ইনসাইড গ্রাউন্ড

জৌলুসময় জীবন ছেড়ে যে কারণে ইউনাইটেডের সাবেক ফুটবলার ধর্মযাজক

প্রকাশ: ১১:২১ এএম, ২২ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিপ মুলরিন যাত্রা শুরু করেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বয়সভিত্তিক দল দিয়ে। প্রিমিয়ার লিগে অবশ্য ইউনাইটেডের হয়ে একটির বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি তার। এরপর ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কাটান নরউইচ সিটিতে। ৬ বছরে ১৬১ ম্যাচ খেলেন প্রিমিয়ার লিগে নরউইচের হয়ে, যেখানে তার বার্ষিক বেতন ছিল ৫ লাখ পাউন্ড।

মুলরিন ২৭ ম্যাচ খেলেছেন জাতীয় দল নর্দান আয়ারল্যান্ডের হয়েও। খেলার পাশাপাশি নামজাদা মডেলদের সঙ্গে সম্পর্কের কারণেও ছিলেন আলোচনায়। তবে ২০০৫ সালে নরউইচ ছেড়ে কার্ডিফ সিটিতে যাওয়ার পরই মান হারাতে শুরু করেন এই মিডফিল্ডার। শেষ পর্যন্ত ২০০৮ সালে ফুটবলকে বিদায় জানান মুলরিন।

ফুটবল ছেড়ে খেলোয়াড়েরা সাধারণত কোচ, ধারাভাষ্যকার কিংবা বিশ্লেষকের দায়িত্ব বেছে নিলেও সেসব চেনা পথে হাঁটেননি মুলরিন। চাকচিক্য ও বিত্তের জীবন ছেড়ে হয়ে যান পুরোদস্তুর ধর্মপ্রচারক। যার ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে ক্যাথলিক গির্জায় যাজক হিসেবেও দায়িত্ব পান সাবেক এই ফুটবলার।

মুলরিন মূলত ৩১ বছর বয়স থেকে ফুটবলের প্রতি প্রেম হারাতে শুরু করেন। একই সঙ্গে তিনি ঝুঁকে পড়েন ধর্ম ও অধ্যাত্মবাদের দিকে। সে সময় নিজের ক্যারিয়ার যেদিকে যাচ্ছিল, তা তার মনমতো হচ্ছিল না। এ কারণে শেষ পর্যন্ত নিজের জীবনধারা বদলে ফেলেন এই ফুটবলার।

নরউইচের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের এমন পরিবর্তন নিয়ে মুলরিন বলেছিলেন, ‘কোন মুহূর্তে এটা ঘটেছিল, সেটা আলাদা করে বলা কঠিন। আমি বলব, এটা আমার নরউইচে থাকার সময় শেষ বছরে শুরু হয়েছিল। যদিও স্পষ্টভাবে নয় এবং আমি এটা নিয়ে তেমন ভাবছিলামও না। তবে নিজের জীবনধারা নিয়ে আমি অসন্তুষ্টিতে ভুগছিলাম।’

ফুটবলার হয়ে শীর্ষ পর্যায়ে খেলার পর বড় কোনো আক্ষেপ থাকার কথা নয়। তবু কেন এমন পরিবর্তন? মুলরিন এ বিষয়ে বলেছেন, ‘ফুটবলার হিসেবে আমাদের জীবনটা দারুণ এবং আমি অনেক সৌভাগ্যবানও। কিন্তু সবকিছুর পরও আমার জীবনে একধরনের শূন্যতা ছিল। আমি কিছুটা স্তব্ধই ছিলাম যে কেন আমি সুখী নই, এটা ভেবে। অথচ একজন তরুণ হিসেবে আমার কাছে সবকিছুই ছিল। এটাই আমাকে চালিত করে বিশ্বাস ফিরে পাওয়ার দিকে, যে বিশ্বাসটা আরও অল্প বয়সে আমার মধ্যে ছিল। আমি তখন এক বছরের জন্য বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই এবং সে বছরই সবকিছু বদলে যেতে শুরু করে।’

নিজের পরবর্তী অবস্থাটা মুলরিন তুলে ধরেন এভাবে, ‘আমি আবার নিয়মিতভাবে প্রার্থনা করতে শুরু করি। এর মধ্য দিয়ে আমি পূর্ণতার একটা স্বাদ পেতে শুরু করি। ফুটবলে চূড়ায় উত্থান এবং তলানিতে পতন দুটিই থাকে। কিন্তু এটা আমাকে একধরনের স্থিরতার অনুভূতি দিয়েছিল।’ আরএভাবেই মূলত মুলরিনের বদলে যাওয়া। একপর্যায়ে পুরোপুরিই ধর্মে মনোনিবেশ করেন সাবেক এই ‘রেড ডেভিল’ তারকা।

নিজের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ৪৬ বছর বয়সী সাবেক এই ফুটবলারের কোনো আক্ষেপ নেই। তিনি বলেছেন, ‘এই জীবনধারার প্রতি আমি তীব্র আকাঙ্খা বোধ করি এবং কয়েক মাস এটা নিয়েই থাকি। এরপরই আমি এটা নিয়ে আরও অন্বেষণের সাহস পাই এবং পুরোপুরিভাবে এ পথে আসার সিদ্ধান্ত নিই।’

তবে বদলে যাওয়া মুলরিন অবশ্য ফুটবল ক্যারিয়ারে একেবারে বির্তকমুক্ত ছিলেন না। ২০০৫ সালে একবার মদ খেয়ে কারফিউ ভাঙায় তাঁকে নর্দান আয়ারল্যান্ডের স্কোয়াড থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া মডেল নিকোলা চাপম্যানের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েও আলোচনায় এসেছিলেন মুলরিন। এর মধ্যে ২০১৬ সালে বেলফাস্ট হাই কোর্ট সাবেক এই মিডফিল্ডারকে দেউলিয়াও ঘোষণা করে। তবে সব ভুলে এখন একাগ্রচিত্তে ধর্মযাজকের কাজটাই করে যাচ্ছেন মুলরিন।


ফুটবল   জীবন   ধর্মযাজক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সহজ জয় বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১০:৪৮ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে খেলতে নেমে বোলিং তোপে আগেই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে মাত্র ১২৪ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিলেন তাসকিন-সাইফউদ্দিন-মেহেদীরা। আর পরবর্তীতে বোলারদের গড়ে দেয়া ভিতে দাঁড়িয়ে সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও এই অল্প রানের লক্ষ্য তাড়ায় দাপট দেখিয়েছেন অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম ও তাওহিদ হৃদয়। তাদের দৃঢ়তায় ১২৫ রানের লক্ষ্য ২৮ বল হাতে রেখে মাত্র দুই উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

এই ম্যাচেই অভিষেক হয়েছে ওপেনার তানজিদ তামিমের। লিটনের সাথে ইনিংসের শুরুর সুযোগ পান তিনি। তবে এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়ে ফেরেন লিটন দাস। দলীয় ৫ রানের সময় ব্যক্তিগত একরানে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি। তবে নিজের অভিষেক ম্যাচে টিম ম্যানেজমেন্টের ভরসার প্রতিদান দেন তামিম। অর্ধশতক তুলে নিয়ে স্মরণীয় করে রাখলেন নিজের অভিষেকটাও।

যদিও তামিমের অর্ধশতক এসেছে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিংয়ে। ৫০ পৌঁছাতে তিনি মোকাবিলা করেছেন ৩৬ বল। অর্ধশতক করার পথে দুই ছক্কা ও ছয়টি চার মেরেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৬৭ রান করে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তামিম। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮টি চার ও ‍দুইটি ছক্কার মার। অপরদিকে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন তাওহিদ হৃদয়। তিনি ১৮ বলে পাঁচ চার ও এক ছয়ে এই রান করেন।

লিটন দাসের মতো এই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। ২৪ বলে মাত্র ২১ রান করে জঙ্গির বলে শন উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। শুরুতে স্লো স্ট্রাইকিংয়ে ব্যাটিং করায় দুইবার বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকার কারণে ডিএল মেথডে হারের শঙ্কা জেগেছিল বাংলাদেশের। তবে দ্বিতীয়বার বৃষ্টি থামার পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।

এর আগে, চট্টগ্রামে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বি। ওই ওভারের শেষ বলে আবারও চার মেরেছিলেন তিনি। তবে প্রথম ওভারে ৮ রান তোলা জিম্বাবুয়ের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন টাইগার স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তার দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তৃতীয় ওভারে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই চার মেরে আগ্রাসী রূপ দেখানোর আভাস দিয়েছিলেন তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান বেনেট। ওপেনার গাম্বির সাথে জুটি বেধে তোলেন ২৮ রানও।

তবে এই জুটিকে স্থায়ী হতে দেননি দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার লুজ বলে শর্ট ফাইনে তাসকিনের হাতে গাম্বি ক্যাচ দিলে ভাঙ এই জুটি। এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিল। ২ উইকেটে ৩৬ রান তোলা জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ড কিছুক্ষণের মধ্যে দাঁড়ায় ৪১/৭।

মূলত ষষ্ট ওভারে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনের। ৫ দশমিক ১ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। পরের বলেই উইকেরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৮ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিডস্টার তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলেই শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। দুইজনই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার লুক জঙ্গি। তার এই উইকেটে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৪১/৭।

এরপর ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাটে বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেয় জিম্বাবুয়ে। ৬৫ বলে ৭৫ রান ওঠে এই জুটিতে। দলীয় ১১৬ রানের সময় এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাদান্দে। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান। জিম্বাবুয়ের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাট থেকে। ৩৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলার পথে দুইটি ছক্কা ও দুইটি চার মারেন মাসাকাদজা।

এই ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ চার ওভারে ১৪ রান খরচায় শিকার করেন তিন উইকেট। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে নেন তিনটি উইকেট। শেখ মেহেদী পান দুই উইকেট। তবে ম্যাচে বেশ খরুচে ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম ও লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। দু’জনেই চার ওভারে দিয়েছেন ৩৭ রান করে। তবে থেকেছেন উইকেটশূন্য।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বৃষ্টি শেষে আবারও খেলা শুরু, এগোচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল। যেখানে ভালো শুরুর পরও ব্যাটিং বিপর্যয়ে খেই হারিয়েছে সফরকারীরা। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানেই গুটিয়ে গেছে সিকান্দার রাজার দল।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ভালোমতোই এগোচ্ছিল। তবে তিন ওভার পেরোতেই চট্টগ্রামে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি ঝরতে শুরু হওয়ায় কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয় খেলা। পরবর্তীতে বৃষ্টি থামলে আবারও শুরু হয় খেলা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লক্ষ্য তাড়ায় ৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৯ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম। তবে থিতু হওয়ার আগেই মুজারাবানির আঘাতে বোল্ড হয়ে ফেরেন লিটন। পরে উইকেটে আসেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। বর্তমানে তাদের ব্যাটেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ক্রেইগ আরভিন ও জয়লর্ড গাম্বি। তবে ভয়ানক হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত হানেন শেখ মাহেদী।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করেন মাহেদী। দুই বলেও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি এই ওপেনার। পরে উইকেটে আসেন ব্রায়ান বেননেট। শুরুর ধাক্কা সামলে তার সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়েন গাম্বি।

তবে গাম্বির বিদায়ে ভেঙে যায় তাদের সেই জুটি। পঞ্চম ওভারে সাইফউদ্দিনের ফুল লেংথের বল ফ্লিক করতে গিয়ে তাসকিনের তালুবন্দী হন গাম্বি। আউট হওয়ার আগে ১৭ রান করেন তিনি।

ব্যাট হাতে আশা দেখালেও রানআউটের শিকার হন বেননেট। রিয়াদের দ্রুতগতির থ্রোতে তাকে আউট করেন জাকের আলী। ১৬ বলে ১৫ রান করেন তিনি।

এরপর শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল। তারা তিনজনই শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন।

দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেন ক্লাইভ মাদানদে। এ সময় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। এ দুজনে জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে মান বাঁচানো লক্ষ্যে নিয়ে যান। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৫ রান।

৪৩ রান করে মাদানদে সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যা তাদের জুটি। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন মাসাকাদজা। তবে ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন মাসাকাদজা। তিনি ৩৪ রান করেছেন।

এই দুজনের ব্যাট ভর করে ১২৪ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এছাড়া দুটি উইকেট শিকার করেছেন মাহেদী হাসান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের বোলিং তোপে ১২৪-এ গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

শঙ্কা ছিল টাইগার বোলারদের দাপটের দিনে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। তবে সেই শঙ্কা রীতিমত দুঃস্বপ্নে রূপ দিয়েছে রোডেশিয়ানদের লোয়ার-অর্ডার।

শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সফরকারীরা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রানে ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে।

এদিন বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ চার ওভারে ১৪ রান খরচায় শিকার করেছেন তিন উইকেট। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে শিকার করেছেন তিনটি উইকেট। শেখ মেহেদী নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে এই ম্যাচে খরুচে ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ছয়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বি। মাঝে চার বল ডট দিয়ে শেষ বলে আবারও চার মারেন এই ব্যাটার। প্রথম ওভারেই জিম্বাবুয়ে তোলে ৮ রান।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বলে আসেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তিনি এসে শুরুতেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। তার দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তৃতীয় ওভারে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই চার মেরে আগ্রাসী রূপ দেখানোর আভাস দেন তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান বেনেট। ওপেনার গাম্বির সাথে জুটি বেধে তোলেন ২৮ রান। তবে এই জুটিতে আঘাত করেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার লুজ বলে শর্ট ফাইনে তাসকিনের হাতে গাম্বি ক্যাচ দিলে ভাঙ এই জুটি। এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিল। ২ উইকেটে ৩৬ রান তোলা জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ড দাঁড়ায় ৪১/৭।

মূলত ষষ্ট ওভারে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনের। ৫ দশমিক ১ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। পরের বলেই উইকেরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৮ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিড স্টার তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলেই শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। দুইজনই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার লুক জঙ্গি। তার এই উইকেটে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৪১/৭।

এরপর বিপর্যয়ের মধ্যে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৬৫ বলে ৭৫ রান ওঠে এই জুটিতে। তাদের ব্যাটে ভর করে ১০০ ছাড়ায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১১৬ রানের সময় এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাদান্দে। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রথম টি-২০তে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে।

যেখানে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে টি-২০ সংস্করণে অভিষেক হয়েছে বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।

টি-২০তে এখন পর্যন্ত ২০বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। যেখানে ১৩ জয়ের বিপরীতে ৭ ম্যাচে হেরেছে টিম টাইগার্স।

দুই দলের মধ্যে দলীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। ২০২২ সালে হারারেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০৫ করেছিল তারা। অন্যদিকে ২০২০ সালে মিরপুরে ৩ উইকেটে ২০০ রান করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেইগ আরভিন, ব্রায়ান বেননেট, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদানদে, লুক জঙ্গি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুস্তাফিজের পোস্ট

প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলে এবারের আসরে চেন্নাইয়ের জার্সিতে স্বপ্নের মতো সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণেই মাঝপথে আইপিএলকে বিদায় জানাতে হয়েছে এ টাইগার পেসারকে।

বিদায় বেলায় মুস্তাফিজকে নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি জার্সি উপহার দেন ধোনি। যেখানে লেখা ছিল, ‘ফিজের প্রতি ভালোবাসা।’ সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাটার মাস্টার।

নিজের অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁহাতি এই পেসার লিখেছেন, ‘সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ মাহি (ধোনি) ভাই। আপনার মতো কিংবদন্তির সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নেয়াটা ছিল বিশেষ এক অনুভূতি। সবসময় আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, আমি সেগুলো মনে রাখব। আপনার সঙ্গে শিগগিরই আবারও খেলতে এবং দেখা করতে মুখিয়ে আছি।’

বিসিবির দেওয়া অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। এই আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে আগেই মন খারাপের কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি   ফ্লেমিং  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন