ইনসাইড গ্রাউন্ড

কিউইদের বিপক্ষে দিনের শেষটা ভালোই হলো বাংলাদেশের

প্রকাশ: ০৫:৪৭ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

কেন উইলিয়ামসন যেভাবে বিপদজ্জনক হওয়ার আভাস দিচ্ছিলেন সে তুলনায় তিনি ততটা বিপদজ্জনক হতে পারেননি।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পুঁজি খুব বড় হয়নি। পুঁজি ছিল ৩১০ রানের। তবে এই মাঝারিমানের সংগ্রহ নিয়েই সিলেট টেস্টে লিডের সম্ভাবনা তৈরি করে ফেলেছে টাইগাররা। এক কেন উইলিয়ামসন ছাড়া যে কিউই ব্যাটারদের কাউকেই সেভাবে দাঁড়াতে দেননি তাইজুল-মিরাজরা।

স্বস্তির বিষয় হলো, সেঞ্চুরি হাঁকানো উইলিয়ামসনকেও দ্বিতীয় দিনের শেষভাগে এসে ফিরিয়েছেন তাইজুল। প্রথম দিনের মতোই আলোকস্বল্পতায় একটু আগেভাগে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।

৮৪ ওভার খেলে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ৮ উইকেটে ২৬৬ রান। কাইল জেমিসন ৭ আর টিম সাউদি ১ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশ এখনও এগিয়ে ৪৪ রানে। তাইজুল দিনের সেরা বোলার, একাই নিয়েছেন ৪টি উইকেট।

দ্বিতীয় দিনে খেলতে নেমে প্রথম বলেই বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ৩১০ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৪ রানের মাথায় ২ উইকেট হারায় কিউইরা। সেখান থেকে ম্যাচ দখলে রাখেন কেন উইলিয়ামসন। জুটি গড়েন হেনরি নিকোলস, ড্যারেল মিচেল ও টস ব্লান্ডেলের সঙ্গে। একে একে সবাইকে ফেরান তাইজুল-মিরাজ-শরিফুল-নাইমরা। তবে ফেরাতে পারেননি আঠার মতো লেগে থাকা উইলিয়ামসনকে।

এই ডানহাতি ব্যাটারের সঙ্গে জুটি গড়া নিকোলস ১৯ রান করে পেসার শরিফুলের শিকার হয়ে ফেরত যান। মিচেল আউট হন তাউজুলের ঘূর্ণিতে (৫৪ বলে ৪১)। নাইম হাসানের বলে আউট হওয়ার আগে ব্লান্ডেল করেছেন ৬ রান।

এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ওপেন করেন ডেভন কনওয়ে ও টম ল্যাথাম। তাইজুল-মিরাজের ঘূর্ণিতে সেটি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি তারা। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় ল্যাথাম ও ৪৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান কনওয়ে। ল্যাথামকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তাইজুলকে সুইপ খেলতে গিয়ে ফাইন লেগ অঞ্চলে নাইম হাসানের হাতে ক্যাচ হন ল্যাথাম।

এরপর কনওয়েকে ফেরান অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের বলে খেই হারিয়ে শর্টলেগে শাহাদাত হোসেনের তালুবন্দি হন এই কিউই ওপেনার।

মধ্যাহ্নভোজের পর আউট হন নিকোলস। ৪২ বলে ১৯ রান করে শরিফুলের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ হন তিনি। তার আগে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি করেছিলেন নিকোলস।

একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। একের পর এক জুটি গড়ে গেছেন। নিকোলসের সঙ্গে ৫৪, মিচেলের সঙ্গে ৬৬ রানের পর গ্লেন ফিলিপসের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটেও ৭৬ রান যোগ করেন তিনি। কিছুতেই জুটিটা ভাঙছিল না।

অবশেষে কিউই ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মুমিনুল হকের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর বল হাতে নিয়েই অধিনায়ককে উইকেট উপহার দেন মুমিনুল। টার্ন করা বল ফিলিপসের (৪২) ব্যাটে লেগে প্রথম স্লিপে গেলে নিচু ক্যাচ দারুণভাবে লুফে নেন শান্ত।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড নেওয়ার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। একটা প্রান্ত ধরে জুটির পর জুটি গড়ে যাচ্ছিলেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরিও তুলে নেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

অবশেষে দিনের শেষ সময়ে এসে উইলিয়ামসনকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেও বোল্ড হয়ে গেছেন উইলিয়ামসন। ২০৫ বলে ১০৪ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি হাঁকান কিউই তারকা।


গতকাল মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮৫.১ ওভারে ৩১০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।


বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করার আগেই হন ইশ সোধির শিকার। ১৬৬ বলে ১১ বাউন্ডারি হাঁকানো এই ব্যাটার সোধির বলে ড্যারেল মিচেলের ক্যাচ হন।


এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক করেন সমান ৩৭ রান। ফিলিপসের ফুলটস বলে মিড-অনে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন পিচে সেট হওয়া শান্ত। ফিলিপসের দ্বিতীয় শিকার হন মুমিনুল। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ক্যাচ হন উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে।


এরপরই মূলত বিপত্তি ঘটে বাংলাদেশের। ৫৩ রানে হারায় ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রানে দিন শেষ করে বাংলাদেশ।


দ্বিতীয় দিনে রানটা আরেকটু বাড়বে আশা ছিল। কিন্তু কোনো রান যোগ না করেই অলআউট হতে হয় টাইগারদের।


কিউই পার্টটাইম অফস্পিনার গ্লেন ফিলিপস একাই নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার কাইল জেমিসন আর অ্যাজাজ প্যাটেলের। অধিনায়ক সাউদি ও ইশ সোধি নিয়েছেন একটি করে উইকেট।




বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড   ক্রিকেট   টেস্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের পূর্বে নেপাল দলে বড় সুখবর

প্রকাশ: ০১:৩৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর দুই সপ্তাহ পর আগামী ১ জুন থেকে শুরু হবে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। তবে এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকে বড় সুখবর পেয়েছে নেপাল ক্রিকেট।

শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট পাকিস্তান। তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেপালের তারকা স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানেকে ধর্ষণ মামলাকে থেকে নিষ্পাপ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে দেশটির আদালত। এবার তাকে টি-২০ বিশ্বকাপে নেপালের হয়ে খেলার অনুমতিও দিল আইসিসি।

বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাড়পত্র মেলায় বিশ্বকাপে খেলতে এখন আর কোনো বাধা রাইলো না লামিচানের।

এর আগে গত জানুয়ারির শুরুতে লামিচানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় কাঠমান্ডু জেলা আদালত। পরে ১০ জানুয়ারি তাকে ঐ মামলায় আট বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে লামিচানেকে তিন লাখ নেপালি রুপি জরিমানা এবং ভুক্তভোগী কিশোরীকে আরও দুই লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেন আদালত।

এদিকে বিশ্বকাপের জন্য গত ১ মে দল ঘোষণা করে নেপাল। আইসিসি থেকে লামিচানের গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ায় বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তার অন্তর্ভূক্তি নিয়ে আর কোনো বাধা রইলো না। তবে ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে তিনি কার জায়গায় অন্তর্ভূক্ত হবেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।

নেপালের বিশ্বকাপ দল-

রোহিত পৌদেল (অধিনায়ক), আসিফ শেখ, অনিল কুমার শাহ, কুশল বুর্থেল, কুশল মাল্লা, দীপেন্দ্র সিং আইরি, ললিত রাজবংশী, কারান কেসি, গুলশান ঝা, সোমপাল কামি, প্রতীশ জিসি, সন্দ্বীপ জোরা, অবিনাশ বোহরা, সাগর ধাকাল, কমল সিং আইরি। 


নেপাল ক্রিকেট   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল   আইসিসি   সন্দ্বীপ লামিচানে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

২৫ ক্লাবের স্কোয়াডের চেয়ে বেশি বেতন মেসির

প্রকাশ: ১০:২৯ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেলোয়ারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বাৎসরিক বেতন পান লিওনেল মেসি। তার বাৎসরিক বেতন ২ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। বর্তমানে ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তী। ৮ বারের ব্যালন ডিঅরজয়ী মেসির বেতন বাকিদের চেয়ে বেশি হবে, সেটাই স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় মেসির এই বেতন শুধু যে খেলোয়ারদের মাঝে বেশি তা নয়। লিগের অন্য ২৫ টি দলের পুরো স্কোয়াডের বেতনের চেয়েও বেশি মেসির বেতন। কি অবাক হচ্ছেন!

এমএলএস প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের গতকাল প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, লিগে ২৫টি ক্লাব নিজেদের স্কোয়াডকে যে বেতন দেয়, মেসির বেতন তার চেয়েও বেশি। মেসির নিট বেতন কোটি ২০ লাখ ডলার। বিভিন্ন বোনাস সহকারে সব মিলিয়ে অঙ্কটা দাঁড়ায় কোটি ৪৪ লাখ হাজার ৬৬৭ ডলার।

তবে প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশ করা এই তথ্যে মেসির বেতনের সঙ্গে তাঁর বাণিজ্যিক চুক্তি, এনডোর্সমেন্ট স্পনসর চুক্তি থেকে আয় যোগ করা হয়নি।

পিএসজি ছেড়ে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ২ বছরের চুক্তিতে মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। মেসি এমএলএসে যাওয়ার আগে প্রতিযোগিতাটিতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড় ছিলেন টরন্টো এফসির ইতালিয়ান স্ট্রাইকার লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে। এখন তিনি তালিকায় দ্বিতীয়কানাডিয়ান ক্লাবটি থেকে বছরে কোটি ৫৪ লাখ ডলার আয় করেন ইনসিনিয়ে।

এমএলসে মোট ২৯টি দল ইস্টার্ন ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে বিভক্ত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ক্লাবগুলোর মধ্যে প্রত্যাশিতভাবেই খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ বেতন দেয় ইন্টার মায়ামি। খেলোয়াড়দের বাৎসরিক মোট কোটি ১৬ লাখ ডলার বেতন দেয় ক্লাবটি। কোটি ১৪ লাখ ডলার বেতন দিয়ে দ্বিতীয় টরন্টো। বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন কলম্বাস ক্রুজ বেতন দেয় কোটি ৫১ লাখ ডলার।

এমএলএসে সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত খেলোয়াড় (শীর্ষ পাঁচ):

খেলোয়াড়

ক্লাব

বেতন (বছরে)

লিওনেল মেসি

ইন্টার মায়ামি

২ কোটি ৪৪ লাখ ডলার

লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে

টরন্টো

১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার

সের্হিও বুসকেটস

ইন্টার মায়ামি

৮৮ লাখ ডলার

জেরদান শাকিরি

শিকাগো ফায়ার

৮১ লাখ ৫৩ হাজার ডলার

সেবাস্তিয়ান দ্রিউসি

অস্টিন এফসি

৬৭ লাখ ২২ হাজার ডলার

তবে, এমএলএসে অন্য খেলোয়াড়দের তুলনায় বেতনে মেসি অনেক এগিয়ে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে অন্যান্য খেলাধুলার তারকাদের চেয়ে বেশ কম আয় করেন তিনি। বাস্কেটবল লিগ এনবিএ-তে সবচেয়ে বেশি আয় করা গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্সের স্টিফেন কারি প্রতি মৌসুমে কোটি ১৯ লাখ ডলার করে আয় করেন। এনএফএলের দল সিনসিনাটি বেঙ্গলসের কোয়ার্টারব্যাক জো বারো গত বছর দলটির সঙ্গে বছরের চুক্তি সই করেন। এই চুক্তির অধীনে প্রতি মৌসুমে সাড়ে কোটি ডলার করে আয় করবেন বারো।


মেসি   পারিশ্রমিক   ২৫ ক্লাব   এমএলএস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপ: রেকর্ডের মহানায়করা

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাকি আর মাত্র দুই সপ্তাহ। তারপরেই দামামা বাজবে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরের। বিশ্ব ক্রিকেটের মেগা এই ইভেন্টকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই বেশ জমজমাট পুরো ক্রীড়াঙ্গন। আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ একদিকে যেমন শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, অন্যদিকে ঠিক তেমনই নিজেদের ব্যাগ গোছানোতে ব্যস্ত অংশগ্রহণকারী দলের ক্রিকেটাররা।

১৭ বছর পূর্বে সেই ২০০৭ সালে বিশ্বমঞ্চে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণের লড়াই প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয়। সেবার মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইন্ডিয়া। এরপর মাঠে গড়িয়েছে আরও সাত আসর। সময়ের সঙ্গে জমজমাট হয়েছে লড়াই, বেড়েছে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা।

বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টে সেই শুরুর আসর থেকে বিভিন্ন দলের সব নামী দামী খেলোয়াড় নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছেন। গড়েছেন একাধিক কীর্তি। তবে সময় যত গড়িয়েছে, খেলার ধরন ও খেলোয়াড় সবই বদলেছে এই টুর্নামেন্টে। 

টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ই এবার আর নেই মাঠের লড়াইয়ে। তবে ব্যতিক্রমী রয়েছেন দুইজন। আর এর মধ্য দিয়েও বিরল এক কীর্তি গড়েছেন এই দুই কিংবদন্তী।

সেই কিংবদন্তীরা হলেন, ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও বাংলাদেশের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। যদিও এই দুইজনের মধ্যে ম্যাচ খেলার বিচারে এগিয়ে রোহিত। বিশ্বকাপে সর্বাধিক ৩৯ ম্যাচে মাঠে নেমেছেনে হিটম্যান। ৩৬ ম্যাচ খেলা সাকিবের অবস্থান দ্বিতীয়তে। এরপর আছেন ৩৫ ম্যাচ খেলা দিলশান। ব্রাভো, আফ্রিদি, মালিক ও ওয়ার্নার খেলেছেন ৩৪টি করে ম্যাচ।

শুধু তাই নয়, বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে একেক ক্রিকেটারের রয়েছে এক একরকম কীর্তি। কেউ বা ব্যাটে, কেউ বা বলে; আবার কেউ বা ‍উভয় ভাবেই এই টুর্নামেন্টে গড়েছেন নানা রেকর্ড। যার মধ্যে ভিরাট কোহলি থেকে শুরু করে ক্রিস গেইল, ব্রেট লি থেকে শুরু করে লাসিথ মালিঙ্গা- সকলেরই রয়েছে ব্যক্তিগত নানা রেকর্ড।

চলুন জেনে নেওয়া যাক টি-২০ বিশ্বকাপে কে কোন রেকর্ডের মালিক-

চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্টে বর্তমানে সর্বোচ্চ রানের মালিক ভিরাট কোহলি। তার নামের পাশে রয়েছে এক হাজার ১৪১ রান। হাজার রান পেরোনো অপর ব্যাটার মাহেলা জয়াবর্ধনে আছেন তার পরের অবস্থানে। বিশ্বকাপে এই লঙ্কান কিংবদন্তির রান এক হাজার ১৬। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ক্রিস গেইলের রান ৯৬৫। রোহিত শর্মা ৯৬৩ রান নিয়ে আছেন এর পরই। পঞ্চম অবস্থানে থাকে আরেক লঙ্কান দিলশানের রান ৮৯৭।

এছাড়া সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকাতে সবাইকে ছাপিয়ে শীর্ষে আছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার ঝুলিতে রয়েছে ৪৭ উইকেট। এরপরই রয়েছে ৩৯ উইকেট পাওয়া পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি ও ৩৮ উইকেট শিকারি লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। বর্তমানে খেলছেন এমন কেউই নেই সাকিবের ধারেকাছে।

ব্যাট হাতে ঝড় তুলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের তালিকায় সবার উপরে ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম। ২০১২ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৮ বলে ১২৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এরপরই আছেন ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইল। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার ১১৭ রানের ইনিংসটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তিনে রয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ২০১৪ বিশ্বকাপে অ্যালেক্স হেলসের অপরাজিত ১১৬ রানের ইনিংসটি। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা গেইলের ৪৭ বলে সেঞ্চুরিটি এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে এখনও দ্রুততম।

ছোট সংস্করণের বিশ্বকাপে সর্বাধিক ৬৩ ছক্কার মালিকও ইউনিভার্স বস গেইল। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রোহিত শর্মার সঙ্গে তার ব্যবধানটা অনেক বেশি। রোহিত এই সংস্করণের বৈশ্বিক আসরে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৩৫টি। বিশ্বকাপের প্রথম আসরে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ৬ ছক্কা হাঁকানো যুবরাজও আছেন এই তালিকায়। তিনে থাকা বাটলার ও যুবরাজ ৩৩টি করে ছক্কা মেরেছেন।

বিশ্বকাপে সেরা বোলিং ফিগারটা লঙ্কানদের দখলে। অজান্থা মেন্ডিসের ৮ রানে ৬ উইকেট এখনও আছে ‘অপরাজিত’। মাত্র ৩ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তারই স্বদেশি রঙ্গনা হেরাথ। এরপরই রয়েছে ২০০৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওভারে ৬ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করা পাকিস্তানি পেসার উমর গুল।

টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ডিসমিসালসের মালিক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। গ্লাভস হাতে ২১ ক্যাচের পাশাপাশি ১১ বার স্টাম্পিং করেছেন এই ভারতীয়। এবারের আসরে খেলবেন এমন উইকেটরক্ষকের মধ্যে সেরা পাঁচে রয়েছেন একমাত্র কুইন্টন ডি কক। এই প্রোটিয়া উইকেটরক্ষকের ডিসমিসাল রয়েছে ২২টি। আর ফিল্ডার হিসেবে সর্বাধিক ২৩ ক্যাচ নেয়ার রেকর্ডটা আছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দখলে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। আট আসরের মধ্যে ক্যারিবীয় ও ইংলিশরা দুইবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভারত।

উল্লেখ্য, আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। যেখানে এবার অংশ নিচ্ছে ২০ দল। চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলগুলো রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে একে অপরের মোকাবিলা করবে। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সুপার এইট। সেখান থেকে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ টুর্নামেন্টে মাঠে গড়াবে মোট ৫৫টি ম্যাচ।

প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সুপার এইট পর্বে উন্নীত হবে। এই পর্বে উন্নীত দলগুলিকে নিয়ে আবারও গ্রুপ হবে। প্রতি গ্রুপে ৪টি দল নিয়ে তৈরি দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে এবং প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল নকআউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, যেখানে দুটি সেমি-ফাইনাল এবং একটি ফাইনাল থাকবে।


টি-২০ বিশ্বকাপ   রেকর্ড   মহানায়ক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অবশেষে বিক্রি হয়ে গেল মেসির সেই ন্যাপকিন

প্রকাশ: ০৮:৩১ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির সাথে বার্সার ঐতিহাসিক চুক্তির কথা জানে না এমন কোন ফুটবল ভক্ত বোধহয় খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। ২০০০ সালে বার্সার সাথে ন্যাপকিন পেপারে চুক্তি স্বাক্ষর করেন মেসি। এরপর ১৩ বছর বয়সে তিনি পাড়ি জমান বার্সেলোনা শহরে। এর পরের গল্পটি সবারই জানা। বার্সার হয়ে ৭৭৮ ম্যাচে ৬৭২ টি গোল তিনি করেছেন।

গত ৯ মে বিট্রিশ অকশন হাউস বোনাহামসের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে গেল মেসি-বার্সা এই ঐতিহাসিক চুক্তিপত্রটি।

উল্লেখ্য, মেসি-বার্সার এই চুক্তিটির দাম উঠেছে লাখ ৬৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশ মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১ কোটি ২৯ লাখ ৯৩ হাজার ২০১ টাকা।


মেসি   বার্সা   ন্যাপকিন পেপার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোপা আমেরিকার আগে ব্রাজিল দলে বড় ধাক্কা

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হবে কোপা আমেরিকার লড়াই। যেখানে ফেবারিট হিসেবেই অংশ নেবে ব্রাজিল ফুটবল দল। তবে এর আগে বড় ধাক্কায় খেয়েছে সেলেসাওরা।

কোপা আমেরিকা শুরু হওয়ার মাস খানেক আগে চোট পেয়েছেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক এদারসন। আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের আগে এদারসনের ইনজুরি কিছুটা হলেও ব্রাজিল শিবিরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

জানা গেছে, চোখের ইনজুরিতে পড়েছেন এদারসন। গেল সপ্তাহে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় ৩০ বছর বয়সী এই গোলরক্ষককে। এ কারণে প্রিমিয়ার লিগে শেষ ম্যাচে তাকে পাবে না ম্যানচেস্টার সিটি।  

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ম্যানচেস্টার সিটি জানিয়েছে, স্ক্যানের পর এদারসনের ডান চোখের সকেটে ছোট একটি ফাটল ধরা পড়েছে। মৌসুমের বাকি অংশে তাকে আর পাওয়া যাবে না।

তবে ব্রাজিলের জন্য চিন্তার কারণটা একটু বেশিই। কারণ, আগামী ২০ জুন শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা। আর এমন এক টুর্নামেন্টের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে হারাতে চাইবে না তারা। 

যদিও কোপা আমেরিকার দলে আরো দুইজন গোলরক্ষক আছেন। তাদের একজন লিভারপুলের অ্যালিসন বেকার। সাধারণত এদারসন কোন ম্যাচে না খেললে অ্যালিসনই থাকেন ব্রাজিল কোচের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক।


কোপা আমেরিকা   ব্রাজিল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন