ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রোটিয়াদের হারিয়ে ভারতের সিরিজ জয়

প্রকাশ: ০৯:৩২ এএম, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ভারতের হয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে সাঞ্জু স্যামসন দলকে নিয়ে গেলেন তিনশর কাছে। আর্শদিপ সিং-ওয়াশিংটন সুন্দরদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এর ধারে কাছেও যেতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় ওয়ানডেতে অনায়াসে জিতে সিরিজ ঘরে তুলল ভারত।

পার্লে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ৭৮ রানে জিতেছে লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বাধীন দল। প্রতিপক্ষের ২৯৬ রান তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেমেছে ২১৮ রানে।

প্রমোশন পেয়ে তিনে নেমে ১০৮ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেছেন স্যামসন। তার সঙ্গে শতরানের জুটি গড়ার পথে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিলাক ভার্মা।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রায় একাই লড়াই করেছেন টন ডি জর্জি। তাকে কিছুটা সঙ্গ দেওয়া এইডেন মার্করাম ফিরেছেন অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নিয়ে। অধিনায়কের বিদায়ের পরই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়া শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার। পরে আর দলকে কক্ষপথে ফেরাতে পারেননি কেউ।

বোল্যান্ড পার্কে বৃহস্পতিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রজত পাতিদারকে হারায় ভারত। দুই অঙ্ক ছুঁয়েই ফেরেন আরেক ওপেনার সাই সুদার্শান। অনেকটা সময় ক্রিজে থাকলেও তেমন কিছু করতে পারেননি এই সিরিজে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া লোকেশ রাহুল।

 

মন্থর উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লম্বা একটা সময় রানের জন্য সংগ্রাম করে ভারত। সবচেয়ে বেশি ভুগছিলেন তিলাক ভার্মা। নিজের ৩৯তম বলে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পান এই তরুণ, চার মেরে ৯ থেকে পৌঁছান ১৩ রানে।

মাঝের ওভারগুলোতে সেভাবে স্ট্রাইক পাচ্ছিলেন না স্যামসন, কিন্তু ধৈর্য হারাননি তিনি। ১১ থেকে ৩০, এই ২০ ওভারে ভারত যোগ করতে পারে কেবল ৭৩ রান।

কঠিন সময় পার করে দিয়ে ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়ান তিলাক। স্বাগতিকদের স্পিন কিংবা পেস কিছুই ভাবাতে পারেনি স্যামসনকে। শুরু থেকেই আস্থার সঙ্গে খেলে যান তিনি।

৭৫ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম পঞ্চাশ ছুঁয়ে বেশিদূর যেতে পারেননি তিলাক। কেশভ মহারাজকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ধরে পড়েন সীমানায়। ভাঙে ১১৬ রানের জুটি। এতে ১ ছক্কা ও ৫ চারে তিলাকের অবদান ৭৭ বলে ৫২।

৬৬ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া স্যামসন গতি বাড়িয়ে ১১০ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক, ক্যারিয়ারে প্রথমবার। শেষ পর্যন্ত তিনি ফেরেন তিন ছক্কা ও ছয় চারে ১১৪ বলে ১০৮ রান করে।

মঞ্চ প্রস্তুত ছিল রিঙ্কু সিংয়ের জন্য। সেটা ভালোভাবেই কাজে লাগান বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যান। ২৭ বলে খেলেন ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস। শেষ দিকে ছোট্ট, কিন্তু কার্যকর দুটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন ওয়াশিংটন সুন্দর ও আর্শদিপ সিং।

 

লম্বা সময় ধীর ব্যাটিংয়ের পরও ভারতের রান তিনশ’র কাছে যাওয়ার পেছনে বড় অবদান শেষ ২০ ওভারে তাদের দারুণ ব্যাটিং, দায় আছে দক্ষিণ আফ্রিকার এলোমেলো বোলিংয়েরও। এই সময়ে ১৬৪ রান তোলে সফরকারীরা।

রান তাড়ায় টনি ডি জর্জির ব্যাটে শুরুটা ভালোই করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তার সঙ্গে ৫৯ রানের শুরুর জুটিতে রিজ হেনড্রিকসের অবদান ২৪ বলে ১৯।

রাসি ফন ডাসেনের দ্রুত বিদায়ের পর মার্করামের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটিতে দলকে টানেন ডি জর্জি। সুন্দরের বলে অহেতুক রিভার্স প্যাডলের চেষ্টায় মার্করাম উইকেট বিলিয়ে এলে ভাঙে বিপজ্জনক জুটি।

এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। খানিক পর ডি জর্জিও ফিরে গেলে শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল। ৮৭ বলে ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ডি জর্জি করেন ৮১ রান।

৪১ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

৯ ওভারে একটি মেডেন দিয়ে ৩০ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের সফলতম বোলার আর্শদিপ সিং। প্রথম ওয়ানডেতে ৩৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তিন ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা এই পেসার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ৫০ ওভারে ২৯৬/৮ (পাতিদার ২২, সুদার্শান ১০, স্যামসন ১০৮, রাহুল ২১, তিলাক ৫২, রিঙ্কু ৩৮, আকসার ১, ওয়াশিংটন ১৪, আর্শদিপ ৭*, আভেশ ১*; বার্গার ৯-০-৬৪-২, উইলিয়ামস ১০-০-৭১-১, বিউরান হেনড্রিকস ৯-০-৬৩-৩, মুল্ডার ৭-০-৩৬-১, মহারাজ ১০-২-৩৭-১, মার্করাম ৫-০-১৯-০)

 

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৫.৫ ওভারে ২১৮ (রিজা হেনড্রিকস ১৯, ডি জর্জি ৮১, ফন ডার ডাসেন ২, মার্করাম ৩৬, ক্লসেন ২১, মিলার ১০, মুল্ডার ১, মহারাজ ১৪, বিউরান হেনড্রিকস ১৮, উইলিয়ামস ২, বার্গার ১*; মুকেশ ৯-০-৫৬-১, আর্শদিপ ৯-১-৩০-৪, আভেশ ৭.৫-০-৪৫-২, ওয়াশিংটন ১০-০-৩৮-২, আকসার ১০-০-৪৮-১)

 

ফল: ভারত ৭৮ রানে জয়ী

 

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ ভারত ২-১ এ জয়ী

 

ম্যাচ সেরা: সাঞ্জু স্যামসন

 

সিরিজ সেরা: আর্শদিপ সিং


ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা   ওয়ানডে   সিরিজ   ক্রিকেট   সাঞ্জু স্যামসন   সেঞ্চুরি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসির হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ

প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সম্প্রতি তাদের হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। যেখানে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের ডানহাতি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। সেই সাথে নিউজিল্যান্ড সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সূর্যকুমারের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজমও।

বুধবার (১ মে) আইসিসির প্রকাশিত এই নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে এক ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে এগিয়েছেন তিনি। ১০ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে তার রেটিং এখন ৭৬৩। শীর্ষে থাকা সূর্যকুমারের চেয়ে এখনও ৯৮ পয়েন্ট পিছিয়ে বাবর। সূর্যকুমারের রেটিং ৮৬১।

৮০২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংলিশ তারকা ফিল সল্ট। ৭৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে বাবরের ওপেনিং পার্টনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেরা পাঁচের শেষ নামটা প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের। তার রেটিং পয়েন্ট ৭৫৫।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করে র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিন ধাপ এগিয়ে এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এখন ১৪ নম্বরে। লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে পাকিস্তান। সে ম্যাচে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি।

বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স। ২৯ ধাপ এগিয়ে ৬০ নম্বরে উঠে এসেছেন। পাকিস্তান সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫৫ নম্বরে।

সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না গেলেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন লিটন দাস। ব্যাটারদের মধ্যে এখন তিনি ২৯ নম্বরে। দেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা অবস্থানে। ৩২ নম্বরে আছেন অধিনায়ক শান্ত। তবে একধাপ পিছিয়েছেন সাকিব। আছেন ৭০ নম্বরে। এক ধাপ পিছিয়ে আফিফ আছেন সাকিবের ঠিক ওপরে।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আছেন ৩২ নম্বরে। দেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আছেন ২৪ নম্বরে।


আইসিসি   ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে দলটি।

লিগের প্রথম পর্বে ১১টির পাশাপাশি সুপার লিগ পর্বে ৩টিসহ চলতি ডিপিএলে টানা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে আবাহনী। দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে তারা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের জন্য আবাহনীর প্রথম সারির ১০ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন। এতে শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য একাদশ সাজাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল আবাহনী।

এ অবস্থায় শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তিনজন খেলোয়াড়কে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনুরোধ করে আবাহনী। আফিফ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব এবং তানভির ইসলামকে শেখ জামালের বিপক্ষে খেলার অনুমতি দেয় ক্রিকেট বোর্ড।

অপরদিকে, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ফেরায় শক্তি বাড়ে শেখ জামালের। এমন ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। জিয়াউর রহমান সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। ৫৬ বলে ৪৯ রান করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা সাকিব।

জবাবে তিন হাফ-সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৩ রান করে ম্যাচ জয়ের স্বাদ নেয় আবাহনী। দলের পক্ষে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৩ রান করেন আফিফ হোসেন। এছাড়া বিজয় ৬৭ এবং সৈকত অপরাজিত ৫৩ রান করেন।


ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট   আবাহনী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন যারা

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ও  জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দল এখন অবস্থান করছে চট্টগ্রামে। কারণ আর মাত্র একদিন পরেই সেখানে মাঠে গড়াবে এই দুই দলের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিসিবি।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার মাঠের আম্পায়ারসহ ম্যাচ অফিসিয়ালদের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে মাঠে অন-ফিল্ড আম্পায়ার, তৃতীয় আম্পায়ার এবং চতুর্থ আম্পায়ারসহ সবমিলিয়ে কাজ করবেন ৫ বাংলাদেশি। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

চট্টগ্রামে ৩ মে প্রথম ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন মাসুদুর রহমান মুকুল এবং তানভীর আহমেদ। টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত। এছাড়া চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন মোহাম্মদ মোর্শেদ আলী খান।

একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে সৈকতের সঙ্গে থাকবেন মুকুল অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে। মোর্শেদ আলীকে দেখা যাবে তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে। এছাড়া চতুর্থ আম্পায়ার থাকবেন তানভীর আহমেদ। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ে মুকুলের পরিবর্তে থাকবেন মোর্শেদ আলী।

এছাড়া শেষ দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও অন-ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ে থাকবেন সৈকত। সঙ্গী হিসেবে দেখা যাবে গাজী সোহেল ও তানভীর আহমেদকে। তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে চতুর্থ ম্যাচে থাকবেন তানভীর ও শেষ ম্যাচে সোহেল। দুই ম্যাচেই চতুর্থ আম্পায়ার থাকবেন মুকুল। প্রতিটি ম্যাচেই ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন শ্রীলঙ্কার রঞ্জন মদুগালে।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি   আম্পায়ার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

তবে কি সালাহ লিভারপুল ছাড়বেন?

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত শনিবার ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছিল লিভারপুল। তবে ম্যাচটিতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক কাণ্ডে। এদিন বদলি হিসেবে কেলতে নামার পূর্বে ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মোহাম্মদ সালাহ। যার ফলে গুঞ্জন উঠেছে, লিভারপুলে আর বেশিদিন থাকছেন না সালাহ। কারণ আর এক বছর পরেই লিভারপুলের সাথে চুক্তিও শেষ হতে যাচ্ছে সালাহর।

তবে চুক্তির শেষ বছরটা মোহাম্মদ সালাহ অন্তত এ্যানফিল্ডেই কাটাবেন বলে আশাবাদী লিভারপুল। স্কাই স্পোর্টস ও দ্য এ্যাথলেটিকের সূত্রমতে, ৩১ বছর বয়সী সালাহ এখনো লিভারপুল ছাড়ার কোন ইঙ্গিত দেননি। লিভারপুলেরও তাকে ছেড়ে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।

মিশরীয় এই তারকা গত শনিবার ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমি যদি আজ কোন কথা বলি তবে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠবে।’

এই মৌসুমের শুরুতে সৌদি পেশাদার ক্লাব আল ইত্তিহাদের কাছে ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে সালাহকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য লিভারপুলের আলোচনার বিষয়টি নিয়ে বেশ হইচই হয়েছে। যদিও লিভারপুল ওই সময় সব আলোচনাকে উড়িয়ে দিয়েছিল।

এ মৌসুমের শেষে অবশ্য ক্লপ লিভারপুল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আর এ কারণেই দলের বেশ কিছু সিনিয়র খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমার, সাদিও, মানে, করিম বেনজেমাদের দলে ভিড়িয়ে গত মৌসুমে সৌদি পেশাদার লিগ সারা বিশ্বে যেভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল এবারও তারা সেটা অব্যাহত রাখতে চায়। আর এ লক্ষ্যে তাদের প্রথম পছন্দ ইউরোপীয়ান শীর্ষ লিগে খেলা তারকা খেলোয়াড়রা।

এবারের মৌসুমে সালাহ ২৪ গোল করেছেন। যদিও জানুয়ারিতে আফ্রিকান নেশন্স কাপে খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ার কারনে সালাহ কিছুটা ফর্মহীনতা ভুগছেন। আর সালাহর এই গোলখরা লিভারপুলের ওপর প্রভাব ফেলেছে। ইতোমধ্যেই শিরোপা দৌড় থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে রেডসরা। ইউরোপা লিগ ও এফএ কাপ থেকে আগেই বিদায় ঘটেছে।

২০২২ সালে সালাহ লিভারপুলের সাথে যে তিন বছরের চুক্তি নবায়ন করেছিল তা শেষ হতে আর মাত্র এক বছর বাকি রয়েছে।


উয়েফা ইউরোপা লিগ   লিভারপুল   মোহাম্মদ সালাহ   ওয়েস্ট হ্যাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বার্নাব্যুতেই স্বাগতিক রিয়ালকে হারানোর হুমকি টুখেলের

প্রকাশ: ০২:১৯ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। যেখানে বায়ার্ন মিউনিখের ঘর থেকে সমতা নিয়ে ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। জমজমাট উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচটি শেষ হয়েছে ২-২ গোলে ড্রতে। যার জন্য সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বিতীয় লেগেই হবে চূড়ান্ত সমাধান।

এমন পরিস্থিতিতে বার্নাব্যুতেই স্বাগতিক রিয়ালকে হারানোর হুমকি দিয়ে রেখেছেন বায়ার্ন কোচ থমাস টুখেল। তিনি বলেন, ‘ফলাফল ফলাফলই। রিয়াল মাদ্রিদ এমনটা আগেও করেছে, দুই অর্ধে তারা দুটি চান্স পেয়েছে এবং দুটিতেই গোল। আমরা প্রথম কোনো প্রতিপক্ষ নই যে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। এটি এখন ফিফটি-ফিফটি লড়াই। জয়ের জন্য বার্নাব্যু কঠিন জায়গা, তবে হ্যাঁ আমি আশা করি আমরা সেখানে সুযোগ কাজে লাগাতে পারব।’

অন্যদিকে, বেলিংহ্যামের চোট এবং এই ম্যাচের ফর্ম নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি। তবে কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাজ থাকলেও প্রথম লেগের ফল নিয়ে তিনিও সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তার কণ্ঠে মুগ্ধতা ঝরেছে জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের জন্যও। সেই সাথে এদিন রিয়ালকে জোড়া গোলে সমতায় ফেরানো ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও এই সতীর্থের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আর এই ব্রাজিলিয়ানের এক গোলে অ্যাসিস্ট করেছিলেন ক্রুস। যা নিয়ে ভিনি বলেন, ‘এটি টনির পক্ষ থেকে উপহার, সে গোলটি দেওয়া আমার জন্য সহজ করে দিয়েছিল। এবার বার্নাব্যুতে ম্যাজিক দেখানোর পালা।’

রিয়াল-বায়ার্ন ম্যাচের ৭৫ মিনিটে বদলি হিসেবে জ্যুড বেলিংহ্যামকে তুলে নেন কোচ আনচেলত্তি। তাকে নিয়ে অস্বস্তি এবং ক্রুসকে নিয়ে রিয়াল ম্যানেজার জানান, ‘বেলিংহ্যাম ক্লান্ত ছিল, সে কারণে সে আর বেশিক্ষণ খেলতে পারছিল না। বেঞ্চেও আমাদের যথেষ্ট ভালো খেলোয়াড় আছে। তবে আশা করি সে (বেলিংহ্যাম) নিজের সেরা ফর্মে ফিরবে। আমার মনে হয় তার ইনজুরির সমস্যা রয়েছে, যা তার খেলায়ও প্রভাব ফেলেছে। টনি ক্রুস…তার জন্য কোনো শব্দ যথেষ্ট নয়। সে আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, টাইমিং এবং পাস অসাধারণ। অবশ্য তার পাস সবার জন্য নয়, কিন্তু ভিনির মুভমেন্ট খুবই স্মার্ট–অসাধারণ।’

প্রথম লেগের ফল নিয়ে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন এই ইতালিয়ান কোচ, ‘প্রথমার্ধে আমাদের রক্ষণশীল হতে হতো, তবে আমরা যেমনটা চাইনি তার বাইরে ঘটে গেছে। সে কারণে এ ধরনের জায়গায় আপনাকে ভুগতেই হবে, যা বিশ্বের সবাই জানে। আমি মনে করি এটা ভালো ফলাফল এবং সেকেন্ড লেগের জন্য আমাদের বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এটি এখনও সম্পূর্ণ খোলা (নিজেদের পক্ষে ফল নেওয়ার জন্য)।’

তবে এই ড্র মানতে পারছেন না বায়ার্নের মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা। তরুণ এই জার্মান তারকা বলেন, ‘ভালো খেলার পরও এই ফলাফল কিছুটা তিক্ত অনুভূতির। রিয়াল মাদ্রিদ যেকোনো পরিস্থিতি কেটে ওঠার সামর্থ্য আছে, যেখানে আপনি মনে করবেন যে প্রতিপক্ষ কিছুই করতে পারবে না। তবে আমরা মাথা উঁচুতে রাখছি এবং বার্নাব্যুতে নতুন লক্ষ্যে নামব।’

মিউনিখে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ড্র হয়েছে ২-২ গোলে। আগামী বুধবার (৮ মে) রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হবে দুই দলের ফিরতি লেগ। শেষ পর্যন্ত দুই অভিজাত দলের মধ্য থেকে কারা ফাইনালের টিকিট কাটবে, সেটি নিশ্চিত হবে রিয়ালের ঘরের মাঠে।


টমাস টুখেল   বায়ার্ন মিউনিখ   রিয়াল মাদ্রিদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন