ইনসাইড গ্রাউন্ড

গোল রোমাঞ্চে মেতেছে প্রিমিয়ার লিগ

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল ভক্তদের কাছে প্রিমিয়ার লিগ যেন দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। কারণ পৃথিবীতে যত যাই কাজ থাকুক রাতে খেলা আছে মানেই তা জাকজমকপূর্ণ। আর তাইতো বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ঘরোয়া ক্রীড়া আসর ভাবা হয় এই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে।

প্রিমিয়ার লিগের এত বেশি জনপ্রিয়তার অবশ্য ভিন্ন একটি কারণও রয়েছে। সেটি হচ্ছে গোলের বন্যা। প্রতিপক্ষের জালে গোল দেওয়াটা যেমন আরেক প্রতিপক্ষের জন্য চ্যালেঞ্জের, ঠিক তেমনই দর্শকদের জন্য রোমাঞ্চকর। গোলের এই খেলায় একটি গোলের মাধ্যমে যেমন একটি দলের ভাগ্য নির্ধারণ হয় তেমনই এক একটি খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারে বড় ভূমিকা রাখে। সেই ধারাবাহিকতায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ যেন এখন গোল উৎসবে মেতেছে। দলগুলো ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করে যাচ্ছে। সেই সাথে জনপ্রিয় এই ক্রীড়া আসর এবার ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি গোলের নতুন রেকর্ডই গড়েছে।

দুর্দান্ত ফিনিশিং, দলের খেলোয়াড়দের নৈপূণ্যতা- সবমিলিয়ে প্রিমিয়ার লিগে গোলের উচ্চ হার রোমাঞ্চ ফিরিয়ে আনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাত্রাও বদলে দিয়েছে। প্রিমিয়ার লিগে মৌসুমপ্রতি গোলসংখ্যার দিকে তাকালে দেখা যাবে, ২০২২-২৩ মৌসুমে ম্যাচপ্রতি গোল হয়েছিল গড়ে ২.৮৫টি। ২০২১-২২ মৌসুমে ছিল ২.৮২টি।

তবে চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে গোলের এ সংখ্যা সব হিসাব-নিকাশ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত মাঠে গড়ানো ২৮৩ ম্যাচে গোল হয়েছে ৯১৭টি; ম্যাচপ্রতি গড়ে ৩.২৪টি (প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সর্বোচ্চ), যা আগের মৌসুমগুলোর চেয়ে তো বটেই, ইংলিশ ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তর হিসাব করলেও ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমের (৩.৩৪) পর সবচেয়ে বেশি। মৌসুমে বাকি সময় যদি ম্যাচপ্রতি গড়ে ৩.২৪টি গোল হতে থাকে, তাহলে মৌসুম শেষে গোলসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১২৩১-এ, যা কিনা ২০২২-২৩ মৌসুমের চেয়ে ১৪৭টি বেশি। গত মৌসুমে গোল হয়েছিলে ১০৮৪টি।

গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে ৫ বা এর বেশি গোল হয়েছিল ১৬.৪ শতাংশ ম্যাচে, যা কিনা আগের ১০ মৌসুমে গড়ে ১৪.২ শতাংশে হওয়া গোলের চেয়ে বেশি। তবে চলতি মৌসুমে ২১.৬ শতাংশ ম্যাচে গড়ে ৫ বা এর বেশি করে গোল হয়েছে। পরিসংখ্যানের পার্থক্যই বলে দিচ্ছে, ম্যাচপ্রতি গোলসংখ্যা কতটা বেড়েছে।

পয়েন্ট তালিকার নিচের দিকে থাকা দলগুলোর গোল খাওয়া এ সংখ্যা বাড়ানোয় বড় ভূমিকা রেখেছে। গত মৌসুমে তলানির ছয় দল গোল হজম করেছিল ৪১৫টি। এ মৌসুমে এখনই সেটা বেড়ে হয়েছে ৩৪১। সামনের ম্যাচগুলোতে এ সংখ্যা নিশ্চিতভাবে আরও অনেক বাড়বে।

গোল খাওয়ায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে শেফিল্ড ইউনাইটেড। দলটি লিগে এখন পর্যন্ত ৭৪ গোল হজম করেছে। যে গতিতে শেফিল্ড গোল হজম করছে, সেটি অব্যাহত থাকলে গোল খাওয়ার নতুন রেকর্ডও হতে পারে। এর আগে সুইনডন টাউন ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ৪২ ম্যাচের লিগে ১০০ গোল খেয়ে বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছিল। শেফিল্ড গোল হজমের ধারা বজায় রাখলে রেকর্ডটি ভেঙে যেতে পারে।

প্রিমিয়ার লিগের গোল হওয়ার এ ধারা ইউরোপের অন্যান্য লিগ বিবেচনায় নিলেও অনন্য। এ মৌসুমে ম্যাচপ্রতি গোলে জার্মান বুন্দেসলিগা প্রিমিয়ার লিগের কাছাকাছি আছে। বুন্দেসলিগায় ম্যাচপ্রতি গোল হয়েছে ৩.২১টি। তবে সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোয় বুন্দেসলিগার ক্লাবগুলো গোল করার হার এমনিতেই বেশি ছিল। এ ছাড়া ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগের মধ্যে স্প্যানিশ লা লিগায় ২.৬৪, ইতালিয়ান সিরি ‘আ’–তে ২.৬১ এবং ফরাসি লিগ আঁতে ম্যাচপ্রতি ২.৫৮টি গোল দেখা গেছে।

প্রিমিয়ার লিগ ও বুন্দেসলিগায় গোলসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে ম্যাচপ্রতি গোলের উদ্দেশে শট নেওয়ারও সংযোগ রয়েছে। বুন্দেসলিগায় এ মৌসুমে শট নেওয়া হয়েছে ম্যাচপ্রতি ২৭.৪টি, প্রিমিয়ার লিগে সেটি ২৭.২টি। এরপর সিরি ‘আ’তে ২৫.৪ এবং লিগ আঁতে ২৫.৩টি শট দেখা গেছে। আর লিগায় ম্যাচপ্রতি শট দেখা গেছে ২৪.৬টি।

প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচপ্রতি ২৭.২টি শট ২০১২-১৩ (২৭.৮) মৌসুমের পর সবচেয়ে বেশি। এর আগে ২০২১-২২ মৌসুমে ১০৭১ গোলের জন্য নেওয়া হয়েছে ৯২৪৭টি শট (ম্যাচপ্রতি ২৫.৭টি)। গত মৌসুমে ৯৬০৯ শটে হয়েছিল ১০৮৪টি গোল (ম্যাচপ্রতি ২৫.৩টি শট)।

এ ছাড়া রূপান্তর হার বৃদ্ধিও এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত শট নিয়ে গোলে রূপান্তরিত হওয়ার হার ১১.৯ শতাংশ, যা আগের মৌসুমের চেয়ে ০.৬ শতাংশ বেশি। গত মৌসুমে রূপান্তরের হার ছিল ১১.৩ শতাংশ।


প্রিমিয়ার লিগ   ফুটবল   ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ   ক্রীড়াঙ্গন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আরও এক শিরোপা জয়ের হাতছানি লেভারকুসেনের

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মৌসুমে বারবার খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফিরে আসার গল্প লিখেছে বায়ার লেভারকুসেন। বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতে চমকে দিয়েছে ফুটবল বিশ্বকে। যার জন্য কমেন্ট্রেটররা তো বারবারই বলছে ‘টিল দ্য লাস্ট হুইসাল নেভার রুল আউট লেভারকুসেন।’

লেভারকুসেনের এই সাফল্য এসেছে জাবি আলোনসোর হাত ধরে। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আরও একটি শিরোপা জয়ের হাতছানি দলটির সামনে। ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রোমার মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লেভারকুসেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দিবাগত রাতে স্তাদিও অলিম্পিকোতে রোমাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। জয়সূচক গোল ২টি করেছেন ফ্লোরিয়ান উইর্টজ ও রবার্ট এন্দরিখ।

এই ম্যাচে বল দখলে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে বেশ এগিয়ে ছিল লেভারকুসেন। ৪৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৯টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল তারা। বিপরীতে ঘরের মাঠে ৮টি শট নিয়ে ২টি প্রতিপক্ষের গোলমুখে রাখতে পেরেছিল রোমা।

রোমেলু লুকাকু, পাওলো দিবালার মতো তারকাদের স্তব্ধ করে ম্যাচের ২৮তম মিনিটেই লেভারকুসেনকে লিড এনে দেন ২০ বছর বয়সী জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার উইর্টজ। ডাচ রাইট-ব্যাক রিক কার্সদর্পের ভুলের খেসারত দিতে হয় দলকে। ব্যাক পাসে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের কাছে দিয়ে বসেন তিনি।

যেন ডি-বক্সে ঢুকে পড়া নিজের সতীর্থকে পাস দিচ্ছেন। বল পেয়ে যান অ্যালেক্স গ্রিমালদো। এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের বাধায় তিনি বল তুলে দেন অরক্ষিত থাকা উইর্টজকে। বাকি কাজকে অনায়াসে সেরে নেন এ জার্মান মিডফিল্ডার।

৩৪তম মিনিটে গ্রিমালদো আরও একটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। তবে পেনাল্টি এরিয়ার সামনে অরক্ষিত অবস্থায় বল পেয়েও জালে জড়াতে ব্যর্থ হন জেরেমি ফ্রিমপং।

এরপর বিরতি কাটিয়ে ম্যাচের ৭২ মিনিট পর্যন্ত কোনো দল গোলের তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৭৩তম মিনিটে রোমার সমর্থকদের দুঃখ দ্বিগুণ করে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন এন্দরিখ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ক্রসে জাল খুঁজে নেন তিনি। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না রোমার গোলরক্ষকের।

স্বাগতিকরা একটি গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচের যোগ করা সময়ে। তবে গোলপোস্ট ফাঁকা পেয়েও লুকাকু হেড নেন বারের ওপর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে রোমার দুর্গ থেকে জয় নিয়ে ফেরে লেভারকুসেন।

আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রোমাকে আতিথ্য দেবে লেভারকুসেন। সে ম্যাচে ড্র কিংবা হারের ব্যবধানটা ১-০ গোলের মধ্যে রাখতে পারলেই ইউরোপা লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করবে আলোনসোর শিষ্যরা।


বায়ার লেভারকুসেন   রোমা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এমএলএসের মাসসেরা ফুটবলার লিও মেসি

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কোন অর্জন নেই যা তার ঝুলিতে নেই। ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের অধরা সোনালী ট্রফিটাও জিতেছেন তিনি। আর এতে করে সর্বকালের সেরা হওয়ার অ্যাখ্যাও পেয়েছেন তিনি।

বর্তমানে ক্লাব ফুটবলে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন লিওনেল মেসি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে পাড়ি দিয়ে নানান স্বীকৃতিই পেয়েছেন তিনি। তবে এই প্রথমবারের মতো এমএলএসের মাসসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

হ্যামস্ট্রিং-এর চোট থেকে ফিরে গত এপ্রিল মাস জুড়ে দারুণ পারফর্ম করায় এই স্বীকৃতি পেয়েছেন মেসি। গত ৬ এপ্রিল দলে ফিরেই গোল উৎসবে মাতেন মায়ামির আর্জেন্টাইন তারকা।

গত এপ্রিলে ৪ ম্যাচ খেলেছেন মেসি। যেখানে ৬ গোল করেছেন তিনি। গোলের পাশাপাশি ৪টি অ্যাসিস্টও রয়েছে তার। স্বাভাবিকভাবেই লিগের মাসের সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন।

মেসি দলে ফেরার জয়ে ফিরেছে মায়ামি। টানা ৪ ম্যাচে অপরাজিত মায়ামি বর্তমানে লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে। ইস্টার্ন কনফারেন্সের টেবিলে শীর্ষে মায়ামির পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ২১।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দীর্ঘ ৫৮ মাস পর ডিপিএলে সাকিবের সেঞ্চুরি

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ ৫৮ মাস পর চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শতক হাঁকিয়েছেন সাকিব। ম্যাচটিতে ৭৩ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন তিনি। যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪০-এর কিছুটা কম।

এবার ডিপিএলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে খেলছেন সাকিব আল হাসান। আসরের শুরুর দিকে সাকিব না খেললেও, শেষ দিকে দলের নিয়মিত ক্রিকেটারে পরিণত হয়েছেন তিনি।

শুক্রবার বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে শেখ জামাল। ম্যাচটিতে নেমেই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শতক হাঁকিয়েছেন সাকিব। অথচ শুরুটা করেছিলেন ধীরে। ২৯ বলে ২১ রান তোলার পর হাত খুলে খেলা শুরু করেন সাকিব। মাসুম খানকে লং অফের ওপর দিয়ে মারেন ছক্কা। সেখান থেকে পঞ্চাশে পৌঁছান ৪৩তম বলে। পরের পঞ্চাশ তুলতে খেলেছেন মাত্র ৩০ বল।

২০০৬ সালের এপ্রিলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের। এরপর এটাই সাকিবের প্রথম শতক। তবে সেঞ্চুরি করে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিব। ৭৯ বলে ১০৭ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন দেশসেরা এ অলরাউন্ডার।

প্রসঙ্গত, ঈদের ছুটি কাটিয়ে গত ২৮ এপ্রিল দেশে ফিরেছেন সাকিব। এরপর ৩০ এপ্রিল ডিপিএলে ৪৯ রানের এক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। আর আজ খেললেন শত রানের এক ঝোড়ো ইনিংস।


সাকিব আল হাসান   ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

একদিন পূর্বে মাঠে খেলে পরের দিন মৃত্যু ইংলিশ ক্রিকেটারের

প্রকাশ: ০২:৪৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

একদিন পূর্বেও তিনি ছিলেন খেলার মাঠে। এমনকি বাঁহাতি স্পিনে শিকার করেন কয়েকটি উইকেটও। তবে পরদিনই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে মাত্র ২০ বছর বয়সেই চলে গেলেন ওরচেস্টারশায়ারের তরুণ ক্রিকেটার জশ বেকার।

ইংলিশ কাউন্টি দল ওরচেস্টারশায়ারের বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে বেকারের মৃত্যুরটি নিশ্চিত করেছে। ওরচেস্টারশায়ারেই তার জন্ম, বেড়েই উঠেছেন এই ক্লাবে খেলেই৷ শেষ ম্যাচটিও খেললেন প্রিয় ক্লাবের জার্সিতেই।

পরিবারের গোপনীয়তা রক্ষা করার অনুরোধের প্রেক্ষিতে বেকারের মৃত্যুর কারণ জানায়নি ওরচেস্টারশায়ার।

এই মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ওরচেস্টারশায়ার হয়ে গত মাসেও দুটি ম্যাক্স খেলেন বেকার। গত বুধবারও মাঠে ছিলেন তিনি, সমারসেট দ্বিতীয় একাদশের বিপক্ষে তার ৩ উইকেট নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টও করেছিল ক্লাবটি।

তিন বছর আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত বেকার স্বীকৃত ক্রিকেটে নিয়েছেন ৭০ উইকেট। ব্যাট হাতেও ছিলেন বেশ ভালো।

ব্যাটার বেকারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মুহূর্তটি এসেছিল ২০২২ সালে ডারহামের বিপক্ষে, যখন মাত্র ৮৮ বলে ১৬১ রান করেন ১৮ বছর বয়সী বেকার। বিপক্ষে দলে থাকা ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস মুগ্ধ হয়েছিলেন তার প্রতিভায়।

ম্যাচের পর হোয়াটসঅ্যাপে বেকারকে একটি বার্তা পাঠান স্টোকস। জানান শুভকামনা। “তোমার মাঝে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমি মনে করি তুমি অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”

স্টোকসের সেই ভবিষ্যৎবাণী সত্য হওয়ার আগেই  থেমে গেল বেকারের জীবন প্রদীপ। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়েও বেকারের অকাল প্রয়াণে ইংলিশ ক্রিকেটে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।


জশ বেকার   ইংলিশ ক্রিকেটার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের দল নিয়ে যা বলছেন অধিনায়ক শান্ত

প্রকাশ: ০২:১২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বজুড়ে ধুম পড়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।

ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। তেমনই পরিস্থিতিতে রয়েছে বাংলাদেশও। ফলে স্কোয়াডে কে আছেন আর কে বাদ পড়লেন, সেটা নিয়ে ধোয়াশা রয়েই গেছে। সেই দলে কিছু পরিবর্তনের আভাস দিলেন এবার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৷

আগামীকাল থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের যে দল, বিশ্রাম ও ছুটির কারণে সেখানে নেই মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে এই দুজনের থাকা নিশ্চিতই। ফলে বেশ কয়েকটি পজিশনে এই সিরিজের দল থেকে পরিবর্তন থাকবে স্পষ্টতই।

সরাসরি কারো নাম না বললেও ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেছেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজের পারফরম্যান্স বিশ্বকাপ দলে প্রভাব রাখতেও পারে। “শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে সিরিজটা খেলেছি, আর এই সিরিজে যে দলটা আছে। বিশ্বকাপে বেশির ভাগ খেলোয়াড় এখান থেকে যাবে। যদি সবাই সুস্থ থাকে। হ্যাঁ, দুই-একজন এদিক–ওদিক হতে পারে। তবে বেশির ভাগই এখান থেকে যাবে।”

১ মে পর্যন্ত আইসিসির কাছে দেওয়া স্কোয়াডে নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া দলগুলো পরিবর্তন আনতে পারবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। টি-টোয়েন্টিতে এখনো কয়েকটি পজিশন নিয়ে ভুগছে বাংলাদেশ। যেমন এই ফরম্যাটের ওপেনিং জুটি। কন্ডিশন বিবেচনায় অতিরিক্ত স্পিনার বা বাড়তি পেসার নেওয়ার বিষয়ও রয়েছে।

এসব জায়গায় প্রস্তুত হয়েই বিশ্বকাপে যেতে চান শান্ত। “নির্দিষ্ট করে তিন-চারটা পয়েন্টে মনোযোগ থাকবে, এভাবে বলা মুশকিল। আমি চাইব প্রতিটি জায়গায় যেন ফোকাস থাকে। প্রতিটা জায়গায় যেন আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত হয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারি।“


নাজমুল হোসেন শান্ত   বাংলাদেশ ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন