ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের সামনে আজ অস্ট্রেলিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৪৪ পিএম, ০৫ জুন, ২০১৭


Thumbnail

 

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘদিন পর আবার মুখোমুখি দুই দল। সময়ের হিসাবে যা ৬ বছর। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কেনিংটন ওভালে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ মানেই কার্ডিফের কথা আসবেই। কারণ কার্ডিফের সেই ম্যাচের কথা ভুলেনি ক্রিকেট বিশ্ব। যেখানে ঐ সময়ের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকে সজেই পাঁচ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আজও মাশরাফি বাহিনী চাইবে সেই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে। একমাত্র অস্টেলিয়ার বিপক্ষেই টাইগারদের একাধিক জয় নেই।

এই ম্যাচে বাংলাদেশের মূল ভাবনা স্কোয়াড নিয়ে। কাকে খেলাবেন টিম ম্যানেজমেন্ট। আজও কি ইংল্যান্ডের মত তিন পেসার খেলাবেন নাকি মিরাজকে অন্তর্ভূক্ত করবেন দলে। সে সময়েই বলে দিবে। তবে টিম ম্যানেজমেন্টকে অবশ্যই ভাবাচ্ছে কিছু বিষয়। সাকিবের ফর্মহীনতা, কোন পজিশনে খেলবেন সাব্বির-মোসাদ্দেক এবং চার বোলার নাকি আট ব্যাটসম্যান?

সাকিব বেশ কয়েকদিন ধরেই ওয়ানডেতে চেনা ফর্মে নেই। তবে টেস্ট ও টি-২০তে ভালো করছেন। কিন্তু সব ফরম্যাটের সেরা অলরাউন্ডারের কাছ থেকে সেটাও যে মানা যায় না। সাকিব বাংলাদেশ দলের ভরসার নাম। আর দলের এক নম্বর খেলোয়াড় যখন অফ ফর্মে থাকবে তখন তা পুরো দলকেই ভাবাবে। সাকিব যে দলের প্রাণভোমরা। তাই আজও কোটি টাইগার সমর্থক তাকিয়ে থাকবে সাকিবের স্বরূপে ফেরার অপেক্ষায়।

বর্তমান সময়ে দলে এক মধুর সমস্যা পজিশন। কাকে কোন পজিশনে খেলাবে, তা নিয়ে প্রায়ই পরীক্ষা করতে দেখা যায় কোচকে। আর এই সমস্যাটা বেশি হয় সাব্বির ও মোসাদ্দেককে নিয়ে। সাব্বির কখনো ওয়ান ডাউনে আবার কখনো টু ডাউনে খেলছেন। আবার মোসাদ্দেককে কখনো উপরে আবার কখনো নীচে খেলানো হচ্ছে। তবে সাব্বির যে ওয়ান ডাউনে ভালো খেলেন তার প্রমাণ তিনি আগেও দিয়েছেন। আর মোসাদ্দেক সাত কিংবা আটেই ভালো খেলেন। তবে দলের প্রয়োজনে তারা দুজনই যেকোন জায়গায় খেলতে সদা প্রস্তুত।

আজ বাংলাদেশ হয়তো আট ব্যাটসম্যান খেলানোর ভুল করবে না। কারণ আজ যে উইকেটে খেলা হবে সেই উইকেটে আফ্রিকা-শ্রীলংকা’র ম্যাচটি হয়েছিল। তাই উইকেটে স্পিনটা ধরতেই পারে। এই উইকেট বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচের মতো ব্যাটিং স্বর্গ ছিলোনা। তাই আজ স্কোয়াডে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে মিরাজের খেলার সম্ভাবনা খুব বেশি। কারণ মিরাজকে খেলালে একজন বোলারের পাশাপাশি একজন ব্যাটসম্যানও পাওয়া যাবে। তাই আজ বাংলাদেশ আট ব্যাটসম্যান তত্ত্ব থেকে বেড়িয়ে আসবে, এটা প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়।

পিচ ও কন্ডিশন
পুরো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই বাধা দিয়েছে বেরসিক বৃষ্টি। আর ইংল্যান্ডের কন্ডিশন সর্বদাই উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়। আজ যে উইকেটে খেলা হবে সেই উইকেটে আফ্রিকা-শ্রীলংকা’র ম্যাচটি হয়েছিল। তাই উইকেটে স্পিনটা ধরতেই পারে। তাছড়া এই উইকেট বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচের মতো ব্যাটিং স্বর্গ না। তাই আজ স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেতে পারে। আর বৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনাও আছে।

দুই দলের পরিসংখ্যান

১. বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগে খেলা ১৯ ম্যাচের ১৮টিতে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৫ সালে কার্ডিফে বাংলাদেশ তাদের একমাত্র জেতা ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ৫ উইকেটে।

২. এর আগে এই দুই দল একবারই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুখোমুখি হয়েছে। সেটি ২০০২ সালে, কলম্বোতে। ওই ম্যাচ ৯ উইকেটে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ ১২৯ রানে অল আউট হয়েছিল।

৩. ১৯৯৯ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ওভালে টানা ৬ ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এখানে খেলা শেষ ২ ম্যাচে হেরেছে তারা।

৪. কেনিংটন ওভালে মাত্র দুটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা দুই ম্যাচেই হেরেছে। একটি চলমান আসরে।

৫. অস্ট্রেলিয়া তাদের শেষ ১০ ম্যাচের ৭টিতে জিতেছে। শেষ দুই ম্যাচেই অবশ্য হেরেছে তারা।

৬. বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের ৯০০তম ওয়ানডে। তাদের রেকর্ড : ৫৫৪টি জয়, ৩০৩টি হার, ৯টি টাই, ৩৩টি নো রেজাল্ট।

৭. ডেভিড ওয়ার্নারের ৪,০০০ রান হতে আর ৩৬ দরকার। ৯২ ইনিংস খেলেছেন। তার চেয়ে কম ইনিংসে কেবল ৪ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ছেন দুজন, হাশিম আমলা ও ভিভ রিচার্ডস। বিরাট কোহলির লেগেছিল ৯৩ ইনিংস।

৮. জস হ্যাজলউড এই ম্যাচে খেলতে নামছেন মাত্র দ্বিতীয় বোলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ম্যাচে ৬ উইকেট শিকারের রেকর্ড নিয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫২ রানে ৬ উইকেট ছিল তার। তবে সেরা ২০০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার পারভিজ মাহরুফের ১৪ রানে ৬ উইকেট।

৯. তামিম ইকবাল ওভালেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে ১২৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসের শীর্ষ ৯ ওয়ানডে ইনিংসের ৬টিই তামিমের।

১০. মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান দুজনই এই ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুলের দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৫ ওয়ানডে খেলার রেকর্ড স্পর্শ করবেন।     

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশঃ

তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহীম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।


বাংলা ইনসাইডার/ডিআর




মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড় ফোডেন ও খাদিজা

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা ফুটবলারে এবার বাজিমাত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। কারণ এবার এই ক্লাব থেকেই পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগের খেলোয়াড়রা নির্বাচিত হয়েছেন সেরা হিসেবে। ইংলিশ ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে  এবারের প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন এবং নারী বিভাগের বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন খাদিজা শ’।

ইংল্যান্ডের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফোডেন গত চার বছরে সিটির তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবলের সবচেয়ে পুরনো এই ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ড জয় করলেন। এর আগে ২০২১ সালে সিটির রুবেন ডিয়াস ও গত বছর আর্লিং হালান্ড এই পুরস্কার জয় করেছিলেন।

এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ফোডেন ২৪ গোল করেছেন। ২৩ বছর বয়সী ফোডেন ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে আর্সেনালের ডিক্লান রাইস ও তার সতীর্থ রদ্রিকে পিছনে ফেলেছেন। এফডব্লিউএ’র প্রায় ৯০০ সদদ্যের ভোটে এই পুরস্কার বাছাই করা হয়।

ফোডেন বলেছেন, ‘ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হওয়া সত্যিই অনেক বড় সম্মানের। এই পুরস্কার পেয়ে আমি দারুণ খুশি। সতীর্থদের সহযোগিতা ছাড়া আমি এই পুরস্কার জয় করতে পারতাম না।’

গার্দিওলা তার শিষ্যের প্রশংসা করে বলেছেন, ভবিষ্যতে তার আরো ভাল খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর সে যে পরিমাণ ম্যাচ খেলে তাতে নিজেকে আরো পরিণত করার সুযোগ পাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সে ম্যাচের আবহ আরো ভালভাবে বুঝতে পারছে। এখনো তার বয়স কম। সবকিছুই এখন তার উপর নির্ভর করছে। আমি নিশ্চিত মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে পারলে সে ভবিষ্যতে আরো অনেক দুর এগিয়ে যাবে।’ এদিকে শ’ নারী সুপার লিগে ২১ গোল করেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।


ফিল ফোডেন   খাদিজা শ’   ম্যানসিটি   প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইংল্যান্ডের ইউরোতে ভালো করার টিপস দিলেন গার্দিওলা

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাস্টারমাইন্ড পেপ গার্দিওলা। বার্সালোনাকে ট্রেবল জেতানোর পর গেল মৌসুমে ম্যানসিটিকেও জিতিয়েছেন ট্রেবল। বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হবার পরও হাল না ছেড়ে লেগে থাকার ফলেই এই সফলতার মুখ দেখেছে গার্দিওলার দল। তবে এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেছে ম্যানসিটি। কিন্তু তারপরও ক্লাব ফুটবলের সাফল্য জাতীয় দলেও ধরে রাখতে পারলে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয় নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করেন পেপ।

গার্দিওলা বলেন, ‘ইংল্যান্ড সত্যিই দারুণ একটি দল। এখানে শুধুমাত্র প্রতিভাবান স্ট্রাইকারই নয়, পুরো দলই একটি গ্রুপ হিসেবে অসাধারণ। গ্যারেথ জানে ঠিক কি করলে দলের সাফল্য আসবে। সে কারণেই আমার মনে হয় এ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ও ইউরোতে ইংল্যান্ডের যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো তারা শুধরে নিতে পেরেছে। তারা শিরোপার একেবারেই কাছাকাছি রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফাইনালে পরাজিত হয়েছে, সেমিফাইনালে খেলেছে। প্রতি দুই বছরে একটি দল যখন এই পর্যায়ে খেলবে তখন সেই দলটির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা নয়। এটা অনেকটাই আমাদের মত চিত্র। আমরা শিরোপা কাছাকাছি গিয়েও তা হাতে নিতে পারিনি, শেষ পর্যন্ত সেটা ধরা দিয়েছে।’

গার্দিওলার বিশ্বাস, ফুটবলের প্রতি ইংলিশদের যে ভালবাসা তা অনেক সময় বড় টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়দের ওপর প্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এবার ইউরোতে সেই প্রত্যাশার চাপকে সামলে দল অবশ্যই ভাল কিছু করবে।

এ সম্পর্কে সিটি বস বলেন, ‘ইউরোপিয়ান কাপ কিংবা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড যখন খেলতে নামে তখন সমর্থকদের অনুভূতি আমি দেখেছি। তারা একেবারে পাগল হয়ে যায়। জাতীয় দলের জন্য তারা যেকোন কিছু করতে পারে। এতে এটাই প্রমাণ হয় যে জাতীয় দলকে নিয়ে তারা কতটা গর্বিত। একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবেও এই অনুভূতি সত্যিই অনুপ্রেরণার। পুরো দেশ তার দিকে তাকিয়ে আছে। বড় আসরে শেষ পর্যন্ত খেলতে পারাটাও গর্বের। শুধু এই আত্মবিশ্বাস মনের মধ্যে রাখতে হবে, আমরাও পারবো।’

২০২১ সালে ওয়েম্বলিতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পেনাল্টিতে ইতালির কাছে পরাজিত হয়েছিল ইংল্যান্ড। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া ও ২০২২ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয় ইংলিশদের।


পেপ গার্দিওলা   ইংল্যান্ড   ম্যানসিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ আজ

প্রকাশ: ০৪:১৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail রিয়াল মাদ্রিদ

লা লিগায় যেন শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যার ফলে চার ম্যাচ হাতে রেখে আজই সেই সুযোগ ডন কার্লোর শিষ্যদের সামনে। তবে সেক্ষেত্রে নিজেদের জেতার পাশাপাশি অপেক্ষা থাকবে চিরপ্রতিদ্বন্দি বার্সালোনা হারার।

আজ রাত সোয়া আটটায় শুরু হবে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম কাদিজের ম্যাচ। সেই ম্যাচে জেতার পাশাপাশি রাত সাড়ে দশটায় শুরু হওয়া ম্যাচে জিরোনার বিপক্ষে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বার্সেলোনা পয়েন্ট হারালেই শিরোপা যাবে রিয়ালের ঘরে।

অন্যদিকে সেরা চারের রেসে টিকে থাকতে রাত একটায় অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ মায়োর্কা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নামছে টেবিলের শীর্ষ দুই আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি। বিকেলে সাড়ে পাঁচটায় বোর্নমাউথকে গানার্সআর রাত সাড়ে আটটায় উলভসকে আতিথ্য দেবে ম্যানসিটি।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা রেস এখন কার্যত দু’দলের। লড়াইটা মূলত চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনালের। তবে রূপালি ট্রফির পথে আপাতত এগিয়ে গানার্সরা। এক ম্যাচ বেশি খেলে এক পয়েন্টে এগিয়ে আর্তেতার দল। কয়েক ঘণ্টার জন্য হলেও সে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ তাদের।

গেলো ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে এমিরেটসে নামবে আর্সেনাল। ইনজুরি কাটিয়ে মৌসুমে প্রথমবার খেলতে প্রস্তুত ডিফেন্ডার জুরিয়েন টিম্বার। শেষ ১৫ দেখায় প্রতিপক্ষ বোর্নমাউথ মাত্র একবারই হারাতে পেরেছে আর্সেনালকে।

অন্যদিকে এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের সুযোগ ম্যানচেস্টার সিটির। গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্টের পাশাপাশি উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেয়ার হাতছানি সিটিজেনদের। সেপ্টেম্বরে প্রথম পর্বে উলভসের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছিল গার্দিওয়ালার দল।

ঘরের মাঠ ইতিহাদে টানা ১৯ লিগ ম্যাচ অপরাজেয় ম্যান সিটি। তার উপর অসুস্থতা কাটিয়ে ফিরতে প্রস্তুত উইঙ্গার ফিল ফোডেন ও ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াজ। আর গোলবারে ফের দেখা যেতে পারে আস্থার প্রতিক এডারসনকে।

একই দিনে লা লিগায় আজই হতে পারে শিরোপার নিষ্পত্তি। সেজন্য দুই সমীকরণ মেলাতে হবে রিয়ালকে। এক কাদিজকে হারাতে হবে লস ব্লাঙ্কোসদের। আর জিরোনার কাছে হারতে হবে টেবিলের দুয়ে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বার্সেলোনাকে।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কিংবা পারফরমেন্স সব বিচারেই এগিয়ে রিয়াল। প্রতিপক্ষ কাদিজের বিপক্ষে শেষ ৬ আর ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ১৬ লিগ ম্যাচ হারেনি স্বাগতিকরা। সবমিলে মৌসুমে ২৮ ম্যাচ অপরাজেয় আনচেলত্তির দল।

জিরোনার সঙ্গে প্রথম পর্বে হারের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ বার্সেলোনার। একই সঙ্গে টেবিলের দু’নম্বর পজিশন হারানোর শঙ্কাও আছে কাতালানদের। কেননা দু’দলের পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র দুই। ঘরের মাঠে শেষ ১২ ম্যাচ অপরাজিত জিরোনার বিপক্ষে গাভি-ডি ইয়ংদের পাচ্ছেন না জাভি।


রিয়াল মাদ্রিদ   বার্সালোনা   রিয়াল মাদ্রিদ   লা লিগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নতুন ব্যবসায়ে নাম লেখাচ্ছেন লিও মেসি

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কোন অর্জন নেই যা তার ঝুলিতে নেই। ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের অধরা সোনালী ট্রফিটাও জিতেছেন তিনি। আর এতে করে সর্বকালের সেরা হওয়ার অ্যাখ্যাও পেয়েছেন তিনি।

ফুটবলের পাশাপাশি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত আছেন মেসি। এর আগে ২০২২ সালে কাপড়ের ব্যবসা চালু করেছিলেন তিনি। সেই ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতায় গেল মার্চে বাজারে নতুন হাইড্রেশন (জলযোজন) পানীয় আনার ঘোষণা দেন ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা।

নতুন ব্রান্ডের এই হাইড্রেশন পানীয়ের নাম প্রকাশ না করলেও নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে সবকিছু জানিয়েছেন মেসি। বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের একাউন্টে একটি পোস্ট করেন আর্জেন্টাইন তারকা। সেই পোস্টেই নিজের ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান মেসি।

পোস্টে মেসি লেখেন, ‘আমাদের নতুন হাইড্রেশন ড্রিংকটি বাজারে আনার জন্য কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ, হাইড্রেশন (জলযোজন) প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যেখানে আমাদের কাজটি এগিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে মাত্রই ফিরলাম। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জলযোজন পানীয়টি কীভাবে তৈরি হচ্ছে, সেটি সম্পর্কে জেনেছি।’

নিজের মালিকানাধীন ব্যবসা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন ব্রান্ডের দূত হিসেবে কাজ করে বিশাল অংকের অর্থ আয় করেন মেসি। যার মধ্যে জনপ্রিয় দুটি ব্রান্ড হলো অ্যাডিডাস ও পেপসিকো। চুক্তি অনুযায়ী, অ্যাডিডাস থেকে বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেন মেসি।

মেসির শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো ও বেশকিছু কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কারখানা পরিদর্শন করছেন মেসি। তাদের সঙ্গে আন্তক্রিয়াতে লিপ্ত হয়েছেন আর্জেন্টাইন দলপতি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এক যুগ পর ওয়াংখেড়েতে মুম্বাইকে হারাল কলকাতা

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কলকাতার সাথে খেলা মানেই যেন জয়জয়কার ছিল স্বাগতিকদের। তবে এক যুগ পর সেই রাজত্বের অবসান ঘটেছে। ২০১২ সালের পর অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেয়েছে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।

শুক্রবার (৩ মে) ওয়াংখেড়েতে আগে ব্যাট করে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে কলকাতা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪৫ রানেই থেমেছে স্বাগতিকরা। কলকাতার জয় ২৪ রানে।

এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারায় কলকাতা। দলের জন্য বলতে গেলে কিছুই করতে পারেননি ফিল সল্ট (৫), সুনিল নারিন (৮), রাঘুবংশী (১৩), শ্রেয়স আইয়ার (৬) ও রিংকু সিং (৯)।

দ্রুত ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে কলকাতা। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ৮৩ রানের জুটি করেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও মনিশ পান্ডে। ৩১ বলে ৪২ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বদলি খেলোয়াড় ডি ব্রেভিসের হাতে ক্যাচ হন তিনি।

পান্ডে আউট হয়ে গেলেও ভেঙ্কটেম হাঁকান দারুণ একটি ফিফটি। জাসপ্রিত বুমরাহের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫২ বলে ৭০ রান করেন তিনি। এই দুই ইনিংসের উপর ভর করে ১ বল বাকি থাকতেই ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় কলকাতা।

মুম্বাইয়ের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন নুয়ান থুসারা ও জাসপ্রিত বুমরাহ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে মুম্বাই। ৭১ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সপ্তম উইকেট ৪৯ রানের জুটি করেন সূর্যকুমার যাদব ও টিম ডেভিড।

ফিফটির (৩৫ বলে ৫৬) পর আন্দ্রে রাসেলের বলে সল্টের হাতে ক্যাচ হন সূর্য। আর টিম ডেভিডকে স্টার্ক থামিয়ে দেন ২৪ রানে। এতে ৭ বল আগেই ১৪৫ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বাই। কলকাতার হয়ে ৩৩ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক।


কলকাতা   আইপিএল   মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স   ওয়াংখেড়ে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন