ইনসাইড গ্রাউন্ড

টেস্টে ৪ হাজার রান, কত দূর যাবেন মুমিনুল?

প্রকাশ: ১০:১৮ এএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্য সমাপ্ত হেয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজের আলোচনায় ব্যাটিং–ধসের কথাই আসে সবার আগে। ব্যাটসম্যানদের টেস্টসুলভ ব্যাটিং না করা আর থিতু হয়েও আউট হওয়ার দৃষ্টিকটু ছবিগুলোই চোখে ভাসতে থাকে তখন। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মুমিনুল হক। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েও সিলেট ও চট্টগ্রাম টেস্টে লড়াই করে গেছেন।

বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে অন্ধকার ছাপিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন আলোর রেখা। দুই টেস্টে দুই অর্ধশতকে ১৭৫ রান করা মুমিনুলই সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তার অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংসটি তো স্রোতের বিপরীতে লড়াই করার দারুণ এক উদাহরণ হয়েই থাকবে।

শ্রীলঙ্কা সিরিজে মুমিনুল একটা মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে পূর্ণ করেছেন টেস্ট ক্রিকেটে চার হাজার রান (৪০৫৮)। এই বাঁহাতির আগে চার হাজারি ক্লাবে নাম উঠিয়েছেন মুশফিকুর রহিম (৫৬৭৬), তামিম ইকবাল (৫১৩৪) ও সাকিব আল হাসান (৪৫০৫)। এই তিন ব্যাটসম্যানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাংলাদেশ দলে সবচেয়ে বেশি মুমিনুলেরই। ৩২ বছর বয়সী মুমিনুলের ব্যাটিংয়ের মূল শক্তি ‘টাইমিংয়ের’ মতো এ ক্ষেত্রেও সময় তার পক্ষে। অবশ্য মুমিনুল ভবিষ্যতের সম্ভাব্য অর্জন নিয়ে আলোচনায় খুব একটা আগ্রহী নন। ২২ গজে ব্যাট হাতে যেমন, মাঠের বাইরেও তেমনই সহজ–সরল তিনি।

গতকাল মুঠোফোনে ৪ হাজার টেস্ট রানের প্রসঙ্গ তুলতেই হেসে বললেন, ‘ও রকম কিছু মাথায় ছিল না। খেলার মধ্যে থাকলে পরিসংখ্যান একদমই ঘাঁটা হয় না। আমার ৪ হাজার রান হয়েছে, এটা জেনেছি মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে লেখা ওঠার পর।’ ৪ হাজারের পরের গন্তব্য নিয়েও তাই চিন্তা নেই তার মনে। টেস্ট ক্যারিয়ার শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান জানতে চাইলে বলেছেন, ‘আপনি যখন পরিসংখ্যান নিয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করবেন, তখন এসব মাথায় কাজ করতে পারে। আমি সে রকম নই। এভাবে খেলাও যায় না। দলের জন্য খেলে গেলে পরিসংখ্যান এমনিতেই সমৃদ্ধ হবে।’

বয়স তো পক্ষে আছেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুধু টেস্টই খেলেন বলে এই সংস্করণ থেকে মুমিনুলের মনোযোগও কখনো সরে যায় না। লাল বল, সাদা বল— দুই ক্রিকেটেই খেলা অন্য ক্রিকেটারদের মতো বারবার মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জও তাঁর নেই। সাদা বলের ক্রিকেট বলতে প্রিমিয়ার লিগটাই খেলেন বেশি। খেলা না থাকলে তাই নিয়মিত লাল বলের অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারেন মুমিনুল, যে সুযোগ বাংলাদেশ দলের অন্য ক্রিকেটারদের নেই।

মুমিনুলের টেস্টের ভবিষ্যতের আলোচনায় তাই দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলার প্রসঙ্গ আসবেই। তবে ৬১ টেস্ট খেলা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের কাছে তিন অঙ্কের ওই সংখ্যাও দূরের কল্পনাই মনে হয়।

ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ খুব বেশি টেস্ট খেলে না। এই বছর আর ৮টি টেস্ট আছে, পরের বছর ৫টি। তার পরের বছর কয়টি টেস্ট হবে, কে জানে। ১০০ টেস্ট খেলতে পারব নাকি পারব না, আল্লাহই ভালো জানেন। আমার একটাই লক্ষ্য, বাংলাদেশে টেস্ট ক্রিকেটটাকে উপরে নিয়ে যাওয়া। যে জায়গায় এখন আছে, সেখান থেকে পরের ধাপে নিয়ে যেতে চাই। এটা ব্যক্তিগত কিছু নয়’।

মুমিনুলের একটা লক্ষ্য অবশ্য পরিষ্কার—যতটুকুই সুযোগ পাবেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান টেস্ট ক্রিকেটে, ‘আমার একটাই লক্ষ্য, বাংলাদেশে টেস্ট ক্রিকেটটাকে ওপরে নিয়ে যাওয়া। যে জায়গায় এখন আছে, সেখান থেকে পরের ধাপে নিয়ে যেতে চাই। এটা ব্যক্তিগত কিছু নয়। আমি যখন বৃহৎ পরিসরে চিন্তা করবেন, তখন কঠিন চ্যালেঞ্জও কিছুটা সহজ হয়ে যায়। দলের জন্য খেলে গেলে পরিসংখ্যান এমনিতেই সমৃদ্ধ হবে’।

টেস্টে বাংলাদেশের জন্য সামনে আক্ষরিক অর্থেই কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। এ বছর বাংলাদেশ টেস্ট খেলবে পাকিস্তান, ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বড় দলের বিপক্ষে ছয় মাসের মধ্যে খেলতে হবে ৮টি টেস্ট। মুমিনুল তবু ইতিবাচক, ‘সব টেস্টই চ্যালেঞ্জিং। বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার সুবিধাও আছে। যখন জানবেন প্রতিপক্ষ অনেক শক্তিশালী, তখন সব দিক থেকে সতর্ক থাকবেন। তখনই ভালো ক্রিকেট খেলার সম্ভাবনা বাড়ে।’


বাংলাদেশ ক্রিকেট   শ্রীলঙ্কা   টেস্ট সিরিজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের পূর্বে টাইগারদের জিম্বাবুয়ে পরীক্ষা: হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল!

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজের মধ্য দিয়ে চলতি বছরে আন্তর্জাতিক খেলায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে সেখানে ফলাফলের দিক বিবেচনা করলে খুব একটা স্বস্তিতে নেই টাইগাররা। কারণ, টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এবং টেস্টের মধ্যে শুধুমাত্র ওয়ানডে সিরিজ শিরোপা ঘরে তুলতে পেরেছিল নাজমুল শান্তরা।

এরই মধ্যে কাছাকাছি চলে এসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। শুরু হয়েছে প্রস্তুতি, চলছে দল গোছানোর কাজ। আর সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে টাইগারদের জিম্বাবুয়ে পরীক্ষা। 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন যারা

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে। 

এই সিরিজের মধ্য দিয়ে ১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরেছেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সেই সাথে টোয়েন্টিতে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন তানজিদ হাসান তামিমও। বিশ্বকাপের পূর্বে প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের এই সিরিজে কেমন হবে প্রথম পরীক্ষার একাদশ সেই নিয়ে এখন চলছে আলোচনা।

আরও পড়ুন:  বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন

এর অবশ্য কিছু কারণও রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচে নেই সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। আর এই মহাগুরুত্বপূর্ণ দুই প্লেয়ারের অভাব কি ভোগাবে টাইগারদের এমন প্রশ্নও ঘুরছে অনেকের মনে। 

তবে সাকিব-মুস্তাফিজ না থাকলেও স্কোয়াডে ফিরেছেন আফিফ, তানভীরসহ অনেকেই। যার জন্য তাদের নিয়েই সাজানো হবে প্রথম ম্যাচের একাদশ৷ সেক্ষেত্রে ওপেনিং পজিশনে লিটন কুমার দাসের সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যেতে পারে তরুণ তানজিদ তামিমকে। টেস্ট ও ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে রান খরায় ভুগলেও লিটনের টি-টোয়েন্টি পারফর্ম অবশ্যই স্বস্তি দেবে এমনটাই ধারণা সংশ্লিষ্টদের। আর তরুণ তামিমকে ভাবা হচ্ছে বিশ্বকাপের ব্যাক আপ ওপেনার হিসেবে।

তিন নম্বর পজিশনে অবধারিত নাম নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কত্বের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাট হাতেও দারুণ অবদান রাখতে হবে শান্তকে। এছাড়া চার নম্বরে থাকছেন বর্তমানে দলের অন্যতম ভরসার নাম হৃদয়। কারণ হৃদয় সম্প্রতি দারুণ ছন্দে রয়েছেন। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও বড় ভূমিকা রাখতে হবে তাকে৷

পাঁচ নম্বরে দেখা যেতে পারে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। দলের একমাত্র সিনিয়র ক্রিকেটার হিসাবে স্কোয়াডে আছে তার নাম। তার ব্যাটিংয়ের সাথে অভিজ্ঞতার দিক দিয়েও রিয়াদকে নিতে হবে বড় দায়িত্ব।

এর বাইরে একাদশে থাকতে পারে জাকের আলী অনিকের নামও। কারণ নিজের অভিষেক সিরিজে শ্রীলংকার বিপক্ষে মারকুটে ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে পারফর্ম করে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছিলেন এই তরুণ। শুধু তাই নয়, নিজেকে প্রমাণ করে এখন বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও আলোচনায় আছেন তিনি। তাই এই সিরিজে নিজের সামর্থ্যের পুরোটা প্রকাশ করতে হবে তাকে।

আরও পড়ুন: কারা হচ্ছেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট?

এছাড়াও চোটের কারণে লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সর্বশেষ ২০২২ এর অক্টোবরে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। তবে গেল বিপিএলে কয়েক ম্যাচ সুযোগ পেয়ে দারুণ ভেলকি দেখিয়েছিলেন তিনি। আর সেই ধারাবাহিকতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবারও লাল সবুজের জার্সিতে ফিরতে যাচ্ছেন সাইফউদ্দিন৷ 

এছাড়া অলরাউন্ডার হিসেবে থাকবেন শেখ মেহেদি হাসান এবং একমাত্র লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন। মূলত স্পিন বিভাগে তাদের দুজনকে নিতে হবে পুরো দায়িত্ব। আর পেস ইউনিটের দায়িত্বে থাকতে পারেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।

বিশ্বকাপের পূর্বে প্রস্তুতি হিসেবে এই সিরিজের পারফরম্যান্স একদিকে যেমন টাইগারদের যোগাবে ভরসা, তেমনই বাড়বে আত্মবিশ্বাস। আর তাই এখন দেখার পালা, পাঁচ ম্যাচের এই পরীক্ষায় কতটুকু সফল হতে পারেন তারা।


বিশ্বকাপ   টাইগার   জিম্বাবুয়ে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে রাখলেন সিকান্দার রাজা

প্রকাশ: ০৪:২০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

কোমল পানীয় স্বভাবতই মানুষের শরীরের জন্য হানিকারক। অনেক বিশ্ববিখ্যাত খেলোয়াড় সংবাদ সম্মেলনে এসে ডায়াস থেকে কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে রেখেছেন। বার্তা দিয়েছেন সাধারণ ভক্তদের স্বাস্থ্য সচেতনতার। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

শুক্রবার (৩ মে) থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। যার প্রথম ৩ টি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে আর বাকি ২ টি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন

আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে আসেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। এসময় তার চোখ পড়ে ডায়াসে রাখা কোমল পানীয় এর বোতলে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেটা সরিয়ে ফেলেন এবং পাশের একজন তা তার হাত থেকে নিয়ে ক্যামেরা ফ্রেমের বাইরে নিয়ে যান। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে বেশিরভাগ নেটিজেনরাই তাকে বাহাবা জানিয়েছেন।


সিকান্দার রেজা   জিম্বাবুয়ে   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালের দিকে ডর্টমুন্ড

প্রকাশ: ১০:১৫ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একের পর এক আক্রমণ আর ডর্টমুন্ড রক্ষণে লাগাতার চাপ তৈরি করে ম্যাচের বেশির ভাগ সময় নিয়ন্ত্রণে ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের দলই। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে কাঙ্খিত গোলটাই পায়নি পিএসজি। শুধু গোলটাই পাওয়া হল না পিএসজির।

বিপরীতে প্রথমার্ধে নিকলাস ফুলক্রুগের জাল খুঁজে পাওয়া আর ভাগ্যের সহায়তা ও রক্ষণের দৃঢ়তায় সেই গোল ধরে রেখে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ডর্টমুন্ড।

সিগনাল ইদুনা পার্কের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি পিএসজি। এর দুটিই পোস্টের বাইরে মারেন উসমান দেম্বেলে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থকদের বলে বলীয়ান ডর্টমুন্ড পাঁচটি শট নিয়ে চারটিই লক্ষ্যে রাখে। এর মধ্যে ১৪ মিনিটে মার্সেল স্যাবিটজারের শট আটকান জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। ৪৪তম মিনিটেও স্যাবিটজারের আক্রমণ রুখে দেন পিএসজি গোলকিপার।

ডর্টমুন্ড তাদের জয়ের গোলটি পায় ৩৬তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধ থেকে নিকো শ্লটারবেক লম্বা করে বল বাড়ালে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন ফুলক্রুগ। এরপর বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান এই জার্মান ফরোয়ার্ড।

বিরতির পর নতুন উদ্যমে শুরু করা পিএসজি গোল পেয়ে যেতে পারত ৫১ মিনিটেই। তবে দুর্ভাগ্যবশত পরপর দুইবার বল লাগে পোস্টে। প্রথমে এমবাপ্পের শট লাগে দূরের পোস্টে, ডর্টমুন্ড রক্ষণ বল বিপদমুক্ত করতে না পারার এক পর্যায়ে পেয়ে যান আশরাফ হাকিমি। তাঁর শট লাগে আরেক পোস্টে।

৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করার সুযোগ ছিল ফুলক্রুগের সামনে। জোদান সানচোর বাড়ানো বল নিয়ে পুরো জাল সামনে পেলেও বল ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। একই ভাবে ৮১ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন পিএসজির দেম্বেলেও।

শেষ দিকে পিএসজি গোলের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালালেও ডর্টমুন্ড রক্ষণে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে সেটি রুখে দেয়। মাঠ ছাড়ে সেমিফাইনাল লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেই। প্যারিসে দ্বিতীয় লেগ আগামী মঙ্গলবার।

ডর্টমুন্ড ১: ০ পিএসজি


পিএসজি   ডর্টমুন্ড   চ্যাম্পিয়নস লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কারা হচ্ছেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।

ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।

আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের মহাযজ্ঞে এবারের আসরে সেমিফাইনাল খেলবে কারা, এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ খুবই কম। যদিও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দুই দলই।

এমনই এক বিশ্লেষণে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এবং তারকা ক্রিকেটার মাইকেল ভন। সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের পছন্দের চার সেমিফাইনালিস্ট নিয়ে অবশ্য চলছে নানা আলোচনা–সমালোচনাও। কারণ, এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানকে সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট মনে করছেন না ভন। তার পছন্দের তালিকাকে খুব ভালোভাবে নিতে পারেননি এ দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকেরা।

ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে। নিউজিল্যান্ড, ভারতের মতো শক্তিশালী দলকেও সেমি খেলার যোগ্য বলে বিবেচনা করেননি তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম জানিয়ে ভন লিখেছেন, ‘টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমার চার সেমিফাইনালিস্ট হলো...ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।’

ভনের এই পোস্ট সামনে আসতেই সমালোচনায় মাতেন ভারত ও পাকিস্তানের সর্থকেরা। এক ভারতীয় সমর্থক মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘রোহিত শর্মার দল তোমাকে জবাব দেবে। অপেক্ষায় থাক।’

আফজাল মেনন নামের আরেক ভারতীয় সমর্থক লিখেছেন, ‘কেন তোমার মনে হচ্ছে আমরা সেমিতে যেতে পারব না? ভারতের দল কিন্তু দারুণ।’

রজত আগারওয়ালা নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবেই ভারতকে সেমিফাইনালে দেখছি। তারা সম্ভবত ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার জায়গায় সেমিতে খেলবে।’

কামরান আলী নামে পাকিস্তান ক্রিকেটের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘তোমার মাথায় সমস্যা আছে। গত বিশ্বকাপে যে দল ফাইনালে (সর্বশেষ ২০২২ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ছিল পাকিস্তান) খেলেছে তাদেরকেই তালিকায় রাখনি।’

অনেকে এ সময় ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে ভনের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হওয়ার কথাও মনে করিয়ে দেন। ভনের পুরোনো টুইট শেয়ার করে একজন লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ ভন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে তুমি ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের কথা বলেছিলে, যা ভুল হয়েছিল। তার মানে এবার আমাদের ভালোই (ভারতের) সুযোগ আছে।’

ভনের আগে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম বলেছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতের সাবেক ক্রিকেটারের মতে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানও থাকবে। 

আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে বিশ্বকাপ শিরোপার লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ২৯ জুন।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   সেমিফাইনালিস্ট   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসির হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ

প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সম্প্রতি তাদের হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। যেখানে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের ডানহাতি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। সেই সাথে নিউজিল্যান্ড সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সূর্যকুমারের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজমও।

বুধবার (১ মে) আইসিসির প্রকাশিত এই নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে এক ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে এগিয়েছেন তিনি। ১০ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে তার রেটিং এখন ৭৬৩। শীর্ষে থাকা সূর্যকুমারের চেয়ে এখনও ৯৮ পয়েন্ট পিছিয়ে বাবর। সূর্যকুমারের রেটিং ৮৬১।

৮০২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংলিশ তারকা ফিল সল্ট। ৭৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে বাবরের ওপেনিং পার্টনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেরা পাঁচের শেষ নামটা প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের। তার রেটিং পয়েন্ট ৭৫৫।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করে র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিন ধাপ এগিয়ে এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এখন ১৪ নম্বরে। লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে পাকিস্তান। সে ম্যাচে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি।

বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স। ২৯ ধাপ এগিয়ে ৬০ নম্বরে উঠে এসেছেন। পাকিস্তান সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫৫ নম্বরে।

সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না গেলেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন লিটন দাস। ব্যাটারদের মধ্যে এখন তিনি ২৯ নম্বরে। দেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা অবস্থানে। ৩২ নম্বরে আছেন অধিনায়ক শান্ত। তবে একধাপ পিছিয়েছেন সাকিব। আছেন ৭০ নম্বরে। এক ধাপ পিছিয়ে আফিফ আছেন সাকিবের ঠিক ওপরে।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আছেন ৩২ নম্বরে। দেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আছেন ২৪ নম্বরে।


আইসিসি   ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন