ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্ব কাঁপিয়েও বিশ্বকাপ জোটেনি যাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১২ জুলাই, ২০১৯


Thumbnail

যুগে যুগে ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছে অনেকে। কেউ ব্যাট হাতে, কেউ বল হাতে। কেউ ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছে সব পেয়ে, কেউ বা বিদায় নিয়েছে খালি হাতে। বিশ্ব কাঁপিয়েও বিশ্বকাপের সান্নিধ্য পায়নি এমনও রয়েছেন অনেক। যাদের ছোঁয়া না পেয়ে অতৃপ্ত খোদ ট্রফি নিজেই।

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সম্মানের এই ট্রফি না পেয়েই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন অনেক কিংবদন্তি। ক্রিকেটবিশ্ব দাপিয়ে বিশ্বকাপ জোটেনি এমন কিছু ক্রিকেট কিংবদন্তিকে নিয়ে আজকের প্রতিবেদন। 

গ্রাহাম গুচ (ইংল্যান্ড)

১৯৭৬ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ১২৫ ওয়ানডে খেলেছেন ইংল্যান্ডের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন তিনি। ১৯৯২ সালে দলের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিবারই পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে তাঁকে।

ইয়ান বোথাম (ইংল্যান্ড)

ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম। কিন্তু একবারও বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখা হয়নি তাঁর। বল হাতে প্রতিপক্ষের ত্রস ছিলেন তিনি। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ১০ ম্যাচে ১৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই পেসার। লোয়ার মিডেল অর্ডারে ব্যাটিং করে দলকে বড় রান সংগ্রহে অবদান রাখতেন তিনি।

ওয়াকার ইউনিস (পাকিস্তান)
পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোলার ওয়াকার ইউনিস। বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত, ওয়ানডে ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি পাঁচ উইকেট পাওয়া একমাত্র বোলার তিনি। ১৯৯২ সালে পাকিস্তান দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পাকিস্তান শিরোপা ঘরে তুললেও ফাইনালে ম্যাচের আগে ইনজুরিতে পড়ে দল থেকে ছিটকে পড়েন ওয়াকার। বিশ্বকাপ জেতা হয়নি তাঁর। ১৯৯৯ সালে আবারও ফাইনালে পাকিস্তান জায়গা করে নিলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরাজিত হতে হয় তাদের।

সৌরভ গাঙ্গুলি (ভারত)

১৯৯৯-২০০৭ পর্যন্ত ভারতের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছিলেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক। ২০০৩ সালে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের সেই আসরে একাই তিনটি শতক হাঁকিয়েছিলেন এই বাঁহাতি। সেইবার তাঁর অধীনে ভারত ফাইনালে উঠলেও শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি।

ব্রায়ান লারা (উইন্ডিজ)

টেস্ট ক্রিকেটে উইন্ডিজ সাবেক অধিনায়ক ব্রায়ান লারার রেকর্ড সকলেই জানা। তবে উইন্ডিজ এই কিংবদন্তী ওয়ানডে ফরম্যাটেও ছিলেন দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান। একদিনের ক্রিকেটে দশ হাজারেরও বেশি রান রয়েছে তাঁর। উইন্ডিজের হয়ে ২৯৯ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে পাঁচবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একবারও ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি তাঁর।

ল্যান্স ক্লুজনার (দক্ষিণ আফ্রিকা)

আফ্রিকান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন ল্যান্স ক্লুজনার। ব্যাটে বলে দুর্দান্ত এই ক্রিকেটার বিশ্বকাপ জিততে পারেননি একবারও। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে তাঁর সামর্থ্য দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু সেমিফাইনালে গিয়ে বাদ পড়তে হয়েছে তাঁদের। ১৭১ ওয়ানডে খেলা এই অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে রান নিয়েছেন ৪১ গড়ে সাড়ে তিন হাজারের ওপর রান। বল হাতে ২৯ গড়ে তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৯২টি।

জ্যাক ক্যালিস (দক্ষিণ আফ্রিকা)

ল্যান্স ক্লুজনারের পরে আসে আরেক দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসের নাম। ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৭৩ উইকেট এবং ১১ হাজার রান রয়েছে তাঁর। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সানাথ জয়সুরিয়ার পর একমাত্র অলরাউন্ডার ক্যালিস যিনি কিনা দশ হাজার রান এবং ২৫০ উইকেটের মালিক। কিন্তু বিশ্বকাপ শিরোপা একবারও জিততে পারেননি তিনিও।

কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা)

২০১৫ সালের বিশ্বকাপেই নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যর প্রমাণ দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা। গত বিশ্বকাপে আসরে চারটি শতক হাঁকিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে শচিন টেন্ডুলকারের পর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। কিন্তু এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান একবারও বিশ্বকাপের শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেননি।

এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা)

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সও জিততে পারেননি কোন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫৩.৫০ গড়ে রান সংগ্রহ করেছেন এই ব্যাটসম্যান। ৩১ বলে উইন্ডিজদের বিপক্ষে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম শতকটি হাঁকিয়েছেন তিনি।

শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)

পাকিস্তানের কিংবদন্তী শহীদ আফ্রিদি দলের হয়ে ৩৯৮ ওয়ানডে খেলেছেন। ১৯৯৯ সালে দ্রুততম শতকের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। তাঁর গড়া ৩৭ বলের সেই শতকটি ভেঙ্গেছেন ভিলিয়ার্স। ব্যাট হাতে আট হাজারের বেশি রান সংগ্রহ করেছিলেন আফ্রিদি। লেগ স্পিন দিয়ে প্রতিপক্ষকে কাবু করতে বেশ পটু ছিলেন তিনি। তাঁর নামের পাশে রয়েছে ৩৯৫টি উইকেট। বিশ্বকাপের শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি তাঁরও।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চমক রেখে জিম্বাবুয়ে সিরিজের দল ঘোষণা করল বিসিবি

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুধু তাই নয় দল গঠনেও উঠেপড়ে লেগেছে তারা। যেহেতু এবারের আসর যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেহেতু পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের অথবা প্রতিপক্ষের মাঠে একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় রয়েছে বাংলাদেশও।

আসন্ন বিশ্বকাপের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

চোটের কারণে লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। চোট কাটিয়ে সর্বশেষ বিপিএল দিয়ে খেলায় ফেরেন তিনি। খেলছেন চলমান ডিপিএলেও। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফিরতে যাচ্ছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

১৫ সদস্যের এই দলে ফিরেছেন সাইফউদ্দিন ছাড়াও ফিরেছেন আফিফ হোসেন। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার মূলত অফ ফর্মের কারণে বাদ পড়েছিলেন। তবে সম্প্রতি ডিপিএলে ভালো করায় তাকে দলে ফিরিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

ডিপিএলে পারফর্ম করায় সুযোগ মিলেছে পারভেজ হোসেন ইমনেরও। এই তরুণ ওপেনার ডিপিএলে ধারবাহিক রান পেয়েছেন। তাছাড়া প্রথমবার টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।

বাংলাদেশ স্কোয়াড
বাংলাদেশ দল নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসাইন ইমন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসাইন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডিপিএলে নারী আম্পায়ার বিতর্ক নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি

প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গত বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। কিন্তু তিনদিন আগে হয়ে যাওয়া দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই ম্যাচ নিয়ে এখনো চলছে আলোচনা। মূলত এই ম্যাচে নারী আম্পায়ারের অধীনে ম্যাচ খেলতে না চাওয়া নিয়ে চলছে বিতর্ক। ঘটনাটা নিয়ে রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসির উপস্থিতিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্স পর্বের ম্যাচ খেলতে আপত্তি জানিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু এর কারণ কী?

পুরো ব্যাপারটি নিয়েই ছিল ব্যাপক ধোঁয়াশা। শুরুতে দাবি করা হয়েছিল, কেবল নারী বলেই আম্পায়ার জেসি থাকাকালে ম্যাচে নামতে চায়নি বড় দুই ক্লাব। কিন্তু দিন গড়াতেই জানা যায়, নারী আম্পায়ার নয়,  বরং ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করেই মূলত আপত্তি জানিয়েছিল তারা।  

ম্যাচটিতে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব ছিলেন এ আই এম মনিরুজ্জামান ও সাথিরা জাকির জেসি। মনিরুজ্জামান আগে থেকেই লিস্ট ‘এ’ শ্রেণির ম্যাচ পরিচালনা করলেও, জেসিসহ দুজন নারী আম্পায়ার এবার প্রথম এমন দায়িত্ব পেয়েছেন। অবশ্য জেসির আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তবুও তাকে নিয়ে সংশয়ের বেড়াজালে আটকে ছিল দুই ক্লাবই।   

এদিকে দেশের ক্রিকেটের এমন উত্তপ্ত অবস্থার মাঝেও নারী আম্পায়ার ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করেননি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, “আমি আসলে এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আম্পায়ার্স কমিটির সাথে কথা হলো, এ ব্যাপারে তারা তো আমাকে কিছুই জানায়নি। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় নাই, তাই এ ধরনের কোনো কিছুই আমি জানি না।”

আম্পায়ার জেসিকে নিয়ে বিতর্কের পর দুই ক্লাবের কর্মকর্তারাই জানালেন জেসিকে নিয়ে সংশয়ের কারণেই মূলত এমন ঘটনার সূত্রপাত।

মোহামেডানের ক্রিকেট সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ‘আমরা আসলে আপত্তি তুলিনি। আমরা এমনিতে বলাবলি করছিলাম যে ম্যাচের মেরিট অনুযায়ী তো এত বড় ম্যাচে জেসি আম্পায়ার হতে পারে না। আমরা বলছিলাম এত বড় ম্যাচে আরও ভালো আম্পায়ার দরকার ছিলো। আমরা অফিসিয়ালি অভিযোগ করিনি, অফিসিয়ালি অভিযোগ করব কেন। আমরা ওরকমভাবে রিপোর্ট টিপোর্ট করিনি। আমাদের ধারণা ছিল তিনি নতুন আম্পায়ার, লিস্ট-এ ক্রিকেটে এ বছরই প্রথম খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। তাই অভিজ্ঞতা কম। আমরা সাধারণত এসব ম্যাচে সিনিয়র আম্পায়ার চাই।’

প্রাইম ব্যাংক ম্যানেজার শিকদার আবুল হাশেম কঙ্কন বলেন, ‘মহিলা আম্পায়ার দেবে এটা তো জানি না আমরা। বাংলাদেশে মহিলা আম্পায়ারের অভিজ্ঞতা কেমন এটা তো আমরা সবাই জানি। আপত্তি করি না। যেহেতু এটা বড় ম্যাচ, এখানে নিয়মিত যারা করে তাদের আশা করছিলাম। মহিলা আম্পায়ার দেখেন যেটা এলবিডব্লিউ সেটা দেয় নাই, যেটা হয় নাই সেটা দিছে। আমরা ম্যাচ শুরুর আগেও কিছু বলিনি। এমনিতে নিজেরা আলাপ করেছি। সিসিডিএমের কাউকে বলিনি। নিজেরাই আলাপ করেছি। সেটা তার অনভিজ্ঞতার জন্যই।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি   ডিপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অধিনায়ক জ্যোতির হাফ সেঞ্চুরি, তবুও ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার

প্রকাশ: ০৭:৩৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দারুণ বোলিংয়ের মধ্য দিয়ে ভারতকে দেড়শর মধ্যেই আটকে রেখেছিলেন বোলাররা। তবে লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যেন অসহায়ের মত ধরা দিলেন। তবুও স্বস্তির দেখা মিলেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাট থেকে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০তে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। যেখানে ভারতের কাছে ৪৫ রানে হেরেছে টাইগ্রেসরা।

এদিন আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান করে ভারত। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১০১ রান করে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া।

নতুন বলে মারুফার ওপর আস্থা রেখেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। প্রথম ওভারেই দুই বাউন্ডারিতে এই পেসারকে সেট হতে দেননি শেফালি ভার্মা। অবশ্য পরের ওভারেই উইকেটের দেখা পেতে পারতো বাংলাদেশ।

সুলতানাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দেন স্মৃতি মান্দানা। কিন্তু সেটা হাতে জমাতে পারেননি ফারিহা তৃষ্ণা। অবশ্য সেই তৃষ্ণাই পরের ওভারে দলকে ব্রেকথ্রু এনে দেন। তার করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজে বোল্ড হন স্মৃতি।

অন্যপ্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করেছেন আরেক ওপেনার শেফালি ভার্মা। ২২ বলে ৩১ রান করেছেন ভার্মা। ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও রানের দেখা পেয়েছেন। ইয়শতিকা ভাটিয়া করেছেন ২৯ বলে ৩৬ রান।

চারে নেমে হারমানপ্রীত করেছেন ২২ বলে ৩০ রান। তাছাড়া রিকা ঘোষের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন রাবেয়া খান। তাছাড়া ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন মারুফা আক্তার।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেল ম্যানইউ

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গেল ম্যাচে শেফিল্ড ইউনাইটেডের সাথে পিছিয়ে পড়ার পরই শঙ্কা জেগেছিল আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার। তবে সে ম্যাচে দারুণভাবেই ফিরে এসেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু বার্নলির বিপক্ষে হেরে আটকে গেল রাশফোর্ড-ক্যাসেমিরোরা। এতে করে পরের মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়ল ম্যানইউ।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে শনিবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ইউনাইটেড ড্র করেছে ১-১ গোলে। আর এই ফলাফলই তাদের আটকে দিয়েছে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা থেকে। তবে ইউরোপা লিগে খেলার স্বপ্নটা এখনো টিকে আছে এরিক টেন হাগের দল।

৩৪ ম্যাচ খেলা ইউনাইটেডের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৫৪। ম্যাচ বাকি আছে আর চারটা। চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলার পয়েন্ট ৬৭। বাকী ৪ ম্যাচ জিতলেও যে ভিলাকে টপকাতে পারবে না ইউনাইটেড।

চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেললেও তাতে হতাশই ইউনাইটেড।। গ্রুপ পর্ব থেকে নিয়েছিল বিদায়। শেষ করেছিল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে।

তবে সুযোগ আছে টটেনহামকে টপকে পাঁচে থেকে শেষ করার। অবশ্য সে কাজটাও বেশ কঠিন। নর্থ লন্ডনের ক্লাবটার ৩২ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ৬০। দুই ম্যাচ কম খেলেও তারা ইউনাইটেড থেকে বেশ ৬ পয়েন্টে এগিয়ে আছে।


ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড   এফএ কাপ   ফুটবল   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিরিজের কারণ জানালেন পাপন

প্রকাশ: ০৫:০৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। এ তালিকায় আছে বাংলাদেশও।

বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে দলগুলোর। এরই মধ্যে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। রোডেশিয়ানদের সঙ্গে সিরিজ শেষেই যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দিবে টিম টাইগার্স। সেখানে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবেন শান্তরা।

তবে বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের আগে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের সঙ্গে সিরিজ খেলা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

শনিবার বিকেলে জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, ‘প্রস্তুতি (বিশ্বকাপের) সম্পন্ন করার জন্য ঐখানে (যুক্তরাষ্ট্র) যাচ্ছে না। প্রস্তুতি যা হওয়ার এই বিশ্বকাপের আগেই শেষ বা করতে হবে। আর যেহেতু জীবনে প্রথমবার ঐখানে খেলছে, তাই সেখানকার কন্ডিশন বোঝার জন্যই তাদের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছি। সেটার জন্য আমি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেললাম, না কার সঙ্গে খেললাম; সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। কন্ডিশন বোঝার জন্য খেলছে, সেটাই মূল কারণ।’


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন