ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘নিগার যখনই খেলে, মুগ্ধ হয়ে না দেখে উপায় থাকে না’

প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ০৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় নিগার সুলতানা। ছোটবেলায় পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে খেলা সেই নিগার এখন আত্মবিশ্বাস ও নিজের শৈল্পিক ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশকে।

একজন সফল নারী হিসেবে দেশকে বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্ব দেওয়া এই নিগার সুলতানাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে লিখেছেন, ক্রিকেট কোচ ও বিশ্লেষক নাজমূল আবেদীন।

নাজমূল আবেদীনের লেখা-

নিগার সুলতানাকে প্রথম দেখি ২০১৭ সালে, বিসিবির নারী বিভাগের দায়িত্বে আসার পর। তখনো তার খেলা সম্বন্ধে কোনো ধারণা ছিল না। পরের বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রথম খেলা দেখার সুযোগ হলো। তখন থেকেই তার ব্যাটিং ও উইকেটকিপিংয়ের দক্ষতা আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আফসোসও হতো, আরেকটু যদি ‘মাসকুলার’ হতো, শক্তি থাকত!

২০১৮ সালে বাংলাদেশ যে এশিয়া কাপ জিতেছিল, তার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করেছিল নিগার। শেষ দিকে ঝুলন গোস্বামীর মতো বোলারকে এক ওভারে তিনটি চার মেরেছিল। বাংলাদেশকে ম্যাচে এগিয়ে রেখেছিল ওই চারগুলো। মনে আছে, ২৪ বলে ২৭ রান করেছিল।

নিগার যখনই খেলে, মুগ্ধ হয়ে না দেখে উপায় থাকে না। ওর খেলার মধ্যে, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে একটা শৈল্পিক ব্যাপার আছে। নিগারের উইকেটকিপিং দক্ষতাও অসাধারণ। দারুণ স্বতঃস্ফূর্ত। এখন হয়তো অনেক মেয়েই অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা পায়, কিন্তু তার উঠে আসার সময়ে তো এমন ছিল না। তখনো কীভাবে এত ভালো উইকেটকিপিং—শিখল, সেটা একটা বিস্ময়। ছোটবেলায় পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলত, সেটাই হয়তো কারণ।

পারফরম্যান্সকে একটা পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে দক্ষতা। সেই পারফরম্যান্সকে আরও অনেক ওপরে নিয়ে যায় কিন্তু সেই খেলোয়াড়ের সার্বিক ব্যক্তিত্ব। এ জায়গায় নিগার অনেক শক্তিশালী। খেলার ধরন, ব্যক্তিত্ব, যোগাযোগের দক্ষতা—সবকিছু মিলিয়েই কিন্তু ও একজন নিগার হয়ে উঠেছে। শুরু থেকেই ও জাতীয় দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পাকিস্তান, ভারতের মতো দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ে ওর ভূমিকা অনেক। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, মেয়েদের ক্রিকেট এগিয়ে যাওয়ার পেছনে নিগারের একটা বড় ভূমিকা আছে। সেখানে তার ব্যক্তিত্বও গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদের গাইড করা, মেনটরিং করা, দলকে গুছিয়ে নেওয়া, নতুনদের সহায়তা করার ব্যাপারগুলো তার মধ্যে আছে। দারুণ একজন নেতা, জুনিয়রদের জন্য গাইড।

স্টাম্প মাইক্রোফোনে ওর কথা শুনেছি, খেয়াল করেছি—কেউ হয়তো ভালো করেনি, তারপরও রেগে যায় না। অনেক সময় দল হারলে অধিনায়ক মেজাজ হারিয়ে ফেলে। সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানে। অভিভাবকসুলভ একটা মানসিকতা ওর মধ্যে আছে। যেকোনো দল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটা খুবই দরকার।

খেলার বাইরেও দারুণ এক মেয়ে। সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি বলা এবং উপস্থাপনায়ও বেশ দক্ষ। যেভাবে নিজেকে উপস্থাপন করে, প্রশংসনীয়। সে তো ভালো গানও করে। আসলে ওর অনেক গুণ। সংবাদমাধ্যমে তাকে খুব একটা দেখি না, কারণ প্রচারের জন্য নিজে থেকে এগিয়ে যাওয়ার মানুষ সে না। এটাও আমাকে বিশেষভাবে মুগ্ধ করে। এ বয়সে, বিশেষ করে এ যুগে, নিজের প্রচারের আকর্ষণটা, নিজেকে সামনে রাখার ব্যাপারটি সামলে রাখা ওর নেতৃত্ব গুণেরই পরিচায়ক। এসব কারণেই তাকে নিয়ে অনেক আশা। সে নিশ্চয় অন্যদের মধ্যেও এটা ছড়িয়ে দিতে চাইবে।

আশপাশের মানুষ যদি একটু সহায়তা করে, তাহলে সে মেয়েদের ক্রিকেটটা অনেক দূর নিয়ে যেতে পারবে। শুধু নিজের খেলা নিয়ে নয়, দল নিয়ে, দলের সবাইকে নিয়েই ভাবে। বড় কলেবরে চিন্তা করার গুণটা ওর মধ্যে আছে। নিজে থেকেই বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখতে চায় নিগার। এখন নতুন প্রজন্মের যারা খেলে, অনেকের কাছেই সে রোল মডেল হয়ে উঠেছে। হয়তো উঠতি খেলোয়াড়েরা অধিনায়কত্বের ব্যাপারটি সেভাবে বুঝে উঠবে না, কিন্তু তার খেলাটা তো সবাই দেখে।

ক্রিকেট নিয়ে আমাদের মধ্যে যখনই আলাপ হয়েছে, নিজ শহর ময়মনসিংহে ক্রিকেট নিয়ে কী করতে পারে, সেটাও আলোচনায় এসেছে। তখনো সে অধিনায়ক হয়নি, তখন থেকেই নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বড় পরিসরে ভাবতে দেখেছি। সে সামগ্রিক ব্যাপারটা দেখতে চায়। সব মেয়েকে নিয়েই ভাবে, এগিয়ে যেতে চায়। উদাহরণ তৈরি করতে চায়। মেয়েদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিটা যাতে আরও ইতিবাচক হয়, এমন একটা পরিবেশ তৈরির স্বপ্ন দেখে।

তার চিন্তাভাবনা শুধু ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ নয়; যেকোনো ব্যাপারেই বাংলাদেশের মেয়েদের একটা বার্তা দেবে নিগার—আমরা যদি প্রচলিত ঘরানার চিন্তার বাইরে যাই, সুযোগ আছে। শুধু ক্রিকেট-ফুটবল নয়, যেকোনো পর্যায়েই এমন বার্তা দেবে—যতই সীমাবদ্ধতা থাকুক, আমরাও পারি। আমার আশা তাই আরও বেড়ে যায়।

আশা করি, ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে নিগার। শুধু মেয়েদের ক্রিকেট নয়, অন্য খেলায় বা অন্য ক্ষেত্রেও তাদের সাফল্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সূত্র: প্রথম আলো


নিগার সুলতানা   নারী ক্রিকেট   বাংলাদেশ   নারী দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল ভারত

প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। যার মধ্যে থেকে ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকা। এবার সেই ধারাবাহিকতায় ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ভারতও।

২০০৭ সালের শিরোপাজয়ীরা ভিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া এবং রিশাভ পান্তকে সঙ্গে নিয়েই বিশ্বমঞ্চে যাচ্ছে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে জায়গা হয়নি শুভমান গিল এবং রিঙ্কু সিংয়ের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতের স্কোয়াড
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), ইয়াশভি জায়সাওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পান্ত, সাঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পান্ডিয়া, শিভাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ।

রিজার্ভ ক্রিকেটার- শুভমান গিল, রিংকু সিং, আভেষ খান, খলিল আহমেদ।


ভারত   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   বিরাট কোহলি   রোহিত শর্মা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:৪৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এইডেন মার্করামকে অধিনায়ক করে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিপিএল এ চ্যাম্পিয়ন ডেভিট মিলার রয়েছে এ দলে। তাছাড় প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আছেন অনভিষিক্ত দুই ক্রিকেটারও।

বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত দলের ব্যাটিং ইউনিটে আছেন অভিজ্ঞ কুইন্টন ডি কক, রেজা হেনড্রিকস, হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার ত্রিস্টান স্টাবস।

পেস ইউনিটে নির্বাচকরা আস্থা রেখেছেন কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নরকিয়া, মার্কো জানসেন জেরাল্ড কোয়েৎজের ওপর।

স্পিন বিভাগের রয়েছেন, কেশব মহারাজ, তাবরাইজ শামসি ও জর্ন ফরটুইন। এছাড়াও বিশ্বকাপে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা দুই ক্রিকেটার হলো রায়ান রিকেলটন এবং ওটনিয়েল বার্টমান।

এছাড়াও নান্দ্রে বার্গারের সঙ্গে রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে আছেন লুঙ্গি এনগিডি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ স্কোয়াড:

এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ওটনিয়েল বার্টমেন, জেরাল্ড কোয়েৎজে, কুইন্টন ডি কক, জর্ন ফরটুইন, রেজা হেনড্রিকস, মার্কো জানসেনহেনরিখ ক্লাসেন, কেশভ মহারাজ, ডেভিড মিলার, আনরিখ নরকিয়া, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেলটন, তাবরাইজ শামসি, ত্রিস্টান স্টাবস।

বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা আছে ডি গ্রুপে। যেখানে তাদের সঙ্গী শ্রীলংকা, নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ নেপাল। ১০ জুন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকার।


টি-২০   বিশ্বকাপ   প্রোটিয়া   দক্ষিণ আফ্রিকা   দল ঘোষণা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জস বাটলারকে অধিনায়ক করে ইংল্যান্ডের টি-২০ বিশ্বকাপ দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:১৭ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুধু তাই নয় দল গঠনেও উঠেপড়ে লেগেছে তারা।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার জস বাটলারকে অধিনায়ক করে এবং জোফরা আর্চারকে ফিরিয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ঘোষিত এ দলে চমক হিসেবে আছেন স্পিনিং অলরাউন্ডার টম হার্টলি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে আগামী জুনে অনুষ্ঠেয় আসছে আসরের জন্য মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ১৫ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে ইসিবি। বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণার শেষ সময় ১ মে। তবে ২৫ মে পর্যন্ত দলে পরিবর্তন আনা যাবে কোনো কারণ দেখানো ছাড়াই।

২০২৩ সালের ১৪ মার্চ বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন আর্চার। চোটের কারণে মাঠে অনিয়মিত হয়ে পড়া এই পেসার সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন গত বছরের ৬ মে, আইপিএলে। তবে ডান হাতের কনুইয়ের ইঞ্জুরি সেরে ওঠায় বিশ্বকাপে খেলতে চলেছেন আর্চার। বিশ্বকাপে তাকে পাওয়ার জন্য ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড বেশ সতর্ক অবস্থানে ছিল।

এবারের আসরে গ্রুপ বি’তে খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান। আগামী ৪ জুন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে জস বাটলারের দল।

ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড: জস বাটলার (অধিনায়ক), ফিল সল্ট, উইল জ্যাকস, জনি বেয়ারস্টো, বেন ডাকেট, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলী, স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডান, টম হার্টলি, আদিল রশিদ, জফরা আর্চার, মার্ক উড, রিস টপলি।


জস বাটলার   ইংল্যান্ড   জোফরা আর্চার   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো’তে আজ বায়ার্নের মুখোমুখি রিয়াল

প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মৌসুমটা যেন রিয়ালের জন্য যেন আরও এক স্বপ্নের মৌসুম। কারণ ইতোমধ্যেই লা লিগা শিরোপা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। সেই সাথে এবার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও পা রেখেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।

আর সেই ধারাবাহিকতায় এবার শিরোপা নিশ্চিত করতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। এ লড়াইয়ে সেমিফাইনালে লস ব্লাঙ্কোসদের সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ। যেখানে অপেক্ষায় বায়ার্ন মিউনিখ।

মঙ্গলবার সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এরই মধ্যে জার্মানিতে পৌঁছেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। এই দুই দল প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি একে অপরের মোকাবেলা করেছে।

অনেকটা অলিখিতভাবেই এই দুই জায়ান্টের দ্বৈরথ ‘ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো’র তকমা পেয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ২৬বারের মোকাবেলায় মাদ্রিদের ১২ জয়ের বিপরীতে বায়ার্নের জয় ১১টিতে। যে কারণে একটু হলেও মাদ্রিদকে এগিয়ে রাখা যায়।

গত এক দশকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জার্মান জায়ান্টদের উপর অনেকটাই ছড়ি ঘুরিয়েছে মাদ্রিদ। রেকর্ড ১৪বারের বিজয়ী মাদ্রিদ সাম্প্রতিক তিনটি আসরে বায়ার্নকে বিদায় করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সেমিফাইনাল ও ২০১৭ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল।

এই তিনটি আসরেই রিয়াল মাদ্রিদ শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরেছে। ২০১৭ সালে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অতিরিক্ত সময়ের বায়ার্ন বিদায় নিয়েছিল। ম্যাচটিতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো হ্যাটট্রিক করেছিলেন।

ঐ সময় বায়ার্নের কোচ ছিলেন আনচেলত্তি। কয়েক মাস পর এই ইতালিয়ান কোচকে বরখাস্ত করে বায়ার্ন। এই সুযোগটি লুফে নেয় মাদ্রিদ। আনচেলত্তিকে পেয়ে আরো বেশি উজ্জীবিত মাদ্রিদ এরপর আরো দুটি শিরোপা জয় করেছে।

এবার বুন্দেসলিগায় বায়ার লেভাকুসেনের কাছে ১১ বছরের আধিপত্য হারিয়েছে বায়ার্ন। আর এ কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাটি তাদের কাছে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

মাদ্রিদের বিপক্ষে ২০১৭ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে ঐ ম্যাচে বাজে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আনচেলত্তি। মিডফিল্ডার আরতুরো ভিদালের লাল কার্ড ও রোনালদোর একটি অফসাইডের গোল নিয়ে আনচেলত্তি বেশ আপত্তি করেছিলেন।

এদিকে মৌসুমের দু:সহ স্মৃতি কাটিয়ে উঠতে বায়ার্নের সামনে এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের বিকল্প নেই। কোচ থমাস টুখেলের দলের জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনের ফর্ম। সবমিলিয়ে দারুণ এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় দুই দল।


রিয়াল মাদ্রিদ   বায়ার্ন মিউনিখ   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

তিন হ্যাটট্রিকে এক ম্যাচেই সাবিনাদের ১৯ গোল

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের মেয়েদের ইতোমধ্যেই ৮-১০ গোলের বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড রয়েছে। বয়সভিত্তিক বা জাতীয় দল সবখানেই মেয়েরা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। তবে এবার এক নতুন কীর্তি গড়ল সাবিনা-মারিয়ারা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নারীদের ফুটবল লিগে কমলাপুরে দু’দলের শক্তির পার্থক্য ছিল যোজন যোজন। নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি দল গড়েছে জাতীয় নারী দলের তারকাদের নিয়ে। অন্যদিকে জামালপুর কাচারিপাড়া একাদশে নেই কোন বড় নাম।

এদিন ম্যাচ শুরু হতেই সাবিনা-শামসুন্নাহাররা গোল করতে শুরু করেন। সানজিদা-মাসুরারা যোগ দেন গোল উৎসবে। শেষ বাঁশির আগে ব্যবধান নিয়ে যান ১৯-০।

নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির হয়ে মারিয়া মান্দা, সাবিনা ও শামসুন্নাহার হ্যাটট্রিক তো করেনই। পরে আরও একটি করে গোল আসে এই তিন তারকার পা থেকে। মাসুরা পারভীন, সানজিদা আক্তার ও সুমাইয়া দুটি করে গোল করেন। অন্য গোলটি করেন মাজিয়া।


হ্যাটট্রিক   সাবিনা   বাংলাদেশ নারী ফুটবল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন