এবার নায়ক হতে পারেননি করিম বেনজিমা। বরং গোল করার আগে একটি পেনাল্টি মিস
করে খলনায়ক বনে গেছেন এই ফ্রেঞ্চ তারকা।
৪১ মিনিটে বক্সে হ্যান্ডবল করেন আল আহলির মোহামেদ আবদেলমোনেম। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট
রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি পেনাল্টির রায় দেওয়া পর স্পটকিকে পোস্টের বাঁ দিকে ডান পায়ের
শট নিয়েছিলেন বেনজেমা। কিন্তু সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের শট রুখে দেন আল আহলির
গোলকিপার মোহামেদ এল শেনওয়ে। বিরতির পর তিন মিনিটের ব্যবধানে আরো দুই গোল করে আল ইত্তিহাদকে
ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেয় মিশরীয় ক্লাব আল আহলি।
৫৯ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করে স্কোর ২-০ করেন হুসেইন আল শাহাত।
দুই মিনিট পর ব্যবধান ৩-০ করেন ইমাম আশাউর। ৯০ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ
ছেড়েছেন আল আহলির অ্যান্থনি মোডেস্টে। দুই মিনিট পর অবশেষে ম্যাচে লক্ষ্যভেদ করেন বেনজিমা।
কিন্তু ৯২ মিনিটে তাঁর করা গোলটি সৌদি প্রো লিগের চ্যাম্পিয়ন আল ইত্তিহাদের হারের ব্যবধানই শুধু কমিয়েছে। প্রথমার্ধে তিনি পেনাল্টি থেকে গোল
করতে পারলে ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারতো! ইএসপিএন
ফুটবল ক্লাব ফুটবল ইত্তিহাদ বেনজিমা সৌদি প্রো লিগ
মন্তব্য করুন
জিতলেই ফাইনালে, হারলে এলিমিনেটরে- এমন সমীকরণের সামনে দাড়িয়ে আজ আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে কলকাতা নাইট রাইডার্স এর মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। যেখানে কলকাতার সামনে টিকতেই পারেনি অরেঞ্জ আর্মিরা।
বোলারদের দাপটে আর ব্যাটারদের নৈপুণ্যে সহজে ম্যাচ জিতে এবারের আসরের প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পা রাখল কলকাতা। আর কলকাতার কাছে হেরে কামিন্সদের অপেক্ষা করতে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জন্য।
২০২১ সালের পর আবার আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেট হারিয়ে দিলেন শ্রেয়স আয়ারেরা। প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন মিচেল স্টার্ক। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে কেকেআরকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন ২৫ কোটির বোলার। হায়দরাবাদ ১৫৯ রানের জবাবে কেকেআর ১৩.৪ ওভারে ২ উইকেটে করল ১৬৪ রান।
এদিন টস জিতে আমদাবাদের ২২ গজে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কামিন্স। প্রায় সব দলকে ভোগানো ট্রেভিস হেড-অভিষেক শর্মার ওপেনিং জুটি কোয়ালিফায়ারে ব্যর্থ হল। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই হেডের (শূন্য) স্টাম্প ছিটকে দেন স্টার্ক। দ্বিতীয় ওভারে অভিষেককে (৩) আউট করেন বৈভব অরোরা। ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। স্টার্ক প্রতিপক্ষকে আরও কোণঠাসা করে দিলেন নিজের তৃতীয় ওভারে। শেষ দু’বলে পর পর আউট করলেন নীতীশ কুমার রেড্ডি (৯) এবং শাহবাজ় আহমেদকে (শূন্য)। স্টার্ক অবশ্য হ্যাটট্রিক পেলেন না। ১৯তম ওভারে তাঁর হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা নষ্ট করে দেন কামিন্স। হায়দরাবাদের ব্যাটারদের দেখে প্রথম থেকেই বোঝা যাচ্ছিল চাপে রয়েছেন। খুচরো রান নেওয়ার ক্ষেত্রেও ঠিক মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না তাঁরা।
৯ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর হায়দরাবাদকে লড়াইয়ে ফেরান তিন নম্বরে নামা রাহুল ত্রিপাঠী এবং ছ’নম্বরে নামা হেনরিখ ক্লাসেন। পঞ্চম উইকেটে জুটিতে আগ্রাসী মেজাজে তাঁরা তুললেন ৬২ রান। পাল্টা আক্রমণের জন্য হায়দরাবাদের দুই ব্যাটার মূলত বেছে নিয়েছিলেন সুনীল নারাইনকে। বিশেষ করে ক্লাসেনকে আটকাতে পারছিলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অলরাউন্ডার। এ সময় শ্রেয়সের এক চালে সাজঘরে আবার লড়াইয়ে ফেরে কেকেআর। আক্রমণে আনেন বরুণ চক্রবর্তীকে। তাঁর বলে ঠকে যান ক্লাসেন (২১ বলে ৩২)। জুটি ভাঙার পর নিজের ভুলে আউট হলেন রাহুলও।
৩৫ বলে ৭টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৫ রান করে আউট হন তিনি। নিজের ভুলে আউট হয়ে হতাশ রাহুল সাজঘরে ফেরার সিঁড়িতে মাথা নীচু করে বসেছিলেন বেশ কিছু ক্ষণ। তার সেই বসে থাকার ছবি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। এর পর আর হায়দরাবাদ তেমন রান তুলতে পারেনি। আবদুল সামাদ করেন ১২ বলে ১৬। শেষ দিকে ২টি করে চার এবং ছয়ের সাহায্যে কামিন্সের ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংস হায়দরাবাদকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয়। ৩ বল বাকি থাকতে ১৫৯ রানে শেষ হয় কামিন্সদের ইনিংস।
এ দিন কেকেআরের সব বোলার উইকেট পেলেন। সফলতম স্টার্ক ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ২৬ রানে ২ উইকেট বরুণের। ১৫ রানে ১ উইকেট রাসেলের। ১৭ রানে ১ উইকেট বৈভবের। ২৭ রানে ১ উইকেট নিলেন হর্ষিত রানা। নারাইনের ১ উইকেট এল ৪০ রান খরচ করে।
জয়ের জন্য ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা কেকেআর প্রথম থেকেই ছিল সাবলীল। নারাইন-রহমানুল্লাহ গুরবাজ়ের নতুন ওপেনিং জুটিও ভরসা দিলেন দলকে। আফগান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার করলেন ১৪ বলে ২৩ রানের ইনিংস। ২টি চার এবং ২টি ছক্কা এল তাঁর ব্যাট থেকে। নারাইন করলেন ১৬ বলে ২১। ৪টি চার মারলেন তিনি। আমদাবাদের ২২ গজে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেললেন বেঙ্কটেশ আয়ার, শ্রেয়সও। কামিন্সেরা তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারলেন না। ব্যাটিং ধস সামলাতে আগেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে এক জন অতিরিক্ত ব্যাটার নামাতে বাধ্য হয় হায়দরাবাদ। তাতে কামিন্সদের বোলিং আক্রমণও কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়। বেঙ্কটেশ ২৮ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকলেন। মারলেন ৫টি চার এবং ৪টি ছক্কা। শ্রেয়সও ৫টি চার, ৪টি ছক্কার সাহায্যে খেললেন ২৪ বলে ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস।
মন্তব্য করুন
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে তিন ম্যাচের এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে কোনমতে দেড়শ'র বেশি পুঁজি সংগ্রহ করেছে টাইগাররা।
এদিন অচেনা কন্ডিশন, পিচ সম্পর্কেও ধারণা নেই- এমন মাঠে বলের মতিগতি বুঝতেই খেই হারিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের বাজে শুরু এবং এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানরা অনেক সংগ্রামের পরও রান পাননি। শেষ পর্যন্ত তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যামিওতে টাইগাররা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তুলেছে।
টেক্সাসের হিউস্টনে চলমান বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ সরাসরি দেখা নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। শেষ পর্যন্ত সিরিজের আগেরদিন বিসিবি সেই দোলাচল কাটিয়ে দেশের বেসরকারি একটি চ্যানেলে খেলা দেখানোর কথা জানায়। ইতোমধ্যে যার সম্প্রচার মান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যেমন সম্প্রচার, তেমনই বিব্রতকর খেলা উপহার দিয়েছে টাইগাররা। একের পর এক ওভার-স্টেপ করে পাঁচটি নো বল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বোলাররা, তবে সেখান থেকে কোনো বাউন্ডারি পায়নি বাংলাদেশ।
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান (৪৭ বল) করেছেন তাওহীদ হৃদয়। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২২ বলে ৩১ রান করেছেন। টপ অর্ডারদের মধ্যে কেবল সৌম্য কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন, কিন্তু তার ইনিংসটাও বড় করতে পারেননি। অপরপ্রান্তে একের পর এক যাওয়া-আসার মিছিল করেছেন লিটন, শান্ত ও সাকিবরা।
এর আগে প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে প্রবল বাতাসের মাঝে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ফর্মে ফেরার চাপে থাকায় লিটন এদিন শুরুটা দেখেশুনেই করেন। ফর্মে থাকা তানজিদ হাসান তামিমের পরিবর্তে একাদশে ফিরলেও, তিনি নিজের পঞ্চম বলেই এডজ হয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে থাকা স্বাগতিক অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলের হাতে। যদিও সহজ সেই ক্যাচ অবিশ্বাস্যভাবে ফসকে গেছে। নতুন জীবন পেয়ে টাইগার ওপেনার পরের ওভারে ছয় হাঁকিয়েই ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দেন। কিন্তু সেই আলো অন্ধকারে মিলিয়ে যেতে থাকে তার একের পর এক নড়বড়ে শটে।
শেষ পর্যন্ত ১৫ বলে ১৪ রান করার পর লিটন ক্রস ব্যাট চালান জেসি সিংয়ের বলে। সেটি আঘাত করে লিটনের পায়ে, আম্পায়ার এলবিডব্লু আউট দেওয়ার পর সোজা হাঁটা দিয়েছেন টাইগার ওপেনার, সেখানে যে রিভিউ’র কোনো সুযোগ নেই। অবশ্য তাতে হয়তো লাভও হতো না, খালি চোখে যতটুকু আঁচ করা যায় মিডল ও অফ-স্টাম্প বরাবর ভেতরের পায়ে আঘাত করেছে বলটি।
ওই ওভারটিতে শান্ত আসার পর তিন বলই ডট দিয়েছেন, অর্থাৎ মেইডেনসহ এক উইকেট নিয়েছেন জেসি। অন্যপ্রান্তে থাকা সৌম্য খেলছিলেন ঠিকঠাক। লিটনের সহজাত সঙ্গ না পেলেও, নিজের মতো করে বাউন্ডারি খেলে তিনি রানের চাকা সচল রেখেছেন। কিন্তু লিটনের বিদায়ে ছন্দপতন হলো তারও। ডানহাতি অফস্পিনার স্টিভেন টেলরের গুড লেংথে ফেলা বলে উড়িয়ে মারেন সৌম্য। কিন্তু তাতে বেশি জোর ছিল না, ফলে তালুবন্দী হন বাউন্ডারিতে। বিদায়ের আগে এই বাঁহাতি ওপেনার করলেন ১৩ বলে ২০ রান। অল্প সময় ব্যবধানে আউট অধিনায়ক শান্তও। ১১ বলের সংগ্রামী ইনিংসে তিনি করলেন মাত্র ৩ রান।
একইভাবে ফর্ম ফিরে পাওয়ার লড়াই ছিল সাবেক অধিনায়ক সাকিবের সামনেও। কিন্তু সাকিব ১২ বলে ৬ রান করা অবস্থায় তিনিও রানআউট। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও হৃদয় মিলে ৬৭ রানের জুটি গড়ছিলেন। সেই জুটিই কিছুটা মান বাঁচিয়েছে টাইগারদের। ১৯তম ওভারে ডিপ মিডউইকেটে টেনে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন হৃদয়ও।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ মুহুর্তে এসে পৌঁছেছে আইপিএলের ১৭তম আসর। সেমিফাইনাল, এলিমিনেটর ও ফাইনাল মিলিয়ে আর মোট ৪ ম্যাচ বাকি। এর মধ্যে প্রথম সেমিফাইনালে আজ মাঠে নেমেছে কলকাতা ও হায়দরাবাদ। যেখানে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মঙ্গলবার (২১ মে) ফাইনালে ওঠার এই মহালড়াইয় অনুষ্ঠিত হচ্ছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
লিগ পর্বে হায়দরাবাদকে ৩ রানের হারিয়ে আসর শুরু করেছিল কালকাতা। তাই হায়দরাবাদের বিপক্ষে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই কলকাতা। এই ম্যাচ দিয়ে কলকাতার হয়ে চলতি আসরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে রাহমানুল্লাহ গুরবাজ।
অন্যদিকে লিগ পর্বের হারের প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করতে চাই কামিন্সের দল। আগের ম্যাচের একাদশ নিয়েই মাঠে নামছে হায়দরাবাদ।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একাদশ: ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, রাহুল থ্রিপাঠী, হেনরিক ক্লাসেন, নীতিশ রেড্ডি, আবদুল সামাদ, শাহবাজ আহমেদ, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), ভুবনেশ্বর কুমার, বিজায়কান্থ ভিয়াশান্থ ও টি-নটরাজন।
কলকাতা নাইট রাইডার্স একাদশ: রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), সুনীল নারিন, শ্রেয়াস আইয়ার (অধিনায়ক), ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিং, মিচেল স্টার্ক, ভাইভাভ আরোরা, হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী।
আইপিএল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ কলকাতা নাইট রাইডার্স
মন্তব্য করুন
আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ টেক্সাসের হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাঠে নামছে টাইগাররা।
সিরিজের এই প্রথম টি-২০ ম্যাচটি দু’দলের কাছে ঐতিহাসিক হতে যাচ্ছে। কারণ প্রথমবারের মত টি-২০ ফরম্যাটে দেখা হবে দু’দলের। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথম টি-২০ খেলার পর এরই মধ্যে এই ফরম্যাটে ২০টি দলের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র হবে বাংলাদেশের ২১তম প্রতিপক্ষ।
এই সিরিজ সরাসরি কোন চ্যানেলে খেলা যাবে সেটি গতকাল দুপুর পর্যন্তও নিশ্চিত ছিল না। তবে অবশ্য রাত নাগাদ মিলেছে সুখবর। বিসিবি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ টিটু জানিয়েছিলেন, যে ভাবেই হোক সরাসরি দেখা যাবে এই সিরিজ। পরে রাতেই বিসিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পরিস্কার করা হয় খেলা দেখার চ্যানেল সম্পর্কে। সরাসরি নাগরিক টিভিতে দেখা যাবে খেলা। এছাড়া অনলাইন প্লাটফর্ম হিসেবে দেখা যাবে টফি অ্যাপে।
আগামী ২ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আইসিসির মেগা আসরটিতে অংশ নেওয়ার আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২১, ২৩ ও ২৫ মে হবে সিরিজের ম্যাচগুলো।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অভিযান শুরু হবে ৭ জুন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে শান্তর দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে। ১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরবর্তীতে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
শেষ মুহুর্তে এসে পৌঁছেছে আইপিএলের ১৭তম আসর। সেমিফাইনাল, এলিমিনেটর ও ফাইনাল মিলিয়ে আর মোট ৪ ম্যাচ বাকি। এর মধ্যে প্রথম সেমিফাইনালে আজ মাঠে নেমেছে কলকাতা ও হায়দরাবাদ। যেখানে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মঙ্গলবার (২১ মে) ফাইনালে ওঠার এই মহালড়াইয় অনুষ্ঠিত হচ্ছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।