ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিরে দেখা: ব্রিটিশ টেনিস কিংবদন্তি অ্যান্ডি মারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

বিদায় নিচ্ছেন ব্রিটিশ টেনিস কিংবদন্তি অ্যান্ডি মারে। অস্ট্রেলিয়া ওপেনেই শেষ হবে তার ক্যারিয়ার। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে কী পেলেন আর কী হারালেন এই ব্রিটিশ তারকা?

টেনিস জগতের বিগ ফোরের একজন অ্যান্ডি মারে। বাকি তিনজন- রাফায়েল নাদাল, রজার ফেদেরার ও নোভাক জোকোভিচের তুলনায় কিছুটা ম্রিয়মাণ হয়ে পড়েছিলেন মাঝামাঝি সময়ে। ইনজুরি ও মানসিক অবসাদ দুটোই তার ক্যারিয়ারের সবথেকে মূল্যবান সময়কে নষ্ট করেছে। কিন্তু তাতে দমে যাননি মারে।

যেভাবে শুরু হলো

মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকে টেনিস শুরু। বড় ভাই ও পেশাদার ব্রিটিশ টেনিস খেলোয়াড় জেমি মারের অনুপ্রেরণায় লালিত হতে থাকে তার স্বপ্ন। ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত ম্যানচেস্টার চ্যালেঞ্জার নামক একটি জাতীয় টেনিস প্রতিযোগিতা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় তার ক্যারিয়ার। ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন।

তবে ঐ বছরই গ্লাসগো ফিউচার ইভেন্টের শিরোপা জেতেন মারে। মাঝে কিছু আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সাফল্য আসে। তবে বড় সাফল্য আসে ২০০৪ সালে। জুনিয়র ইউএস ওপেন কাপ জয় করেন এবং ঐ বছরেই বিবিসির বছর সেরা তরুণ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব পুরস্কার পান। বছর শেষে জুনিয়রদের তালিকায় ২য় স্থান অধিকার করেন মারে।

২০০৫ সাল থেকে তার পৃথিবীব্যাপী ভ্রমণ শুরু। ২০০৫-০৬ এই এক বছরে মারে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রতিযোগিতার কুনিয়ার ইভেন্টে অংশ নেন। এই সময় তিনি ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে প্রথমবারের মতো ডেভিস কাপে অংশ নেন।

মারে এই বছরে কুইন্স ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ, থাইল্যান্ড ওপেন, উইম্বলডন, ইউএস ওপেন, এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর মাস্টার্স, বাসেল সুইস ইনডোরস প্রভৃতি বড় ছোট প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। থাইল্যান্ড কাপে তিনি প্রথমবারের মতো বিশ্বের এক নম্বর তারকা রজার ফেদেরারের মুখোমুখি হন।

২০০৬ মৌসুমের শুরু থেকে শেষে মারে বিভিন্ন সময়ে ১০ ব্রিটিশ টেনিস তারকাদের তালিকায় দুই দফায় শীর্ষ স্থান দখল করেন।

২০০৭ সালে বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ের সেরা দশে উঠে আসেন এই ব্রিটিশ তারকা। ঐ বছরেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে প্রথম মুখোমুখি হন বিশ্বের ২ নম্বর খেলোয়াড় রাফায়েল নাদালের। ঐ বছর জার্মান ওপেন, ইউএস ওপেন, মিয়ামি মাস্টার্সে অংশ নিলেও ইনজুরি আক্রান্ত মারে উল্লেখযোগ্য কোন সাফল্য পাননি। পরবর্তী তিন বছর সাংহাই ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন, মাদ্রিদ মাস্টার্স, মন্টে কার্লো মাস্টার্স, চায়না ওপেন, সিনসিনাতি মাষ্টার্স প্রভৃতি প্রতিযোগীতায় সেমি-ফাইনাল, কোয়াটার ফাইনাল প্রভৃতি রাউন্ডে পৌঁছান। 

২০১০ সালে মারে প্রথম বড় অর্জন পান। ঐ বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সিলিক ও নাদালকে হারিয়ে ফেদেরারের সাথে ফাইনাল নিশ্চিত করেন । যদিও তিনি হেরে যান। তবে ঐটাই ছিল তার তখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত সেরা সাফল্য- অস্ট্রেলিয়া ওপেন রানার আপ।

মারে প্রথম বড় সাফল্য পান লন্ডন ২০২২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে। ১৯০৮ সালের পর মারেই প্রথম ব্রিটিশ টেনিস খেলোয়াড় যিনি পুরুষ এককে গোল্ড অর্জন করেন। ঐ অলিম্পিকেই তিনি দুইটি গোল্ড অর্জন করে পৃথিবীর ৭ম খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড গড়েন।

৩১ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ তারকা দীর্ঘ সময় ভুগেছেন ইনজুরিতে। পনের বছরের ক্যারিয়ারের মোট ৩০টি খেতাব লাভ করেন মারে। এর মধ্যে তিনটি গ্রান্ড স্ল্যাম রয়েছে – ইউএস ওপেন ২০১২, উইম্বলডন ২০১৩ ও ২০১৬। এছাড়াও অলিম্পিক গোল্ড মেডেল পান ২ বার, এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস জেতেন একবার।

২০১৩ সালে টেনিসে অবদানের জন্য অ্যান্ডি মারে ব্রিটিশ রাজ পরিবার কর্তৃক ‘অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পেয়ার’ বা সংক্ষেপে ওবিই খেতাব অর্জন করেন এবং সর্বশেষ ২০১৭ সালে ‘নাইট’  উপাধি লাভ করেন।

 

এক নজরে অ্যান্ডি মারের অর্জন দেখে নেয়া যাক:

(১১টি গ্রান্ড স্ল্যাম ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন ৩, রানার আপ ৮)  

ইউএস ওপেন ২০০৮ রানার আপ

অস্ট্রেলিয়া ওপেন ২০১০ রানার আপ

অস্ট্রেলিয়া ওপেন ২০১১ রানার আপ

উইম্বলডন ২০১২ রানার আপ

ইউএস ওপেন ২০১২ চ্যাম্পিয়ন

অস্ট্রেলিয়া ওপেন ২০১৩ রানার আপ

উইম্বলডন ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন

অস্ট্রেলিয়া ওপেন ২০১৫ রানার আপ

অস্ট্রেলিয়া ওপেন ২০১৬ রানার আপ

ফ্রেঞ্চ ওপেন ২০১৬ রানার আপ

উইম্বলডন ২০১৬ চ্যাম্পিয়ন

 

এছাড়াও,

এটিপি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল ট্যুর ২০১৬ চ্যাম্পিয়ন

গ্রীষ্ম অলিম্পিক ২০১২ গোল্ড ২টি

 

দলগত ইভেন্ট,

ডেভিস কাপ ২০১৫ চ্যাম্পিয়ন (গ্রেট ব্রিটেন, অ্যান্ডি মারে) 

 

উল্লেখ্য, শুক্রবার মেলবোর্নে আসন্ন অস্ট্রেলিয়া ওপেনকে তার শেষ গ্রান্ড স্ল্যাম বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন অ্যান্ডি মারে।

 

বাংলা ইনসাইডার/ডিএম

 

 

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেও পার্পল ক্যাপ পেলেন না ফিজ

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের চলতি আসরে শুরু থেকেই ছন্দে রয়েছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। বল হাতে প্রতি ম্যাচেই দেখা পেয়েছেন উইকেটের। শুধু তাই নয়, আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় ও রয়েছেন শুরু থেকেই। এমনকি একাধিকবার পেয়েছেন পার্পল ক্যাপের মর্যাদাও।

শুরু থেকে ছন্দে থাকলেও মুস্তাফিজ মাঝে তিন ম্যাচে যেন হারিয়ে ফেলেছিলেন নিজের বোলিং ফর্ম। যার জন্য উইকেট শিকারীর তালিকায় পিছিয়ে পড়েছিলেন কিছুটা। তবে গতকাল হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে দুই উইকেট নিয়ে আবারও ফিরেছেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকার শীর্ষে। ৮ ম্যাচে মুস্তাফিজের শিকার এখন ১৪ উইকেট। কিন্তু শীর্ষে থেকেও এবার ফিজের মাথায় উঠছে না পার্পল ক্যাপ।

কারণ সমান উইকেট হলেও এক ম্যাচ বেশি খেলা মুম্বাইয়ের জাসপ্রিত বুমরার কাছেই থাকছে এ ক্যাপ। ভারতের ডানহাতে এই ফাস্ট বোলারের চেয়ে বেশি রান খরচ করেছেন মুস্তাফিজ।

উইকেটপ্রতি অকাতরে রান খরচ করেছেন মুস্তাফিজ। প্রতিটি উইকেট শিকারে তিনি খরচ করেছেন ২১.১৪ রান। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ১০ এর কাছাকাছি। সে তুলনায় বেশ কৃপণ বুমরা। ভারতীয় এই বোলার ১৪ উইকেট শিকার করেছেন ১৭.০৭ গড়ে। আর রান উৎসবের আইপিএলের চলতি আসরে এ পর্যন্ত ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৬.৬৩ রান।

বুমরা-মোস্তাফিজ ছাড়াও ১৪ উইকেট পেয়েছেন আরও একজন। তিনি পাঞ্জাব কিংসের হার্শাল প্যাটেল। তবে রান খরচের বেলায় তিনি ছাড়িয়ে গেছেন মোস্তাফিজকেও। ২৩.৩৮ গড়ে শিকার করেছেন ১৪ উইকেট। আর ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ১০.১৮ রান।

এদিকে মোস্তাফিজের পর চেন্নাই সুপার কিংসের আরও একজন আছেন পার্পল ক্যাপ জয়ের দৌড়ে। মাত্র ৬ ম্যাচ খেলে ১৩ উইকেট শিকার করেছেন মাথিশা পাথিরানা। এ মুহূর্তে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলারদের তালিকায় দ্বিতীয়তে আছেন লঙ্কান পেসার। ইনজুরির কারণে চলতি আসরের প্রথম তিন ম্যাচে খেলতে না পারলেও পরে নিজের জাত চেনাতে খুব একটা সময় নেননি ডানহাতি এ ফাস্ট বোলার।

এখন পর্যন্ত ১৩ গড়ে শিকার করেছেন ১৩টি উইকেট। আর তার ইকোনমি হচ্ছে ৭.৬৮। পাঞ্জাবের বিপক্ষে পরের ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবেন মোস্তাফিজক। কিন্তু লঙ্কান এ পেসার যদি তার এই ফর্ম ধরে রাখতে পারেন তাহলে খুব দ্রুতই পার্পল ক্যাপ চলে যাবে চেন্নাইয়ের ডেরায়।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লম্বা সময় পর আবারও রিয়ালের স্কোয়াডে কোর্তোয়া

প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লা লিগা থেকে শুরু করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের গোলবার সামলানোর দায়িত্বে একবারও দেখা যায়নি থিবো কোর্তোয়াকে। কারণ মৌসুম শুরুর পূর্বেই চোটে পড়েছিলেন তিনি। তবে আট মাস পর আবারও মাঠে ফিরছেন তিনি। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ম্যাচের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন এই বেলজিয়ান তারকা।

রোববার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগের জন্য দল দিয়েছে রিয়াল। কোর্তোয়াসহ সেখানে আরও আছেন অন্য দুই গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন ও কেপা আরিজাবালাগা।

গত আগস্টে এসিএলের চোটে পড়ে লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান কোর্তোয়া। সুস্থ হয়ে গত মার্চে অনুশীলনেও ফিরেছিলেন। তবে কোনো ম্যাচ না খেলেই নতুন চোটে আবার ছিটকে যান কয়েক সপ্তাহের জন্য।

এই চোট থেকে সেরে উঠে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দলের সাথে অনুশীলনে ফিরেছেন কোর্তোয়া। এবার অপেক্ষা কেবল মাঠে নামার।

কোর্তোয়ার না থাকার সময়ে আরিজাবালাগা সাথে লড়াই করে প্রথম গোলরক্ষকের জায়গাট নিজের করে নেন লুনিন। পুরো মৌসুমে দারুণ খেলা এই ইউক্রেন ফুটবলার শেষ আটের দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দেখান অসাধারণ পারফরম্যান্স। টাইব্রেকারে দুটি সেভ করে পরে হন জয়ের নায়কও।

ফলে ধারণা করা হচ্ছে যে, কোর্তোয়া ফিরলেও আগামী মঙ্গলবার অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনার ম্যাচে লুনিনই সামলাবেন রিয়ালের গোলবার। দীর্ঘ সময় খেলার মধ্যে না থাকায় কোর্তোয়াকে এই লেগে খেলানো থেকে বিরত রাখতে পারেন কার্লো আনচেলত্তি।

‘এএস'-এর খবর অনুযায়ী, কোর্তোয়াকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতি লেগে খেলানোর পরিকল্পনা আছে রিয়ালের।


থিবো কোর্তোয়া   রিয়াল মাদ্রিদ   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজের আইপিএল খেলা প্রসঙ্গে যা বললেন পাপন

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিকল্প হিসেবে দল পেলেও চলমান আইপিএলে স্বপ্নের মতোই সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। রয়েছেন দারুণ ছন্দে। চেন্নাইয়ের জার্সিতে মহেন্দ্র সিং ধোনির ছত্রছায়ায় নিয়মিত দলে সুযোগ পাচ্ছেন, বোলিং করে নিয়মিত উইকেটও সংগ্রহ করছেন। সর্বশেষ ম্যাচে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ১৯ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। আসরে ৮ ম্যাচে বাঁহাতি এই পেসারের শিকার ১৪ উইকেট। শুধু তাই নয়, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলারের তালিকাতেও শীর্ষেই রয়েছেন দ্য ফিজ।

তবে টাইগার এই ক্রিকেটারকে খুব শীঘ্রই ফিরে আসতে হবে আইপিএল ছেড়ে। কারণ বিসিবি থেকে আগামী ১ মে পর্যন্ত ছুটি পেয়েছেন এই কাটার মাস্টার। মুস্তাফিজের আইপিএল খেলা নিয়ে কথা বলেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। জিম্বাবুয়ে সিরিজ বাদ দিয়ে আইপিএল খেললে মুস্তাফিজ বেশি লাভবান হতো কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আইপিএল লাভবান হতো। আমরা কীভাবে লাভবান হবো।’

তামিম জাতীয় দলে কবে ফিরবেন- এমন প্রশ্নে পাপন বলেন, ‘লাস্ট ওর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তখন কথা ছিল ও (তামিম) প্রথম জালালো ইউনুস অপারেশন্সের এবং আমাদের সিরাজ ভাই ওনাদের সঙ্গে বসবেন তারপর আমার সঙ্গে বসবে। ওনাদের সঙ্গে বসেছে, এখন আমার সঙ্গে বসবে। আমি যেটা শুনেছি, ওর কাছ থেকে শোনার আগে কমেন্ট করা উচিত না। আমি যেটা শুনেছি ও বলেছে সামনের বছর থেকে খেলবে।’

এর আগে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আইপিএল খেলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। মুস্তাফিজের শেখার প্রসেস ওভার। বরং মুস্তাফিজের কাছ থেকে শিখতে পারে আইপিএলে অনেক খেলোয়াড় আছে। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না।’


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   নাজমুল হাসান পাপন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আর্সেনালের পর শিরোপার লড়াই জমাল ম্যানসিটিও

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এবারের আসরের লড়াইটা জমে উঠেছে বেশ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সব দলেই। তবুও শীর্ষ যে দুই দল একে অপরকে টক্কর দিচ্ছে সমানে সমান তারা হল আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে টটেনহ্যাম হটস্পারে বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে চার পয়েন্টে এগিয়ে গেলেও দিনের অন্য ম্যাচে নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে ২-০ গোলের ব্যাবধানে জিতে ব্যবধানে ১ পয়েন্টে নিয়ে আসে ম্যানচেস্টার সিটি।

এদিন চোট কাটিয়ে মাঠে নেমেই আক্রমণে কিছুটা ভুগতে থাকা দলকে পথ দেখালেন আর্লিং হালান্ড। ম্যাচের প্রথমার্ধের ৩২তম মিনিটে জাস্কো ভার্দিওল দলকে এগিয়ে নেয়ার পর ৭১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান হালান্ড। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের পেপ গুয়ার্দিওলার দল।

প্রিমিয়ার লিগের এই জয়ে ৩৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট সংখ্যা ৭৯। অপরদিকে হটস্পারের মাঠে ৩-২ গোলে জয়ী আর্সেনাল ৩৫ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। আর্সেনালের সমান ৩৫ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে লিভারপুল।

চলতি প্রিমিয়ার লিগে হালান্ডের গোল হলো ২১টি, চেলসির কোল পালমারকে ছাড়িয়ে আবার এককভাবে শীর্ষে বসলেন তিনি। ২০২৪ সালে এই নিয়ে লিগে আটটি অ্যাসিস্ট করলেন কেভিন ডি ব্রুইন, প্রিমিয়ার লিগে যা সর্বোচ্চ।


টটেনহ্যাম   আর্সেনাল   ম্যানসিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টটেনহ্যামকে হারিয়ে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলল আর্সেনাল

প্রকাশ: ০২:০৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) এবারের মৌসুমের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ‘নর্থ লন্ডন ডার্বি’তে টটেনহ্যাম হটস্পারকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির সাথে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলেছে আর্সেনাল।

রোববার (২৮ এপ্রিল) নিজেদের ঘরের মাঠ টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে আর্সেনালকে আতিথ্য জানায় টটেনহ্যাম হটস্পার। এদিন দুই অর্ধে দুই দল দেখিয়েছে দাপট। প্রথমার্ধ ছিল পুরোটাই আর্সেনালময়, আর দ্বিতীয়ার্ধ লেখা টটেনহ্যামের নামে। ম্যাচটা দর্শকদের জন্য পয়সা উশুলই বলা যায়। অফ সাইডে গোল বাতিলের সাথে ডিফেন্ডার, গোলকিপারদের ভুল কী ছিল না ম্যাচেটিতে?

তবে শেষ পর্যন্ত চাপটা ভালোই সামলেছে আর্সেনাল। আর তাতে জয় মিলেছে ৩-২ গোলের ব্যবধানে। এই জয়ে প্রথমবারের টানা দুই ম্যাচ নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে গিয়ে জয় ছিনিয়ে আনার রেকর্ড গড়লো আর্সেনাল।

ম্যাচটা জিতে সিটিকে কিছুটা চাপেই ফেললো তারা। আজ রাতেই মাঠে নামবে পেপ গার্দিওলার দল। পা হড়কালেই যে তারা শিরোপা দৌড় থেকে পিছিয়ে পড়বে আর্সেনাল থেকে। ৩৫ ম্যাচ শেষে গানারদের পয়েন্ট ৮০। দুইয়ে থাকা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ৭৬। যদিও দুই ম্যাচ কম খেলেছে তারা।

ম্যাচের ১৩ মিনিটেই প্রথম গোল পায় আর্সেনাল। অবশ্য কাই হাভার্টজের সেই গোল কাঁটা পড়ে অফ সাইডের ফাঁদে। হতাশা ভুলতে গানাররা সময় নেয়নি খুব একটা। ১৬ মিনিটেই মেলে যায় কাঙ্ক্ষিত গোল। টটেনহ্যাম ডিফেন্ডার পিয়েররা হোজবার্গের কল্যাণে প্রথম গোল মেলে আর্সেনালের। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে প্রবাশ করিয়ে দেন টটেনহ্যাম ডিফেন্ডার।

গোল খেয়ে জবাব দিতে মরিয়া টটেনহ্যামও। ২৩ মিনিটে ফেরে সমতায়ও। তবে মিকি ভ্যান ডির গোলে এবার বাঁধ সাধলো অফ সাইড। ফলে স্কোরলাইন থাকে ১-০ তেই। মিনিট চারেক বাদে আর্সেনালের লিড দ্বিগুণ করেন বুকায়া সাকা। কাই হাভার্টজের লং পাস ধরে দারুন এক গোলই করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। আর তাতে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় টটেনহ্যাম।

৩৮ মিনিটে আগের গোলে অ্যাসিস্টের ভূমিকায় থাকা হাভার্টজ নাম তোলেন স্কোরশিটে। কর্নার থেকে অনেকটা ফাঁকা জায়গায়ই বল মেলে তার। আলতা করে ছুঁয়ে দেন মাথা, বল খুঁজে নেয় জাল। আর প্রথমার্ধেই ম্যাচটা নিজেদের করে নেয় আর্তেতার দল।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই শুরু করে কিছুটা ঢিমেতালে। তারমাঝেও সুযোগ মেলে দু’দলেরই। ৫০ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর হেড অল্পের জন্য চলে যায় বাইরে। আর মিনিট তিনেক বাদে সাকার সামনে আসে সুযোগ। তবে টটেনহাম গোলকিপারে দারণ সেইভে হতাশ হতে হয় তাদের।

৬৪ মিনিটে টটেনহাম সমর্থকদের উল্লাসের সুযোগ করে দেন আর্সেনাল গোলকিপার ডেভিড রায়া। তার ভুলে ফাঁকা জায়গায় বল পান রোমেরো। গোলকিপারকে একা পেয়ে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার করেননি ভুল। আলতো টোকায় বল জড়ান জালে।

আর ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচ পুরটাই জমিয়ে তুলেন সন হিউং-মিন। শেষ কয়েকটা মিনিট ছিল রোমাঞ্চে ভরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য নিজেদের কাজটা ভালো ভাবেই করতে পেরেছে আর্সেনাল। আর তাতে সঙ্গী হয়েছে তিন পয়েন্ট।


টটেনহ্যাম   আর্সেনাল   ম্যানসিটি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন