বাংলাদেশকে ভৌগোলিকভাবে ঘিরে রেখেছে ভারত। যেন ভূ-চাদরে ঢেকে ওম দেওয়া এক ভূমি। খুব সহজেই এদেশে-ওদেশ যাতায়াত করা যায়। দুই দেশের সংস্কৃতি, আচার আর আবহাওয়াতেও দারুণ মিল। রাজনৈতিক মিলও দারুণ। আর মিল আরেক জায়গায়। তা হলো দুই জাতিই ক্রিকেট পাগল। অথচ, ক্রিকেটের সূত্র ধরেই যেন বিমাতা আচরণ ভারতীয়দের। এটা কেন?
যদিও ভারতীয়রা কাকে সাপোর্ট করবে সেটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে অনেক দূরের দেশের সঙ্গে খেলা হলে স্বাভাবিকভাবেই আমরা প্রতিবেশী দেশকেই বেছে নেই সাপোর্টের জন্য। কিন্তু, খেলার মাঠে ভারতীয়রা যেন এন্টি বাংলাদেশ।
নিজের দেশের সঙ্গে খেলা হলে তারা তাদের দেশকেই সাপোর্ট করবে এটা খুবই প্রাকৃতিক ব্যাপার। কিন্তু, প্রতিবেশীর প্রতি মায়া-ভালোবাসা থাকাটাও নিশ্চয় সাংস্কৃতির অংশ।
২৪ অক্টোবর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়। সেই ম্যাচে পুরো গ্যালারি জুড়ে গুটি কয়েক বাংলাদেশি সমর্থক। তাদের চিৎকার সেভাবে শোনাই যাচ্ছিল না এত বড় মাঠে। দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকও গুটিকয়েক। অথচ, পুরো মাঠ জুড়ে আফ্রিকান সাপোর্টে ভরা। বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের কাছ থেকে এতটুকু সমর্থন পেল না। বরং, সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে আফ্রিকানদের সমর্থন করলেন সবাই। ডি কক, মাক্রামদের কৃত কর্মগুলোতে তারা করতালিতে গ্যালারি কাঁপাচ্ছিলেন।
ভারতের সঙ্গে পুনের ম্যাচেও বেশ কয়েকজন ভারতীয় দর্শক বাংলাদেশের ট্রেড মার্ক সমর্থক শোয়েব আলীকে হেনস্থা করে। তারা শোয়েবের হাতে থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতীক ডল বাঘটির টেনে হেঁচড়ে তুলো বের করে দেয়। তাকে অপদস্ত করে। বাজে কথা বলে। ক্রিকেট নিয়ে তারা বাংলাদেশকে সহ্যই করতে পারেন না।
ক্রিকেট সমর্থনে ভারতীয়রা কবে থেকে বাংলাদেশ বিপরীত? এই ধারা শুরু হয়েছে ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে। যদিও ২০০৭ বিশ্বকাপে শক্তিশালী ভারতকে হারানোর পর থেকেই এশিয়ার নব্য ক্রিকেট শক্তিকে তারা মন থেকে মেনে নিতে পারেনি। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দারুণ লড়াই করে ভারতের বিপক্ষে। এসময় একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হয় ওই ম্যাচে। তারপর দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে নানা উত্তপ্ত কথা চালাচালি হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই ধারা এখন এমন অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে যে এখন পাক-ভারত ম্যাচের চেয়ে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে উত্তেজনা বেশি হয়।
২৮ অক্টোবর কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশ মোকাবেলা করবে নেদারল্যান্ডসকে। এই মাঠে কতটা সমর্থন পাবে বাংলাদেশ জানা নেই।
তবে সমর্থন না করলেও মাঠে বাংলাদেশের লাল-সবুজ জার্সিধারীদের অপদস্ত করা দর্শক সুলভ আচরণ নয় নিশ্চয়।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মাঠ ভারতীয় দর্শক
মন্তব্য করুন
চলছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। বৈশ্বিক এই আসরে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরুর ম্যাচে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। যেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়িয়েছে সুপার ওভারে। আর সেই সুপার ওভারেই কপাল পুড়েছে বাবর-রিজওয়ানদের।
শুক্রবার (৬ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান। শুরুতে ব্যাট করে যুক্তরাষ্ট্রকে ১৬০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাবর আজমের দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ম্যাচ ড্র করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তারাও সংগ্রহ করেছে ১৫৯ রান। এতে করে ফলাফল নির্ধারণের জন্য ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্যাটিংয়ে নামেন অ্যারন জোনস এবং হারমিত সিং।
অভিজ্ঞ মোহাম্মদ আমিরের করা এই সুপার ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা নেয় এক উইকেটে ১৮ রান। জবাবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে শুরুতেই নামেন ইফতিখার আহমেদ ও ফখর জামান। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নেত্রভালকরের করা সুপার ওভারের প্রথম বল ডট হলেও পরের বলেই বাউন্ডারি হাঁকান ইফতিখার। এরপরের বল ওয়াইড দেয় নেত্রভালকর। তবে তারপরের বলে তুলে নেন ফখর জামানের উইকেট।
এরপর ক্রিজে আসেন হার্ড হিটিং অলরাউন্ডার শাদাব খান। এবার আবারও আরেকটি ওয়াইড দেন নেত্রভালকর। তারপরের বলটিতে বাউন্ডারি হাঁকান শাদাব খান। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২ বলে ৯ রান। এরপরের বলে দুই রান নেন শাদাব। শেষ বলে ৭ রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেখানে মাত্র এক রান সংগ্রহ করতে পারে পাকিস্তান। আর এতে করেই সুপার ওভারে ধরাশায়ী হয়েছে পাকিস্তান। আর এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র টি-২০ বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
চলছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। বৈশ্বিক এই আসরে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরুর ম্যাচে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। যেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়িয়েছে সুপার ওভারে।
শুক্রবার (৬ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান। শুরুতে ব্যাট করে যুক্তরাষ্ট্রকে ১৬০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাবর আজমের দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ম্যাচ ড্র করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তারাও সংগ্রহ করেছে ১৫৯ রান। এতে করে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ হবে সুপার ওভারে।
পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র টি-২০ বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
চলছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। যেখানে আজ মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। এদিন শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছিল পাকিস্তান। সেই বিপর্যয় সামাল দিয়ে লড়াকু সংগ্রহ করেছে বাবর আজমের পাকিস্তান। বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের সামনে ১৬০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে পাকিস্তান।
এর আগে, ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাবর আজমের পাকিস্তান। পাওয়ার প্লে’তে তিন উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩০ রান তুলতে পারে এশিয়ার দেশটি। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ওপেনার রিজওয়ান। তবে তার ইনিংস বেশিদূর এগোয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের বোলার নেত্রভলকার বলে টেইলরের দুর্দান্ত ক্যাচ সাজঘরের পথ ধরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ফেরার আগে করেন মাত্র ৯ রান।
রিজওয়ানের বিদায়ের পর উসমান খান-ফখর জামানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ক্রিজে। উসমান তিন বলে মাত্র ৩ রানে ফিরে যান। ফখর জামান ফেরেন ৭ বলে ১১ করে। এতে ২৬ রানেই তিন উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর অধিনায়ক বাবর ও শাদাব খানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। এই জুটি ৪৮ বলে তোলে ৭২ রান। শাদাব খানের পর ক্রিজে এসে দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি উসমান খান। তিনি প্রথম বলেই কেনজিগের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন। ফলে দুই বলে দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান।
একপ্রান্ত আগলে ধরে রাখা বাবর আজমও এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৪৩ বলে ৪৪ রান করে বাবর বিদায় নিলে ১২৫ রানেই ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। শেষদিকে ঝড় তুলতে পারেননি ইফতিখার আহমেদও। তিনি ১৮ রান করে যখন ফেরেন তখন পাকিস্তানের স্কোর ৭ উইকেটে ১৩৯। শেষদিকে পেসার শাহীন আফ্রিদির ১৬ বলে ২৩ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৫৯ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কেনজিগ চার ওভারে ৩০ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট, নেত্রভলকার ১৮ রানের বিনিময়ে শিকার করেন দুই উইকেট। আলী খান ও জসদ্বীপ সিং শিকার করেছেন একটি করে উইকেট।
পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র টি-২০ বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ সি’র ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনিকে ৩ উইকেটে হারিয়ে উগান্ডা। বিশ্বকাপে উগান্ডার প্রথম জয় এটি।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) গায়ানার প্রভিডেন্স স্টোডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় পাপুয়া নিউ গিনি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০ বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে উগান্ডা।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে
শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে পাপুয়া নিউ গিনি। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারালে
নির্ধারিত ২০ ওভারের আগেই ৭৭ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। উগান্ডার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন আলপেশ রামজানি, কসমাস কিয়েউতা, জুমা মিয়াগি ও ফ্রাঙ্ক সুবুগা। ১টি উইকেট পান ব্রায়ান মাসাবা।
এরপর নিজেদের শুরুটাও স্বস্তির করতে পারেনি উগান্ডা। দলীয় ৬ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। তবে অল্প রানের টার্গেটে টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও রিয়াজত আলী শাহ এগিয়েছে দেখেশুনে। ৫৬ বলে ৩৩ রান আসে এই ব্যাটারের উইলো থেকে। বাকিদের মধ্যে জুমা মিয়াগি করেন ১৩ রান। শেষ পর্যন্ত ১০ বল হাতে রেখে জয় মাঠ ছাড়ে উগান্ডা।
উল্লেখ্য, ২ ম্যাচে ১ জয় নিয়ে গ্রুপ টেবিলের তিন নম্বরে উগান্ডা। সমান সংখ্যক ম্যাচে কোনও পয়েন্ট না পেয়ে টেবিলের চারে অবস্থান করছে পাপুয়া নিউ গিনি।
টি-২০ বিশ্বকাপ উগান্ডা জয় পাপুয়া নিউগিনি
মন্তব্য করুন
পাকিস্তান আজ থেকে তাদের টি-২০ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এটি হবে প্রথমবারের মত পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের টি-২০ ফরম্যাটে মুখোমুখি হওয়া। ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র দুর্দান্ত একটি জয় দিয়ে তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তারা শক্তিশালী পাকিস্তানকে চমকে দেওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামবে।
আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ সি’র ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনিকে ৩ উইকেটে হারিয়ে উগান্ডা। বিশ্বকাপে উগান্ডার প্রথম জয় এটি। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) গায়ানার প্রভিডেন্স স্টোডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় পাপুয়া নিউ গিনি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০ বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে উগান্ডা।