তখন ডিয়েগো ম্যারাডোনা সুপার স্টার। দিয়াগোর নানা কীর্তির মাঝেও নিজেকে
চেনানো অন্যরকম প্রতিভা ছাড়া সম্ভব হতো না। আর্জেন্টিনার ক্যানিজিয়া ছিলেন এমনই এক
ফুটবল প্রতিভা। দারুণ খেলার পাশাপাশি নব্বইয়ের দশকে তার নজরকাড়া স্টাইলও তাকে আলাদা
করেছিল।
ঘাড় পর্যন্ত বেয়ে নামা সোনালী চুল, মাথায় ব্যান্ড, খাড়া নাক, টানা টানা
চোখ আর গোলা করার পর তার দারুণ উচ্ছাস তরুণীদের মনে দাঁগ কাটতো। এরপর গণমাধ্যমের ক্যামেরার
সামনে তার এক প্রাণখোলা হাসি।
ফুটবলের মাঠে তার যে স্টাইল এমন নজরকাড়া বেশ দেখে তাকে ‘রকস্টার’ বলে মনে
হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এটাও সত্য তিনি কিন্তু সাধারণ ফুটবলার ছিলেন না। আর্জেন্টিনার
এক সময়ের সুপার স্টার, ডিয়েগো ম্যারাডোনার ভাল-মন্দ সকল কাজের সঙ্গী, ফুটবলের এক নস্টালজিয়া
ক্লদিও ক্যানিজিয়া।
আর্জেন্টিনার সাবেক এই উইঙ্গার এবং ফরওয়ার্ডের বড় পরিচিতি ছিল তার গতি।
জাতীয় দলে খেলেছেনে ম্যারাডোনার সাথে; বলা চলে ম্যারাডোনার ডান হাত ছিলেন। ক্যানিজিয়া
শুধুমাত্র একজন ফুটবলারই ছিলেন না। ছিলেন একজন অ্যাথলেটও। অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রাদেশিক
পর্যায়ের অ্যাথলেটিক্স টুর্নামেন্টেও।
অ্যাথলেটিক্সে জড়িত থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবেই তার গতি ছিল চিতা বাঘের
মতো। তিনি ফুটবলে তার গতির জন্য সুপরিচিত ছিলেন। তিনি শুধু একজন ফরওয়ার্ডইছিলেন না,
ছিলেন একজন প্লে-মেকারও। গোল করা এবং গোল করানো দুই কাজেই দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছিলেন
ক্যানিজিয়া।
অনেক কঠিন মনোভাব সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব হওয়ার পরও ক্যারিয়ারের অনেকটা সময়
মানসিক আঘাতের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মায়ের আত্মহত্যা তাকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছিল।
কোকেন সেবনের দায়ে নিষিদ্ধ হয়ে ১৩ মাস ফুটবল থেকে বাইরে ছিলেন ক্যানিজিয়া। নিষেধাজ্ঞা
থেকে ফিরে আবারো নিজেকে চেনাতে পেরেছিলেন তিনি।
ক্যানিজিয়ার ফুটবলের হাতে খড়ি রিভারপ্লেটের ফুটবল একাডেমিতে। পেশাদার ক্যারিয়ার
শুরু করেন রিভারপ্লেটের হয়ে। ক্যারিয়ারে খেলেছিলেন রিভারপ্লেটের চির প্রতিদ্বন্দ্বী
ক্লাব বোকা জুনিয়র্সেও। রিভারপ্লেটের প্যারফর্মেন্স টেনে নিয়ে যান হেলাস ভেরোনা, আটলান্টা,
রোমার মত ক্লাবে। তবে ক্লাব নয়, বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে করা প্যারফর্মেন্স তাকে এনে
দিয়েছে কিংবদন্তি ফুটবলারের মর্যাদা।
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৫০ ম্যাচ। করেছেন ১৬ গোল। মনে হতে পারে
গোল সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু তার প্রত্যেকটি গোলই সৃষ্টি করেছে লাখো আর্জেন্টাইন ভক্তদের
মনে আনন্দের উচ্ছাস। আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছেন তিনটি বিশ্বকাপ।
১৯৯০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে বিবেচনা করা হয়েছিল আন্ডারডগ হিসেবে। খেলেছিল
বিশ্বকাপ ফাইনাল। শেষ আটের ম্যাচে ফেবারিট ব্রাজিলের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক গোল করে
দলকে নিয়ে যান সেমি ফাইনালে। গোল না পেলেও ইতালির বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলকে
তোলেন ফাইনালে। কিন্তু সাসপেনশনের কারনে খেলতে পারেননি পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ফাইনাল।
১৯৯৪ নাইজেরিয়ার বিপক্ষে দুই গোল করে দলকে নিয়ে যান বিশ্বকাপের দ্বিতীয়
পর্বে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলে সুযোগ পাননি তিনি। সুযোগ না পাওয়ার কারণটা বড়ই আশ্চর্যজনক।
তৎকালীন কোচ ড্যানিয়েল প্যাসারেলা তাকে বলেছিল চুল ছোটো করতে।
কিন্তু, শুধুমাত্র জাতীয় দলে খেলার জন্য তিনি লম্বা চুল বিসর্জন দিতে ইচ্ছুক
ছিলেন না। তাই ড্যানিয়েল প্যাসারেলার অধীনে জাতীয় দলে উপেক্ষিত ছিলেন ক্যানিজিয়া। পরবর্তীতে
মার্সেলো বিয়েলসার অধীনে জাতীয় দলে আবারো ফিরে আসেন তিনি। সুযোগ পান ২০০২ বিশ্বকাপের
দলে। কিন্তু সুযোগ পাননি কোনো ম্যাচের একাদশে।
২০০২ বিশ্বকাপেই রেফারির সাথে অসদাচারণের জন্য সাইডবেঞ্চে বসে থেকেই লাল
কার্ড দেখেন। তিনিই ছিলেন বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার যিনি কিনা বেঞ্চে থাকাকালীন
সময়ে লাল কার্ড দেখেছেন।
কোকেন গ্রহনের দায়ে ১৯৯৩ সালে নিষিদ্ধ হন ক্যানিজিয়া। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে
ধারে যোগ দেন পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকাতে। এরপর রোমা থেকে আবারো ধারে এক বছরের জন্য চলে
আসেন বোকা জুনিয়রসে। বোকাতে ধারে আসার পেছনে হাত ছিল আর্জেন্টাইন মিডিয়া মোঘল এডোয়ার্ডো
আর্নেকিয়ানের। তিনি তার ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বোকাতে খেলান ম্যারাডোনা, ক্যানিজিয়ার
মতো ফুটবলারদের।
একবছর পর ১৯৯৬ সালে আবারো ইউরোপে ফিরতে চেয়েছিলেন ক্যানিজিয়া। কিন্তু ১৯৯৬
এর সেপ্টেম্বরে তার মা আত্মহত্যা করায় তখন ইউরোপে ফিরতে পারেন নি। মায়ের মৃত্যুতে মানসিকভাবে
ভেঙ্গে পড়ায় ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে বিক্ষিপ্তভাবে বোকার হয়ে কয়েকটি মাত্র ম্যাচ খেলেন তিনি।
যার ফলস্বরূপ বাদ পড়ে ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ দল থেকে। এর পর ১৯৯৯ সালে আবারো
ইউরোপে ফেরেন ক্যানিজিয়া। যোগ দেন পুরোনো ক্লাব আটলান্টাতে। তখন আটলান্টা ছিল সিরি
“বি” তে। কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে এক মৌসুম পরে আটলান্টা ছাড়েন তিনি। যোগ দেন স্কটিশ
ক্লাব ড্যান্ডিতে।
ড্যান্ডিতে এক মৌসুমে ২১ ম্যাচে ৭ গোল করে পরিণত হন ড্যান্ডির তারকা ফুটবলারে।
এখানেও থাকেননি এক মৌসুমের বেশি সময়। এক মৌসুম পরে ২০০১ সালে পাড়ি জমান আরেক স্কটিশ
ক্লাব রেঞ্জার্সে। রেঞ্জার্সের ঘরের মাঠ ইবরক্স স্টেডিয়ামে কাপ ফাইনালে গোল করেন চির
প্রতিদ্বন্দ্বী সেল্টিকের বিপক্ষে।এই গোলের কল্যাণেই প্রিয় হয়ে ওঠেন রেঞ্জার্স সমর্থকদের।
রেঞ্জার্সের পর কাতার এস.সি তে খেলে ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানেন ক্যানিজিয়া।
ক্যানিজিয়া ছিলেন অসম্ভব গতি সম্পন্ন একজন ফুটবলার। তার গতির কারণে প্রতিপক্ষ
ডিফেন্ডারদের কাছে হয়ে উঠেছিলেন অপরাজেয়। তার গোল করার সক্ষমতার পাশাপাশি গোল করানোর
সক্ষমতাও ছিল। তিনি তার সতীর্থদের অসংখ্য গোলের সুযোগ করে দিয়েছেন।
ক্যানিজিয়া ফুটবলের সঙ্গে আর নেই। তবে তিনি নব্বইয়ের দশকের ফুটবল প্রেমীদের
কাছে যেন এক হার্টথ্রুব ফুটবলার, এক আইডল স্টাইলিশ ফুটবলার।
ক্লদিও ক্যানিজিয়া ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনা ফুটবল ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল
মন্তব্য করুন
গত শনিবার ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছিল লিভারপুল। তবে ম্যাচটিতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক কাণ্ডে। এদিন বদলি হিসেবে কেলতে নামার পূর্বে ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মোহাম্মদ সালাহ। যার ফলে গুঞ্জন উঠেছে, লিভারপুলে আর বেশিদিন থাকছেন না সালাহ। কারণ আর এক বছর পরেই লিভারপুলের সাথে চুক্তিও শেষ হতে যাচ্ছে সালাহর।
তবে চুক্তির শেষ বছরটা মোহাম্মদ সালাহ অন্তত এ্যানফিল্ডেই কাটাবেন বলে আশাবাদী লিভারপুল। স্কাই স্পোর্টস ও দ্য এ্যাথলেটিকের সূত্রমতে, ৩১ বছর বয়সী সালাহ এখনো লিভারপুল ছাড়ার কোন ইঙ্গিত দেননি। লিভারপুলেরও তাকে ছেড়ে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
মিশরীয় এই তারকা গত শনিবার ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমি যদি আজ কোন কথা বলি তবে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠবে।’
এই মৌসুমের শুরুতে সৌদি পেশাদার ক্লাব আল ইত্তিহাদের কাছে ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে সালাহকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য লিভারপুলের আলোচনার বিষয়টি নিয়ে বেশ হইচই হয়েছে। যদিও লিভারপুল ওই সময় সব আলোচনাকে উড়িয়ে দিয়েছিল।
এ মৌসুমের শেষে অবশ্য ক্লপ লিভারপুল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আর এ কারণেই দলের বেশ কিছু সিনিয়র খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমার, সাদিও, মানে, করিম বেনজেমাদের দলে ভিড়িয়ে গত মৌসুমে সৌদি পেশাদার লিগ সারা বিশ্বে যেভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল এবারও তারা সেটা অব্যাহত রাখতে চায়। আর এ লক্ষ্যে তাদের প্রথম পছন্দ ইউরোপীয়ান শীর্ষ লিগে খেলা তারকা খেলোয়াড়রা।
এবারের মৌসুমে সালাহ ২৪ গোল করেছেন। যদিও জানুয়ারিতে আফ্রিকান নেশন্স কাপে খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ার কারনে সালাহ কিছুটা ফর্মহীনতা ভুগছেন। আর সালাহর এই গোলখরা লিভারপুলের ওপর প্রভাব ফেলেছে। ইতোমধ্যেই শিরোপা দৌড় থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে রেডসরা। ইউরোপা লিগ ও এফএ কাপ থেকে আগেই বিদায় ঘটেছে।
২০২২ সালে সালাহ লিভারপুলের সাথে যে তিন বছরের চুক্তি নবায়ন করেছিল তা শেষ হতে আর মাত্র এক বছর বাকি রয়েছে।
উয়েফা ইউরোপা লিগ লিভারপুল মোহাম্মদ সালাহ ওয়েস্ট হ্যাম
মন্তব্য করুন
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। যেখানে বায়ার্ন মিউনিখের ঘর থেকে সমতা নিয়ে ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। জমজমাট উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচটি শেষ হয়েছে ২-২ গোলে ড্রতে। যার জন্য সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বিতীয় লেগেই হবে চূড়ান্ত সমাধান।
এমন পরিস্থিতিতে বার্নাব্যুতেই স্বাগতিক রিয়ালকে হারানোর হুমকি দিয়ে রেখেছেন বায়ার্ন কোচ থমাস টুখেল। তিনি বলেন, ‘ফলাফল ফলাফলই। রিয়াল মাদ্রিদ এমনটা আগেও করেছে, দুই অর্ধে তারা দুটি চান্স পেয়েছে এবং দুটিতেই গোল। আমরা প্রথম কোনো প্রতিপক্ষ নই যে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। এটি এখন ফিফটি-ফিফটি লড়াই। জয়ের জন্য বার্নাব্যু কঠিন জায়গা, তবে হ্যাঁ আমি আশা করি আমরা সেখানে সুযোগ কাজে লাগাতে পারব।’
অন্যদিকে, বেলিংহ্যামের চোট এবং এই ম্যাচের ফর্ম নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি। তবে কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাজ থাকলেও প্রথম লেগের ফল নিয়ে তিনিও সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তার কণ্ঠে মুগ্ধতা ঝরেছে জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের জন্যও। সেই সাথে এদিন রিয়ালকে জোড়া গোলে সমতায় ফেরানো ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও এই সতীর্থের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আর এই ব্রাজিলিয়ানের এক গোলে অ্যাসিস্ট করেছিলেন ক্রুস। যা নিয়ে ভিনি বলেন, ‘এটি টনির পক্ষ থেকে উপহার, সে গোলটি দেওয়া আমার জন্য সহজ করে দিয়েছিল। এবার বার্নাব্যুতে ম্যাজিক দেখানোর পালা।’
রিয়াল-বায়ার্ন ম্যাচের ৭৫ মিনিটে বদলি হিসেবে জ্যুড বেলিংহ্যামকে তুলে নেন কোচ আনচেলত্তি। তাকে নিয়ে অস্বস্তি এবং ক্রুসকে নিয়ে রিয়াল ম্যানেজার জানান, ‘বেলিংহ্যাম ক্লান্ত ছিল, সে কারণে সে আর বেশিক্ষণ খেলতে পারছিল না। বেঞ্চেও আমাদের যথেষ্ট ভালো খেলোয়াড় আছে। তবে আশা করি সে (বেলিংহ্যাম) নিজের সেরা ফর্মে ফিরবে। আমার মনে হয় তার ইনজুরির সমস্যা রয়েছে, যা তার খেলায়ও প্রভাব ফেলেছে। টনি ক্রুস…তার জন্য কোনো শব্দ যথেষ্ট নয়। সে আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, টাইমিং এবং পাস অসাধারণ। অবশ্য তার পাস সবার জন্য নয়, কিন্তু ভিনির মুভমেন্ট খুবই স্মার্ট–অসাধারণ।’
প্রথম লেগের ফল নিয়ে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন এই ইতালিয়ান কোচ, ‘প্রথমার্ধে আমাদের রক্ষণশীল হতে হতো, তবে আমরা যেমনটা চাইনি তার বাইরে ঘটে গেছে। সে কারণে এ ধরনের জায়গায় আপনাকে ভুগতেই হবে, যা বিশ্বের সবাই জানে। আমি মনে করি এটা ভালো ফলাফল এবং সেকেন্ড লেগের জন্য আমাদের বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এটি এখনও সম্পূর্ণ খোলা (নিজেদের পক্ষে ফল নেওয়ার জন্য)।’
তবে এই ড্র মানতে পারছেন না বায়ার্নের মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা। তরুণ এই জার্মান তারকা বলেন, ‘ভালো খেলার পরও এই ফলাফল কিছুটা তিক্ত অনুভূতির। রিয়াল মাদ্রিদ যেকোনো পরিস্থিতি কেটে ওঠার সামর্থ্য আছে, যেখানে আপনি মনে করবেন যে প্রতিপক্ষ কিছুই করতে পারবে না। তবে আমরা মাথা উঁচুতে রাখছি এবং বার্নাব্যুতে নতুন লক্ষ্যে নামব।’
মিউনিখে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ড্র হয়েছে ২-২ গোলে। আগামী বুধবার (৮ মে) রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হবে দুই দলের ফিরতি লেগ। শেষ পর্যন্ত দুই অভিজাত দলের মধ্য থেকে কারা ফাইনালের টিকিট কাটবে, সেটি নিশ্চিত হবে রিয়ালের ঘরের মাঠে।
টমাস টুখেল বায়ার্ন মিউনিখ রিয়াল মাদ্রিদ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশি পেসার, কাটার মাস্তার মুস্তাফিজুর রহমান। ক্যারিয়ারের শুরুতেই আগুন ঝরানো সব বোলিংয়ে নজর কেড়েছিলেন পুরো বিশ্বের। শুধু তাই নয়, আইপিএল ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুমটিও কেটেছিল সেই ২০১৬ সালে। যা মুস্তাফিজের ক্যারিয়ারের প্রথম আইপিএল ছিল।
সেবার মুস্তাফিজ আইপিএলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পান। তাকে সেবার দলে ভিড়িয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। অরেঞ্জ আর্মি হয়ে সেবার মুস্তাফিজ যা করেছেন, সেটা যেকোন পেসারের জন্যই স্বপ্নের। ঠিক তেমন না হলেও এবার চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ইতোমধ্যেই মুস্তাফিজ বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করেছেন। ৮ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত আইপিএলে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বাংলাদেশের এই পেসার।
তবে উইকেটের হিসাবে চলতি মৌসুমকে নিজের সেরা মৌসুম বানানোর সুযোগ এখন মুস্তাফিজের সামনে। ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন ফিজ। অর্থাৎ ১৭ উইকেট ছুঁতে এবার তার প্রয়োজন মাত্র ৩ উইকেট, ছাড়িয়ে যেতে প্রয়োজন ৪টি। কাজটা মোস্তাফিজের জন্য কঠিন। কারণ, আজ পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মোস্তাফিজের এবারের আইপিএল অধ্যায় শেষ হচ্ছে।
চেন্নাই সুপার কিংসের এই পেসারকে ১ মে পর্যন্ত ছুটি দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার জন্য আজকের ম্যাচটি এবারের মৌসুমে মুস্তাফিজের জন্য শেষ ম্যাচ। আজকের ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরতে হবে ফিজকে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ম্যাচে ৩-৪ উইকেট নেওয়া বেশ কঠিনই। তবে খেলাটা চেন্নাইয়ে হওয়ায় কিছুটা আশা দেখতে পারেন মোস্তাফিজ–ভক্তরা। এবারের মৌসুমে ৫ ম্যাচ খেলে চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ১১ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। সর্বশেষ ম্যাচেও উইকেট নিয়েছেন ২টি।
তবে চেন্নাইয়ে সর্বশেষ দুই ম্যাচেই ২০০–এর বেশি রান হয়েছে। শিশিরের কারণে পরে বোলিং করা দলের বোলারদের কার্যকারিতা কমে যায় অনেকটা। মুস্তাফিজের চেন্নাই সর্বশেষ দুই ম্যাচেই পরে বোলিং করেছে।
সে যা–ই হোক, এবারের মৌসুমে মোস্তাফিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং, ‘মুস্তাফিজ অসাধারণ করছে, ওর বোলিংয়ের জন্য আদর্শ কন্ডিশন নয় এমন জায়গাতেও। এখানের (চেন্নাই) উইকেটে অনেক গতি ছিল, শিশির তো আছেই। ও যেভাবে মানিয়ে নিয়েছে, তা দুর্দান্ত। আমরা জানি, আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার দায়িত্ব সবার আগে। কিন্তু আমাদের দলে ও দারুণ এক সংযোজন ছিল।’
মুস্তাফিজ আজ উইকেট না পেলে এটি হবে উইকেটের হিসাবে যৌথভাবে তার দ্বিতীয় সেরা মৌসুম। এর আগে ২০২১ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ১৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। এবারের মৌসুমের প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। শেষটাও কি এমন রাঙিয়ে দিতে পারবেন?
মুস্তাফিজ চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএল
মন্তব্য করুন
আগমী মাসে
শুরু হতে যাওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করতে শুরু করেছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো।
ইতিমধ্যেই দল ঘোষণা দিয়েছে, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান। এবার
বিশ্বকাপের জন্য মিচেল মার্শের নেতৃত্বে শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে আস্ট্রোলিয়াও।
১৫ সদস্যের
অস্ট্রোলিয়া দলে জায়গা পায়নি অস্ট্রোলিয়ান অভিজ্ঞ ব্যাটার স্টিভ স্মিথ। দলে জায়গা
পাননি চলমান আইপিএলে ব্যাটিং তান্ডব দেখিয়ে আসা আলোচিত অজি ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার
ম্যাকগার্কও। অনেক সাবেক ক্রিকেটারই তরুণ এই ওপেনারকে বিশ্বকাপ দলে রাখার কথা
বলেছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-২০ না খেলা এই ব্যাটারকে দলে রাখেনি
ক্রিকেট অস্ট্রোলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেন, যারা ঘোষিত দলে সুযোগ পায়নি তাদের ওপরও নজর রাখা হবে। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন খেলোয়াড়, যারা প্রাথমিক দলে সুযোগ পায়নি, তাদের ওপর নজর রাখা হবে।আমরা যদি দলে পরিবর্তন আনতে চাই, আইসিসির নিয়ম মেনে সেটি করার সুযোগ আছে।’
বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড
ডেভিড ওয়ার্নার, ট্র্যাভিস হেড, মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, টিম ডেভিড, মার্কাস স্টয়নিস, ম্যাথু ওয়েড, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জাম্পা, জস হ্যাজেলউড, জশ ইংলিশ, অ্যাশটন অ্যাগার, ক্যামেরন গ্রিন, নাথান এলিস।
টি-২০ বিশ্বকাপ অস্ট্রোলিয়া দল ঘোষণা ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে হাশমতউল্লাহ শহিদির নেতৃত্বে গেলেও এবার টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপে রশিদ
খানের নেতৃত্বে খেলবে আফগানরা। অধিনায়ক না থাকার পাশাপাশি দলেও যায়গা পাননি হাশমতউল্লাহ।
২০২২ বিশ্বকাপের দল থেকে খুব বেশি পরিবর্তন আনেনি আফগানরা। তবে
নতুন কয়েকটি নাম যোগ করেছে তারা। যেখানে আছেন করিম জানাত, মোহাম্মদ ইসাক ও নুর আহমাদ।
নতুনদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন নানগাল খারোটি। গত মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে
জাতীয় দলে অভিষেক হয় তার।
আফগান স্কোয়াড
রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক)
ইবরাহিম জাদরান
আজমতউল্লাহ ওমরজাই
মোহাম্মদ ইসাক
মোহাম্মদ নবি
গুলবাদিন নায়িব
করিম জানাত
রশিদ খান (অধিনায়ক)
নানগাল খারোটি
মুজিব উর রহমান
নুর আহমাদ
নাবিন উল হক
ফজল হক ফারুকি ও
ফরিদ আহমেদ মালিক
রিজার্ভ
সেদিক আতাল, হযরতউল্লাহ জাজাই ও সালিম শাফি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আফগানিস্তান ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
গত শনিবার ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছিল লিভারপুল। তবে ম্যাচটিতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক কাণ্ডে। এদিন বদলি হিসেবে কেলতে নামার পূর্বে ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মোহাম্মদ সালাহ। যার ফলে গুঞ্জন উঠেছে, লিভারপুলে আর বেশিদিন থাকছেন না সালাহ। কারণ আর এক বছর পরেই লিভারপুলের সাথে চুক্তিও শেষ হতে যাচ্ছে সালাহর।