এমন জয় ক্রিকেট বিশ্ব কবে দেখেছিল ঠাওর করে বলা মুশকিল। স্বয়ং ক্রিকেট ঈশ্বর
ভর না করলে পেশির টান নিয়েও শুধু এক প্রান্ত আগলে রেখে চার-ছয়ের বন্যায় ২৯১ রান টপকে
জেতাতে পারে দলকে! ৯১ রানে সপ্তম উইকেট পড়ে গেলে সেখান থেকে একা ম্যাক্সওয়েল দলকে টেনে
নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিলেন। ম্যাক্সওয়েল ২১টি চার ও ১০টি ছয়ের সাহায্যে ১২৮ বলে
করেন অপরাজিত ২০১ রান। এটি ওয়ানডে বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান। ৩ উইকেটের জয় তুলে
নিল অজিরা।
আফগানদের ব্যাটিং কনফিডেন্স দেখেই অনেকটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল আজকের ম্যাচে
অজিদের না হারালেও একটা ভালো লড়াই হবে। কিন্তু ম্যাক্সওয়েলে ভর করে অজিরা যে লড়াইটা
দেখালো তা ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল।
শেষ পর্যন্ত আফগানদের হার মানতেই হলো।
ওয়ানডে বিশ্বকাপেতো নয়ই এর আগেও একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কখনো
জয় পায়নি আফগানিস্তান।
ওয়ানডেতে মোট তিনবার মোকাবেলা হয়েছে দুই দলের। তিনবারই জয়ের মুখ দেখেছে
অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপেও সমান সমান তিনবার দেখা হলো।
অজিদের ২টি করে উইকেটের পতন ঘটিয়েছে নাভিন উল হক, আজমতউল্লাত ওমরজাই ও রশিদ
খান।
অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের শুরুতেই নাবিন উল হকের বলে ট্রাভেস হেডকে (২ বলে ০
রান) ৪ রানের মাথায় হারিয়ে চাপে পড়ার ইঙ্গিত দেয়। এরপর ৪৩ রানের মাথা মিচেল মার্শকে
(১১ বলে ২৪ রান) লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলে সেই নাভিন উল হক। দলীয় ৪৯ রানে ডেভিড ওয়ার্নার
(২৯ বলে ১৮ রান) আজমত উল্লাহ ওমরজাইয়ের শিকার হন। এই ৪৯ রানেই ওমরজাইয়ের শিকার হন জশ
ইংলিশ (১ বলে ০ রান)। প্রায় হ্যাট্রিক হতে হতে আর হলো না। ম্যাক্সওয়েল কোনওরকমে বলটি
আটকে দিয়েছেন। দলীয় ৬৯ রানে মার্নুশ লাবুশানে (২৮ বলে ১৪ রান) আউট হয়ে গেলে পরিস্কার
হয়ে যায় এই ম্যাচে ফেরা মুশকিল হয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়ার।
এরপর ৮৭ রানে স্টেইনিশ (৭ বলে ৬ রান) রশিদ খানের বলে লেগ বিফর হয়ে গেলে
স্কোর বোর্ডে অজিদের বড্ড অসহায় লাগছিল। ৯১ রানে মিচেল স্টার্ক (৭ বলে ৩ রান) রশিদ
খানের শিকার হলে মনে হচ্ছিল একশোর আগেই বোধহয় অজিরা শেষ হয়ে যাবে।
সপ্তম উইকেটে ম্যাক্সওয়েল প্যাট কামিন্সকে নিয়ে অজিদের ইনিংসে বড় জুটিটা
গড়ে তোলেন। দলীয় ৯১ রানে আউট হওয়ার আগে এই জুটিতে রান আসে ২০২ রান। কামিন্স অপরাজিত
থাকেন ৬৮ বলে ১২ রান করে।
এর আগে, অজি বোলারদের যেন পাত্তাই দেয়নি রশিদ-জাদরানরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে
৫ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করে অজিদের ২৯৩ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিল।
ইব্রাহিম জাদরানের ১২৯ রানের হার না মানা ইনিংসের সঙ্গে ফিনিশারের ভূমিকায়
রশিদ খানের ঝড়ো ইনিংসে (১৮ বলে ৩৫ রান) লড়াই করার দারুণ পুঁজি পায় আফগানরা। অজিদের
হয়ে ৩৯ রানে ২ উইকেট শিকার করেছেন জশ হ্যাজেলউড।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া
আফগানিস্তান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় সংগ্রহ পেল। অজিদের বিপক্ষে ফেভারিটদের মতোই ব্যাট
করেছে আফগানিস্তান।
এদিন আফগানদের ভালো শুরু এনে দেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরানের
ওপেনিং জুটি। ৩৮ রান যোগ করার পর অষ্টম ওভারে জশ হ্যাজেলউডের বলে স্টার্কের হাতে ধরা
পড়েন গুরবাজ। ফলে ২১ রান করেই তাকে সাজঘরে ফিরতে হয় এই ওপেনারকে।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জাদরান ও রহমত মিলে ৮৩ রান যোগ করেন। ৪৪ বলে ১ চারে
৩০ রান করে ম্যাক্সওয়েলের বলে ফেরেন রহমত। রহমত লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে জস হ্যাজেলউডের
হাতে ধরা পড়েছেন ৪৪ বলে ৩০ রান করে।
চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক শাহীদিকে নিয়ে আবারও ৫২ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম।
অবশ্য মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে শেষ হয় শহীদির ২৬ রানের ইনিংস। উইকেটে এসে আক্রমণাত্মক
খেলতে থাকা আজমতউল্লাহ ওমরজাই আউট হন জাম্পার বলে অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে। তার ব্যাট
থেকে আসে ২২ রান।
এরপর মোহাম্মদ নবি ১২ রান করে ফিরলেও রশিদকে নিয়ে ইনিংস শেষ করে আসেন ইব্রাহিম।
এই আফগান ওপেনার তার ইনিংস জুড়ে ৩টি ছক্কা ও ৮টি চারের মার মেরেছেন। রশিদ খেলেন এক
ঝড়ো ইনিংস। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৮ বলে ৩৫ রান করে। ইনিংস জুড়ে ৩টি ছক্কার পাশাপাশি
রশিদ মেরেছেন ২টি চার।
জয় ম্যাক্সওয়েল অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩
মন্তব্য করুন
আর কিছুদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টে এবার অংশ নিচ্ছে ২০টি দল। যার মধ্যে ১৭টি দল ইতোমধ্যেই নিজেদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। তবে যে তিনটি দেশ এখনও স্কোয়াড প্রকাশ করেনি তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ।
অবশ্য নিয়ম মেনে আগেই আইসিসির কাছে স্কোয়াড জমা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে স্কোয়াডে পরিবর্তনের সুযোগ থাকায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করেনি দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। জানা গেছে, আজই হতে পারে বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা।
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু শনিবার (১১ মে) দেশের একটি গণমাধ্যমকে এই বিষয়ে জানিয়েছেন, রোববারই (১২ মে) বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করতে যাচ্ছে বিসিবি। তবে তিনি খুব ছোট একটা ‘যদি’ রেখেছেন।
লিপু বলেন, ‘সবকিছু চূড়ান্ত, এখন ক্রিকেট অপরারেশন্সের সবুজ সংকেত পেলেই আমরা দল দেব। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি। কাল (আজ) ম্যাচ শেষে বিকেলের দিকে হয়তো ঘোষণা করব, যদি আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়।’
এদিকে বিসিবির সহকারী নির্বাচক হান্নান সরকারও দল ঘোষণা নিয়ে একই কথা জানিয়েছেন। দল ঘোষণা নিয়ে তার বক্তব্য, ‘আমরা প্রস্তুত আছি দল ঘোষণা করার জন্য। বাকিটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। যেহেতু কাল (আজ) ম্যাচ আছে, বোর্ড যখন বলবে তখন দল দেব। সেটা কাল হোক আর পরশু হোক।’
নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বিসিবি
মন্তব্য করুন
ক্লাব ফুটবলে বর্তমানে বেশ
আলোচিত সৌদি প্রো লীগ। বিশেষ করে ২০২৩ সালে রোনালদোর আল নাসেরে যোগদানের পরেই আলোচনায়
আসে এ লীগটি। বর্তমানে ইউরোপীয় ক্লাবগুলো থেকে তাবড় তাবড় খেলোয়াড় পাড়ি জমাচ্ছেন মরুর
দেশের এই লীগে। আর এই লীগে রোনালদোর আল-নাসেরকে পিছনে ফেলে ২০২৩-২৪ মৌসুমে শিরোপা জিতে
নিয়েছে আল-হিলাল।
পুরো আসরজুড়ে দুর্দান্ত ছন্দে
রয়েছে আল-হিলাল। ৩১ ম্যাচ খেলে ৮৯ পয়েন্ট তাদের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আল নাসর তাদের
থেকে পিছিয়ে ১২ পয়েন্টে।
শনিবার (১১ মে) সৌদি প্রো লিগের খেলায় পয়েন্ট
টেবিলের তলানিতে থাকা আল হাজামকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আল হিলাল।
এতে ৩ ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপার দেখা পায় দলটি। এটি আল-হিলালের ১৯ তম লীগ শিরোপা। এছাড়াও
সব মিলিয়ে ক্লাবটির কেবিনেটের ৬৮ তম শিরোপা এটি।
এই ম্যাচ জুড়েই ছিলো আল-হিলালের
আধিপত্য। পুরো ম্যাচে প্রায় ৭২ শতাংশ বল দখলে ছিল দলটির। ম্যাচে হিলালের হয়ে জোড়া গোল
করেন সার্বিয়ান স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ।
আরেক সার্বিয়ান তারকা সার্জ মিলানকোভিচ-সাভিচ একটি গোল করেন। বাকি গোলটি আহমেদ আল-জুয়াইদের আত্মঘাতী।
আগামী ৩১ মে কিংস কাপের ফাইনালে আল-নাসেরের মুখোমুখি হবে আল-হিলাল। সেদিন রোনালদোকে আরেকবার হতাশ করার অপেক্ষায় রয়েছে দলটি।
আল-হিলাল আল-নাসের সৌদি প্রো লীগ রোনালদো
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম ৪ ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই এগিয়ে ছিল টাইগাররা। তবে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে সফরকারীরা। একইসঙ্গে টাইগারদের কাছ থেকে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা থেকেও বেঁচেছে আফ্রিকার দেশটি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে। হাতে ছিল আরো ৯ বল।
জিম্বাবুয়ের হয়ে রান তাড়া করতে নেমে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন ব্রায়ান বেনেট ও তাদিওয়ানশে মারুমানি। বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে দুজনে যোগ করেন ৩৮ রান। যেখানে মাত্র ১ রানে আউট হন মারুমানি।
দ্বিতীয় উইকেটে সিকান্দার রাজাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন বেনেট। ৩৬ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক পূরণ করেন বেনেট। ৭০ রানে তিনি ফিরলে ভাঙে রাজার সঙ্গে তার ৭৫ রানের জুটি।
জিম্বাবুয়েকে বাকি পথ এগিয়ে নেন রাজা ও জনাথন ক্যাম্পবেল। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন রাজা। তিনি ৭২ ও ক্যাম্পবেল ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে আজ টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। বল হাতে শুরুটা আশাব্যঞ্জক ছিল তার দলের। প্রথম ১৫ রানের মাঝেই ৩ উইকেট শিকার করে সফরকারীরা।
আগের ম্যাচে শতোর্ধ্ব রানের জুটি উপহার দিলেও আজ দুই অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তামিম ২ ও সৌম্য ৭ রান করেন। তাওহীদ হৃদয়ও ১ রানে আউট হলে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।
শুরুতেই তিন উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের ৬৯ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। তবে ৩৬ রানে শান্ত ফেরার পর আবার ধাক্কা খায় টাইগাররা।
সাজঘরে ফেরার আগে ২১ রান করেন সাকিব। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে রেখে অনবদ্য হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩৬ বলে মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। ৫৪ রানে তিনি আউট হন।
শেষদিকে জাকের আলির অপরাজিত ২৩ রানের ক্যামিওতে বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি নিশ্চিত হয়। জিম্বাবুয়ের হয়ে মুজারাবানি ও বেনেট দুটি এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও লুক জঙ্গে একটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম চার ম্যাচে ইতোমধ্যেই জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। সিরিজের শেষ টি-২০তে আজ মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। যেখানে আগে ব্যাট করে ১৫৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। আর হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে টাইগারদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছে সফরকারীরা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ ওভারে এক উইকেটে ৩৯ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের হয়ে রান তাড়া করতে নেমে দলকে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছেন ব্রায়ান বেনেট ও তাদিওয়ানশে মারুমানি। যেখানে ব্যাট হাতে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেনেট। তিনি একাই করেছেন ৩৬ রান। মারুমানির ব্যাট থেকে ১ রান এসেছে।
শুরু থেকেই ভালোভাবেই এগোচ্ছিল সফরকারীরা। তবে পঞ্চম ওভারের শুরুতেই এই জুটিতে আঘাত হানেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মারুমানিকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে ফেরান তিনি। বর্তমানে ক্রিজে রয়েছেন ব্রায়ান বেনেট ও সিকান্দার রাজা।
এর আগে আজ টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। বল হাতে শুরুটা আশাব্যঞ্জক ছিল তার দলের। প্রথম ১৫ রানের মাঝেই ৩ উইকেট শিকার করে সফরকারীরা।
আগের ম্যাচে শতোর্ধ্ব রানের জুটি উপহার দিলেও আজ দুই অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তামিম ২ ও সৌম্য ৭ রান করেন। তাওহীদ হৃদয়ও ১ রানে আউট হলে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।
শুরুতেই তিন উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের ৬৯ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। তবে ৩৬ রানে শান্ত ফেরার পর আবার ধাক্কা খায় টাইগাররা।
সাজঘরে ফেরার আগে ২১ রান করেন সাকিব। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে রেখে অনবদ্য হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩৬ বলে মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। ৫৪ রানে তিনি আউট হন।
শেষদিকে জাকের আলির অপরাজিত ২৩ রানের ক্যামিওতে বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি নিশ্চিত হয়। জিম্বাবুয়ের হয়ে মুজারাবানি ও বেনেট দুটি এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও লুক জঙ্গে একটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-২০তে আজ জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে টাইগাররা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
রোববার টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। বল হাতে শুরুটা আশাব্যঞ্জক ছিল তার দলের। প্রথম ১৫ রানের মাঝেই ৩ উইকেট শিকার করে সফরকারীরা।
আগের ম্যাচে শতোর্ধ্ব রানের জুটি উপহার দিলেও আজ দুই অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তামিম ২ ও সৌম্য ৭ রান করেন। তাওহীদ হৃদয়ও ১ রানে আউট হলে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।
শুরুতেই তিন উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের ৬৯ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। তবে ৩৬ রানে শান্ত ফেরার পর আবার ধাক্কা খায় টাইগাররা।
সাজঘরে ফেরার আগে ২১ রান করেন সাকিব। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে রেখে অনবদ্য হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩৬ বলে মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। ৫৪ রানে তিনি আউট হন।
শেষদিকে জাকের আলির অপরাজিত ২৩ রানের ক্যামিওতে বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি নিশ্চিত হয়। জিম্বাবুয়ের হয়ে মুজারাবানি ও বেনেট দুটি এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও লুক জঙ্গে একটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম চার ম্যাচে ইতোমধ্যেই জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। সিরিজের শেষ টি-২০তে আজ মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। যেখানে আগে ব্যাট করে ১৫৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। আর হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে টাইগারদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছে সফরকারীরা।