স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২ বছর পূর্তি হয়ে ৫৩-তে পদার্পণ করলো। বাংলাদেশ এখন
উন্নয়নশীল একটি রাষ্ট্র। সকল উন্নয়নের সঙ্গে এই দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রও এই ৫২ বছরে এগিয়ে
গেছে। যোগ হয়েছে অনেক সাফল্যের পালক। বর্তমান থেকে হয়েছে ভবিষ্যতের সূচনা।
বাংলাদেশের খেলাধুলা নিয়ে একটি ছোট্ট উদাহরণ দেওয়া যাক। ১৯৮৭ সালে মাত্র
২১ বছর বয়সে নিয়াজ মোরশেদ দাবায় উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার বিরল সম্মানের
অধিকারী হন। স্বাধীনতার ১৬ বছর পর দাবায় সেই বিস্ময়কর সাফল্য বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে
বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছিল। তবে বাংলাদেশের মানুষকে
সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিয়েছে ক্রিকেট। ১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপে খেলার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক
ক্রিকেটে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়। এই সময়ে দলীয় অর্জনের মধ্যে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া
আর যুবাদের বিশ্বজয় অন্যতম।
এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে শুটিং, দাবা, অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, গলফ, আর্চারি থেকে
এসেছে সাফল্য। তবে যা একটু স্বস্তির পরশ হয়ে এসেছে ক্রিকেট মাঠের সাফল্য। ১৯৯৭ সালে
আইসিসি ট্রফি গোটা বাংলাদেশকে গেঁথেছিল এক সুতোয়। লাল-সবুজের দেশ একজোট হয়ে সামিল হয়েছিল
বাধভাঙ্গা আনন্দ মিছিলে।
১৯৭১ সালের ১৩ জুন যাত্রা শুরু হয় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের। ফুটবল পায়ে
মুক্তিযুদ্ধে এক হয়েছিলেন ৩১ মুক্তিযোদ্ধা। ফুটবল দল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে
জনমত ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যার্থে অর্থ সংগ্রহই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য। মুক্তিযুদ্ধের
সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মুম্বাই ও বিহারে ১৪টি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছে জাকারিয়া পিন্টুর
নেতৃত্বাধীন একদল স্বপ্নবাজ তরুণ। পৃথিবীর ইতিহাসে যুদ্ধকালীন প্রথম ও একমাত্র ফুটবল
দল এই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের খেলা ফুটবল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বাধীন
বাংলা ফুটবল দল গঠন তারই প্রমাণ দেয়। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরুর পর বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ
সংস্থা ফিফার সদস্য পদ বাংলাদেশ পায় ১৯৭৪ সালে, স্বাধীনতার তিন বছর পর। এরপর বাংলাদেশ
দল প্রথমবারের মতো ফুটবলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অংশ নিয়েছে ১৯৮৫ সালে। সেরা প্রাপ্তি অবশ্য
এসেছে আরও চার বছর পর ১৯৮৯ সালে প্রেসিডেন্টস গোল্ডকাপে বাংলাদেশের লাল দলের জয়ের মাধ্যমে।
বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতি এনে দিয়েছে ক্রিকেট। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ আইসিসির
সহযোগী সদস্য পদ পায়। এর ঠিক ২০ বছর পর পূর্ণাঙ্গ সদস্য পদ পায় ১৯৯৭ সালে। সেবার কেনিয়া,
স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ডকে পেছনে ফেলে ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি জয় করে বাংলাদেশ।
এরপর ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলে টাইগাররা। তবে প্রথম বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড
ও পাকিস্তানকে হারিয়ে হইচই ফেলে দেয়ার পরও বলা যায় খুব বেশি এগুতে পারেনি। তবে ২০০৭
সালে সেরা আটে জায়গা করাও বড় সাফল্যের মধ্যে পড়ে। এরপর ২০১৫ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল
পর্যন্ত যেতে পেরেছিল লাল সবুজ প্রতিনিধিরা।
মেয়েরা ২০১৮ সালে এশীয় নারী ক্রিকেটের প্রথম শিরোপা জিতেছে। বিশ্ব ক্রিকেটে
তেমন কোন উল্লেখযোগ্য সাফল্য নেই মূল পুরুষ জাতীয় দলের। সর্বোচ্চ সাফল্য বলতে ২০১৭
সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলা। ভারতের সঙ্গে সেই সেমির যুদ্ধে
পরাজয়ে ভাঙ্গে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন। এর আগে ও পরে মোট ছয়বার বিশ্বকাপ খেললেও একবারের
জন্য শেষ চারে পৌঁছাতে পারেনি। ২০১২, ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনালে
উঠলেও এশিয়ার সেরা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি ছেলেদেরে। প্রথমবার পাকিস্তানের কাছে আর
পরের দুইবার ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এখানেই মেয়েদের
চেয়ে পিছিয়ে ছেলেরা। তবুও খেলাধুলায় যতটুকু পরিচিত তার বেশিরভাগই এসেছে এই ক্রিকেটের
সৌজন্যে।
জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হিসাব করলে ফুটবল-ক্রিকেটের পরই রয়েছে হকি। বাংলাদেশ
বোধকরি বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি, যে দেশে ফুটবল-ক্রিকেট আর হকি প্রায়
সমান জনপ্রিয় খেলা। কিন্তু, হকি আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে।
এ যেন অবিশ্বাস্য এক অর্জন আসে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে। ১৯৮৭ সালে উপমহাদেশের
প্রথম দাবাড়ু হিসেবে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেছিলেন নিয়াজ মোরশেদ। এরপর বাংলাদেশ
আরো চারজন গ্র্যান্ডমাস্টার পেয়েছেন। তবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে
ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন নিয়াজ। যে সময় বিশ্ব দাবা সংস্থা (ফিদে) তাকে মাত্র
২১ বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টারের মর্যাদা দেয়, সে সময় এশিয়ার ৫ম গ্র্যান্ডমাস্টার ছিলেন
তিনি।
জাতীয় দলের চেয়ে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলগুলো সবসময়ই সমীহ জাগানিয়া। তার
বড় প্রমাণ রাখে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি পঠিত কথা ছিল, উনিশের হাত ধরে
বিশ্বজয়। যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে বাংলাদেশ।
এটি যে কোনো স্তরের ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্য প্রথম বিশ্বকাপ জয়। ১৯৯৭ সালের পর প্রথম
শ্রেণির ক্রিকেটের কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ট্রফি জয়ের ঘটনাও ছিল এটি।
ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার খুব কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পায়
বাংলাদেশ। আইসিসি ট্রফি জয়ের পর ২৬ জুন, ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পায় বাংলাদেশ। আর
২০০৫ সালের ১০ জানুয়ারি প্রথম টেস্ট জেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
টেস্ট ক্রিকেটে ছোট ছোট অর্জনের মধ্যেও বুক চিতিয়ে বলার মতো অর্জন মোহাম্মদ
আশরাফুলের। অভিষেক টেস্টে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ১৪৫ রান ছাপিয়ে গেছে এই লিটল মাস্টার
অভিষেক টেস্টে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে সেঞ্চুরি করেন। এ নন্দিত উইলোবাজের পর ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্যের
কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো শতকটি গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের
অন্যতম সেরা ম্যাচ জেতানো ইনিংস হিসেবে পরিগণিত।
সাকিব মানেই দর্শকদের মধ্যে আলাদা একটি উত্তেজনা, যা এখনো চলমান। আইসিসি
রেকিংয়ে একটানা প্রায় ১০ বছর বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের তকমাধারী এই বাঁহাতি। এছাড়া ২০১৯
সালের বিশ্বকাপে ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টেরও যোগ্য দাবিদার ছিলেন সাকিব। বিশ্বকাপে
৬০৫ রান করার পাশাপাশি ১১ উইকেট শিকারীও সাকিব। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এমন অলরাউন্ড কৃতিত্ব
আর কারো নেই।
অবহেলিত হলেও সময়ের সঙ্গে তালমিলিয়ে ২০০৭ সালের জুলাইয়ে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে
ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় টাইগ্রেসদের। এরপর একটু একটু করে ধীরলয়ে
এগিয়ে গেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাছাইয়ে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ৯ উইকেটে হারিয়ে একদিনের আন্তর্জাতিকের মর্যাদা পায় দল। তবে
সেরা সাফল্যটি এসেছিল ২০১৮ সালে। সেবার এশিয়া কাপ শিরোপা জেতে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট
দল। ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে অনন্য উচ্চতায় পা রাখে মেয়েরা।
একটি সময় দেশের এক নাম্বার খেলা হলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই। তারপরও আছে
কিছু সাফল্য। ১৯৯৫ সালের মিয়ানমারে চার জাতি চ্যালেঞ্জ কাপে ট্রফি জয়। নেপালের কাঠমান্ডুতে
১৯৯৯ সাউথ এশিয়ান গেমসে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে ফুটবলে প্রথম সোনা পায় ফুটবল দল। ২০০৩
সালে জয় করে সাফ ফুটবলের শিরোপা। ২০১০ সালে এসএ গেমস ফুটবলেও স্বর্ণ জেতে বাংলাদেশ।
মেয়েদের মধ্যে ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৫ নারী সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দল। তবে
হতাশার খবর হলো রেংকিং এ দিনে দিনে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। তবুও আশার বসতি গড়া।
দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানব হওয়াটা যেন স্বপ্ন থেকে বেশিকিছু এখন বাংলাদেশের
কাছে। অথচ দু’ দু’বার দক্ষিণ এশিয়ার সেরা স্প্রিন্টার হয়েছিলেন মো. শাহ আলম। ১৯৮৫ সালে
ঢাকায় ১০.৮০ সেকেন্ড ও ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে ১০.৭৯ সেকেন্ড রেকর্ড সময় নিয়ে সাউথ এশিয়ান
গেমসে স্বর্ণ জিতেছিলেন।
মুষ্টিযোদ্ধা হিসেবে বাজিমাত করেন মোশাররফ হোসেন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি
হিসেবে এশিয়ান গেমসে পদক জয় করেন। ১৯৮৬ এশিয়ান গেমসে মোশাররফ ব্রোঞ্জপদক জয় করেন।
মুজিবর রহমানের সোনার হাসি হাসে ১৯৮৪ সালে। নেপালের কাঠমণ্ডুতে ট্রিপল জাম্পে
স্বর্ণ জিতলেন মুজিবর রহমান মল্লিক।
কমনওয়েলথ গেমসের শুটিংয়ে বাংলাদেশ সোনালি সময় পার করে এসেছে। ১৯৯১ সালের
আসরে দেশের প্রথম নারী হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন শুটার কাজী
শাহানা পারভীন। কমনওয়েলথের আগে সে সময়কার কলম্বো সাফ গেমসেও পদক জিতেছিলেন এই তারকা
নারী শুটার। এর আগে দুই শুটার আতিকুর রহমান আর আব্দুস সাত্তার নিনি ১৯৯০ সালে নিউজিল্যান্ডের
অকল্যান্ডে কমনওয়েলথ গেমস পিস্তল শুটিংয়ে স্বর্ণ পদক জয় করেন।
আতিকুর রহমান ও আবদুস সাত্তার নিনির পর ২০০২ সালে আরও একবার কমনওয়েলথ শুটিংয়ে
স্বর্ণ পদক জয়ের অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করেন আসিফ হোসেন খান। যদিও বয়স ছিল তাঁর মাত্র
১৫।
গলফ খেলেই বিলিয়নিয়ার হয়েছেন টিইগার উডস নামের এক মার্কিন গলফার। এক টুর্নামেন্ট
জিতলে ন্যূনতম আয় করা সম্ভব সেটিই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্যাডিবয় থেকে পেশাদার গলফার
সিদ্দিকুর রহমান। ২০১০ সালে ব্রুনাই ওপেন জিতে হইচই ফেলে দেন সিদ্দিকুর।
বাংলাদেশের ভারোত্তোলনে বড় নাম মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। ২০১৬ সালের এসএ গেমসে
তার কল্যাণেই ভারতের মাটিতে বেজেছিল জাতীয় সংগীত। সোনার পদক গলায় ঝুলিয়েছিলেন তিনি।
দেশের দ্বিতীয় অ্যাথলেট হিসেবে আর্চার রোমান সানা সরাসরি অলিম্পিকে খেলার
টিকিট পেয়েছিলেন। দেশসেরা এই আর্চার ২০১৯ সালে বিশ্ব আর্চারিতে ব্রোঞ্জ জিতে হইচই ফেলে
দেন। সেই অভাবনীয় সাফল্য তাকে পৌঁছে দিয়েছিল এবার ২০২১ সালে টোকিও অলিম্পিক গেমসের
সরাসরি খেলার সুযোগ।
বাংলাদেশের দাবার রানী রানী হামিদ তিনবার ব্রিটিশ মহিলা দাবায় চ্যাম্পিয়ন
হয়ে অনন্য এক ইতিহাসে নিজেকে নিয়ে গেছেন।
গিনেস বুক অব রেকর্ডসে টেনিসের রাজকন্যা লিনু। এই কিংবন্তী টানা ১৬ বার
জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে নাম লিখিয়েছিলেন গিনেস বুক অব রেকর্ডসে।
দেশের ফুটবলে সবচেয়ে বড় তারকার নাম কাজি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। প্রথম পেশাদার
ফুটবলার হিসেবে নাম লিখিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। তিনি ১৯৭৫ সালে হংকংয়ের প্রফেশনাল লিগে
অংশ নিয়েছিলেন এফসি ক্যারোলিন ক্লাবের হয়ে।
বাংলাদেশের প্রথম সংগঠক হিসেবে ফিফার নির্বাহী কমিটির সদস্য হয়েছেন মাহফুজা
আক্তার কিরণ। তিনি প্রথমবার ফিফার কাউন্সিল মেম্বার হয়েছিলেন ২০১৭ সালে।
স্বাধীনতা দিবস বিজয় দিবস বিজয়ের ৫২ বছর
মন্তব্য করুন
ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক মাঠ ক্রিকেটের তীর্থভূমিতে রয়েছে ক্রিকেটের
হাজার হাজার রেকর্ড। এই স্টেডিয়ামের সংস্কারের পরিকল্পনার নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে
নতুন রূপে সাজতে খরচ হতে পারে প্রায় হাজার কোটি টাকা
ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (বিবিসি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে,
পুনরায় লর্ডসের সংস্কার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। নতুন এই সংস্কার কাজের জন্য ব্যয় ধরা
হয়েছে ৬ কোটি ১৮ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯০৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বাড়ানো
হবে আসন সংখ্যা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আরও ১ হাজার ১০০ আসন বাড়তে পারে।
ভেঙে দেওয়া হতে পারে বর্তমানের অ্যালেন স্ট্যান্ড। এক তলা বাড়িয়ে করা হবে পুনর্নির্মাণ।
একই সঙ্গে চতুর্থ স্তর বসানো হবে ভার্ন স্ট্যান্ডের ওপর।
ক্রিকেটের আইন প্রণেতা মেরিলবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) বলছে, পুনঃসংস্কারে
অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হচ্ছে। ক্লাবটির সদস্যদের ভোটে গত সপ্তাহে
পাশ হয় পুনর্নির্মাণ প্রকল্প। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চলতি বছর সেপ্টেম্বরে শুরু
হওয়ার কথা লডর্সের পুনর্নির্মাণ কাজ।
চলতি বছরের শুরুতে লর্ডস ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানায়
মিডলসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব। এ ক্লাবটি মূলত ক্রিকেটের আইন প্রণেতা এমসিসির অধীনে
পরিচালিত হয়।
এর আগে ২০২১ সালে লর্ডসের কম্পটন ও এদরিচ স্ট্যান্ড পুনঃসংস্কার
করা হয়। তখন ব্যয় হয়েছিল ৫ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭৭৬ কোটি
৫ লাখ টাকা।
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের
চতুর্থ ম্যাচে আজ শুক্রবার মাঠে
নামছে বাংলাদেশ দল। প্রথম তিন
ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ
নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা।
চতুর্থ এই ম্যাচটি মিরপুর
শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে
শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। যে
কারণে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই
এই সিরিজ খেলছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে সিরিজে
সবচেয়ে বড় আলোচনায় দলের
টপ অর্ডার। লিটন দাস-শান্তরা
রান খরায় ভুগছেন। গতকাল
সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য পেসার তাসকিন আহমেদ বলছিলেন, ‘ব্যাটিং বা বোলিং যেদিনই
খারাপ হয় বাইরের সমর্থক
বা বাইরের যারাই আছেন, সবার থেকে বেশি
হতাশ কিন্তু আমরা হই। কারণ,
দিন শেষে আমাদেরই খেলতে
হয় এবং আমরা কিন্তু
ধারাবাহিকভাবে কাজ করেই যাচ্ছি
যে কীভাবে আমাদের ব্যাটিং-বোলিং আরও উন্নতি করা
যায়।’
জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে খেলে আবার মিথ্যা
আত্মবিশ্বাস যোগ হচ্ছে কিনা?
এমন প্রশ্নে তাসকিন বলেন, 'আসলে ফেইক (মিথ্যা)
কনফিডেন্স নয়। ভালো করলে
যেকোনো জায়গায়ই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। হ্যাঁ, হয়তো আমরা জানি
না যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশন কেমন হবে। ড্রপ
ইন উইকেটে খেলা হতে পারে।
আমাদের বেশির ভাগ খেলোয়াড়েরই যুক্তরাষ্ট্রে
খেলার অভিজ্ঞতা কম। ওইভাবে মানিয়ে
নিতে হবে।'
মন্তব্য করুন
ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা কোনটি? এমন প্রশ্নের জবাবে
যে কেউ খুব সহজেই ‘ফুটবল’ নামটি সবার আগে বলবে। আর তাই এবার সেই ফুটবলের জন্য বিশেষ
দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। আর এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন এক বিস্ময়।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র যেখানে ১৯৩টি। সেখানে ফিফার সদস্য ২১১
টি দেশ। এমনই তুমুল জনপ্রিয় আর সর্বজনবিদিত এই খেলার জন্য এবার মে মাসের ২৫ তারিখ বিশ্ব
ফুটবলের দিবস ঘোষণা করেছে।
ইএসপিএনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে
সদস্যদেশগুলোর ভোটে চলতি বছর থেকে বিশ্ব ফুটবল দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ফুটবল দিবস হিসেবে ২৫ মে নির্ধারণ করার পেছনেও আছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব।
১৯২৪ সালের একই তারিখে মেতে প্যারিসে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ফুটবল ইভেন্ট শুরু হয়েছিল।
সেটি ছিল ফুটবলে বিশ্বের সব অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব থাকা প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট।
এমন ঐতিহাসিক দিবসের ১০০ বছর পূর্তিতে পালন করা হবে বিশ্ব ফুটবল দিবস।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্ব ফুটবল দিবসের রেজল্যুশন উপস্থাপন
করেন জাতিসংঘে লিবিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি তাহের এল-সনি। রেজ্যুলেশন উপস্থাপনায় তিনি
বলেন, এটি নিছক একটি খেলার চেয়েও বেশি কিছু, যা সব বয়সীরা রাস্তায়, গ্রামে, স্কুলে
এবং পল্লিতে আনন্দের জন্য ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে খেলে থাকে।
তিনি বলেন, 'বিশ্বের খেলাধুলা অঙ্গনে ফুটবলের ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী
অবস্থান’ আছে। ‘জাতীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক-অর্থনৈতিক বাধা কাটিয়ে ফুটবল বিশ্বজুড়ে
সর্বজনীন ভাষা হিসেবে কাজ করে।’
রেজ্যুলেশনে ফুটবলের বৈশ্বিক পরিধি এবং বাণিজ্য, শান্তি ও কূটনীতির মতো বিভিন্ন সামাজিক
খাতে এর প্রভাবকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। সেইসঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে ফুটবলের
ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ফুটবলের উন্নয়ন ও প্রসারে খেলার নিয়ন্ত্রক
সংস্থা ফিফার মূলনীতি এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও জাতীয় ফুটবল সংস্থার কার্যক্রমের কথা উল্লেখ
ছিল সেই রেজ্যুলেশনে।
ডেনিস ফ্রান্সিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদে ১৯৩টি সদস্যদেশ
সর্বসম্মতিক্রমে ২৫ মে বিশ্ব ফুটবল দিবসের পক্ষে ভোট দেয়। বিশ্ব ফুটবল দিবসের রেজল্যুশনে
সব দেশ, জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, একাডেমিয়া, সুশীল সমাজ এবং প্রাইভেট
সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিশ্ব ফুটবল দিবস পালনের আহ্বান জানানো হয়।
ক্রীড়াঙ্গন বিস্ময় ‘বিশ্ব ফুটবল দিবস’
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার বড় চিন্তার নাম ছিল ইনজুরি। আইপিএলে নাম লিখিয়েও খেলেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আবার মাথিশা পাথিরানা টুর্নামেন্টের মাঝপথে এসে বিদায় জানিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসকে। তবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ঠিকই দেখা গেল দুই তারকাকে। নিজেদের সেরা সব তারকাকেই বিশ্বকাপের জন্য জড় করেছে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।
শক্তিশালী এই স্কোয়াডে অভিজ্ঞতার পুরো মূল্যায়নই করেছে লংকান ক্রিকেট বোর্ড। অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাশুন শানাকা, দুশমান্থ চামিরাদের নিয়ে শক্ত স্কোয়াড দাঁড় করিয়েছে তারা। রিজার্ভেও আছে ভানুকা রাজাপাকসের মতো হার্ডহিটার আর বিজয়কান্থ বিশ্বকান্থের মতো রহস্যময় স্পিনার।
যথারীতি দলের অধিনায়ক থাকছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আর সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকবেন চারিথ আসালাঙ্কা। নিজের ৬ষ্ঠ আসরে খেলতে যুক্ত হচ্ছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। পুরো দলে সাবেক আর বর্তমান অধিনায়কদের মেলাই বসিয়েছে দলটি। সাবেক অধিনায়কদের মধ্যে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের পাশাপাশি আছেন দাশুন শানাকা। এছাড়া বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস আর বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও আছেন বিশ্বকাপের দলে।
পুরো দলে চমক বলতে গেলে দুনিথ ভেল্লালাগে। ২১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার জাতীয় দলের জার্সিতে এখন পর্যন্ত একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেননি। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করে জায়গা পেয়ে গিয়েছেন নুয়ান থুসারাও। তিনি যাচ্ছেন ৮ টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে।
এবারের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে নিজেদের প্রবল এই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের। গ্রুপ-ডি তে লঙ্কানরা আছে টাইগারদের সঙ্গেই। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কার গ্রুপেও আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডস। জুনের ৩ তারিখ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে পরের ম্যাচ ৮ জুন। এরপর ১২ জুন নেপাল ও ১৭ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে দলটি।
বিশ্বকাপ তারকা স্কোয়াড শ্রীলঙ্কা
মন্তব্য করুন
চ্যাম্পিয়নস
লীগে রিয়ালের ম্যাচ মানেই যেন নাটকীয়তা। আর এই নাটকীয়তার আরেকবার প্রমাণ দিল ‘দ্য গ্যালাক্টিকো’রা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) চ্যাম্পিয়নস লীগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে জার্মান জায়ান্ট
বায়ার্ন মিউনিথকে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ২-১ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা।
ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও শেষ ৩ মিনিটে হোসেলুর করা ২ গোলে শেষ পর্যন্ত ফাইনালের পথে পা
দেয় রিয়াল।
এতে
দুই লেগ মিলিয়ে বায়ার্নকে ৪:৩ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনাল নিশ্চিত করে
রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী ১
জুন যুক্তরাজ্যের ওয়েম্বলি স্টোডিয়ামে ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
তবে,
এ ম্যাচটা এগোচ্ছিল অনেকটা
ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বনাম মানুয়েল নয়্যার
লড়াইয়ের আবহে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিল দুজনের
একজন হতে যাচ্ছেন ম্যাচের
নায়ক। তবে ভিনিসিয়ুস বা
নয়্যার নন, রিয়াল-বায়ার্ন
চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল দ্বিতীয়
লেগের নায়ক বদলি নামা
হোসেলু।
৩৪
বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারই
এক গোলে পিছিয়ে থাকা
রিয়াল মাদ্রিদকে ৩ মিনিটের মধ্যে
এনে দিয়েছেন দুই গোল। শেষ
দিকের মহামূল্যবান যে দুটি গোল
রিয়ালকে তুলে দিয়েছে চ্যাম্পিয়নস
লিগের ফাইনালে।
ম্যাচের
৬৮ তম মিনিটে আলফানসো ডেভিসের করা দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। এতে আশায় বুক
বাধে বায়ার্ন সমর্থকরা। কিন্তু তারও ছিল শঙ্কা। কেননা বরাবরই শেষ মুহুর্তে যে কোন কিছু
ঘটাকে অভ্যস্ত রিয়াল। এর আগেও ২০২১-২২ মৌসুমের সেমিফাইনালে শেষ ১০ মিনিটের করা ৩ গোলে
ম্যান সিটিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল দলটি। এবারও ঠিক হলো তাই।
ম্যাচের
৮১ মিনিটে ভালভার্দের বদলি হিসেবে নামেন হোসেলু। আর মাঠে নেমেই ৮৮ মিনিটে রিয়ালকে ঘুরে দাঁড়ানোর সেই
মুহূর্তই এনে দেন হোসেলু।
ভিনিসিয়ুসের শট সোজাসুজি হাতেই
পেয়েছিলেন বায়ার্ন গোলকিপার নয়্যার। কিন্তু এর আগ পর্যন্ত
চারটি গোলের সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দেওয়া নয়্যার
এ দফায় বল হাত
ফসকে ফেলেন। সুযোগসন্ধানী হোসেলু খুব কাছে থাকায়
বল জালে জড়াতে একদমই
ভুল করেননি।
পরের
গোলটি আসে ৯১তম মিনিটে।
তাও নাটকীয়ভাবে। নাচোর কাছ থেকে পাওয়া
বল আন্টনি রুডিগার বাড়ান হোসেলুর দিকে, যিনি বল জালে
জড়িয়ে উল্লাস শুরু করতে না
করতেই অফসাইডের পতাকা তোলেন রেফারি। তবে ভিএআর চেকে
দেখা যায় রুডিগার-হোসেলু
দুজনই অনসাইডে ছিলেন। পুরো রিয়াল মাদ্রিদ
ডাগআউট গোলের আনন্দে মাঠে ঢুকে পড়ে।
হোসেলু হয়ে ওঠেন উৎসবের
মধ্যমণি।
অথচ
ম্যাচের প্রথম ভাগ এবং দ্বিতীয়ার্ধের
বড় অংশজুড়ে একের পর এক
আক্রমণ করেও গোলের দেখা
মিলছিল না রিয়ালের। ঝাঁপিয়ে
পড়লেও কিছুই করার ছিল না
লুনিনের। তবে শেষ পর্যন্ত
রিয়ালকে ওই গোল হজমের
স্তব্ধতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে
হয়নি। কারণ, শেষ দিকে একজন
হোসেলু ছিলেন মাঠে!
চ্যাম্পিয়নস লীগ সেমিফাইনাল রিয়াল বায়ার্ন
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার বড় চিন্তার নাম ছিল ইনজুরি। আইপিএলে নাম লিখিয়েও খেলেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আবার মাথিশা পাথিরানা টুর্নামেন্টের মাঝপথে এসে বিদায় জানিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসকে। তবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ঠিকই দেখা গেল দুই তারকাকে। নিজেদের সেরা সব তারকাকেই বিশ্বকাপের জন্য জড় করেছে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।
চ্যাম্পিয়নস লীগে রিয়ালের ম্যাচ মানেই যেন নাটকীয়তা। আর এই নাটকীয়তার আরেকবার প্রমাণ দিল ‘দ্য গ্যালাক্টিকো’রা। বৃহস্পতিবার (৯ মে) চ্যাম্পিয়নস লীগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিথকে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ২-১ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা। ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও শেষ ৩ মিনিটে হোসেলুর করা ২ গোলে শেষ পর্যন্ত ফাইনালের পথে পা দেয় রিয়াল।