ভাবতেই পারেন পাওয়ার প্লেতে শুধু বাংলাদেশই খারাপ করে না। অন্য দেশও পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ করে। অন্তত, জঘন্য রেকর্ড বাংলাদেশের এখও নেই। এইতো শ্রীলঙ্কা চলতি বিশ্বকাপেই ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই রেকর্ড গড়ে ফেললো।
বাংলাদেশ এমন রেকর্ড গড়েনি। তবে পাওয়ার প্লে’র যে প্রত্যাশা তা তারা পূরণ করতে পারেনি। প্রতি ম্যাচেই ধুকছে। আর শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলের হারে বড় অবদান রাখছে টাইগার ব্যাটাররা।
একদিনের এক খারাপ সময় কখনো উদাহরণ হতে পারে না। শ্রীলঙ্কা দূর্ঘটনাবশত এমন রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। কিন্তু, তাদের অনেক ভালো ইতিহাস আছে।
লাল-সবুজের সমর্থকরা অন্তত একটি লড়াই আশা করে শক্তিশালী দলগুলোর সঙ্গে। লড়াই করে হারলে তাদের এত ক্ষোভ হতো না। কিন্তু, তারা যেন লড়াই করে নিজেদেরে সাথে। কে কত দ্রুত লড়াই করে ড্রেসিং রুমে ফিরবেন এই লড়াই।
শুরুর পাওয়ার প্লে তো ম্যাচ শুরুর ভিত এনে দেয়। কিন্তু, এই নামের পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ মূলত পাওয়ারলেস। তারা পাওয়ারলেস ক্রিকেট খেলে দলকে পিছনের দিকেই হটাচ্ছে। পাওয়ার প্লেতে টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যাটিং হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ।
বিশ্বকাপের ৩১তম ম্যাচে ইডেনে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে আবার শুরুতে বিপর্যয়। শুরুর ১০ ওভারেই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। ৩৭ রান তুলতেই হারিয়েছে ৩ উইকেট। প্রথম ওভারে তানজিদ হাসান তামিমকে এলবিডব্লিউ করানোর পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদি নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট পান।
এরপর হারিস রউফ নিজের প্রথম ওভারে ১৩ রান দিয়েও তুলে নেন মুশফিকুর রহিমের উইকেট। সেখান থেকে লিটন ও মাহমুদউল্লাহ দলের হাল ধরেন। শুরুর ১০ ওভারে আর কোনো বিপর্যয় হয়নি।
পরিসংখ্যান বলছে, এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পাওয়ার প্লে’তে সবচেয়ে বাজে সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। সাত ম্যাচে পাওয়ার প্লে’তে ১৬ উইকেট হারিয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ৩ উইকেট কম হারিয়ে এই তালিকায় পরের স্থানে ইংল্যান্ড। এরপর ১১ উইকেট হারিয়ে তিনে আছে নেদারল্যান্ডস। দুই অঙ্কের ঘরে নেই আর কোনো দল।
বিশ্বকাপে নয়বার দলগুলো তিনটি বা তার বেশি উইকেট প্রথম দশ ওভারে হারিয়েছে। তিনবার করে বাংলাদেশই আছে শীর্ষে। এছাড়া ইংল্যান্ড দুইবার। অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ভারত ও নেদারল্যান্ডস আছে একবার করে।
লম্বা সময় ধরেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের বার্তা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। এজন্য শুরুতে বৃত্তের সুবিধা কাজে লাগানোর কথা বলে আসছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু বিশ্বকাপে রান তোলাতেও পিছিয়ে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে’ তে ৭ ইনিংসে বাংলাদেশ তুলেছে কেবল ৩২১ রান। রান রেট ৪.৫৮। যা দ্বিতীয় ধীরতম। বাংলাদেশের চেয়ে কেবল পিছিয়ে আছে নেদারল্যান্ডস। যারা ২৫৭ রান করেছে ৪.২৮ রান রেটে।
এছাড়া বাকি আটটি দলই পাওয়ার প্লে’তে রান তুলেছে ৫ এর উপরে। যেখানে ভারতের রান রেট ৬.০১। অস্ট্রেলিয়ার ৭.০৫। স্ট্রাইকরেটেও নেদারল্যান্ডসের পর বাংলাদেশের অবস্থান। ডাচদের স্ট্রাইক রেট ৬৫.৮৩। বাংলাদেশের ৭১.৭৩।
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সৌম্যের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায় বিনা উইকেটে শতকের ঘরেও পৌঁছেছিল টাইগাররা। আর তাই ভক্ত-সমর্থকরা ভেবেছিল বড় স্কোর করতে যাচ্ছে টিম টাইগার্স। কিন্তু অতি শীঘ্রই সেই ভাবনা ধুলোই মিশিয়ে দিয়েছে তারা। ৪২ রানের মধ্যে ১০ উইকেট খুঁইয়ে অবশেষে ১৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে নাজমুল শান্তর দল।
শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় মিরপুর শের-ই-বাংলায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। যেখানে অফফর্মে থাকা লিটন দাসকে বাদ দিয়ে দলে ফেরা সৌম্যের সাথে ওপেনিংয়ে নেমে এদিন ভালো শুরু করেন তানজিদ তামিম। সাত চার এবং ১ ছক্কার সহায়তায় ৩৪ বলেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলে নেন এই তরুণ ওপেনার। অন্যদিকে একটা লম্বা সময় পর দলে ফিরে ভালো করেন সৌম্যও। তাদের জুটিতে দলীয় শতকে পৌঁছায় টাইগাররা।
তবে শতকের ঘরে পৌঁছানোর পরই শুরু হয় পতন। একের পর এক উকেট যেন নিজ হাতে বিলিয়ে দিয়েছেন টাইগার ব্যাটাররা। আর এতে করে ১৪৩ রানের স্বল্প পুঁজিতে অল আউট হয় বাংলাদেশ।
এদিন বিপর্যয়ের শুরুটা হয় তানজিদ তামিমকে দিয়েই। ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর তিনি লুক জঙওয়ের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন। যদিও নিজের কাজটা ঠিকই করে গিয়েছিলেন তিনি। ৫২ রানে ফেরেন এই ওপেনার। একই বোলারকে উইকেট দিয়েছেন সৌম্যও কিছুটা ধীরগতির ইনিংসে ৩৪ বলে ৪১ করে হয়েছেন এলবিডব্লু।
চলতি সিরিজে দারুণ ছন্দে থাকা হৃদয়ও এদিন ব্যর্থ। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে বেনেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মিডল অর্ডারের এই ভরসা। ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে এসে ব্যর্থ সাকিবও। ব্যাটে-প্যাডে বিশাল গ্যাপ দিয়ে বল ঢুকতে সমস্যাই হয়নি। বেনেটের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ১ রান করেই।
একই ওভারের শেষ বলে ফিরেছেন অধিনায়ক শান্ত। দম ফেলার আগেই ফিরেছেন সাকিব আল হাসান (১), অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (২) ও জাকের আলি (৬)। আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে মিরপুরের গ্যালারিতে তখন ভুয়া ভুয়া স্লোগান।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। এদিন অফফর্মে থাকা লিটন দাসকে বাদ দিয়ে দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। আর সৌম্যের সাথে এদিন ওপেনিংয়ে নেমে এদিন ভালো শুরু করেন তানজিদ তামিম।
শুক্রবার (১০ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তানজিদ তামিম শুরু থেকেই আছেন উড়ন্ত ছন্দে। সাত চার এবং ১ ছক্কার সহায়তায় ৩৪ বলেই তুলেন নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি।
এদিন দ্বিতীয় ওভারেই ব্লেসিং মুজারাবানির ওভার দিয়ে শুরু। সেই ওভারে পেয়েছেন একটি চারের দেখা। পরের দুই ওভারে ছিল আরও দুইটি করে চারের দেখা। মুজারাবানির পরের ওভারেও জুনিয়র তামিম দেখালেন নিজের ব্যাটিং কারিশমা। জোড়া চার ছিল সেই ওভারেও। এমনকি পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারেও ছিল দুই চার। যদিও সেবার একটা চার আছে লেগবাই থেকে।
পাওয়ারপ্লেতে তামিমের এমন তাণ্ডব দেখেই কিনা ঝড় শুরু করেছেন সৌম্য সরকারও। সপ্তম আর অষ্টম ওভারে বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম দুই ছক্কাও এসেছে সৌম্যর ব্যাট থেকে। আর ইনিংসের নবম ওভারে এসে ফিফটির দেখা পান তানজিদ তামিম।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১ ওভারে বিনা উইকেটে ১০০ রান।
তানজিদ তামিম সৌম্য সরকার বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই তিন ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে এবং সবকটিতেই জিতে দুই ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। যার জন্য বাকি দুই ম্যাচ অনেকটাই নিয়ম রক্ষার।
তবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে টাইগার স্কোয়াডে, তাই একেবারে গুরুত্বহীনও নয় এই ম্যাচগুলো। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার (১০ মে) চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মিরপুর শের-ই-বাংলায় রোডেশিয়ানদের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। যেখানে টস হেরে আগে ব্যাটিং করবে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল।
এই ম্যাচের একাদশে টাইগাররা তিনটি পরিবর্তন এনেছে। স্কোয়াডে নতুন করে যুক্ত হওয়া সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার এই ম্যাচের একাদশে ফিরেছেন।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্লাইভ মাদান্দে, রায়ান বার্ল, লুক জঙ্গুই, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ফারাজ আকরাম, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাবা।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর অবসর ভেঙে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন মোহাম্মদ আমির। ঘরের মাঠে প্রত্যাবর্তনটা মন্দ হয়নি তার। তবে মাঠের বাইরের ইস্যুতে সমস্যায় পড়েছিলেন তারকা এই পেসার।
টি-২০ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। দলে আছেন আমিরও। তবে ভিসা জটিলতায় দলের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের বিমানে চড়া হয়নি তার। তাতে সিরিজটি খেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে সে সমস্যার সমাধান হয়েছে।
দল চলে যাওয়ার দুই দিন পর আয়ারল্যান্ডের ভিসা পেয়েছেন আমির। পাকিস্তান দলের অন্যদের সঙ্গে গত মাসেই আয়ারল্যান্ডের ভিসা পেতে আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফসহ দলের সবার ভিসা হলেও আমির পাননি।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার (৭ মে) আমিরকে দেশে রেখে আয়ারল্যান্ডে রওনা দেয় পাকিস্তান দল। ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) আয়ারল্যান্ডের ভিসা পেয়েছেন আমির। তার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
পরে আইরিশ দূতাবাসে ভিসার জন্য আবারও কাগজপত্র জমা দেন আমির। আসন্ন সিরিজের আগে ভিসা নিয়ে ঝামেলায় পড়েছিলেন ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ ইউসুফও। তবে শেষ পর্যন্ত ভিসা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় দলের সঙ্গেই আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশে উড়াল দিতে পেরেছেন তিনি।
মোহাম্মদ আমির পাকিস্তান নিউজিল্যান্ড আয়ারল্যান্ড
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সৌম্যের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায় বিনা উইকেটে শতকের ঘরেও পৌঁছেছিল টাইগাররা। আর তাই ভক্ত-সমর্থকরা ভেবেছিল বড় স্কোর করতে যাচ্ছে টিম টাইগার্স। কিন্তু অতি শীঘ্রই সেই ভাবনা ধুলোই মিশিয়ে দিয়েছে তারা। ৪২ রানের মধ্যে ১০ উইকেট খুঁইয়ে অবশেষে ১৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে নাজমুল শান্তর দল।