কাতার বিশ্বকাপে অপেক্ষাকৃত দূর্বল দল মরক্কোর কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল
পর্তুগাল। ম্যাচ শেষে রোনালদোর কান্না সবাইকে ছুঁয়ে গিয়েছিল। তাকে ম্যাচের শেষের দিকে
নামানো হয়েছিল। পুরো বিশ্বকাপেই রোনালদোকে ঠিকমতো খেলানো হয়নি। অথচ, ক্যারিয়ারের অধিকাংশ
সময় পর্তুগালকেও একা কাঁধে টেনেছেন ক্রিশ্চিয়ানো। দলটির ইতিহাসের প্রথম শিরোপাও রোনালদোর
হাত ধরেই আসা।
ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলের মালিক কাতারে গিয়েছিলেন দলকে
বিশ্বকাপ জেতানোর সংকল্প নিয়ে। কিন্তু গ্রুপ পর্বের খেলার পরেই তাকে একাদশ থেকে বাদ
দেন তৎকালীন কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। এরপর পর্তুগিজরা বিদায় নিয়েছিল শেষ আট থেকেই।
কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে হারের পর রোনালদোর কান্নার
দৃশ্য এখনও অনেকের স্মৃতিতে টাটকা। ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপে দারুণ এক দল
নিয়ে গিয়েছিলেন রোনালদো। স্বপ্ন দেখছিলেন বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরার। কিন্তু উল্টো
অপেক্ষাকৃত দুর্বল মরক্কোর বিপক্ষে হেরে বিদায় নিতে হয় পর্তুগিজদের। সেদিন বেঞ্চ থকে
নেমেও পর্তুগালকে কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দিতে পারেননি আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলের সেঞ্চুরি
করা মহাতারকা। এই হারের পরেই পর্তুগালের কোচের পদ থেকে সরে যেতে হয় কোচ ফার্নান্দো
সান্তোসকে।
অনেকের মতেই, সেদিন রোনালদোকে শুরু থেকে খেলালে ফলাফল ভিন্নও হতে পারতো।
তবে রোনালদোকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত 'সঠিক' বলেই জানান সদ্যই সুপার লিগের ক্লাব
বেসিকতাসে যোগ দেওয়া সান্তোস। দলের সেরা তারকাকে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্তটিকে 'কৌশলগত'
এবং পর্তুগাল সেমিফাইনালে উঠলে প্রতিক্রিয়াটা ভিন্ন হতো বলে দাবি করেন ৬৯ বছর বয়সী
এই কোচ।
কাতার বিশ্বকাপের আগে কোচ এরিক টেন হ্যাগের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ম্যানচেস্টার
ইউনাইটেডের একাদশ থেকেও বাদ পড়েছিলেন রোনালদো। এরপর বিশ্বকাপে আশানুরূপ পারফরম্যান্স
করতে না পারায় শেষ ষোলোর খেলায় তাকে বেঞ্চে বসিয়ে তরুণ ফরোয়ার্ড গনসালো রামোসকে নামিয়েছিলেন
সান্তোস। সে ম্যাচে এই তরুণের হ্যাটট্রিকে সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয় পর্তুগাল।
এরপর কোয়ার্টার ফাইনালেও দলের অধিনায়ককে বেঞ্চে বসিয়ে রেখে রামোসকে নামান।
তবে মরক্কোর বিপক্ষে গোল হজমের পর রোনালদোকে নামিয়েছিলেন সান্তোস। তাতেও লাভ হয়নি।
রোনালদোকে বসিয়ে রেখে রামোসকে দিয়ে শুরু করার এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে সান্তোস
বলেন, 'এটা কৌশলগত এবং পদ্ধতিগত সিদ্ধান্ত ছিল। এছাড়া এখানে পরিস্থিতি ভিন্নরকম ছিল
না।'
নিজের কৌশল যে ঠিক ছিল এ বিষয়ে এখনও কোনো সন্দেহ নেই বেসিকতাসের দায়িত্ব
নেওয়া এই কোচের। তিনি বলেন, 'কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়াটা আমার কাছে সবসময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ব্যাপার। আমার এই সিদ্ধান্ত নেওয়াই লাগত এবং আমি সঠিকভাবেই তা নিয়েছি। যদি আমরা বিশ্বকাপ
থেকে বাদ না পরতাম, এখানে কোনো সমস্যাই দেখত না কেউ।'
সান্তোসের বিদায়ের পর পর্তুগালের নতুন কোচ হয়েছেন বেলজিয়ামের সাবেক কোচ
রবার্তো মার্টিনেজ। নতুন কোচের অধীনে নতুন করে নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন রোনালদো। ইউরো
২০২৪ এর বাছাই পর্বে ৯ ম্যাচে ১০ গোল করেছেন এই ৩৭ বছর বয়সী মহাতারকা। তবে সাবেক কোচ
সান্তোসের সঙ্গে সম্পর্ক এখনও শীতল অবস্থাতেই আছে।
রোনালদো ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল পর্তুগাল
মন্তব্য করুন
বিশ্বজুড়ে ধুম পড়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।
ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। তেমনই পরিস্থিতিতে রয়েছে বাংলাদেশও। ফলে স্কোয়াডে কে আছেন আর কে বাদ পড়লেন, সেটা নিয়ে ধোয়াশা রয়েই গেছে। সেই দলে কিছু পরিবর্তনের আভাস দিলেন এবার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৷
আগামীকাল থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের যে দল, বিশ্রাম ও ছুটির কারণে সেখানে নেই মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে এই দুজনের থাকা নিশ্চিতই। ফলে বেশ কয়েকটি পজিশনে এই সিরিজের দল থেকে পরিবর্তন থাকবে স্পষ্টতই।
সরাসরি কারো নাম না বললেও ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেছেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজের পারফরম্যান্স বিশ্বকাপ দলে প্রভাব রাখতেও পারে। “শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে সিরিজটা খেলেছি, আর এই সিরিজে যে দলটা আছে। বিশ্বকাপে বেশির ভাগ খেলোয়াড় এখান থেকে যাবে। যদি সবাই সুস্থ থাকে। হ্যাঁ, দুই-একজন এদিক–ওদিক হতে পারে। তবে বেশির ভাগই এখান থেকে যাবে।”
১ মে পর্যন্ত আইসিসির কাছে দেওয়া স্কোয়াডে নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া দলগুলো পরিবর্তন আনতে পারবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। টি-টোয়েন্টিতে এখনো কয়েকটি পজিশন নিয়ে ভুগছে বাংলাদেশ। যেমন এই ফরম্যাটের ওপেনিং জুটি। কন্ডিশন বিবেচনায় অতিরিক্ত স্পিনার বা বাড়তি পেসার নেওয়ার বিষয়ও রয়েছে।
এসব জায়গায় প্রস্তুত হয়েই বিশ্বকাপে যেতে চান শান্ত। “নির্দিষ্ট করে তিন-চারটা পয়েন্টে মনোযোগ থাকবে, এভাবে বলা মুশকিল। আমি চাইব প্রতিটি জায়গায় যেন ফোকাস থাকে। প্রতিটা জায়গায় যেন আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত হয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারি।“
নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আর তাই আজকের খেলায় সেরা একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা। তবে দলের নিয়মিত দুই নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আর মুস্তাফিজুর রহমান নেই। দু’জনই চট্টগ্রাম পর্বে খেলবেন না। তাদের ছাড়াই প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে শান্তর দল।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের পূর্বে টাইগারদের জিম্বাবুয়ে পরীক্ষা: হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল!
এমন পরিস্থিতিতে কেমন হতে পারে বাংলাদেশ একাদশ, এই প্রশ্ন নিয়ে রীতিমতো চলছে আলোচনা। এই সিরিজ নিয়ে ভক্ত ও সমর্থকদের যত উৎসাহ কমই থাকুক না কেন, একাদশ নিয়ে আগ্রহ আছে সবার। কারণ একটাই— সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেহেতু মুস্তাফিজ নেই, তাই তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে দিয়ে পেস বোলিং ডিপার্টমেন্ট সাজাতে পারে বাংলাদেশ। এর বাইরে স্পিনার হিসেবে দলে থাকার সম্ভাবনা আছে রিশাদ ও শেখ মাহেদির।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন যারা
এই ৫ বোলারের সঙ্গে ব্যাটার হিসেবে থাকতে পারেন লিটন দাস, বাঁহাতি তানজিদ হাসান তামিম, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী অনিক।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, শেখ মাহেদি, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
দেশের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজের মধ্য দিয়ে চলতি বছরে আন্তর্জাতিক খেলায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে সেখানে ফলাফলের দিক বিবেচনা করলে খুব একটা স্বস্তিতে নেই টাইগাররা। কারণ, টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এবং টেস্টের মধ্যে শুধুমাত্র ওয়ানডে সিরিজ শিরোপা ঘরে তুলতে পেরেছিল নাজমুল শান্তরা।
এরই মধ্যে কাছাকাছি চলে এসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। শুরু হয়েছে প্রস্তুতি, চলছে দল গোছানোর কাজ। আর সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে টাইগারদের জিম্বাবুয়ে পরীক্ষা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন যারা
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এই সিরিজের মধ্য দিয়ে ১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরেছেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সেই সাথে টোয়েন্টিতে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন তানজিদ হাসান তামিমও। বিশ্বকাপের পূর্বে প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের এই সিরিজে কেমন হবে প্রথম পরীক্ষার একাদশ সেই নিয়ে এখন চলছে আলোচনা।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন
এর অবশ্য কিছু কারণও রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচে নেই সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। আর এই মহাগুরুত্বপূর্ণ দুই প্লেয়ারের অভাব কি ভোগাবে টাইগারদের এমন প্রশ্নও ঘুরছে অনেকের মনে।
তবে সাকিব-মুস্তাফিজ না থাকলেও স্কোয়াডে ফিরেছেন আফিফ, তানভীরসহ অনেকেই। যার জন্য তাদের নিয়েই সাজানো হবে প্রথম ম্যাচের একাদশ৷ সেক্ষেত্রে ওপেনিং পজিশনে লিটন কুমার দাসের সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যেতে পারে তরুণ তানজিদ তামিমকে। টেস্ট ও ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে রান খরায় ভুগলেও লিটনের টি-টোয়েন্টি পারফর্ম অবশ্যই স্বস্তি দেবে এমনটাই ধারণা সংশ্লিষ্টদের। আর তরুণ তামিমকে ভাবা হচ্ছে বিশ্বকাপের ব্যাক আপ ওপেনার হিসেবে।
তিন নম্বর পজিশনে অবধারিত নাম নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কত্বের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাট হাতেও দারুণ অবদান রাখতে হবে শান্তকে। এছাড়া চার নম্বরে থাকছেন বর্তমানে দলের অন্যতম ভরসার নাম হৃদয়। কারণ হৃদয় সম্প্রতি দারুণ ছন্দে রয়েছেন। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও বড় ভূমিকা রাখতে হবে তাকে৷
পাঁচ নম্বরে দেখা যেতে পারে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। দলের একমাত্র সিনিয়র ক্রিকেটার হিসাবে স্কোয়াডে আছে তার নাম। তার ব্যাটিংয়ের সাথে অভিজ্ঞতার দিক দিয়েও রিয়াদকে নিতে হবে বড় দায়িত্ব।
এর বাইরে একাদশে থাকতে পারে জাকের আলী অনিকের নামও। কারণ নিজের অভিষেক সিরিজে শ্রীলংকার বিপক্ষে মারকুটে ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে পারফর্ম করে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছিলেন এই তরুণ। শুধু তাই নয়, নিজেকে প্রমাণ করে এখন বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও আলোচনায় আছেন তিনি। তাই এই সিরিজে নিজের সামর্থ্যের পুরোটা প্রকাশ করতে হবে তাকে।
আরও পড়ুন: কারা হচ্ছেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট?
এছাড়াও চোটের কারণে লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সর্বশেষ ২০২২ এর অক্টোবরে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। তবে গেল বিপিএলে কয়েক ম্যাচ সুযোগ পেয়ে দারুণ ভেলকি দেখিয়েছিলেন তিনি। আর সেই ধারাবাহিকতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবারও লাল সবুজের জার্সিতে ফিরতে যাচ্ছেন সাইফউদ্দিন৷
এছাড়া অলরাউন্ডার হিসেবে থাকবেন শেখ মেহেদি হাসান এবং একমাত্র লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন। মূলত স্পিন বিভাগে তাদের দুজনকে নিতে হবে পুরো দায়িত্ব। আর পেস ইউনিটের দায়িত্বে থাকতে পারেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
বিশ্বকাপের পূর্বে প্রস্তুতি হিসেবে এই সিরিজের পারফরম্যান্স একদিকে যেমন টাইগারদের যোগাবে ভরসা, তেমনই বাড়বে আত্মবিশ্বাস। আর তাই এখন দেখার পালা, পাঁচ ম্যাচের এই পরীক্ষায় কতটুকু সফল হতে পারেন তারা।
মন্তব্য করুন
কোমল পানীয় স্বভাবতই মানুষের শরীরের জন্য হানিকারক। অনেক বিশ্ববিখ্যাত খেলোয়াড় সংবাদ সম্মেলনে এসে ডায়াস থেকে কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে রেখেছেন। বার্তা দিয়েছেন সাধারণ ভক্তদের স্বাস্থ্য সচেতনতার। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
শুক্রবার (৩ মে) থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। যার প্রথম ৩ টি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে আর বাকি ২ টি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন
আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে আসেন
জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। এসময় তার চোখ পড়ে ডায়াসে রাখা কোমল পানীয় এর
বোতলে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেটা সরিয়ে ফেলেন এবং পাশের একজন তা তার হাত থেকে নিয়ে
ক্যামেরা ফ্রেমের বাইরে নিয়ে যান। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে বেশিরভাগ নেটিজেনরাই
তাকে বাহাবা জানিয়েছেন।
সিকান্দার রেজা জিম্বাবুয়ে বিসিবি
মন্তব্য করুন
একের পর এক আক্রমণ আর ডর্টমুন্ড রক্ষণে লাগাতার চাপ তৈরি করে ম্যাচের
বেশির ভাগ সময় নিয়ন্ত্রণে ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের দলই। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের
প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে কাঙ্খিত গোলটাই পায়নি পিএসজি। শুধু গোলটাই পাওয়া হল না
পিএসজির।
বিপরীতে প্রথমার্ধে নিকলাস ফুলক্রুগের জাল খুঁজে পাওয়া আর ভাগ্যের
সহায়তা ও রক্ষণের দৃঢ়তায় সেই গোল ধরে রেখে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ডর্টমুন্ড।
সিগনাল ইদুনা পার্কের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটিও
লক্ষ্যে রাখতে পারেনি পিএসজি। এর দুটিই পোস্টের বাইরে মারেন উসমান দেম্বেলে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ
সমর্থকদের বলে বলীয়ান ডর্টমুন্ড পাঁচটি শট নিয়ে চারটিই লক্ষ্যে রাখে। এর মধ্যে ১৪ মিনিটে
মার্সেল স্যাবিটজারের শট আটকান জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। ৪৪তম মিনিটেও স্যাবিটজারের
আক্রমণ রুখে দেন পিএসজি গোলকিপার।
ডর্টমুন্ড তাদের জয়ের গোলটি পায় ৩৬তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধ থেকে
নিকো শ্লটারবেক লম্বা করে বল বাড়ালে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন ফুলক্রুগ। এরপর বাঁ পায়ের
শটে বল জালে পাঠান এই জার্মান ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর নতুন উদ্যমে শুরু করা পিএসজি গোল পেয়ে যেতে পারত ৫১ মিনিটেই।
তবে দুর্ভাগ্যবশত পরপর দুইবার বল লাগে পোস্টে। প্রথমে এমবাপ্পের শট লাগে দূরের পোস্টে,
ডর্টমুন্ড রক্ষণ বল বিপদমুক্ত করতে না পারার এক পর্যায়ে পেয়ে যান আশরাফ হাকিমি। তাঁর
শট লাগে আরেক পোস্টে।
৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করার সুযোগ ছিল ফুলক্রুগের সামনে। জোদান
সানচোর বাড়ানো বল নিয়ে পুরো জাল সামনে পেলেও বল ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। একই ভাবে
৮১ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন পিএসজির দেম্বেলেও।
শেষ দিকে পিএসজি গোলের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালালেও ডর্টমুন্ড
রক্ষণে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে সেটি রুখে দেয়। মাঠ ছাড়ে সেমিফাইনাল লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেই।
প্যারিসে দ্বিতীয় লেগ আগামী মঙ্গলবার।
ডর্টমুন্ড ১: ০ পিএসজি
পিএসজি ডর্টমুন্ড চ্যাম্পিয়নস লিগ
মন্তব্য করুন