পুরো বিশ্বকাপ আসর দক্ষিণ আফ্রিকা যেভাবে খেলে এসেছিল সেমিফাইনালের মতো
মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসে তা পাওয়া গেল না প্রোটিয়াদের কাছ থেকে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে
রীতিমতো হতাশ করেছেন ডি কক, ভ্যান ডার ডুসন, মার্কামরা। অজিদের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের
বিপরীতে শেষ পর্যন্ত রান ঠেকেছে ৪৯.৪ ওভারে সবগুলো উইকেটে হারিয়ে ২১২-তে। দলের ভরসা
হয়ে ডেভিড মিলারের সেঞ্চুরিতে দুইশোর কোটা পার করা সম্ভব হয়।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এবারের আসরে দলীয় সর্বোচ্চ রান করা প্রোটিয়ারা
প্রথম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১ রানে অধিনায়ক বাভুমাকে হারায় শূন্য রানে।
মিচেল
স্টার্কের অফ স্টাম্পের কিছুটা বাইরে পিচ করা ডেলিভারি বেরিয়ে যাওয়ার মুখে খোঁচা মারেন
বাভুমা। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় পেছনে। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ
নেন জশ ইংলিস।
হেইজেলউডের লেংথ ডেলিভারি বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন ডি কক। একদমই
টাইমিং হয়নি। উঠে যায় বেশ উঁচুতে। বলে চোখ রেখে মিড অন থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে
মাথার উপর থেকে চমৎকার ক্যাচ নেন প্যাট কামিন্স। ১৪ বলে কেবল ৩ রান করেন ডি কক।
তখন ৬ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেটে ৮। ক্রিজে তখন রাসি ফন ডার ডাসেনের
সঙ্গী এইডেন মার্করাম।
আগের ওভারে চার হজম করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। নতুন ওভারের প্রথম বলে হজম
করেছিলেন আরেকটি বাউন্ডারি। তবে মার্করামের সঙ্গে দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসলেন বাঁহাতি
এই পেসারই। তার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়লেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার
এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ২০ বলে দুই চারে করেছেন ১০ রান।
১১ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২২। ক্রিজে রাসি ফন ডার
ডাসেনের সঙ্গী হাইনরিখ ক্লসেন।
অনেকটা ফুলার লেংথের বল পা বাড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ফন ডার ডাসেন।
ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে স্টিভেন স্মিথের হাতে ধরা পড়েন।
৩১ বলে ফন ডার ডাসেন করেন ৬ রান।
ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই চার পেয়ে যান ডেভিড মিলার। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে দুই
স্লিপ ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে বল চলে যায় বাউন্ডারিতে।
১২ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪ উইকেটে ২৮। ক্রিজে মিলারের সঙ্গী হাইরিখ
ক্লসেন। অনেকটা
ফুলার লেংথের বল পা বাড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ফন ডার ডাসেন। ঠিক মতো খেলতে পারেননি,
ব্যাটের কানায় লেগে জমে পড়ে স্লিপে, স্টিভেন স্মিথের হাতে। ৩১ বলে ফন ডার ডাসেন করেন
৬ রান।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে হেনরিক ক্লসেন ও মিলার ৯৫ রানের জুটি গড়ে প্রোটিয়া
শিবিরে আলো জ্বালেন। কিন্তু, ১১৯ রানের মাথায় হেডের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। হেডের
পরের বলেই কাটা পড়েন মারকো জনসেন। এরপর কোয়েতজিকে নিয়ে আবারও ৫৩ রানের ছোট জুটি গড়েন
মিলার। কোয়েতজি ১৯ রানে প্যাট কামিন্সের শিকার হলে আবার বিপর্যয়ে পড়ে দ. আফ্রিকানরা।
কেশভ মহারাজ কাটা পড়েন ১৯১ রানে।
এতক্ষণ তারা হয়ে জ্বলা ডেভিড মিলার সেঞ্চুরি পান ১১৫ বলে। এরপর দলীয় ২০৩
রানে ১০১ রান করে আউট হয়ে যান।
অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। তিনি ১০ ওভার বল করে একটি
মেডেনে ৩৪ রান দিয়ে পান ৩ উইকেট। এছাড়া প্যাট কমিন্স ৯.৪ ওভার বল করে ৫১ রানে নেন ৩
উইকেট। হ্যাজেলউড ও ট্রাভিস হেড দুটি করে উইকেট পান।
সেমিফাইনাল অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩ ক্রিকেট প্রথম ইনিংস
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান সিজার লুইস মেনোত্তি। এটি ছিলো আলবিসেলেস্তাদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা। পরের বছর তার হাত ধরেই বড়দের মতো প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইনদের কাছে বনে কিংবদন্তি।
সেবার তিনি আর্জেন্টিনা ও বিশ্বকে উপহার দেন আরেক কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ১৯৭৯ যুব বিশ্বকাপে নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী নায়ক। যার পেছনে বড় অবদান ছিলেন মেনোত্তির।
তবে অন্য এক কারণে আর্জেন্টাইন ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় জয় করছেন তিনি। তার কোচিংয়ে বদলে যায় আজেন্টিনার খেলার ধরণ। সহিংসতাপূর্ণ খেলার কুখ্যাতিকে পেছনে ফেলে নানন্দিক ফুটবলে জয় করেন আর্জেন্টাইনদের মন।
কিংবদন্তি কোচের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেসি তার একাউন্টে লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম গ্রেট আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।’
প্রায় একই রকম শোক বার্তায় স্কালোনি লিখেছেন, ‘ফুটবলের একজন শিক্ষক আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। সেই সব স্নেহ সঞ্চারক কথার জন্য ধন্যবাদ, যার মাধ্যমে আপনি আমাদের মনে ছাপ রেখে গেছেন। চিরকাল হৃদয়ে থাকবেন প্রিয়।’
আর্জেন্টিনাকে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ জেতানো কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। সোমবার (৬ মে) আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এক বিবৃতিতে এ কিংবদন্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
খেলোয়াড়ি জীবনে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন তিনি। আর্জেন্টাইন লিগ ছাড়াও ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে ফুটবল সম্রাট পেলের সতীর্থ ছিলেন মেনোত্তি।
সিজার লুইস মেন্তি আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে জেতানো
কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
রোববার আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
লিওনেল মেসির জন্মশহর রোজারিওতে ১৯৩৮
সালে জন্ম মেনোত্তির। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত মাত্র ১১ ম্যাচ
খেলার সুযোগ পেয়েছেন এই স্ট্রাইকার। খেলা ছাড়ার পর ৩৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে ১১টি
ক্লাব ও দুটি দেশের জাতীয় দলের কোচের ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত
ছিলেন নিজের দেশ আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্বে। এছাড়াও এক বছর মেক্সিকোর কোচের দায়িত্বেও
ছিলেন তিনি।
১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ
শিরোপা জেতান এই মেনোত্তি। আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানোর পরের বছর দেশের অনূর্ধ্ব-২০
দলকেও জিতিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ। মেনোত্তির হাত ধরেই আর্জেন্টিনার খেলার ধরন বদলে যায়।
এদিকে মেনোত্তির মৃত্যুর শোক সংবাদ
প্রকাশ করে ইনস্টাগ্রামে লিওনেল মেসি লিখেছেন, ‘আমাদের ফুটবলের অন্যতম গ্রেট উদাহরণ
আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।’
আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ লিওনেল
স্ক্যালোনিও শোক প্রকাশ করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘ফুটবলের একজন শিক্ষক আমাদের
ছেড়ে চলে গেলেন। সেই সব স্নেহ সঞ্চারক কথার জন্য ধন্যবাদ, যার মাধ্যমে আপনি আমাদের
মনে ছাপ রেখে গেছেন। চিরকাল হৃদয়ে থাকবেন প্রিয়।’
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ফুটবল সিজার লুইস মেনোত্তি
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই রানের দেখা পেতেন এই ওপেনার। তবে ইদানিং যেন দুঃসময়ের ঘোর থেকে কিছুতেই বের হতে পারছেন না লিটন।
আন্তর্জাতিক খেলায় মাঠে নামলেই যেন ১০ এর গণ্ডিও পেরোতে পারছেন না তিনি। সবমিলিয়ে তার সবশেষ আন্তর্জাতিক ফিফটি এসেছে ১৯ ইনিংস আগে। ফর্মহীনতার কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের মাঝপথে তাকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর টেস্টে ফিরে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। জিম্বাবুয়ে সিরিজেও তার শুরুটা হয়েছে ১ রান দিয়ে। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে ২৩ রান করেছেন। তবুও যেন স্ট্রাইক রেটে রয়েছেন পিছিয়ে।
এভাবে লিটনের ধারাবাহিক ফর্মহীনতায় তার পাশাপাশি ধুঁকছে বাংলাদেশও। শুরুতে দ্রুতই তার উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে অবস্থা থেকে ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে হয় পরবর্তী টপঅর্ডারদের। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের জন্য বড় ভাবনার কারণ।
চলমান ডিপিএলেও তিন ম্যাচ খেলে একটি ফিফটি পেয়েছেন লিটন, বাকি দুই ম্যাচ মিলে করেছেন ৩৮ রান। লিটনের এমন ফর্মহীনতার পরও একের পর এক ম্যাচ-সিরিজে সুযোগ পেয়েই যাচ্ছেন তিনি। যার জন্য সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ক্রীড়াঙ্গন- সবখানেই। এমনকি লিটনের এই অফফর্মের জন্য তাকে নিয়ে নানা ট্রোল ও হচ্ছে। নেটিজেনরা এরই মধ্যে তার এই অফফর্মের কারণে তাকে দলে দেখতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে অনেক ক্রীড়া বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, লিটনের এই অফফর্ম যাবে কবে?
এরই মধ্যে ব্যাট হাতে লিটনের ধারাবাহিক এই ব্যর্থতা কাটাতে কোচদের বিশেষ নজর দিতে বলেছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, ‘লিটনকে নিয়ে আমরা সবাই জানি, তার মেধা আছে। বেশ কিছুদিন ধরেই সে ফর্মের বাইরে। তাকে নিয়ে জালাল (ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস) ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে ব্যাটিং কোচ যে আছেন আমাদের, তার সঙ্গেও কথা বলতে বলা হয়েছে। বলেছি তার (লিটনের) ওপর বিশেষ নজর দিয়ে দেখতে যে সমস্যাটা কোথায়।’
সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে আছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ দিয়ে ফেরার কথা রয়েছৈ তাদের। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সাকিবের খেলার কথা, মুস্তাফিজ খেলবে কি না আমি নিশ্চিত না। আমার ধারণা ওকে বিশ্রামে রাখা হবে। কতদিন বিশ্রামে রাখা হবে তা জানিনা। সাকিব তো লিগে সেঞ্চুরি করল এতদিন পরে। ওর রানে ফিরে আসাটা একটা ভালো দিক। আমি যতটুকু শুনেছি ও খেলবে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে পাপন বলেন, ‘বোলিংটা প্রথমদিকে ভালোই লাগছিল। পরের দিকে একদম ভালো লাগেনি। ব্যাটিংটা ভালো লাগেনি। ব্যাটিংয়ে এখনও মনে হচ্ছে আমরা স্ট্রাগল করছি। বোলিংয়ে যে অবস্থা ছিল, ৪০-৪১ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এত রান করতে দেওয়া ওদের, এটা আমাদের পুরোনো অভ্যাস। এটা দেখে মনে হচ্ছে এখনও বের হতে পারিনি।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে শুরুতেই টাইগারদের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। তবে পরবর্তীতে অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্যাম্পবেল। এটি তার অভিষেক ম্যাচ ছিল।
রোববার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন জয়লর্ড গাম্বি ও তাদিওয়াশে মারুমানি। শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন তারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মারুমানিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে (এলবিডব্লিউ) ফেলেন তাসকিন। আউট হওয়ার আগে ২ করেন তিনি।
পরে ক্রিজে আসেন ক্রেস আরভিন। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস কিছুটা এগিয়ে নেন গাম্বি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই গাম্বিকে (১৭) সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এরপর উইকেটে আসেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। থিতু হওয়ার আগেই রিশাদের ঘূর্ণিতে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে ৩ রান করেন তিনি।
ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে। রিশাদের ঘূর্ণিতে শূন্য রানে কাটা পড়েছেন তিনি। আশা দেখালেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি আরভিন। ১১তম ওভারে মাহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ করেন এ ব্যাটার।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে সেই ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেন ক্যাম্পবেল ও বেনেট। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৩ রান।
ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ক্যাম্পবেল (৪৫) সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যায় তাদের এ জুটি। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে জিম্বাবুয়েকে মান বাঁচানো পুঁজি এনে দেন বেনেট। ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান ও শরিফুল।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে শুরুতেই টাইগারদের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। তবে পরবর্তীতে অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা।