ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার প্রিমিয়ার লিগ জয়ের সম্ভাবনায় এগিয়ে যারা

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল ভক্তদের কাছে প্রিমিয়ার লিগ যেন দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। কারণ পৃথিবীতে যত যাই কাজ থাকুক রাতে খেলা আছে মানেই তা জাকজমকপূর্ণ। আর তাইতো বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ঘরোয়া ক্রীড়া আসর ভাবা হয় এই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে।

কিন্তু বিগত বেশ কিছু মৌসুম থেকে এই ঘরোয়া আসরকে বড্ড একপেশে বানিয়ে ফেলেছে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। কারণ সর্বশেষ ছয় মৌসুমের পাঁচবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রিমিয়ার লিগের হট ফেভারিট এই দল। শুধুই কি চ্যাম্পিয়ন, এরই মধ্যে ২০১৭–১৮ মৌসুমে লিগ ইতিহাসের প্রথম ক্লাব হিসেবে ১০০ পয়েন্ট অর্জনের কীর্তিও গড়েছে আকাশী সাদা জার্সির এই বাহিনী।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই যে হয়নি, তা কিন্তু নয়। কিন্তু এত সব কঠিন চ্যালেঞ্জগুলো উপেক্ষা করে সবসময়ই সেরার খাতায় নাম লিখিয়েছেন হালান্ড-ফোডেনরা।

২০১৮–১৯ ও ২০২১–২২ মৌসুমে একেবারে শেষ দিনে গিয়ে লিভারপুলকে ১ পয়েন্টের ব্যবধানে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গার্দিওলার দল। সর্বশেষ ২০২২–২৩ মৌসুমে আর্সেনাল ২৪৮ দিন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকলেও শেষভাগে পাশার দান উল্টে যায়। আর্সেনালের অবিশ্বাস্য ছন্দপতনের বিপরীতে সিটি টানা ৮ ম্যাচ জিতে শিরোপা ধরে রাখে।

এবারও বিশ্বসেরা এই ঘরোয়া লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনার দৌড়ে শীর্ষে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ফুটবলের পরিসংখ্যানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘অপ্টা’র সুপার কম্পিউটার বলছে, ২০২৩–২৪ মৌসুমেও ম্যানচেস্টার সিটির প্রিমিয়ার লিগ জয়ের সম্ভাবনা বেশি। এই কম্পিউটার প্রতিটি রাউন্ড (ম্যাচ ডে) শেষে ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগ জয়ের সম্ভাবনার তথ্য হালনাগাদ করে থাকে।

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ২৩তম রাউন্ড শেষে কম্পিউটার জানিয়েছে, গার্দিওলার সিটির চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা ৬৬.২%, যা গত দুই মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

ক্লাবগুলোর ম্যাচ খেলা ও বাকি থাকার সংখ্যা, পয়েন্ট তালিকায় বর্তমান অবস্থান, শক্তিমত্তা বিশ্লেষণের পর ভবিষ্যদ্বাণী করে থাকে অপ্টার সুপার কম্পিউটার। মূলত পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা লিভারপুলের এক হারই সিটির লিগ শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। গত রোববার লন্ডনের এমিরেটসে আর্সেনালের মুখোমুখি হয় লিভারপুল। ইয়ুর্গেন ক্লপের দল ম্যাচটি ৩–১ ব্যবধানে হেরে যায়।

ওই ম্যাচ শুরুর আগেও সিটির টানা চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখানো হচ্ছিল ৫৪.৫%, লিভারপুলের ৪১.৪% আর আর্সেনালের ৩.৭%। 

ম্যাচটি খেলতে নামার সময় এক নম্বরে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ছিল ৫১, সিটি আর আর্সেনালের সমান ৪৬ করে। গোলের পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় সিটি ছিল দুইয়ে, আর্সেনাল তিনে। তা ছাড়া সিটি এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১ ম্যাচ কমও খেলেছিল।

তবে সেদিন লিভারপুলকে হারিয়ে সিটিকে টপকে দুইয়ে উঠে আসে আর্সেনাল। পরদিনই ব্রেন্টফোর্ডকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থান পুনরুদ্ধার করে সিটি। এতে এক লাফে গার্দিওলার দলের লিগ জয়ের সম্ভাবনা ১১.৭% বেড়ে হয় ৬৬.২%, লিভারপুলের কমে হয়ে যায় ২৬.১%, আর্সেনালের বেড়ে হয় ৭.৪%।

২৩ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল এখনো পয়েন্ট তালিকার চূড়ায় অবস্থান করছে। কিন্তু সিটি যে অলরেডদের চেয়ে ১ ম্যাচ কম খেলেছে! আগামী শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচেই খেলতে নামবে গার্দিওলার দল। ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ওই দিন এভারটনকে হারালেই ২৩ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে আসবে গত মৌসুমে ট্রেবলজয়ী ক্লাবটি।

অন্য ক্লাবগুলো ২৩টি করে ম্যাচ খেললেও সিটির ১ ম্যাচ কম খেলার কারণ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। গত ডিসেম্বরে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে সৌদি আরবে গিয়েছিল তারা। সে কারণে ওই সময় প্রিমিয়ার লিগ সূচিতে থাকা তাদের ম্যাচটি পিছিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।

আগেই বলা হয়েছে, ক্লাবগুলোর ম্যাচ ও পয়েন্ট তালিকার অবস্থানের পাশাপাশি শক্তিমত্তাও বিশ্লেষণ করে থাকে অপ্টার সুপার কম্পিউটার। সিটির বড় দুই তারকা কেভিন ডি ব্রুইনা ও আর্লিং হলান্ড চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরায় গত কয়েক দিনে দলটির শক্তিমত্তাও বেড়েছে।

বিপরীতে জাতীয় দল মিসরের হয়ে আফ্রিকা কাপ নেশনস খেলতে গিয়ে চোটে পড়া মোহাম্মদ সালাহ এখনো পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। আরও কিছুদিন সালাহকে ছাড়াই খেলতে হতে পারে লিভারপুলের। 

দলটির মিডফিল্ডার ওয়াতারু এন্দোও জাতীয় দল জাপানের হয়ে এএফসি এশিয়ান কাপ খেলতে গিয়েছিলেন। গত শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালে ইরানের কাছে হেরে ছিটকে পড়েছে জাপান। এরপর এন্দো লিভারপুলে ফিরলেও এখনো মাঠে নামেননি। এ ছাড়া নতুন করে চোটের তালিকায় যুক্ত হওয়া দমিনিক সোবোসলাই ও কস্তাস সিমিকাসকেও পাচ্ছে না লিভারপুল। 

তারকা খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই ক্লপের দলের শক্তি কমিয়ে দিয়েছে। সেটাই সুপার কম্পিউটারের ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে।

এ মুহূর্তে সিটি, লিভারপুল ও আর্সেনালের বাইরে আর দুটি দলের লিগ জয়ের কিঞ্চিৎ সম্ভাবনা দেখছে সুপার কম্পিউটার। মৌসুমের চমক অ্যাস্টন ভিলার সম্ভাবনা দেখানো হচ্ছে ০.২% আর টটেনহামের ০.১%।

এবারের মৌসুম শেষে শীর্ষ চারে কারা থাকবে, সেই ভবিষ্যদ্বাণী অবশ্যই বেশ আগে করে রেখেছে অপ্টার সুপারকম্পিউটার। যেখানে ম্যানচেস্টার সিটির সম্ভাবনা ৯৯.২০%, লিভারপুলের ৯৭.১০%, আর্সেনালের ৯৩.৮০%, অ্যাস্টন ভিলার ৬৫.৮০% আর টটেনহামের ৩০.৫০%। তবে অপ্টা জানিয়েছে, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই ভবিষ্যদ্বাণী হালনাগাদ করা হবে।


ক্রীড়াঙ্গন   ফুটবল   প্রিমিয়ার লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের বোলিং তোপে ১২৪-এ গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

শঙ্কা ছিল টাইগার বোলারদের দাপটের দিনে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। তবে সেই শঙ্কা রীতিমত দুঃস্বপ্নে রূপ দিয়েছে রোডেশিয়ানদের লোয়ার-অর্ডার।

শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সফরকারীরা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রানে ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে।

এদিন বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ চার ওভারে ১৪ রান খরচায় শিকার করেছেন তিন উইকেট। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে শিকার করেছেন তিনটি উইকেট। শেখ মেহেদী নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে এই ম্যাচে খরুচে ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ছয়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বি। মাঝে চার বল ডট দিয়ে শেষ বলে আবারও চার মারেন এই ব্যাটার। প্রথম ওভারেই জিম্বাবুয়ে তোলে ৮ রান।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বলে আসেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তিনি এসে শুরুতেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। তার দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তৃতীয় ওভারে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই চার মেরে আগ্রাসী রূপ দেখানোর আভাস দেন তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান বেনেট। ওপেনার গাম্বির সাথে জুটি বেধে তোলেন ২৮ রান। তবে এই জুটিতে আঘাত করেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার লুজ বলে শর্ট ফাইনে তাসকিনের হাতে গাম্বি ক্যাচ দিলে ভাঙ এই জুটি। এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিল। ২ উইকেটে ৩৬ রান তোলা জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ড দাঁড়ায় ৪১/৭।

মূলত ষষ্ট ওভারে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনের। ৫ দশমিক ১ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। পরের বলেই উইকেরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৮ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিড স্টার তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলেই শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। দুইজনই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার লুক জঙ্গি। তার এই উইকেটে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৪১/৭।

এরপর বিপর্যয়ের মধ্যে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৬৫ বলে ৭৫ রান ওঠে এই জুটিতে। তাদের ব্যাটে ভর করে ১০০ ছাড়ায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১১৬ রানের সময় এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাদান্দে। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রথম টি-২০তে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে।

যেখানে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে টি-২০ সংস্করণে অভিষেক হয়েছে বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।

টি-২০তে এখন পর্যন্ত ২০বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। যেখানে ১৩ জয়ের বিপরীতে ৭ ম্যাচে হেরেছে টিম টাইগার্স।

দুই দলের মধ্যে দলীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। ২০২২ সালে হারারেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০৫ করেছিল তারা। অন্যদিকে ২০২০ সালে মিরপুরে ৩ উইকেটে ২০০ রান করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেইগ আরভিন, ব্রায়ান বেননেট, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদানদে, লুক জঙ্গি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুস্তাফিজের পোস্ট

প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলে এবারের আসরে চেন্নাইয়ের জার্সিতে স্বপ্নের মতো সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণেই মাঝপথে আইপিএলকে বিদায় জানাতে হয়েছে এ টাইগার পেসারকে।

বিদায় বেলায় মুস্তাফিজকে নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি জার্সি উপহার দেন ধোনি। যেখানে লেখা ছিল, ‘ফিজের প্রতি ভালোবাসা।’ সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাটার মাস্টার।

নিজের অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁহাতি এই পেসার লিখেছেন, ‘সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ মাহি (ধোনি) ভাই। আপনার মতো কিংবদন্তির সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নেয়াটা ছিল বিশেষ এক অনুভূতি। সবসময় আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, আমি সেগুলো মনে রাখব। আপনার সঙ্গে শিগগিরই আবারও খেলতে এবং দেখা করতে মুখিয়ে আছি।’

বিসিবির দেওয়া অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। এই আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে আগেই মন খারাপের কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি   ফ্লেমিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আরও এক শিরোপা জয়ের হাতছানি লেভারকুসেনের

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মৌসুমে বারবার খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফিরে আসার গল্প লিখেছে বায়ার লেভারকুসেন। বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতে চমকে দিয়েছে ফুটবল বিশ্বকে। যার জন্য কমেন্ট্রেটররা তো বারবারই বলছে ‘টিল দ্য লাস্ট হুইসাল নেভার রুল আউট লেভারকুসেন।’

লেভারকুসেনের এই সাফল্য এসেছে জাবি আলোনসোর হাত ধরে। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আরও একটি শিরোপা জয়ের হাতছানি দলটির সামনে। ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রোমার মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লেভারকুসেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দিবাগত রাতে স্তাদিও অলিম্পিকোতে রোমাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। জয়সূচক গোল ২টি করেছেন ফ্লোরিয়ান উইর্টজ ও রবার্ট এন্দরিখ।

এই ম্যাচে বল দখলে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে বেশ এগিয়ে ছিল লেভারকুসেন। ৪৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৯টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল তারা। বিপরীতে ঘরের মাঠে ৮টি শট নিয়ে ২টি প্রতিপক্ষের গোলমুখে রাখতে পেরেছিল রোমা।

রোমেলু লুকাকু, পাওলো দিবালার মতো তারকাদের স্তব্ধ করে ম্যাচের ২৮তম মিনিটেই লেভারকুসেনকে লিড এনে দেন ২০ বছর বয়সী জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার উইর্টজ। ডাচ রাইট-ব্যাক রিক কার্সদর্পের ভুলের খেসারত দিতে হয় দলকে। ব্যাক পাসে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের কাছে দিয়ে বসেন তিনি।

যেন ডি-বক্সে ঢুকে পড়া নিজের সতীর্থকে পাস দিচ্ছেন। বল পেয়ে যান অ্যালেক্স গ্রিমালদো। এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের বাধায় তিনি বল তুলে দেন অরক্ষিত থাকা উইর্টজকে। বাকি কাজকে অনায়াসে সেরে নেন এ জার্মান মিডফিল্ডার।

৩৪তম মিনিটে গ্রিমালদো আরও একটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। তবে পেনাল্টি এরিয়ার সামনে অরক্ষিত অবস্থায় বল পেয়েও জালে জড়াতে ব্যর্থ হন জেরেমি ফ্রিমপং।

এরপর বিরতি কাটিয়ে ম্যাচের ৭২ মিনিট পর্যন্ত কোনো দল গোলের তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৭৩তম মিনিটে রোমার সমর্থকদের দুঃখ দ্বিগুণ করে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন এন্দরিখ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ক্রসে জাল খুঁজে নেন তিনি। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না রোমার গোলরক্ষকের।

স্বাগতিকরা একটি গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচের যোগ করা সময়ে। তবে গোলপোস্ট ফাঁকা পেয়েও লুকাকু হেড নেন বারের ওপর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে রোমার দুর্গ থেকে জয় নিয়ে ফেরে লেভারকুসেন।

আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রোমাকে আতিথ্য দেবে লেভারকুসেন। সে ম্যাচে ড্র কিংবা হারের ব্যবধানটা ১-০ গোলের মধ্যে রাখতে পারলেই ইউরোপা লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করবে আলোনসোর শিষ্যরা।


বায়ার লেভারকুসেন   রোমা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এমএলএসের মাসসেরা ফুটবলার লিও মেসি

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কোন অর্জন নেই যা তার ঝুলিতে নেই। ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের অধরা সোনালী ট্রফিটাও জিতেছেন তিনি। আর এতে করে সর্বকালের সেরা হওয়ার অ্যাখ্যাও পেয়েছেন তিনি।

বর্তমানে ক্লাব ফুটবলে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন লিওনেল মেসি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে পাড়ি দিয়ে নানান স্বীকৃতিই পেয়েছেন তিনি। তবে এই প্রথমবারের মতো এমএলএসের মাসসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

হ্যামস্ট্রিং-এর চোট থেকে ফিরে গত এপ্রিল মাস জুড়ে দারুণ পারফর্ম করায় এই স্বীকৃতি পেয়েছেন মেসি। গত ৬ এপ্রিল দলে ফিরেই গোল উৎসবে মাতেন মায়ামির আর্জেন্টাইন তারকা।

গত এপ্রিলে ৪ ম্যাচ খেলেছেন মেসি। যেখানে ৬ গোল করেছেন তিনি। গোলের পাশাপাশি ৪টি অ্যাসিস্টও রয়েছে তার। স্বাভাবিকভাবেই লিগের মাসের সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন।

মেসি দলে ফেরার জয়ে ফিরেছে মায়ামি। টানা ৪ ম্যাচে অপরাজিত মায়ামি বর্তমানে লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে। ইস্টার্ন কনফারেন্সের টেবিলে শীর্ষে মায়ামির পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ২১।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন