স্বাগতিক দল।

পেসার শরিফুল ৪ ওভার বোলিং করে ৩৭ রান দিয়েও ছিলেন উইকেটশুন্য। তবে অপর দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের নৈপুণ্যে ম্যাচে জয় পেতে টাইগারদের কোন সমস্যা হয়নি। তাসকিন-সাইফুদ্দিন উভয়েই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এছাড়া দুই স্পিনার মাহেদি হাসান ও রিশাদ হোসেন দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ে মাত্র ১২৪  রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে আন্তর্জাতিক টি-২০তে অভিষেক হওয়া তানজিদ হাসান তামিমের অপরাজিত ৬৭ রানে ১৫.২ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

ওপেনিংসহ মিডল অর্ডার ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও সফরকারীদের টেলএন্ডার দৃঢ়তা দেখিয়েছে। মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে ছয় উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে দলীয় ৪১ রানে ৭ উইকেটে পরিনত হয় জিম্বাবুয়ে।

অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন উইকেটরক্ষক ক্লাইভ মানদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ১৮তম ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ১শতে নিয়ে যান তারা। ১৯তম আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৪৩ রান করেন মানন্দান্দে।

অষ্টম উইকেটে ৬৫ বলে ৭৫ রান যোগ করেন মানদান্দে ও মাসাকাদজা। টি-২০ ভার্সনে বাংলাদেশের বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে জিম্বাবুয়ের এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। মূলত তাদের কল্যাণেই এর আগে টি-২০তে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন ৮০ রানের কোটা পার করে জিম্বাবুয়ে।

সংক্ষিপ্ত ভার্সনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১ ম্যাচে এটা ছিল বাংলাদেশের ১৪তম জয়।  বাকি সাত ম্যাচে পুর্ব আফ্রিকার দেশটির কাছে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। আগামীকালের ম্যাচ জিতে সিরিজে ফিরতে মরিয়া থাকবে জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মাহেদি, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসেন ইমন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

জিম্বাবুয়ের দল: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, ব্রায়ান বেনেট, রায়ান বার্ল, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জঙ্গি, ক্লাইভ মাদান্দে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, এন্সলি এন্দলোভু, রিচার্ড এনগারাভা ও সিন উইলিয়ামস।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপ ও বাংলাদেশ সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। যেখানে এবার আয়োজক দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্বকাপের পূর্বে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজও খেলবে তারা।

আর তাই আসন্ন বিশ্বকাপ ও বাংলাদেশ সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিউজিল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা কোরি অ্যান্ডারসনও আছেন যুক্তরাষ্ট্রের দলে।

বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে যুক্তরাষ্ট্র। যা দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও সারবে আসরের সহ-আয়োজকরা। ঘোষিত দলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে মোনাক প্যাটেলকে।

নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে পাড়ি জমানো কোরি অ্যান্ডারসন ভিন্ন জার্সিতে মাতাবেন এবারের বিশ্বকাপ। আগামী ২১ মে প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মাঠের লড়াই। বাকি দুই ম্যাচ ২৩ ও ২৫ মে। ১ জুন ডালাসে কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসির রেকর্ড তাণ্ডবের দিনে মায়ামির বড় জয়

প্রকাশ: ০১:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

লিওনেল মেসি। বয়স ৩৬ হলেও যত দিন গড়াচ্ছে ততই যেন তরুণ হয়ে মাঠে ধরা দিচ্ছেন এই ফুটবল জাদুকর। ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসেও ২০-২৫ বছর বয়সের যেকোন তরুণকে টপকে গড়ে চলেছেন একের পর এক রেকর্ড। তেমনই আজ এক রেকর্ডের স্বাক্ষী হয়েছে ফুটবল ভক্তরা।

ঘরের মাঠ ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে নিউইয়র্ক রেড বুলসের বিপক্ষে মেসির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মায়ামিকে এনে দিয়েছেন ৬-২ গোলের বিশাল জয়। রোববার (৫ মে) ভোর সাড়ে ৫টায় এমএলএসের ম্যাচে মায়ামির প্রতিশোধের এই জয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন লুইস সুয়ারেজ। অন্যদিকে, মেসি এক গোলের পাশাপাশি পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেছেন। মায়ামির অন্য দুটি গোল করেছেন প্যারাগুইয়ান মিডফিল্ডার মাতিয়াস রোহাস।

এদিন সবাইকে ছাড়িয়ে আলোচনায় বিশ্বজয়ী মেসি। মায়ামি যে ৬টি গোল পেয়েছে, সেখানে ১টি গোল সরাসরি মেসি করেছেন। আর বাকি ৫ গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। এ নিয়ে এমএলএসের ১৪ ম্যাচে ২৫টি অ্যাসিস্ট করলেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা। চলতি মৌসুমের ৮ ম্যাচে করেছেন ১০ গোল ও ১২ অ্যাসিস্ট।

গোল ও অ্যাসিস্টে এক মৌসুমেই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছে মেসি মায়ামির হয়ে রেকর্ড গড়েছেন। ম্যাচটিতে দ্বিতীয়ার্ধেই পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেন রোজারিও’র এই মহাতারকা। যা এক অর্ধে সর্বোচ্চ গোলে সহায়তা করার রেকর্ড। এমনকি লিগের ইতিহাসে প্রথম কোনো খেলোয়াড় হিসেবে মেসি ৬ গোলে অবদান রাখলেন।

অথচ ম্যাচের শুরুটা ছিল অন্য রকম। ৩০ মিনিটে দান্তে ভানজেইরের গোলে এগিয়ে যায় রেড বুলস। প্রথমার্ধে সে গোল শোধ দিতে ব্যর্থ মায়ামি। তাই মায়ামি সমর্থকদের মনে শঙ্কা জাগছিল হেরেই কি মাঠ ছাড়তে হবে। কিন্তু বিরতির পর ফিরে ম্যাচের চেহারা পাল্টে দেন মায়ামির খেলোয়াড়েরা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মাঠে নামেন প্যারাগুয়ের মিডফিল্ডার রোজাস। মাঠে নামার ৩ মিনিটের মধ্যেই দুর্দান্ত এক গোলে মায়ামিকে সমতায় ফেরান রোজাস। মেসির পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে নেয়া শটে গোলটি করেন তিনি।

২ মিনিট পর স্কোরশিটে নাম লেখান মেসি। সুয়ারেজের পাস থেকে মেসির করা গোলে লিড পায় মায়ামি। ২ মিনিটে মেসির পাস থেকে আবার গোল করেন রোজাস। এরপর ম্যাচটি যেন হয়ে পড়ে শুধুই মেসি-সুয়ারেজময়। পরবর্তী ১৩ মিনিটে মেসি-সুয়ারেজের বার্সেলোনার পুরোনো বোঝাপড়া চোখে পড়ে।

এর মধ্যে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সুয়ারেজ। তার প্রতিটি গোলই হয়েছে মেসির বাড়ানো পাসে। যথাক্রমে ৬৮, ৭৫ ও ৮১ মিনিটে গোল করে আমেরিকান ফুটবলে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড। আর তাতেই মায়ামির বড় জয়ও নিশ্চিত হয়ে যায়। যোগ করা সময়ে ফসবার্গ পেনাল্টিতে গোল করে রেডবুলসের হয়ে হারের ব্যবধান কমান।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে মেজর লিগ সকারের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে মায়ামি। দুই কনফারেন্স মিলিয়েই শীর্ষে আছেন মেসিরা। এই ম্যাচের গোলটি নিয়ে এবারের মেজর লিগ সকারে মেসির গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০টিতে।

হ্যাটট্রিক করে সুয়ারেজও গোলসংখ্যায় ছুঁয়ে ফেলেছেন মেসিকে। ১০টি করে গোল নিয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা যৌথভাবে তারা দুজনই। একদিক থেকে মেসি অবশ্য অনেক এগিয়ে। আর্জেন্টাইন তারকা যে সতীর্থদের করা ৯টি গোলে রেখেছেন অবদান।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি   লুইস সুয়ারেজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বার্সার হার ও নিজেদের জয়ে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্প্যানিশ লা লিগায় আলাদা আলাদা ম্যাচে একই রাতে মাঠে নামে দুই জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সোলোনা। প্রথম ম্যাচে কাদিজকে হারিয়ে মাত্র শিরোপা জয়ের জন্য মাত্র ১ পয়েন্টের আশায় ছিলো রিয়াল। পরের ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে জিরোনার কাছে ৪-২ গোলে হারে কাতালানরা। এতে এক মৌসুম পর আবার শিরোপা পুনরুদ্ধার করে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ৪ ম্যাচ হাতে রেখেই লা লিগার ৩৬তম শিরোপা ঘরে তুলে দলটি।

৩৪ ম্যাচে ২৭ জয় ও ৬ ড্রয়ে রিয়ালের পয়েন্ট ৮৭। জিরোনা সমান ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠেছে, গতবারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে তিনে।

আরও পড়ুন: ইতিহাদে আরো একবার ‘দ্য হলান্ড শো’

এর আগে সর্বশেষ ২০২১-২২ মৌসুমে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল লস ব্লাঙ্কোসরা। এক মৌসুম বিরতি দিয়ে তারা সেই শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে। এ জয়ে লা লিগায় নিজেদের সবচেয়ে শিরোপা জয়ের রেকর্ডও সমৃদ্ধ করল রিয়াল। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার শিরোপা ২৭টি। 

রিয়াল মাদ্রিদ : কাদিজ

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা ম্যাচের ঘণ্টা দুয়েক আগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কাদিজকে আতিথ্য দেয় রিয়াল। এই ম্যাচ দিয়ে চোট সেরে দীর্ঘদিন পর রিয়ালের একাদশে ফেরেন থিবো কোর্তোয়া।

রিয়াল বড় জয় পেলেও এ ম্যাচে গোলের দেখা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫১ মিনিট পর্যন্ত। লুকা মদ্রিচের বাড়ানো পাস থেকে অসাধারণ এক গোল করেন ব্রাহিম দিয়াজ।

এরপর ম্যাচের ৬৬ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন জ্যুড বেলিংহ্যাম। এর ঠিক মিনিট দুই পরে দিয়াজের বাড়ানো বল থেকে থেকে ট্যাপ ইনে বল জালে জড়ান এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। রিয়ালের শেষ গোলটি আসে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে। ভিনি আর নাচো হয়ে জোসেলু বল পান, এরপর রিয়ালকে ভাসান তৃতীয় গোল ও বড় জয়ের আনন্দে। 

বার্সেলোনা : জিরোনা

কাদিজকে হারিয়ে বার্সা জিরোনার ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। আর তাদের সেই অপেক্ষাকে দীর্ঘস্থায়ী হতে দেয়নি কাতালানরা। জিরোনার কাছে নিজেদের ঘরের মাঠে ৪-২ গোলে হেরে গেছে তারা। যদিও ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে যায় বার্সা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই লিড ধরে রাখতে পারেনি জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। এতে শিরোপার স্বপ্ন আগেই শেষ হয়ে যাওয়া দলটি এখন কেবল রানার্স-আপের জন্য লড়তে পারে।

আরও পড়ুন: প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড় ফোডেন ও খাদিজা

এদিন ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টিনসেনের গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। সেই উল্লাস এক মিনিটও স্থায়ী হয়নি। চতুর্থ মিনিটেই যে আর্তেম দোভবিকের গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। তবে বার্সা প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে ফের লিড নেয়। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে গোল করেন লেভান্ডডস্কি। পেনাল্টিতে সফল স্পট কিকে বার্সাকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন এই পোলিশ তারকা।

দ্বিতীয়ার্ধে নেমে শুরুতেই লন্ডভন্ড কাতালান শিবির। বদলি হিসেবে মাঠে নামার কয়েক সেকেন্ড পরেই জিরোনাকে ৬৫ মিনিটে সমতায় ফেরান পোর্তু। এই পর্তুগিজ উইঙ্গার এর পরের গোলেও অবদান রেখেছেন। তার বাড়ানো পাস পেয়ে জিরোনাকে ৩-২ গোলে এগিয়ে দেন স্প্যানিশ লেফটব্যাক মিগুয়েল গুতিয়েরেজ। বার্সার কফিনে শেষ পেরেক হিসেবে আসা চতুর্থ গোলটিও করেন পোর্তু। দারুণ এক ভলিতে ম্যাচটি ৪-২ ব্যবধানে পরিণত করেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এই জয়ে আগামী মৌসুমে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাও নিশ্চিত করেছে জিরোনা।


লা লিগা   বার্সা   রিয়াল   চ্যাম্পিয়ন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইতিহাদে আরো একবার ‘দ্য হলান্ড শো’

প্রকাশ: ১০:২৯ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পুরো নব্বই মিনিটেও হল্যান্ডকে খুঁজে পাওয়া যায় না, এমন আলোচনা ফুটবল প্রেমীদের মুখে শোনা যায় হরহামেশাই। কিন্তু নিজের দিনে যে তিনি কতটা ভয়ংকর তার প্রমাণ তিনি দিলেন আরেকবার। প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের ৩৫ ম্যাচে উলভসের বিপক্ষে একাই তিনি গোল করেছেন ৪ টি।

হলান্ডের এ গোলমেশিন হয়ে ওঠার দিনে ৫-১ গোলে সিটি হারিয়েছে উলভার হ্যম্পটনকে। দলের হয়ে হলান্ডের ৪ গোলের পাশাপাশি হুলিয়ান আলভারেজ করেন ১ গোল। সব মিলিয়ে সিটির জার্সিতে দুই মৌসুমে এটি ছিলো হলান্ডের ৯ম হ্যাট্রিক। আর চলতি মৌসুমে ৩য়।

সিটির এ জয়ে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার লড়াই জমে উঠেছে বেশ। ৩৫ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান দুইয়ে। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৩৬ ম্যাচে ৮৩।

ইতিহাদ স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে হলান্ডের করা প্রথম তিন গোলের দুটিই পেনাল্টি থেকে। ১২ মিনিটে ইয়োস্কো গাভারদিওল ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে দেন হলান্ড। ৩৫তম মিনিটে করা দ্বিতীয় গোলটি আসে হেড থেকে। রদ্রির ক্রস থেকে আসা বল দীর্ঘ উচ্চতা কাজে লাগিয়ে লাফিয়ে চমৎকার হেড নেন হলান্ড।

এরপর ম্যাচের ৪৫ তম মিনিটে ভিএআর চেকের মাধ্যমে পেনাল্টি পায় সিটি। যা দারুনভাবে কাজে লাগাই হলান্ড। এতে ম্যাচের স্কোরলাইন তখন দাড়াই ৩-০ তে।

হলান্ড তার চতুর্থ গোলটি করেন বিরতির পর, ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে। ফোডেন নিজেদের অর্ধ থেকে চমৎকার এক শটে উঁচু করে বল হলান্ডের দিকে বাড়ান। সেটি দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ান হলান্ড।

এরপর ম্যাচের ৮২ তম মিনিটে সিটি কোচ হলান্ডকে মাঠ থেকে তুলে নেন। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে সিটির স্কোরলাইন ৫-১ করে দেন হুলিয়ান আলভারেজ।

ম্যাচে উলভসের একমাত্র সান্ত্বনা হয়ে থাকে ৫৩ মিনিটে হি-চাং হোয়াংয়ের গোলটিই।


প্রিমিয়ার লিগ   হলান্ড   ম্যান সিটি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন