ইনসাইড গ্রাউন্ড

আবারো বড় ইনিংস গড়তে ব্যর্থ সৌম্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৩১ পিএম, ১৭ জুন, ২০১৯


Thumbnail

৩২২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেই শুরুতে উইকেট হারালো বাংলাদেশ। ভাল শুরু করেও আবারোও বড় ইনিংস গড়তে ব্যর্থ সৌম্য সরকার। ক্যারিবীয় পেসারদের গতি আর বাউন্সের সামনে ইনিংসের প্রথম থেকেই নড়বড়ে ছিল টাইগার ওপেনাররা।

সাবধানে ইনিংস শুরু করতে গিয়ে প্রথমে একটু চাপে থাকলেও সৌম্যর স্বভাবজাত ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল ছিল বাংলাদেশের। তবে রাসেলের করা নবম ওভারে পুল করতে গিয়ে থার্ডম্যানে গেইলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য। তামিম ইকবাল রয়েছেন ১৬ রানে অপরাজিত।    

স্কোরবোর্ড

বাংলাদেশ ৫৬/১

ওভার ৯

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩২১/৮ ওভার ৫০ 

এর আগে......

জিততে হলে গড়তে হবে রেকর্ড

শেষ বলে উইকেট পেলেন সাইফ উদ্দিন। ১৯ রানে আউট হয়ে গেলেন ব্রাভো, ওয়েস্ট ইন্ডিজ থামল ৩২১ রানে। একটা সময় মনে হচ্ছিল ৩৫০ রান পর্যন্ত যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেখান থেকে ৩২১ রানে হয়তো বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে। শেষ ১০ ওভারে ৭৮ রান নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এই সময় হারিয়েছে ৩ উইকেট। বিশ্বকাপে ঠিক ৩২২ রান তাড়া করে জেতার কীর্তি আছে বাংলাদেশের। এই বিশ্বকাপে অবশ্য এখনও ৩০০ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পারেনি কেউ। বাংলাদেশ কি পারবে?

টন্টনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩২২

টন্টনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩২২। লুইস,হোপ আর হেটমায়ারের ব্যাটিং তাণ্ডবে উইন্ডিজরা স্কোরবোর্ডে তোলে ৫০ ওভারে ৩২১ রান। টাইগারদের হয়ে তিন উইকেট করে নিয়েছে সাইফুদ্দিন এবং মুস্তাফিজ। সাকিব আল হাসান পেয়েছেন ক্যারিবীয়দের বাকি দুই উইকেট।

অতিরিক্ত খাত থেকে রান এসেছে ২২! যা ক্যারিবীয়দের ইনিংসের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান। রান খরচের দিকে এগিয়ে সাইফুদ্দিন। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৭২ রান। 

অবশেষে বিদায় হোপের   

অবশেষে বিদায় শাই হোপের। সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েও সেঞ্চুরি হল না হোপের। মুস্তাফিজ পেয়েছেন তার তৃতীয় উইকেট। উইন্ডিজদের রানের বন্যায় আপাতত কিছুটা হলেও লাগাম আসবে।

ক্যারিবীয় অধিনায়ককে ফেরালেন সাইফুদ্দিন

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেই ক্যারিবীয় ঝড় থামছে না। সাইফুদ্দিনের বলে এবার উইকেট পড়লো ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের। ১৫ বলে ৩৩ রান করে আউট হয়েছেন হোল্ডার। 

হেটমায়ার ঝড়ের পর জোড়া আঘাত কাটার মাস্টারের    

এই টুর্নামেন্টের সবথেকে বর ছয়টা মারলেন সবথেকে ছোট মাঠে। তুলে নিলেন ঝড় হাফ সেঞ্চুরি। তবে কাটার মাস্টারের বোলিং জাদু এবং তামিমের দুর্দান্ত ক্যাচে ঝড় শুরু করেই ফিরতে হল সাজঘরে।

এই ওভারেই আরেক বিপদজনক খেলোয়াড় রাসেলকেও দেখালেন সাজঘরের পথ। রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। মুস্তার জোড়া উইকেটে ম্যাচে ফিরলো বাংলাদেশ।

হোপে আশা ফিরে পাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ 

বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরই ভাল খেলে শাই হোপ। আজকেও যেন সেই পুনরাবৃত্তি। সাইফউদ্দিনের দুই ছয়ে ১৭ রান নিয়ে ভাল সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছে উইন্ডিজকে।

রানের চাকাটা দ্রুত ঘুরতে শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের, হোপও খেলছেন হাত খুলে। মোস্তাফিজের বলে পর পর দুই চার মারলেন, তবে সেই ওভারেই একটি সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শর্ট থার্ডম্যান থেকে সাইফ উদ্দিন থ্রোটা লাগাতে পারলেই রান আউট হয়ে যেতেন হেটমেয়ার, কিন্তু একটুর জন্য মিস করলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখান থেকে অন্তত ৩২০ করতেই চাইবে

সাকিবের দ্বিতীয় আঘাতে সাজঘরে পুরান

নিকোলাস পুরানকে আউটকে করে ক্যারিবীয় শিবিরে তৃতীয় আঘাত সাকিবের। ৩০ বলে ২৫ রান করে আউট হন পুরান। সাকিবের এই ইনিংসে দ্বিতীয় উইকেট।

সাকিব আছে না?

লুইস হয়ে উঠছিল বিপদজনক হয়ে। দলের চাপ কাটিয়ে করে ফেলেছিল ৭০ রান! লুইস যখন খোলস থেকে বের হতে যাচ্ছিলো, সাকিব তখন তাঁকে পাঠিয়ে দিলেন সাজঘরের ভিতরে।

সবার তুলনায় একটু বেশিই রান দিচ্ছিল সাকিব। আউট হওয়ার আগে সাকিবের ওভার থেকে লুইস নিয়েছেন এক ছয় এবং এক ডাবল। এর পরের বলেই লং অনে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এভিন লুইস। বিপদের সময় সাকিবের ত্রাণকর্তা হয়ে ওঠা এ আর নতুন কি? 

লুইস-হোপে চাপ কাটিয়ে উঠছে ক্যারিবীয়রা

গেইলের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই চাপ কাটিয়ে উঠছে এভিন লুইস-শাই হোপ জুটিতে।

দু-একটা মিসফিল্ডিং বাদে টাইগারদের ফিল্ডিং এখন পর্যন্ত হয়েছে দুর্দান্ত। যদিও শাই হোপ আর লুইস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ক্যারিবীয় ইনিংসকে। 

পাওয়ারপ্লেতে পাওয়ার নেই উইন্ডিজের  

ক্যারিবীয়দের স্বাভাব যেখানে চার-ছয় খেলা,সেখানে টন্টনে টাইগারদের সামনে দেখা গেছে অন্য এক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। মাশরাফিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম পাওয়ারপ্লেতে উইন্ডিজরা নিতে পেরেছে মাত্র ৩২ রান।

টন্টনের উইকেটে হাইস্কোরিং ম্যাচের সম্ভাবনার কথা সবারই জানা। তবে আগের দুই দিন বৃষ্টি থাকায় উইকেটে রয়েছে কিছুটা সবুজাভ ভাব। টসে জিতে সে সুবিধাটাই নিয়েছে টাইগার দলপতি। নিয়ন্ত্রিত বোলিং আর সুইংয়ে উইন্ডিজরা ভড়কেছে বারংবার। 

শূন্য হাতে গেইলকে ফিরালো সাইফুদ্দিন

মাশরাফি বিন মর্তুজার টসে জিতে আগে বোলিং নেয়ার সিদ্ধান্ত যে কতটা উপযোগী ছিল তাঁর ফলাফল ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। ক্যারিবীয় শিবিরে প্রথম আঘাত সাইফুদ্দিনের।

রানের খাতা খোলার আগেই ১৩ বলে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছে দানবীয় ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। ব্যাটের কোণায় লেগে ক্যাচ উঠেছে মুশফিকুর রহিমের হাতে।  

এর আগে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টাইগার একাদশে এসেছে এক পরিবর্তন। মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গায় ঢুকেছেন লিটন দাস।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বৃষ্টি শেষে আবারও খেলা শুরু, এগোচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল। যেখানে ভালো শুরুর পরও ব্যাটিং বিপর্যয়ে খেই হারিয়েছে সফরকারীরা। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানেই গুটিয়ে গেছে সিকান্দার রাজার দল।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ভালোমতোই এগোচ্ছিল। তবে তিন ওভার পেরোতেই চট্টগ্রামে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি ঝরতে শুরু হওয়ায় কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয় খেলা। পরবর্তীতে বৃষ্টি থামলে আবারও শুরু হয় খেলা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লক্ষ্য তাড়ায় ৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৯ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম। তবে থিতু হওয়ার আগেই মুজারাবানির আঘাতে বোল্ড হয়ে ফেরেন লিটন। পরে উইকেটে আসেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। বর্তমানে তাদের ব্যাটেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ক্রেইগ আরভিন ও জয়লর্ড গাম্বি। তবে ভয়ানক হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত হানেন শেখ মাহেদী।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করেন মাহেদী। দুই বলেও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি এই ওপেনার। পরে উইকেটে আসেন ব্রায়ান বেননেট। শুরুর ধাক্কা সামলে তার সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়েন গাম্বি।

তবে গাম্বির বিদায়ে ভেঙে যায় তাদের সেই জুটি। পঞ্চম ওভারে সাইফউদ্দিনের ফুল লেংথের বল ফ্লিক করতে গিয়ে তাসকিনের তালুবন্দী হন গাম্বি। আউট হওয়ার আগে ১৭ রান করেন তিনি।

ব্যাট হাতে আশা দেখালেও রানআউটের শিকার হন বেননেট। রিয়াদের দ্রুতগতির থ্রোতে তাকে আউট করেন জাকের আলী। ১৬ বলে ১৫ রান করেন তিনি।

এরপর শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল। তারা তিনজনই শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন।

দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেন ক্লাইভ মাদানদে। এ সময় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। এ দুজনে জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে মান বাঁচানো লক্ষ্যে নিয়ে যান। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৫ রান।

৪৩ রান করে মাদানদে সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যা তাদের জুটি। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন মাসাকাদজা। তবে ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন মাসাকাদজা। তিনি ৩৪ রান করেছেন।

এই দুজনের ব্যাট ভর করে ১২৪ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এছাড়া দুটি উইকেট শিকার করেছেন মাহেদী হাসান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের বোলিং তোপে ১২৪-এ গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

শঙ্কা ছিল টাইগার বোলারদের দাপটের দিনে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। তবে সেই শঙ্কা রীতিমত দুঃস্বপ্নে রূপ দিয়েছে রোডেশিয়ানদের লোয়ার-অর্ডার।

শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সফরকারীরা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রানে ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে।

এদিন বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ চার ওভারে ১৪ রান খরচায় শিকার করেছেন তিন উইকেট। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে শিকার করেছেন তিনটি উইকেট। শেখ মেহেদী নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে এই ম্যাচে খরুচে ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ছয়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বি। মাঝে চার বল ডট দিয়ে শেষ বলে আবারও চার মারেন এই ব্যাটার। প্রথম ওভারেই জিম্বাবুয়ে তোলে ৮ রান।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বলে আসেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তিনি এসে শুরুতেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। তার দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তৃতীয় ওভারে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই চার মেরে আগ্রাসী রূপ দেখানোর আভাস দেন তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান বেনেট। ওপেনার গাম্বির সাথে জুটি বেধে তোলেন ২৮ রান। তবে এই জুটিতে আঘাত করেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার লুজ বলে শর্ট ফাইনে তাসকিনের হাতে গাম্বি ক্যাচ দিলে ভাঙ এই জুটি। এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিল। ২ উইকেটে ৩৬ রান তোলা জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ড দাঁড়ায় ৪১/৭।

মূলত ষষ্ট ওভারে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনের। ৫ দশমিক ১ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। পরের বলেই উইকেরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৮ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিড স্টার তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলেই শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। দুইজনই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার লুক জঙ্গি। তার এই উইকেটে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৪১/৭।

এরপর বিপর্যয়ের মধ্যে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৬৫ বলে ৭৫ রান ওঠে এই জুটিতে। তাদের ব্যাটে ভর করে ১০০ ছাড়ায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১১৬ রানের সময় এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাদান্দে। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রথম টি-২০তে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে।

যেখানে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে টি-২০ সংস্করণে অভিষেক হয়েছে বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।

টি-২০তে এখন পর্যন্ত ২০বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। যেখানে ১৩ জয়ের বিপরীতে ৭ ম্যাচে হেরেছে টিম টাইগার্স।

দুই দলের মধ্যে দলীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। ২০২২ সালে হারারেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০৫ করেছিল তারা। অন্যদিকে ২০২০ সালে মিরপুরে ৩ উইকেটে ২০০ রান করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেইগ আরভিন, ব্রায়ান বেননেট, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদানদে, লুক জঙ্গি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুস্তাফিজের পোস্ট

প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলে এবারের আসরে চেন্নাইয়ের জার্সিতে স্বপ্নের মতো সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণেই মাঝপথে আইপিএলকে বিদায় জানাতে হয়েছে এ টাইগার পেসারকে।

বিদায় বেলায় মুস্তাফিজকে নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি জার্সি উপহার দেন ধোনি। যেখানে লেখা ছিল, ‘ফিজের প্রতি ভালোবাসা।’ সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাটার মাস্টার।

নিজের অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁহাতি এই পেসার লিখেছেন, ‘সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ মাহি (ধোনি) ভাই। আপনার মতো কিংবদন্তির সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নেয়াটা ছিল বিশেষ এক অনুভূতি। সবসময় আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, আমি সেগুলো মনে রাখব। আপনার সঙ্গে শিগগিরই আবারও খেলতে এবং দেখা করতে মুখিয়ে আছি।’

বিসিবির দেওয়া অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। এই আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে আগেই মন খারাপের কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি   ফ্লেমিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আরও এক শিরোপা জয়ের হাতছানি লেভারকুসেনের

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মৌসুমে বারবার খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফিরে আসার গল্প লিখেছে বায়ার লেভারকুসেন। বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতে চমকে দিয়েছে ফুটবল বিশ্বকে। যার জন্য কমেন্ট্রেটররা তো বারবারই বলছে ‘টিল দ্য লাস্ট হুইসাল নেভার রুল আউট লেভারকুসেন।’

লেভারকুসেনের এই সাফল্য এসেছে জাবি আলোনসোর হাত ধরে। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আরও একটি শিরোপা জয়ের হাতছানি দলটির সামনে। ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রোমার মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লেভারকুসেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দিবাগত রাতে স্তাদিও অলিম্পিকোতে রোমাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। জয়সূচক গোল ২টি করেছেন ফ্লোরিয়ান উইর্টজ ও রবার্ট এন্দরিখ।

এই ম্যাচে বল দখলে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে বেশ এগিয়ে ছিল লেভারকুসেন। ৪৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৯টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল তারা। বিপরীতে ঘরের মাঠে ৮টি শট নিয়ে ২টি প্রতিপক্ষের গোলমুখে রাখতে পেরেছিল রোমা।

রোমেলু লুকাকু, পাওলো দিবালার মতো তারকাদের স্তব্ধ করে ম্যাচের ২৮তম মিনিটেই লেভারকুসেনকে লিড এনে দেন ২০ বছর বয়সী জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার উইর্টজ। ডাচ রাইট-ব্যাক রিক কার্সদর্পের ভুলের খেসারত দিতে হয় দলকে। ব্যাক পাসে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের কাছে দিয়ে বসেন তিনি।

যেন ডি-বক্সে ঢুকে পড়া নিজের সতীর্থকে পাস দিচ্ছেন। বল পেয়ে যান অ্যালেক্স গ্রিমালদো। এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের বাধায় তিনি বল তুলে দেন অরক্ষিত থাকা উইর্টজকে। বাকি কাজকে অনায়াসে সেরে নেন এ জার্মান মিডফিল্ডার।

৩৪তম মিনিটে গ্রিমালদো আরও একটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। তবে পেনাল্টি এরিয়ার সামনে অরক্ষিত অবস্থায় বল পেয়েও জালে জড়াতে ব্যর্থ হন জেরেমি ফ্রিমপং।

এরপর বিরতি কাটিয়ে ম্যাচের ৭২ মিনিট পর্যন্ত কোনো দল গোলের তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৭৩তম মিনিটে রোমার সমর্থকদের দুঃখ দ্বিগুণ করে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন এন্দরিখ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ক্রসে জাল খুঁজে নেন তিনি। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না রোমার গোলরক্ষকের।

স্বাগতিকরা একটি গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচের যোগ করা সময়ে। তবে গোলপোস্ট ফাঁকা পেয়েও লুকাকু হেড নেন বারের ওপর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে রোমার দুর্গ থেকে জয় নিয়ে ফেরে লেভারকুসেন।

আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রোমাকে আতিথ্য দেবে লেভারকুসেন। সে ম্যাচে ড্র কিংবা হারের ব্যবধানটা ১-০ গোলের মধ্যে রাখতে পারলেই ইউরোপা লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করবে আলোনসোর শিষ্যরা।


বায়ার লেভারকুসেন   রোমা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন