ইনসাইড গ্রাউন্ড

বক্সিংয়ের এক লড়াকু, মাইক টাইসন

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৫ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

কুড়ি বছর বয়সী ছেলেটার ঘুঁষিগুলো জো-র চোয়ালে আছড়ে পড়তে থাকে বিদ্যুৎ ঝিলিকের মতন। শেষ ঘুঁষিটা ছিল বাঁ-হাতের আপারকাট। ব্যাস, টলমল করতে করতে জো বসে পড়লো। রেফরি তাড়াতাড়ি তার দাঁতের গার্ডটা খুলে নিলেন। পরের মুহূর্তেই পা ছুঁড়তে ছুঁড়তে সটান চিৎপটাং। নিয়মানুযায়ী রেফরি দশ গুণে ‘নকআউট’ ডিক্লেয়ার করলেন। প্রথম রাউন্ডেই মাত্র তিরিশ সেকেন্ডে খতম হয়ে গেলো ১৯৮৬ সালের বহু প্রতীক্ষিত জো, অর্থাৎ মার্ভিস ফ্রেজ়ার আর মাইক টাইসনের লড়াই।

মাইকেল জেরার্ড টাইসন। আমাদের বালক এবং কিশোর বয়সের আরেক হিরো। ক্যারিয়ারগ্রাফটা একবার শুনবেন নাকি? শুনুন তবে। মোট ৫৮টি হেভিওয়েট ফাইটে অংশগ্রহণ করেন মাইক। জেতেন ৫০টি। তার মধ্যে ৪৪টিই নকআউট। হেরেছেন ৬টিতে। তার মধ্যে দু’বার হোলিফিল্ডের কাছে। দু’টো লড়াইতে ওয়াকওভার পেয়েছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বীরা আসেইনি।

আনন্দমেলা বা স্পোর্টসস্টার থেকে কেটে ঘরে যখন এমন মারকাটারি তারকার পোস্টার লাগাতে গেলাম, মা রুখে দাঁড়িয়েছিল, ‘কিছুতেই ঐ মারকুটে, গুন্ডা ছেলেটার পোস্টার ঘরে রাখতে দেবো না!’ অগত্যা পড়ার টেবিলে কোন এক বইয়ের ফাঁকেই স্থান হয় চার ভাঁজে ভাঁজ করা মাইক টাইসন। হেভিওয়েট লড়াইয়ে মোট চুয়ল্লিশ জনকে নক আউট করেছেন আর নিজে নক আউট হয়েছেন তিনবার।

বর্ণময় চরিত্র। বক্সারদের মধ্যে সব থেকে ধনী। যাঁকে বক্সিং দুনিয়ার সম্রাট বলে মনে করা হতো, সেই ক্যাসিয়াস ক্লে ওরফে মোহম্মদ আলঅর রেকর্ড ভেঙে চুরমার করতেও সময় লাগেনি তাঁর।

নকআউটের তালিকায় সব থেকে বেশী সময় ধরে চলে টাইরেল বিগ্সের সঙ্গে লড়াইটা। আন্দাজ করতে পারেন কতক্ষণ চলেছিল? ২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড। এই নকআউটের তালিকায় ল্যারি হোমস, মাইকেল স্পিঙ্কস, টনি টাকার, ফ্র্যাঙ্ক ব্রুনোর মতন সব সুপারস্টার হেভিওয়েটরা ছিলেন।

প্রথম হারের মুখ দেখেন ১৯৯০ সালে, নিজের ৩৭ তম ম্যাচে, বুস্টার ডগলাসের কাছে। ডগলাসকে তখন বক্সিং দুনিয়া বুড়ো বলে ঘোষণা করে দিয়েছে। তখন তার বয়স তিরিশ আর টাইসন প্রায় চব্বিশ। এক মিনিট বাইশ সেকেন্ডে ডগলাসের বাঁ-হাতের জ্যাবটা বজ্রের মতন আছড়ে পড়ে তার চোয়ালে। মুহূর্তে ধরাশায়ী চ্যাম্পিয়ন।

এরপর আবার শুরু পরপর জয়যাত্রা। ১৯৯৬ সালে তাল কাটে। হার হয় ইভান্ডার হোলিফিল্ডের কাছে। এই হারের সাত মাসের মধ্যে আবার হোলিফিল্ডের মুখোমুখি হন।

নিজের থেকে চার ইঞ্চি বেশী উচ্চতার লৌহমানবের সঙ্গে কিছুতেই এঁটে উঠতে পারছিলেন না। হোলিফিল্ডের একটার পর একটা ঘুঁষিতে বাঁ-চোখ প্রায় বন্ধ। রিংয়ে যেন ধুঁকছেন তিনি। সেই চিতার ক্ষিপ্রতা উধাও। হলো কী?

তিন নম্বর রাউন্ডে বুঝে গেলেন হার নিশ্চিত। খেলার বয়স তখন তিন মিনিট। পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চির টাইসন জড়িয়ে ধরলেন হোলিফিল্ডকে। জনতা দেখলো হোলিফিল্ডের কানের কাছে তাঁর মুখ। মুহূর্তে হোলিফিল্ড ঝটকা দিয়ে তাঁকে ছিটকে দিয়েছেন। দেখা গেলো হোলিফিল্ডের রক্তাক্ত কান। টাইসন দাঁত দিয়ে কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছেন তাঁর বাম কানের লতি। ডিসকোয়ালিফাই হন। তারপরেও আবার জেতেন। জীবনের শেষ দুটি ম্যাচও হেরেই বিদায় নেন।

২০০৫ এ শেষ ম্যাচ হারেন কেভিন ম্যাকব্রাইডের কাছে। যাঁরা ম্যাচটা দেখেছেন, তাঁরা জানেন ম্যাচটায় পুরনো টাইসনের এক অংশ ছায়াও ছিল না। সেই ক্ষিপ্রতা নেই, নেই সেই পাঞ্চ, সেই আগ্রাসী মনোভাব, নেই লড়াই করতে করতে সমানে নেচে যাওয়া, প্রতিপক্ষকে জিভ ভেঙানো আর তার পরের মুহূর্তেই তার মুখে বাঁ-হাতের সেই বিধ্বংসী জ্যাব।

টাইসন স্বীকার করেছিলেন, লড়াইটা তিনি অর্থ রোজগার করতেই করেছেন। বাজারে তাঁর তখন বহু টাকার ঋণ ছিল। কী করে হলো? এতো ধনী একজন খেলোয়াড়ের ঋণ হলো কী করে?

খেলোয়াড়ি জীবনে বহু বিতর্কে জড়িয়েছেন। নিজের প্রথমা স্ত্রী তথা অভিনেত্রী রবিন গিভেনসকে। এক ঘুঁষিতে নকআউট করে দিয়েছিলেন। গণ্ডগোল কী নিয়ে হয়েছিল, শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। সন্তানসম্ভবা রবিনের মিসক্যারেজ হয় আর তারপর থেকেই টাইসন তার ওপর অত্যাচার শুরু করেন। প্রথমে মানসিক আর তারপরে শারীরিক অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।

রবিন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মাইকেলের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি দিন তখন হয়ে উঠেছিল ভয়ঙ্কর। মনে হতো এইবার বোধহয় খুন হয়ে যাবো।’ ১৯৮৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। খোরপোশ এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ টাইসনকে দিতে হয় একশো পঁচিশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরপরে রবিন ব্র্যাড সিটের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান, সে গল্প অন্য। আর টাইসনও এরপর দুবার বিয়ে করেন।

১৯৯১ এর জুলাই মাসে গ্রেফতার হন টাইসন। এবার অপরাধ আরো গুরুতর। আঠেরো বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ সুন্দরীকে হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ছ-বছর জেল হয় তাঁর, শেষে তিন বছর পর প্যারোলে মুক্তি পান।

তাতেও জেল খাটার ভাগ্য শেষ হলো না। আবার গ্রেফতার হলেন ২০০৬ সালে, কোকেন সঙ্গে রাখার জন্য। কিছুদিন পরে আবার মুক্তি।

এখানে আরেকটা বিতর্কিত বিষয় আছে, বলে রাখি। শোনা যায় এই তিন বছরের জেল জীবনকালে তিনি ধর্মান্তরিত হন। তাঁর নতুন নাম হয় মালিক আব্দুল আজিজ। তবে এই তথ্য স্বীকৃত নয়।

টাইসনের সন্তানসন্ততির সংখ্যা আট। টাইসন এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি একজন হেরে যাওয়া মানুষ। আমার জীবনে ভালো কিছু ঘটেনি। আমি সব কিছু ছেড়ে পালাতে চাই। ধর্মকর্মে মন দিতে চাই।’

বন্ধুরা, একটা ব্যাপারে আপনারা হয়তো আমার সঙ্গে একমত হবেন, সাফল্য সকলের মাথাই ঘুরিয়ে দেয়। স্ব-স্ব-ক্ষেত্রে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে নিজেকে সংযত রাখা খুব কঠিন কাজ। ম্যারাডোনা পারেননি, পেলে পারেননি, জর্জ বেস্ট, ব্রায়ান লারা, কাম্বলি, ইমরান খান, ভিভ রিচার্ডস, জন ম্যাকেনরো, রাজেশ খান্না – আরো আছে অজস্র নাম। এই কারণেই শচীন টেন্ডুলকাররা কোটিতে একজনই হন।


মাইক টাইসন   বক্সিং   জো   মাইকেল জেরার্ড টাইসন   হোলিফিল্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় ফোডেন

প্রকাশ: ০৭:৩২ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। রোববার মৌসুমের শেষ দিনে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে জিতলেই প্রথম দল হিসেবে টানা চতুর্থবার প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে ম্যানসিটি। এই যাত্রায় দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছেন ফোডেন।

২০২৩-২৪ আসরে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ফোডেনের নাম শনিবার (১৮ মে) ঘোষণা করেছে প্রিমিয়ার লিগ। সেরা হওয়ার পথে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ম্যানচেস্টার সিটি সতীর্থ আর্লিং হাল্যান্ড, নিউক্যাসলের আলেক্সান্দার ইসাক, আর্সেনালের মার্টিন ওডেগার্ড ও ডেকলান রাইস, চেলসির কোল পালমার, লিভারপুলের ভার্জিল ফন ডাইক ও অ্যাস্টন ভিলার ওলি ওয়াটকিন্সকে।

চলতি মৌসুমে পেপ গার্দিওলার আস্থাতেই ছিলেন ফোডেন। আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন। ৩৪ ম্যাচে সিটির জার্সিতে নেমে ২৫ গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন। নিজে গোল করেছেন ১৭টি, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৮টি। মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্সে চলতি মাসে দ্বিতীয়বার সেরার স্বীকৃতি পেলেন ফোডেন। মাসের শুরুতে ইংল্যান্ডের ফুটবল লেখক সমিতির বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।

প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরার স্বীকৃতি পেয়ে গর্বিত ফোডেন। তিনি বলেন, এই পুরস্কার আমার কাছে এমন এক অর্জন, যা নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। প্রিমিয়ার লিগ বিশ্বের সেরা লিগ হিসেবে সমাদৃত। অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড়ের সঙ্গে মনোনীত হতে পেরে আমি আনন্দিত। সব মিলিয়ে এই মৌসুমে আমি যেভাবে খেলেছি, তাতে খুব খুশি এবং এটা ভেবে খুব আনন্দিত যে মৌসুমজুড়ে গোল করা ও গোলে সহায়তায় অবদান রাখতে পেরেছি। আমি সিটির সব স্টাফ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ, তাদের ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। যারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরার পুরস্কার এনিয়ে টানা পঞ্চমবার জিতলো সিটির খেলোয়াড়রা। ফোডেনের আগে একবার করে রুবেন দিয়াস ও আর্লিং হাল্যান্ড এবং ডি ব্রুইনে জিতেছেন দুইবার।


ফিল ফোডেন   ম্যানচেস্টার সিটি   ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শিরোপার লড়াইয়ের মীমাংসায় মাঠে নামছে ম্যানসিটি ও আর্সেনাল

প্রকাশ: ০৬:২৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রিমিয়ার লিগ শেষ মুহূর্তে এসে জমে উঠলেও শিরোপার সমীকরণ এখনও মেলাতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনাল। একে অপরকে রীতিমতো টেক্কা দিয়েই চলেছে এই দুই ক্লাব। যদিও গানারদের চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়েই আছে সিটিজেনরা।

তবে আজ রাতেই এই লড়াইয়ের মীমাংসা হয়ে যাবে। শিরোপার লড়াইয়ে রাতে আলাদা আলাদা ম্যাচে মাঠে নামবে আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি। আজ (রোববার) রাত ৯টায় ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। আর অন্য ম্যাচে এভারটনকে চ্যালেঞ্জ জানাবে আর্সেনাল।

লিগে এখন ৩৭ ম্যাচে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে ম্যানসিটি। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট আর্সেনালের। ৭৯ পয়েন্টের অধিকারী লিভারপুল শিরোপার দৌড় থেকে ছিটকে গেছে আগেই।

প্রায় দুই দশক পর লিগ শিরোপার স্বাদ নিতে এভারটনের বিপক্ষে আর্সেনালের জিততেই হবে, পাশাপাশি ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে হারতে হবে ম্যানচেস্টার সিটিকে। সে তুলনায় ম্যানসিটির সমীকরণটা সহজ, ৩৮তম ম্যাচে জিতলেই আর কিছুর হিসাব মেলাতে হবে না গার্দিওলার শিষ্যদের।

এদিকে চ্যাম্পিয়ন যেই হোক, কত টাকা পাবে তারা? রানার্সআপদের জন্যই বা বরাদ্দ কত? মার্কার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চ্যাম্পিয়নরা পাবে ৫৭ মিলিয়ন ইউরো, টাকার হিসাবে যা প্রায় ৭২৩ কোটি।

অপরদিকে আর্সেনাল যদি হোঁচট খায়, তবে তারা পাবে ৫২ মিলিয়ন ইউরো। লিভারপুল এরই মধ্যে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করে ফেলেছে। তারা পাবে ৫০ মিলিয়ন ইউরো। চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলা পাবে ৪৭ মিলিয়ন ইউরো।


ম্যানচেস্টার সিটি   আর্সেনাল   প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিরল মেসি, জিতল মায়ামি

প্রকাশ: ০৫:২১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত ম্যাচে চোটের কারণে দলের সাথে ছিলেন না লিও মেসি। যার জন্য হেরেছিল তার দল। তবে পরের ম্যাচে যেমনি তিনি দলে ফিরলেন তেমনই জিতল ফ্লোরিডার ক্লাবটি। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ১৪ তম ম্যাচডে তে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে মেসির দল।

রোববার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় (বাংলাদেশ সময়) নিজেদের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ডিসি ইউনাইটেডকে আতিথ্য দেয় মায়ামি। ইস্টার্ন কনফারেন্স স্লটের এই ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে মেসি-সুয়ারেজরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই দলগতভাবে ইন্টার মায়ামি দাপট দেখালেও জালে বল পাঠাতে পারছিলেন না কেউই। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা হয়তো গোলশূন্য ড্রয়েই শেষ হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের শেষে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে গোল করে চমক দেখান কাম্পানা। মাঝমাঠ থেকে বুসকেতসের বাড়ানো বলকে দুর্দান্ত ভলিতে জালে জড়ান ইকুয়েডরিয়ান এ ফরোয়ার্ড।

উল্লেখ্য, লিগে ১৫ ম্যাচে ৯ জয় ৪ ড্র ও ২ হারে মায়ামির পয়েন্ট ৩১। এক ম্যাচ কম খেলা সিনসিনাটির পয়েন্ট ৩০। মায়ামির পরবর্তী ম্যাচ আগামী রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায়। সেই ম্যাচে ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে মাঠে নামবে মেসিরা।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মে রোহিতের মত কোহলিরও ‘না’

প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ম্যাচের মাঝে যেকোনো সময় একজন ক্রিকেটারকে বদলে ফেলতে পারবে দু’টি দল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত আসর থেকে শুরু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নামে এই নিয়ম। এই নিয়ম আসার পর আইপিএলে বদলেছে অনেক কিছুই। যেমন- এখন আর প্রথম একাদশ বেছে নিলেই হয় না। বেছে নিতে হয় একজন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও। তাই এখন ১১ জন নয়, বরং ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। যেদিন থেকে আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম এসেছে, সেদিন থেকে অলরাউন্ডারের প্রয়োজন কমে যাবে কি না সবার মনে এই একটাই প্রশ্ন ছিলো।

তবে এখন  প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় দলে এই নিয়মের কোন প্রভাব পড়ছে কি না, সেই নিয়ম কি বিপদে ফেলছে ভারতীয় দলকেই, নাকি হচ্ছে সুবিধা? আইপিএলের এই নিয়মটা পছন্দ না ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার। সম্প্রতি রোহিত ক্লাব ফ্রেইরে পডকাস্টে বলেছিলেন তার ভাবনার কথা। এবার রোহিতের সঙ্গেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ইস্যুতে নিজের সুর মিলিয়েছেন ভিরাট কোহলি।

কোহলি বলেন, চার-ছক্কা হলেই ম্যাচ জমে না। ব্যাটসম্যান ও বোলারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গা থাকলেই ক্রিকেট হয়ে ওঠে আনন্দদায়ক। জিও সিনেমায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ভিরাট। রোহিতের কথায় সমর্থন জানিয়ে কোহলি বলেন, আমি রোহিতের সঙ্গে একমত। খেলার একটা দিক হচ্ছে বিনোদন, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে কোনো সমতা থাকছে না। এ অবস্থায় বোলারদের খারাপ লাগারই কথা। আমি আগে কখনো এমন পরিস্থিতি দেখিনি, যেখানে একজন বোলারকে প্রতিটি বলে চার বা ছয় হজমের কথা ভাবতে হচ্ছে। সব দলে তো আর বুমরাহ কিংবা রশিদ খান নেই।

কোহলি আরও বলেন, একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিয়মটা আমি ভালো বলতে পারি। কিন্তু ম্যাচ তো জমজমাট হতে হবে। ক্রিকেটে চার-ছক্কা হলেই যে ম্যাচ জমে ব্যাপারটা এমন না। ১৬০ রান ডিফেন্ড করতে পারলেও কিন্তু ম্যাচ জমে, সেখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আবহ দর্শকরা উপভোগ করতে পারে।

উল্লেখ্য, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মে আছে, কোনো খেলোয়াড় আউট হয়ে গেলে তার পরিবর্তে নামা কেউ ব্যাট করতে পারবেন। তবে ১১ জনের বেশি ব্যাট করতে পারবেন না। আবার বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও যদি কোনো প্লেয়ারের কোটা শেষ হয়ে যায়, তাহলে বদলি হিসেবে নামা একজন পূর্ণ ৪ ওভার বল করতে পারবেন। মূলত, এই সিস্টেমে ক্রিকেটে অলরাউন্ডারদের ভূমিকা কমছে। সুবিধামত সময়ে অতিরিক্ত একজন পূর্ণ ব্যাটার কিংবা বোলার ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন অধিনায়করা।


ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার   আইপিএল   রোহিত শর্মা   ভিরাট কোহলি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

একবছরেই অনুষ্ঠিত হবে দুই বিপিএল!

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। প্রতিবারই বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টটির। শুধু তাই নয়, নানা জটিলতা ও নানা কারণে প্রতি আসরেই টুর্নামেন্টটির সময়-সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়।

২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের কারণে বিপিএল পিছিয়ে শুরু হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি। টুর্নামেন্টটির আগামী আসর শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক হয়ে আছে ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তবে এবারও পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে পূর্বে নির্ধারিত তারিখে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কারণে ২০২৫ সালের বিপিএলের সময় এগিয়ে আনতে হতে পারে। এতে বিপিএলের একাদশ আসর মাঠে গড়াতে পারে চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। যদি তাই হয় তবে এক বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টটি।

অবশ্য এর জন্য আয়োজক কমিটি দায়ী নয়। ২০২৫ সালের শুরুতেই হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। জানা গেছে, আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ আইসিসির এই ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সময় ঠিক হয়ে আছে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের প্রস্তুতির জন্য হলেও বাংলাদেশ দলের কিছুটা সময় প্রয়োজন হবে।

এ কারণে ২৫ ডিসেম্বর থেকে টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক সূচির সঙ্গে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী।

সাত দলের বিপিএল ডাবল লিগ ভিত্তিতে ৪৪টি ম্যাচ খেলা হয়। টুর্নামেন্ট শেষ করতে সময় লাগে ৪০ দিনেরও বেশি। একাদশ আসর ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে শুরু হলে শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। সে ক্ষেত্রে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ওয়ানডে প্রস্তুতি নেয়ার সময় থাকবে না।

এ অবস্থায় টুর্নামেন্ট শেষ করেই পাকিস্তানের বিমান ধরতে হবে। ৫০ ওভারের ম্যাচের প্রস্তুতি নেয়ারও সুযোগ পাবে না খুব একটা। এই বিষয়ে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির সময় ধরে আমরা বিপিএল স্লট ঠিক করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা কবে থেকে অনুশীলন শুরু করতে চায়। আমার মনে হয় না যে স্লট দেওয়া আছে, সেখানে খুব একটা পরিবর্তন করতে হবে। এক-দুই দিন এদিক-ওদিক করতে হতে পারে।’

ডিসেম্বরের শেষদিকে বিপিএলের একাদশ আসর শুরু হলে আসরকে বিদেশি ক্রিকেটারের জন্য তিনটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট- আরব আমিরাতের আইএল, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএটি২০ ও বিগ ব্যাশের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে।


বিপিএল   বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন