ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিপিএলের ঢাকা পর্ব শেষে কার অবস্থান কোথায়?


Thumbnail

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পর্দা উঠেছে গত ১৯ জানুয়ারি। মাঝে এক দিন বিরতি দিয়ে চার দিনে মোট ম্যাচ হয়েছে ৮টি। তাতে শেষ হয়েছে ঢাকার প্রথম পর্বের খেলা। এবার বিপিএলের লড়াই জমবে সিলেটে।

সিলেটে যাওয়ার আগে শীর্ষে থেকে ঢাকার প্রথম পর্ব শেষ করেছে খুলনা টাইগার্স। সাত দলের টুর্নামেন্টে একমাত্র দল হিসেবে শতভাগ জয় খুলনার। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট তাদের। তবে ব্যক্তিগত অর্জনে ব্যাটিংয়ে শীর্ষে মুশফিকুর রহিম, বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমান।

৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আছে টেবিলের দুই নম্বরে। চট্টগ্রামের মতো সর্বোচ্চ ৩টি ম্যাচ খেলা ফরচুন বরিশাল ১ জয়ে আছে ষষ্ঠ স্থানে। বাকি সব দল দুটি করে ম্যাচ খেলেছে।

ব্যাটারদের বিভাগে তিন ম্যাচে দুই ফিফটিতে ১৫৬ রান নিয়ে চূড়ায় বরিশালের মুশফিক।

এক শ-এর ওপর রান করেছেন আর দুজন। কুমিল্লার ইমরুল কায়েস (১১৮) ও চট্টগ্রামের নাজিবউল্লাহ জাদরান (১১৭)। ৯৪ রান করে চার নম্বরে আছেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

বোলারদের বিভাগে যৌথভাবে ৫ উইকেট আছে তিনজনের। তবে গড় বিবেচনায় এগিয়ে কুমিল্লার মুস্তাফিজ।

প্রতি ১২ রানে একটি করে উইকেট নেওয়া এই বাঁহাতি পেসার ২ ম্যাচে বল করেন ৭.৩ ওভার। ২ ম্যাচে ৭.২ ওভার বল করা ঢাকার বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম উইকেট নিয়েছেন ১৩.৪০ গড়ে। এদের মধ্যে বরিশালের খালেদ আহমেদ ৩ ম্যাচ খেলে ২১ গড়ে উইকেট পান ৫টি।

সিলেট পর্বের খেলা শুরু হবে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোট ম্যাচ হবে ১৪টি। ততদিনে বিপিএলের অর্ধেক খেলা শেষ হয়ে যাবে। এরপর ম্যাচ গড়াবে রাউন্ড রবিন লিগের ২০ ম্যাচের দিকে। যদি ধারণা নেওয়া হয় যে, কোন চারটি দল কোয়ালিফায়ার খেলবে। তবে ঢাকায় প্রথম আট ম্যাচের দিকে তাকালেই খানিক ধারণা পাওয়া যাবে। ঢাকায় যা হলো তা যদি সিলেটে হয় তাহলে ব্যাট-বলের লড়াই থেকে টসটাই মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। 

ঢাকা আট ম্যাচে প্রতিটিতেই যারা টস জিতেছে তারাই ম্যাচ জিতেছে। টস জিতে বিজয়ী দল বোলিং নিচ্ছে। প্রতিপক্ষকে ভালো বোলিংয়ে আটকে রেখে লক্ষ্য তাড়া করে পরবর্তীতে জিতে নিচ্ছে ম্যাচ। দিনে ও রাতের ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে শিশির। দিনের ম্যাচে রান হচ্ছে না। রাতের ম্যাচে রান হচ্ছে। শিশিরের কারণে বল গ্রিপ করতে কষ্ট হচ্ছে রাতে। বল স্কিড করে সহজেই ব্যাটে যাচ্ছে। শট খেলা সহজতর হচ্ছে। রাতে সেই সুযোগটি থাকলেও দিনের ম্যাচে তা পাচ্ছে না। এক্ষেত্রে স্কিলের ঘাটতির কথাই বলছেন ক্রিকেটাররা। 

গত শুক্রবার শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের প্রথম দুদিনে দিনের ম্যাচে রান ছিলো যথাক্রমে ১৪৩ ও ১৩৪। একদিন বিরতির পর গত সোমবার প্রতিযোগিতা মাঠে গড়ালে দিনের ম্যাচে আবারো রান হয়নি। দুরন্ত ঢাকা আগে ব্যাটিং করে ১৩৬ রান করে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচ জিতে নেয় ১০ বল হাতে রেখে। শেষ দিন সিলেট স্ট্রাইকার্স রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে করে কেবল ১২০ রান। যা এখন পর্যন্ত এই বিপিএলে সর্বনিম্ন। 

পঞ্চম ম্যাচের পর থেকে উইকেট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। যেখানে দুই দলের প্রতিনিধিই জানিয়েছেন, উইকেট নয়, স্কিলের ঘাটতির কারণেই রান হচ্ছে না দিনের ম্যাচে। দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘উইকেট এবার ভালো। দোষটা আমাদেরই (রান করতে না পারা)।’ তানজিদ তামিম বলেছেন, ‘আমরা বাজে ব্যাটিং করেছিলাম।’

আট ম্যাচে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বীতা দেখা যায়নি। শেষ ম্যাচে কুমিল্লা ও বরিশালের ম্যাচেই যা প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়েছিল। এছাড়া বাকি ম্যাচগুলোতে অসম লড়াইয়ে তেমন উত্তেজনা ছড়ায়নি, রোমাঞ্চও হয়নি। তারকা ক্রিকেটারদের মধ্যে কেবল মুশফিকুর রহিমই যা ভালো করেছেন। পরপর দুই ম্যাচে পেয়েছেন ফিফটি। কুমিল্লার বিপক্ষে ৪৪ বলে ৬২ ও খুলনার বিপক্ষে ৩৯ বলে ৬৮ রান করেন।

তামিম প্রতি ম্যাচে ভালো শুরু পাচ্ছেন তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি একটাতেও। মাহমুদউল্লাহ দলের প্রয়োজন মেটাতে পারছেন তবে বড় কিছু করতে পারেননি। এদিকে সাকিব আল হাসান এক ম্যাচ খেলে দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। আনফিট মাশরাফি রয়েছেন আড়ালে। জাতীয় দলের ক্রিকেটার লিটন, তাওহীদ, শান্তরা এখনো পারেননি জ্বলে উঠতে। 

বোলারদের মধ্যে শরিফুল প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক পেয়েছিলেন। তাসকিনও সেই ম্যাচে সাফল্য পান। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দুজনকেই উল্টোরূপ দেখতে হয়েছে। সিলেটের উইকেট ব্যাটিং বান্ধব। সেখানে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে তা বলতে দ্বিধা নেই। ফলে কয়েকটি রান ফোয়ারার ম্যাচ হবে আশা করাই যায়। আসরে সিলেট বাদে সবগুলো দলই একটি করে জয় পেয়েছে। এখন অপেক্ষা ঘরের মাঠে সিলেটের কতটুকু পরিবর্তন হয় তা দেখার।


বাংলাদেশ   ক্রিকেট   বিপিএল   ম্যাচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সাকিবের সামনে নতুন কীর্তি গড়ার সুযোগ

প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সবকিছু ঠিক থাকলে এবারের বিশ্বকাপে সাকিব নতুন এক কীর্তি গড়বেন। কারণ, ৪৭ উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসানই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। শুধু বাংলাদেশরই নন, ৪৭ উইকেট নেওয়া সাকিব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরই সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।

বাংলাদেশ দল এখনো ঘোষণা না হলেও তাতে সাকিবের থাকা নিশ্চিত। আর মাত্র ৩ ইউকেট পেলে প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়বেন। কারণ, শীর্ষ ৫ উইকেটশিকারির বাকি সবাই অবসর নিয়েছেন।

এদিকে বিশ্বকাপে খেলবেন, এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিবের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, তার উইকেট ৩১টি।

শুধু তাই নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষ অষ্টম স্থানে আছেন সাকিব। ৩৬ ইনিংসে ২৩.৯৩ গড় আর ১২২ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৭৪২।


সাকিব আল হাসান   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নেইমার-ক্যাসেমিরোকে ছাড়াই কোপা আমেরিকার জন্য ব্রাজিল দল ঘোষণা

প্রকাশ: ১২:৫২ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে লাতিন ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের শীর্ষ টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।

কোপা আমেরিকাকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতিস্বরূপ দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল ফুটবল দল। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। আর এই দুই প্রীতি ম্যাচ এবং কোপা আমেরিকাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে সেলেসাওরা। যেখানে স্কোয়াডে রাখা হয়নি পুনর্বাসনে থাকা নেইমার জুনিয়রকে। একই সঙ্গে বাদ পড়েছেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরো। তবে চমক দিয়ে সুযোগ পেয়েছেন তরুণ স্ট্রাইকার ফেলিপে এন্দরিক। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন সেলেসাওদের কোচ দরিভাল জুনিয়র।

আগামী  ৯ জুন মেক্সিকো ও ১৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। প্রীতি ম্যাচ ও গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে প্রায় এক মাস আগেই দল ঘোষণা করেছে সেলেসাওরা।

দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়ার পর দরিভালের অধীনে গত ২৪ মার্চ ইংল্যান্ড ও ২৭ মার্চ স্পেনের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল ব্রাজিল। দুই প্রীতি ম্যাচের স্কোয়াড থেকেই মূলত ২৩ জনকে বেছে নিয়েছেন ৬২ বছর বয়সী এ কোচ। অবশ্য ঐ দুই প্রীতি ছিলেন না ২৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডার গিলহের্মে অ্যারানা ও ২৪ বছর বয়সী এভানিলসন।
 
আগামী ২৫ জুন কোপার যাত্রা শুরু হবে ব্রাজিলের। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা। ‘ডি’ গ্রুপে তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে ও কলম্বিয়া।

ব্রাজিলের স্কোয়াড:
গোলরক্ষক:
অ্যালিসন, বেনতো, এডার্সন।
রক্ষণভাগ: বেরালদো, এদের মিলিতাও, ম্যাগালায়েস, মারকুইনস, দানিলো, ইয়ান কুতো, অ্যারেনা, ওয়েনদেল।
মিডফিল্ডার: আন্দ্রেস পেরেইরা, গিমারেস, ডগলাস লুইজ, জোয়াও গোমস, লুকাস পাকেতা।
ফরোয়ার্ড: এন্দরিক, এভানিলসন, গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি, রাফিনিয়া, রদ্রিগো, সাভিনিও ও ভিনিসিউস জুনিয়র।


কোপা আমেরিকা   ব্রাজিল   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অবশেষে পিএসজি ছাড়ছেন এমবাপ্পে, জানালেন নিজেই

প্রকাশ: ১১:৪৪ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরাসী তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পের দলবদলের খবর এখন প্রায়ই শিরোনামে থাকছে। আগামী জুনেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে তার। এরপরেই ফ্রি খেলোয়াড় হিসেবে ক্লাব ছাড়তে চান ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। পিএসজিকে এরই মধ্যে নিজের সিদ্ধান্ত জানালেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন না।

তবে এবার সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নিজেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। শুক্রবার (১০ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে নিজের পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দেন ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।

নতুন মৌসুমে কোন ক্লাবে যোগ দিচ্ছেন ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড? ভিডিওবার্তায় এমবাপ্পে বলেন, আমি সবসময়ই আপনাদের বলে এসেছি, যখন সময় আসবে, আমি নিজ থেকেই বলব। পিএসজিতে এটাই আমার শেষ মৌসুম হতে যাচ্ছে। চুক্তি নবায়ন করতে আমি আগ্রহী নই এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ক্লাবটির সাথে এই যাত্রা শেষ হয়ে যাবে আমার।

পিএসজির হয়ে খেলতে পারাটা বেশ আবেগের বলে মনে করেন কিলিয়ান। জানান, আমি কখনও ভাবিনি পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা এতটা কঠিন কাজ হবে আমার জন্য। এখানে মিশে আছে অনেক আবেগ। বিশ্বের বড় ক্লাবগুলোর একটিতে খেলতে পারা আমার জন্য বেশ সম্মানের। তবে সাত বছর পর নতুন একটা চ্যালেঞ্জ নেয়া বেশ প্রয়োজন বলে মনে করি আমি।

ঘরোয়া লিগে পিএসজি’র জার্সিতে আলো ছড়ালেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি এমবাপ্পে। চলতি মৌসুমে তাদের যাত্রা শেষ হয় সেমিফাইনালের মঞ্চে। ফরাসি জায়ান্টদের হয়ে কাটানো সময় একই সাথে চাপ ও উপভোগের ছিল বলে মনে করেন এই ফরওয়ার্ড।

তিনি বলেন, পিএসজিতে বেশ কিছু তারকাদের সাথে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। মেসি-নেইমারদের সাথে স্মরণীয় মূহুর্ত রয়েছে আমার। এখানে কাটানো প্রতিটি সময় উপভোগের সাথে চাপের এক দারুণ সংমিশ্রণ ছিল। এমন অভিজ্ঞতার স্বাদ দেয়ার জন্য ক্লাবের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।

২০১৭ সালে মোনাকো থেকে ধারে খেলতে পিএসজিতে আসেন এমবাপ্পে। পরের বছরই এই ফরোয়ার্ডকে কিনে নেয় প্যারিসের দলটি। পিএসজির জার্সিতে ছয়টি লিগ শিরোপা, তিনটি ফরাসি কাপসহ আরও বেশ কিছু ট্রফি জিতেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।


কিলিয়ান এমবাপ্পে   ফ্রান্স   পিএসজি   রিয়াল মাদ্রিদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পরিচ্ছন্ন অভিযানে তামিম ইকবাল

প্রকাশ: ০৯:৩২ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফল ওপেনার ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। একটা লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন নানা কারণেই। তবে কবে আবারও ফিরছেন জাতীয় দলে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে এরই মধ্যে তামিম আবারও নতুন করে খবরের শিরোনামে। কিন্তু এবার ক্রিকেট সংক্রান্ত কোন বিষয়ে নয়।

এবার সিলেট নগরীর সড়কে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছেন তামিম ইকবাল। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তামিমকে নিয়ে রাজপথে নামেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। পরে নগরভবনের সামনে থেকে নাগরী চত্বর হয়ে সার্কিট হাউসের সম্মুখ-সুরমাতীর পর্যন্ত পচ্ছিন্নতা অভিযানে অংশ নেন তিনি। এ সময় বেশ হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে একটি সড়ক পরিষ্কার করেন দেশসেরা এ ওপেনার।

এ সময় তামিম বলেন, এমনিতে সারাদেশে সিলেটবাসীর আলাদা একটা সুনাম আছে। আধ্যাত্মিক এই নগরী আগের চেয়ে বর্তমানে আরো বেশি পরিচ্ছন্ন। বিশেষ করে ফুটপাত এবং রাজপথে হকার্সদের হাঁকাহাঁকি ঝুট-ঝামেলা বন্ধ করতে অল্প সময়েই সক্ষম হয়েছেন সিলেটবাসীর প্রিয় মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

সাবেক টাইগার অধিনায়ক আরো বলেন, এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী। আগামী সাড়ে ৪ বছরে সিলেট মহানগরী সারাদেশের জন্য একটি আদর্শ নগরী হিসাবে উদাহরণ হয়ে থাকবে। বর্তমান মেয়রের সেই আন্তরিকতা এবং যোগ্যতা আছে বলেই আমি মনে করি।

সিসিক সূত্র জানায়, পরিচ্ছন্নতা কাজে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে তামিম ইকবাল মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে ঐ কাজে অংশ নেন।

সিলেট সফরে আসায় এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করায় তামিম ইকবালকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটের রাজপথে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমে তামিম প্রমাণ করলেন তিনি শুধু খেলার মানুষই নয়, একজন দায়িত্ব সচেতন এবং সম্মানিত নাগরিক। তাকে দেখে সবাই আমাদের নগরীকে আরো বেশী পরিচ্ছন্ন রাখতে আন্তরিক হবেন উৎসাহী এবং উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস।’


তামিম ইকবাল   সিলেট সিটি কর্পোরেশন   আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত টিম টাইগার্স?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বজুড়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে অন্যরকম আবহ। চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে খেলা। বাকি নেই এক মাসও। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।

আসন্ন এই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতিস্বরূপ একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডসহ বিভিন্ন অংশগ্রহণকারী দলগুলো। তবে এদিক থেকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটটা একটু ভিন্ন। কারণ বাংলাদেশ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ তো খেলছে ঠিকই, তবে যাদের সাথে খেলছে তারা এবার বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতি হিসেবে জিম্বাবুয়ের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে এখন পর্যন্ত ৪টি ম্যাচ ইতোমধ্যেই মাঠে গড়িয়েছে। আর সবগুলোতেই জিতেছে বাংলাদেশ। তবে তারপরেও যেন স্বস্তি নেই টাইগার শিবিরে।

কারণ এই সিরিজের ম্যাচগুলোতে টাইগার ব্যাটারদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছে এটি বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নয়, বরং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জেতাটাই মূল লক্ষ্য। ফলে যে দলটা উগান্ডার কাছে  হেরে এসেছে সেই জিম্বাবুয়েও যেন শান্ত-লিটন-হৃদয়দের কাছে শক্তিশালী মাইটি অস্ট্রেলিয়া।

চলতি বছরে লংকানদের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক খেলায় মাঠে নেমেছিল টাইগাররা। যেখানে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে ঘরের মাঠে সিরিজ খুইয়েছিল তারা। তাই বিশ্বকাপের আগে দলের মূল ব্যাটারদের ফর্মে ফেরানো জরুরী মনে করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজে সে কথা ভুলে গেছেন কোচ এবং অধিনায়ক।

সাধারণত দেশের মধ্যে খেলা হলে চট্টগ্রামের উইকেটে রানখরা থাকে না। যার ফলে চার-ছক্কার বিশ্বকাপের জন্য ব্যাটিং প্রস্তুতিটা সেখানে ভালোভাবেই সেরে নিতো পারতো টাইগাররা। কিন্তু সেখানে টানা দুই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট কারার সুযোগ পেয়েও ফিল্ডিং নিয়েছিলেন শান্ত।

আগে ব্যাট করে যেখানে বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টের পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তোলার অভ্যাস গড়ে নিতেই পারতো বাংলাদেশ। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। প্রথম ম্যাচে ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়া প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৫ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ম্যাচে শুধু তাওহীদ হৃদয় (১৪৮.০০) এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১৬২.৫০) টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করেছেন। অন্যদিকে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করলেও ৯২ স্ট্রাইক রেটে ২৫ বলে ২৩ রান করে আউট হন লিটন। ৯৪ দশমিক ৭৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে ১৯ বলে ১৮ রান করেন তামিম। ১৫ বলে ১৬ করেন শান্ত।

তবে চতুর্থ ম্যাচে তামিমের ব্যাট হেসেছে ভালোই। এদিন অফফর্মের কারণে লিটনকে ড্রপ করে সৌম্যকে নেওয়া হয়েছিল। আর সৌম্য সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়েছেন ভালোই। এদিন দ্রুতই শতকের ঘরে পৌঁছায় বাংলাদেশ। তবে শতকের পরই যেন আবারও সেই উইকেটের মিছিল। একের পর এক আসা যাওয়া। ৪২ রানের মধ্যে ১০টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত লিটন-শান্ত-তামিমরা? এমন প্রশ্নই এখন ঘুরছে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টদের মনে।

চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটে আগে ব্যাট করলে চাপ মুক্তভাবে ব্যাট করে রানে ফেরার সুযোগ ছিল লিটনের সামনেও। সুযোগ ছিল মূল ম্যাচে নিজেদের পাওয়ার হিটিংয়ের দক্ষতা পরখ করে দেখে নেওয়ার। বিশ্বকাপের আগে কয়েকটা ম্যাচে ২০০ প্লাস স্কোর গড়তে পারলে ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাসটাও বাড়তো।

কিন্তু সবকিছুর বিপরীত দিকে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট। বোলিংয়ে তাসকিন-শরিফুলরা সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং প্রমাণ করে টাইগারদের ব্যাটিং দুর্বলতা অনেক গভীরে।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন